মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
জাহীদ রেজা নূর, নিউইয়র্ক থেকে

আর মাত্র এক দিন পরই মার্কিন দেশে নির্বাচন। আগাম ভোট যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা এখন ঝাড়া হাত-পা। কিন্তু যাঁরা আগাম ভোট দেননি, ভোটের দিন তাঁদের ভোটদানের পরই কেবল বোঝা যাবে কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। একটি ভোট না দেওয়া মানে প্রতিপক্ষকে জয়ের দিকে আরেকটু এগিয়ে দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী বাঙালিরা একসময় মূলত ডেমোক্র্যাটদেরই বেশি ভোট দিত। এখন দিন পাল্টেছে। রিপাবলিকানদের সমর্থক বাঙালিদেরও দেখা মিলছে। তবে অনেকেই বলছেন, ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানদের মধ্যে খুব বড় কোনো পার্থক্য নেই। রিপাবলিকানরা অনেক বেশি ধনীবান্ধব। বিশেষ করে ট্রাম্প তো ধনীদের জন্য বিশেষ কর সুবিধা দেবেন বলে ঘোষণা করে বসে আছেন। সে তুলনায় ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় এলে গরিব মানুষের কিছুটা সুবিধা হয় বলে মনে করে থাকেন অনেকে। কিন্তু সেটা জনজীবনে কতটা প্রভাব ফেলে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
এবার নানা কারণে দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে, তাতে ডেমোক্র্যাটদের ব্যাপারে নাখোশ হতে পারত খেটে খাওয়া মানুষ। বাইডেনের ওপর ভরসাও কমে যাচ্ছিল তাদের। প্রার্থী পাল্টে কমলা হ্যারিসকে সামনে এনে ডেমোক্র্যাটরা লড়াইয়ে ভালোভাবেই ফিরে এসেছে। সে সময় জরিপগুলোয় দেখা যাচ্ছিল কমলার বিজয়ের পাল্লা ভারী হচ্ছে। কিন্তু ভোটের ঠিক আগের সময়টিতে জরিপগুলোয় দেখা গেল প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে পঞ্চাশ-পঞ্চাশ হয়ে গেছে। ডেমোক্র্যাট শিবিরে আবার মেঘ এসে ভর করল তখন। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের হাতে ট্রাম্পকার্ড তুলে দিলেন স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরাই। কীভাবে তা ঘটল, সে কথাও জগৎ জেনে গেছে এত দিনে।
এই নিউইয়র্কের বিখ্যাত ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনেই ঘটেছিল সেই অঘটন। হ্যাঁ, সেই ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনের কথাই বলছি, যেখানে ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট বসেছিল ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর আসর। রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসন তাঁদের সাংগীতিক যুগলবন্দীর মাধ্যমে পৃথিবীবাসীর সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়েছিলেন বাংলাদেশের। ২৭ অক্টোবর সেখানে ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী সভা। সে সভায় পুয়ের্তোরিকা নিয়ে অকথা বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপদ ডেকে এনেছেন একজন কৌতুকাভিনেতা, টনি হিঞ্চক্লিফ যাঁর নাম।
নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে যখন সমানে সমানে চলছিল কমলা আর ট্রাম্পের প্রচারাভিযান, তখন টনির এই বেরসিক মন্তব্য আবার চাঙা করে দিয়েছে কমলার শিবির। টনি পুয়ের্তোরিকোকে ভাসমান জঞ্জালের দ্বীপ বা ভাসমান বর্জ্যে ভরা দ্বীপ বলে উল্লেখ করেছেন। পুয়ের্তোরিকো যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি দ্বীপ। সেই দ্বীপকে নিয়ে এ রকম মন্তব্য করায় স্বভাবতই চটেছে দেশের মানুষ। অশালীন মন্তব্যের পরপরই পুয়ের্তোরিকো থেকে আসা তিনজন শক্তিশালী মার্কিন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জেনিফার লোপেজ, ব্যাড বানি ও রিকি মার্টিন কমলার পক্ষে তাঁদের সমর্থন জানান। প্রকাশ্যেই অনেক ডেমোক্র্যাট সদস্য এবং রিপাবলিকান সদস্য এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন। এই ঘটনা নির্বাচনে একটি নিয়ামক ঘটনা হয়ে উঠতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
আটলান্টা থেকে সাত দিনের জন্য নিউইয়র্কে এসেছে এক বাঙালি পরিবার। প্রায় ৩০ বছর এ দেশেই তাঁদের বসবাস। কিন্তু এবারই প্রথম পৃথিবীর রাজধানী নামে খ্যাত নিউইয়র্কে এসেছেন তাঁরা। একটি এয়ারবিএনবি ভাড়া করেছেন। নির্বাচনের পরদিন তাঁরা আটলান্টায় ফিরবেন। পরিবারের কর্তা জানালেন, আটলান্টায় তাঁরা আগাম ভোট দিয়ে এসেছেন। ভোটটা এবার দিতেই হতো। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট পদে দেখতে চাইলে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। আগাম ভোট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সেটাই কাজে লাগিয়েছে তিন সদস্যের এই পরিবার। অনেকেই বলছেন, এবারের নির্বাচনী লড়াইটা হবে দেখার মতো। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য এবার অনেক বেশি ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন বলে মনে করছেন বুদ্ধিজীবী মহল। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বহু মার্কিনের রয়েছে অনীহা। সেই অনীহা কাটিয়ে ওঠার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন প্রার্থীরা।
কমলা হ্যারিসের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছেন রিপাবলিকান সমর্থকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দল। জর্জ বুশের শাসনকালে ডিক চেনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাঁরই মেয়ে লিজ চেনি সরাসরি সমর্থন করছেন কমলাকে। তিনি বলেছেন, ‘সংবিধানে বিশ্বাসী একজন রক্ষণশীল হিসেবে আমি গভীরভাবে চিন্তা করে বলছি, ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারেন, তাই আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নয়, কমলা হ্যারিসকে ভোট দেব। লিজের বাবা ডিক চেনিও ঘোষণা করেছেন, তাঁর ভোটটিও পাবেন কমলা হ্যারিস। তিনি বলেছেন আরও ভয়ংকর কথা, ‘আমাদের দেশের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো দেশের জন্য এত বড় হুমকি টেনে আনা ব্যক্তি আর কখনো আসেনি। গত নির্বাচনে সে মিথ্যা কথা বলে নির্বাচনের ফলাফল চুরি করতে চেয়েছিল, কিন্তু ভোটাররা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাকে বিশ্বাস করে আবার ক্ষমতায় যেতে দেওয়া যায় না।’
রিপাবলিকান সদস্য কিনজিঞ্জারও ট্রাম্পের ওপর থেকে তাঁর সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। স্টেফেনি গ্রিশাম ছিলেন বিগত ট্রাম্প জামানায় হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার চিফ অব স্টাফ। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের প্ররোচনায় ক্যাপিটল আক্রমণ করায় তিনি ট্রাম্পের প্রতি তাঁর সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। এবার তিনি বলছেন, ‘আমি আমার দলের চেয়ে দেশকে বেশি ভালোবাসি। কমলা হ্যারিস সত্য কথা বলেন। তিনি আমেরিকান জনগণকে সম্মান করেন। আমার ভোটটি তিনিই পাবেন। এই তালিকায় আরও আছেন অলিভার ট্রয়ি, অ্যান্থনি স্কারামুচ্চি, জেফ ডানকান, আলবের্তো গঞ্জালেস, উইলিয়াম ওয়েবস্টার, জন নেগ্রোপন্তে, জেফ ফ্লেক, ক্যাসেডি হাচিনসনসহ অসংখ্য রিপাবলিকান। আর এই তালিকায় যখন আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারকে দেখা যায়, তখন বোঝা যায় ট্রাম্পের দলের লোকজনের অনেকেই তাঁদের দলের প্রার্থীর ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না।
এত সব ঘটনা কমলা হ্যারিসের পক্ষেই যায়। কিন্তু মার্কিন নির্বাচনে টাকার খেলার ভয়ংকর শক্তি আছে। বিশেষ করে ধনী এবং শেতাঙ্গদের হাতেই রয়েছে ক্ষমতা। মিডিয়ার সিংহভাগও তাদের দখলে। এ সময় মিডিয়ার প্রভাবের কথা কে না জানে! ধনীরা যদি তাদের মতো করে দাবার ঘুঁটি চালতে চায়, তাহলে বাধা দেওয়ার মতো যথেষ্ট অস্ত্র ডেমোক্র্যাটদের আছে কি না, সেটাও প্রশ্ন। নির্বাচিত হওয়ার আগেই ‘দেখে নেব’ বলে যে হুংকার ছেড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার পেছনের শক্তিকে মূল্য দিতে হবে। সে শক্তি যদি অশুভ শক্তি হয়, তাহলে তা যেন বেড়ে উঠতে না পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। আর শুভ শক্তির সমর্থনে যদি ক্ষমতার মসনদ তিনি পেয়ে যান, তাহলে তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। গণতন্ত্রের ক্যারিশমা তো সেখানেই।
আর মাত্র এক দিন পরই খোলাসা হয়ে যাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন।

আর মাত্র এক দিন পরই মার্কিন দেশে নির্বাচন। আগাম ভোট যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা এখন ঝাড়া হাত-পা। কিন্তু যাঁরা আগাম ভোট দেননি, ভোটের দিন তাঁদের ভোটদানের পরই কেবল বোঝা যাবে কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। একটি ভোট না দেওয়া মানে প্রতিপক্ষকে জয়ের দিকে আরেকটু এগিয়ে দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী বাঙালিরা একসময় মূলত ডেমোক্র্যাটদেরই বেশি ভোট দিত। এখন দিন পাল্টেছে। রিপাবলিকানদের সমর্থক বাঙালিদেরও দেখা মিলছে। তবে অনেকেই বলছেন, ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানদের মধ্যে খুব বড় কোনো পার্থক্য নেই। রিপাবলিকানরা অনেক বেশি ধনীবান্ধব। বিশেষ করে ট্রাম্প তো ধনীদের জন্য বিশেষ কর সুবিধা দেবেন বলে ঘোষণা করে বসে আছেন। সে তুলনায় ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় এলে গরিব মানুষের কিছুটা সুবিধা হয় বলে মনে করে থাকেন অনেকে। কিন্তু সেটা জনজীবনে কতটা প্রভাব ফেলে, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
এবার নানা কারণে দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে, তাতে ডেমোক্র্যাটদের ব্যাপারে নাখোশ হতে পারত খেটে খাওয়া মানুষ। বাইডেনের ওপর ভরসাও কমে যাচ্ছিল তাদের। প্রার্থী পাল্টে কমলা হ্যারিসকে সামনে এনে ডেমোক্র্যাটরা লড়াইয়ে ভালোভাবেই ফিরে এসেছে। সে সময় জরিপগুলোয় দেখা যাচ্ছিল কমলার বিজয়ের পাল্লা ভারী হচ্ছে। কিন্তু ভোটের ঠিক আগের সময়টিতে জরিপগুলোয় দেখা গেল প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে পঞ্চাশ-পঞ্চাশ হয়ে গেছে। ডেমোক্র্যাট শিবিরে আবার মেঘ এসে ভর করল তখন। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের হাতে ট্রাম্পকার্ড তুলে দিলেন স্বয়ং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরাই। কীভাবে তা ঘটল, সে কথাও জগৎ জেনে গেছে এত দিনে।
এই নিউইয়র্কের বিখ্যাত ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনেই ঘটেছিল সেই অঘটন। হ্যাঁ, সেই ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনের কথাই বলছি, যেখানে ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট বসেছিল ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর আসর। রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসন তাঁদের সাংগীতিক যুগলবন্দীর মাধ্যমে পৃথিবীবাসীর সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়েছিলেন বাংলাদেশের। ২৭ অক্টোবর সেখানে ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী সভা। সে সভায় পুয়ের্তোরিকা নিয়ে অকথা বলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপদ ডেকে এনেছেন একজন কৌতুকাভিনেতা, টনি হিঞ্চক্লিফ যাঁর নাম।
নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে যখন সমানে সমানে চলছিল কমলা আর ট্রাম্পের প্রচারাভিযান, তখন টনির এই বেরসিক মন্তব্য আবার চাঙা করে দিয়েছে কমলার শিবির। টনি পুয়ের্তোরিকোকে ভাসমান জঞ্জালের দ্বীপ বা ভাসমান বর্জ্যে ভরা দ্বীপ বলে উল্লেখ করেছেন। পুয়ের্তোরিকো যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি দ্বীপ। সেই দ্বীপকে নিয়ে এ রকম মন্তব্য করায় স্বভাবতই চটেছে দেশের মানুষ। অশালীন মন্তব্যের পরপরই পুয়ের্তোরিকো থেকে আসা তিনজন শক্তিশালী মার্কিন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জেনিফার লোপেজ, ব্যাড বানি ও রিকি মার্টিন কমলার পক্ষে তাঁদের সমর্থন জানান। প্রকাশ্যেই অনেক ডেমোক্র্যাট সদস্য এবং রিপাবলিকান সদস্য এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন। এই ঘটনা নির্বাচনে একটি নিয়ামক ঘটনা হয়ে উঠতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
আটলান্টা থেকে সাত দিনের জন্য নিউইয়র্কে এসেছে এক বাঙালি পরিবার। প্রায় ৩০ বছর এ দেশেই তাঁদের বসবাস। কিন্তু এবারই প্রথম পৃথিবীর রাজধানী নামে খ্যাত নিউইয়র্কে এসেছেন তাঁরা। একটি এয়ারবিএনবি ভাড়া করেছেন। নির্বাচনের পরদিন তাঁরা আটলান্টায় ফিরবেন। পরিবারের কর্তা জানালেন, আটলান্টায় তাঁরা আগাম ভোট দিয়ে এসেছেন। ভোটটা এবার দিতেই হতো। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট পদে দেখতে চাইলে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। আগাম ভোট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সেটাই কাজে লাগিয়েছে তিন সদস্যের এই পরিবার। অনেকেই বলছেন, এবারের নির্বাচনী লড়াইটা হবে দেখার মতো। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য এবার অনেক বেশি ভোটার ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন বলে মনে করছেন বুদ্ধিজীবী মহল। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে বহু মার্কিনের রয়েছে অনীহা। সেই অনীহা কাটিয়ে ওঠার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন প্রার্থীরা।
কমলা হ্যারিসের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছেন রিপাবলিকান সমর্থকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ দল। জর্জ বুশের শাসনকালে ডিক চেনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাঁরই মেয়ে লিজ চেনি সরাসরি সমর্থন করছেন কমলাকে। তিনি বলেছেন, ‘সংবিধানে বিশ্বাসী একজন রক্ষণশীল হিসেবে আমি গভীরভাবে চিন্তা করে বলছি, ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারেন, তাই আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নয়, কমলা হ্যারিসকে ভোট দেব। লিজের বাবা ডিক চেনিও ঘোষণা করেছেন, তাঁর ভোটটিও পাবেন কমলা হ্যারিস। তিনি বলেছেন আরও ভয়ংকর কথা, ‘আমাদের দেশের ২৪৮ বছরের ইতিহাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো দেশের জন্য এত বড় হুমকি টেনে আনা ব্যক্তি আর কখনো আসেনি। গত নির্বাচনে সে মিথ্যা কথা বলে নির্বাচনের ফলাফল চুরি করতে চেয়েছিল, কিন্তু ভোটাররা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাকে বিশ্বাস করে আবার ক্ষমতায় যেতে দেওয়া যায় না।’
রিপাবলিকান সদস্য কিনজিঞ্জারও ট্রাম্পের ওপর থেকে তাঁর সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। স্টেফেনি গ্রিশাম ছিলেন বিগত ট্রাম্প জামানায় হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার চিফ অব স্টাফ। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের প্ররোচনায় ক্যাপিটল আক্রমণ করায় তিনি ট্রাম্পের প্রতি তাঁর সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। এবার তিনি বলছেন, ‘আমি আমার দলের চেয়ে দেশকে বেশি ভালোবাসি। কমলা হ্যারিস সত্য কথা বলেন। তিনি আমেরিকান জনগণকে সম্মান করেন। আমার ভোটটি তিনিই পাবেন। এই তালিকায় আরও আছেন অলিভার ট্রয়ি, অ্যান্থনি স্কারামুচ্চি, জেফ ডানকান, আলবের্তো গঞ্জালেস, উইলিয়াম ওয়েবস্টার, জন নেগ্রোপন্তে, জেফ ফ্লেক, ক্যাসেডি হাচিনসনসহ অসংখ্য রিপাবলিকান। আর এই তালিকায় যখন আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারকে দেখা যায়, তখন বোঝা যায় ট্রাম্পের দলের লোকজনের অনেকেই তাঁদের দলের প্রার্থীর ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না।
এত সব ঘটনা কমলা হ্যারিসের পক্ষেই যায়। কিন্তু মার্কিন নির্বাচনে টাকার খেলার ভয়ংকর শক্তি আছে। বিশেষ করে ধনী এবং শেতাঙ্গদের হাতেই রয়েছে ক্ষমতা। মিডিয়ার সিংহভাগও তাদের দখলে। এ সময় মিডিয়ার প্রভাবের কথা কে না জানে! ধনীরা যদি তাদের মতো করে দাবার ঘুঁটি চালতে চায়, তাহলে বাধা দেওয়ার মতো যথেষ্ট অস্ত্র ডেমোক্র্যাটদের আছে কি না, সেটাও প্রশ্ন। নির্বাচিত হওয়ার আগেই ‘দেখে নেব’ বলে যে হুংকার ছেড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার পেছনের শক্তিকে মূল্য দিতে হবে। সে শক্তি যদি অশুভ শক্তি হয়, তাহলে তা যেন বেড়ে উঠতে না পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। আর শুভ শক্তির সমর্থনে যদি ক্ষমতার মসনদ তিনি পেয়ে যান, তাহলে তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। গণতন্ত্রের ক্যারিশমা তো সেখানেই।
আর মাত্র এক দিন পরই খোলাসা হয়ে যাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
২ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৪ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রিয়া বিহার প্রদেশের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থাই সামরিক বাহিনী একটি এক্সকাভেটর ব্যবহার করে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তিটি গুঁড়িয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূর্তিটি ২০১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ মিটার ভেতরে কম্বোডিয়ার আন সেস এলাকায় অবস্থিত ছিল।
প্রিয়া বিহারের মুখপাত্র লিম চানপানহা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘বৌদ্ধ ও হিন্দু অনুসারীদের কাছে পূজনীয় প্রাচীন মন্দির ও মূর্তি ধ্বংসের এই ঘটনা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না।’ তবে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, ‘ভূখণ্ড নিয়ে দাবি যাই থাকুক না কেন, এ ধরনের অসম্মানজনক কাজ বিশ্বজুড়ে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। এমন ঘটনা ঘটা উচিত নয়।’
ভারত আবারও উভয় পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে এবং জানমাল ও ঐতিহ্যের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। ঔপনিবেশিক আমলের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এই বিরোধের শুরু। গত জুলাইয়ে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছিল। গত ডিসেম্বরে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বুধবার থেকে উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা আবারও যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।
বিষ্ণু মূর্তি ধ্বংসের এই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মহল আশা করছে, সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেই এই সংকটের সমাধান হবে। হিন্দু ও বৌদ্ধ দেবতারা এই অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র এবং এটি আমাদের অভিন্ন সভ্যতা ও ঐতিহ্যের অংশ।

আর মাত্র এক দিন পরই মার্কিন দেশে নির্বাচন। আগাম ভোট যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা এখন ঝাড়া হাত-পা। কিন্তু যাঁরা আগাম ভোট দেননি, ভোটের দিন তাঁদের ভোটদানের পরই কেবল বোঝা যাবে কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। একটি ভোট না দেওয়া মানে প্রতিপক্ষকে জয়ের দিকে আরেকটু এগিয়ে দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী
০৪ নভেম্বর ২০২৪
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৪ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।
গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’
তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’
গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।
গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান করে দিয়েছে।
৭৬ বছর বয়সী আত্তাল্লাহ তরাজি সম্প্রতি বড়দিনের উপহার হিসেবে এক জোড়া মোজা আর স্কার্ফ পেয়েছেন। গাজার কনকনে শীত থেকে বাঁচতে এগুলোই এখন তাঁর বড় সম্বল। গির্জার অন্যান্য সদস্যদের সাথে তরাজি যখন গাইলেন—‘খ্রিস্টের জন্ম হয়েছে, হালেলুইয়া’ (একটি হিব্রু শব্দ, যার অর্থ প্রভুর প্রশংসা), তখন কিছুক্ষণের জন্য হলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বিভীষিকা ঢাকা পড়েছিল বিশ্বাসের সুরে।
গাজার সেন্ট্রাল সিটি এলাকার ‘হলি ফ্যামিলি চার্চ’ কম্পাউন্ডে আশ্রয় নেওয়া তরাজি বলেন, ‘আমরা এই পবিত্র মুহূর্তে যুদ্ধ, বিপদ আর বোমাবর্ষণের কথা ভুলে যেতে চাই। খ্রিস্টের জন্মের আনন্দ আমাদের সব তিক্ততাকে ছাপিয়ে যাক।’
তবে সবার জন্য উৎসবের অনুভূতি এক নয়। শাদি আবু দাউদের জন্য এবারের বড়দিনটি অত্যন্ত কষ্টের। গত জুলাই মাসে এই ক্যাথলিক চার্চ কম্পাউন্ডেই ইজরায়েলি হামলায় তাঁর মা নিহত হন ও ছেলে আহত হয়। ইজরায়েল একে ‘দুর্ঘটনা’ বলে দুঃখ প্রকাশ করলেও স্বজন হারানোর ক্ষত এখনও দগদগে। আবু দাউদ বলেন, জখম এখনও কাঁচা। এখানে কোনো উৎসব নেই, আমরা এখনও ‘না যুদ্ধ না শান্তি’র এক অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে বাস করছি।
গাজার প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে খ্রিস্টানদের সংখ্যা এখন নগণ্য। যুদ্ধের কারণে অনেক পরিবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ২৩ বছর বয়সী ওয়াফা ইমাদ এলসায়েঘ জানান, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়রা না থাকায় আগের মতো আমেজ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা পরিবার নিয়ে সাজসজ্জা করছি ঠিকই, কিন্তু যাদের সাথে সব আনন্দ ভাগ করে নিতাম, তারা আজ গাজায় নেই। এই পরিবেশ আগের মতো করে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।’
৩৫ বছর বয়সী মা এলিনোর আমাশ তাঁর সন্তানদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘরে বড়দিনের গাছ (ক্রিসমাস ট্রি) সাজিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা কিছু চকলেট আর মিষ্টি পেয়ে বোমার ভয় ছাড়া শ্বাস নিতে পারছে। কিন্তু তাবুগুলোতে বসবাসকারী মানুষের কষ্ট দেখে চোখে জল আসে।’
গাজার খ্রিস্টানরা মনে করেন, তাঁরা সংখ্যায় যত কমই হোক না কেন, এটি এই ভূমির প্রতি ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের এক অটল সাক্ষ্য। আত্তাল্লাহ তরাজি প্রার্থনা করেন যেন তাঁর জাতি শান্তি ও স্বাধীনতা পায়। তিনি বিশ্বাস করেন, এই পরিস্থিতির চেয়েও বড়দিনের আনন্দ এবং তাঁদের বিশ্বাস অনেক বেশি শক্তিশালী।
গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গাজায় হামলার তীব্রতা কমলেও মাঝেমধ্যেই প্রাণঘাতী আঘাত আসছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
অতিবৃষ্টিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের তাবুগুলো তলিয়ে গেছে, যা ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

আর মাত্র এক দিন পরই মার্কিন দেশে নির্বাচন। আগাম ভোট যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা এখন ঝাড়া হাত-পা। কিন্তু যাঁরা আগাম ভোট দেননি, ভোটের দিন তাঁদের ভোটদানের পরই কেবল বোঝা যাবে কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। একটি ভোট না দেওয়া মানে প্রতিপক্ষকে জয়ের দিকে আরেকটু এগিয়ে দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী
০৪ নভেম্বর ২০২৪
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৪ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে। ঘটনাস্থলটি সেই জায়গার কাছে, যেখানে চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক রুশ জেনারেল গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।
রাশিয়ার ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। পুলিশ কর্মকর্তারা যখন ওই ব্যক্তির কাছে যান, তখনই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সক্রিয় হয়ে যায়। বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারান। এ সময় তাঁদের পাশে থাকা আরেকজন ব্যক্তিও বিস্ফোরণে নিহত হন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বয়স ছিল ২৪ ও ২৫ বছর। আল জাজিরার মস্কো প্রতিনিধি ইউলিয়া শাপোভালোভার তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে একজনের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি তাদের পরিবারের জন্য এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি।’ বিস্ফোরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী। কাছাকাছি বসবাসকারী আলেক্সান্ডার নামের এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘একটা ভয়ংকর শব্দ হয়েছিল, কয়েক দিন আগের গাড়ি বিস্ফোরণের মতোই।’ আরেক বাসিন্দা রোজা জানান, বিস্ফোরণের সময় তাঁদের পুরো ভবনটি কেঁপে ওঠে এবং তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন।
বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী। রুশ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘটনাস্থলে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এবং বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
এই বিস্ফোরণ ঘটেছে সেই এলাকার কাছে, যেখানে গত সোমবার রুশ জেনারেল ফানিল সারভারভ গাড়ির নিচে পেতে রাখা বিস্ফোরক ডিভাইসের মাধ্যমে নিহত হন। সারভারভ রুশ জেনারেল স্টাফের অপারেশনাল ট্রেনিং বিভাগের প্রধান ছিলেন এবং ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের জন্য সেনাদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
রাশিয়া জেনারেল সারভারভ হত্যার পেছনে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তবে ইউক্রেন এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ও দখল করা ইউক্রেনীয় অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ সামরিক কর্মকর্তা এবং এই যুদ্ধের সমর্থক বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।

আর মাত্র এক দিন পরই মার্কিন দেশে নির্বাচন। আগাম ভোট যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা এখন ঝাড়া হাত-পা। কিন্তু যাঁরা আগাম ভোট দেননি, ভোটের দিন তাঁদের ভোটদানের পরই কেবল বোঝা যাবে কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। একটি ভোট না দেওয়া মানে প্রতিপক্ষকে জয়ের দিকে আরেকটু এগিয়ে দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী
০৪ নভেম্বর ২০২৪
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
২ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৩ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।
দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।
এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।
তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।
ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের শানলিউরফা শহরকে বলা হয় ‘নবীদের নগরী’। সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৪০ মাইল উত্তরে অবস্থিত এই শহরটি হাজার বছরের ইতিহাস, ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির এক অনন্য সংযোগস্থল। এখানে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম—এই তিন একেশ্বরবাদী ধর্মের কাহিনি এসে মিলেছে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, শানলিউরফার পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নীলাভ পানির ‘বালিক্লিগোল’ বা ‘মাছের হ্রদ’। মূলত এখানে আছে দুটি পুকুর। ধর্মীয় মতে, দুটি পুকুরের বড়টিতে নবী ইব্রাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করেছিলেন মেসোপটেমিয়ার রাজা নমরুদ। আল্লাহ তৎক্ষণাৎ ওই আগুনকে পানি এবং জ্বলন্ত কাঠকে মাছে রূপান্তরিত করেছিলেন। এ ছাড়া ‘আইনজেলিহা’ নামের ছোট পুকুরটির নামকরণ করা হয়েছে নমরুদের কন্যা জেলিহার নামে। ইব্রাহিম নবীর প্রতি বিশ্বাসের কারণে এই পুকুরে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জেলিহা প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে বিশ্বাস।
দুটি পুকুরই কালো দাগওয়ালা কার্প মাছে ভরা। এগুলোকে পবিত্র মনে করা হয়। তাই এই মাছগুলোকে ধরা বা এগুলোর ক্ষতি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কারণেই বালিক্লিগোল শুধু একটি পর্যটনস্থল নয়, বরং গভীর ধর্মীয় আবেগ ও ইতিহাসের প্রতীক। মাছের গায়ে থাকা কালো দাগগুলোকে আগুনের ছাইয়ের চিহ্ন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে শানলিউরফা নানা নামে পরিচিত ছিল। আরামীয়রা একে ডাকত উরহাই, গ্রিক শাসনামলে নাম ছিল এডেসা, আরব বিজয়ের পর নাম হয় রোহা। অটোমানেরা ১৬০৭ সালে এই নগরীর নাম রাখে উরফা। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্ত হয় ‘শানলি’, অর্থাৎ ‘গৌরবময়’।
এই শহরটি ইব্রাহিম (আ.), আইয়ুব (আ.), নূহ (আ.) ও জেথ্রোর মতো নবীদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। পুরোনো শহরের দেরগাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত বালিক্লিগোল মুসলিম তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। এখানেই রয়েছে মেভলিদ-ই-হালিল গুহা। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই জন্ম হয়েছিল ইব্রাহিম নবীর। নারীরা সন্তান কামনায় ও আরোগ্য লাভের আশায় এই গুহায় আসেন।
তবে শানলিউরফার ইতিহাস শুধু ধর্মগ্রন্থেই সীমাবদ্ধ নয়। শহরটি থেকে ১৪ মাইল দূরেই আছে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় স্থাপনা বা উপাসনালয় হিসেবে চিহ্নিত ‘গ্যোবেকলি তেপে’। প্রায় ১১-১২ হাজার বছরের পুরোনো এই স্থাপনাটি মানবসভ্যতার ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব প্রায় ৯৬০০ সালের এই নিওলিথিক স্থাপনাটি কৃষি ও মৃৎশিল্পের আগেই নির্মিত—যা প্রমাণ করে, ধর্মীয় আচার হয়তো সভ্যতার সূচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এখানে পাওয়া টি-আকৃতির স্তম্ভ ও খোদাই করা পশুর ভাস্কর্য বিশ্বব্যাপী বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

শানলিউরফা প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে ১০ হাজারের বেশি নিদর্শন। এর মধ্যে ‘উরফা ম্যান’ নামের ১১ হাজার ৫০০ বছরের পুরোনো মানব মূর্তিটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। পাশেই হালেপলিবাহচে মোজাইক জাদুঘর ও কিজিলকয়ুন নেক্রোপলিস শহরের রোমান যুগের ইতিহাস তুলে ধরে।
ইতিহাস ও ধর্মের পাশাপাশি শানলিউরফা খাবার ও আতিথেয়তার জন্যও বিখ্যাত। উরফা কাবাব, পাটলিজান কাবাব, চি কফতে ও শিল্লিক তাতলিসি এখানকার জনপ্রিয় খাবার। স্থানীয়দের সঙ্গে ধীরে চা পান, পুরোনো বাজারে হাঁটা আর ‘সিরা গেসেসি’ নামের সাংস্কৃতিক আড্ডায় অংশ নিলে বোঝা যায়—এই শহর শুধু দেখার নয়, অনুভব করারও।

বলা যায়—শানলিউরফা যেন এক জীবন্ত জাদুঘর; যেখানে ধর্ম, ইতিহাস ও মানবসভ্যতার গল্প একসূত্রে গেঁথে পাশাপাশি হাঁটে অতীত ও বর্তমান।

আর মাত্র এক দিন পরই মার্কিন দেশে নির্বাচন। আগাম ভোট যাঁরা দিয়েছেন, তাঁরা এখন ঝাড়া হাত-পা। কিন্তু যাঁরা আগাম ভোট দেননি, ভোটের দিন তাঁদের ভোটদানের পরই কেবল বোঝা যাবে কে হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। একটি ভোট না দেওয়া মানে প্রতিপক্ষকে জয়ের দিকে আরেকটু এগিয়ে দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী
০৪ নভেম্বর ২০২৪
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সীমান্তে দুই দেশের মধ্যকার বিরোধপূর্ণ এলাকায় ভগবান বিষ্ণুর একটি মূর্তি ধ্বংসের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে একটি ‘অসম্মানজনক কাজ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
২ ঘণ্টা আগে
গাজা উপত্যকায় গত দুই বছর ধরে চলা ধ্বংসলীলা আর লাশের মিছিলের মাঝেও বড়দিনের আনন্দ ফিরে পাওয়ার এক বিষাদময় চেষ্টা চালাচ্ছে সেখানকার ক্ষুদ্র খ্রিস্টান সম্প্রদায়। একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি কিছুটা স্বস্তি দিলেও, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি আর বাস্তুচ্যুত মানুষের হাহাকার অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে ম্লান
৩ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে এক বিস্ফোরণে দুজন ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা এবং আরেকজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার তদন্ত সংস্থাগুলোর বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ মস্কোর ইয়েলেতস্কায়া স্ট্রিট এলাকায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে (২৪ ডিসেম্বর)।
৪ ঘণ্টা আগে