
ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যাবেন বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরে, তবে এই চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে না।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার জন্য ব্যয় করা শত শত বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করতে পারবে। কয়েক দিনের তীব্র আলোচনার পর চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়। আলোচনার সময় জেলেনস্কি চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়।
তবে চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। চুক্তির খসড়ায় একটি যৌথ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। যেখানে ইউক্রেনে পাওয়া বিরল খনিজ ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ পদার্থের খনন থেকে অর্জিত রাজস্ব রাখা হবে, পাশাপাশি তেল ও গ্যাস বিক্রি থেকে অর্জিত রাজস্বও এতে থাকবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন পাসে মলিকর্পের বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে সেরিয়াম অক্সাইড, বাস্টনাসাইট, নিওডিমিয়াম অক্সাইড ও ল্যান্থানাম কার্বোনেটের নমুনা প্রদর্শন করা হয়। এর আগে, ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিরল খনিজ পদার্থ সরবরাহ করতে হবে। মূলত, তাঁর দাবির কাছে নতি স্বীকার করেই ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে।
গত বুধবার মার্কিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে, জেলেনস্কি শুক্রবার ওয়াশিংটনে আসবেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে। এই বিষয়টিকে তিনি ‘খুব বড় একটি চুক্তি’ বলে আখ্যা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে চুক্তির খসড়া স্বাক্ষর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। খসড়া অনুযায়ী, এই যৌথ তহবিলের মালিকানার শতভাগই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকার কথা ছিল। তবে জেলেনস্কি এতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘আমি এমন কোনো কিছুতে স্বাক্ষর করব না, যার মূল্য ১০ প্রজন্ম ধরে ইউক্রেনীয়রা পরিশোধ করবে।’
এরপর থেকে আলোচনায় কয়েক দফা পরিবর্তন আনা হয়। ইউক্রেন দীর্ঘ মেয়াদে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি চাইছিল। এই বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবেন তিনি? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব বেশি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে যাচ্ছি না। আমরা চাই ইউরোপ এ বিষয়ে দায়িত্ব নিক।’
ট্রাম্প ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ‘ন্যাটো নিয়ে ভাবার দরকার নেই। সম্ভবত এই কারণেই পুরো ঘটনাটি শুরু হয়েছে।’ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুক্তির খসড়ায় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা সম্পর্কে অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
জেলেনস্কি চুক্তিটিকে ‘প্রাথমিক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, ‘এটি কেবল শুরু, এটি কেবল একটি কাঠামো। এটি বড় সাফল্যে পরিণত হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, যদি তিনি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যান, তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করবেন, তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করবে কি না। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না পাই, তাহলে অস্ত্রবিরতি সম্ভব নয়, কিছুই কাজ করবে না, কিছুই না।’
জেলেনস্কির এই মন্তব্যের আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাকে মস্কো প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি ট্রাম্পের আগের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বাহিনীর উপস্থিতিকে সমর্থন করেন না।
লাভরভ বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত শুধু তখনই সম্ভব, যদি উভয় পক্ষ—আমরা এবং ইউক্রেন—তাতে সম্মত হয়। কিন্তু কেউ আমাদের এমন কিছু নিয়ে জিজ্ঞাসাও করেনি।’
এদিকে, আগামী রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বৈঠক করবেন, যেখানে ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সমর্থিত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অস্ত্রবিরতির পর ইউক্রেনে ৩০ হাজারের কম ইউরোপীয় সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। এসব সেনা রণক্ষেত্রে থাকবে না। তারা মূল অবকাঠামো, যেমন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে এবং পশ্চিমা বিমান ও নৌবাহিনী তাদের সহায়তা করবে।
লাভরভ বলেন, লন্ডন ও প্যারিস থেকে আসা শান্তিরক্ষা প্রস্তাব আসলে ‘প্রতারণা’ এবং এটি ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দিয়ে পূর্ণ করার কৌশল। তিনি দাবি করেন, এটি ইউক্রেনকে আরও বেশি ন্যাটোর দিকে ঠেলে দেবে এবং রুশভাষীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করবেন। এটি হবে দুই পক্ষের মধ্যে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের বৈঠক। এর আগে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের রিয়াদে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই আলোচনা রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে রিয়াদে বলেছিলেন, দুই দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোয় তাদের কূটনৈতিক মিশন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য আলোচনার অংশ। এরপর গত মঙ্গলবার সাংবাদিকেরা মস্কোর শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত, আমি নিশ্চিত, আমরা কিছু একটা করতে পারব।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কিছু একটা হবে, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে...এটি এমন কিছু, যা আমি আলোচনা করেছি। এমন এক ধরনের শান্তিরক্ষা ব্যবস্থা, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য।’
মস্কোর ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি আপত্তি প্রমাণ করে যে, রাশিয়া এখনো যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার ট্রাম্পের পরিকল্পনায় পুরোপুরি রাজি হয়নি। এটি মস্কোকে ছাড় দিতে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন এখনো তাঁর শর্তে অটল। তাঁর শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আকার সীমিত করা, বিদেশি অস্ত্র নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনের স্থায়ী নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর রাশিয়ার প্রভাব বজায় রাখা।
লাভরভ পুনরায় জানিয়েছেন, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের চারটি সংযুক্ত অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। তাঁর ইঙ্গিত, রাশিয়া ইউক্রেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও হস্তক্ষেপ করতে চায়। তিনি ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনের অবশিষ্ট অংশ রাশিয়া ও রুশভাষীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের যা অবশিষ্ট থাকবে, সেই অঞ্চলটিকেও বর্ণবাদী আইন থেকে মুক্ত হতে হবে।’
ক্রেমলিন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন সরকার রুশভাষী নাগরিকদের দমন করছে। এই অভিযোগেই রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। তবে ইউক্রেন বারবার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যাবেন বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরে, তবে এই চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে না।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার জন্য ব্যয় করা শত শত বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করতে পারবে। কয়েক দিনের তীব্র আলোচনার পর চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়। আলোচনার সময় জেলেনস্কি চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়।
তবে চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। চুক্তির খসড়ায় একটি যৌথ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। যেখানে ইউক্রেনে পাওয়া বিরল খনিজ ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ পদার্থের খনন থেকে অর্জিত রাজস্ব রাখা হবে, পাশাপাশি তেল ও গ্যাস বিক্রি থেকে অর্জিত রাজস্বও এতে থাকবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন পাসে মলিকর্পের বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে সেরিয়াম অক্সাইড, বাস্টনাসাইট, নিওডিমিয়াম অক্সাইড ও ল্যান্থানাম কার্বোনেটের নমুনা প্রদর্শন করা হয়। এর আগে, ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিরল খনিজ পদার্থ সরবরাহ করতে হবে। মূলত, তাঁর দাবির কাছে নতি স্বীকার করেই ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে।
গত বুধবার মার্কিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে, জেলেনস্কি শুক্রবার ওয়াশিংটনে আসবেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে। এই বিষয়টিকে তিনি ‘খুব বড় একটি চুক্তি’ বলে আখ্যা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে চুক্তির খসড়া স্বাক্ষর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। খসড়া অনুযায়ী, এই যৌথ তহবিলের মালিকানার শতভাগই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকার কথা ছিল। তবে জেলেনস্কি এতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘আমি এমন কোনো কিছুতে স্বাক্ষর করব না, যার মূল্য ১০ প্রজন্ম ধরে ইউক্রেনীয়রা পরিশোধ করবে।’
এরপর থেকে আলোচনায় কয়েক দফা পরিবর্তন আনা হয়। ইউক্রেন দীর্ঘ মেয়াদে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি চাইছিল। এই বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবেন তিনি? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব বেশি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে যাচ্ছি না। আমরা চাই ইউরোপ এ বিষয়ে দায়িত্ব নিক।’
ট্রাম্প ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ‘ন্যাটো নিয়ে ভাবার দরকার নেই। সম্ভবত এই কারণেই পুরো ঘটনাটি শুরু হয়েছে।’ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুক্তির খসড়ায় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা সম্পর্কে অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
জেলেনস্কি চুক্তিটিকে ‘প্রাথমিক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, ‘এটি কেবল শুরু, এটি কেবল একটি কাঠামো। এটি বড় সাফল্যে পরিণত হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, যদি তিনি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যান, তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করবেন, তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করবে কি না। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না পাই, তাহলে অস্ত্রবিরতি সম্ভব নয়, কিছুই কাজ করবে না, কিছুই না।’
জেলেনস্কির এই মন্তব্যের আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাকে মস্কো প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি ট্রাম্পের আগের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বাহিনীর উপস্থিতিকে সমর্থন করেন না।
লাভরভ বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত শুধু তখনই সম্ভব, যদি উভয় পক্ষ—আমরা এবং ইউক্রেন—তাতে সম্মত হয়। কিন্তু কেউ আমাদের এমন কিছু নিয়ে জিজ্ঞাসাও করেনি।’
এদিকে, আগামী রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বৈঠক করবেন, যেখানে ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সমর্থিত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অস্ত্রবিরতির পর ইউক্রেনে ৩০ হাজারের কম ইউরোপীয় সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। এসব সেনা রণক্ষেত্রে থাকবে না। তারা মূল অবকাঠামো, যেমন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে এবং পশ্চিমা বিমান ও নৌবাহিনী তাদের সহায়তা করবে।
লাভরভ বলেন, লন্ডন ও প্যারিস থেকে আসা শান্তিরক্ষা প্রস্তাব আসলে ‘প্রতারণা’ এবং এটি ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দিয়ে পূর্ণ করার কৌশল। তিনি দাবি করেন, এটি ইউক্রেনকে আরও বেশি ন্যাটোর দিকে ঠেলে দেবে এবং রুশভাষীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করবেন। এটি হবে দুই পক্ষের মধ্যে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের বৈঠক। এর আগে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের রিয়াদে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই আলোচনা রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে রিয়াদে বলেছিলেন, দুই দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোয় তাদের কূটনৈতিক মিশন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য আলোচনার অংশ। এরপর গত মঙ্গলবার সাংবাদিকেরা মস্কোর শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত, আমি নিশ্চিত, আমরা কিছু একটা করতে পারব।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কিছু একটা হবে, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে...এটি এমন কিছু, যা আমি আলোচনা করেছি। এমন এক ধরনের শান্তিরক্ষা ব্যবস্থা, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য।’
মস্কোর ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি আপত্তি প্রমাণ করে যে, রাশিয়া এখনো যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার ট্রাম্পের পরিকল্পনায় পুরোপুরি রাজি হয়নি। এটি মস্কোকে ছাড় দিতে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন এখনো তাঁর শর্তে অটল। তাঁর শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আকার সীমিত করা, বিদেশি অস্ত্র নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনের স্থায়ী নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর রাশিয়ার প্রভাব বজায় রাখা।
লাভরভ পুনরায় জানিয়েছেন, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের চারটি সংযুক্ত অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। তাঁর ইঙ্গিত, রাশিয়া ইউক্রেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও হস্তক্ষেপ করতে চায়। তিনি ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনের অবশিষ্ট অংশ রাশিয়া ও রুশভাষীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের যা অবশিষ্ট থাকবে, সেই অঞ্চলটিকেও বর্ণবাদী আইন থেকে মুক্ত হতে হবে।’
ক্রেমলিন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন সরকার রুশভাষী নাগরিকদের দমন করছে। এই অভিযোগেই রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। তবে ইউক্রেন বারবার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যাবেন বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরে, তবে এই চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে না।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার জন্য ব্যয় করা শত শত বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করতে পারবে। কয়েক দিনের তীব্র আলোচনার পর চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়। আলোচনার সময় জেলেনস্কি চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়।
তবে চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। চুক্তির খসড়ায় একটি যৌথ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। যেখানে ইউক্রেনে পাওয়া বিরল খনিজ ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ পদার্থের খনন থেকে অর্জিত রাজস্ব রাখা হবে, পাশাপাশি তেল ও গ্যাস বিক্রি থেকে অর্জিত রাজস্বও এতে থাকবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন পাসে মলিকর্পের বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে সেরিয়াম অক্সাইড, বাস্টনাসাইট, নিওডিমিয়াম অক্সাইড ও ল্যান্থানাম কার্বোনেটের নমুনা প্রদর্শন করা হয়। এর আগে, ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিরল খনিজ পদার্থ সরবরাহ করতে হবে। মূলত, তাঁর দাবির কাছে নতি স্বীকার করেই ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে।
গত বুধবার মার্কিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে, জেলেনস্কি শুক্রবার ওয়াশিংটনে আসবেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে। এই বিষয়টিকে তিনি ‘খুব বড় একটি চুক্তি’ বলে আখ্যা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে চুক্তির খসড়া স্বাক্ষর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। খসড়া অনুযায়ী, এই যৌথ তহবিলের মালিকানার শতভাগই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকার কথা ছিল। তবে জেলেনস্কি এতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘আমি এমন কোনো কিছুতে স্বাক্ষর করব না, যার মূল্য ১০ প্রজন্ম ধরে ইউক্রেনীয়রা পরিশোধ করবে।’
এরপর থেকে আলোচনায় কয়েক দফা পরিবর্তন আনা হয়। ইউক্রেন দীর্ঘ মেয়াদে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি চাইছিল। এই বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবেন তিনি? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব বেশি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে যাচ্ছি না। আমরা চাই ইউরোপ এ বিষয়ে দায়িত্ব নিক।’
ট্রাম্প ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ‘ন্যাটো নিয়ে ভাবার দরকার নেই। সম্ভবত এই কারণেই পুরো ঘটনাটি শুরু হয়েছে।’ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুক্তির খসড়ায় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা সম্পর্কে অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
জেলেনস্কি চুক্তিটিকে ‘প্রাথমিক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, ‘এটি কেবল শুরু, এটি কেবল একটি কাঠামো। এটি বড় সাফল্যে পরিণত হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, যদি তিনি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যান, তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করবেন, তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করবে কি না। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না পাই, তাহলে অস্ত্রবিরতি সম্ভব নয়, কিছুই কাজ করবে না, কিছুই না।’
জেলেনস্কির এই মন্তব্যের আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাকে মস্কো প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি ট্রাম্পের আগের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বাহিনীর উপস্থিতিকে সমর্থন করেন না।
লাভরভ বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত শুধু তখনই সম্ভব, যদি উভয় পক্ষ—আমরা এবং ইউক্রেন—তাতে সম্মত হয়। কিন্তু কেউ আমাদের এমন কিছু নিয়ে জিজ্ঞাসাও করেনি।’
এদিকে, আগামী রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বৈঠক করবেন, যেখানে ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সমর্থিত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অস্ত্রবিরতির পর ইউক্রেনে ৩০ হাজারের কম ইউরোপীয় সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। এসব সেনা রণক্ষেত্রে থাকবে না। তারা মূল অবকাঠামো, যেমন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে এবং পশ্চিমা বিমান ও নৌবাহিনী তাদের সহায়তা করবে।
লাভরভ বলেন, লন্ডন ও প্যারিস থেকে আসা শান্তিরক্ষা প্রস্তাব আসলে ‘প্রতারণা’ এবং এটি ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দিয়ে পূর্ণ করার কৌশল। তিনি দাবি করেন, এটি ইউক্রেনকে আরও বেশি ন্যাটোর দিকে ঠেলে দেবে এবং রুশভাষীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করবেন। এটি হবে দুই পক্ষের মধ্যে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের বৈঠক। এর আগে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের রিয়াদে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই আলোচনা রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে রিয়াদে বলেছিলেন, দুই দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোয় তাদের কূটনৈতিক মিশন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য আলোচনার অংশ। এরপর গত মঙ্গলবার সাংবাদিকেরা মস্কোর শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত, আমি নিশ্চিত, আমরা কিছু একটা করতে পারব।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কিছু একটা হবে, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে...এটি এমন কিছু, যা আমি আলোচনা করেছি। এমন এক ধরনের শান্তিরক্ষা ব্যবস্থা, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য।’
মস্কোর ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি আপত্তি প্রমাণ করে যে, রাশিয়া এখনো যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার ট্রাম্পের পরিকল্পনায় পুরোপুরি রাজি হয়নি। এটি মস্কোকে ছাড় দিতে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন এখনো তাঁর শর্তে অটল। তাঁর শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আকার সীমিত করা, বিদেশি অস্ত্র নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনের স্থায়ী নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর রাশিয়ার প্রভাব বজায় রাখা।
লাভরভ পুনরায় জানিয়েছেন, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের চারটি সংযুক্ত অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। তাঁর ইঙ্গিত, রাশিয়া ইউক্রেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও হস্তক্ষেপ করতে চায়। তিনি ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনের অবশিষ্ট অংশ রাশিয়া ও রুশভাষীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের যা অবশিষ্ট থাকবে, সেই অঞ্চলটিকেও বর্ণবাদী আইন থেকে মুক্ত হতে হবে।’
ক্রেমলিন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন সরকার রুশভাষী নাগরিকদের দমন করছে। এই অভিযোগেই রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। তবে ইউক্রেন বারবার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যাবেন বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরে, তবে এই চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে না।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার জন্য ব্যয় করা শত শত বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করতে পারবে। কয়েক দিনের তীব্র আলোচনার পর চুক্তিটি চূড়ান্ত হয়। আলোচনার সময় জেলেনস্কি চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়।
তবে চুক্তির সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে। চুক্তির খসড়ায় একটি যৌথ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে। যেখানে ইউক্রেনে পাওয়া বিরল খনিজ ও অন্যান্য মূল্যবান খনিজ পদার্থের খনন থেকে অর্জিত রাজস্ব রাখা হবে, পাশাপাশি তেল ও গ্যাস বিক্রি থেকে অর্জিত রাজস্বও এতে থাকবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন পাসে মলিকর্পের বিরল খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে সেরিয়াম অক্সাইড, বাস্টনাসাইট, নিওডিমিয়াম অক্সাইড ও ল্যান্থানাম কার্বোনেটের নমুনা প্রদর্শন করা হয়। এর আগে, ট্রাম্প দাবি করেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বিরল খনিজ পদার্থ সরবরাহ করতে হবে। মূলত, তাঁর দাবির কাছে নতি স্বীকার করেই ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে।
গত বুধবার মার্কিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেন যে, জেলেনস্কি শুক্রবার ওয়াশিংটনে আসবেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে। এই বিষয়টিকে তিনি ‘খুব বড় একটি চুক্তি’ বলে আখ্যা দেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে চুক্তির খসড়া স্বাক্ষর করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। খসড়া অনুযায়ী, এই যৌথ তহবিলের মালিকানার শতভাগই যুক্তরাষ্ট্রের হাতে থাকার কথা ছিল। তবে জেলেনস্কি এতে আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘আমি এমন কোনো কিছুতে স্বাক্ষর করব না, যার মূল্য ১০ প্রজন্ম ধরে ইউক্রেনীয়রা পরিশোধ করবে।’
এরপর থেকে আলোচনায় কয়েক দফা পরিবর্তন আনা হয়। ইউক্রেন দীর্ঘ মেয়াদে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি চাইছিল। এই বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে কী ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবেন তিনি? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খুব বেশি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে যাচ্ছি না। আমরা চাই ইউরোপ এ বিষয়ে দায়িত্ব নিক।’
ট্রাম্প ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, ‘ন্যাটো নিয়ে ভাবার দরকার নেই। সম্ভবত এই কারণেই পুরো ঘটনাটি শুরু হয়েছে।’ গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, চুক্তির খসড়ায় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা সম্পর্কে অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে।
জেলেনস্কি চুক্তিটিকে ‘প্রাথমিক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, ‘এটি কেবল শুরু, এটি কেবল একটি কাঠামো। এটি বড় সাফল্যে পরিণত হতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, যদি তিনি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যান, তাহলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করবেন, তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করবে কি না। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা নিরাপত্তা নিশ্চয়তা না পাই, তাহলে অস্ত্রবিরতি সম্ভব নয়, কিছুই কাজ করবে না, কিছুই না।’
জেলেনস্কির এই মন্তব্যের আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, ইউক্রেনে ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনাকে মস্কো প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি ট্রাম্পের আগের বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বাহিনীর উপস্থিতিকে সমর্থন করেন না।
লাভরভ বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত শুধু তখনই সম্ভব, যদি উভয় পক্ষ—আমরা এবং ইউক্রেন—তাতে সম্মত হয়। কিন্তু কেউ আমাদের এমন কিছু নিয়ে জিজ্ঞাসাও করেনি।’
এদিকে, আগামী রোববার লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে বৈঠক করবেন, যেখানে ইউক্রেনে ইউরোপীয় সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সমর্থিত এক প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অস্ত্রবিরতির পর ইউক্রেনে ৩০ হাজারের কম ইউরোপীয় সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। এসব সেনা রণক্ষেত্রে থাকবে না। তারা মূল অবকাঠামো, যেমন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে এবং পশ্চিমা বিমান ও নৌবাহিনী তাদের সহায়তা করবে।
লাভরভ বলেন, লন্ডন ও প্যারিস থেকে আসা শান্তিরক্ষা প্রস্তাব আসলে ‘প্রতারণা’ এবং এটি ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দিয়ে পূর্ণ করার কৌশল। তিনি দাবি করেন, এটি ইউক্রেনকে আরও বেশি ন্যাটোর দিকে ঠেলে দেবে এবং রুশভাষীদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকেরা সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করবেন। এটি হবে দুই পক্ষের মধ্যে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের বৈঠক। এর আগে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের রিয়াদে দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এই আলোচনা রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উষ্ণতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত সপ্তাহে রিয়াদে বলেছিলেন, দুই দেশ ওয়াশিংটন ও মস্কোয় তাদের কূটনৈতিক মিশন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজ করবে, যা ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য আলোচনার অংশ। এরপর গত মঙ্গলবার সাংবাদিকেরা মস্কোর শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত, আমি নিশ্চিত, আমরা কিছু একটা করতে পারব।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কিছু একটা হবে, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে...এটি এমন কিছু, যা আমি আলোচনা করেছি। এমন এক ধরনের শান্তিরক্ষা ব্যবস্থা, যা সবার জন্য গ্রহণযোগ্য।’
মস্কোর ইউরোপীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি আপত্তি প্রমাণ করে যে, রাশিয়া এখনো যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার ট্রাম্পের পরিকল্পনায় পুরোপুরি রাজি হয়নি। এটি মস্কোকে ছাড় দিতে রাজি করাতে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন এখনো তাঁর শর্তে অটল। তাঁর শর্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর আকার সীমিত করা, বিদেশি অস্ত্র নিষিদ্ধ করা, ইউক্রেনের স্থায়ী নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা এবং দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর রাশিয়ার প্রভাব বজায় রাখা।
লাভরভ পুনরায় জানিয়েছেন, রাশিয়া এখনো ইউক্রেনের চারটি সংযুক্ত অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। তাঁর ইঙ্গিত, রাশিয়া ইউক্রেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও হস্তক্ষেপ করতে চায়। তিনি ইঙ্গিত দেন, ইউক্রেনের অবশিষ্ট অংশ রাশিয়া ও রুশভাষীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ হতে হবে। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের যা অবশিষ্ট থাকবে, সেই অঞ্চলটিকেও বর্ণবাদী আইন থেকে মুক্ত হতে হবে।’
ক্রেমলিন দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে যে, ইউক্রেন সরকার রুশভাষী নাগরিকদের দমন করছে। এই অভিযোগেই রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে। তবে ইউক্রেন বারবার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১৫ মিনিট আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে...
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে...
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১৫ মিনিট আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে...
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১৫ মিনিট আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

ইউক্রেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির খনিজ সম্পদ বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। তবে বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে কোনো নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দেবে না। খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে...
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১৫ মিনিট আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে