আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিগত কয়েক বছরে জাপানে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ‘ইঞ্জিনিয়ার, মানবিকতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক সেবা’—এসব বিষয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে ভিসার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিক আসছেন। গত এক দশকে এ ধরনের শ্রমিকের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ৪ লাখের বেশি হয়েছে। জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ব্যবসা ব্যবস্থাপক, প্রকৌশলী ও দোভাষীর মতো পেশার জন্য প্রযোজ্য এ ভিসায় আবেদনকারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অথবা কমপক্ষে ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
নাগোয়া সিটির যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাকাসাগো ফ্লুইডিক সিস্টেমস ১২ জন বিদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মহাকাশ, কোষ সংস্কৃতি এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ভালভ, পাম্প ও তরল সিস্টেম তৈরি করে।
যন্ত্র প্রকৌশলের শিক্ষার্থী ভিয়েতনামের এনগুয়েন ডাং জুং এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং রকেটের জন্য সুনির্দিষ্ট যন্ত্রাংশ তৈরি করতে মেশিন প্রোগ্রামিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, জাপানি প্রযুক্তি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এটি একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা।
তাকাসাগো ফ্লুইডিক সিস্টেমস বলছে, এনগুয়েনের মতো কর্মীদের নিয়োগের ফলে তাঁরাও উপকৃত হচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ কর্মকর্তা নাকানো সাকি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের মানুষকে নিয়োগের মাধ্যমে আমরা বিদেশি বাজার সম্পর্কে জানতে পারি এবং সেই জ্ঞান ব্যবহার করে বৈশ্বিকভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণ করতে পারি।’
তবে এনগুয়েন তাঁর কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও অনেক ভিয়েতনামি শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, তাঁরা জাপানে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
গত ডিসেম্বরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এসব সমস্যার কিছু অংশ উঠে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ভিয়েতনামি শ্রমিকেরা একটি এজেন্সির কাছে তাঁদের বকেয়া মজুরির জন্য দাবি জানাচ্ছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, তাদের এমন কাজে বাধ্য করা হয়েছে, যা আবাসিক মর্যাদার শর্ত পূরণ করে না।
এই ভিসা ক্যাটাগরিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সমস্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে টোকিওভিত্তিক অ-লাভজনক সংস্থা জাপান ভিয়েতনাম তমোইকি অ্যাসোসিয়েশন। এই সংস্থা ভিয়েতনামি শ্রমিকদের সহায়তা করে।
সংস্থাটির প্রতিনিধি পরিচালক ইয়োশিমিজু জিহো বলেন, ‘এত কম বয়সী মানুষের আমাদের কাছে এসে কাজ হারানোর পর সাহায্য চাইতে দেখে আমি অবাক হয়েছি।’
ভিসার শর্ত ও প্রকৃত কাজের মধ্যে অসামঞ্জস্যতাও সমস্যা সৃষ্টি করেছে বলে জানান তিনি।
সংস্থার এক গ্রাহক দক্ষ কর্মী হিসেবে ভিয়েতনাম থেকে জাপানে আসেন। তিনি একজন দালালকে কমিশন ফি হিসেবে ৭ হাজার ডলারের বেশি পরিশোধ করেন। গ্রাহকের দাবি, যে প্রতিষ্ঠান তাঁকে নিয়োগ দিয়েছিল, তারা রেস্টুরেন্ট ও হোটেল পরিষ্কার করার কাজ করায়। এরপর কোনো কাজ না দিয়ে তাঁকে একপ্রকার বেকার অবস্থায় রেখে দেয়। এতে তাঁর আর নিজেকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।
ইয়োশিমিজু বলেন, ‘এধরনের কাজ টেকনিক্যাল ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় জাপানে আসা লোকদের দ্বারা করা উচিত। দক্ষ কর্মী ভিসাধারীদের দ্বারা নয়।’
অবৈধভাবে এই ভিসায় ওই লোকদের আনা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ইয়োশিমিজু আরও বলেন, ‘এই ভিসাধারীদের জন্য যথাযথ সহায়তার ব্যবস্থা নেই। এই ভিসা ক্যাটাগরিতে উচ্চ ভাষাগত দক্ষতার প্রয়োজন হয় না, ফলে কেউ কেউ জাপানি ভাষা একেবারেই বলতে পারেন না।’
গত মার্চে ৩৩ বছর বয়সী এক ভিয়েতনামি ইয়োশিমিজুর কাছে আসেন। তিনি চাকরি হারানোর এবং তিন মাস বেতন না পাওয়ার কথা জানান।
ইয়োশিমিজু তাঁকে পরামর্শ দেন ভিসার ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে নতুন কাজ খুঁজতে, কারণ তাঁর জাপানি ভাষা দক্ষতা নেই। তবে তিনি এই পরিবর্তনে অনিচ্ছুক। তাঁর মতে, দক্ষ কর্মী ভিসা তাঁর স্ত্রীকে জাপানে তাঁর সঙ্গে থাকার সুযোগ দেয়, যা অন্য ভিসা ক্যাটাগরিতে সম্ভব নয়।
ওই কর্মী বলেন, ‘আমি এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছি না। আমার কেবল একটা চাকরি দরকার। কেউ যদি আমাকে নিয়োগ দেয়, আমি যেকোনো কাজ করব।’
ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা অনেক সমস্যার মূল কারণ বলে মনে করেন ইয়োশিমিজু। তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি, তাদের অনেকেই একেবারেই জাপানি বলতে পারে না। কিছু প্রতিষ্ঠান এই দুর্বলতার সুযোগ নেয়। কারণ কর্মী ভিসা ব্যবস্থায় তাদের সহায়তার জন্য কোনো জায়গা নেই। যদি কিছু ঘটে, তা বড় সমস্যায় রূপ নেয়।’
একজন বিশেষজ্ঞের মতে, সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে কঠোর নিয়মকানুন আরোপ করার পর থেকে দক্ষ কর্মী ভিসাধারীদের মধ্যে সমস্যা বাড়ছে। কিছু প্রতিষ্ঠান তাঁদের কাজের শূন্যতা পূরণের জন্য দক্ষ কর্মী ভিসা ক্যাটাগরির দিকে ঝুঁকেছে।
বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থান সমস্যা নিয়ে অভিজ্ঞ পরামর্শক ইকেবে শোইচিরো বলেন, শ্রমিক সংকটে থাকা কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দক্ষ কর্মী ভিসা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর কাজে লাগাচ্ছে। কিছু ভিয়েতনামি শ্রমিক এই ভিসা ক্যাটাগরিতে আসতে দালালকে উচ্চ কমিশন ফি দিয়েছেন, কিন্তু পরে তাঁদের দক্ষতার বাইরে অন্য কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে।
ইকেবে আরও বলেন, ‘বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য এই ভিসা ক্যাটাগরি নতুন একটি বিকল্প হয়ে উঠেছে। এটি আবেদন করার ক্ষেত্রে সহজ এবং তদারকি কম।’
জাপান ইমিগ্রেশন সার্ভিস এজেন্সি বলেছে, বকেয়া বেতন এবং কাজের অমিলের মতো সমস্যাগুলো জানেন তারা। নিয়ম ভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে অনসাইট পরিদর্শনের মতো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
জাপান যখন শ্রমসংকট মোকাবিলায় আরও বিদেশি কর্মীদের সুযোগ দিচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কর্মীর জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকা জরুরি। তাঁদের মতে, দেশের বর্তমান ভিসা-ব্যবস্থার ওপর আরও তদারকি প্রয়োজন।

বিগত কয়েক বছরে জাপানে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ‘ইঞ্জিনিয়ার, মানবিকতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক সেবা’—এসব বিষয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে ভিসার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিক আসছেন। গত এক দশকে এ ধরনের শ্রমিকের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ৪ লাখের বেশি হয়েছে। জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ব্যবসা ব্যবস্থাপক, প্রকৌশলী ও দোভাষীর মতো পেশার জন্য প্রযোজ্য এ ভিসায় আবেদনকারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অথবা কমপক্ষে ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
নাগোয়া সিটির যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাকাসাগো ফ্লুইডিক সিস্টেমস ১২ জন বিদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মহাকাশ, কোষ সংস্কৃতি এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ভালভ, পাম্প ও তরল সিস্টেম তৈরি করে।
যন্ত্র প্রকৌশলের শিক্ষার্থী ভিয়েতনামের এনগুয়েন ডাং জুং এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং রকেটের জন্য সুনির্দিষ্ট যন্ত্রাংশ তৈরি করতে মেশিন প্রোগ্রামিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, জাপানি প্রযুক্তি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এটি একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা।
তাকাসাগো ফ্লুইডিক সিস্টেমস বলছে, এনগুয়েনের মতো কর্মীদের নিয়োগের ফলে তাঁরাও উপকৃত হচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ কর্মকর্তা নাকানো সাকি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের মানুষকে নিয়োগের মাধ্যমে আমরা বিদেশি বাজার সম্পর্কে জানতে পারি এবং সেই জ্ঞান ব্যবহার করে বৈশ্বিকভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণ করতে পারি।’
তবে এনগুয়েন তাঁর কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও অনেক ভিয়েতনামি শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, তাঁরা জাপানে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
গত ডিসেম্বরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এসব সমস্যার কিছু অংশ উঠে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ভিয়েতনামি শ্রমিকেরা একটি এজেন্সির কাছে তাঁদের বকেয়া মজুরির জন্য দাবি জানাচ্ছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, তাদের এমন কাজে বাধ্য করা হয়েছে, যা আবাসিক মর্যাদার শর্ত পূরণ করে না।
এই ভিসা ক্যাটাগরিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সমস্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে টোকিওভিত্তিক অ-লাভজনক সংস্থা জাপান ভিয়েতনাম তমোইকি অ্যাসোসিয়েশন। এই সংস্থা ভিয়েতনামি শ্রমিকদের সহায়তা করে।
সংস্থাটির প্রতিনিধি পরিচালক ইয়োশিমিজু জিহো বলেন, ‘এত কম বয়সী মানুষের আমাদের কাছে এসে কাজ হারানোর পর সাহায্য চাইতে দেখে আমি অবাক হয়েছি।’
ভিসার শর্ত ও প্রকৃত কাজের মধ্যে অসামঞ্জস্যতাও সমস্যা সৃষ্টি করেছে বলে জানান তিনি।
সংস্থার এক গ্রাহক দক্ষ কর্মী হিসেবে ভিয়েতনাম থেকে জাপানে আসেন। তিনি একজন দালালকে কমিশন ফি হিসেবে ৭ হাজার ডলারের বেশি পরিশোধ করেন। গ্রাহকের দাবি, যে প্রতিষ্ঠান তাঁকে নিয়োগ দিয়েছিল, তারা রেস্টুরেন্ট ও হোটেল পরিষ্কার করার কাজ করায়। এরপর কোনো কাজ না দিয়ে তাঁকে একপ্রকার বেকার অবস্থায় রেখে দেয়। এতে তাঁর আর নিজেকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।
ইয়োশিমিজু বলেন, ‘এধরনের কাজ টেকনিক্যাল ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় জাপানে আসা লোকদের দ্বারা করা উচিত। দক্ষ কর্মী ভিসাধারীদের দ্বারা নয়।’
অবৈধভাবে এই ভিসায় ওই লোকদের আনা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ইয়োশিমিজু আরও বলেন, ‘এই ভিসাধারীদের জন্য যথাযথ সহায়তার ব্যবস্থা নেই। এই ভিসা ক্যাটাগরিতে উচ্চ ভাষাগত দক্ষতার প্রয়োজন হয় না, ফলে কেউ কেউ জাপানি ভাষা একেবারেই বলতে পারেন না।’
গত মার্চে ৩৩ বছর বয়সী এক ভিয়েতনামি ইয়োশিমিজুর কাছে আসেন। তিনি চাকরি হারানোর এবং তিন মাস বেতন না পাওয়ার কথা জানান।
ইয়োশিমিজু তাঁকে পরামর্শ দেন ভিসার ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে নতুন কাজ খুঁজতে, কারণ তাঁর জাপানি ভাষা দক্ষতা নেই। তবে তিনি এই পরিবর্তনে অনিচ্ছুক। তাঁর মতে, দক্ষ কর্মী ভিসা তাঁর স্ত্রীকে জাপানে তাঁর সঙ্গে থাকার সুযোগ দেয়, যা অন্য ভিসা ক্যাটাগরিতে সম্ভব নয়।
ওই কর্মী বলেন, ‘আমি এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছি না। আমার কেবল একটা চাকরি দরকার। কেউ যদি আমাকে নিয়োগ দেয়, আমি যেকোনো কাজ করব।’
ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা অনেক সমস্যার মূল কারণ বলে মনে করেন ইয়োশিমিজু। তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি, তাদের অনেকেই একেবারেই জাপানি বলতে পারে না। কিছু প্রতিষ্ঠান এই দুর্বলতার সুযোগ নেয়। কারণ কর্মী ভিসা ব্যবস্থায় তাদের সহায়তার জন্য কোনো জায়গা নেই। যদি কিছু ঘটে, তা বড় সমস্যায় রূপ নেয়।’
একজন বিশেষজ্ঞের মতে, সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে কঠোর নিয়মকানুন আরোপ করার পর থেকে দক্ষ কর্মী ভিসাধারীদের মধ্যে সমস্যা বাড়ছে। কিছু প্রতিষ্ঠান তাঁদের কাজের শূন্যতা পূরণের জন্য দক্ষ কর্মী ভিসা ক্যাটাগরির দিকে ঝুঁকেছে।
বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থান সমস্যা নিয়ে অভিজ্ঞ পরামর্শক ইকেবে শোইচিরো বলেন, শ্রমিক সংকটে থাকা কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দক্ষ কর্মী ভিসা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর কাজে লাগাচ্ছে। কিছু ভিয়েতনামি শ্রমিক এই ভিসা ক্যাটাগরিতে আসতে দালালকে উচ্চ কমিশন ফি দিয়েছেন, কিন্তু পরে তাঁদের দক্ষতার বাইরে অন্য কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে।
ইকেবে আরও বলেন, ‘বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য এই ভিসা ক্যাটাগরি নতুন একটি বিকল্প হয়ে উঠেছে। এটি আবেদন করার ক্ষেত্রে সহজ এবং তদারকি কম।’
জাপান ইমিগ্রেশন সার্ভিস এজেন্সি বলেছে, বকেয়া বেতন এবং কাজের অমিলের মতো সমস্যাগুলো জানেন তারা। নিয়ম ভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে অনসাইট পরিদর্শনের মতো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
জাপান যখন শ্রমসংকট মোকাবিলায় আরও বিদেশি কর্মীদের সুযোগ দিচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কর্মীর জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকা জরুরি। তাঁদের মতে, দেশের বর্তমান ভিসা-ব্যবস্থার ওপর আরও তদারকি প্রয়োজন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিগত কয়েক বছরে জাপানে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ‘ইঞ্জিনিয়ার, মানবিকতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক সেবা’—এসব বিষয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে ভিসার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিক আসছেন। গত এক দশকে এ ধরনের শ্রমিকের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ৪ লাখের বেশি হয়েছে। জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ব্যবসা ব্যবস্থাপক, প্রকৌশলী ও দোভাষীর মতো পেশার জন্য প্রযোজ্য এ ভিসায় আবেদনকারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অথবা কমপক্ষে ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
নাগোয়া সিটির যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাকাসাগো ফ্লুইডিক সিস্টেমস ১২ জন বিদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মহাকাশ, কোষ সংস্কৃতি এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ভালভ, পাম্প ও তরল সিস্টেম তৈরি করে।
যন্ত্র প্রকৌশলের শিক্ষার্থী ভিয়েতনামের এনগুয়েন ডাং জুং এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং রকেটের জন্য সুনির্দিষ্ট যন্ত্রাংশ তৈরি করতে মেশিন প্রোগ্রামিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, জাপানি প্রযুক্তি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এটি একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা।
তাকাসাগো ফ্লুইডিক সিস্টেমস বলছে, এনগুয়েনের মতো কর্মীদের নিয়োগের ফলে তাঁরাও উপকৃত হচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ কর্মকর্তা নাকানো সাকি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের মানুষকে নিয়োগের মাধ্যমে আমরা বিদেশি বাজার সম্পর্কে জানতে পারি এবং সেই জ্ঞান ব্যবহার করে বৈশ্বিকভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণ করতে পারি।’
তবে এনগুয়েন তাঁর কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও অনেক ভিয়েতনামি শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, তাঁরা জাপানে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
গত ডিসেম্বরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এসব সমস্যার কিছু অংশ উঠে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ভিয়েতনামি শ্রমিকেরা একটি এজেন্সির কাছে তাঁদের বকেয়া মজুরির জন্য দাবি জানাচ্ছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, তাদের এমন কাজে বাধ্য করা হয়েছে, যা আবাসিক মর্যাদার শর্ত পূরণ করে না।
এই ভিসা ক্যাটাগরিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সমস্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে টোকিওভিত্তিক অ-লাভজনক সংস্থা জাপান ভিয়েতনাম তমোইকি অ্যাসোসিয়েশন। এই সংস্থা ভিয়েতনামি শ্রমিকদের সহায়তা করে।
সংস্থাটির প্রতিনিধি পরিচালক ইয়োশিমিজু জিহো বলেন, ‘এত কম বয়সী মানুষের আমাদের কাছে এসে কাজ হারানোর পর সাহায্য চাইতে দেখে আমি অবাক হয়েছি।’
ভিসার শর্ত ও প্রকৃত কাজের মধ্যে অসামঞ্জস্যতাও সমস্যা সৃষ্টি করেছে বলে জানান তিনি।
সংস্থার এক গ্রাহক দক্ষ কর্মী হিসেবে ভিয়েতনাম থেকে জাপানে আসেন। তিনি একজন দালালকে কমিশন ফি হিসেবে ৭ হাজার ডলারের বেশি পরিশোধ করেন। গ্রাহকের দাবি, যে প্রতিষ্ঠান তাঁকে নিয়োগ দিয়েছিল, তারা রেস্টুরেন্ট ও হোটেল পরিষ্কার করার কাজ করায়। এরপর কোনো কাজ না দিয়ে তাঁকে একপ্রকার বেকার অবস্থায় রেখে দেয়। এতে তাঁর আর নিজেকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।
ইয়োশিমিজু বলেন, ‘এধরনের কাজ টেকনিক্যাল ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় জাপানে আসা লোকদের দ্বারা করা উচিত। দক্ষ কর্মী ভিসাধারীদের দ্বারা নয়।’
অবৈধভাবে এই ভিসায় ওই লোকদের আনা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ইয়োশিমিজু আরও বলেন, ‘এই ভিসাধারীদের জন্য যথাযথ সহায়তার ব্যবস্থা নেই। এই ভিসা ক্যাটাগরিতে উচ্চ ভাষাগত দক্ষতার প্রয়োজন হয় না, ফলে কেউ কেউ জাপানি ভাষা একেবারেই বলতে পারেন না।’
গত মার্চে ৩৩ বছর বয়সী এক ভিয়েতনামি ইয়োশিমিজুর কাছে আসেন। তিনি চাকরি হারানোর এবং তিন মাস বেতন না পাওয়ার কথা জানান।
ইয়োশিমিজু তাঁকে পরামর্শ দেন ভিসার ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে নতুন কাজ খুঁজতে, কারণ তাঁর জাপানি ভাষা দক্ষতা নেই। তবে তিনি এই পরিবর্তনে অনিচ্ছুক। তাঁর মতে, দক্ষ কর্মী ভিসা তাঁর স্ত্রীকে জাপানে তাঁর সঙ্গে থাকার সুযোগ দেয়, যা অন্য ভিসা ক্যাটাগরিতে সম্ভব নয়।
ওই কর্মী বলেন, ‘আমি এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছি না। আমার কেবল একটা চাকরি দরকার। কেউ যদি আমাকে নিয়োগ দেয়, আমি যেকোনো কাজ করব।’
ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা অনেক সমস্যার মূল কারণ বলে মনে করেন ইয়োশিমিজু। তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি, তাদের অনেকেই একেবারেই জাপানি বলতে পারে না। কিছু প্রতিষ্ঠান এই দুর্বলতার সুযোগ নেয়। কারণ কর্মী ভিসা ব্যবস্থায় তাদের সহায়তার জন্য কোনো জায়গা নেই। যদি কিছু ঘটে, তা বড় সমস্যায় রূপ নেয়।’
একজন বিশেষজ্ঞের মতে, সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে কঠোর নিয়মকানুন আরোপ করার পর থেকে দক্ষ কর্মী ভিসাধারীদের মধ্যে সমস্যা বাড়ছে। কিছু প্রতিষ্ঠান তাঁদের কাজের শূন্যতা পূরণের জন্য দক্ষ কর্মী ভিসা ক্যাটাগরির দিকে ঝুঁকেছে।
বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থান সমস্যা নিয়ে অভিজ্ঞ পরামর্শক ইকেবে শোইচিরো বলেন, শ্রমিক সংকটে থাকা কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দক্ষ কর্মী ভিসা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর কাজে লাগাচ্ছে। কিছু ভিয়েতনামি শ্রমিক এই ভিসা ক্যাটাগরিতে আসতে দালালকে উচ্চ কমিশন ফি দিয়েছেন, কিন্তু পরে তাঁদের দক্ষতার বাইরে অন্য কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে।
ইকেবে আরও বলেন, ‘বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য এই ভিসা ক্যাটাগরি নতুন একটি বিকল্প হয়ে উঠেছে। এটি আবেদন করার ক্ষেত্রে সহজ এবং তদারকি কম।’
জাপান ইমিগ্রেশন সার্ভিস এজেন্সি বলেছে, বকেয়া বেতন এবং কাজের অমিলের মতো সমস্যাগুলো জানেন তারা। নিয়ম ভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে অনসাইট পরিদর্শনের মতো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
জাপান যখন শ্রমসংকট মোকাবিলায় আরও বিদেশি কর্মীদের সুযোগ দিচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কর্মীর জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকা জরুরি। তাঁদের মতে, দেশের বর্তমান ভিসা-ব্যবস্থার ওপর আরও তদারকি প্রয়োজন।

বিগত কয়েক বছরে জাপানে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ‘ইঞ্জিনিয়ার, মানবিকতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক সেবা’—এসব বিষয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে ভিসার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিক আসছেন। গত এক দশকে এ ধরনের শ্রমিকের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ৪ লাখের বেশি হয়েছে। জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ব্যবসা ব্যবস্থাপক, প্রকৌশলী ও দোভাষীর মতো পেশার জন্য প্রযোজ্য এ ভিসায় আবেদনকারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অথবা কমপক্ষে ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়।
নাগোয়া সিটির যন্ত্রাংশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তাকাসাগো ফ্লুইডিক সিস্টেমস ১২ জন বিদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মহাকাশ, কোষ সংস্কৃতি এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের ভালভ, পাম্প ও তরল সিস্টেম তৈরি করে।
যন্ত্র প্রকৌশলের শিক্ষার্থী ভিয়েতনামের এনগুয়েন ডাং জুং এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং রকেটের জন্য সুনির্দিষ্ট যন্ত্রাংশ তৈরি করতে মেশিন প্রোগ্রামিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, জাপানি প্রযুক্তি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এটি একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা।
তাকাসাগো ফ্লুইডিক সিস্টেমস বলছে, এনগুয়েনের মতো কর্মীদের নিয়োগের ফলে তাঁরাও উপকৃত হচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ কর্মকর্তা নাকানো সাকি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের মানুষকে নিয়োগের মাধ্যমে আমরা বিদেশি বাজার সম্পর্কে জানতে পারি এবং সেই জ্ঞান ব্যবহার করে বৈশ্বিকভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণ করতে পারি।’
তবে এনগুয়েন তাঁর কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট হলেও অনেক ভিয়েতনামি শ্রমিক অভিযোগ করেছেন, তাঁরা জাপানে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
গত ডিসেম্বরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এসব সমস্যার কিছু অংশ উঠে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ভিয়েতনামি শ্রমিকেরা একটি এজেন্সির কাছে তাঁদের বকেয়া মজুরির জন্য দাবি জানাচ্ছেন। কেউ কেউ অভিযোগ করেন, তাদের এমন কাজে বাধ্য করা হয়েছে, যা আবাসিক মর্যাদার শর্ত পূরণ করে না।
এই ভিসা ক্যাটাগরিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সমস্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে টোকিওভিত্তিক অ-লাভজনক সংস্থা জাপান ভিয়েতনাম তমোইকি অ্যাসোসিয়েশন। এই সংস্থা ভিয়েতনামি শ্রমিকদের সহায়তা করে।
সংস্থাটির প্রতিনিধি পরিচালক ইয়োশিমিজু জিহো বলেন, ‘এত কম বয়সী মানুষের আমাদের কাছে এসে কাজ হারানোর পর সাহায্য চাইতে দেখে আমি অবাক হয়েছি।’
ভিসার শর্ত ও প্রকৃত কাজের মধ্যে অসামঞ্জস্যতাও সমস্যা সৃষ্টি করেছে বলে জানান তিনি।
সংস্থার এক গ্রাহক দক্ষ কর্মী হিসেবে ভিয়েতনাম থেকে জাপানে আসেন। তিনি একজন দালালকে কমিশন ফি হিসেবে ৭ হাজার ডলারের বেশি পরিশোধ করেন। গ্রাহকের দাবি, যে প্রতিষ্ঠান তাঁকে নিয়োগ দিয়েছিল, তারা রেস্টুরেন্ট ও হোটেল পরিষ্কার করার কাজ করায়। এরপর কোনো কাজ না দিয়ে তাঁকে একপ্রকার বেকার অবস্থায় রেখে দেয়। এতে তাঁর আর নিজেকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।
ইয়োশিমিজু বলেন, ‘এধরনের কাজ টেকনিক্যাল ইন্টার্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় জাপানে আসা লোকদের দ্বারা করা উচিত। দক্ষ কর্মী ভিসাধারীদের দ্বারা নয়।’
অবৈধভাবে এই ভিসায় ওই লোকদের আনা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
ইয়োশিমিজু আরও বলেন, ‘এই ভিসাধারীদের জন্য যথাযথ সহায়তার ব্যবস্থা নেই। এই ভিসা ক্যাটাগরিতে উচ্চ ভাষাগত দক্ষতার প্রয়োজন হয় না, ফলে কেউ কেউ জাপানি ভাষা একেবারেই বলতে পারেন না।’
গত মার্চে ৩৩ বছর বয়সী এক ভিয়েতনামি ইয়োশিমিজুর কাছে আসেন। তিনি চাকরি হারানোর এবং তিন মাস বেতন না পাওয়ার কথা জানান।
ইয়োশিমিজু তাঁকে পরামর্শ দেন ভিসার ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে নতুন কাজ খুঁজতে, কারণ তাঁর জাপানি ভাষা দক্ষতা নেই। তবে তিনি এই পরিবর্তনে অনিচ্ছুক। তাঁর মতে, দক্ষ কর্মী ভিসা তাঁর স্ত্রীকে জাপানে তাঁর সঙ্গে থাকার সুযোগ দেয়, যা অন্য ভিসা ক্যাটাগরিতে সম্ভব নয়।
ওই কর্মী বলেন, ‘আমি এখন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছি না। আমার কেবল একটা চাকরি দরকার। কেউ যদি আমাকে নিয়োগ দেয়, আমি যেকোনো কাজ করব।’
ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা অনেক সমস্যার মূল কারণ বলে মনে করেন ইয়োশিমিজু। তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি, তাদের অনেকেই একেবারেই জাপানি বলতে পারে না। কিছু প্রতিষ্ঠান এই দুর্বলতার সুযোগ নেয়। কারণ কর্মী ভিসা ব্যবস্থায় তাদের সহায়তার জন্য কোনো জায়গা নেই। যদি কিছু ঘটে, তা বড় সমস্যায় রূপ নেয়।’
একজন বিশেষজ্ঞের মতে, সরকার ২০২৭ সালের মধ্যে টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে কঠোর নিয়মকানুন আরোপ করার পর থেকে দক্ষ কর্মী ভিসাধারীদের মধ্যে সমস্যা বাড়ছে। কিছু প্রতিষ্ঠান তাঁদের কাজের শূন্যতা পূরণের জন্য দক্ষ কর্মী ভিসা ক্যাটাগরির দিকে ঝুঁকেছে।
বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থান সমস্যা নিয়ে অভিজ্ঞ পরামর্শক ইকেবে শোইচিরো বলেন, শ্রমিক সংকটে থাকা কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দক্ষ কর্মী ভিসা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর কাজে লাগাচ্ছে। কিছু ভিয়েতনামি শ্রমিক এই ভিসা ক্যাটাগরিতে আসতে দালালকে উচ্চ কমিশন ফি দিয়েছেন, কিন্তু পরে তাঁদের দক্ষতার বাইরে অন্য কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে।
ইকেবে আরও বলেন, ‘বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য এই ভিসা ক্যাটাগরি নতুন একটি বিকল্প হয়ে উঠেছে। এটি আবেদন করার ক্ষেত্রে সহজ এবং তদারকি কম।’
জাপান ইমিগ্রেশন সার্ভিস এজেন্সি বলেছে, বকেয়া বেতন এবং কাজের অমিলের মতো সমস্যাগুলো জানেন তারা। নিয়ম ভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে অনসাইট পরিদর্শনের মতো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
জাপান যখন শ্রমসংকট মোকাবিলায় আরও বিদেশি কর্মীদের সুযোগ দিচ্ছে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কর্মীর জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকা জরুরি। তাঁদের মতে, দেশের বর্তমান ভিসা-ব্যবস্থার ওপর আরও তদারকি প্রয়োজন।

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

বিগত কয়েক বছরে জাপানে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ‘ইঞ্জিনিয়ার, মানবিকতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক সেবা’—এসব বিষয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে ভিসার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিক আসছেন। গত এক দশকে এ ধরনের শ্রমিকের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ৪ লাখের বেশি হয়েছে। জাপানের সংবাদ মাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড-এর এক
১৬ মে ২০২৫
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

বিগত কয়েক বছরে জাপানে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ‘ইঞ্জিনিয়ার, মানবিকতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক সেবা’—এসব বিষয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে ভিসার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিক আসছেন। গত এক দশকে এ ধরনের শ্রমিকের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ৪ লাখের বেশি হয়েছে। জাপানের সংবাদ মাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড-এর এক
১৬ মে ২০২৫
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

বিগত কয়েক বছরে জাপানে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ‘ইঞ্জিনিয়ার, মানবিকতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক সেবা’—এসব বিষয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে ভিসার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিক আসছেন। গত এক দশকে এ ধরনের শ্রমিকের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ৪ লাখের বেশি হয়েছে। জাপানের সংবাদ মাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড-এর এক
১৬ মে ২০২৫
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় ভুলভাবে আটক হওয়া, আটক অবস্থায় নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ, স্থানীয় আইনের স্বেচ্ছাচারী প্রয়োগ, অপরাধ, নাগরিক অস্থিরতা এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তাই দেশটিতে ভ্রমণ এবং সেখানে অবস্থান না করতে মার্কিন নাগরিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও আইনগত স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশ ছাড়তে জোরালো পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সতর্কবার্তা এল এমন এক সময়, যার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রাণঘাতী হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌকা লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী হামলা চালায়। এতে চারজন নিহত হয়েছে বলে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়।
সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী এই নৌযানটি একটি ‘সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত সংগঠনের’ সঙ্গে যুক্ত। গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, নৌকাটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরপথে অবৈধ মাদক পরিবহন করছিল। এক্সে দেওয়া পোস্টে সাউদার্ন কমান্ড জানায়, নৌকায় থাকা চার পুরুষ ‘মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বহু ইঞ্জিনবিশিষ্ট দ্রুতগতির নৌকাটি আচমকা একটি প্রবল বিস্ফোরণে আঘাত পেয়ে আগুনে ঘিরে যায়।
ঘটনাটি এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তৃত মাদকবিরোধী সামরিক অভিযানের অংশ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অভিযান নিয়ে সমালোচনা বেড়েছে। কারণ, এতে নিহতের সংখ্যা এখন ৮৫-এর বেশি ছাড়িয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনার জেরে একযোগে ছয়টি বড় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনের অবতরণ ও উড্ডয়নের অনুমতি বাতিল করেছে ভেনেজুয়েলা। এর আগে মার্কিন সতর্কবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ভেনেজুয়েলার কারাকাসগামী ফ্লাইটগুলো স্থগিত করেছিল এই এয়ারলাইনগুলো। পরে ভেনেজুয়েলা তাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ২৭ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ হওয়া এয়ারলাইনগুলো হলো—আইবেরিয়া, টিএপি পর্তুগাল, গোল, লাতাম, অ্যাভিয়াঙ্কা এবং টার্কিশ এয়ারলাইনস। ভেনেজুয়েলার এই সিদ্ধান্তে হাজারো যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। তবে কিছু ছোট ছোট এয়ারলাইন এখনো দেশটিতে যাতায়াত করছে।
সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ঘিরে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় এলাকায় ১৫ হাজার সেনা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড মোতায়েন করেছে। ওয়াশিংটন বলছে, এই অভিযান মাদকবিরোধী তৎপরতার অংশ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকবিরোধী অভিযানে এত বড় সামরিক উপস্থিতি সাধারণত দেখা যায় না।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় ভুলভাবে আটক হওয়া, আটক অবস্থায় নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ, স্থানীয় আইনের স্বেচ্ছাচারী প্রয়োগ, অপরাধ, নাগরিক অস্থিরতা এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তাই দেশটিতে ভ্রমণ এবং সেখানে অবস্থান না করতে মার্কিন নাগরিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও আইনগত স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশ ছাড়তে জোরালো পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সতর্কবার্তা এল এমন এক সময়, যার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রাণঘাতী হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌকা লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী হামলা চালায়। এতে চারজন নিহত হয়েছে বলে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়।
সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী এই নৌযানটি একটি ‘সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত সংগঠনের’ সঙ্গে যুক্ত। গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, নৌকাটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরপথে অবৈধ মাদক পরিবহন করছিল। এক্সে দেওয়া পোস্টে সাউদার্ন কমান্ড জানায়, নৌকায় থাকা চার পুরুষ ‘মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বহু ইঞ্জিনবিশিষ্ট দ্রুতগতির নৌকাটি আচমকা একটি প্রবল বিস্ফোরণে আঘাত পেয়ে আগুনে ঘিরে যায়।
ঘটনাটি এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তৃত মাদকবিরোধী সামরিক অভিযানের অংশ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অভিযান নিয়ে সমালোচনা বেড়েছে। কারণ, এতে নিহতের সংখ্যা এখন ৮৫-এর বেশি ছাড়িয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনার জেরে একযোগে ছয়টি বড় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনের অবতরণ ও উড্ডয়নের অনুমতি বাতিল করেছে ভেনেজুয়েলা। এর আগে মার্কিন সতর্কবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ভেনেজুয়েলার কারাকাসগামী ফ্লাইটগুলো স্থগিত করেছিল এই এয়ারলাইনগুলো। পরে ভেনেজুয়েলা তাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ২৭ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ হওয়া এয়ারলাইনগুলো হলো—আইবেরিয়া, টিএপি পর্তুগাল, গোল, লাতাম, অ্যাভিয়াঙ্কা এবং টার্কিশ এয়ারলাইনস। ভেনেজুয়েলার এই সিদ্ধান্তে হাজারো যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। তবে কিছু ছোট ছোট এয়ারলাইন এখনো দেশটিতে যাতায়াত করছে।
সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ঘিরে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় এলাকায় ১৫ হাজার সেনা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড মোতায়েন করেছে। ওয়াশিংটন বলছে, এই অভিযান মাদকবিরোধী তৎপরতার অংশ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকবিরোধী অভিযানে এত বড় সামরিক উপস্থিতি সাধারণত দেখা যায় না।

বিগত কয়েক বছরে জাপানে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ‘ইঞ্জিনিয়ার, মানবিকতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক সেবা’—এসব বিষয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে ভিসার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিক আসছেন। গত এক দশকে এ ধরনের শ্রমিকের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ৪ লাখের বেশি হয়েছে। জাপানের সংবাদ মাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড-এর এক
১৬ মে ২০২৫
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
২ ঘণ্টা আগে