Ajker Patrika

ভারত-পাকিস্তানে নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে ডিপফেক ব্যবহারের জোয়ার

আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২: ৪৭
ভারত-পাকিস্তানে নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে ডিপফেক ব্যবহারের জোয়ার

দক্ষিণ এশিয়ার জনবহুল দেশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। চলতি বছরের প্রথমার্ধেই দেশগুলোতে জাতীয় নির্বাচন হবে। তিনটি দেশই ভূরাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কারণে ঐতিহাসিকভাবে সংযুক্ত। এই সংযুক্তিতে নতুন আরেকটি দিক যুক্ত হয়েছে, যেটি সব দেশকেই ভাবিয়ে তুলেছে। সেটি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক ব্যবহার। আরও স্পষ্ট করে বললে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ডিপফেক প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। 

ভারতীয় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দিব্যেন্দ্র সিং জাদন চলচ্চিত্র জগতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট তৈরির কাজ করেন। কিছুদিন আগে তিনি ভারতীয় রাজনীতিবিদদের হয়ে কাজ করার ডাক পান। তাঁকে যে ধরনের কাজ করতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে এআই ভিডিও ও ডিপফেক অডিও-ভিডিও তৈরি উল্লেখযোগ্য। 

গত নভেম্বরে নিজ রাজ্য রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন ছিল। সেখানে তাঁর কাজ করার ব্যাপক সুযোগ থাকার পরও তিনি প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন। জাদুন পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনকে বলেন, ‘ডিপফেক তৈরির প্রযুক্তি এখন খুবই দুর্দান্ত। এটি খুব সহজেই ও খুব দ্রুত করা যায়। সাধারণ লোকজন ধরতেও পারে না বিষয়টি আসল নাকি নকল।’ 

জাদুন বলেন, ডিপফেক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কোনো আইনি নির্দেশনা নেই। এ কারণে বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। ডিপফেক এমন প্রযুক্তি এবং এটিকে এমনভাবে ম্যানিপুলেট করা যায়, যার মাধ্যমে ব্যক্তির ভোট দেওয়া প্রভাবিত করা যাবে।

ডিপফেকের সাম্প্রতিক অনেকগুলো উদাহরণ আছে। যেমন—ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আঞ্চলিক ভাষার গান, টিকটকে ভাইরাল হওয়া ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী প্রোবো সুবিয়ান্তো ও আনিস বাসবেদানের সাবলীল আরবি কথোপকথন ইত্যাদি। এসব ভিডিওর সবই এআই ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এবং কোনো ধরনের শনাক্তকরণ চিহ্ন ছাড়াই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। 

ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ায় নির্বাচন সামনে রেখে ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুজব, ভুয়া তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি ব্যাপক হারে বাড়ার আশঙ্কা করছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। এই দেশগুলো ব্যাপক জনবহুল হওয়ায় ডিপফেক প্রযুক্তি জনমত নির্ধারণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে। এরই মধ্যে দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে সতর্ক করেছে যে, তারা যদি তাদের প্ল্যাটফর্মে তৃতীয় পক্ষের ভুয়া কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, তাহলে সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে। 

পাকিস্তানের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল রাইটস ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা নিঘাত দাদ বলেন, ‘ভুয়া তথ্য পাকিস্তানের নির্বাচন ও সমগ্র গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য যে হুমকি সৃষ্টি করেছে, তা সহজে বলে শেষ করা যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘অতীতেও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ভুল তথ্য ভোটারের আচরণ, দলীয় সমর্থন এমনকি আইন পরিবর্তনকে প্রভাবিত করেছে। সিনথেটিক মিডিয়া এটিকে আরও সহজ করে তুলবে।’ 

কেবল পাকিস্তানেই নয়, ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতেও ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গুজব নিয়ে গবেষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নুরিয়ান্তি জল্লি। তিনি বলেন, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীকারী তিনজনেরই ডিপফেক কনটেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। 

নুরিয়ান্তি জল্লি বলেন, ‘ভোটারদের ব্যক্তি পর্যায়ে ভুল তথ্য থেকে শুরু করে মিথ্যা আখ্যান দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার মতো এআইয়ের সক্ষমতা রয়েছে, যা মানুষের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এই টুলগুলো ভোটারদের ধারণা ও আচরণকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।’ 
 
কেবল ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা ইন্দোনেশিয়ায় নয়; গত বছরে অনুষ্ঠিত তুরস্ক, নিউজিল্যান্ড এবং আর্জেন্টিনার নির্বাচনেও এআই-কেন্দ্রিক ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও এই প্রযুক্তি প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। 

মার্কিন থিংকট্যাংক ফ্রিডম হাউসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআই ভুয়া তথ্য তৈরি, ছড়িয়ে দেওয়াকে আগের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুততর, সস্তা ও আরও বেশি কার্যকর করে তুলেছে। বাংলাদেশেও ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহারের বিষয়টি বেশ বেড়েছে। সম্প্রতি বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানাকে বিকিনি পরিহিতা ও দলটির আরেক নেত্রীয় নিপুণ রায় চৌধুরীকে সুইমিং পুলে দেখানো হয়, যা আসলে ডিপফেক প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি। 
 
বাংলাদেশে ডিপফেক প্রযুক্তির বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক সাঈদ আল-জামান দ্য ডনকে বলেন, এ বিষয়গুলো খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এখনো ছড়াচ্ছে। তাঁর মতে, নিম্নমানের ডিপফেকও মানুষের চিন্তাকে ভুল পথে প্রবাহিত করতে পারে। 
 
সিনথেটিক মিডিয়া শনাক্তকারী টুল নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ডিপমিডিয়া জানাচ্ছে, ২০২৩ বিশ্বজুড়ে অন্তত ৫ লাখ ডিপফেক ভিডিও ও অডিও শেয়ার হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্ল্যাটফর্মগুলো এ ধরনের কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের মালিক প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, তারা তাদের প্ল্যাটফর্মগুলোতে ছড়িয়ে পড়া সিনথেটিক মিডিয়াগুলো অপসারণে বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে ফেক ভিডিওগুলোর ক্ষেত্রে। 

টেক জায়ান্ট ওই ইউটিউবের মাতৃপ্রতিষ্ঠান গুগল গত নভেম্বরে বলেছে, ‘যদি কোনো ভিডিও নির্মাতা সিনথেটিক ভিডিও প্রকাশ করতে চান, তাহলে আমাদের আগে অবহিত করতে হবে। আমরা দর্শকদের আগে থেকেই সে বিষয়ে অবগত করব।’

অ্যাডভোকেসি গোষ্ঠী অ্যাকসেস নাউয়ের এশিয়া চ্যাপ্টারের পলিসি ডিরেক্টর রমণ জিৎ সিং চিমা বলেন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলো সম্প্রতি অনলাইন কনটেন্টকে আরও নিবিড়ভাবে নজরদারিতে রাখার জন্য আইন পাস করেছে। দেশগুলো ভুল তথ্য হিসেবে বিবেচিত—এমন বিষয়বস্তু প্রচারের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে দায়ী করার প্রয়াস পেয়েছে, তাই প্ল্যাটফর্মগুলোও এখন তুলনামূলক শিথিল আচরণ করেছে।’

এসব দেশে এ ধরনের সমস্যা দেখভাল করার জন্য সামাজিক মাধ্যমগুলো খুব একটা সক্রিয় নয়। চিমার মতে, এটি খুবই বিপজ্জনক লক্ষণ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আসামে মধ্যরাতে ট্রেনের ধাক্কায় ৭ হাতির মৃত্যু, রক্ষা পেলেন যাত্রীরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ২১
শুক্রবার গভীর রাতে হাতির পালের ওপর উঠে যায় এক্সপ্রেস ট্রেন। ছবি: এক্স
শুক্রবার গভীর রাতে হাতির পালের ওপর উঠে যায় এক্সপ্রেস ট্রেন। ছবি: এক্স

ভারতের আসাম রাজ্যের হোজাই জেলায় এক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল সাতটি বন্য হাতি। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের সঙ্গে হাতির পালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। দুর্ঘটনায় একটি হাতি গুরুতর জখম হয়েছে, যার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে রাজধানী এক্সপ্রেসের শক্তিশালী ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ট্রেনের যাত্রীরা সবাই সুরক্ষিত রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের লামডিং ডিভিশনের অন্তর্গত যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে শুক্রবার রাত ২টো ১৭ মিনিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গেছে, ওই সময় ১১-১২টি হাতির একটি পাল রেললাইন পার হচ্ছিল। ঘন কুয়াশা ও রাতের অন্ধকারের মধ্যে দ্রুতগতিতে থাকা সাইরাং-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসটি হাতির পালের ওপর উঠে পড়ে। ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সাতটি হাতি এবং ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় হাতির যাতায়াত থাকলেও ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করার মতো পর্যাপ্ত সতর্কতা ছিল না।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানিয়েছেন, যে স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে কোনো নির্ধারিত ‘এলিফ্যান্ট করিডর’ ছিল না। তিনি বলেন, ‘চালক লাইনের ওপর হাতির পাল দেখতে পেয়েই দ্রুত আপৎকালীন ব্রেক কষেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি থাকায় এবং দূরত্ব কম হওয়ায় ধাক্কা এড়ানো সম্ভব হয়নি।’

রেল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ট্রেনের কোনো যাত্রী আহত হননি এবং লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন সচল করার কাজ চলছে।

দুর্ঘটনাস্থলটি আসামের গুয়াহাটি থেকে ১২৬ কিলোমিটার দূরে হোজাই জেলায় অবস্থিত। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেলের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী এবং বন দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আটকে পড়া যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে রেলের পক্ষ থেকে দ্রুত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাকি দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের যাত্রাপথ রিশিডিউল করা হয়েছে এবং অনেক ট্রেনকে বিকল্প পথে চালানো হচ্ছে।

বন দপ্তরের বিশেষ দল ইতিমধ্যে মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৃত হাতিগুলোর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হাতির পাশাপাশি শাবকও থাকতে পারে। রেললাইনটি হাতির চলাচলের স্বাভাবিক পথ না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে হাতির পাল এল এবং চালকের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বন্য প্রাণীপ্রেমীরা এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং রেললাইনের ধারে সেন্সর বা আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাশিয়াকে পশ্চিম সম্মান করলে আর যুদ্ধ হবে না: পুতিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি
ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এএফপি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের পর আর কোনো যুদ্ধ হবে না—যদি পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে সম্মান করে এবং দেশটির নিরাপত্তাগত স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠান ‘ডিরেক্ট লাইন’-এ তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিবিসির সাংবাদিক স্টিভ রোজেনবার্গের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলোকে আক্রমণ করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ‘অর্থহীন’।

পুতিন দাবি করেন, রাশিয়ার প্রতি সম্মান দেখানো হলে এবং পূর্বদিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো ‘প্রতারণা’ বন্ধ করলে নতুন কোনো বিশেষ সামরিক অভিযান হবে না। তিনি তাঁর পুরোনো অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, ১৯৯০ সালে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভকে ন্যাটো সম্প্রসারণ না করার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, পশ্চিম তা মানেনি।

মস্কোর একটি হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে পুতিনের পেছনে রাশিয়ার বিশাল মানচিত্র ঝুলছিল। এই মানচিত্রে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চল, এমনকি ক্রিমিয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি, ওই অনুষ্ঠানটিতে পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ৩০ লাখের বেশি প্রশ্ন জমা পড়েছিল।

ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে পুতিন বলেন, তিনি ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ যুদ্ধ শেষ করতে প্রস্তুত। তবে কোনো ধরনের আপসের ইঙ্গিত দেননি। তিনি আবারও দাবি করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা বাদ দিতে হবে এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা সরিয়ে নিতে হবে। আংশিকভাবে দখল করে নেওয়া ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় রাশিয়া।

দেশের অর্থনীতির প্রশ্নে মূল্যস্ফীতি, প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয় স্বীকার করেন পুতিন। অনুষ্ঠানের মধ্যেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে ১৬ শতাংশে নামানোর ঘোষণা দেয়। বিদেশনীতি, অর্থনীতি ও যুদ্ধের পাশাপাশি অনুষ্ঠানজুড়ে উঠে আসে মাতৃভূমি, প্রবীণ সেনাদের সম্মান এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা।

পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের সঙ্গে ‘সমান মর্যাদা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে’ কাজ করতে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাশিয়া ভবিষ্যতে ন্যাটোর ওপর হামলা চালাতে পারে—পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন আশঙ্কার কথা আবারও তা নাকচ করে দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ০৬
২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ছবি: এপির সৌজন্যে
২০১৭ সালে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ছবি: এপির সৌজন্যে

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে করা মামলার মূল শুনানি আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) জানিয়েছে, এ মামলার শুনানি চলবে আগামী ১২ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এই শুনানি আন্তর্জাতিক আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এক দশকের বেশি সময় পর এটি হবে আইসিজেতে কোনো গণহত্যা মামলার মূল বিষয়ের ওপর শুনানি। একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাতেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুনানির প্রথম সপ্তাহে (১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি) মামলার বাদী দেশ গাম্বিয়া আদালতে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করবে। পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ গাম্বিয়া ২০১৯ সালে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়।

এরপর ১৬ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত মিয়ানমার তাদের অবস্থান তুলে ধরার সুযোগ পাবে। মিয়ানমার সরকার বরাবরই গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

আইসিজে জানিয়েছে, এ মামলায় তিন দিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে এসব শুনানি জনসাধারণ ও গণমাধ্যমের জন্য বন্ধ থাকবে।

জাতিসংঘের একটি তদন্ত মিশন ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটিত হয়েছিল বলে প্রতিবেদন দেয়। ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

মিয়ানমার অবশ্য জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেছে। দেশটির বক্তব্য, সে সময়কার অভিযান ছিল রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে, যারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।

মামলাটি ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা সনদ অনুযায়ী দায়ের করা হয়েছে। নাৎসি জার্মানির হাতে ইহুদিদের গণহত্যার পর এ সনদ প্রণয়ন করা হয়। এতে গণহত্যা বলতে কোনো জাতিগত, ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠীকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গুরুতর শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, কিংবা পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়েছে।

গাম্বিয়া ও মিয়ানমার—দুই দেশই এ সনদের স্বাক্ষরকারী হওয়ায় আইসিজের এ মামলার বিচারিক এখতিয়ার রয়েছে।

১৯৪৮ সালের গণহত্যা সনদের পর আইসিজে এখন পর্যন্ত মাত্র একবার গণহত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। এটি ছিল ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার স্রেব্রেনিৎসায় প্রায় ৮ হাজার মুসলিম পুরুষ ও কিশোর হত্যাকাণ্ড।

গাম্বিয়া ও মামলায় হস্তক্ষেপকারী অন্য দেশগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। এই পাঁচ দেশ আদালতে যুক্তি দিয়েছে, গণহত্যা শুধু ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাদের মতে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ এবং যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতাও গণহত্যার উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাজপেয়ির ‘সেই বক্তব্য’ সামনে আনলেন শশী থারুর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ১৬
কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর। ছবি: পিটিআই
কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর। ছবি: পিটিআই

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ, সংবাদমাধ্যমের ভবনে অগ্নিসংযোগ এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ও ভারতের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পররাষ্ট্রবিষয়ক) প্রধান শশী থারুর।

শশী থারুর সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশে চলমান এই সহিংসতা সাধারণ বাংলাদেশিদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতাকে সংকুচিত করে দিচ্ছে। তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির সেই বিখ্যাত উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘ভূগোল পরিবর্তন করা যায় না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’

বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা এবং ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে থারুর বলেছেন, ‘সহিংসতার কারণে আমাদের দুটি ভিসা সেন্টার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, যেসব বাংলাদেশি ভারতে আসতে চান, তাঁরাই এখন অভিযোগ করছেন যে আগে যেভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত, এখন তা পাওয়া যাচ্ছে না।’

থারুর উল্লেখ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ভারত সরকারের পক্ষে সাধারণ বাংলাদেশিদের সাহায্য করা কঠিন করে তুলছে।

বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে থারুর বলেন, ‘আমি আশা করি পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে। আমি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে বলব যেন তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝে। বাজপেয়ি সাহেব পাকিস্তানের ক্ষেত্রে যেমনটি বলেছিলেন—আমরা আমাদের ভূগোল পরিবর্তন করতে পারি না। আমরা যেখানে আছি সেখানেই থাকব, তারাও সেখানেই থাকবে। তাদের উচিত আমাদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে শেখা।’

শশী থারুর জানান, নয়াদিল্লি পুরো পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা সরাসরি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করতে অনুরোধ জানাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত