
আরাকান আর্মিসহ (এএ) মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জান্তা সরকারের সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। দেশটির পশ্চিমে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংঘর্ষ। বিদ্রোহীদের দমনে জান্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাবর্ষণের মধ্যে বেসামরিক মানুষের হতাহতের আশঙ্কা বেড়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে বলেছে।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে রাখাইন রাজ্যের পাউকতাও টাউনশিপের প্রাক্তন এক সংসদ সদস্য গত শনিবার সিএনএনকে জানান যে, তিনি শহরের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না এবং কী ঘটছে তা জানেন না।
তিনি বলেন, ‘যেদিন যুদ্ধ শুরু হয় সেদিন শহর ছেড়েছিলাম। তবে সেখানে বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ এবং শিশুরাও রয়েছে। তাই তাদের পক্ষে দ্রুত কোথাও সরে যাওয়াও সম্ভব নয়। বৃষ্টি হচ্ছে, ঝড় আসছে। এর মাঝে গুলিবর্ষণে সৃষ্টি হয়েছে বিধ্বংসী পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় মানুষকে দেখে আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।’
জাতিসংঘের সমন্বিত কার্যালয় (ইউএনওসিএইচএ) থেকে গত শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৩ নভেম্বর রাথেদাউং শহরে আরাকান আর্মি এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তারপর থেকে সেই সংঘর্ষ মংডু, কিয়াউকতাও, মিনবিয়া, পাউকতাও, পোন্নাগিউন এবং পালেতওয়া শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।
ইউএনওসিএইচএর তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার থেকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নতুন করে যুদ্ধের ফলে ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী কয়েক দশক ধরেই জাতিগত সংখ্যালঘু এবং অন্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। কিন্তু ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিরোধী শক্তির মধ্যে অভূতপূর্ব সমন্বয় ঘটায় এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন সামরিক জান্তা। একাধিক ফ্রন্টে বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে সেনাবাহিনী। জাতিগত সংখ্যালঘু বাহিনী এবং জান্তাবিরোধী মিলিশিয়ারা বিদ্রোহ শুরু করেছে। অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার সঙ্গে দেশটিতে শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ।
পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীগুলোর মতে, ২০২১ সাল থেকেই মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিমান এবং স্থল হামলার শিকার হয়ে শিশু সহ হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। জান্তা সৈন্যদের দ্বারা একের পর এক গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে স্কুল, ক্লিনিক ও হাসপাতালের মতো স্থাপনা।
অতিসম্প্রতি ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে নিহত এক ব্যক্তির ছেলে সিএনএনকে জানান, একটি মেডিটেশন সেন্টারের ভেতরে ঢুকে গুলি করা হয় তার বাবাকে। বেসামরিক ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করে মারার ঘটনা নতুন নয় বলেও তিনি জানান।
সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে, বাবা ব্যথায় কাঁদছে। আমি কল্পনা করতে পারি না যে, রক্তের পুকুরে একটা মানুষ কতটা কষ্ট পেতে পারে। পরদিন একটি ফোনকলে আমাকে জানান হয়, বাবা মারা গেছেন।’

আরাকান আর্মিসহ (এএ) মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জান্তা সরকারের সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। দেশটির পশ্চিমে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংঘর্ষ। বিদ্রোহীদের দমনে জান্তা বাহিনীর ব্যাপক গোলাবর্ষণের মধ্যে বেসামরিক মানুষের হতাহতের আশঙ্কা বেড়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে বলেছে।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে রাখাইন রাজ্যের পাউকতাও টাউনশিপের প্রাক্তন এক সংসদ সদস্য গত শনিবার সিএনএনকে জানান যে, তিনি শহরের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না এবং কী ঘটছে তা জানেন না।
তিনি বলেন, ‘যেদিন যুদ্ধ শুরু হয় সেদিন শহর ছেড়েছিলাম। তবে সেখানে বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ এবং শিশুরাও রয়েছে। তাই তাদের পক্ষে দ্রুত কোথাও সরে যাওয়াও সম্ভব নয়। বৃষ্টি হচ্ছে, ঝড় আসছে। এর মাঝে গুলিবর্ষণে সৃষ্টি হয়েছে বিধ্বংসী পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় মানুষকে দেখে আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।’
জাতিসংঘের সমন্বিত কার্যালয় (ইউএনওসিএইচএ) থেকে গত শুক্রবার দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৩ নভেম্বর রাথেদাউং শহরে আরাকান আর্মি এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘর্ষ শুরু হয় এবং তারপর থেকে সেই সংঘর্ষ মংডু, কিয়াউকতাও, মিনবিয়া, পাউকতাও, পোন্নাগিউন এবং পালেতওয়া শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।
ইউএনওসিএইচএর তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার থেকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নতুন করে যুদ্ধের ফলে ২৬ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী কয়েক দশক ধরেই জাতিগত সংখ্যালঘু এবং অন্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। কিন্তু ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিরোধী শক্তির মধ্যে অভূতপূর্ব সমন্বয় ঘটায় এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন সামরিক জান্তা। একাধিক ফ্রন্টে বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে সেনাবাহিনী। জাতিগত সংখ্যালঘু বাহিনী এবং জান্তাবিরোধী মিলিশিয়ারা বিদ্রোহ শুরু করেছে। অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার সঙ্গে দেশটিতে শুরু হয়েছে গৃহযুদ্ধ।
পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীগুলোর মতে, ২০২১ সাল থেকেই মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিমান এবং স্থল হামলার শিকার হয়ে শিশু সহ হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। জান্তা সৈন্যদের দ্বারা একের পর এক গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে স্কুল, ক্লিনিক ও হাসপাতালের মতো স্থাপনা।
অতিসম্প্রতি ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে নিহত এক ব্যক্তির ছেলে সিএনএনকে জানান, একটি মেডিটেশন সেন্টারের ভেতরে ঢুকে গুলি করা হয় তার বাবাকে। বেসামরিক ব্যক্তিকে ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করে মারার ঘটনা নতুন নয় বলেও তিনি জানান।
সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল যে, বাবা ব্যথায় কাঁদছে। আমি কল্পনা করতে পারি না যে, রক্তের পুকুরে একটা মানুষ কতটা কষ্ট পেতে পারে। পরদিন একটি ফোনকলে আমাকে জানান হয়, বাবা মারা গেছেন।’

তাইওয়ানকে ঘিরে চীনের বিশাল সামরিক মহড়া ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ শেষ হওয়ার মাত্র এক দিন পরই সি চিন পিংয়ের এই কড়া বার্তা এল। উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে তা দখলের হুমকি দিয়ে আসছে।
৭ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাম হাতে কালশিটে বা কালচে দাগ দেখা দেওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। শপথ নেওয়ার এক বছরের মাথায় ও ৮০ বছরে পা দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রেসিডেন্টের এই শারীরিক পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রতিবছর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার খোসা, এনদেবেলে, সোথো ও ভেন্ডা সম্প্রদায়ের কিশোর ও তরুণেরা ঐতিহ্যবাহী এই উৎসবে অংশ নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকার শিশু আইন (২০০৫) অনুযায়ী, সাধারণত ১৬ বছরের বেশি বয়সীদের খতনা করানো হয়। এর নিচে খতনা করানো দেশটিতে আইনত নিষিদ্ধ।
৮ ঘণ্টা আগে
এই হামলার ঘটনা প্রথম প্রকাশ পায় গত সেপ্টেম্বরে, যখন রাজপরিবার নিয়ে লেখা একটি বই দ্য টাইমস পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়। তবে এর আগে বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
৮ ঘণ্টা আগে