
মারাত্মকভাবে শিশু জন্মের হার কমে যাওয়াকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, এটি মোকাবিলার জন্য একটি নতুন সরকারি মন্ত্রণালয় খোলারও পরিকল্পনা করেছেন প্রেসিডেন্ট। এ বিষয়ে সংসদে সহযোগিতা চাইবেন বলেও এক ভাষণে জানিয়েছেন তিনি।
টেলিভিশনে দেওয়া ওই ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা জন্মহার কমে যাওয়া কাটিয়ে উঠতে দেশের সব সক্ষমতাকে এক করব। বিষয়টিকে একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের আগস্টের পর এই প্রথম কোনো সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় ইউন স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রশাসন জনগণের জীবন উন্নত করার প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে। তিনি তাঁর মেয়াদের পরবর্তী তিন বছর অর্থনীতির উন্নতি এবং জন্মহার কমে যাওয়ার সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বর্তমান বিশ্বে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন শিশু জন্মের হার সবচেয়ে কম। ২০২৩ সালে দেশটিতে একজন নারীর জীবদ্দশায় সন্তান জন্ম দেওয়ার হার ছিল মাত্র ০.৭২। আগের বছরের ০.৭৮ গড়ের তুলনায় যা অনেক কম। বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এভাবে প্রতিবছরই শিশু জন্মের হার কমে যাচ্ছে দেশটিতে।
অভিবাসন ছাড়া কোনো দেশের নিজস্ব জনসংখ্যাকে স্থিতিশীল রাখতে হলে একেকজন মায়ের গড়ে ২.১ জন সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন। এর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বাস্তবতা তুলনা করলে দেখা যায়, দেশটিতে সন্তান জন্মের হার সংকটজনকভাবেই কমে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে অনেক ইউরোপীয় দেশও জনসংখ্যা কমে যাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে। তবে এই দেশগুলো অভিবাসনের মাধ্যমে সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং চীনের মতো দেশগুলো এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতীতের মতোই গণ-অভিবাসন নীতি থেকে দূরে সরে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং চীনে জন্মহার কমতে থাকার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থবির মজুরি, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়, বিবাহ এবং লিঙ্গ সমতার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হতাশা।
এদিকে এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য অর্থনৈতিক কারণ থাকলেও অর্থ ব্যয় করে সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন স্বীকার করেছিলেন, গত ১৬ বছরে জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য দেশটিতে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করা হয়েছে। তারপরও পরিস্থিতির অবনতি দেখা গেছে প্রতিবছরই।
শুধু অর্থ খরচ করে নয়—পিতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানোর মতো উদ্যোগ, নতুন পিতামাতাকে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান এবং শিশুর যত্ন ও গৃহকর্মে অবদান রাখতে পুরুষদের উৎসাহিত করার সামাজিক প্রচারাভিযানের পরও জন্মহার কমে যাওয়ার প্রবণতাকে উল্টোতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া।
সমস্যাটির জন্য বিশেষজ্ঞ এবং দেশটির নাগরিকেরা এবার কিছু গভীর সামাজিক সমস্যাকে চিহ্নিত করেছেন। উদাহরণস্বরূপ—একক বাবা কিংবা মায়ের বিরুদ্ধে কলঙ্ক, অপ্রচলিত অংশীদারত্বের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব এবং সমকামী দম্পতিদের জন্য সামাজিক বাধা সমস্যাটিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
সিএনএন জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো জাপান সরকারও দম্পতিদের সন্তান ধারণে উৎসাহিত করার জন্য একই রকম কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপান সরকারও এ বিষয়ে জরুরি কিছু পদক্ষেপ নিতে প্ররোচিত হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সতর্ক করেছিলেন—জন্মহার হ্রাসের কারণে জাপান সামাজিক কার্যাবলি বজায় রাখতে না পারার দ্বারপ্রান্তে। সমস্যাটির ওপর ফোকাস করার জন্য একটি নতুন সরকারি সংস্থার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেন তিনি।
কিশিদার ঘোষণা অনুযায়ী পরে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ফ্যামিলি এজেন্সি’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় জাপানে। এর মাধ্যমে শিশুর যত্ন সম্পর্কিত পরিষেবা এবং শিশুদের খেলাধুলা ও বসবাসের পরিসর প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি এমন একটি সমাজ তৈরির চেষ্টা চলছে যেন সাধারণ মানুষ বিয়ে করা, সন্তান ধারণ করা এবং তাদের লালন-পালন করার বিষয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠে।

মারাত্মকভাবে শিশু জন্মের হার কমে যাওয়াকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, এটি মোকাবিলার জন্য একটি নতুন সরকারি মন্ত্রণালয় খোলারও পরিকল্পনা করেছেন প্রেসিডেন্ট। এ বিষয়ে সংসদে সহযোগিতা চাইবেন বলেও এক ভাষণে জানিয়েছেন তিনি।
টেলিভিশনে দেওয়া ওই ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা জন্মহার কমে যাওয়া কাটিয়ে উঠতে দেশের সব সক্ষমতাকে এক করব। বিষয়টিকে একটি জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।’
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের আগস্টের পর এই প্রথম কোনো সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় ইউন স্বীকার করেছেন, তাঁর প্রশাসন জনগণের জীবন উন্নত করার প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে। তিনি তাঁর মেয়াদের পরবর্তী তিন বছর অর্থনীতির উন্নতি এবং জন্মহার কমে যাওয়ার সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বর্তমান বিশ্বে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন শিশু জন্মের হার সবচেয়ে কম। ২০২৩ সালে দেশটিতে একজন নারীর জীবদ্দশায় সন্তান জন্ম দেওয়ার হার ছিল মাত্র ০.৭২। আগের বছরের ০.৭৮ গড়ের তুলনায় যা অনেক কম। বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এভাবে প্রতিবছরই শিশু জন্মের হার কমে যাচ্ছে দেশটিতে।
অভিবাসন ছাড়া কোনো দেশের নিজস্ব জনসংখ্যাকে স্থিতিশীল রাখতে হলে একেকজন মায়ের গড়ে ২.১ জন সন্তান জন্ম দেওয়ার প্রয়োজন। এর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার বাস্তবতা তুলনা করলে দেখা যায়, দেশটিতে সন্তান জন্মের হার সংকটজনকভাবেই কমে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে অনেক ইউরোপীয় দেশও জনসংখ্যা কমে যাওয়ার মুখোমুখি হচ্ছে। তবে এই দেশগুলো অভিবাসনের মাধ্যমে সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং চীনের মতো দেশগুলো এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতীতের মতোই গণ-অভিবাসন নীতি থেকে দূরে সরে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং চীনে জন্মহার কমতে থাকার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থবির মজুরি, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়, বিবাহ এবং লিঙ্গ সমতার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হতাশা।
এদিকে এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য অর্থনৈতিক কারণ থাকলেও অর্থ ব্যয় করে সমস্যাটি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না। ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন স্বীকার করেছিলেন, গত ১৬ বছরে জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য দেশটিতে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করা হয়েছে। তারপরও পরিস্থিতির অবনতি দেখা গেছে প্রতিবছরই।
শুধু অর্থ খরচ করে নয়—পিতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানোর মতো উদ্যোগ, নতুন পিতামাতাকে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান এবং শিশুর যত্ন ও গৃহকর্মে অবদান রাখতে পুরুষদের উৎসাহিত করার সামাজিক প্রচারাভিযানের পরও জন্মহার কমে যাওয়ার প্রবণতাকে উল্টোতে পারেনি দক্ষিণ কোরিয়া।
সমস্যাটির জন্য বিশেষজ্ঞ এবং দেশটির নাগরিকেরা এবার কিছু গভীর সামাজিক সমস্যাকে চিহ্নিত করেছেন। উদাহরণস্বরূপ—একক বাবা কিংবা মায়ের বিরুদ্ধে কলঙ্ক, অপ্রচলিত অংশীদারত্বের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মনোভাব এবং সমকামী দম্পতিদের জন্য সামাজিক বাধা সমস্যাটিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
সিএনএন জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো জাপান সরকারও দম্পতিদের সন্তান ধারণে উৎসাহিত করার জন্য একই রকম কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপান সরকারও এ বিষয়ে জরুরি কিছু পদক্ষেপ নিতে প্ররোচিত হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সতর্ক করেছিলেন—জন্মহার হ্রাসের কারণে জাপান সামাজিক কার্যাবলি বজায় রাখতে না পারার দ্বারপ্রান্তে। সমস্যাটির ওপর ফোকাস করার জন্য একটি নতুন সরকারি সংস্থার পরিকল্পনাও ঘোষণা করেন তিনি।
কিশিদার ঘোষণা অনুযায়ী পরে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ফ্যামিলি এজেন্সি’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় জাপানে। এর মাধ্যমে শিশুর যত্ন সম্পর্কিত পরিষেবা এবং শিশুদের খেলাধুলা ও বসবাসের পরিসর প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি এমন একটি সমাজ তৈরির চেষ্টা চলছে যেন সাধারণ মানুষ বিয়ে করা, সন্তান ধারণ করা এবং তাদের লালন-পালন করার বিষয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠে।

আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
৯ মিনিট আগে
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
৩ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রতিদিন সকালে কিশোর ইসরায়েলি সেটলাররা পাহাড়ের ওপর থেকে একপাল ছাগল তাড়িয়ে নিচের উপত্যকায় ফিলিস্তিনি গ্রাম রাস আইন আল-আউজার দিকে নিয়ে আসে।
এ সময় গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা আশ্রয় নেয় তাদের কুঁড়েঘর ও তাঁবুর ভেতর। কোনো ফিলিস্তিনি যদি সামান্য প্রতিরোধের ইঙ্গিত দেয়, তাহলে প্রায় নিশ্চিতভাবেই সেখানে হাজির হয় ইসরায়েলি সেনা বা সীমান্ত পুলিশ। এরপর শুরু হয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। বিনা বিচারে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর আটক তো আছেই।
বলা বাহুল্য, ইসরায়েলি সেটলারদের লক্ষ্য—তাদের গবাদিপশু দিয়ে গ্রামটি দখল করে ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দেওয়া।
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাদের সরিয়ে দেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আজ শনিবারে রাস আইন আল-আউজা গ্রামের বাসিন্দাদের রক্ষাকারীদের মধ্যে ছিলেন চারজন ইসরায়েলি ইহুদি, একজন হাঙ্গেরিয়ান ও একজন মার্কিন নাগরিক। তাঁরা ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ির চারপাশে মানবঢাল তৈরি করে এগিয়ে আসা পশুগুলো তাড়ানোর চেষ্টা করেন।
অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি মেজর ও স্বেচ্ছাসেবী আমির পানস্কি বলেন, ‘সেটলাররা এমন সব উসকানি দেয়, যার ফলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিরোধ করতে বাধ্য হয়। আর সেটাকেই অজুহাত বানিয়ে তাদের ওপর চলে দমন-পীড়ন। আমরা এখানে সুরক্ষাকবচ হিসেবে আছি। আমরা আমাদের দেহকে ইহুদি সেটলার ও ফিলিস্তিনিদের মাঝে ঢাল হিসেবে দাঁড় করিয়েছি।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্বেচ্ছাসেবকেরা যতবার কোনো প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেন, ততবারই সেটলার রাখালেরা পাল্টা কৌশলে তাঁদের পাশ কাটানোর চেষ্টা করে। তারা স্বেচ্ছাসেবকদের একেবারে কাছে চলে যায়। স্বেচ্ছাসেবকেরা তখন হাত নেড়ে ও চিৎকার করে নিজেদের অবস্থানে অটল থাকার চেষ্টা করেন।
এ সময় সেটলাররা মোবাইল ফোন উঁচু করে পুরো দৃশ্য ধারণ করে এবং সরাসরি মন্তব্য করতে থাকে। অন্যদিকে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবকের দেহে লাগানো থাকে বডি ক্যামেরা, যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে হামলা করার ভুয়া অভিযোগ না ওঠে।

প্রতিদিন সকালে কিশোর ইসরায়েলি সেটলাররা পাহাড়ের ওপর থেকে একপাল ছাগল তাড়িয়ে নিচের উপত্যকায় ফিলিস্তিনি গ্রাম রাস আইন আল-আউজার দিকে নিয়ে আসে।
এ সময় গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা আশ্রয় নেয় তাদের কুঁড়েঘর ও তাঁবুর ভেতর। কোনো ফিলিস্তিনি যদি সামান্য প্রতিরোধের ইঙ্গিত দেয়, তাহলে প্রায় নিশ্চিতভাবেই সেখানে হাজির হয় ইসরায়েলি সেনা বা সীমান্ত পুলিশ। এরপর শুরু হয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত। বিনা বিচারে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর আটক তো আছেই।
বলা বাহুল্য, ইসরায়েলি সেটলারদের লক্ষ্য—তাদের গবাদিপশু দিয়ে গ্রামটি দখল করে ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দেওয়া।
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাদের সরিয়ে দেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আজ শনিবারে রাস আইন আল-আউজা গ্রামের বাসিন্দাদের রক্ষাকারীদের মধ্যে ছিলেন চারজন ইসরায়েলি ইহুদি, একজন হাঙ্গেরিয়ান ও একজন মার্কিন নাগরিক। তাঁরা ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ির চারপাশে মানবঢাল তৈরি করে এগিয়ে আসা পশুগুলো তাড়ানোর চেষ্টা করেন।
অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি মেজর ও স্বেচ্ছাসেবী আমির পানস্কি বলেন, ‘সেটলাররা এমন সব উসকানি দেয়, যার ফলে ফিলিস্তিনিরা প্রতিরোধ করতে বাধ্য হয়। আর সেটাকেই অজুহাত বানিয়ে তাদের ওপর চলে দমন-পীড়ন। আমরা এখানে সুরক্ষাকবচ হিসেবে আছি। আমরা আমাদের দেহকে ইহুদি সেটলার ও ফিলিস্তিনিদের মাঝে ঢাল হিসেবে দাঁড় করিয়েছি।’
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্বেচ্ছাসেবকেরা যতবার কোনো প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেন, ততবারই সেটলার রাখালেরা পাল্টা কৌশলে তাঁদের পাশ কাটানোর চেষ্টা করে। তারা স্বেচ্ছাসেবকদের একেবারে কাছে চলে যায়। স্বেচ্ছাসেবকেরা তখন হাত নেড়ে ও চিৎকার করে নিজেদের অবস্থানে অটল থাকার চেষ্টা করেন।
এ সময় সেটলাররা মোবাইল ফোন উঁচু করে পুরো দৃশ্য ধারণ করে এবং সরাসরি মন্তব্য করতে থাকে। অন্যদিকে প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবকের দেহে লাগানো থাকে বডি ক্যামেরা, যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে হামলা করার ভুয়া অভিযোগ না ওঠে।

মারাত্মকভাবে শিশু জন্মের হার কমে যাওয়াকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, এটি মোকাবিলার জন্য একটি নতুন সরকারি মন্ত্রণালয় খোলারও পরিকল্পনা করেছেন প্রেসিডেন্ট। এ বিষয়ে সংসদে সহযোগিতা চাইবেন বলেও এক ভাষণে জানিয়েছেন তিনি।
১০ মে ২০২৪
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
৩ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় গেল রাত ২টা) ‘অপারেশন হক-আই স্ট্রাইক’ নামে এই অভিযান শুরু হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে আইএসের অবকাঠামো ও অস্ত্রাগারসহ ৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
ফাইটার জেট, অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং আর্টিলারি ব্যবহার করে ১০০টিরও বেশি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদী গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, দেইর আজ-জোর প্রদেশে আইএসের অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ওই অঞ্চলে ড্রোন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইএসের এক শীর্ষ নেতাও রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘যেমনটা কথা দিয়েছিলাম, আমাদের ওপর হামলাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ নিচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, সিরিয়ার বর্তমান সরকার এই অভিযানে ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযানের লক্ষ্য স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘এটি কোনো যুদ্ধের শুরু নয়—এটি প্রতিশোধের ঘোষণা। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যদি আপনি আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু করেন, তবে আপনার বাকি জীবন এটা জেনে কাটাতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে খুঁজে বের করবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করবে।’
১৩ ডিসেম্বর পালমিরায় এক আইএস সদস্যের অতর্কিত হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হন। আহত হন আরও তিন সেনা। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই ছিল প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রাণহানি ঘটে।
সেন্টকমের দাবি, ওই হামলাকারী একজন আইএস সদস্য ছিলেন। পরে পাল্টা অভিযানে হামলাকারীকে হত্যা করা হয়।
২০২৪ সালে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পথে হাঁটছেন। গত নভেম্বরেই তিনি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আসাদ-পরবর্তী সিরিয়া এখন আইএস দমনে আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।

সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানিয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় গেল রাত ২টা) ‘অপারেশন হক-আই স্ট্রাইক’ নামে এই অভিযান শুরু হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে আইএসের অবকাঠামো ও অস্ত্রাগারসহ ৭০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
ফাইটার জেট, অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং আর্টিলারি ব্যবহার করে ১০০টিরও বেশি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভেদী গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, দেইর আজ-জোর প্রদেশে আইএসের অন্তত পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ওই অঞ্চলে ড্রোন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আইএসের এক শীর্ষ নেতাও রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘যেমনটা কথা দিয়েছিলাম, আমাদের ওপর হামলাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমরা অত্যন্ত কঠোর প্রতিশোধ নিচ্ছি।’ তিনি উল্লেখ করেন, সিরিয়ার বর্তমান সরকার এই অভিযানে ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এই অভিযানের লক্ষ্য স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘এটি কোনো যুদ্ধের শুরু নয়—এটি প্রতিশোধের ঘোষণা। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে যদি আপনি আমেরিকানদের লক্ষ্যবস্তু করেন, তবে আপনার বাকি জীবন এটা জেনে কাটাতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্র আপনাকে খুঁজে বের করবে এবং নির্মমভাবে হত্যা করবে।’
১৩ ডিসেম্বর পালমিরায় এক আইএস সদস্যের অতর্কিত হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হন। আহত হন আরও তিন সেনা। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই ছিল প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রাণহানি ঘটে।
সেন্টকমের দাবি, ওই হামলাকারী একজন আইএস সদস্য ছিলেন। পরে পাল্টা অভিযানে হামলাকারীকে হত্যা করা হয়।
২০২৪ সালে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পথে হাঁটছেন। গত নভেম্বরেই তিনি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আসাদ-পরবর্তী সিরিয়া এখন আইএস দমনে আন্তর্জাতিক জোটে যোগ দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।

মারাত্মকভাবে শিশু জন্মের হার কমে যাওয়াকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, এটি মোকাবিলার জন্য একটি নতুন সরকারি মন্ত্রণালয় খোলারও পরিকল্পনা করেছেন প্রেসিডেন্ট। এ বিষয়ে সংসদে সহযোগিতা চাইবেন বলেও এক ভাষণে জানিয়েছেন তিনি।
১০ মে ২০২৪
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
৯ মিনিট আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
৩ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই জানান, ২৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী চাং ওয়েন প্রথমে তাইপের ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এরপর তিনি কাছের আরেকটি স্টেশনে গিয়ে পথচারীদের ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পর বহুতল একটি ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক ও বেসবল ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি ব্যস্ত সড়কের ওপর স্মোক বোমা ছুড়ছেন। এরপর তাঁকে হাতে বড় ছুরি নিয়ে গাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী চো বলেন, তাইপে মেট্রো স্টেশনটি একটি ব্যস্ত আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং স্ট্রিটের সঙ্গে সংযুক্ত। সেখানেই প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ভোঁতা কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপর হামলাকারী আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং সেন্টার দিয়ে পালিয়ে প্রায় ৮০০ মিটার দূরের ঝংশান স্টেশনে পৌঁছান। এরপর তিনি ঝংশান স্টেশনের বাইরে আবারও স্মোক বোমা ছোড়েন এবং ছুরিকাঘাত করে আরও কয়েকজনকে আহত করেন। পরে কাছের একটি বইয়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ঢুকে পড়েন। পুলিশ স্থানটি ঘিরে ফেললে হামলাকারী ভবন থেকে পড়ে যান।
এদিকে হামলার পর মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড), রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই। তিনি বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারীর সম্পর্কে তদন্ত করে তার উদ্দেশ্য ও অন্য কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিংতেও ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের রেকর্ড ছিল এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
তাইওয়ানে সহিংস অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম। এ ধরনের বড় হামলা সর্বশেষ ঘটে ২০১৪ সালে। তাইপের একটি মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড) এক ব্যক্তি চারজনকে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় হামলাকারীকে দুই বছর পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই জানান, ২৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন হামলাকারী চাং ওয়েন প্রথমে তাইপের ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এরপর তিনি কাছের আরেকটি স্টেশনে গিয়ে পথচারীদের ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার পর বহুতল একটি ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন সন্দেহভাজন ব্যক্তি। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, কালো পোশাক ও বেসবল ক্যাপ পরা এক ব্যক্তি ব্যস্ত সড়কের ওপর স্মোক বোমা ছুড়ছেন। এরপর তাঁকে হাতে বড় ছুরি নিয়ে গাড়ির পাশ দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।
প্রধানমন্ত্রী চো বলেন, তাইপে মেট্রো স্টেশনটি একটি ব্যস্ত আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং স্ট্রিটের সঙ্গে সংযুক্ত। সেখানেই প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এক ব্যক্তি হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করলে তাঁকে ভোঁতা কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
এরপর হামলাকারী আন্ডারগ্রাউন্ড শপিং সেন্টার দিয়ে পালিয়ে প্রায় ৮০০ মিটার দূরের ঝংশান স্টেশনে পৌঁছান। এরপর তিনি ঝংশান স্টেশনের বাইরে আবারও স্মোক বোমা ছোড়েন এবং ছুরিকাঘাত করে আরও কয়েকজনকে আহত করেন। পরে কাছের একটি বইয়ের দোকান ও ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ঢুকে পড়েন। পুলিশ স্থানটি ঘিরে ফেললে হামলাকারী ভবন থেকে পড়ে যান।
এদিকে হামলার পর মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড), রেলস্টেশন এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী চো জুং-তাই। তিনি বলেছেন, ‘সন্দেহভাজন হামলাকারীর সম্পর্কে তদন্ত করে তার উদ্দেশ্য ও অন্য কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিংতেও ঘটনার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আগেও অপরাধের রেকর্ড ছিল এবং তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।
তাইওয়ানে সহিংস অপরাধের হার তুলনামূলকভাবে কম। এ ধরনের বড় হামলা সর্বশেষ ঘটে ২০১৪ সালে। তাইপের একটি মেট্রোতে (আন্ডারগ্রাউন্ড) এক ব্যক্তি চারজনকে হত্যা করেন। ওই ঘটনায় হামলাকারীকে দুই বছর পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

মারাত্মকভাবে শিশু জন্মের হার কমে যাওয়াকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, এটি মোকাবিলার জন্য একটি নতুন সরকারি মন্ত্রণালয় খোলারও পরিকল্পনা করেছেন প্রেসিডেন্ট। এ বিষয়ে সংসদে সহযোগিতা চাইবেন বলেও এক ভাষণে জানিয়েছেন তিনি।
১০ মে ২০২৪
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
৯ মিনিট আগে
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারটি প্রবল কুয়াশার কারণে তাহেরপুরের সভাস্থলে অবতরণ করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে কপ্টারটি কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে যায়। এরপর দমদম বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভার কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর আগে সভাস্থলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া চাকদহ সংলগ্ন এলাকায় ‘গো ব্যাক মোদী’ প্ল্যাকার্ড দেখা যাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা কব্জা করবে বলে স্থির করেছে, আর তৃণমূল তাদেরই পছন্দ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে তারা আইনের বিরোধ করছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের বদলে ওরা মোদীকে “গো ব্যাক” বলছে। এটা তৃণমূলের আসল চেহারা।’
বাংলার মানুষের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তায় মোদী বলেন, ‘তৃণমূল মোদীর বিরোধ করতে চাইলে করুক, কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন কেন আটকানো হচ্ছে? মোদীর বিরোধ করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে কষ্ট দেওয়ার পাপ করবেন না। ” তিনি বিহারের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে যেমন ‘জঙ্গলরাজ’ উপড়ে ফেলা হয়েছে, বাংলাতেও বিজেপি শান্তি ও উন্নয়ন ফেরাবে।’
এদিন রিমোটের মাধ্যমে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার চার লেনের রাস্তার উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নদীয়ার এই নতুন সড়ক ব্যবস্থাকে উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভূমি এই বাংলা থেকেই ‘বিকশিত ভারতের’ মন্ত্র হিসেবে ‘বন্দে মাতরম’ উচ্চারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বামপন্থীদের ৩০ বছরের শাসনের সমালোচনা করে বলেন, তৃণমূল বামেদের সব খারাপ গুণগুলো গ্রহণ করে নিয়েছে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের অবদানের কথা স্মরণ করে শ্রীচৈতন্যদেব ও হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

ঘন কুয়াশার কারণে সশরীরে উপস্থিত হতে না পারলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ শনিবার নদীয়ার তাহেরপুরে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ ইস্যু থেকে শুরু করে ‘জঙ্গলরাজ’—একাধিক বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হেলিকপ্টারটি প্রবল কুয়াশার কারণে তাহেরপুরের সভাস্থলে অবতরণ করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে কপ্টারটি কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরে যায়। এরপর দমদম বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভার কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পৌঁছানোর আগে সভাস্থলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া চাকদহ সংলগ্ন এলাকায় ‘গো ব্যাক মোদী’ প্ল্যাকার্ড দেখা যাওয়ায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা বাংলা কব্জা করবে বলে স্থির করেছে, আর তৃণমূল তাদেরই পছন্দ করছে। অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে তারা আইনের বিরোধ করছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের বদলে ওরা মোদীকে “গো ব্যাক” বলছে। এটা তৃণমূলের আসল চেহারা।’
বাংলার মানুষের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তায় মোদী বলেন, ‘তৃণমূল মোদীর বিরোধ করতে চাইলে করুক, কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন কেন আটকানো হচ্ছে? মোদীর বিরোধ করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে কষ্ট দেওয়ার পাপ করবেন না। ” তিনি বিহারের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে যেমন ‘জঙ্গলরাজ’ উপড়ে ফেলা হয়েছে, বাংলাতেও বিজেপি শান্তি ও উন্নয়ন ফেরাবে।’
এদিন রিমোটের মাধ্যমে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের কৃষ্ণনগর থেকে বড়জাগুলি পর্যন্ত প্রায় ৬৮ কিলোমিটার চার লেনের রাস্তার উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে নদীয়ার এই নতুন সড়ক ব্যবস্থাকে উন্নয়নের চাবিকাঠি হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভূমি এই বাংলা থেকেই ‘বিকশিত ভারতের’ মন্ত্র হিসেবে ‘বন্দে মাতরম’ উচ্চারিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বামপন্থীদের ৩০ বছরের শাসনের সমালোচনা করে বলেন, তৃণমূল বামেদের সব খারাপ গুণগুলো গ্রহণ করে নিয়েছে, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের অবদানের কথা স্মরণ করে শ্রীচৈতন্যদেব ও হরিচাঁদ ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

মারাত্মকভাবে শিশু জন্মের হার কমে যাওয়াকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে, এটি মোকাবিলার জন্য একটি নতুন সরকারি মন্ত্রণালয় খোলারও পরিকল্পনা করেছেন প্রেসিডেন্ট। এ বিষয়ে সংসদে সহযোগিতা চাইবেন বলেও এক ভাষণে জানিয়েছেন তিনি।
১০ মে ২০২৪
আশার কথা, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এহেন ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রতিরোধের শক্তি হয়ে সম্প্রতি হাজির হয়েছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাঁরা পাহাড় থেকে নামতে থাকা ইসরায়েলি সেটলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন।
৯ মিনিট আগে
সিরিয়ার পালমিরা শহরে মার্কিন বাহিনীর ওপর প্রাণঘাতী হামলার পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আস্তানা লক্ষ্য করে সিরিয়াজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে জর্ডানের যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ছুরি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালান।
৩ ঘণ্টা আগে