
ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চলতে থাকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এর নাটকীয় বিকাশ অব্যাহত থাকে।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনার টাইমলাইন:
১৪৯৭: জন ক্যাবটকে রাজা হেনরি সপ্তম আটলান্টিকের মধ্য দিয়ে এশিয়ার একটি রুট আবিষ্কার করার জন্য অভিযানে পাঠান। ক্যাবট নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন এবং বিশ্বাস করেন যে এটিই এশিয়া।
১৫০২: সপ্তম হেনরি উত্তর আমেরিকায় আরেকটি সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন। ইংরেজ এবং পর্তুগিজদের যৌথ উদ্যোগ ছিল এটি।
১৫৪৭: ইংরেজ রাজ নিয়োজিত ইতালীয় অভিযাত্রী সেবাস্তিয়ান ক্যাবট স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের সমুদ্র অনুসন্ধান সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।
১৫৫২: ইংরেজ নৌ কর্মকর্তা টমাস উইন্ডহাম গিনি থেকে চিনি এবং গুড় আনেন।
১৫৫৪: স্যার হিউ উইলবি, একজন ইংরেজ সৈনিক এবং দক্ষ নৌযান চালক দূর প্রাচ্যে যাওয়ার জন্য উত্তর: পূর্বের একটি পথের সন্ধানে পরিচালিত জাহাজ বহরের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অভিযানের থাকতেই তিনি মারা যান। তবে বহরেরই অন্য একটি জাহাজ রাশিয়ার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে সফল হয়।
১৫৫৬: টিউডরা আয়ারল্যান্ড জয় করে। সেখানকার জমি দখল করে বিপুলসংখ্যক ইংরেজের পুনর্বাসন করেন। ইংরেজরা আইরিশদের তাদের বাপ দাদার ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে নিজেরা ভোগ দখল করে।
১৫৬২: ইংরেজ নৌ কমান্ডার জন হকিন্স পশ্চিম আফ্রিকা এবং নিউ ওয়ার্ল্ডের মধ্যে ক্রীতদাস বাণিজ্যে যুক্ত হন। নিউ ওয়ার্ল্ড হলো পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধের অধিকাংশ অংশ যা মূলত আমেরিকা নামেই পরিচিত। ফ্রান্সিস ড্রেকের পাশাপাশি হকিন্সও আমেরিকার স্প্যানিশ বন্দরগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করার অনুমতি পান। এই নতুন ‘আবিষ্কারের যুগে’ তাঁরা স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার হিম্মত দেখান।
১৫৭৭: ফ্রান্সিস ড্রেক বিশ্ব ভ্রমণ শুরু করেন। শেষ করে ১৫৮০ সালে।
১৫৭৮: অটোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য লন্ডনে লেভান্ট ট্রেডিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৫৯৭: দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের বিভিন্ন উপনিবেশে নির্বাসন দেওয়ার অনুমতি দিয়ে পার্লামেন্টে আইন পাস হয়।
১৬০০: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয়।
১৬০৪: গায়ানায় একটি উপনিবেশ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়।
১৬০৭: ক্যাপ্টেন জন স্মিথ এবং ভার্জিনিয়া কোম্পানি জেমস টাউনে আমেরিকায় প্রথম স্থায়ী আবাস স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
১৬১৫: বাণিজ্য অধিকার নিয়ে ইংরেজদের সঙ্গে বিরোধে বোম্বেতে পর্তুগিজদের পরাজয়।
১৬১৭: স্যার ওয়াল্টার রেলি ‘এল ডোরাডো’ খুঁজে পেতে সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন। তবে এরই মধ্যে গুটিবসন্ত মহামারি নিউ ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। এই মহামারি আমেরিকার নেটিভ জনগোষ্ঠীকে প্রায় নিঃশেষ করে দেয়। এল ডোরাডো হলো দক্ষিণ আমেরিকার এক কল্পিত স্বর্ণনগরী।
১৬২০: কিছু ব্রিটিশ পরিবারকে নিয়ে প্লাইমাউথ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে বিখ্যাত মেফ্লাওয়ার জাহাজ। প্রায় একশ যাত্রী আরোহী ছিল জাহাজে। প্রধানত পিউরিটানরা আটলান্টিকজুড়ে নিপীড়ন থেকে মুক্ত একটি নতুন জীবনের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিলেন। এই পিউরিটানরা মূলত ইংল্যান্ডের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী। তাঁরা ধর্ম সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৬২০ সালে আমেরিকা গিয়ে আশ্রয় নেন।
১৬২৪: সেন্ট কিটসে সফলভাবে বসতি স্থাপন করে ইংরেজ দখলদারেরা।
১৬২৭: বার্বাডোসে বসতি স্থাপন করে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ।
১৬২৮: নেভিসে বসতি স্থাপন।
১৬৩৩: বাংলায় ইংরেজদের বাণিজ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৩৯: ইংরেজরা মাদ্রাজে বসতি স্থাপন করে।
১৬৫৫: জ্যামাইকা দ্বীপটি স্প্যানিশদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৬৬০: রয়্যাল আফ্রিকান কোম্পানির প্রতিষ্ঠা। ডাচদের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির হাত থেকে বাণিজ্য পথ এবং পণ্যের নিরাপত্তায় নেভিগেশন আইন পাস করা হয়।
১৬৬১: রাজা দ্বিতীয় চার্লস ক্যাথরিন ডি ব্রাগানজাকে বিয়ে করেন। পর্তুগিজদের কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে পান ট্যাঙ্গিয়ার এবং বোম্বে।
১৬৬৪: ইংরেজরা ডাচ উপনিবেশ নিউ নেদারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সেখানে নতুন বসতি স্থাপন শুরু করে এবং নাম পরিবর্তন করে রাখে নিউইয়র্ক।
১৬৬৬: বাহামাতে উপনিবেশ স্থাপন করে ব্রিটেন।
১৬৬৮: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বোম্বে দখল করে।
১৬৯০: জব চার্নক আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে কলকাতা প্রতিষ্ঠা করেন। অবশ্য এই তথ্য বিতর্কিত।
১৭০৮: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং একটি প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ইউনাইটেড কোম্পানি অব মার্চেন্টস অব ইংল্যান্ডে একীভূত হয়। এই কোম্পানি পূর্ব ইন্ডিজে বাণিজ্য করত।
১৭১৩: উট্রেকটের চুক্তি স্পেনে উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘাতের সফল সমাপ্তি ঘটায়। এই চুক্তির ফলে ব্রিটেন আমেরিকা এবং ভূমধ্যসাগরে উল্লেখযোগ্য অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পায়। এর মধ্যে নিউফাউন্ডল্যান্ড, সেন্ট কিটস, হাডসন উপসাগরের পাশাপাশি জিব্রাল্টার এবং মিনোর্কাও রয়েছে। চুক্তিতে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলোতে দাস আমদানির অধিকারও পায় ব্রিটেন।
১৭১৯: ব্রিটিশ সরকার আয়ারল্যান্ডকে ব্রিটেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘোষণা করে।
১৭২৭: স্পেন এবং ব্রিটেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। স্প্যানিশরা জিব্রাল্টার অবরোধ করে। একই বছর কোয়েকারেরা (প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টান) উপনিবেশগুলোতে দাসপ্রথা বিলুপ্তির দাবি তোলেন।
১৭৩১: ইংল্যান্ডের কারখানার শ্রমিকদের আমেরিকায় অভিবাসনে বাধা দেওয়া হয়।
১৭৪৬: মাদ্রাজ ফরাসিদের দখলে চলে যায়।
১৭৫০: ব্রিটিশ এবং ফরাসিরা উত্তর আমেরিকার সীমানা নিয়ে আলোচনায় শুরু করে।
১৭৫৬: মিনোর্কা আবার স্প্যানিশদের দখল চলে যায়।
১৭৬৩: কিছু অঞ্চল, বসতি এবং বাণিজ্য বন্দরে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর ফলশ্রুতিতে প্যারিস চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় সাম্রাজ্যের ভূমি পুনর্বণ্টন করা হয়। কানাডার নিম্নাঞ্চল, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, ভারত এবং সেনেগাল পর্যন্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ পায় ব্রিটেন। চুক্তির অংশ হিসেবে ব্রিটিশরা কিউবা ও ম্যানিলা স্প্যানিশদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
১৭৬৫: আমেরিকান উপনিবেশগুলোতে স্ট্যাম্প অ্যাক্ট এবং কোয়ার্টারিং অ্যাক্ট ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়নি।
১৭৬৯: বাংলার মহা দুর্ভিক্ষে এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। একই বছর ক্যাপ্টেন জেমস কুক নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আগে তাহিতিতে পৌঁছান।
১৭৭০: ক্যাপ্টেন জেমস কুক ব্রিটেনের পক্ষে নিউ সাউথ ওয়েলসের নিয়ন্ত্রণ দখল করেন।
১৭৭৩: ব্রিটেনের কর আরোপের ক্ষমতার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকায় বোস্টন টি পার্টি বিদ্রোহ দানা বাঁধতে থাকে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের লক্ষণ স্পষ্ট হয়। দ্রুতই বিরোধীরা সহিংস বিদ্রোহ শুরু করে।
১৭৭৫: আমেরিকান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত এ যুদ্ধ স্থায়ী হয়।
১৭৮৩: আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্তর্জাতিক সংঘাতের সমাপ্তি ঘরে ফরাসিদের মধ্যস্থতায় ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে। ব্রিটেন ১৩টি উপনিবেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ফ্লোরিডা স্প্যানিশদের কাছে আর সেনেগাল ফ্রান্সের হাতে ফিরে যায়। চুক্তির অংশ হিসেবে ব্রিটেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং কানাডায় সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।
১৭৮৭: ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ উইলিয়াম উইলবারফোর্স ব্রিটিশ উপনিবেশগুলিতে দাসত্বের অবসানের জন্য তাঁর প্রচার: প্রচারণা শুরু করেন। এর ফলে সিয়েরা লিওনে একটি মুক্ত উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। উইলিয়াম উইলবারফোর্স ছিলেন ক্ল্যাফাম সম্প্রদায়ের সদস্য। এই ক্ল্যাফাম সেক্ট বা ক্ল্যাফাম সেইন্টসরা ১৭৮০ থেকে ১৮৪০: এর দশকে ক্ল্যাফাম এলাকার অধিবাসী সমাজসংস্কারকদের একটি দল। এই গোষ্ঠীর বেশিরভাগ সদস্য কিন্তু সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং বেশ অবস্থাপন্ন ছিল।
১৭৮৮: ইংল্যান্ড থেকে দাগি আসামিদের বহনকারী প্রথম জাহাজ অস্ট্রেলিয়ার বোটানি বে: তে পৌঁছে। বিশ্বজুড়ে মূলত ছোট অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কয়েকশ লোককে নির্বাসনের একটি সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
১৮০১: আইরিশ অ্যাক্ট অব ইউনিয়ন ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডকে একীভূত করে।
১৮০৫: ট্রাফালগারের যুদ্ধে অ্যাডমিরাল নেলসনের বিজয় রাজকীয় নৌবাহিনীকে সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ এনে দেয়।
১৮০৬: আটলান্টিকের উপকূলে দক্ষিণ আফ্রিকা সংলগ্ন কেপ অব গুড হোপ ব্রিটিশদের দখলে যায়।
১৮০৭: ব্রিটিশ জাহাজে বা ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে ক্রীতদাসের চালান নিষিদ্ধ হয়।
১৮১৩: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের সঙ্গে তার বাণিজ্যে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ হারায়।
১৮১৬: ভিয়েনার কংগ্রেস ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থান প্রতিষ্ঠার আরেকটি চেষ্টা করে। ব্রিটেন ডাচ এবং ফরাসি উপনিবেশ ফিরিয়ে দেয়।
১৮১৯: স্যার স্ট্যামফোর্ড রাফেলস সিঙ্গাপুর প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮২১: সিয়েরা লিওন, গাম্বিয়া এবং গোল্ড কোস্ট মিলে গঠিত হয় ব্রিটিশ পশ্চিম আফ্রিকা।
১৮৩৩: সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে দাসত্ব প্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৮৩৯: চীন এবং ব্রিটেনের মধ্যে আফিম যুদ্ধ। আফিমের ব্যবসার ফলে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আসক্তি দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চীনে আফিম ব্যবসা নিষিদ্ধ করে। সেই সঙ্গে কারও কাছে আফিম পাওয়া গেলেই ধ্বংস করার নির্দেশ জারি করা হয়। ব্রিটিশরা এটিকে মুক্ত বাণিজ্যের ওপর আঘাত এবং ব্রিটিশ সম্পত্তি ধ্বংস হিসেবে দেখে। এরপরই শুরু হয় আফিমের যুদ্ধ।
১৮৪১: ব্রিটেন হংকং দ্বীপ দখল করে নেয়।
১৮৪২: নানকিংয়ের চুক্তি আফিম যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়। হংকংকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেয় চীন।
১৮৪৩: নিউজিল্যান্ডে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আদিবাসী মাওরি বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৮৫৩: ভারতে রেলপথ নির্মাণ শুরু করে ব্রিটেন।
১৮৫৮: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৮৭০: অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডা থেকে ব্রিটিশ সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়।
১৮৭৬: রানী ভিক্টোরিয়া ভারতের সম্রাজ্ঞী উপাধি পান।
১৮৭৮: সাইপ্রাস দখল করে ব্রিটেন।
১৮০০: ব্রিটিশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে প্রথম বোয়ার যুদ্ধ শুরু হয়।
১৮৮৯: ব্রিটিশ দক্ষিণ আফ্রিকা কোম্পানি রাজকীয় সমর্থন ও অনুমোদন পায়। রোডেশিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯৪: উগান্ডাকে ব্রিটেন নিয়ন্ত্রিত স্বশাসিত রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়।
১৮৯৫: ট্রান্সভাল প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের কুখ্যাত ‘জেমসন রেইড’ বা অভিযান ব্যর্থ হয়।
১৮৯৯: দ্বিতীয় বোয়ার যুদ্ধের শুরু। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং ট্রান্সভাল প্রজাতন্ত্র ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট নামে পরিচিত দুটি বোয়ার রাজ্যের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। উইটওয়াটারসরান্ড সোনার খনি থেকে অর্জিত লাভ এবং আগের পুঞ্জীভূত বঞ্চনার শতাব্দী পুরোনো ক্ষোভ দুই শক্তিকে দ্বন্দ্বে ঠেলে দেয়।
১৯১৭: বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ‘ইহুদি জনগণের জন্য ঘর’: এর জায়োনিস্ট দাবির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে ব্রিটেন।
১৯৩১: ওয়েস্টমিনস্টারের সংবিধি ডোমিনিয়নগুলোকে (ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন স্বশাসিত রাষ্ট্র) সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন দেয়।
১৯৪৭: ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ভারত ও পাকিস্তানের বিভাজন।
১৯৪৮: ফিলিস্তিন থেকে ব্রিটিশ সেনা প্রত্যাহার।
১৯৫২: কেনিয়ায় শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে করে মাউ মাউ বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৯৫৬: সুদান স্বাধীনতা লাভ করে। পরের বছর ঘানা তাদের অনুসরণ করে। আফ্রিকার মূল ভূখণ্ডজুড়ে একের পর এক ব্রিটিশ উপনিবেশ পরের দশকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে, যার সমাপ্তি ঘটে ১৯৬৬ সালে। একটি ব্যতিক্রম ছিল নামিবিয়া, তারা ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। পরবর্তী দশকগুলোতে বিশ্বজুড়ে আরও অনেক দেশ স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। কিছু দেশ নির্দিষ্ট তারিখে ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে এবং অন্যরা ডমিনিয়ন হিসেবে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভাঙন বিংশ শতাব্দীর ভূগোলের চেহারা বদলে দেয় এবং বিশ্ব সম্পর্কের একটি নতুন যুগের সূচনা করে।
১৯৭২: এশিয়ানদের উগান্ডা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৯৮২: ফকল্যান্ডস যুদ্ধ। ফকল্যান্ডস যুদ্ধ ছিল আর্জেন্টিনা এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দশ সপ্তাহের অঘোষিত যুদ্ধ। দক্ষিণ আটলান্টিকের দুটি ব্রিটিশ উপনিবেশ: ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ জর্জিয়া এবং দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এ যুদ্ধ বাঁধে।
১৯৯৭: হংকং চীনা সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেয় যুক্তরাজ্য।
বর্তমানে যে অবস্থায় আছে
ব্রিটেন এবং কমনওয়েলথ জাতিসমূহ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শত শত বছর ধরে প্রাণ: প্রকৃতি, মানুষ, ভ্রমণ, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, রাজনীতি এবং সংস্কৃতি গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক ছিল। ভালো হোক বা খারাপ হোক, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রভাব ইতিহাসের বইয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চলতে থাকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত এর নাটকীয় বিকাশ অব্যাহত থাকে।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনার টাইমলাইন:
১৪৯৭: জন ক্যাবটকে রাজা হেনরি সপ্তম আটলান্টিকের মধ্য দিয়ে এশিয়ার একটি রুট আবিষ্কার করার জন্য অভিযানে পাঠান। ক্যাবট নিউফাউন্ডল্যান্ডের উপকূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন এবং বিশ্বাস করেন যে এটিই এশিয়া।
১৫০২: সপ্তম হেনরি উত্তর আমেরিকায় আরেকটি সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন। ইংরেজ এবং পর্তুগিজদের যৌথ উদ্যোগ ছিল এটি।
১৫৪৭: ইংরেজ রাজ নিয়োজিত ইতালীয় অভিযাত্রী সেবাস্তিয়ান ক্যাবট স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের সমুদ্র অনুসন্ধান সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।
১৫৫২: ইংরেজ নৌ কর্মকর্তা টমাস উইন্ডহাম গিনি থেকে চিনি এবং গুড় আনেন।
১৫৫৪: স্যার হিউ উইলবি, একজন ইংরেজ সৈনিক এবং দক্ষ নৌযান চালক দূর প্রাচ্যে যাওয়ার জন্য উত্তর: পূর্বের একটি পথের সন্ধানে পরিচালিত জাহাজ বহরের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। অভিযানের থাকতেই তিনি মারা যান। তবে বহরেরই অন্য একটি জাহাজ রাশিয়ার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি করতে সফল হয়।
১৫৫৬: টিউডরা আয়ারল্যান্ড জয় করে। সেখানকার জমি দখল করে বিপুলসংখ্যক ইংরেজের পুনর্বাসন করেন। ইংরেজরা আইরিশদের তাদের বাপ দাদার ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে নিজেরা ভোগ দখল করে।
১৫৬২: ইংরেজ নৌ কমান্ডার জন হকিন্স পশ্চিম আফ্রিকা এবং নিউ ওয়ার্ল্ডের মধ্যে ক্রীতদাস বাণিজ্যে যুক্ত হন। নিউ ওয়ার্ল্ড হলো পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধের অধিকাংশ অংশ যা মূলত আমেরিকা নামেই পরিচিত। ফ্রান্সিস ড্রেকের পাশাপাশি হকিন্সও আমেরিকার স্প্যানিশ বন্দরগুলো ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করার অনুমতি পান। এই নতুন ‘আবিষ্কারের যুগে’ তাঁরা স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার হিম্মত দেখান।
১৫৭৭: ফ্রান্সিস ড্রেক বিশ্ব ভ্রমণ শুরু করেন। শেষ করে ১৫৮০ সালে।
১৫৭৮: অটোমান সাম্রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য লন্ডনে লেভান্ট ট্রেডিং কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৫৯৭: দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের বিভিন্ন উপনিবেশে নির্বাসন দেওয়ার অনুমতি দিয়ে পার্লামেন্টে আইন পাস হয়।
১৬০০: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয়।
১৬০৪: গায়ানায় একটি উপনিবেশ স্থাপনের চেষ্টা করা হয়।
১৬০৭: ক্যাপ্টেন জন স্মিথ এবং ভার্জিনিয়া কোম্পানি জেমস টাউনে আমেরিকায় প্রথম স্থায়ী আবাস স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
১৬১৫: বাণিজ্য অধিকার নিয়ে ইংরেজদের সঙ্গে বিরোধে বোম্বেতে পর্তুগিজদের পরাজয়।
১৬১৭: স্যার ওয়াল্টার রেলি ‘এল ডোরাডো’ খুঁজে পেতে সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন। তবে এরই মধ্যে গুটিবসন্ত মহামারি নিউ ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। এই মহামারি আমেরিকার নেটিভ জনগোষ্ঠীকে প্রায় নিঃশেষ করে দেয়। এল ডোরাডো হলো দক্ষিণ আমেরিকার এক কল্পিত স্বর্ণনগরী।
১৬২০: কিছু ব্রিটিশ পরিবারকে নিয়ে প্লাইমাউথ বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে বিখ্যাত মেফ্লাওয়ার জাহাজ। প্রায় একশ যাত্রী আরোহী ছিল জাহাজে। প্রধানত পিউরিটানরা আটলান্টিকজুড়ে নিপীড়ন থেকে মুক্ত একটি নতুন জীবনের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছিলেন। এই পিউরিটানরা মূলত ইংল্যান্ডের একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী। তাঁরা ধর্ম সংস্কার আন্দোলন করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হন। পরে ১৬২০ সালে আমেরিকা গিয়ে আশ্রয় নেন।
১৬২৪: সেন্ট কিটসে সফলভাবে বসতি স্থাপন করে ইংরেজ দখলদারেরা।
১৬২৭: বার্বাডোসে বসতি স্থাপন করে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ।
১৬২৮: নেভিসে বসতি স্থাপন।
১৬৩৩: বাংলায় ইংরেজদের বাণিজ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৩৯: ইংরেজরা মাদ্রাজে বসতি স্থাপন করে।
১৬৫৫: জ্যামাইকা দ্বীপটি স্প্যানিশদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৬৬০: রয়্যাল আফ্রিকান কোম্পানির প্রতিষ্ঠা। ডাচদের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির হাত থেকে বাণিজ্য পথ এবং পণ্যের নিরাপত্তায় নেভিগেশন আইন পাস করা হয়।
১৬৬১: রাজা দ্বিতীয় চার্লস ক্যাথরিন ডি ব্রাগানজাকে বিয়ে করেন। পর্তুগিজদের কাছ থেকে যৌতুক হিসেবে পান ট্যাঙ্গিয়ার এবং বোম্বে।
১৬৬৪: ইংরেজরা ডাচ উপনিবেশ নিউ নেদারল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সেখানে নতুন বসতি স্থাপন শুরু করে এবং নাম পরিবর্তন করে রাখে নিউইয়র্ক।
১৬৬৬: বাহামাতে উপনিবেশ স্থাপন করে ব্রিটেন।
১৬৬৮: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বোম্বে দখল করে।
১৬৯০: জব চার্নক আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির পক্ষে কলকাতা প্রতিষ্ঠা করেন। অবশ্য এই তথ্য বিতর্কিত।
১৭০৮: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং একটি প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ইউনাইটেড কোম্পানি অব মার্চেন্টস অব ইংল্যান্ডে একীভূত হয়। এই কোম্পানি পূর্ব ইন্ডিজে বাণিজ্য করত।
১৭১৩: উট্রেকটের চুক্তি স্পেনে উত্তরাধিকার নিয়ে দ্বন্দ্ব সংঘাতের সফল সমাপ্তি ঘটায়। এই চুক্তির ফলে ব্রিটেন আমেরিকা এবং ভূমধ্যসাগরে উল্লেখযোগ্য অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পায়। এর মধ্যে নিউফাউন্ডল্যান্ড, সেন্ট কিটস, হাডসন উপসাগরের পাশাপাশি জিব্রাল্টার এবং মিনোর্কাও রয়েছে। চুক্তিতে স্প্যানিশ উপনিবেশগুলোতে দাস আমদানির অধিকারও পায় ব্রিটেন।
১৭১৯: ব্রিটিশ সরকার আয়ারল্যান্ডকে ব্রিটেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ঘোষণা করে।
১৭২৭: স্পেন এবং ব্রিটেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। স্প্যানিশরা জিব্রাল্টার অবরোধ করে। একই বছর কোয়েকারেরা (প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টান) উপনিবেশগুলোতে দাসপ্রথা বিলুপ্তির দাবি তোলেন।
১৭৩১: ইংল্যান্ডের কারখানার শ্রমিকদের আমেরিকায় অভিবাসনে বাধা দেওয়া হয়।
১৭৪৬: মাদ্রাজ ফরাসিদের দখলে চলে যায়।
১৭৫০: ব্রিটিশ এবং ফরাসিরা উত্তর আমেরিকার সীমানা নিয়ে আলোচনায় শুরু করে।
১৭৫৬: মিনোর্কা আবার স্প্যানিশদের দখল চলে যায়।
১৭৬৩: কিছু অঞ্চল, বসতি এবং বাণিজ্য বন্দরে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এর ফলশ্রুতিতে প্যারিস চুক্তি হয়। চুক্তির আওতায় সাম্রাজ্যের ভূমি পুনর্বণ্টন করা হয়। কানাডার নিম্নাঞ্চল, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা, ভারত এবং সেনেগাল পর্যন্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ পায় ব্রিটেন। চুক্তির অংশ হিসেবে ব্রিটিশরা কিউবা ও ম্যানিলা স্প্যানিশদের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
১৭৬৫: আমেরিকান উপনিবেশগুলোতে স্ট্যাম্প অ্যাক্ট এবং কোয়ার্টারিং অ্যাক্ট ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়নি।
১৭৬৯: বাংলার মহা দুর্ভিক্ষে এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। একই বছর ক্যাপ্টেন জেমস কুক নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার আগে তাহিতিতে পৌঁছান।
১৭৭০: ক্যাপ্টেন জেমস কুক ব্রিটেনের পক্ষে নিউ সাউথ ওয়েলসের নিয়ন্ত্রণ দখল করেন।
১৭৭৩: ব্রিটেনের কর আরোপের ক্ষমতার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকায় বোস্টন টি পার্টি বিদ্রোহ দানা বাঁধতে থাকে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের লক্ষণ স্পষ্ট হয়। দ্রুতই বিরোধীরা সহিংস বিদ্রোহ শুরু করে।
১৭৭৫: আমেরিকান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত এ যুদ্ধ স্থায়ী হয়।
১৭৮৩: আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের আন্তর্জাতিক সংঘাতের সমাপ্তি ঘরে ফরাসিদের মধ্যস্থতায় ভার্সাই চুক্তির মাধ্যমে। ব্রিটেন ১৩টি উপনিবেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ফ্লোরিডা স্প্যানিশদের কাছে আর সেনেগাল ফ্রান্সের হাতে ফিরে যায়। চুক্তির অংশ হিসেবে ব্রিটেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং কানাডায় সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।
১৭৮৭: ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ উইলিয়াম উইলবারফোর্স ব্রিটিশ উপনিবেশগুলিতে দাসত্বের অবসানের জন্য তাঁর প্রচার: প্রচারণা শুরু করেন। এর ফলে সিয়েরা লিওনে একটি মুক্ত উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। উইলিয়াম উইলবারফোর্স ছিলেন ক্ল্যাফাম সম্প্রদায়ের সদস্য। এই ক্ল্যাফাম সেক্ট বা ক্ল্যাফাম সেইন্টসরা ১৭৮০ থেকে ১৮৪০: এর দশকে ক্ল্যাফাম এলাকার অধিবাসী সমাজসংস্কারকদের একটি দল। এই গোষ্ঠীর বেশিরভাগ সদস্য কিন্তু সরকারের ঘনিষ্ঠ এবং বেশ অবস্থাপন্ন ছিল।
১৭৮৮: ইংল্যান্ড থেকে দাগি আসামিদের বহনকারী প্রথম জাহাজ অস্ট্রেলিয়ার বোটানি বে: তে পৌঁছে। বিশ্বজুড়ে মূলত ছোট অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কয়েকশ লোককে নির্বাসনের একটি সূচনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
১৮০১: আইরিশ অ্যাক্ট অব ইউনিয়ন ব্রিটেন এবং আয়ারল্যান্ডকে একীভূত করে।
১৮০৫: ট্রাফালগারের যুদ্ধে অ্যাডমিরাল নেলসনের বিজয় রাজকীয় নৌবাহিনীকে সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ এনে দেয়।
১৮০৬: আটলান্টিকের উপকূলে দক্ষিণ আফ্রিকা সংলগ্ন কেপ অব গুড হোপ ব্রিটিশদের দখলে যায়।
১৮০৭: ব্রিটিশ জাহাজে বা ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে ক্রীতদাসের চালান নিষিদ্ধ হয়।
১৮১৩: ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের সঙ্গে তার বাণিজ্যে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ হারায়।
১৮১৬: ভিয়েনার কংগ্রেস ইউরোপীয় শক্তিগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ অবস্থান প্রতিষ্ঠার আরেকটি চেষ্টা করে। ব্রিটেন ডাচ এবং ফরাসি উপনিবেশ ফিরিয়ে দেয়।
১৮১৯: স্যার স্ট্যামফোর্ড রাফেলস সিঙ্গাপুর প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮২১: সিয়েরা লিওন, গাম্বিয়া এবং গোল্ড কোস্ট মিলে গঠিত হয় ব্রিটিশ পশ্চিম আফ্রিকা।
১৮৩৩: সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে দাসত্ব প্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৮৩৯: চীন এবং ব্রিটেনের মধ্যে আফিম যুদ্ধ। আফিমের ব্যবসার ফলে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আসক্তি দেখা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে চীনে আফিম ব্যবসা নিষিদ্ধ করে। সেই সঙ্গে কারও কাছে আফিম পাওয়া গেলেই ধ্বংস করার নির্দেশ জারি করা হয়। ব্রিটিশরা এটিকে মুক্ত বাণিজ্যের ওপর আঘাত এবং ব্রিটিশ সম্পত্তি ধ্বংস হিসেবে দেখে। এরপরই শুরু হয় আফিমের যুদ্ধ।
১৮৪১: ব্রিটেন হংকং দ্বীপ দখল করে নেয়।
১৮৪২: নানকিংয়ের চুক্তি আফিম যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটায়। হংকংকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেয় চীন।
১৮৪৩: নিউজিল্যান্ডে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আদিবাসী মাওরি বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৮৫৩: ভারতে রেলপথ নির্মাণ শুরু করে ব্রিটেন।
১৮৫৮: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৮৭০: অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডা থেকে ব্রিটিশ সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়।
১৮৭৬: রানী ভিক্টোরিয়া ভারতের সম্রাজ্ঞী উপাধি পান।
১৮৭৮: সাইপ্রাস দখল করে ব্রিটেন।
১৮০০: ব্রিটিশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে প্রথম বোয়ার যুদ্ধ শুরু হয়।
১৮৮৯: ব্রিটিশ দক্ষিণ আফ্রিকা কোম্পানি রাজকীয় সমর্থন ও অনুমোদন পায়। রোডেশিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯৪: উগান্ডাকে ব্রিটেন নিয়ন্ত্রিত স্বশাসিত রাষ্ট্র ঘোষণা করা হয়।
১৮৯৫: ট্রান্সভাল প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের কুখ্যাত ‘জেমসন রেইড’ বা অভিযান ব্যর্থ হয়।
১৮৯৯: দ্বিতীয় বোয়ার যুদ্ধের শুরু। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং ট্রান্সভাল প্রজাতন্ত্র ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট নামে পরিচিত দুটি বোয়ার রাজ্যের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। উইটওয়াটারসরান্ড সোনার খনি থেকে অর্জিত লাভ এবং আগের পুঞ্জীভূত বঞ্চনার শতাব্দী পুরোনো ক্ষোভ দুই শক্তিকে দ্বন্দ্বে ঠেলে দেয়।
১৯১৭: বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে ‘ইহুদি জনগণের জন্য ঘর’: এর জায়োনিস্ট দাবির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে ব্রিটেন।
১৯৩১: ওয়েস্টমিনস্টারের সংবিধি ডোমিনিয়নগুলোকে (ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন স্বশাসিত রাষ্ট্র) সাংবিধানিক স্বায়ত্তশাসন দেয়।
১৯৪৭: ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ভারত ও পাকিস্তানের বিভাজন।
১৯৪৮: ফিলিস্তিন থেকে ব্রিটিশ সেনা প্রত্যাহার।
১৯৫২: কেনিয়ায় শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে করে মাউ মাউ বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৯৫৬: সুদান স্বাধীনতা লাভ করে। পরের বছর ঘানা তাদের অনুসরণ করে। আফ্রিকার মূল ভূখণ্ডজুড়ে একের পর এক ব্রিটিশ উপনিবেশ পরের দশকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে, যার সমাপ্তি ঘটে ১৯৬৬ সালে। একটি ব্যতিক্রম ছিল নামিবিয়া, তারা ১৯৯০ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে। পরবর্তী দশকগুলোতে বিশ্বজুড়ে আরও অনেক দেশ স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে। কিছু দেশ নির্দিষ্ট তারিখে ঔপনিবেশিক শাসন ত্যাগ করে এবং অন্যরা ডমিনিয়ন হিসেবে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভাঙন বিংশ শতাব্দীর ভূগোলের চেহারা বদলে দেয় এবং বিশ্ব সম্পর্কের একটি নতুন যুগের সূচনা করে।
১৯৭২: এশিয়ানদের উগান্ডা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৯৮২: ফকল্যান্ডস যুদ্ধ। ফকল্যান্ডস যুদ্ধ ছিল আর্জেন্টিনা এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দশ সপ্তাহের অঘোষিত যুদ্ধ। দক্ষিণ আটলান্টিকের দুটি ব্রিটিশ উপনিবেশ: ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ জর্জিয়া এবং দক্ষিণ স্যান্ডউইচ দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এ যুদ্ধ বাঁধে।
১৯৯৭: হংকং চীনা সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেয় যুক্তরাজ্য।
বর্তমানে যে অবস্থায় আছে
ব্রিটেন এবং কমনওয়েলথ জাতিসমূহ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শত শত বছর ধরে প্রাণ: প্রকৃতি, মানুষ, ভ্রমণ, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, রাজনীতি এবং সংস্কৃতি গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক ছিল। ভালো হোক বা খারাপ হোক, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রভাব ইতিহাসের বইয়ে জায়গা করে নিয়েছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৩৭ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে সৌদি আরব ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এই হামলার লক্ষ্য ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত–সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিল’ (এসটিসি)।
সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দাবি—হাদরামাউতের বন্দরনগরী মুকাল্লায় এসটিসির জন্য অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নামানো হচ্ছিল, যা তাদের ‘সীমারেখা’ অতিক্রমের সমান। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, জাহাজগুলোর ট্র্যাকিং সিস্টেম বন্ধ ছিল এবং এসব অস্ত্র তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করছিল।
অন্যদিকে, এসটিসি এই হামলা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, হামলায় হাদরামাউতে মোতায়েন এসটিসির অভিজাত ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করা হয়েছে। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়েছে যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি না হয়।
এই সংঘর্ষ সৌদি আরব ও ইউএইর মধ্যে বাড়তে থাকা মতবিরোধকে প্রকাশ্যে এনেছে। হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন একসঙ্গে লড়াই করলেও, ইয়েমেনের ভেতরে দুই দেশ ভিন্ন ভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে আসছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, এসটিসিকে আমিরাতের সমর্থন ইয়েমেন ও পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। রিয়াদ একে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবেও উল্লেখ করেছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেনশিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি আরব আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল করেন এবং দেশটি থেকে আমিরাতের সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য আকাশ ও নৌ অবরোধও ঘোষণা করেন।
বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইয়েমেনে এসটিসির দ্রুত সম্প্রসারণ দেশটিকে কার্যত বিভক্ত করার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল ও বন্দর, আর উত্তরে রাজধানী সানাসহ হুতিদের শক্ত ঘাঁটি—এই বাস্তবতায় ইয়েমেন আবারও এক গভীর ও বহুমাত্রিক সংকটের দিকে এগোচ্ছে।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৩৭ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৩৭ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

ব্যাপক বিস্তৃত, দীর্ঘস্থায়ী এবং সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তারি সাম্রাজ্যবাদী আচরণের জন্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে স্মরণ করতেই হবে। বলতে গেলে এই সাম্রাজ্যই বিশ্বায়ন এবং আন্ত যোগাযোগের যুগের সূচনা করেছিল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ষোড়শ শতাব্দীতে সুগঠিত হতে শুরু করে। পরের বছরগুলোতে খুব দ্রুতই এই সাম্রাজ্যের বিস্তার চ
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে এবার নতুন মাত্রার উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এক সময় একই জোটে থাকা সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এখন কার্যত বিপরীত অবস্থানে। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও কূটনৈতিক বক্তব্যে এই বিভাজন প্রকাশ্যে এসেছে, যা ওই অঞ্চলের যুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলছে।
৩৭ মিনিট আগে
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
১ দিন আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
১ দিন আগে