পরাগ মাঝি, ঢাকা

দুটি লাশই বিকৃত হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে মর্গে। লাশের গন্ধ ঢাকতে যে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তার গন্ধেও গা গুলিয়ে আসে। এর মাঝেই লাশ দুটির মুখের ওপর ঝুঁকে আছেন এক দন্তচিকিৎসক। মাথা উঁচিয়ে বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা দুজনই। ময়নাতদন্ত করা প্যাথলজিস্ট জানালেন, মেয়েটির মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল, আর ছেলেটিকে শ্বাসরোধ। আর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সময়ও তাঁরা জীবিতই ছিলেন।
১৯৭৬ সালের ৩ মার্চ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের ওই মর্গের স্মৃতি এখনো স্পষ্ট মনে আছে ডাচ কূটনীতিক হারম্যান নিপেনবার্গের। ৩০ বছরের চাকরি জীবনে এমন বিভীষিকাময় দৃশ্য তিনি আর কখনোই দেখেননি। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিকে খুঁজে বিচারের মুখোমুখি করতে পরবর্তী এক দশকেরও বেশি সময় কেটে যায় তাঁর। কারণ, ছেলে-মেয়ে দুটি তাঁর দেশ নেদারল্যান্ড থেকেই থাইল্যান্ডে ঘুরতে এসেছিলেন। মাসখানেক আগেই নেদারল্যান্ডস থেকে চিঠি লিখে তাঁদের খোঁজ জানতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি।
চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, এশিয়ায় ভ্রমণরত শ্যালিকা ও তাঁর প্রেমিক প্রতি সপ্তাহেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে নিজেদের পরিবারের কাছে অন্তত দুটি করে চিঠি লিখতেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁরা দুজনই চিঠি লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি ছয় সপ্তাহ কেটে গেলেও তাঁদের লেখা কোনো চিঠি পাওয়া যায়নি।
ব্যাংকক থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তরে আয়ুথায়ার কাছাকাছি একটি রাস্তায় ডাচ ব্যাকপেকার হেনরিকাস ও কর্নেলিয়ার পুড়ে যাওয়া লাশ দুটি পাওয়া গিয়েছিল। প্রথমে তাঁদের নিখোঁজ হয়ে থাকা এক অস্ট্রেলিয়ান দম্পতি ভেবেছিল সবাই। যদিও অস্ট্রেলিয়ান ওই দম্পতিকে পরে জীবিতই পাওয়া গিয়েছিল। এক দন্তচিকিৎসকের সহযোগিতায় দাঁতের চিহ্ন মিলিয়ে লাশ দুটি শেষ পর্যন্ত নিজ দেশের নিখোঁজ দুই ব্যাকপেকারের বলেই নিশ্চিত হয়েছিলেন ডাচ কূটনীতিক নিপেনবার্গ। দীর্ঘদিনের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় তিনি এটাও নিশ্চিত হয়েছিলেন, নৃশংস এই খুনের পেছনে যিনি ছিলেন তাঁর নাম চার্লস শোভরাজ!
১৯৭০-এর দশকে আজকের দিনের মতো গগনচুম্বী অট্টালিকার নগরী ছিল না ব্যাংকক। ছিল না পাতাল রেল, স্কাই-ট্রেনের মতো আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থাও। তবু প্রাচ্যে অ্যাডভেঞ্চার খুঁজে বেড়ানো পশ্চিমা তারুণ্যের কাছে থাইল্যান্ড ছিল এক স্বপ্নের জগৎ। ব্যাংককের উষ্ণ, আর্দ্র রাস্তাগুলোতে তখনো উপচে পড়ছিল পর্যটক আর ভ্রমণকারীরা। সেই আমলের মন্থর যোগাযোগব্যবস্থায় শহরের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় পৌঁছাতে লেগে যেত কয়েক ঘণ্টা।
কোনো স্মার্টফোন বা সোশ্যাল মিডিয়াও না থাকায় সেই সময়টিতে ভ্রমণকারীদের কেউ নিখোঁজ হয়ে গেলে তা অজানা থেকে যেত সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা মাস। এমন একটি শহরের কোলাহলপূর্ণ বাজার আর শান্ত মন্দিরগুলো লুকিয়ে রেখেছিল শোভরাজের মতো এক ধুরন্ধর শিকারিকেও। রঙিন চকমকে জীবনের খোলসে অনায়াসে তিনি মিশে গিয়েছিলেন শহরের প্রাণবন্ত আড্ডা, হাসি, তামাশায়। সুযোগ পেলেই ছোবল মারা ছিল তাঁর স্বভাব। সর্প স্বভাবের এই মানুষটিই পরবর্তীকালে হতে যাচ্ছিলেন বিংশ শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত এবং অধরা সিরিয়াল কিলারদের একজন।
থাইল্যান্ডে শোভরাজ নিজেও ছিলেন বিদেশি। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের সূত্রে ফরাসি নাগরিক হলেও তাঁর বাবা ছিলেন ভারতীয়, আর মা ছিলেন ভিয়েতনামি। শোভরাজের জন্মও ভিয়েতনামে, ১৯৪৪ সালে। ভিয়েতনাম ও ভারতের সংমিশ্রণ তাঁর চেহারাকে একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য দিয়েছিল। এই বৈশিষ্ট্যই তাঁকে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং সমাজের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ করে দেয়। বিশেষ করে, নারীদের সঙ্গে ভাব জমাতে পটু ছিলেন তিনি।
১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে একজন সুচতুর ঠগবাজ হিসেবে আবির্ভূত হন শোভরাজ। চুরি করা অসংখ্য পাসপোর্ট আর ছদ্মনাম ব্যবহার করে তিনি তখন ঘুরে বেড়াতেন আজ এই দেশ তো কাল ওই দেশ। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোতে তাঁর আনাগোনা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই সময়টিতে পশ্চিম থেকে প্রাচ্য আবিষ্কার করতে আসা ব্যাকপেকার তরুণ-তরুণীরাই ছিলেন তাঁর প্রধান শিকার। ভ্রমণরত মানুষের বিশ্বাস এবং সরলতার সুযোগ নিয়ে সর্বস্ব লুট করে নেওয়াই ছিল তাঁর কাজ। ব্যাকপেকারদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ গাইড কিংবা সহযাত্রী হয়ে সহজেই মিশে যেতেন তিনি। একবার তাঁর পাল্লায় পড়ে গেলে পর্যটকদের তিনি মাদকে ডুবিয়ে দিতেন। পরে সুযোগ বুঝে টাকাপয়সা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিতেন। এটা করতে গিয়ে প্রয়োজন হলে তিনি খুনের পথও বেছে নিতেন।
শোভরাজের সবচেয়ে কুখ্যাত ছদ্মনামটি ছিল অ্যালাইন গোতিয়ার। এই নামের আড়ালেই তিনি তাঁর প্রেমিকা মেরি আন্দ্রে ল্যাক্লার্ক ওরফে মনিককে নিয়ে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে একের পর এক অপারেশন চালাতেন। থাইল্যান্ডে থাকা অবস্থায় প্রায় সময়ই ব্যাংককের ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে তাঁরা শিকারকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যেতেন, কিংবা কোনো আড্ডায় আমন্ত্রণ জানাতেন। পরে শিকারের পানীয়তে মিশিয়ে দিতেন মাদকের ওভারডোজ। লুণ্ঠনের প্রমাণ মুছে দিতে শিকারকে প্রায়ই তাঁরা খুন করে গুম করে ফেলতেন। এই কাজে সহযোগিতার জন্য অজয় চৌধুরী নামে এক ভারতীয়কেও দলভুক্ত করেছিলেন শোভরাজ।
জীবনীকারদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে অন্তত ১২টি খুনের কথা শোভরাজ নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন। তাঁর এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন তেরেসা নোল্টন ও কনি জো ব্রোঞ্জিচ নামে দুই মার্কিন নারী ব্যাকপেকারও। বিকিনি পরা অবস্থায় তেরেসার মরদেহটি ভাসছিল থাইল্যান্ডের পাতায়া সমুদ্র উপকূলে। প্রথমে সবাই ভেবেছিল, হয়তো সাঁতার কাটতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছেন তেরেসা। কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে আসে শোভরাজই তাঁকে নেশাগ্রস্ত করে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। আরেক আমেরিকান ব্যাকপেকার কনি জো ব্রোঞ্জিচের পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উপকণ্ঠে। এই দুটি ছাড়াও শারমাইন ক্যারো নামে আরও এক ফরাসি নারীর হত্যাকাণ্ড ‘বিকিনি কিলার’ হিসেবে পরিচিতি দেয় শোভরাজকে। তিনি শারামাইনের আগে তাঁর তুর্কি প্রেমিককেও খুন করেছিলেন। প্রেমিকের খোঁজে থাইল্যান্ডে এসে শারমাইন নিজেও শোভরাজের শিকারে পরিণত হন। তেরেসার মতো বিকিনি পরা অবস্থায় শারমাইনের লাশটিও সমুদ্রের পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
শুধু থাইল্যান্ড আর নেপাল নয়, ভারতেও দুই পর্যটককে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন শোভরাজ। তাঁর প্রতারণার জাল বিস্তৃত ছিল মালয়েশিয়া, তুরস্ক, গ্রিস ও আফগানিস্তানেও। তবে তাঁর অহংকার এবং কুখ্যাতির আকাঙ্ক্ষা শেষ পর্যন্ত তাঁকে পতনের দিকে টেনে নিয়ে যায়। ১৯৭৬ সালে শুরু করা ডাচ কূটনীতিক হারম্যান নিপেনবার্গের তদন্তই ঠান্ডা মাথার ওই খুনিকে শনাক্ত করে। তবে অকাট্য প্রমাণ হাতে আসার পরও কর্তৃপক্ষের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে ছিলেন শোভরাজ। থাইল্যান্ডে ধরা পড়ার আগেই প্রেমিকা মনিককে নিয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং যথারীতি সেখানেও নিজের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ১৯৭৬ সালের জুলাইয়ে নয়াদিল্লিতে ফরাসি শিক্ষার্থীদের একটি দলকে মাদকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরিকল্পনাটি শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলে বিষপান ও ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভারতের পুলিশ। পরে তিহার জেলে তাঁর ১২ বছরের সাজা হয়।
কারাগারের ভেতরেও নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন কুখ্যাত এই বিকিনি কিলার। তিহার জেলে সেই সময় সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন সুনীল গুপ্ত। কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা একটি বইয়ে সুনীল জানিয়েছেন, কারাগারের ভেতর শোভরাজ এমন সব বিশেষ সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতেন, সাধারণ কর্মীদের কাছে যা ছিল অকল্পনীয়। পছন্দ অনুযায়ী খাবার তো বটেই, আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিতেন তিনি। কয়েদি হিসেবে ওয়ার্ডে থাকার কথা থাকলেও জেলের ভেতর তিনি অবাধে ঘুরে বেড়াতেন।
গুপ্তের মতে, কারাগারে থাকা ধনী কয়েদিদের সঙ্গে সখ্য এবং আইনি পরামর্শ দিয়ে অনেক অর্থ হাতিয়ে নিতেন শোভরাজ। আর এসব অর্থ রক্ষীদের ঘুষ হিসেবে দিয়ে কারাগারকে নিজের বাড়িতে পরিণত করেছিলেন তিনি। সুনীল লিখেছেন সবাই তাঁকে ভয় পেত, সমীহ করত।
১৯৮৬ সালে একবার তিনি জেল থেকেও পালাতে সক্ষম হন। তবে তা কিছু সময়ের জন্য। নিজের ইচ্ছায়ই পরে আবার ধরা পড়েছিলেন। ধুরন্ধর শোভরাজ এভাবে মূলত নিজের সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে চাইছিলেন। কারণ, ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে গেলে থাইল্যান্ডে প্রত্যর্পণ হওয়ার আশঙ্কা ছিল তাঁর। সেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল মৃত্যুদণ্ড। পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফলও হয়। জেল পালানোর অপরাধে ভারতে তাঁর সাজার মেয়াদ আরও ১০ বছর বেড়ে যায়। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ভারতের জেলেই ছিলেন। তত দিনে সংবিধান অনুযায়ী থাইল্যান্ডে তাঁর মৃত্যুদণ্ড তামাদি হয়ে গিয়েছিল।
ভারতে মুক্তির পর তাই নিজের দেশ ফ্রান্সে ফিরে যান শোভরাজ। অবাক করা বিষয় হলো, ফ্রান্সে তিনি খোলাখুলিভাবেই থাকতেন এবং অর্থের বিনিময়ে নিজের অপরাধের বর্ণনা দিয়ে নিয়মিত সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়াতেন। তবে তাঁর সেই স্বাধীনতা খুব বেশি দিন টেকেনি। কারণ, ২০০৩ সালে তিনি ভুল করে আবারও নেপালে পা রেখেছিলেন, যেখানে তিনি অন্তত দুজন পর্যটককে খুনের দায়ে ওয়ান্টেড ছিলেন। তাঁর উপস্থিতি নজর এড়ায়নি নেপাল কর্তৃপক্ষের। ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ এবং বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০২২ সালে নেপালের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার আগে আরও এক নজির গড়েন তিনি। ২০০৮ সালে নেপালের কারাগারে থাকা অবস্থায়ই ৬৪ বছর বয়সে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিজের আইনজীবীর ২০ বছর বয়সী কন্যা নিহিতা বিশ্বাসকে বিয়ে করেন তিনি। নেপালের কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় শোভরাজের অপরাধের দুনিয়ায় বিমোহিত হয়ে যায় পুরো বিশ্ব। তাঁর প্রতারণা ও খুনের গল্প নিয়ে রচিত হতে থাকে বই, তথ্যচিত্র, এমনকি পরবর্তী সময়ে ‘দ্য সার্পেন্ট’ নামে একটি হিট টিভি সিরিয়ালও নির্মিত হয় তাঁর জীবনের অনুপ্রেরণায়।
ইতিহাসের কুখ্যাত এই খুনি এখনো ফ্রান্সের মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অর্থের বিনিময়ে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। এমনকি তাঁর জীবনী লিখতে চাওয়া এক লেখককে অনুমতি দিতে সম্প্রতি দেড় মিলিয়ন ডলারও দাবি করেছেন।

দুটি লাশই বিকৃত হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে মর্গে। লাশের গন্ধ ঢাকতে যে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তার গন্ধেও গা গুলিয়ে আসে। এর মাঝেই লাশ দুটির মুখের ওপর ঝুঁকে আছেন এক দন্তচিকিৎসক। মাথা উঁচিয়ে বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা দুজনই। ময়নাতদন্ত করা প্যাথলজিস্ট জানালেন, মেয়েটির মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল, আর ছেলেটিকে শ্বাসরোধ। আর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সময়ও তাঁরা জীবিতই ছিলেন।
১৯৭৬ সালের ৩ মার্চ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের ওই মর্গের স্মৃতি এখনো স্পষ্ট মনে আছে ডাচ কূটনীতিক হারম্যান নিপেনবার্গের। ৩০ বছরের চাকরি জীবনে এমন বিভীষিকাময় দৃশ্য তিনি আর কখনোই দেখেননি। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিকে খুঁজে বিচারের মুখোমুখি করতে পরবর্তী এক দশকেরও বেশি সময় কেটে যায় তাঁর। কারণ, ছেলে-মেয়ে দুটি তাঁর দেশ নেদারল্যান্ড থেকেই থাইল্যান্ডে ঘুরতে এসেছিলেন। মাসখানেক আগেই নেদারল্যান্ডস থেকে চিঠি লিখে তাঁদের খোঁজ জানতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি।
চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, এশিয়ায় ভ্রমণরত শ্যালিকা ও তাঁর প্রেমিক প্রতি সপ্তাহেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে নিজেদের পরিবারের কাছে অন্তত দুটি করে চিঠি লিখতেন। কিন্তু হঠাৎ তাঁরা দুজনই চিঠি লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি ছয় সপ্তাহ কেটে গেলেও তাঁদের লেখা কোনো চিঠি পাওয়া যায়নি।
ব্যাংকক থেকে ৮০ কিলোমিটার উত্তরে আয়ুথায়ার কাছাকাছি একটি রাস্তায় ডাচ ব্যাকপেকার হেনরিকাস ও কর্নেলিয়ার পুড়ে যাওয়া লাশ দুটি পাওয়া গিয়েছিল। প্রথমে তাঁদের নিখোঁজ হয়ে থাকা এক অস্ট্রেলিয়ান দম্পতি ভেবেছিল সবাই। যদিও অস্ট্রেলিয়ান ওই দম্পতিকে পরে জীবিতই পাওয়া গিয়েছিল। এক দন্তচিকিৎসকের সহযোগিতায় দাঁতের চিহ্ন মিলিয়ে লাশ দুটি শেষ পর্যন্ত নিজ দেশের নিখোঁজ দুই ব্যাকপেকারের বলেই নিশ্চিত হয়েছিলেন ডাচ কূটনীতিক নিপেনবার্গ। দীর্ঘদিনের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় তিনি এটাও নিশ্চিত হয়েছিলেন, নৃশংস এই খুনের পেছনে যিনি ছিলেন তাঁর নাম চার্লস শোভরাজ!
১৯৭০-এর দশকে আজকের দিনের মতো গগনচুম্বী অট্টালিকার নগরী ছিল না ব্যাংকক। ছিল না পাতাল রেল, স্কাই-ট্রেনের মতো আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থাও। তবু প্রাচ্যে অ্যাডভেঞ্চার খুঁজে বেড়ানো পশ্চিমা তারুণ্যের কাছে থাইল্যান্ড ছিল এক স্বপ্নের জগৎ। ব্যাংককের উষ্ণ, আর্দ্র রাস্তাগুলোতে তখনো উপচে পড়ছিল পর্যটক আর ভ্রমণকারীরা। সেই আমলের মন্থর যোগাযোগব্যবস্থায় শহরের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় পৌঁছাতে লেগে যেত কয়েক ঘণ্টা।
কোনো স্মার্টফোন বা সোশ্যাল মিডিয়াও না থাকায় সেই সময়টিতে ভ্রমণকারীদের কেউ নিখোঁজ হয়ে গেলে তা অজানা থেকে যেত সপ্তাহের পর সপ্তাহ কিংবা মাস। এমন একটি শহরের কোলাহলপূর্ণ বাজার আর শান্ত মন্দিরগুলো লুকিয়ে রেখেছিল শোভরাজের মতো এক ধুরন্ধর শিকারিকেও। রঙিন চকমকে জীবনের খোলসে অনায়াসে তিনি মিশে গিয়েছিলেন শহরের প্রাণবন্ত আড্ডা, হাসি, তামাশায়। সুযোগ পেলেই ছোবল মারা ছিল তাঁর স্বভাব। সর্প স্বভাবের এই মানুষটিই পরবর্তীকালে হতে যাচ্ছিলেন বিংশ শতকের সবচেয়ে কুখ্যাত এবং অধরা সিরিয়াল কিলারদের একজন।
থাইল্যান্ডে শোভরাজ নিজেও ছিলেন বিদেশি। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের সূত্রে ফরাসি নাগরিক হলেও তাঁর বাবা ছিলেন ভারতীয়, আর মা ছিলেন ভিয়েতনামি। শোভরাজের জন্মও ভিয়েতনামে, ১৯৪৪ সালে। ভিয়েতনাম ও ভারতের সংমিশ্রণ তাঁর চেহারাকে একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য দিয়েছিল। এই বৈশিষ্ট্যই তাঁকে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং সমাজের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ করে দেয়। বিশেষ করে, নারীদের সঙ্গে ভাব জমাতে পটু ছিলেন তিনি।
১৯৭০-এর দশকের শুরুর দিকে একজন সুচতুর ঠগবাজ হিসেবে আবির্ভূত হন শোভরাজ। চুরি করা অসংখ্য পাসপোর্ট আর ছদ্মনাম ব্যবহার করে তিনি তখন ঘুরে বেড়াতেন আজ এই দেশ তো কাল ওই দেশ। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোতে তাঁর আনাগোনা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই সময়টিতে পশ্চিম থেকে প্রাচ্য আবিষ্কার করতে আসা ব্যাকপেকার তরুণ-তরুণীরাই ছিলেন তাঁর প্রধান শিকার। ভ্রমণরত মানুষের বিশ্বাস এবং সরলতার সুযোগ নিয়ে সর্বস্ব লুট করে নেওয়াই ছিল তাঁর কাজ। ব্যাকপেকারদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ গাইড কিংবা সহযাত্রী হয়ে সহজেই মিশে যেতেন তিনি। একবার তাঁর পাল্লায় পড়ে গেলে পর্যটকদের তিনি মাদকে ডুবিয়ে দিতেন। পরে সুযোগ বুঝে টাকাপয়সা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিতেন। এটা করতে গিয়ে প্রয়োজন হলে তিনি খুনের পথও বেছে নিতেন।
শোভরাজের সবচেয়ে কুখ্যাত ছদ্মনামটি ছিল অ্যালাইন গোতিয়ার। এই নামের আড়ালেই তিনি তাঁর প্রেমিকা মেরি আন্দ্রে ল্যাক্লার্ক ওরফে মনিককে নিয়ে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে একের পর এক অপারেশন চালাতেন। থাইল্যান্ডে থাকা অবস্থায় প্রায় সময়ই ব্যাংককের ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে তাঁরা শিকারকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে যেতেন, কিংবা কোনো আড্ডায় আমন্ত্রণ জানাতেন। পরে শিকারের পানীয়তে মিশিয়ে দিতেন মাদকের ওভারডোজ। লুণ্ঠনের প্রমাণ মুছে দিতে শিকারকে প্রায়ই তাঁরা খুন করে গুম করে ফেলতেন। এই কাজে সহযোগিতার জন্য অজয় চৌধুরী নামে এক ভারতীয়কেও দলভুক্ত করেছিলেন শোভরাজ।
জীবনীকারদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে অন্তত ১২টি খুনের কথা শোভরাজ নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন। তাঁর এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন তেরেসা নোল্টন ও কনি জো ব্রোঞ্জিচ নামে দুই মার্কিন নারী ব্যাকপেকারও। বিকিনি পরা অবস্থায় তেরেসার মরদেহটি ভাসছিল থাইল্যান্ডের পাতায়া সমুদ্র উপকূলে। প্রথমে সবাই ভেবেছিল, হয়তো সাঁতার কাটতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছেন তেরেসা। কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে আসে শোভরাজই তাঁকে নেশাগ্রস্ত করে পানিতে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। আরেক আমেরিকান ব্যাকপেকার কনি জো ব্রোঞ্জিচের পুড়ে যাওয়া দেহাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর উপকণ্ঠে। এই দুটি ছাড়াও শারমাইন ক্যারো নামে আরও এক ফরাসি নারীর হত্যাকাণ্ড ‘বিকিনি কিলার’ হিসেবে পরিচিতি দেয় শোভরাজকে। তিনি শারামাইনের আগে তাঁর তুর্কি প্রেমিককেও খুন করেছিলেন। প্রেমিকের খোঁজে থাইল্যান্ডে এসে শারমাইন নিজেও শোভরাজের শিকারে পরিণত হন। তেরেসার মতো বিকিনি পরা অবস্থায় শারমাইনের লাশটিও সমুদ্রের পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
শুধু থাইল্যান্ড আর নেপাল নয়, ভারতেও দুই পর্যটককে খুনের দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন শোভরাজ। তাঁর প্রতারণার জাল বিস্তৃত ছিল মালয়েশিয়া, তুরস্ক, গ্রিস ও আফগানিস্তানেও। তবে তাঁর অহংকার এবং কুখ্যাতির আকাঙ্ক্ষা শেষ পর্যন্ত তাঁকে পতনের দিকে টেনে নিয়ে যায়। ১৯৭৬ সালে শুরু করা ডাচ কূটনীতিক হারম্যান নিপেনবার্গের তদন্তই ঠান্ডা মাথার ওই খুনিকে শনাক্ত করে। তবে অকাট্য প্রমাণ হাতে আসার পরও কর্তৃপক্ষের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে ছিলেন শোভরাজ। থাইল্যান্ডে ধরা পড়ার আগেই প্রেমিকা মনিককে নিয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং যথারীতি সেখানেও নিজের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ১৯৭৬ সালের জুলাইয়ে নয়াদিল্লিতে ফরাসি শিক্ষার্থীদের একটি দলকে মাদকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট করতে চেয়েছিলেন তিনি। পরিকল্পনাটি শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলে বিষপান ও ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভারতের পুলিশ। পরে তিহার জেলে তাঁর ১২ বছরের সাজা হয়।
কারাগারের ভেতরেও নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন কুখ্যাত এই বিকিনি কিলার। তিহার জেলে সেই সময় সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন সুনীল গুপ্ত। কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা একটি বইয়ে সুনীল জানিয়েছেন, কারাগারের ভেতর শোভরাজ এমন সব বিশেষ সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতেন, সাধারণ কর্মীদের কাছে যা ছিল অকল্পনীয়। পছন্দ অনুযায়ী খাবার তো বটেই, আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিতেন তিনি। কয়েদি হিসেবে ওয়ার্ডে থাকার কথা থাকলেও জেলের ভেতর তিনি অবাধে ঘুরে বেড়াতেন।
গুপ্তের মতে, কারাগারে থাকা ধনী কয়েদিদের সঙ্গে সখ্য এবং আইনি পরামর্শ দিয়ে অনেক অর্থ হাতিয়ে নিতেন শোভরাজ। আর এসব অর্থ রক্ষীদের ঘুষ হিসেবে দিয়ে কারাগারকে নিজের বাড়িতে পরিণত করেছিলেন তিনি। সুনীল লিখেছেন সবাই তাঁকে ভয় পেত, সমীহ করত।
১৯৮৬ সালে একবার তিনি জেল থেকেও পালাতে সক্ষম হন। তবে তা কিছু সময়ের জন্য। নিজের ইচ্ছায়ই পরে আবার ধরা পড়েছিলেন। ধুরন্ধর শোভরাজ এভাবে মূলত নিজের সাজার মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে চাইছিলেন। কারণ, ভারতের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে গেলে থাইল্যান্ডে প্রত্যর্পণ হওয়ার আশঙ্কা ছিল তাঁর। সেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল মৃত্যুদণ্ড। পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফলও হয়। জেল পালানোর অপরাধে ভারতে তাঁর সাজার মেয়াদ আরও ১০ বছর বেড়ে যায়। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ভারতের জেলেই ছিলেন। তত দিনে সংবিধান অনুযায়ী থাইল্যান্ডে তাঁর মৃত্যুদণ্ড তামাদি হয়ে গিয়েছিল।
ভারতে মুক্তির পর তাই নিজের দেশ ফ্রান্সে ফিরে যান শোভরাজ। অবাক করা বিষয় হলো, ফ্রান্সে তিনি খোলাখুলিভাবেই থাকতেন এবং অর্থের বিনিময়ে নিজের অপরাধের বর্ণনা দিয়ে নিয়মিত সাক্ষাৎকার দিয়ে বেড়াতেন। তবে তাঁর সেই স্বাধীনতা খুব বেশি দিন টেকেনি। কারণ, ২০০৩ সালে তিনি ভুল করে আবারও নেপালে পা রেখেছিলেন, যেখানে তিনি অন্তত দুজন পর্যটককে খুনের দায়ে ওয়ান্টেড ছিলেন। তাঁর উপস্থিতি নজর এড়ায়নি নেপাল কর্তৃপক্ষের। ফলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ এবং বিচারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০২২ সালে নেপালের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার আগে আরও এক নজির গড়েন তিনি। ২০০৮ সালে নেপালের কারাগারে থাকা অবস্থায়ই ৬৪ বছর বয়সে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নিজের আইনজীবীর ২০ বছর বয়সী কন্যা নিহিতা বিশ্বাসকে বিয়ে করেন তিনি। নেপালের কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় শোভরাজের অপরাধের দুনিয়ায় বিমোহিত হয়ে যায় পুরো বিশ্ব। তাঁর প্রতারণা ও খুনের গল্প নিয়ে রচিত হতে থাকে বই, তথ্যচিত্র, এমনকি পরবর্তী সময়ে ‘দ্য সার্পেন্ট’ নামে একটি হিট টিভি সিরিয়ালও নির্মিত হয় তাঁর জীবনের অনুপ্রেরণায়।
ইতিহাসের কুখ্যাত এই খুনি এখনো ফ্রান্সের মুক্ত বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অর্থের বিনিময়ে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। এমনকি তাঁর জীবনী লিখতে চাওয়া এক লেখককে অনুমতি দিতে সম্প্রতি দেড় মিলিয়ন ডলারও দাবি করেছেন।

প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
৮ মিনিট আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১৩ মিনিট আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আফ্রিকায় ভেষজ চিকিৎসকেরা ক্ষত বা ব্যথা উপশমে গাছগাছড়া সংগ্রহ করছেন; চীনে আকুপাংচার বিশেষজ্ঞরা সুচ ব্যবহার করে মাইগ্রেন সারাচ্ছেন; আবার ভারতে যোগীরা ধ্যানচর্চা করছেন—এ ধরনের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো ক্রমেই কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে এবং এগুলো আরও বেশি মনোযোগ ও গবেষণার দাবি রাখে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা।
ডব্লিউএইচওর গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টারের প্রধান ডা. শ্যামা কুরুবিল্লার মতে, ঐতিহাসিকভাবে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের কারণে যেসব প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক সময় অবহেলা করা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাড়লে সেই ধারণা বদলাতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন দেশ সম্মত হয়েছে যে আগামী এক দশকের জন্য ডব্লিউএইচও একটি নতুন বৈশ্বিক প্রথাগত চিকিৎসা কৌশল গ্রহণ করবে।
এই কৌশলের লক্ষ্য—প্রমাণভিত্তিকভাবে স্বাস্থ্য ও কল্যাণে প্রথাগত, পরিপূরক ও সমন্বিত চিকিৎসার সম্ভাবনাময় অবদানকে কাজে লাগানো।
এই কৌশলের আওতায় প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য শক্তিশালী প্রমাণভিত্তি তৈরি, চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এসব পদ্ধতিকে আধুনিক জৈব-চিকিৎসাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কুরুবিল্লা বলেন, ‘এটা ভীষণ রোমাঞ্চকর। আমি বলছি না, আমরা এখনই জানি—কোনটা কাজ করে আর কোনটা করে না। তবে এ মুহূর্তে বিষয়টি জানার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
কুরুবিল্লা বলেন, শত শত বছর ধরে চলে আসা এসব পদ্ধতির মধ্যে অনেকগুলোরই বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিনোমিক্স ও মস্তিষ্ক স্ক্যানসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সেগুলো নতুনভাবে অনুসন্ধান করা সম্ভব।
তাঁর মতে, প্রথাগত চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ভালো উদাহরণ। দেশটিতে গবেষকেরা প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ ও নথিবদ্ধ করছেন এবং ভেষজ চিকিৎসাকে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। গত মে মাসে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পেশির ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কিছু রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আধুনিক ওষুধের বদলে প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।

আফ্রিকায় ভেষজ চিকিৎসকেরা ক্ষত বা ব্যথা উপশমে গাছগাছড়া সংগ্রহ করছেন; চীনে আকুপাংচার বিশেষজ্ঞরা সুচ ব্যবহার করে মাইগ্রেন সারাচ্ছেন; আবার ভারতে যোগীরা ধ্যানচর্চা করছেন—এ ধরনের প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো ক্রমেই কার্যকর প্রমাণিত হচ্ছে এবং এগুলো আরও বেশি মনোযোগ ও গবেষণার দাবি রাখে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক কর্মকর্তা।
ডব্লিউএইচওর গ্লোবাল ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন সেন্টারের প্রধান ডা. শ্যামা কুরুবিল্লার মতে, ঐতিহাসিকভাবে পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণের অভাবের কারণে যেসব প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতিকে অনেক সময় অবহেলা করা হয়েছে, আধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাড়লে সেই ধারণা বদলাতে পারে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুতে বিভিন্ন দেশ সম্মত হয়েছে যে আগামী এক দশকের জন্য ডব্লিউএইচও একটি নতুন বৈশ্বিক প্রথাগত চিকিৎসা কৌশল গ্রহণ করবে।
এই কৌশলের লক্ষ্য—প্রমাণভিত্তিকভাবে স্বাস্থ্য ও কল্যাণে প্রথাগত, পরিপূরক ও সমন্বিত চিকিৎসার সম্ভাবনাময় অবদানকে কাজে লাগানো।
এই কৌশলের আওতায় প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য শক্তিশালী প্রমাণভিত্তি তৈরি, চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ কাঠামো গড়ে তোলা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী এসব পদ্ধতিকে আধুনিক জৈব-চিকিৎসাভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কুরুবিল্লা বলেন, ‘এটা ভীষণ রোমাঞ্চকর। আমি বলছি না, আমরা এখনই জানি—কোনটা কাজ করে আর কোনটা করে না। তবে এ মুহূর্তে বিষয়টি জানার বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
কুরুবিল্লা বলেন, শত শত বছর ধরে চলে আসা এসব পদ্ধতির মধ্যে অনেকগুলোরই বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জিনোমিক্স ও মস্তিষ্ক স্ক্যানসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন সেগুলো নতুনভাবে অনুসন্ধান করা সম্ভব।
তাঁর মতে, প্রথাগত চিকিৎসা গ্রহণের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ভালো উদাহরণ। দেশটিতে গবেষকেরা প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ ও নথিবদ্ধ করছেন এবং ভেষজ চিকিৎসাকে প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। গত মে মাসে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পেশির ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কিছু রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের আধুনিক ওষুধের বদলে প্রথাগত চিকিৎসা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে।

দুটি লাশই বিকৃত হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে মর্গে। লাশের গন্ধ ঢাকতে যে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তার গন্ধেও গা গুলিয়ে আসে। এর মাঝেই লাশ দুটির মুখের ওপর ঝুঁকে আছেন এক দন্তচিকিৎসক। মাথা উঁচিয়ে বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা দুজনই।
২৮ জুন ২০২৪
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১৩ মিনিট আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ডেনমার্কের ডাক বিভাগ ৩০ ডিসেম্বর শেষবারের মতো মানুষের দোরগোড়ায় চিঠি পৌঁছে দেবে। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটতে যাচ্ছে ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্যের।
চিঠি বিতরণ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা এ বছরের শুরুর দিকে জানায় পোস্টনর্ড। ২০০৯ সালে সুইডেন ও ডেনমার্কের ডাক বিভাগ একীভূত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে।
ড্যানিশ সমাজের ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশনের কথা উল্লেখ করে তারা জানায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে ডেনমার্কের ডাক বিভাগে ১ হাজার ৫০০ কর্মী ছাঁটাই করা হবে এবং সড়ক থেকে ১ হাজার ৫০০টি লাল রঙা পোস্টবক্স সরিয়ে ফেলা হবে।
ডেনমার্ককে বিশ্বের অন্যতম ‘ডিজিটাল দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চিঠির চাহিদা সেখানে ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অন্যদিকে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়তে থাকায় তারা এখন চিঠির বদলে পার্সেল বা পণ্য বিলির দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ডেনমার্কের সড়ক থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলা এক হাজার বিশেষ পোস্টবক্স চলতি মাসের শুরুতে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হলে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো বিক্রি হয়ে যায়।
ভালো অবস্থায় থাকা পোস্টবক্সগুলো প্রতিটি ২৩৫ পাউন্ডে এবং কিছুটা পুরোনোগুলো ১৭৬ পাউন্ডে বিক্রি হয়। আগামী জানুয়ারিতে আরও ২০০টি পোস্টবক্স নিলামে তোলা হবে।
পোস্টনর্ড অবশ্য জানিয়েছে, তারা সুইডেনে চিঠি বিলি অব্যাহত রাখবে এবং ডেনমার্কের গ্রাহকদের অব্যবহৃত স্ট্যাম্পের টাকা ফেরত দেবে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের নাগরিকেরা অবশ্য চিঠি পাঠানোর সুবিধা থেকে একদম বঞ্চিত হচ্ছেন না। ‘দাও’ নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১ জানুয়ারি থেকে তাদের সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে।
এ বছর তারা প্রায় তিন কোটি চিঠি বিলি করলেও আগামী বছর তা আট কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট দাও শপে গিয়ে চিঠি দিয়ে আসতে হবে অথবা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাড়ি থেকে চিঠি সংগ্রহের অনুরোধ জানাতে হবে। এ ছাড়া ডাকমাশুল বা পোস্টেজ ফি দিতে হবে অনলাইন বা অ্যাপের মাধ্যমে।
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
মজার ব্যাপার হলো, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আবারও চিঠি লেখার আগ্রহ ফিরছে। দাওয়ের গবেষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা অন্য বয়সীদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি চিঠি পাঠাচ্ছেন।
প্রবণতা বিশ্লেষক ম্যাডস আরলিয়েন-সোবর্গ মনে করেন, ডিজিটাল জগতের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে এবং একঘেয়েমি কাটাতে তরুণেরা এখন সচেতনভাবে চিঠি লেখাকেই বেছে নিচ্ছেন।

ডেনমার্কের ডাক বিভাগ ৩০ ডিসেম্বর শেষবারের মতো মানুষের দোরগোড়ায় চিঠি পৌঁছে দেবে। আর এর মধ্য দিয়ে অবসান ঘটতে যাচ্ছে ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্যের।
চিঠি বিতরণ বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা এ বছরের শুরুর দিকে জানায় পোস্টনর্ড। ২০০৯ সালে সুইডেন ও ডেনমার্কের ডাক বিভাগ একীভূত হয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে।
ড্যানিশ সমাজের ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজেশনের কথা উল্লেখ করে তারা জানায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে ডেনমার্কের ডাক বিভাগে ১ হাজার ৫০০ কর্মী ছাঁটাই করা হবে এবং সড়ক থেকে ১ হাজার ৫০০টি লাল রঙা পোস্টবক্স সরিয়ে ফেলা হবে।
ডেনমার্ককে বিশ্বের অন্যতম ‘ডিজিটাল দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চিঠির চাহিদা সেখানে ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অন্যদিকে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বাড়তে থাকায় তারা এখন চিঠির বদলে পার্সেল বা পণ্য বিলির দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ডেনমার্কের সড়ক থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে ফেলা এক হাজার বিশেষ পোস্টবক্স চলতি মাসের শুরুতে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হলে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে সেগুলো বিক্রি হয়ে যায়।
ভালো অবস্থায় থাকা পোস্টবক্সগুলো প্রতিটি ২৩৫ পাউন্ডে এবং কিছুটা পুরোনোগুলো ১৭৬ পাউন্ডে বিক্রি হয়। আগামী জানুয়ারিতে আরও ২০০টি পোস্টবক্স নিলামে তোলা হবে।
পোস্টনর্ড অবশ্য জানিয়েছে, তারা সুইডেনে চিঠি বিলি অব্যাহত রাখবে এবং ডেনমার্কের গ্রাহকদের অব্যবহৃত স্ট্যাম্পের টাকা ফেরত দেবে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেনমার্কের নাগরিকেরা অবশ্য চিঠি পাঠানোর সুবিধা থেকে একদম বঞ্চিত হচ্ছেন না। ‘দাও’ নামের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১ জানুয়ারি থেকে তাদের সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে।
এ বছর তারা প্রায় তিন কোটি চিঠি বিলি করলেও আগামী বছর তা আট কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট দাও শপে গিয়ে চিঠি দিয়ে আসতে হবে অথবা অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাড়ি থেকে চিঠি সংগ্রহের অনুরোধ জানাতে হবে। এ ছাড়া ডাকমাশুল বা পোস্টেজ ফি দিতে হবে অনলাইন বা অ্যাপের মাধ্যমে।
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
মজার ব্যাপার হলো, গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আবারও চিঠি লেখার আগ্রহ ফিরছে। দাওয়ের গবেষণা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা অন্য বয়সীদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি চিঠি পাঠাচ্ছেন।
প্রবণতা বিশ্লেষক ম্যাডস আরলিয়েন-সোবর্গ মনে করেন, ডিজিটাল জগতের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে এবং একঘেয়েমি কাটাতে তরুণেরা এখন সচেতনভাবে চিঠি লেখাকেই বেছে নিচ্ছেন।

দুটি লাশই বিকৃত হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে মর্গে। লাশের গন্ধ ঢাকতে যে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তার গন্ধেও গা গুলিয়ে আসে। এর মাঝেই লাশ দুটির মুখের ওপর ঝুঁকে আছেন এক দন্তচিকিৎসক। মাথা উঁচিয়ে বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা দুজনই।
২৮ জুন ২০২৪
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
৮ মিনিট আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বিল ক্লিনটনের মুখপাত্র গত শুক্রবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ তুলেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইন ও ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ছবি, এমনকি সুইমিং পুলে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর কিছু স্থিরচিত্র কংগ্রেসের নির্দেশে সরকারি ফাইল হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে এই রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ।
এক্সে শেয়ার করা বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র বলেন, ‘হোয়াইট হাউস মাসের পর মাস এই ফাইলগুলো লুকিয়ে রেখে শুক্রবার রাতে বিল ক্লিনটনকে রক্ষা করার জন্য করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আসলে এরপর যা আসছে, তা থেকে নিজেদের আড়াল করার জন্যই এই আয়োজন। কিংবা তারা যা চিরতরে লুকিয়ে রাখতে চায়, তা ঢাকতেই এই চেষ্টা। সুতরাং, তারা ২০ বছরের পুরোনো যত খুশি ঝাপসা ছবি প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু এটি বিল ক্লিনটনকে নিয়ে নয়। কখনোই ছিল না, আর হবেও না।’
মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘এমনকি সুজি ওয়াইলসও বলেছিলেন, বিল ক্লিনটন সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল ছিলেন।’ এখানে তিনি ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফের মন্তব্যের কথা বুঝিয়েছেন। সেই মন্তব্যে ওয়াইলস স্বীকার করেছিলেন, ট্রাম্প বারবার দাবি করলেও ক্লিনটন কখনোই এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে যাননি।
ক্লিনটন দীর্ঘকাল ধরেই দাবি করে আসছেন, ২০০৫ সালের দিকেই তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ফ্লোরিডায় এক অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌনকাজে প্ররোচিত করার দায়ে এপস্টেইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই ক্লিনটন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে। প্রথম দল যারা কিছুই জানত না এবং এপস্টেইনের অপরাধ সামনে আসার আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। দ্বিতীয় দল যারা তাঁর অপরাধ জানার পরও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমরা প্রথম দলে আছি। দ্বিতীয় দলের লোকজন সময়ক্ষেপণ করে সত্য বদলাতে পারবে না। সবাই, বিশেষ করে মাগা সমর্থকেরা উত্তর চায়, বলির পাঁঠা নয়।’
গত শুক্রবার প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, ক্লিনটন একটি ভূগর্ভস্থ সুইমিং পুলে ম্যাক্সওয়েল ও মুখমণ্ডল অস্পষ্ট করা এক নারীর সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া মিক জ্যাগার, এপস্টেইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজেও তাঁকে দেখা গেছে। সুইমিং পুলে ক্লিনটনের ওই ছবি পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্সে পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ওহ মাই গড!’ সঙ্গে ছিল একটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার ইমোজি।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং এক পোস্টে লেখেন, ‘স্লিক উইলি! বিল ক্লিনটন কেবল চিল করছেন, দুনিয়ার কোনো চিন্তা নেই। তিনি কি তখন জানতেন...।’
সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সির শুরুর বছরগুলোতে এপস্টেইন অন্তত ১৭ বার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর ক্লিনটন এপস্টেইনের ব্যক্তিগত জেটে চড়ে এশিয়া ও আফ্রিকা সফর করেন, যা ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এপস্টেইনকাণ্ডে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার ক্লিনটন ও এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত মাসে তিনি বিচার বিভাগ ও এফবিআইকে ‘জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিনটনের সম্পৃক্ততা ও সম্পর্ক তদন্ত’ করার আহ্বান জানান। মূলত এপস্টেইন কেলেঙ্কারিকে কেবল ডেমোক্র্যাটদের সমস্যা হিসেবে তুলে ধরার দীর্ঘকালীন প্রচারণার অংশ এটি।
বিচার বিভাগের এই ছবি প্রকাশের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে এপস্টেইনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে হাউস ওভারসাইট কমিটির কাছে জবানবন্দি দিতে হবে।
জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল গত সপ্তাহে, তবে তা পিছিয়ে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পলিটিকো জানিয়েছে, কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কোমার হুমকি দিয়েছেন, এই দম্পতি যদি নির্দিষ্ট তারিখে জবানবন্দি না দেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ক্লিনটনকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, বিল ক্লিনটনের মুখপাত্র গত শুক্রবার গভীর রাতে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে তাঁকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানোর অভিযোগ তুলেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইন ও ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের ছবি, এমনকি সুইমিং পুলে এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর কিছু স্থিরচিত্র কংগ্রেসের নির্দেশে সরকারি ফাইল হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরই শুরু হয়েছে এই রাজনৈতিক বাগ্যুদ্ধ।
এক্সে শেয়ার করা বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র বলেন, ‘হোয়াইট হাউস মাসের পর মাস এই ফাইলগুলো লুকিয়ে রেখে শুক্রবার রাতে বিল ক্লিনটনকে রক্ষা করার জন্য করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আসলে এরপর যা আসছে, তা থেকে নিজেদের আড়াল করার জন্যই এই আয়োজন। কিংবা তারা যা চিরতরে লুকিয়ে রাখতে চায়, তা ঢাকতেই এই চেষ্টা। সুতরাং, তারা ২০ বছরের পুরোনো যত খুশি ঝাপসা ছবি প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু এটি বিল ক্লিনটনকে নিয়ে নয়। কখনোই ছিল না, আর হবেও না।’
মুখপাত্র আরও উল্লেখ করেন, ‘এমনকি সুজি ওয়াইলসও বলেছিলেন, বিল ক্লিনটন সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভুল ছিলেন।’ এখানে তিনি ভ্যানিটি ফেয়ারকে দেওয়া হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফের মন্তব্যের কথা বুঝিয়েছেন। সেই মন্তব্যে ওয়াইলস স্বীকার করেছিলেন, ট্রাম্প বারবার দাবি করলেও ক্লিনটন কখনোই এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে যাননি।
ক্লিনটন দীর্ঘকাল ধরেই দাবি করে আসছেন, ২০০৫ সালের দিকেই তিনি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ফ্লোরিডায় এক অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌনকাজে প্ররোচিত করার দায়ে এপস্টেইন দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই ক্লিনটন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
বিবৃতিতে ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা বলেন, ‘এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে। প্রথম দল যারা কিছুই জানত না এবং এপস্টেইনের অপরাধ সামনে আসার আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। দ্বিতীয় দল যারা তাঁর অপরাধ জানার পরও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আমরা প্রথম দলে আছি। দ্বিতীয় দলের লোকজন সময়ক্ষেপণ করে সত্য বদলাতে পারবে না। সবাই, বিশেষ করে মাগা সমর্থকেরা উত্তর চায়, বলির পাঁঠা নয়।’
গত শুক্রবার প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, ক্লিনটন একটি ভূগর্ভস্থ সুইমিং পুলে ম্যাক্সওয়েল ও মুখমণ্ডল অস্পষ্ট করা এক নারীর সঙ্গে রয়েছেন। এ ছাড়া মিক জ্যাগার, এপস্টেইন ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি নৈশভোজেও তাঁকে দেখা গেছে। সুইমিং পুলে ক্লিনটনের ওই ছবি পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্সে পোস্ট করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘ওহ মাই গড!’ সঙ্গে ছিল একটি লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার ইমোজি।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চুং এক পোস্টে লেখেন, ‘স্লিক উইলি! বিল ক্লিনটন কেবল চিল করছেন, দুনিয়ার কোনো চিন্তা নেই। তিনি কি তখন জানতেন...।’
সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সির শুরুর বছরগুলোতে এপস্টেইন অন্তত ১৭ বার হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন। ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর ক্লিনটন এপস্টেইনের ব্যক্তিগত জেটে চড়ে এশিয়া ও আফ্রিকা সফর করেন, যা ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এপস্টেইনকাণ্ডে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।
কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার ক্লিনটন ও এপস্টেইনের সম্পর্ক নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। গত মাসে তিনি বিচার বিভাগ ও এফবিআইকে ‘জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিনটনের সম্পৃক্ততা ও সম্পর্ক তদন্ত’ করার আহ্বান জানান। মূলত এপস্টেইন কেলেঙ্কারিকে কেবল ডেমোক্র্যাটদের সমস্যা হিসেবে তুলে ধরার দীর্ঘকালীন প্রচারণার অংশ এটি।
বিচার বিভাগের এই ছবি প্রকাশের ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে এপস্টেইনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের বিষয়ে হাউস ওভারসাইট কমিটির কাছে জবানবন্দি দিতে হবে।
জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল গত সপ্তাহে, তবে তা পিছিয়ে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পলিটিকো জানিয়েছে, কমিটির চেয়ারম্যান জেমস কোমার হুমকি দিয়েছেন, এই দম্পতি যদি নির্দিষ্ট তারিখে জবানবন্দি না দেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুটি লাশই বিকৃত হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে মর্গে। লাশের গন্ধ ঢাকতে যে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তার গন্ধেও গা গুলিয়ে আসে। এর মাঝেই লাশ দুটির মুখের ওপর ঝুঁকে আছেন এক দন্তচিকিৎসক। মাথা উঁচিয়ে বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা দুজনই।
২৮ জুন ২০২৪
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
৮ মিনিট আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১৩ মিনিট আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ প্রথমে ১০ জন নিহতের কথা বললেও পরে সংখ্যাটি সংশোধন করে ৯ জনের কথা জানায়। জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বেকার্সডাল এলাকায় এই হামলার উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা রাস্তায় সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হামলাকারীরা দুটি গাড়িতে করে এসে প্রথমে একটি পানশালার ক্রেতাদের ওপর গুলি ছোড়ে এবং পালানোর সময়ও পথে যাকে পেয়েছে, তাকেই লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
প্রাদেশিক পুলিশের কমিশনার মেজর জেনারেল ফ্রেড কেকানা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনলাইন গাড়ি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন চালকও রয়েছেন, যিনি ওই সময় পানশালার বাইরে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বড় কয়েকটি সোনার খনির কাছে দরিদ্র এলাকা বেকার্সডালের একটি অনানুষ্ঠানিক পানশালার পাশে এই গুলির ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমানে সংগঠিত অপরাধী চক্র এবং দুর্নীতির এক ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে গোলাগুলি এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত গ্যাংস্টারদের সংঘাত এবং অনানুষ্ঠানিক ব্যবসাগুলোর মধ্যকার প্রতিযোগিতার কারণেই এই সহিংসতা বাড়ছে, যা দেশটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ খুনের হারের তালিকায় ঠেলে দিয়েছে।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর রাজধানী প্রিটোরিয়ার কাছে একটি হোটেলে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে তিন বছরের এক শিশুসহ ১২ জনকে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্থানে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা হতো। সে সময় পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার আথলেন্দা ম্যাথে বলেন, ‘ওই হোটেলে একদল লোক মদ্যপান করছিল। হঠাৎ তিনজন অজ্ঞাত বন্দুকধারী সেখানে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।’
তিনি নিশ্চিত করেন, ২৫ জনকে গুলি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই ১০ জন এবং হাসপাতালে আরও একজন মারা যায়। আহত ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে এবং ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের উপকণ্ঠে একটি এলাকায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। চলতি ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় এটি দ্বিতীয় বড় ধরনের গোলাগুলির ঘটনা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ প্রথমে ১০ জন নিহতের কথা বললেও পরে সংখ্যাটি সংশোধন করে ৯ জনের কথা জানায়। জোহানেসবার্গ থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বেকার্সডাল এলাকায় এই হামলার উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা রাস্তায় সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচার গুলি চালিয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হামলাকারীরা দুটি গাড়িতে করে এসে প্রথমে একটি পানশালার ক্রেতাদের ওপর গুলি ছোড়ে এবং পালানোর সময়ও পথে যাকে পেয়েছে, তাকেই লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
প্রাদেশিক পুলিশের কমিশনার মেজর জেনারেল ফ্রেড কেকানা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনলাইন গাড়ি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন চালকও রয়েছেন, যিনি ওই সময় পানশালার বাইরে অবস্থান করছিলেন। পুলিশ জানায়, হামলাকারীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বড় কয়েকটি সোনার খনির কাছে দরিদ্র এলাকা বেকার্সডালের একটি অনানুষ্ঠানিক পানশালার পাশে এই গুলির ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা বর্তমানে সংগঠিত অপরাধী চক্র এবং দুর্নীতির এক ভয়াবহ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে গোলাগুলি এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত গ্যাংস্টারদের সংঘাত এবং অনানুষ্ঠানিক ব্যবসাগুলোর মধ্যকার প্রতিযোগিতার কারণেই এই সহিংসতা বাড়ছে, যা দেশটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ খুনের হারের তালিকায় ঠেলে দিয়েছে।
এর আগে ৬ ডিসেম্বর রাজধানী প্রিটোরিয়ার কাছে একটি হোটেলে বন্দুকধারীরা হামলা চালিয়ে তিন বছরের এক শিশুসহ ১২ জনকে হত্যা করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্থানে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করা হতো। সে সময় পুলিশের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার আথলেন্দা ম্যাথে বলেন, ‘ওই হোটেলে একদল লোক মদ্যপান করছিল। হঠাৎ তিনজন অজ্ঞাত বন্দুকধারী সেখানে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।’
তিনি নিশ্চিত করেন, ২৫ জনকে গুলি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই ১০ জন এবং হাসপাতালে আরও একজন মারা যায়। আহত ১৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে এবং ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে।

দুটি লাশই বিকৃত হয়ে গেছে। পাশাপাশি রাখা হয়েছে মর্গে। লাশের গন্ধ ঢাকতে যে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, তার গন্ধেও গা গুলিয়ে আসে। এর মাঝেই লাশ দুটির মুখের ওপর ঝুঁকে আছেন এক দন্তচিকিৎসক। মাথা উঁচিয়ে বললেন, হ্যাঁ, তাঁরা দুজনই।
২৮ জুন ২০২৪
প্রথাগত চিকিৎসা বলতে এমন স্বাস্থ্য ও সুস্থতার ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেগুলোর উদ্ভব আধুনিক বায়োমেডিসিনের আগেই হয়েছে। এসব চিকিৎসা পদ্ধতির ধরন নানাবিধ—ভেষজ চা থেকে শুরু করে ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাব্যবস্থা পর্যন্ত।
৮ মিনিট আগে
১৬২৪ সাল থেকে ডেনমার্কে রাষ্ট্রীয়ভাবে চিঠি বিলি করা হচ্ছে। তবে গত ২৫ বছরে দেশটিতে চিঠি পাঠানোর হার ৯০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
১৩ মিনিট আগে
দণ্ডপ্রাপ্ত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র মার্কিন রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল তুলেছে। এই ফাইলের সঙ্গে নাম এসেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনেরও। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর মুখপাত্র বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন
১ ঘণ্টা আগে