
দুই দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দুই নেতা বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে তাঁরা সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বাণিজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে ন্যায্যতা ও পারস্পরিক সহযোগিতায় জোর দিয়েছেন। বৈঠকে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস, শুল্কনীতি, প্রতিরক্ষা চুক্তি ও অভিবাসননীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাম্প ও মোদির বৈঠকে আলোচনার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
বাণিজ্য সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উচ্চ শুল্কনীতির সমালোচনা করেছে। ট্রাম্প বলেছেন, ভারত যে পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও সেই পরিমাণই আরোপ করব। ট্রাম্পের মতে, উভয় দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে।
ভারত অবশ্য ইতিমধ্যে কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মার্কিন রপ্তানিকারক উপকার হতে পারে। বিশেষত, উচ্চমূল্যের মোটরসাইকেল ও গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে এবং বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাসের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ভারতের কাছে কয়েক মিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করা হবে, যার মধ্যে সম্ভাব্য এফ–৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমানও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করতে চায়। ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য হলো, ভারতকে আমেরিকান প্রযুক্তির প্রতি নির্ভরশীল করে তোলা এবং প্রতিরক্ষা খাতে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা গড়ে তোলা।
আন্তর্জাতিক কৌশলগত সম্পর্ক
এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায়। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ভারত–যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারত্ব কেবল বাণিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা নিরাপত্তা এবং কৌশলগত বিষয়ে আরও গভীর হবে। এই লক্ষ্যে তারা কোয়াডকে (যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের জোট) আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২০ সালের গালোয়ান উপত্যকায় ভারত–চীন সীমান্তরক্ষীদের সংঘর্ষের পর ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। ভারত চায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও স্থিতিশীল হোক এবং এর মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারুক।
বাংলাদেশ ইস্যু
চীনের প্রভাব ঠেকাতে ভারতকে আরও সহযোগিতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের ইঙ্গিত মিলেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যে। সম্প্রতি বাংলাদেশে গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ভারত ঘনিষ্ঠ শেখ হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেট’–এর কোনো হাত ছিল না—এ প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক।
জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটে মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’-এর কোনো ভূমিকা নেই। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়টি আমি মোদির কাছেই ছেড়ে দিতে চাই!’
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেটের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে (বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে) কোনো ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) বিষয়টা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এটা নিয়ে (ভারত) শত শত বছর ধরে কাজ করছে। বস্তুত, আমি এ রকমই পড়েছি।’ ‘কাজেই বাংলাদেশের বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেব।’ এই বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাশে বসা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করেন।
অভিবাসন নীতি
অভিবাসন ইস্যুতেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই ইস্যুটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ফলে তিনি এতে ছাড় দিতে চান না। এরই মধ্যে শতাধিক অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি কোনো দর-কষাকষিতে যাচ্ছেন না নরেন্দ্র মোদি।
মোদি ঘোষণা করেছেন, অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের দেশে ফেরত নিতে ভারত প্রস্তুত রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, মানবপাচার চক্রের কারণে অনেকেই অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে।
যেখানে ভারতের মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ২৪ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। টাকার অঙ্কের সেটি প্রায় ৯০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
সংখ্যালঘু ও মানবাধিকার ইস্যু উপেক্ষিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করলেও ব্রিফিংয়ে এবং অনলাইন বিবৃতিতে মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলো উপেক্ষিত রয়ে গেছে।
ওয়াশিংটনের বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের মানবাধিকার সংক্রান্ত ইস্যুগুলো ওয়াশিংটনের কূটনীতিতে কম গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ, যেমন চীনের প্রভাব মোকাবিলা এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করা, মানবাধিকার আলোচনার চেয়ে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কোনো কঠোর অবস্থান নেবে বলে আশা করা যায় না। তাঁর পররাষ্ট্রনীতি মূলত স্বার্থভিত্তিক, যেখানে মানবাধিকারের মতো মূল্যবোধভিত্তিক বিষয়গুলোর জন্য বিশেষ স্থান নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন, বাক্স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আঘাতের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, ভারত এই প্রতিবেদনগুলোকে ‘গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসন মানবাধিকার ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নেওয়ার ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। কিন্তু একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
মুম্বাই হামলার অভিযুক্তকে ফেরতের প্রতিশ্রুতি
মুম্বইয়ে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানাকে প্রত্যর্পণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে ইসলামিক সন্ত্রাস রুখতে যৌথভাবে কাজ করবে ভারত–আমেরিকা।’
কানাডার নাগরিক রানা এখন যুক্তরাষ্ট্রের জেলে রয়েছে। মুম্বাইয়ে ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ছয় মার্কিন নাগরিকও ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেয় আমেরিকার আদালত। ২০২০ সালে স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু ভারতের প্রত্যর্পণের আবেদনে হত্যা মামলায় ফের তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছর আগস্টে মার্কিন কোর্ট অব আপিল ফর নাইনথ সার্কিট তাহাউরের প্রত্যর্পণে সায় দেয়।

দুই দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দুই নেতা বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে তাঁরা সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বাণিজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে ন্যায্যতা ও পারস্পরিক সহযোগিতায় জোর দিয়েছেন। বৈঠকে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস, শুল্কনীতি, প্রতিরক্ষা চুক্তি ও অভিবাসননীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাম্প ও মোদির বৈঠকে আলোচনার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
বাণিজ্য সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উচ্চ শুল্কনীতির সমালোচনা করেছে। ট্রাম্প বলেছেন, ভারত যে পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও সেই পরিমাণই আরোপ করব। ট্রাম্পের মতে, উভয় দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে।
ভারত অবশ্য ইতিমধ্যে কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মার্কিন রপ্তানিকারক উপকার হতে পারে। বিশেষত, উচ্চমূল্যের মোটরসাইকেল ও গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে এবং বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাসের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ভারতের কাছে কয়েক মিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করা হবে, যার মধ্যে সম্ভাব্য এফ–৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমানও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করতে চায়। ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য হলো, ভারতকে আমেরিকান প্রযুক্তির প্রতি নির্ভরশীল করে তোলা এবং প্রতিরক্ষা খাতে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা গড়ে তোলা।
আন্তর্জাতিক কৌশলগত সম্পর্ক
এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায়। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ভারত–যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারত্ব কেবল বাণিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা নিরাপত্তা এবং কৌশলগত বিষয়ে আরও গভীর হবে। এই লক্ষ্যে তারা কোয়াডকে (যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের জোট) আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২০ সালের গালোয়ান উপত্যকায় ভারত–চীন সীমান্তরক্ষীদের সংঘর্ষের পর ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। ভারত চায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও স্থিতিশীল হোক এবং এর মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারুক।
বাংলাদেশ ইস্যু
চীনের প্রভাব ঠেকাতে ভারতকে আরও সহযোগিতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের ইঙ্গিত মিলেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যে। সম্প্রতি বাংলাদেশে গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ভারত ঘনিষ্ঠ শেখ হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেট’–এর কোনো হাত ছিল না—এ প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক।
জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটে মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’-এর কোনো ভূমিকা নেই। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়টি আমি মোদির কাছেই ছেড়ে দিতে চাই!’
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেটের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে (বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে) কোনো ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) বিষয়টা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এটা নিয়ে (ভারত) শত শত বছর ধরে কাজ করছে। বস্তুত, আমি এ রকমই পড়েছি।’ ‘কাজেই বাংলাদেশের বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেব।’ এই বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাশে বসা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করেন।
অভিবাসন নীতি
অভিবাসন ইস্যুতেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই ইস্যুটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ফলে তিনি এতে ছাড় দিতে চান না। এরই মধ্যে শতাধিক অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি কোনো দর-কষাকষিতে যাচ্ছেন না নরেন্দ্র মোদি।
মোদি ঘোষণা করেছেন, অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের দেশে ফেরত নিতে ভারত প্রস্তুত রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, মানবপাচার চক্রের কারণে অনেকেই অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে।
যেখানে ভারতের মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ২৪ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। টাকার অঙ্কের সেটি প্রায় ৯০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
সংখ্যালঘু ও মানবাধিকার ইস্যু উপেক্ষিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করলেও ব্রিফিংয়ে এবং অনলাইন বিবৃতিতে মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলো উপেক্ষিত রয়ে গেছে।
ওয়াশিংটনের বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের মানবাধিকার সংক্রান্ত ইস্যুগুলো ওয়াশিংটনের কূটনীতিতে কম গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ, যেমন চীনের প্রভাব মোকাবিলা এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করা, মানবাধিকার আলোচনার চেয়ে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কোনো কঠোর অবস্থান নেবে বলে আশা করা যায় না। তাঁর পররাষ্ট্রনীতি মূলত স্বার্থভিত্তিক, যেখানে মানবাধিকারের মতো মূল্যবোধভিত্তিক বিষয়গুলোর জন্য বিশেষ স্থান নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন, বাক্স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আঘাতের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, ভারত এই প্রতিবেদনগুলোকে ‘গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসন মানবাধিকার ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নেওয়ার ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। কিন্তু একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
মুম্বাই হামলার অভিযুক্তকে ফেরতের প্রতিশ্রুতি
মুম্বইয়ে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানাকে প্রত্যর্পণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে ইসলামিক সন্ত্রাস রুখতে যৌথভাবে কাজ করবে ভারত–আমেরিকা।’
কানাডার নাগরিক রানা এখন যুক্তরাষ্ট্রের জেলে রয়েছে। মুম্বাইয়ে ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ছয় মার্কিন নাগরিকও ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেয় আমেরিকার আদালত। ২০২০ সালে স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু ভারতের প্রত্যর্পণের আবেদনে হত্যা মামলায় ফের তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছর আগস্টে মার্কিন কোর্ট অব আপিল ফর নাইনথ সার্কিট তাহাউরের প্রত্যর্পণে সায় দেয়।

দুই দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দুই নেতা বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে তাঁরা সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বাণিজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে ন্যায্যতা ও পারস্পরিক সহযোগিতায় জোর দিয়েছেন। বৈঠকে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস, শুল্কনীতি, প্রতিরক্ষা চুক্তি ও অভিবাসননীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাম্প ও মোদির বৈঠকে আলোচনার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
বাণিজ্য সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উচ্চ শুল্কনীতির সমালোচনা করেছে। ট্রাম্প বলেছেন, ভারত যে পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও সেই পরিমাণই আরোপ করব। ট্রাম্পের মতে, উভয় দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে।
ভারত অবশ্য ইতিমধ্যে কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মার্কিন রপ্তানিকারক উপকার হতে পারে। বিশেষত, উচ্চমূল্যের মোটরসাইকেল ও গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে এবং বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাসের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ভারতের কাছে কয়েক মিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করা হবে, যার মধ্যে সম্ভাব্য এফ–৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমানও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করতে চায়। ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য হলো, ভারতকে আমেরিকান প্রযুক্তির প্রতি নির্ভরশীল করে তোলা এবং প্রতিরক্ষা খাতে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা গড়ে তোলা।
আন্তর্জাতিক কৌশলগত সম্পর্ক
এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায়। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ভারত–যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারত্ব কেবল বাণিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা নিরাপত্তা এবং কৌশলগত বিষয়ে আরও গভীর হবে। এই লক্ষ্যে তারা কোয়াডকে (যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের জোট) আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২০ সালের গালোয়ান উপত্যকায় ভারত–চীন সীমান্তরক্ষীদের সংঘর্ষের পর ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। ভারত চায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও স্থিতিশীল হোক এবং এর মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারুক।
বাংলাদেশ ইস্যু
চীনের প্রভাব ঠেকাতে ভারতকে আরও সহযোগিতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের ইঙ্গিত মিলেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যে। সম্প্রতি বাংলাদেশে গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ভারত ঘনিষ্ঠ শেখ হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেট’–এর কোনো হাত ছিল না—এ প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক।
জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটে মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’-এর কোনো ভূমিকা নেই। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়টি আমি মোদির কাছেই ছেড়ে দিতে চাই!’
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেটের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে (বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে) কোনো ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) বিষয়টা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এটা নিয়ে (ভারত) শত শত বছর ধরে কাজ করছে। বস্তুত, আমি এ রকমই পড়েছি।’ ‘কাজেই বাংলাদেশের বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেব।’ এই বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাশে বসা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করেন।
অভিবাসন নীতি
অভিবাসন ইস্যুতেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই ইস্যুটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ফলে তিনি এতে ছাড় দিতে চান না। এরই মধ্যে শতাধিক অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি কোনো দর-কষাকষিতে যাচ্ছেন না নরেন্দ্র মোদি।
মোদি ঘোষণা করেছেন, অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের দেশে ফেরত নিতে ভারত প্রস্তুত রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, মানবপাচার চক্রের কারণে অনেকেই অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে।
যেখানে ভারতের মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ২৪ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। টাকার অঙ্কের সেটি প্রায় ৯০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
সংখ্যালঘু ও মানবাধিকার ইস্যু উপেক্ষিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করলেও ব্রিফিংয়ে এবং অনলাইন বিবৃতিতে মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলো উপেক্ষিত রয়ে গেছে।
ওয়াশিংটনের বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের মানবাধিকার সংক্রান্ত ইস্যুগুলো ওয়াশিংটনের কূটনীতিতে কম গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ, যেমন চীনের প্রভাব মোকাবিলা এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করা, মানবাধিকার আলোচনার চেয়ে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কোনো কঠোর অবস্থান নেবে বলে আশা করা যায় না। তাঁর পররাষ্ট্রনীতি মূলত স্বার্থভিত্তিক, যেখানে মানবাধিকারের মতো মূল্যবোধভিত্তিক বিষয়গুলোর জন্য বিশেষ স্থান নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন, বাক্স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আঘাতের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, ভারত এই প্রতিবেদনগুলোকে ‘গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসন মানবাধিকার ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নেওয়ার ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। কিন্তু একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
মুম্বাই হামলার অভিযুক্তকে ফেরতের প্রতিশ্রুতি
মুম্বইয়ে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানাকে প্রত্যর্পণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে ইসলামিক সন্ত্রাস রুখতে যৌথভাবে কাজ করবে ভারত–আমেরিকা।’
কানাডার নাগরিক রানা এখন যুক্তরাষ্ট্রের জেলে রয়েছে। মুম্বাইয়ে ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ছয় মার্কিন নাগরিকও ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেয় আমেরিকার আদালত। ২০২০ সালে স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু ভারতের প্রত্যর্পণের আবেদনে হত্যা মামলায় ফের তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছর আগস্টে মার্কিন কোর্ট অব আপিল ফর নাইনথ সার্কিট তাহাউরের প্রত্যর্পণে সায় দেয়।

দুই দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দুই নেতা বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে তাঁরা সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল বাণিজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয় দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে ন্যায্যতা ও পারস্পরিক সহযোগিতায় জোর দিয়েছেন। বৈঠকে বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস, শুল্কনীতি, প্রতিরক্ষা চুক্তি ও অভিবাসননীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাম্প ও মোদির বৈঠকে আলোচনার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:
বাণিজ্য সম্পর্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উচ্চ শুল্কনীতির সমালোচনা করেছে। ট্রাম্প বলেছেন, ভারত যে পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে, আমরাও সেই পরিমাণই আরোপ করব। ট্রাম্পের মতে, উভয় দেশের বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করতে হবে।
ভারত অবশ্য ইতিমধ্যে কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মার্কিন রপ্তানিকারক উপকার হতে পারে। বিশেষত, উচ্চমূল্যের মোটরসাইকেল ও গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে এবং বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাসের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ভারতের কাছে কয়েক মিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি করা হবে, যার মধ্যে সম্ভাব্য এফ–৩৫ স্টিলথ যুদ্ধবিমানও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করতে চায়। ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য হলো, ভারতকে আমেরিকান প্রযুক্তির প্রতি নির্ভরশীল করে তোলা এবং প্রতিরক্ষা খাতে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা গড়ে তোলা।
আন্তর্জাতিক কৌশলগত সম্পর্ক
এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায়। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, ভারত–যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারত্ব কেবল বাণিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা নিরাপত্তা এবং কৌশলগত বিষয়ে আরও গভীর হবে। এই লক্ষ্যে তারা কোয়াডকে (যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের জোট) আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০২০ সালের গালোয়ান উপত্যকায় ভারত–চীন সীমান্তরক্ষীদের সংঘর্ষের পর ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। ভারত চায় যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরও স্থিতিশীল হোক এবং এর মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারুক।
বাংলাদেশ ইস্যু
চীনের প্রভাব ঠেকাতে ভারতকে আরও সহযোগিতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের ইঙ্গিত মিলেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যে। সম্প্রতি বাংলাদেশে গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। ভারত ঘনিষ্ঠ শেখ হাসিনাকে উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপ স্টেট’–এর কোনো হাত ছিল না—এ প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক।
জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটে মার্কিন ‘ডিপ স্টেট’-এর কোনো ভূমিকা নেই। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়টি আমি মোদির কাছেই ছেড়ে দিতে চাই!’
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপ স্টেটের ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের ডিপ স্টেটের এখানে (বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে) কোনো ভূমিকা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) বিষয়টা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এটা নিয়ে (ভারত) শত শত বছর ধরে কাজ করছে। বস্তুত, আমি এ রকমই পড়েছি।’ ‘কাজেই বাংলাদেশের বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীর ওপরই ছেড়ে দেব।’ এই বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাশে বসা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করেন।
অভিবাসন নীতি
অভিবাসন ইস্যুতেও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এই ইস্যুটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ফলে তিনি এতে ছাড় দিতে চান না। এরই মধ্যে শতাধিক অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি কোনো দর-কষাকষিতে যাচ্ছেন না নরেন্দ্র মোদি।
মোদি ঘোষণা করেছেন, অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের দেশে ফেরত নিতে ভারত প্রস্তুত রয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, মানবপাচার চক্রের কারণে অনেকেই অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে।
যেখানে ভারতের মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ২৪ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। টাকার অঙ্কের সেটি প্রায় ৯০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
সংখ্যালঘু ও মানবাধিকার ইস্যু উপেক্ষিত
ওয়াশিংটন ডিসিতে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করলেও ব্রিফিংয়ে এবং অনলাইন বিবৃতিতে মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলো উপেক্ষিত রয়ে গেছে।
ওয়াশিংটনের বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের মানবাধিকার সংক্রান্ত ইস্যুগুলো ওয়াশিংটনের কূটনীতিতে কম গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ, যেমন চীনের প্রভাব মোকাবিলা এবং ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করা, মানবাধিকার আলোচনার চেয়ে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।
উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কোনো কঠোর অবস্থান নেবে বলে আশা করা যায় না। তাঁর পররাষ্ট্রনীতি মূলত স্বার্থভিত্তিক, যেখানে মানবাধিকারের মতো মূল্যবোধভিত্তিক বিষয়গুলোর জন্য বিশেষ স্থান নেই।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন, বাক্স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আঘাতের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, ভারত এই প্রতিবেদনগুলোকে ‘গভীরভাবে পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসন মানবাধিকার ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নেওয়ার ফলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। কিন্তু একই সঙ্গে সংখ্যালঘুদের অধিকার ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
মুম্বাই হামলার অভিযুক্তকে ফেরতের প্রতিশ্রুতি
মুম্বইয়ে ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর সন্ত্রাসী হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানাকে প্রত্যর্পণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘বিশ্বজুড়ে ইসলামিক সন্ত্রাস রুখতে যৌথভাবে কাজ করবে ভারত–আমেরিকা।’
কানাডার নাগরিক রানা এখন যুক্তরাষ্ট্রের জেলে রয়েছে। মুম্বাইয়ে ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে ছয় মার্কিন নাগরিকও ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দেয় আমেরিকার আদালত। ২০২০ সালে স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। কিন্তু ভারতের প্রত্যর্পণের আবেদনে হত্যা মামলায় ফের তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছর আগস্টে মার্কিন কোর্ট অব আপিল ফর নাইনথ সার্কিট তাহাউরের প্রত্যর্পণে সায় দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
৬ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া তাঁর ভাষণ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ করে প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে সম্প্রচার করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি ও বাণিজ্যিক আচরণবিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। ক্ষতিপূরণ দাবির অঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই অঙ্ক ৫ বিলিয়ন ডলার বলা হলেও, ট্রাম্পের আইনজীবীদের সাম্প্রতিক নথি ও ব্রিফিং অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, কথিত প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের ভাষণের দুটি ভিন্ন অংশ সম্পাদনার মাধ্যমে একত্রে দেখানো হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব... এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আমরা লড়াই করব, দারুণভাবে লড়াই করব।’ তবে বাস্তবে এই দুটি বক্তব্য ভাষণের মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল।
বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ জন্য তারা গত মাসে দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, মানহানির অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
বিবিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আগেও যেমন বলা হয়েছে, আমরা এই মামলার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করব।’ চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তারা বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, ডকুমেন্টারিটি যুক্তরাজ্যের বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রচার না হলেও ভিপিএন বা ব্রিটবক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে ফ্লোরিডার দর্শকেরা এটি দেখতে পারেন। বিবিসি এসব অভিযোগের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি বিবিসির নিজস্ব আইনি বিষয়। একই সঙ্গে তারা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসির ভূমিকার ওপর আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা জেতা কঠিন হলেও এই মামলা বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে দেওয়া তাঁর ভাষণ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত’ করে প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে সম্প্রচার করা হয়েছে।
ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে মানহানি ও বাণিজ্যিক আচরণবিষয়ক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। ক্ষতিপূরণ দাবির অঙ্ক নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই অঙ্ক ৫ বিলিয়ন ডলার বলা হলেও, ট্রাম্পের আইনজীবীদের সাম্প্রতিক নথি ও ব্রিফিং অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের দাবি ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, কথিত প্যানোরামা ডকুমেন্টারিতে ট্রাম্পের ভাষণের দুটি ভিন্ন অংশ সম্পাদনার মাধ্যমে একত্রে দেখানো হয়। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা ক্যাপিটলের দিকে হাঁটব... এবং আমি তোমাদের সঙ্গে থাকব। আমরা লড়াই করব, দারুণভাবে লড়াই করব।’ তবে বাস্তবে এই দুটি বক্তব্য ভাষণের মধ্যে প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল।
বিবিসি স্বীকার করেছে, এই সম্পাদনার ফলে ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে যে, ট্রাম্প সরাসরি সহিংসতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ জন্য তারা গত মাসে দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, মানহানির অভিযোগের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।
বিবিসির এক মুখপাত্র বলেন, ‘আগেও যেমন বলা হয়েছে, আমরা এই মামলার বিরুদ্ধে আত্মপক্ষ সমর্থন করব।’ চলমান আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তারা বিস্তারিত মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলায় আরও দাবি করা হয়েছে, ডকুমেন্টারিটি যুক্তরাজ্যের বাইরে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রচার না হলেও ভিপিএন বা ব্রিটবক্সের মতো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের, বিশেষ করে ফ্লোরিডার দর্শকেরা এটি দেখতে পারেন। বিবিসি এসব অভিযোগের বিষয়ে এখনো নির্দিষ্ট করে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এই বিষয়ে ব্রিটিশ সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি বিবিসির নিজস্ব আইনি বিষয়। একই সঙ্গে তারা একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ গণমাধ্যম হিসেবে বিবিসির ভূমিকার ওপর আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা জেতা কঠিন হলেও এই মামলা বিবিসির সম্পাদকীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

দুই দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দুই নেতা বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে তাঁরা সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সরকারি অনুষ্ঠানে নারী চিকিৎসকের মুখ থেকে নিকাব টেনে খোলার ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছে বিরোধী দলগুলো।
এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করে কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছে।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতীশের কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল আরজেডি এক বিবৃতিতে বলেছে, পর্দা করা মুসলিম নারীর নিকাব খুলে ফেলে জেডিও এবং বিজেপি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কী রাজনীতি করছে, সেটি প্রকাশ করে দিয়েছে।
আরজেডি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লিখেছে, ‘নীতীশজির কী হয়েছে? তাঁর মানসিক অবস্থা এখন করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ৭৪ বছর বয়সী জেডিইউর প্রধান নীতীশ কুমার এক সরকারি অনুষ্ঠানে এক আয়ুষ (আয়ুর্বেদ, যোগ ও ন্যাচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসকের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিচ্ছিলেন।
সে সময় তিনি ওই নারী চিকিৎসককে ইশারায় নিকাব সরাতে বলেন। নারী চিকিৎসক নিকাব না সরালে নীতীশ নিজেই হাত বাড়িয়ে তাঁর নিকাব নিচের দিকে নামিয়ে দেন, যাতে তাঁর মুখ ও থুতনি দৃশ্যমান হয়।
ভিডিওতে পেছনে উপস্থিত কয়েকজনকে হাসতে দেখা যায়। একই সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীকেও নীতীশকে থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়।
সরকারি অনুষ্ঠানে নারী চিকিৎসকের মুখ থেকে নিকাব টেনে খোলার ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করছে বিরোধী দলগুলো।
এ ঘটনাকে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করে কংগ্রেস তাঁর পদত্যাগের দাবি করেছে।
হিন্দুত্ববাদী বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নীতীশের কড়া সমালোচনা করে বিরোধী দল আরজেডি এক বিবৃতিতে বলেছে, পর্দা করা মুসলিম নারীর নিকাব খুলে ফেলে জেডিও এবং বিজেপি নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে কী রাজনীতি করছে, সেটি প্রকাশ করে দিয়েছে।
আরজেডি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লিখেছে, ‘নীতীশজির কী হয়েছে? তাঁর মানসিক অবস্থা এখন করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
কংগ্রেসও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণকে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘ঘৃণ্য’ বলে নিন্দা করেছে। দলের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়, ‘একজন নারী চিকিৎসক নিয়োগপত্র নিতে এসেছিলেন আর নীতীশ কুমার তাঁর নিকাব টেনে নামালেন। বিহারের সর্বোচ্চ পদে থাকা একজন ব্যক্তি প্রকাশ্যে এমন ঘৃণ্য আচরণ করছেন। ভাবুন তো, রাজ্যে নারীরা কতটা নিরাপদ? এই জঘন্য আচরণের জন্য নীতীশ কুমারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

দুই দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দুই নেতা বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে তাঁরা সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
৬ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করে নিহত হয়েছেন এমন এক দম্পতির পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। একটি ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, বন্দুকধারীর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন ৬৯ বছরের বরিস গুরম্যান এবং তাঁর স্ত্রী ৬১ বছরের সোফিয়া গুরম্যান। হামলার শুরুর দিকেই তাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে প্রাণ হারান।
গত ১৪ ডিসেম্বর বন্ডাই বিচের ওই হামলায় এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বরিস ও সোফিয়া গুরম্যানও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে তাঁদের পরিবার। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রিয় বরিস ও সোফিয়াকে হঠাৎ এবং অর্থহীনভাবে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত।’

জানা গেছে, বরিস ও সোফিয়া গুরম্যান ৩৪ বছর ধরে দাম্পত্য জীবনে ছিলেন এবং জানুয়ারিতেই তাঁরা ৩৫ তম বিবাহবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে চলতি ডিসেম্বরেই সোফিয়ার ৬২ তম জন্মদিন পালনের কথা ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, ক্যাম্পবেল প্যারেডে নিজের গাড়ি থেকে নেমে বন্দুকধারী সাজিদ আকরামের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বরিস। বেগুনি রঙের শার্ট পরা বরিস বন্দুকধারীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর সহযোগিতায় ধস্তাধস্তিতে এসে যোগ দেন স্ত্রী সোফিয়াও। ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃতভাবে স্থানীয় এক বাসিন্দার গাড়ির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের এমন বীরত্ব কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’
পরবর্তী সময়ে ড্রোনে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ফুটপাথে পাশাপাশি নিথর হয়ে পড়ে আছেন বরিস ও সোফিয়া। পরিবার জানিয়েছে, বরিস ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেকানিক। তিনি উদার, নীরব শক্তির প্রতীক এবং প্রয়োজনে সবার পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ। সোফিয়া কাজ করতেন অস্ট্রেলিয়া পোস্টে—সহকর্মী ও স্থানীয় কমিউনিটিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়।
পরিবার তাঁদের সাহসিকতার কথাও তুলে ধরে বলেছে, ‘আমরা ফুটেজে দেখেছি, সোফিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বরিস অন্যদের রক্ষা করতে হামলাকারীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই আত্মত্যাগই তাঁদের প্রকৃত পরিচয়।’
এদিকে হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে যাওয়া আহমেদ আল-আহমেদের সাহসের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সময় হামলাকারী সাজিদ আকরামকে শেষ পর্যন্ত গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। অপর হামলাকারী তাঁরই ছেলে নাভিদ আকরাম। গুরুতর আহত অবস্থায় নাভিদ এখন পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, হামলাকারীর সঙ্গে লড়াই করে নিহত হয়েছেন এমন এক দম্পতির পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। একটি ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, বন্দুকধারীর সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন ৬৯ বছরের বরিস গুরম্যান এবং তাঁর স্ত্রী ৬১ বছরের সোফিয়া গুরম্যান। হামলার শুরুর দিকেই তাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে গিয়ে প্রাণ হারান।
গত ১৪ ডিসেম্বর বন্ডাই বিচের ওই হামলায় এক হামলাকারী সহ ১৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বরিস ও সোফিয়া গুরম্যানও রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে তাঁদের পরিবার। সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রিয় বরিস ও সোফিয়াকে হঠাৎ এবং অর্থহীনভাবে হারিয়ে আমরা গভীর শোকাহত।’

জানা গেছে, বরিস ও সোফিয়া গুরম্যান ৩৪ বছর ধরে দাম্পত্য জীবনে ছিলেন এবং জানুয়ারিতেই তাঁরা ৩৫ তম বিবাহবার্ষিকী উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একই সঙ্গে চলতি ডিসেম্বরেই সোফিয়ার ৬২ তম জন্মদিন পালনের কথা ছিল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ড্যাশক্যাম ফুটেজে দেখা গেছে, ক্যাম্পবেল প্যারেডে নিজের গাড়ি থেকে নেমে বন্দুকধারী সাজিদ আকরামের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বরিস। বেগুনি রঙের শার্ট পরা বরিস বন্দুকধারীকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর সহযোগিতায় ধস্তাধস্তিতে এসে যোগ দেন স্ত্রী সোফিয়াও। ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃতভাবে স্থানীয় এক বাসিন্দার গাড়ির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের এমন বীরত্ব কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’
পরবর্তী সময়ে ড্রোনে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ফুটপাথে পাশাপাশি নিথর হয়ে পড়ে আছেন বরিস ও সোফিয়া। পরিবার জানিয়েছে, বরিস ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেকানিক। তিনি উদার, নীরব শক্তির প্রতীক এবং প্রয়োজনে সবার পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ। সোফিয়া কাজ করতেন অস্ট্রেলিয়া পোস্টে—সহকর্মী ও স্থানীয় কমিউনিটিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়।
পরিবার তাঁদের সাহসিকতার কথাও তুলে ধরে বলেছে, ‘আমরা ফুটেজে দেখেছি, সোফিয়াকে সঙ্গে নিয়ে বরিস অন্যদের রক্ষা করতে হামলাকারীকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই আত্মত্যাগই তাঁদের প্রকৃত পরিচয়।’
এদিকে হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে যাওয়া আহমেদ আল-আহমেদের সাহসের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার সময় হামলাকারী সাজিদ আকরামকে শেষ পর্যন্ত গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। অপর হামলাকারী তাঁরই ছেলে নাভিদ আকরাম। গুরুতর আহত অবস্থায় নাভিদ এখন পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে রয়েছে।

দুই দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দুই নেতা বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে তাঁরা সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
৬ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বাবলি কৌড়ের মেয়ে জ্যোতি জানান, গ্রিন কার্ড আবেদন-সংক্রান্ত বায়োমেট্রিক স্ক্যানের জন্য ১ ডিসেম্বর বাবলি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে গেলে সেখানে ফেডারেল এজেন্টরা তাঁকে আটক করেন।
লং বিচ ওয়াচডগ জানিয়েছে, কৌড়ের আরেক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাঁর স্বামী গ্রিন কার্ডধারী। তাঁরা মায়ের পক্ষে গ্রিন কার্ড পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
জ্যোতি জানান, আইসিই কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্কে অপেক্ষার সময় কয়েকজন ফেডারেল এজেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কৌড়কে একটি কক্ষে ডাকা হয়, যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তবু তাঁকে আটক রাখা হয়।
পরিবারের সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত জানানো হয়নি কৌড়কে কোথায় নেওয়া হয়েছে। পরে জানা যায়, তাঁকে রাতারাতি অ্যাডেলান্টোয় স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আগে একটি ফেডারেল কারাগার ছিল এবং বর্তমানে আইসিই ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের বসবাস ও পারিবারিক পরিচয়
পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর কৌড় প্রথমে লাগুনা বিচে বসবাস শুরু করেন। পরে কাজের প্রয়োজনে তাঁরা লং বিচের বেলমন্ট শোর এলাকায় চলে যান। কৌড় ও তাঁর স্বামীর তিন সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী জ্যোতি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বড় ছেলে ও মেয়ে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কৌড় ও তাঁর স্বামী দুই দশকের বেশি সময় বেলমন্ট শোরের সেকেন্ড স্ট্রিটে ‘নাটরাজ কুইজিন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড নেপাল’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালান। রেস্তোরাঁটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া তিনি প্রায় ২৫ বছর বেলমন্ট শোর রাইট এইড ফার্মেসিতে কাজ করেছেন। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মুক্তির দাবি
লং বিচের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রবার্ট গার্সিয়া বাবলি কৌড়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কার্যালয় জানায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কৌড়ের পরিবার আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত আবেদন প্রস্তুত করছে।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, অ্যাডেলান্টো ডিটেনশন সেন্টারে কৌড়কে বড় ডরমিটরি ধরনের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে আরও বহু বন্দী রয়েছেন। সারা রাত আলো জ্বালানো থাকে এবং উচ্চশব্দের কারণে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, কৌড়ের সঙ্গে স্বল্প সময়ের সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও এর জন্য পুরো দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।
মেয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এটা এক দুঃস্বপ্ন। আমরা তাঁকে বের করে আনার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করছি। তিনি এখানে থাকার মতো কেউ নন। এটা ভীষণ অমানবিক।’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করেন ৬০ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী বাব্বলজিৎ কৌড় ওরফে বাবলি। তাঁকে গ্রিন কার্ডের শেষ ধাপের সাক্ষাৎকারে আটক করেছেন দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বাবলি কৌড়ের মেয়ে জ্যোতি জানান, গ্রিন কার্ড আবেদন-সংক্রান্ত বায়োমেট্রিক স্ক্যানের জন্য ১ ডিসেম্বর বাবলি যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কার্যালয়ে গেলে সেখানে ফেডারেল এজেন্টরা তাঁকে আটক করেন।
লং বিচ ওয়াচডগ জানিয়েছে, কৌড়ের আরেক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও তাঁর স্বামী গ্রিন কার্ডধারী। তাঁরা মায়ের পক্ষে গ্রিন কার্ড পিটিশন দাখিল করেছিলেন, যা এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে।
জ্যোতি জানান, আইসিই কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্কে অপেক্ষার সময় কয়েকজন ফেডারেল এজেন্ট ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর কৌড়কে একটি কক্ষে ডাকা হয়, যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যদিও তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তবু তাঁকে আটক রাখা হয়।
পরিবারের সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত জানানো হয়নি কৌড়কে কোথায় নেওয়া হয়েছে। পরে জানা যায়, তাঁকে রাতারাতি অ্যাডেলান্টোয় স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আগে একটি ফেডারেল কারাগার ছিল এবং বর্তমানে আইসিই ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
দীর্ঘদিনের বসবাস ও পারিবারিক পরিচয়
পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর কৌড় প্রথমে লাগুনা বিচে বসবাস শুরু করেন। পরে কাজের প্রয়োজনে তাঁরা লং বিচের বেলমন্ট শোর এলাকায় চলে যান। কৌড় ও তাঁর স্বামীর তিন সন্তান রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী জ্যোতি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং বড় ছেলে ও মেয়ে দুজনেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কৌড় ও তাঁর স্বামী দুই দশকের বেশি সময় বেলমন্ট শোরের সেকেন্ড স্ট্রিটে ‘নাটরাজ কুইজিন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড নেপাল’ নামে একটি রেস্তোরাঁ চালান। রেস্তোরাঁটি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এ ছাড়া তিনি প্রায় ২৫ বছর বেলমন্ট শোর রাইট এইড ফার্মেসিতে কাজ করেছেন। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
মুক্তির দাবি
লং বিচের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান রবার্ট গার্সিয়া বাবলি কৌড়ের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর কার্যালয় জানায়, বিষয়টি নিয়ে তিনি ফেডারেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। কৌড়ের পরিবার আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে জামিনে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত আবেদন প্রস্তুত করছে।
পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, অ্যাডেলান্টো ডিটেনশন সেন্টারে কৌড়কে বড় ডরমিটরি ধরনের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে, যেখানে আরও বহু বন্দী রয়েছেন। সারা রাত আলো জ্বালানো থাকে এবং উচ্চশব্দের কারণে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, কৌড়ের সঙ্গে স্বল্প সময়ের সাক্ষাতের সুযোগ পেলেও এর জন্য পুরো দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের।
মেয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এটা এক দুঃস্বপ্ন। আমরা তাঁকে বের করে আনার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করছি। তিনি এখানে থাকার মতো কেউ নন। এটা ভীষণ অমানবিক।’

দুই দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দুই নেতা বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে তাঁরা সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দায়ের করা মানহানি ও ক্ষতিপূরণ মামলার বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারিতে সংঘটিত ক্যাপিটল দাঙ্গার আগে...
৬ ঘণ্টা আগে
সরকারি এক অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে তাঁর নেকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গতকাল সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) পাটনায় তাঁর এ কাণ্ডে ভারতজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে সন্ত্রাসী হামলার সময় এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে ‘নায়ক’ বনে গেছেন ৪৩ বছর বয়সী আহমেদ আল-আহমেদ। এবার জানা গেল, এক বৃদ্ধ দম্পতিও হামলাকারীদের থামাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁদের নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে