
ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চলতে থাকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এর নাটকীয় বিকাশ অব্যাহত থাকে।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনার টাইমলাইন:
১৪৯৭: জন ক্যাবটকে রাজা হেনরি সপ্তম আটলান্টিকের মধ্য দিয়ে এশিয়ার একটি রুট আবিষ্কার করার জন্য অভিযানে পাঠান। ক্যাবট নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন এবং বিশ্বাস করেন যে এটিই এশিয়া।
১৫০২: সপ্তম হেনরি উত্তর আমেরিকায় আরেকটি সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন। ইংরেজ এবং পর্তুগিজদের যৌথ উদ্যোগ ছিল এটি।
১৫৪৭: ইংরেজ রাজ নিয়োজিত ইতালীয় অভিযাত্রী সেবাস্তিয়ান ক্যাবট স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের সমুদ্র অনুসন্ধান সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।
১৫৫২: ইংরেজ নৌ কর্মকর্তা টমাস উইন্ডহাম গিনি থেকে চিনি এবং গুড় আনেন।
১৫৫৪: স্যার হিউ উইলবি, একজন ইংরেজ সৈনিক এবং দক্ষ নৌযান চালক দূর প্রাচ্যে যাওয়ার জন্য উত্তর: পূর্বের একটি পথের সন্ধানে পরিচালিত জাহাজ বহরের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অভিযানের থাকতেই তিনি মারা যান। তবে বহরেরই অন্য একটি জাহাজ রাশিয়ার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে সফল হয়।
১৫৫৬: টিউডরা আয়ারল্যান্ড জয় করে। সেখানকার জমি দখল করে বিপুলসংখ্যক ইংরেজের পুনর্বাসন করেন। ইংরেজরা আইরিশদের তাদের বাপ দাদার ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে নিজেরা ভোগ দখল করে।
১৫৬২: ইংরেজ নৌ কমান্ডার জন হকিন্স পশ্চিম আফ্রিকা এবং নিউ ওয়ার্ল্ডের মধ্যে ক্রীতদাস বাণিজ্যে যুক্ত হন। নিউ ওয়ার্ল্ড হলো পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধের অধিকাংশ অংশ যা মূলত আমেরিকা নামেই পরিচিত। ফ্রান্সিস ড্রেকের পাশাপাশি হকিন্সও আমেরিকার স্প্যানিশ বন্দরগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করার অনুমতি পান। এই নতুন ‘আবিষ্কারের যুগে’ তাঁরা স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার হিম্মত দেখান।
১৫৭৭: ফ্রান্সিস ড্রেক বিশ্ব ভ্রমণ শুরু করেন। শেষ করে ১৫৮০ সালে।
১৫৭৮: অটোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য লন্ডনে লেভান্ট ট্রেডিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৫৯৭: দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের বিভিন্ন উপনিবেশে নির্বাসন দেওয়ার অনুমতি দিয়ে পার্লামেন্টে আইন পাস হয়।
১৬০০: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয়।
১৬০৪: গায়ানায় একটি উপনিবেশ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়।
১৬০৭: ক্যাপ্টেন জন স্মিথ এবং ভার্জিনিয়া কোম্পানি জেমস টাউনে আমেরিকায় প্রথম স্থায়ী আবাস স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
১৬১৫: বাণিজ্য অধিকার নিয়ে ইংরেজদের সঙ্গে বিরোধে বোম্বেতে পর্তুগিজদের পরাজয়।
১৬১৭: স্যার ওয়াল্টার রেলি ‘এল ডোরাডো’ খুঁজে পেতে সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন। তবে এরই মধ্যে গুটিবসন্ত মহামারি নিউ ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। এই মহামারি আমেরিকার নেটিভ জনগোষ্ঠীকে প্রায় নিঃশেষ করে দেয়। এল ডোরাডো হলো দক্ষিণ আমেরিকার এক কল্পিত স্বর্ণনগরী।
১৬২০: কিছু ব্রিটিশ পরিবারকে নিয়ে প্লাইমাউথ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে বিখ্যাত মেফ্লাওয়ার জাহাজ। প্রায় একশ যাত্রী আরোহী ছিল জাহাজে। প্রধানত পিউরিটানরা আটলান্টিকজুড়ে নিপীড়ন থেকে মুক্ত একটি নতুন জীবনের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিলেন। এই পিউরিটানরা মূলত ইংল্যান্ডের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী। তাঁরা ধর্ম সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৬২০ সালে আমেরিকা গিয়ে আশ্রয় নেন।
১৬২৪: সেন্ট কিটসে সফলভাবে বসতি স্থাপন করে ইংরেজ দখলদারেরা।
১৬২৭: বার্বাডোসে বসতি স্থাপন করে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ।
১৬২৮: নেভিসে বসতি স্থাপন।
১৬৩৩: বাংলায় ইংরেজদের বাণিজ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৩৯: ইংরেজরা মাদ্রাজে বসতি স্থাপন করে।
১৬৫৫: জ্যামাইকা দ্বীপটি স্প্যানিশদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৬৬০: রয়্যাল আফ্রিকান কোম্পানির প্রতিষ্ঠা। ডাচদের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির হাত থেকে বাণিজ্য পথ এবং পণ্যের নিরাপত্তায় নেভিগেশন আইন পাস করা হয়।
১৬৬১: রাজা দ্বিতীয় চার্লস ক্যাথরিন ডি ব্রাগানজাকে বিয়ে করেন। পর্তুগিজদের কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে পান ট্যাঙ্গিয়ার এবং বোম্বে।
১৬৬৪: ইংরেজরা ডাচ উপনিবেশ নিউ নেদারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সেখানে নতুন বসতি স্থাপন শুরু করে এবং নাম পরিবর্তন করে রাখে নিউইয়র্ক।
১৬৬৬: বাহামাতে উপনিবেশ স্থাপন করে ব্রিটেন।
১৬৬৮: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বোম্বে দখল করে।
১৬৯০: জব চার্নক আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে কলকাতা প্রতিষ্ঠা করেন। অবশ্য এই তথ্য বিতর্কিত।
১৭০৮: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং একটি প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ইউনাইটেড কোম্পানি অব মার্চেন্টস অব ইংল্যান্ডে একীভূত হয়। এই কোম্পানি পূর্ব ইন্ডিজে বাণিজ্য করত।
১৭১৩: উট্রেকটের চুক্তি স্পেনে উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘাতের সফল সমাপ্তি ঘটায়। এই চুক্তির ফলে ব্রিটেন আমেরিকা এবং ভূমধ্যসাগরে উল্লেখযোগ্য অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পায়। এর মধ্যে নিউফাউন্ডল্যান্ড, সেন্ট কিটস, হাডসন উপসাগরের পাশাপাশি জিব্রাল্টার এবং মিনোর্কাও রয়েছে। চুক্তিতে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলোতে দাস আমদানির অধিকারও পায় ব্রিটেন।
১৭১৯: ব্রিটিশ সরকার আয়ারল্যান্ডকে ব্রিটেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘোষণা করে।
১৭২৭: স্পেন এবং ব্রিটেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। স্প্যানিশরা জিব্রাল্টার অবরোধ করে। একই বছর কোয়েকারেরা (প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টান) উপনিবেশগুলোতে দাসপ্রথা বিলুপ্তির দাবি তোলেন।
১৭৩১: ইংল্যান্ডের কারখানার শ্রমিকদের আমেরিকায় অভিবাসনে বাধা দেওয়া হয়।
১৭৪৬: মাদ্রাজ ফরাসিদের দখলে চলে যায়।
১৭৫০: ব্রিটিশ এবং ফরাসিরা উত্তর আমেরিকার সীমানা নিয়ে আলোচনায় শুরু করে।
১৭৫৬: মিনোর্কা আবার স্প্যানিশদের দখল চলে যায়।
১৭৬৩: কিছু অঞ্চল, বসতি এবং বাণিজ্য বন্দরে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর ফলশ্রুতিতে প্যারিস চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় সাম্রাজ্যের ভূমি পুনর্বণ্টন করা হয়। কানাডার নিম্নাঞ্চল, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, ভারত এবং সেনেগাল পর্যন্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ পায় ব্রিটেন। চুক্তির অংশ হিসেবে ব্রিটিশরা কিউবা ও ম্যানিলা স্প্যানিশদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
১৭৬৫: আমেরিকান উপনিবেশগুলোতে স্ট্যাম্প অ্যাক্ট এবং কোয়ার্টারিং অ্যাক্ট ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়নি।
১৭৬৯: বাংলার মহা দুর্ভিক্ষে এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। একই বছর ক্যাপ্টেন জেমস কুক নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আগে তাহিতিতে পৌঁছান।
১৭৭০: ক্যাপ্টেন জেমস কুক ব্রিটেনের পক্ষে নিউ সাউথ ওয়েলসের নিয়ন্ত্রণ দখল করেন।
১৭৭৩: ব্রিটেনের কর আরোপের ক্ষমতার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকায় বোস্টন টি পার্টি বিদ্রোহ দানা বাঁধতে থাকে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের লক্ষণ স্পষ্ট হয়। দ্রুতই বিরোধীরা সহিংস বিদ্রোহ শুরু করে।
১৭৭৫: আমেরিকান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত এ যুদ্ধ স্থায়ী হয়।
১৭৮৩: আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্তর্জাতিক সংঘাতের সমাপ্তি ঘরে ফরাসিদের মধ্যস্থতায় ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে। ব্রিটেন ১৩টি উপনিবেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ফ্লোরিডা স্প্যানিশদের কাছে আর সেনেগাল ফ্রান্সের হাতে ফিরে যায়। চুক্তির অংশ হিসেবে ব্রিটেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং কানাডায় সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।
১৭৮৭: ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ উইলিয়াম উইলবারফোর্স ব্রিটিশ উপনিবেশগুলিতে দাসত্বের অবসানের জন্য তাঁর প্রচার: প্রচারণা শুরু করেন। এর ফলে সিয়েরা লিওনে একটি মুক্ত উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। উইলিয়াম উইলবারফোর্স ছিলেন ক্ল্যাফাম সম্প্রদায়ের সদস্য। এই ক্ল্যাফাম সেক্ট বা ক্ল্যাফাম সেইন্টসরা ১৭৮০ থেকে ১৮৪০: এর দশকে ক্ল্যাফাম এলাকার অধিবাসী সমাজসংস্কারকদের একটি দল। এই গোষ্ঠীর বেশিরভাগ সদস্য কিন্তু সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং বেশ অবস্থাপন্ন ছিল।
১৭৮৮: ইংল্যান্ড থেকে দাগি আসামিদের বহনকারী প্রথম জাহাজ অস্ট্রেলিয়ার বোটানি বে: তে পৌঁছে। বিশ্বজুড়ে মূলত ছোট অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কয়েকশ লোককে নির্বাসনের একটি সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
১৮০১: আইরিশ অ্যাক্ট অব ইউনিয়ন ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডকে একীভূত করে।
১৮০৫: ট্রাফালগারের যুদ্ধে অ্যাডমিরাল নেলসনের বিজয় রাজকীয় নৌবাহিনীকে সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ এনে দেয়।
১৮০৬: আটলান্টিকের উপকূলে দক্ষিণ আফ্রিকা সংলগ্ন কেপ অব গুড হোপ ব্রিটিশদের দখলে যায়।
১৮০৭: ব্রিটিশ জাহাজে বা ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে ক্রীতদাসের চালান নিষিদ্ধ হয়।
১৮১৩: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের সঙ্গে তার বাণিজ্যে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ হারায়।
১৮১৬: ভিয়েনার কংগ্রেস ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থান প্রতিষ্ঠার আরেকটি চেষ্টা করে। ব্রিটেন ডাচ এবং ফরাসি উপনিবেশ ফিরিয়ে দেয়।
১৮১৯: স্যার স্ট্যামফোর্ড রাফেলস সিঙ্গাপুর প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮২১: সিয়েরা লিওন, গাম্বিয়া এবং গোল্ড কোস্ট মিলে গঠিত হয় ব্রিটিশ পশ্চিম আফ্রিকা।
১৮৩৩: সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে দাসত্ব প্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৮৩৯: চীন এবং ব্রিটেনের মধ্যে আফিম যুদ্ধ। আফিমের ব্যবসার ফলে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আসক্তি দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চীনে আফিম ব্যবসা নিষিদ্ধ করে। সেই সঙ্গে কারও কাছে আফিম পাওয়া গেলেই ধ্বংস করার নির্দেশ জারি করা হয়। ব্রিটিশরা এটিকে মুক্ত বাণিজ্যের ওপর আঘাত এবং ব্রিটিশ সম্পত্তি ধ্বংস হিসেবে দেখে। এরপরই শুরু হয় আফিমের যুদ্ধ।
১৮৪১: ব্রিটেন হংকং দ্বীপ দখল করে নেয়।
১৮৪২: নানকিংয়ের চুক্তি আফিম যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়। হংকংকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেয় চীন।
১৮৪৩: নিউজিল্যান্ডে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আদিবাসী মাওরি বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৮৫৩: ভারতে রেলপথ নির্মাণ শুরু করে ব্রিটেন।
১৮৫৮: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৮৭০: অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডা থেকে ব্রিটিশ সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়।
১৮৭৬: রানী ভিক্টোরিয়া ভারতের সম্রাজ্ঞী উপাধি পান।
১৮৭৮: সাইপ্রাস দখল করে ব্রিটেন।
১৮০০: ব্রিটিশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে প্রথম বোয়ার যুদ্ধ শুরু হয়।
১৮৮৯: ব্রিটিশ দক্ষিণ আফ্রিকা কোম্পানি রাজকীয় সমর্থন ও অনুমোদন পায়। রোডেশিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯৪: উগান্ডাকে ব্রিটেন নিয়ন্ত্রিত স্বশাসিত রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়।
১৮৯৫: ট্রান্সভাল প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের কুখ্যাত ‘জেমসন রেইড’ বা অভিযান ব্যর্থ হয়।
১৮৯৯: দ্বিতীয় বোয়ার যুদ্ধের শুরু। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং ট্রান্সভাল প্রজাতন্ত্র ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট নামে পরিচিত দুটি বোয়ার রাজ্যের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। উইটওয়াটারসরান্ড সোনার খনি থেকে অর্জিত লাভ এবং আগের পুঞ্জীভূত বঞ্চনার শতাব্দী পুরোনো ক্ষোভ দুই শক্তিকে দ্বন্দ্বে ঠেলে দেয়।
১৯১৭: বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ‘ইহুদি জনগণের জন্য ঘর’: এর জায়োনিস্ট দাবির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে ব্রিটেন।
১৯৩১: ওয়েস্টমিনস্টারের সংবিধি ডোমিনিয়নগুলোকে (ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন স্বশাসিত রাষ্ট্র) সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন দেয়।
১৯৪৭: ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ভারত ও পাকিস্তানের বিভাজন।
১৯৪৮: ফিলিস্তিন থেকে ব্রিটিশ সেনা প্রত্যাহার।
১৯৫২: কেনিয়ায় শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে করে মাউ মাউ বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৯৫৬: সুদান স্বাধীনতা লাভ করে। পরের বছর ঘানা তাদের অনুসরণ করে। আফ্রিকার মূল ভূখণ্ডজুড়ে একের পর এক ব্রিটিশ উপনিবেশ পরের দশকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে, যার সমাপ্তি ঘটে ১৯৬৬ সালে। একটি ব্যতিক্রম ছিল নামিবিয়া, তারা ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। পরবর্তী দশকগুলোতে বিশ্বজুড়ে আরও অনেক দেশ স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। কিছু দেশ নির্দিষ্ট তারিখে ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে এবং অন্যরা ডমিনিয়ন হিসেবে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভাঙন বিংশ শতাব্দীর ভূগোলের চেহারা বদলে দেয় এবং বিশ্ব সম্পর্কের একটি নতুন যুগের সূচনা করে।
১৯৭২: এশিয়ানদের উগান্ডা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৯৮২: ফকল্যান্ডস যুদ্ধ। ফকল্যান্ডস যুদ্ধ ছিল আর্জেন্টিনা এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দশ সপ্তাহের অঘোষিত যুদ্ধ। দক্ষিণ আটলান্টিকের দুটি ব্রিটিশ উপনিবেশ: ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ জর্জিয়া এবং দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এ যুদ্ধ বাঁধে।
১৯৯৭: হংকং চীনা সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেয় যুক্তরাজ্য।
বর্তমানে যে অবস্থায় আছে
ব্রিটেন এবং কমনওয়েলথ জাতিসমূহ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শত শত বছর ধরে প্রাণ: প্রকৃতি, মানুষ, ভ্রমণ, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, রাজনীতি এবং সংস্কৃতি গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক ছিল। ভালো হোক বা খারাপ হোক, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রভাব ইতিহাসের বইয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চলতে থাকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এর নাটকীয় বিকাশ অব্যাহত থাকে।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনার টাইমলাইন:
১৪৯৭: জন ক্যাবটকে রাজা হেনরি সপ্তম আটলান্টিকের মধ্য দিয়ে এশিয়ার একটি রুট আবিষ্কার করার জন্য অভিযানে পাঠান। ক্যাবট নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন এবং বিশ্বাস করেন যে এটিই এশিয়া।
১৫০২: সপ্তম হেনরি উত্তর আমেরিকায় আরেকটি সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন। ইংরেজ এবং পর্তুগিজদের যৌথ উদ্যোগ ছিল এটি।
১৫৪৭: ইংরেজ রাজ নিয়োজিত ইতালীয় অভিযাত্রী সেবাস্তিয়ান ক্যাবট স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের সমুদ্র অনুসন্ধান সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।
১৫৫২: ইংরেজ নৌ কর্মকর্তা টমাস উইন্ডহাম গিনি থেকে চিনি এবং গুড় আনেন।
১৫৫৪: স্যার হিউ উইলবি, একজন ইংরেজ সৈনিক এবং দক্ষ নৌযান চালক দূর প্রাচ্যে যাওয়ার জন্য উত্তর: পূর্বের একটি পথের সন্ধানে পরিচালিত জাহাজ বহরের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অভিযানের থাকতেই তিনি মারা যান। তবে বহরেরই অন্য একটি জাহাজ রাশিয়ার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে সফল হয়।
১৫৫৬: টিউডরা আয়ারল্যান্ড জয় করে। সেখানকার জমি দখল করে বিপুলসংখ্যক ইংরেজের পুনর্বাসন করেন। ইংরেজরা আইরিশদের তাদের বাপ দাদার ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে নিজেরা ভোগ দখল করে।
১৫৬২: ইংরেজ নৌ কমান্ডার জন হকিন্স পশ্চিম আফ্রিকা এবং নিউ ওয়ার্ল্ডের মধ্যে ক্রীতদাস বাণিজ্যে যুক্ত হন। নিউ ওয়ার্ল্ড হলো পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধের অধিকাংশ অংশ যা মূলত আমেরিকা নামেই পরিচিত। ফ্রান্সিস ড্রেকের পাশাপাশি হকিন্সও আমেরিকার স্প্যানিশ বন্দরগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করার অনুমতি পান। এই নতুন ‘আবিষ্কারের যুগে’ তাঁরা স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার হিম্মত দেখান।
১৫৭৭: ফ্রান্সিস ড্রেক বিশ্ব ভ্রমণ শুরু করেন। শেষ করে ১৫৮০ সালে।
১৫৭৮: অটোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য লন্ডনে লেভান্ট ট্রেডিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৫৯৭: দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের বিভিন্ন উপনিবেশে নির্বাসন দেওয়ার অনুমতি দিয়ে পার্লামেন্টে আইন পাস হয়।
১৬০০: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয়।
১৬০৪: গায়ানায় একটি উপনিবেশ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়।
১৬০৭: ক্যাপ্টেন জন স্মিথ এবং ভার্জিনিয়া কোম্পানি জেমস টাউনে আমেরিকায় প্রথম স্থায়ী আবাস স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
১৬১৫: বাণিজ্য অধিকার নিয়ে ইংরেজদের সঙ্গে বিরোধে বোম্বেতে পর্তুগিজদের পরাজয়।
১৬১৭: স্যার ওয়াল্টার রেলি ‘এল ডোরাডো’ খুঁজে পেতে সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন। তবে এরই মধ্যে গুটিবসন্ত মহামারি নিউ ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। এই মহামারি আমেরিকার নেটিভ জনগোষ্ঠীকে প্রায় নিঃশেষ করে দেয়। এল ডোরাডো হলো দক্ষিণ আমেরিকার এক কল্পিত স্বর্ণনগরী।
১৬২০: কিছু ব্রিটিশ পরিবারকে নিয়ে প্লাইমাউথ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে বিখ্যাত মেফ্লাওয়ার জাহাজ। প্রায় একশ যাত্রী আরোহী ছিল জাহাজে। প্রধানত পিউরিটানরা আটলান্টিকজুড়ে নিপীড়ন থেকে মুক্ত একটি নতুন জীবনের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিলেন। এই পিউরিটানরা মূলত ইংল্যান্ডের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী। তাঁরা ধর্ম সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৬২০ সালে আমেরিকা গিয়ে আশ্রয় নেন।
১৬২৪: সেন্ট কিটসে সফলভাবে বসতি স্থাপন করে ইংরেজ দখলদারেরা।
১৬২৭: বার্বাডোসে বসতি স্থাপন করে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ।
১৬২৮: নেভিসে বসতি স্থাপন।
১৬৩৩: বাংলায় ইংরেজদের বাণিজ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৩৯: ইংরেজরা মাদ্রাজে বসতি স্থাপন করে।
১৬৫৫: জ্যামাইকা দ্বীপটি স্প্যানিশদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৬৬০: রয়্যাল আফ্রিকান কোম্পানির প্রতিষ্ঠা। ডাচদের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির হাত থেকে বাণিজ্য পথ এবং পণ্যের নিরাপত্তায় নেভিগেশন আইন পাস করা হয়।
১৬৬১: রাজা দ্বিতীয় চার্লস ক্যাথরিন ডি ব্রাগানজাকে বিয়ে করেন। পর্তুগিজদের কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে পান ট্যাঙ্গিয়ার এবং বোম্বে।
১৬৬৪: ইংরেজরা ডাচ উপনিবেশ নিউ নেদারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সেখানে নতুন বসতি স্থাপন শুরু করে এবং নাম পরিবর্তন করে রাখে নিউইয়র্ক।
১৬৬৬: বাহামাতে উপনিবেশ স্থাপন করে ব্রিটেন।
১৬৬৮: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বোম্বে দখল করে।
১৬৯০: জব চার্নক আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে কলকাতা প্রতিষ্ঠা করেন। অবশ্য এই তথ্য বিতর্কিত।
১৭০৮: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং একটি প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ইউনাইটেড কোম্পানি অব মার্চেন্টস অব ইংল্যান্ডে একীভূত হয়। এই কোম্পানি পূর্ব ইন্ডিজে বাণিজ্য করত।
১৭১৩: উট্রেকটের চুক্তি স্পেনে উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘাতের সফল সমাপ্তি ঘটায়। এই চুক্তির ফলে ব্রিটেন আমেরিকা এবং ভূমধ্যসাগরে উল্লেখযোগ্য অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পায়। এর মধ্যে নিউফাউন্ডল্যান্ড, সেন্ট কিটস, হাডসন উপসাগরের পাশাপাশি জিব্রাল্টার এবং মিনোর্কাও রয়েছে। চুক্তিতে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলোতে দাস আমদানির অধিকারও পায় ব্রিটেন।
১৭১৯: ব্রিটিশ সরকার আয়ারল্যান্ডকে ব্রিটেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘোষণা করে।
১৭২৭: স্পেন এবং ব্রিটেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। স্প্যানিশরা জিব্রাল্টার অবরোধ করে। একই বছর কোয়েকারেরা (প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টান) উপনিবেশগুলোতে দাসপ্রথা বিলুপ্তির দাবি তোলেন।
১৭৩১: ইংল্যান্ডের কারখানার শ্রমিকদের আমেরিকায় অভিবাসনে বাধা দেওয়া হয়।
১৭৪৬: মাদ্রাজ ফরাসিদের দখলে চলে যায়।
১৭৫০: ব্রিটিশ এবং ফরাসিরা উত্তর আমেরিকার সীমানা নিয়ে আলোচনায় শুরু করে।
১৭৫৬: মিনোর্কা আবার স্প্যানিশদের দখল চলে যায়।
১৭৬৩: কিছু অঞ্চল, বসতি এবং বাণিজ্য বন্দরে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর ফলশ্রুতিতে প্যারিস চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় সাম্রাজ্যের ভূমি পুনর্বণ্টন করা হয়। কানাডার নিম্নাঞ্চল, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, ভারত এবং সেনেগাল পর্যন্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ পায় ব্রিটেন। চুক্তির অংশ হিসেবে ব্রিটিশরা কিউবা ও ম্যানিলা স্প্যানিশদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
১৭৬৫: আমেরিকান উপনিবেশগুলোতে স্ট্যাম্প অ্যাক্ট এবং কোয়ার্টারিং অ্যাক্ট ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়নি।
১৭৬৯: বাংলার মহা দুর্ভিক্ষে এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। একই বছর ক্যাপ্টেন জেমস কুক নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আগে তাহিতিতে পৌঁছান।
১৭৭০: ক্যাপ্টেন জেমস কুক ব্রিটেনের পক্ষে নিউ সাউথ ওয়েলসের নিয়ন্ত্রণ দখল করেন।
১৭৭৩: ব্রিটেনের কর আরোপের ক্ষমতার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকায় বোস্টন টি পার্টি বিদ্রোহ দানা বাঁধতে থাকে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের লক্ষণ স্পষ্ট হয়। দ্রুতই বিরোধীরা সহিংস বিদ্রোহ শুরু করে।
১৭৭৫: আমেরিকান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত এ যুদ্ধ স্থায়ী হয়।
১৭৮৩: আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্তর্জাতিক সংঘাতের সমাপ্তি ঘরে ফরাসিদের মধ্যস্থতায় ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে। ব্রিটেন ১৩টি উপনিবেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ফ্লোরিডা স্প্যানিশদের কাছে আর সেনেগাল ফ্রান্সের হাতে ফিরে যায়। চুক্তির অংশ হিসেবে ব্রিটেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং কানাডায় সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।
১৭৮৭: ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ উইলিয়াম উইলবারফোর্স ব্রিটিশ উপনিবেশগুলিতে দাসত্বের অবসানের জন্য তাঁর প্রচার: প্রচারণা শুরু করেন। এর ফলে সিয়েরা লিওনে একটি মুক্ত উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। উইলিয়াম উইলবারফোর্স ছিলেন ক্ল্যাফাম সম্প্রদায়ের সদস্য। এই ক্ল্যাফাম সেক্ট বা ক্ল্যাফাম সেইন্টসরা ১৭৮০ থেকে ১৮৪০: এর দশকে ক্ল্যাফাম এলাকার অধিবাসী সমাজসংস্কারকদের একটি দল। এই গোষ্ঠীর বেশিরভাগ সদস্য কিন্তু সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং বেশ অবস্থাপন্ন ছিল।
১৭৮৮: ইংল্যান্ড থেকে দাগি আসামিদের বহনকারী প্রথম জাহাজ অস্ট্রেলিয়ার বোটানি বে: তে পৌঁছে। বিশ্বজুড়ে মূলত ছোট অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কয়েকশ লোককে নির্বাসনের একটি সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
১৮০১: আইরিশ অ্যাক্ট অব ইউনিয়ন ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডকে একীভূত করে।
১৮০৫: ট্রাফালগারের যুদ্ধে অ্যাডমিরাল নেলসনের বিজয় রাজকীয় নৌবাহিনীকে সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ এনে দেয়।
১৮০৬: আটলান্টিকের উপকূলে দক্ষিণ আফ্রিকা সংলগ্ন কেপ অব গুড হোপ ব্রিটিশদের দখলে যায়।
১৮০৭: ব্রিটিশ জাহাজে বা ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে ক্রীতদাসের চালান নিষিদ্ধ হয়।
১৮১৩: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের সঙ্গে তার বাণিজ্যে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ হারায়।
১৮১৬: ভিয়েনার কংগ্রেস ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থান প্রতিষ্ঠার আরেকটি চেষ্টা করে। ব্রিটেন ডাচ এবং ফরাসি উপনিবেশ ফিরিয়ে দেয়।
১৮১৯: স্যার স্ট্যামফোর্ড রাফেলস সিঙ্গাপুর প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮২১: সিয়েরা লিওন, গাম্বিয়া এবং গোল্ড কোস্ট মিলে গঠিত হয় ব্রিটিশ পশ্চিম আফ্রিকা।
১৮৩৩: সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে দাসত্ব প্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৮৩৯: চীন এবং ব্রিটেনের মধ্যে আফিম যুদ্ধ। আফিমের ব্যবসার ফলে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আসক্তি দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চীনে আফিম ব্যবসা নিষিদ্ধ করে। সেই সঙ্গে কারও কাছে আফিম পাওয়া গেলেই ধ্বংস করার নির্দেশ জারি করা হয়। ব্রিটিশরা এটিকে মুক্ত বাণিজ্যের ওপর আঘাত এবং ব্রিটিশ সম্পত্তি ধ্বংস হিসেবে দেখে। এরপরই শুরু হয় আফিমের যুদ্ধ।
১৮৪১: ব্রিটেন হংকং দ্বীপ দখল করে নেয়।
১৮৪২: নানকিংয়ের চুক্তি আফিম যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়। হংকংকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেয় চীন।
১৮৪৩: নিউজিল্যান্ডে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আদিবাসী মাওরি বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৮৫৩: ভারতে রেলপথ নির্মাণ শুরু করে ব্রিটেন।
১৮৫৮: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৮৭০: অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডা থেকে ব্রিটিশ সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়।
১৮৭৬: রানী ভিক্টোরিয়া ভারতের সম্রাজ্ঞী উপাধি পান।
১৮৭৮: সাইপ্রাস দখল করে ব্রিটেন।
১৮০০: ব্রিটিশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে প্রথম বোয়ার যুদ্ধ শুরু হয়।
১৮৮৯: ব্রিটিশ দক্ষিণ আফ্রিকা কোম্পানি রাজকীয় সমর্থন ও অনুমোদন পায়। রোডেশিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯৪: উগান্ডাকে ব্রিটেন নিয়ন্ত্রিত স্বশাসিত রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়।
১৮৯৫: ট্রান্সভাল প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের কুখ্যাত ‘জেমসন রেইড’ বা অভিযান ব্যর্থ হয়।
১৮৯৯: দ্বিতীয় বোয়ার যুদ্ধের শুরু। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং ট্রান্সভাল প্রজাতন্ত্র ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট নামে পরিচিত দুটি বোয়ার রাজ্যের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। উইটওয়াটারসরান্ড সোনার খনি থেকে অর্জিত লাভ এবং আগের পুঞ্জীভূত বঞ্চনার শতাব্দী পুরোনো ক্ষোভ দুই শক্তিকে দ্বন্দ্বে ঠেলে দেয়।
১৯১৭: বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ‘ইহুদি জনগণের জন্য ঘর’: এর জায়োনিস্ট দাবির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে ব্রিটেন।
১৯৩১: ওয়েস্টমিনস্টারের সংবিধি ডোমিনিয়নগুলোকে (ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন স্বশাসিত রাষ্ট্র) সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন দেয়।
১৯৪৭: ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ভারত ও পাকিস্তানের বিভাজন।
১৯৪৮: ফিলিস্তিন থেকে ব্রিটিশ সেনা প্রত্যাহার।
১৯৫২: কেনিয়ায় শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে করে মাউ মাউ বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৯৫৬: সুদান স্বাধীনতা লাভ করে। পরের বছর ঘানা তাদের অনুসরণ করে। আফ্রিকার মূল ভূখণ্ডজুড়ে একের পর এক ব্রিটিশ উপনিবেশ পরের দশকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে, যার সমাপ্তি ঘটে ১৯৬৬ সালে। একটি ব্যতিক্রম ছিল নামিবিয়া, তারা ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। পরবর্তী দশকগুলোতে বিশ্বজুড়ে আরও অনেক দেশ স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। কিছু দেশ নির্দিষ্ট তারিখে ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে এবং অন্যরা ডমিনিয়ন হিসেবে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভাঙন বিংশ শতাব্দীর ভূগোলের চেহারা বদলে দেয় এবং বিশ্ব সম্পর্কের একটি নতুন যুগের সূচনা করে।
১৯৭২: এশিয়ানদের উগান্ডা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৯৮২: ফকল্যান্ডস যুদ্ধ। ফকল্যান্ডস যুদ্ধ ছিল আর্জেন্টিনা এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দশ সপ্তাহের অঘোষিত যুদ্ধ। দক্ষিণ আটলান্টিকের দুটি ব্রিটিশ উপনিবেশ: ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ জর্জিয়া এবং দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এ যুদ্ধ বাঁধে।
১৯৯৭: হংকং চীনা সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেয় যুক্তরাজ্য।
বর্তমানে যে অবস্থায় আছে
ব্রিটেন এবং কমনওয়েলথ জাতিসমূহ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শত শত বছর ধরে প্রাণ: প্রকৃতি, মানুষ, ভ্রমণ, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, রাজনীতি এবং সংস্কৃতি গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক ছিল। ভালো হোক বা খারাপ হোক, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রভাব ইতিহাসের বইয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৩ মিনিট আগে
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
১২ মিনিট আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১৭ মিনিট আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষ করে তরুণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের তাঁকে সরবরাহ করার প্রক্রিয়া এতে স্পষ্ট হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, নথিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে বিচার বিভাগের দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষিত প্রকাশনার অংশ। তবে এই প্রকাশনা আংশিক এবং ব্যাপকভাবে সম্পাদিত হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে একটি নথি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। নথিটির নম্বর ইএফটিএ–০০০০৪১৭৯। এতে রয়েছে এফবিআইয়ের একটি প্রমাণ-সংক্রান্ত কভার শিট এবং ১৩ পৃষ্ঠার হাতে লেখা তদন্ত নোট। ২০১৯ সালের ২ মে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এসব নোট তৈরি করা হয়। সাক্ষাৎকারদাতার পরিচয় এবং নথির কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে।
তবে নোটগুলোতে কয়েকটি বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের নিয়োগ, ‘ম্যাসাজ’-এর আড়ালে যৌন নিপীড়ন এবং বয়স ও গায়ের রং নিয়ে এপস্টেইনের নির্দিষ্ট পছন্দ। নোট অনুযায়ী সাক্ষী বলেন, ‘ (এই অংশ মুছে ফেলা হয়েছে)–এর বন্ধুদের বন্ধু। বড় ব্রাজিলিয়ান গ্রুপ। খুবই মরিয়া সময় যাচ্ছে। মেয়েদের সংখ্যা ফুরিয়ে আসছিল।’ নোটে জেফরি এপস্টেইনকে ‘জেই’ আদ্যক্ষরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই তথাকথিত ‘মরিয়া সময়ে’ একজন ‘বাদামি ত্বকের ডমিনিকান’ মেয়েকে আনা হয়েছিল। কিন্তু নোটে বলা হয়েছে, ‘জেই স্প্যানিশ বা গাঢ় রঙের মেয়ে চায়নি।’ যিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের এপস্টেইনের কাছে নিয়ে আসতেন, তাঁর পরিচয় নথিতে গোপন রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এপস্টেইনকে জানান, তিনি তাঁর জন্য ‘তরুণী মেয়েদের’ নিয়ে আসছেন। তবে এপস্টেইন অভিযোগ করেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু বাদামি রঙের না।’
সাক্ষী জানান, তিনি নিশ্চিত নন এপস্টেইন ওই জোগাড়দারকে কোনো অর্থ দিয়েছিলেন কি না। তবে মেয়েটিকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। নোটে আরও উল্লেখ আছে, একটি বাথরুমে ঘটে যাওয়া ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বাথটাবের কাছে স্তন ও যোনি…সে শাওয়ারে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বলে, সে যেন এমন মেয়েদের না আনে যাদের সে পছন্দ করে না…তাকে বলে, খুঁজে যেতে।’
আরও বলা হয়, ‘একপর্যায়ে (নাম মুছে ফেলা হয়েছে) তাকে একটি মেয়ের পরিচয়পত্র চাইতে দেখেছে।’ নোট অনুযায়ী, এপস্টেইন নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন মেয়েটি ১৮ বছরের নিচে কি না। কারণ আগে বেশি বয়সী মেয়েদের আনার ঘটনায় তাঁর আস্থা নষ্ট হয়েছিল।
নোটে সাক্ষী যৌন নিপীড়নের বিবরণও দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এপস্টেইন ‘অদ্ভুত শব্দ করতেন’ এবং ভুক্তভোগীদের ‘রূঢ়ভাবে’ স্পর্শ করতেন। নথিটিতে কয়েকজন মেয়ের ছবি সংযুক্ত রয়েছে। নোট অনুযায়ী, তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। ছবিগুলোতে তাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং সৈকতে বিকিনিতে দেখা যায়। নোটে নিউইয়র্কের একাধিক স্থানের উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ম্যানহাটনের ৪১ তম স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, রচেস্টার, ব্রাইটন বিচ এবং একটি হাইস্কুল প্রম।
সাক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে নোটে থাকা তথ্য এপস্টেইনের ব্রাজিলের শিশুদের প্রতি আগ্রহের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ফেডারেল অভিযোগপত্রে ‘মাইনর ভিকটিম–১’ হিসেবে চিহ্নিত ব্রাজিলের অভিবাসী মারিনা লাসেরদা ছিলেন মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি জানান, ১৪ বছর বয়স থেকে এপস্টেইনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। তিনি আরও বলেন, এপস্টেইনের সঙ্গে তিনি একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখেছেন। তবে ট্রাম্প এপস্টেইনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন বলে অস্বীকার করেছেন।
লাসেরদার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে এপস্টেইন আত্মহত্যা করেন। এপস্টেইনের সহযোগী জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল, যিনি তাঁর অর্থায়নে একটি মডেলিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ২০২২ সালে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এপস্টেইনের জন্য এক হাজারের বেশি মেয়ে ও তরুণী সরবরাহ করেছিলেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রুনেল ব্রাজিলের একটি মডেলিং এজেন্সিতে যান, যেটির সঙ্গে তাঁর কোম্পানির আগে কাজ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মডেল পাঠানোর উদ্দেশ্যেই এই সফর করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এপস্টেইনের মৃত্যুর পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দণ্ডিত ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলকেও ব্রাজিলের রিভিয়েরা এলাকায় দেখা গেছে বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের একটি কারাগারে জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল আত্মহত্যা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। বিশেষ করে তরুণী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের তাঁকে সরবরাহ করার প্রক্রিয়া এতে স্পষ্ট হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, নথিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়কালে বিচার বিভাগের দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক্ষিত প্রকাশনার অংশ। তবে এই প্রকাশনা আংশিক এবং ব্যাপকভাবে সম্পাদিত হওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে।
প্রকাশিত নথিগুলোর মধ্যে একটি নথি বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। নথিটির নম্বর ইএফটিএ–০০০০৪১৭৯। এতে রয়েছে এফবিআইয়ের একটি প্রমাণ-সংক্রান্ত কভার শিট এবং ১৩ পৃষ্ঠার হাতে লেখা তদন্ত নোট। ২০১৯ সালের ২ মে নেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এসব নোট তৈরি করা হয়। সাক্ষাৎকারদাতার পরিচয় এবং নথির কিছু অংশ গোপন রাখা হয়েছে।
তবে নোটগুলোতে কয়েকটি বিষয় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে মেয়েদের নিয়োগ, ‘ম্যাসাজ’-এর আড়ালে যৌন নিপীড়ন এবং বয়স ও গায়ের রং নিয়ে এপস্টেইনের নির্দিষ্ট পছন্দ। নোট অনুযায়ী সাক্ষী বলেন, ‘ (এই অংশ মুছে ফেলা হয়েছে)–এর বন্ধুদের বন্ধু। বড় ব্রাজিলিয়ান গ্রুপ। খুবই মরিয়া সময় যাচ্ছে। মেয়েদের সংখ্যা ফুরিয়ে আসছিল।’ নোটে জেফরি এপস্টেইনকে ‘জেই’ আদ্যক্ষরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই তথাকথিত ‘মরিয়া সময়ে’ একজন ‘বাদামি ত্বকের ডমিনিকান’ মেয়েকে আনা হয়েছিল। কিন্তু নোটে বলা হয়েছে, ‘জেই স্প্যানিশ বা গাঢ় রঙের মেয়ে চায়নি।’ যিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের এপস্টেইনের কাছে নিয়ে আসতেন, তাঁর পরিচয় নথিতে গোপন রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এপস্টেইনকে জানান, তিনি তাঁর জন্য ‘তরুণী মেয়েদের’ নিয়ে আসছেন। তবে এপস্টেইন অভিযোগ করেন, ‘হ্যাঁ, কিন্তু বাদামি রঙের না।’
সাক্ষী জানান, তিনি নিশ্চিত নন এপস্টেইন ওই জোগাড়দারকে কোনো অর্থ দিয়েছিলেন কি না। তবে মেয়েটিকে অর্থ দেওয়া হয়েছিল। নোটে আরও উল্লেখ আছে, একটি বাথরুমে ঘটে যাওয়া ঘটনার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘বাথটাবের কাছে স্তন ও যোনি…সে শাওয়ারে ঢুকে পড়ে এবং তাকে বলে, সে যেন এমন মেয়েদের না আনে যাদের সে পছন্দ করে না…তাকে বলে, খুঁজে যেতে।’
আরও বলা হয়, ‘একপর্যায়ে (নাম মুছে ফেলা হয়েছে) তাকে একটি মেয়ের পরিচয়পত্র চাইতে দেখেছে।’ নোট অনুযায়ী, এপস্টেইন নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন মেয়েটি ১৮ বছরের নিচে কি না। কারণ আগে বেশি বয়সী মেয়েদের আনার ঘটনায় তাঁর আস্থা নষ্ট হয়েছিল।
নোটে সাক্ষী যৌন নিপীড়নের বিবরণও দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এপস্টেইন ‘অদ্ভুত শব্দ করতেন’ এবং ভুক্তভোগীদের ‘রূঢ়ভাবে’ স্পর্শ করতেন। নথিটিতে কয়েকজন মেয়ের ছবি সংযুক্ত রয়েছে। নোট অনুযায়ী, তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। ছবিগুলোতে তাদের শহরের বিভিন্ন জায়গায় এবং সৈকতে বিকিনিতে দেখা যায়। নোটে নিউইয়র্কের একাধিক স্থানের উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আছে ম্যানহাটনের ৪১ তম স্ট্রিটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট, রচেস্টার, ব্রাইটন বিচ এবং একটি হাইস্কুল প্রম।
সাক্ষীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে নোটে থাকা তথ্য এপস্টেইনের ব্রাজিলের শিশুদের প্রতি আগ্রহের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। ফেডারেল অভিযোগপত্রে ‘মাইনর ভিকটিম–১’ হিসেবে চিহ্নিত ব্রাজিলের অভিবাসী মারিনা লাসেরদা ছিলেন মামলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি গত সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে কথা বলেন। তিনি জানান, ১৪ বছর বয়স থেকে এপস্টেইনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। তিনি আরও বলেন, এপস্টেইনের সঙ্গে তিনি একাধিকবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখেছেন। তবে ট্রাম্প এপস্টেইনের কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতেন বলে অস্বীকার করেছেন।
লাসেরদার সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত এপস্টেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে ২০১৯ সালে নিউইয়র্কের একটি কারাগারে এপস্টেইন আত্মহত্যা করেন। এপস্টেইনের সহযোগী জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল, যিনি তাঁর অর্থায়নে একটি মডেলিং এজেন্সি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ২০২২ সালে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের পাচার ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এপস্টেইনের জন্য এক হাজারের বেশি মেয়ে ও তরুণী সরবরাহ করেছিলেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রুনেল ব্রাজিলের একটি মডেলিং এজেন্সিতে যান, যেটির সঙ্গে তাঁর কোম্পানির আগে কাজ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মডেল পাঠানোর উদ্দেশ্যেই এই সফর করা হয় বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এপস্টেইনের মৃত্যুর পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দণ্ডিত ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলকেও ব্রাজিলের রিভিয়েরা এলাকায় দেখা গেছে বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের একটি কারাগারে জ্যাঁ-লুক ব্রুনেল আত্মহত্যা করেন।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
১২ মিনিট আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১৭ মিনিট আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আফ্রিকায় ভেষজ চিকিৎসকেরা ক্ষত বা ব্যথা উপশমে গাছগাছড়া সংগ্রহ করছেন; চীনে আকুপাংচার বিশেষজ্ঞরা সুচ ব্যবহার করে মাইগ্রেন সারাচ্ছেন; আবার ভারতে যোগীরা ধ্যানচর্চা করছেন—এ ধরনের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো ক্রমেই কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে এবং এগুলো আরও বেশি মনোযোগ ও গবেষণার দাবি রাখে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা।
ডব্লিউএইচওর গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টারের প্রধান ডা. শ্যামা কুরুবিল্লার মতে, ঐতিহাসিকভাবে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের কারণে যেসব প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক সময় অবহেলা করা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাড়লে সেই ধারণা বদলাতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন দেশ সম্মত হয়েছে যে আগামী এক দশকের জন্য ডব্লিউএইচও একটি নতুন বৈশ্বিক প্রথাগত চিকিৎসা কৌশল গ্রহণ করবে।
এই কৌশলের লক্ষ্য—প্রমাণভিত্তিকভাবে স্বাস্থ্য ও কল্যাণে প্রথাগত, পরিপূরক ও সমন্বিত চিকিৎসার সম্ভাবনাময় অবদানকে কাজে লাগানো।
এই কৌশলের আওতায় প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য শক্তিশালী প্রমাণভিত্তি তৈরি, চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এসব পদ্ধতিকে আধুনিক জৈব-চিকিৎসাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কুরুবিল্লা বলেন, ‘এটা ভীষণ রোমাঞ্চকর। আমি বলছি না, আমরা এখনই জানি—কোনটা কাজ করে আর কোনটা করে না। তবে এ মুহূর্তে বিষয়টি জানার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
কুরুবিল্লা বলেন, শত শত বছর ধরে চলে আসা এসব পদ্ধতির মধ্যে অনেকগুলোরই বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিনোমিক্স ও মস্তিষ্ক স্ক্যানসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সেগুলো নতুনভাবে অনুসন্ধান করা সম্ভব।
তাঁর মতে, প্রথাগত চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ভালো উদাহরণ। দেশটিতে গবেষকেরা প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ ও নথিবদ্ধ করছেন এবং ভেষজ চিকিৎসাকে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। গত মে মাসে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পেশির ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কিছু রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আধুনিক ওষুধের বদলে প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।

আফ্রিকায় ভেষজ চিকিৎসকেরা ক্ষত বা ব্যথা উপশমে গাছগাছড়া সংগ্রহ করছেন; চীনে আকুপাংচার বিশেষজ্ঞরা সুচ ব্যবহার করে মাইগ্রেন সারাচ্ছেন; আবার ভারতে যোগীরা ধ্যানচর্চা করছেন—এ ধরনের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো ক্রমেই কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে এবং এগুলো আরও বেশি মনোযোগ ও গবেষণার দাবি রাখে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা।
ডব্লিউএইচওর গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টারের প্রধান ডা. শ্যামা কুরুবিল্লার মতে, ঐতিহাসিকভাবে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের কারণে যেসব প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক সময় অবহেলা করা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাড়লে সেই ধারণা বদলাতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন দেশ সম্মত হয়েছে যে আগামী এক দশকের জন্য ডব্লিউএইচও একটি নতুন বৈশ্বিক প্রথাগত চিকিৎসা কৌশল গ্রহণ করবে।
এই কৌশলের লক্ষ্য—প্রমাণভিত্তিকভাবে স্বাস্থ্য ও কল্যাণে প্রথাগত, পরিপূরক ও সমন্বিত চিকিৎসার সম্ভাবনাময় অবদানকে কাজে লাগানো।
এই কৌশলের আওতায় প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য শক্তিশালী প্রমাণভিত্তি তৈরি, চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এসব পদ্ধতিকে আধুনিক জৈব-চিকিৎসাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কুরুবিল্লা বলেন, ‘এটা ভীষণ রোমাঞ্চকর। আমি বলছি না, আমরা এখনই জানি—কোনটা কাজ করে আর কোনটা করে না। তবে এ মুহূর্তে বিষয়টি জানার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
কুরুবিল্লা বলেন, শত শত বছর ধরে চলে আসা এসব পদ্ধতির মধ্যে অনেকগুলোরই বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিনোমিক্স ও মস্তিষ্ক স্ক্যানসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সেগুলো নতুনভাবে অনুসন্ধান করা সম্ভব।
তাঁর মতে, প্রথাগত চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ভালো উদাহরণ। দেশটিতে গবেষকেরা প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ ও নথিবদ্ধ করছেন এবং ভেষজ চিকিৎসাকে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। গত মে মাসে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পেশির ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কিছু রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আধুনিক ওষুধের বদলে প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৩ মিনিট আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১৭ মিনিট আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডেনমার্কের ডাক বিভাগ ৩০ ডিসেম্বর শেষবারের মতো মানুষের দোরগোড়ায় চিঠি পৌঁছে দেবে। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটতে যাচ্ছে ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্যের।
চিঠি বিতরণ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা এ বছরের শুরুর দিকে জানায় পোস্টনর্ড। ২০০৯ সালে সুইডেন ও ডেনমার্কের ডাক বিভাগ একীভূত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে।
ড্যানিশ সমাজের ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশনের কথা উল্লেখ করে তারা জানায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে ডেনমার্কের ডাক বিভাগে ১ হাজার ৫০০ কর্মী ছাঁটাই করা হবে এবং সড়ক থেকে ১ হাজার ৫০০টি লাল রঙা পোস্টবক্স সরিয়ে ফেলা হবে।
ডেনমার্ককে বিশ্বের অন্যতম ‘ডিজিটাল দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চিঠির চাহিদা সেখানে ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অন্যদিকে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়তে থাকায় তারা এখন চিঠির বদলে পার্সেল বা পণ্য বিলির দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ডেনমার্কের সড়ক থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলা এক হাজার বিশেষ পোস্টবক্স চলতি মাসের শুরুতে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হলে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো বিক্রি হয়ে যায়।
ভালো অবস্থায় থাকা পোস্টবক্সগুলো প্রতিটি ২৩৫ পাউন্ডে এবং কিছুটা পুরোনোগুলো ১৭৬ পাউন্ডে বিক্রি হয়। আগামী জানুয়ারিতে আরও ২০০টি পোস্টবক্স নিলামে তোলা হবে।
পোস্টনর্ড অবশ্য জানিয়েছে, তারা সুইডেনে চিঠি বিলি অব্যাহত রাখবে এবং ডেনমার্কের গ্রাহকদের অব্যবহৃত স্ট্যাম্পের টাকা ফেরত দেবে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের নাগরিকেরা অবশ্য চিঠি পাঠানোর সুবিধা থেকে একদম বঞ্চিত হচ্ছেন না। ‘দাও’ নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১ জানুয়ারি থেকে তাদের সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে।
এ বছর তারা প্রায় তিন কোটি চিঠি বিলি করলেও আগামী বছর তা আট কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট দাও শপে গিয়ে চিঠি দিয়ে আসতে হবে অথবা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাড়ি থেকে চিঠি সংগ্রহের অনুরোধ জানাতে হবে। এ ছাড়া ডাকমাশুল বা পোস্টেজ ফি দিতে হবে অনলাইন বা অ্যাপের মাধ্যমে।
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
মজার ব্যাপার হলো, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আবারও চিঠি লেখার আগ্রহ ফিরছে। দাওয়ের গবেষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা অন্য বয়সীদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি চিঠি পাঠাচ্ছেন।
প্রবণতা বিশ্লেষক ম্যাডস আরলিয়েন-সোবর্গ মনে করেন, ডিজিটাল জগতের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে এবং একঘেয়েমি কাটাতে তরুণেরা এখন সচেতনভাবে চিঠি লেখাকেই বেছে নিচ্ছেন।

ডেনমার্কের ডাক বিভাগ ৩০ ডিসেম্বর শেষবারের মতো মানুষের দোরগোড়ায় চিঠি পৌঁছে দেবে। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটতে যাচ্ছে ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্যের।
চিঠি বিতরণ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা এ বছরের শুরুর দিকে জানায় পোস্টনর্ড। ২০০৯ সালে সুইডেন ও ডেনমার্কের ডাক বিভাগ একীভূত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে।
ড্যানিশ সমাজের ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশনের কথা উল্লেখ করে তারা জানায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে ডেনমার্কের ডাক বিভাগে ১ হাজার ৫০০ কর্মী ছাঁটাই করা হবে এবং সড়ক থেকে ১ হাজার ৫০০টি লাল রঙা পোস্টবক্স সরিয়ে ফেলা হবে।
ডেনমার্ককে বিশ্বের অন্যতম ‘ডিজিটাল দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চিঠির চাহিদা সেখানে ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অন্যদিকে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়তে থাকায় তারা এখন চিঠির বদলে পার্সেল বা পণ্য বিলির দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ডেনমার্কের সড়ক থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলা এক হাজার বিশেষ পোস্টবক্স চলতি মাসের শুরুতে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হলে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো বিক্রি হয়ে যায়।
ভালো অবস্থায় থাকা পোস্টবক্সগুলো প্রতিটি ২৩৫ পাউন্ডে এবং কিছুটা পুরোনোগুলো ১৭৬ পাউন্ডে বিক্রি হয়। আগামী জানুয়ারিতে আরও ২০০টি পোস্টবক্স নিলামে তোলা হবে।
পোস্টনর্ড অবশ্য জানিয়েছে, তারা সুইডেনে চিঠি বিলি অব্যাহত রাখবে এবং ডেনমার্কের গ্রাহকদের অব্যবহৃত স্ট্যাম্পের টাকা ফেরত দেবে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের নাগরিকেরা অবশ্য চিঠি পাঠানোর সুবিধা থেকে একদম বঞ্চিত হচ্ছেন না। ‘দাও’ নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১ জানুয়ারি থেকে তাদের সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে।
এ বছর তারা প্রায় তিন কোটি চিঠি বিলি করলেও আগামী বছর তা আট কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট দাও শপে গিয়ে চিঠি দিয়ে আসতে হবে অথবা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাড়ি থেকে চিঠি সংগ্রহের অনুরোধ জানাতে হবে। এ ছাড়া ডাকমাশুল বা পোস্টেজ ফি দিতে হবে অনলাইন বা অ্যাপের মাধ্যমে।
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
মজার ব্যাপার হলো, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আবারও চিঠি লেখার আগ্রহ ফিরছে। দাওয়ের গবেষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা অন্য বয়সীদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি চিঠি পাঠাচ্ছেন।
প্রবণতা বিশ্লেষক ম্যাডস আরলিয়েন-সোবর্গ মনে করেন, ডিজিটাল জগতের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে এবং একঘেয়েমি কাটাতে তরুণেরা এখন সচেতনভাবে চিঠি লেখাকেই বেছে নিচ্ছেন।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৩ মিনিট আগে
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
১২ মিনিট আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বিল ক্লিনটনের মুখপাত্র গত শুক্রবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ তুলেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইন ও ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ছবি, এমনকি সুইমিং পুলে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর কিছু স্থিরচিত্র কংগ্রেসের নির্দেশে সরকারি ফাইল হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে এই রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ।
এক্সে শেয়ার করা বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র বলেন, ‘হোয়াইট হাউস মাসের পর মাস এই ফাইলগুলো লুকিয়ে রেখে শুক্রবার রাতে বিল ক্লিনটনকে রক্ষা করার জন্য করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আসলে এরপর যা আসছে, তা থেকে নিজেদের আড়াল করার জন্যই এই আয়োজন। কিংবা তারা যা চিরতরে লুকিয়ে রাখতে চায়, তা ঢাকতেই এই চেষ্টা। সুতরাং, তারা ২০ বছরের পুরোনো যত খুশি ঝাপসা ছবি প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু এটি বিল ক্লিনটনকে নিয়ে নয়। কখনোই ছিল না, আর হবেও না।’
মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘এমনকি সুজি ওয়াইলসও বলেছিলেন, বিল ক্লিনটন সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল ছিলেন।’ এখানে তিনি ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফের মন্তব্যের কথা বুঝিয়েছেন। সেই মন্তব্যে ওয়াইলস স্বীকার করেছিলেন, ট্রাম্প বারবার দাবি করলেও ক্লিনটন কখনোই এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে যাননি।
ক্লিনটন দীর্ঘকাল ধরেই দাবি করে আসছেন, ২০০৫ সালের দিকেই তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ফ্লোরিডায় এক অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌনকাজে প্ররোচিত করার দায়ে এপস্টেইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই ক্লিনটন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে। প্রথম দল যারা কিছুই জানত না এবং এপস্টেইনের অপরাধ সামনে আসার আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। দ্বিতীয় দল যারা তাঁর অপরাধ জানার পরও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমরা প্রথম দলে আছি। দ্বিতীয় দলের লোকজন সময়ক্ষেপণ করে সত্য বদলাতে পারবে না। সবাই, বিশেষ করে মাগা সমর্থকেরা উত্তর চায়, বলির পাঁঠা নয়।’
গত শুক্রবার প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, ক্লিনটন একটি ভূগর্ভস্থ সুইমিং পুলে ম্যাক্সওয়েল ও মুখমণ্ডল অস্পষ্ট করা এক নারীর সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া মিক জ্যাগার, এপস্টেইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজেও তাঁকে দেখা গেছে। সুইমিং পুলে ক্লিনটনের ওই ছবি পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্সে পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ওহ মাই গড!’ সঙ্গে ছিল একটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার ইমোজি।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং এক পোস্টে লেখেন, ‘স্লিক উইলি! বিল ক্লিনটন কেবল চিল করছেন, দুনিয়ার কোনো চিন্তা নেই। তিনি কি তখন জানতেন...।’
সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সির শুরুর বছরগুলোতে এপস্টেইন অন্তত ১৭ বার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর ক্লিনটন এপস্টেইনের ব্যক্তিগত জেটে চড়ে এশিয়া ও আফ্রিকা সফর করেন, যা ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এপস্টেইনকাণ্ডে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার ক্লিনটন ও এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত মাসে তিনি বিচার বিভাগ ও এফবিআইকে ‘জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিনটনের সম্পৃক্ততা ও সম্পর্ক তদন্ত’ করার আহ্বান জানান। মূলত এপস্টেইন কেলেঙ্কারিকে কেবল ডেমোক্র্যাটদের সমস্যা হিসেবে তুলে ধরার দীর্ঘকালীন প্রচারণার অংশ এটি।
বিচার বিভাগের এই ছবি প্রকাশের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে এপস্টেইনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে হাউস ওভারসাইট কমিটির কাছে জবানবন্দি দিতে হবে।
জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল গত সপ্তাহে, তবে তা পিছিয়ে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পলিটিকো জানিয়েছে, কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কোমার হুমকি দিয়েছেন, এই দম্পতি যদি নির্দিষ্ট তারিখে জবানবন্দি না দেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বিল ক্লিনটনের মুখপাত্র গত শুক্রবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ তুলেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইন ও ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ছবি, এমনকি সুইমিং পুলে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর কিছু স্থিরচিত্র কংগ্রেসের নির্দেশে সরকারি ফাইল হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে এই রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ।
এক্সে শেয়ার করা বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র বলেন, ‘হোয়াইট হাউস মাসের পর মাস এই ফাইলগুলো লুকিয়ে রেখে শুক্রবার রাতে বিল ক্লিনটনকে রক্ষা করার জন্য করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আসলে এরপর যা আসছে, তা থেকে নিজেদের আড়াল করার জন্যই এই আয়োজন। কিংবা তারা যা চিরতরে লুকিয়ে রাখতে চায়, তা ঢাকতেই এই চেষ্টা। সুতরাং, তারা ২০ বছরের পুরোনো যত খুশি ঝাপসা ছবি প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু এটি বিল ক্লিনটনকে নিয়ে নয়। কখনোই ছিল না, আর হবেও না।’
মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘এমনকি সুজি ওয়াইলসও বলেছিলেন, বিল ক্লিনটন সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল ছিলেন।’ এখানে তিনি ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফের মন্তব্যের কথা বুঝিয়েছেন। সেই মন্তব্যে ওয়াইলস স্বীকার করেছিলেন, ট্রাম্প বারবার দাবি করলেও ক্লিনটন কখনোই এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে যাননি।
ক্লিনটন দীর্ঘকাল ধরেই দাবি করে আসছেন, ২০০৫ সালের দিকেই তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ফ্লোরিডায় এক অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌনকাজে প্ররোচিত করার দায়ে এপস্টেইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই ক্লিনটন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে। প্রথম দল যারা কিছুই জানত না এবং এপস্টেইনের অপরাধ সামনে আসার আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। দ্বিতীয় দল যারা তাঁর অপরাধ জানার পরও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমরা প্রথম দলে আছি। দ্বিতীয় দলের লোকজন সময়ক্ষেপণ করে সত্য বদলাতে পারবে না। সবাই, বিশেষ করে মাগা সমর্থকেরা উত্তর চায়, বলির পাঁঠা নয়।’
গত শুক্রবার প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, ক্লিনটন একটি ভূগর্ভস্থ সুইমিং পুলে ম্যাক্সওয়েল ও মুখমণ্ডল অস্পষ্ট করা এক নারীর সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া মিক জ্যাগার, এপস্টেইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজেও তাঁকে দেখা গেছে। সুইমিং পুলে ক্লিনটনের ওই ছবি পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্সে পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ওহ মাই গড!’ সঙ্গে ছিল একটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার ইমোজি।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং এক পোস্টে লেখেন, ‘স্লিক উইলি! বিল ক্লিনটন কেবল চিল করছেন, দুনিয়ার কোনো চিন্তা নেই। তিনি কি তখন জানতেন...।’
সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সির শুরুর বছরগুলোতে এপস্টেইন অন্তত ১৭ বার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর ক্লিনটন এপস্টেইনের ব্যক্তিগত জেটে চড়ে এশিয়া ও আফ্রিকা সফর করেন, যা ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এপস্টেইনকাণ্ডে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার ক্লিনটন ও এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত মাসে তিনি বিচার বিভাগ ও এফবিআইকে ‘জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিনটনের সম্পৃক্ততা ও সম্পর্ক তদন্ত’ করার আহ্বান জানান। মূলত এপস্টেইন কেলেঙ্কারিকে কেবল ডেমোক্র্যাটদের সমস্যা হিসেবে তুলে ধরার দীর্ঘকালীন প্রচারণার অংশ এটি।
বিচার বিভাগের এই ছবি প্রকাশের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে এপস্টেইনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে হাউস ওভারসাইট কমিটির কাছে জবানবন্দি দিতে হবে।
জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল গত সপ্তাহে, তবে তা পিছিয়ে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পলিটিকো জানিয়েছে, কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কোমার হুমকি দিয়েছেন, এই দম্পতি যদি নির্দিষ্ট তারিখে জবানবন্দি না দেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ গত শুক্রবার যে নথিগুলো প্রকাশ করেছে, তাতে জেফরি এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের জন্য মানুষ পাঠিয়ে কীভাবে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে জোগাড় করতেন, তার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। তদন্ত নথিগুলো এপস্টেইন ও তাঁর সহযোগীদের কর্মকাণ্ডের এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে।
৩ মিনিট আগে
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
১২ মিনিট আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১৭ মিনিট আগে