আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্যপ্রদেশে বিষাক্ত কাশির সিরাপ খেয়ে ২০ শিশু মারা গেছে। আরও সাত শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ মৃত্যুগুলো এখন রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ভয়াবহ ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ প্রশাসনের এ ব্যবস্থা এমন একটি সিস্টেম, যা মানুষের জীবন রক্ষা করার কথা, এখন সেটিই ভেঙে পড়েছে নিজের দুর্বলতায়।
ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ (Coldrif) নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০টি শিশুর মৃত্যুর পরেও সেই সন্দেহভাজন সিরাপের নমুনা কোনো জরুরি মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং সাধারণ ডাকযোগে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই পরীক্ষার জন্য পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে যখন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, (ফল এখনো আসেনি) ঠিক এমন সময়ে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা ১ ও ৩ অক্টোবর দুবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, সিরাপটি ‘নিরাপদ’। এখন ২০টি শিশুর মৃত্যুর পর সেই ঘোষণাই সবচেয়ে নির্মম বৈপরীত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে তামিলনাড়ু সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তাদের পরীক্ষাগারে একই সিরাপ পরীক্ষা করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষাক্ত প্রমাণিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে তখনো নমুনাগুলো ডাকঘরে ঘুরছিল। মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের ছিন্দওয়ারা থেকে ভোপাল পর্যন্ত যেতে লেগে যায় তিন দিন!
প্রথম সতর্কবার্তা আসে ১৯ সেপ্টেম্বর, নাগপুর থেকে। সেখান থেকে খবর আসে একধরনের দূষিত কফ সিরাপ শিশুদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ২৬-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ মিশন ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রশাসন ছিন্দওয়ারা জেলায় কোল্ডরিফ বিক্রিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবল একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। পাশের জেলাগুলোতে ওষুধটি আরও কয়েক দিন বিক্রি চলতে থাকে। ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার দুটি সন্দেহভাজন সিরাপ কোলড্রিফ ও নেক্সট্রো-ডিএস (Nextro-DS) নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করে। এর দুই দিন পর ৩ অক্টোবর তামিলনাড়ুর পরীক্ষাগার নিশ্চিত করে—কোল্ডরিফ বিষাক্ত। তারপর ৪ অক্টোবর, অর্থাৎ প্রথম মৃত্যুর ঘটনার প্রায় এক মাস পর রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলার দিনেশ শ্রীবাস্তব স্বীকার করেন, নমুনা ডাকযোগে পাঠানো রুটিন প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, সাধারণত সব নমুনা রেজিস্টার্ড পোস্টে পাঠানো হয়। তবে জরুরি ক্ষেত্রে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে পাঠানো উচিত। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, দোষীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ মন্তব্যই প্রকাশ করেছে, জরুরি পরিস্থিতিতেও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা যান্ত্রিক ও সেকেলে প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল, যা জীবন বাঁচানোর বদলে কাগজে-কলমেই আটকে থাকে।
এ ঘটনার পর রাজ্যের ওষুধ পরীক্ষার অবকাঠামোর দুরবস্থাও সামনে এসেছে। ভোপাল, ইন্দোর ও জবলপুরে রাজ্যের মোট তিনটি ড্রাগ ল্যাব রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক নমুনা পরীক্ষণক্ষমতা মাত্র ৬ হাজার। কিন্তু সেখানে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি নমুনা জমে রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষায় লাগে দুই-তিন দিন।
পুরো রাজ্যের ৫০ জেলার জন্য রয়েছে মাত্র ৮০ জন ওষুধ পরিদর্শক। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, এ গতিতে চললে সব নমুনা পরীক্ষা করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
এদিকে সরকারের ব্যর্থতার আরও এক দৃষ্টান্ত হলো—দুটি মোবাইল ড্রাগ টেস্টিং ভ্যান। এগুলো দ্রুত মান যাচাইয়ের জন্য কেনা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলো বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে গ্যারেজে। একটি ২০২২ সাল থেকে নাড়াচাড়া হয়নি, অন্যটি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে যে সিরাপ মৃত্যুর কারণ হয়েছে, সেই কোল্ডরিফের ৬৬০ বোতলের মধ্যে ৪৫৭টি উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ২৮টি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
১৫৬টি বোতল শিশুদের দেওয়া হয়েছিল, আর ১৯টি বোতলের খোঁজই মেলেনি! সেগুলো এখন কোথায় আছে, কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিটি হারানো বোতল অবশিষ্ট বিপদের প্রতীক।
এ ঘটনা শুধু একটি কোম্পানির অবহেলা নয়—বরং একটি ভাঙা সিস্টেমের নগ্ন প্রতিচ্ছবি। সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি, পরীক্ষাগারগুলো অকেজো যন্ত্রপাতি দিয়ে ভরা আর কর্মকর্তারা যেন বুঝতেই পারেননি তাঁরা একটি প্রাণঘাতী জরুরি পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আজ যখন ২০টি শিশুর দেহ মাটিতে মিশে গেছে, আর সাতটি শিশু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, তখনো মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর কাগজপত্রের জটেই আটকে আছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত নমুনা সরকারি আলমারিতে ধুলো জমায় আর গ্যারেজে থাকা টেস্টিং ভ্যানে মরচে ধরে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রশ্ন থেকেই যায়—নিজেদের এই ভয়াবহ ব্যর্থতা থেকে মধ্যপ্রদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বা ওষুধ প্রশাসন আদৌ কোনো শিক্ষা নেবে, নাকি আরও একটি বিপর্যয়ের অপেক্ষায় থাকবে?

মধ্যপ্রদেশে বিষাক্ত কাশির সিরাপ খেয়ে ২০ শিশু মারা গেছে। আরও সাত শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ মৃত্যুগুলো এখন রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ভয়াবহ ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ প্রশাসনের এ ব্যবস্থা এমন একটি সিস্টেম, যা মানুষের জীবন রক্ষা করার কথা, এখন সেটিই ভেঙে পড়েছে নিজের দুর্বলতায়।
ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ (Coldrif) নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০টি শিশুর মৃত্যুর পরেও সেই সন্দেহভাজন সিরাপের নমুনা কোনো জরুরি মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং সাধারণ ডাকযোগে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই পরীক্ষার জন্য পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে যখন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, (ফল এখনো আসেনি) ঠিক এমন সময়ে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা ১ ও ৩ অক্টোবর দুবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, সিরাপটি ‘নিরাপদ’। এখন ২০টি শিশুর মৃত্যুর পর সেই ঘোষণাই সবচেয়ে নির্মম বৈপরীত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে তামিলনাড়ু সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তাদের পরীক্ষাগারে একই সিরাপ পরীক্ষা করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষাক্ত প্রমাণিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে তখনো নমুনাগুলো ডাকঘরে ঘুরছিল। মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের ছিন্দওয়ারা থেকে ভোপাল পর্যন্ত যেতে লেগে যায় তিন দিন!
প্রথম সতর্কবার্তা আসে ১৯ সেপ্টেম্বর, নাগপুর থেকে। সেখান থেকে খবর আসে একধরনের দূষিত কফ সিরাপ শিশুদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ২৬-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ মিশন ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রশাসন ছিন্দওয়ারা জেলায় কোল্ডরিফ বিক্রিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবল একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। পাশের জেলাগুলোতে ওষুধটি আরও কয়েক দিন বিক্রি চলতে থাকে। ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার দুটি সন্দেহভাজন সিরাপ কোলড্রিফ ও নেক্সট্রো-ডিএস (Nextro-DS) নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করে। এর দুই দিন পর ৩ অক্টোবর তামিলনাড়ুর পরীক্ষাগার নিশ্চিত করে—কোল্ডরিফ বিষাক্ত। তারপর ৪ অক্টোবর, অর্থাৎ প্রথম মৃত্যুর ঘটনার প্রায় এক মাস পর রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলার দিনেশ শ্রীবাস্তব স্বীকার করেন, নমুনা ডাকযোগে পাঠানো রুটিন প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, সাধারণত সব নমুনা রেজিস্টার্ড পোস্টে পাঠানো হয়। তবে জরুরি ক্ষেত্রে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে পাঠানো উচিত। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, দোষীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ মন্তব্যই প্রকাশ করেছে, জরুরি পরিস্থিতিতেও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা যান্ত্রিক ও সেকেলে প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল, যা জীবন বাঁচানোর বদলে কাগজে-কলমেই আটকে থাকে।
এ ঘটনার পর রাজ্যের ওষুধ পরীক্ষার অবকাঠামোর দুরবস্থাও সামনে এসেছে। ভোপাল, ইন্দোর ও জবলপুরে রাজ্যের মোট তিনটি ড্রাগ ল্যাব রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক নমুনা পরীক্ষণক্ষমতা মাত্র ৬ হাজার। কিন্তু সেখানে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি নমুনা জমে রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষায় লাগে দুই-তিন দিন।
পুরো রাজ্যের ৫০ জেলার জন্য রয়েছে মাত্র ৮০ জন ওষুধ পরিদর্শক। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, এ গতিতে চললে সব নমুনা পরীক্ষা করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
এদিকে সরকারের ব্যর্থতার আরও এক দৃষ্টান্ত হলো—দুটি মোবাইল ড্রাগ টেস্টিং ভ্যান। এগুলো দ্রুত মান যাচাইয়ের জন্য কেনা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলো বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে গ্যারেজে। একটি ২০২২ সাল থেকে নাড়াচাড়া হয়নি, অন্যটি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে যে সিরাপ মৃত্যুর কারণ হয়েছে, সেই কোল্ডরিফের ৬৬০ বোতলের মধ্যে ৪৫৭টি উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ২৮টি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
১৫৬টি বোতল শিশুদের দেওয়া হয়েছিল, আর ১৯টি বোতলের খোঁজই মেলেনি! সেগুলো এখন কোথায় আছে, কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিটি হারানো বোতল অবশিষ্ট বিপদের প্রতীক।
এ ঘটনা শুধু একটি কোম্পানির অবহেলা নয়—বরং একটি ভাঙা সিস্টেমের নগ্ন প্রতিচ্ছবি। সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি, পরীক্ষাগারগুলো অকেজো যন্ত্রপাতি দিয়ে ভরা আর কর্মকর্তারা যেন বুঝতেই পারেননি তাঁরা একটি প্রাণঘাতী জরুরি পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আজ যখন ২০টি শিশুর দেহ মাটিতে মিশে গেছে, আর সাতটি শিশু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, তখনো মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর কাগজপত্রের জটেই আটকে আছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত নমুনা সরকারি আলমারিতে ধুলো জমায় আর গ্যারেজে থাকা টেস্টিং ভ্যানে মরচে ধরে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রশ্ন থেকেই যায়—নিজেদের এই ভয়াবহ ব্যর্থতা থেকে মধ্যপ্রদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বা ওষুধ প্রশাসন আদৌ কোনো শিক্ষা নেবে, নাকি আরও একটি বিপর্যয়ের অপেক্ষায় থাকবে?
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্যপ্রদেশে বিষাক্ত কাশির সিরাপ খেয়ে ২০ শিশু মারা গেছে। আরও সাত শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ মৃত্যুগুলো এখন রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ভয়াবহ ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ প্রশাসনের এ ব্যবস্থা এমন একটি সিস্টেম, যা মানুষের জীবন রক্ষা করার কথা, এখন সেটিই ভেঙে পড়েছে নিজের দুর্বলতায়।
ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ (Coldrif) নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০টি শিশুর মৃত্যুর পরেও সেই সন্দেহভাজন সিরাপের নমুনা কোনো জরুরি মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং সাধারণ ডাকযোগে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই পরীক্ষার জন্য পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে যখন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, (ফল এখনো আসেনি) ঠিক এমন সময়ে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা ১ ও ৩ অক্টোবর দুবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, সিরাপটি ‘নিরাপদ’। এখন ২০টি শিশুর মৃত্যুর পর সেই ঘোষণাই সবচেয়ে নির্মম বৈপরীত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে তামিলনাড়ু সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তাদের পরীক্ষাগারে একই সিরাপ পরীক্ষা করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষাক্ত প্রমাণিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে তখনো নমুনাগুলো ডাকঘরে ঘুরছিল। মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের ছিন্দওয়ারা থেকে ভোপাল পর্যন্ত যেতে লেগে যায় তিন দিন!
প্রথম সতর্কবার্তা আসে ১৯ সেপ্টেম্বর, নাগপুর থেকে। সেখান থেকে খবর আসে একধরনের দূষিত কফ সিরাপ শিশুদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ২৬-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ মিশন ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রশাসন ছিন্দওয়ারা জেলায় কোল্ডরিফ বিক্রিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবল একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। পাশের জেলাগুলোতে ওষুধটি আরও কয়েক দিন বিক্রি চলতে থাকে। ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার দুটি সন্দেহভাজন সিরাপ কোলড্রিফ ও নেক্সট্রো-ডিএস (Nextro-DS) নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করে। এর দুই দিন পর ৩ অক্টোবর তামিলনাড়ুর পরীক্ষাগার নিশ্চিত করে—কোল্ডরিফ বিষাক্ত। তারপর ৪ অক্টোবর, অর্থাৎ প্রথম মৃত্যুর ঘটনার প্রায় এক মাস পর রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলার দিনেশ শ্রীবাস্তব স্বীকার করেন, নমুনা ডাকযোগে পাঠানো রুটিন প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, সাধারণত সব নমুনা রেজিস্টার্ড পোস্টে পাঠানো হয়। তবে জরুরি ক্ষেত্রে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে পাঠানো উচিত। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, দোষীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ মন্তব্যই প্রকাশ করেছে, জরুরি পরিস্থিতিতেও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা যান্ত্রিক ও সেকেলে প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল, যা জীবন বাঁচানোর বদলে কাগজে-কলমেই আটকে থাকে।
এ ঘটনার পর রাজ্যের ওষুধ পরীক্ষার অবকাঠামোর দুরবস্থাও সামনে এসেছে। ভোপাল, ইন্দোর ও জবলপুরে রাজ্যের মোট তিনটি ড্রাগ ল্যাব রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক নমুনা পরীক্ষণক্ষমতা মাত্র ৬ হাজার। কিন্তু সেখানে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি নমুনা জমে রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষায় লাগে দুই-তিন দিন।
পুরো রাজ্যের ৫০ জেলার জন্য রয়েছে মাত্র ৮০ জন ওষুধ পরিদর্শক। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, এ গতিতে চললে সব নমুনা পরীক্ষা করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
এদিকে সরকারের ব্যর্থতার আরও এক দৃষ্টান্ত হলো—দুটি মোবাইল ড্রাগ টেস্টিং ভ্যান। এগুলো দ্রুত মান যাচাইয়ের জন্য কেনা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলো বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে গ্যারেজে। একটি ২০২২ সাল থেকে নাড়াচাড়া হয়নি, অন্যটি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে যে সিরাপ মৃত্যুর কারণ হয়েছে, সেই কোল্ডরিফের ৬৬০ বোতলের মধ্যে ৪৫৭টি উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ২৮টি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
১৫৬টি বোতল শিশুদের দেওয়া হয়েছিল, আর ১৯টি বোতলের খোঁজই মেলেনি! সেগুলো এখন কোথায় আছে, কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিটি হারানো বোতল অবশিষ্ট বিপদের প্রতীক।
এ ঘটনা শুধু একটি কোম্পানির অবহেলা নয়—বরং একটি ভাঙা সিস্টেমের নগ্ন প্রতিচ্ছবি। সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি, পরীক্ষাগারগুলো অকেজো যন্ত্রপাতি দিয়ে ভরা আর কর্মকর্তারা যেন বুঝতেই পারেননি তাঁরা একটি প্রাণঘাতী জরুরি পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আজ যখন ২০টি শিশুর দেহ মাটিতে মিশে গেছে, আর সাতটি শিশু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, তখনো মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর কাগজপত্রের জটেই আটকে আছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত নমুনা সরকারি আলমারিতে ধুলো জমায় আর গ্যারেজে থাকা টেস্টিং ভ্যানে মরচে ধরে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রশ্ন থেকেই যায়—নিজেদের এই ভয়াবহ ব্যর্থতা থেকে মধ্যপ্রদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বা ওষুধ প্রশাসন আদৌ কোনো শিক্ষা নেবে, নাকি আরও একটি বিপর্যয়ের অপেক্ষায় থাকবে?

মধ্যপ্রদেশে বিষাক্ত কাশির সিরাপ খেয়ে ২০ শিশু মারা গেছে। আরও সাত শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ মৃত্যুগুলো এখন রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার ভয়াবহ ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ প্রশাসনের এ ব্যবস্থা এমন একটি সিস্টেম, যা মানুষের জীবন রক্ষা করার কথা, এখন সেটিই ভেঙে পড়েছে নিজের দুর্বলতায়।
ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ (Coldrif) নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর মৃত্যু হয়।
কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ১০টি শিশুর মৃত্যুর পরেও সেই সন্দেহভাজন সিরাপের নমুনা কোনো জরুরি মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং সাধারণ ডাকযোগে কোনো নিরাপত্তা ছাড়াই পরীক্ষার জন্য পাঠায় স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে যখন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, (ফল এখনো আসেনি) ঠিক এমন সময়ে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা ১ ও ৩ অক্টোবর দুবার প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, সিরাপটি ‘নিরাপদ’। এখন ২০টি শিশুর মৃত্যুর পর সেই ঘোষণাই সবচেয়ে নির্মম বৈপরীত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে তামিলনাড়ু সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তাদের পরীক্ষাগারে একই সিরাপ পরীক্ষা করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষাক্ত প্রমাণিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রদেশে তখনো নমুনাগুলো ডাকঘরে ঘুরছিল। মাত্র ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের ছিন্দওয়ারা থেকে ভোপাল পর্যন্ত যেতে লেগে যায় তিন দিন!
প্রথম সতর্কবার্তা আসে ১৯ সেপ্টেম্বর, নাগপুর থেকে। সেখান থেকে খবর আসে একধরনের দূষিত কফ সিরাপ শিশুদের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ২২ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ২৬-২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাশনাল হেলথ মিশন ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রশাসন ছিন্দওয়ারা জেলায় কোল্ডরিফ বিক্রিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল কেবল একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ। পাশের জেলাগুলোতে ওষুধটি আরও কয়েক দিন বিক্রি চলতে থাকে। ১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকার দুটি সন্দেহভাজন সিরাপ কোলড্রিফ ও নেক্সট্রো-ডিএস (Nextro-DS) নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করে। এর দুই দিন পর ৩ অক্টোবর তামিলনাড়ুর পরীক্ষাগার নিশ্চিত করে—কোল্ডরিফ বিষাক্ত। তারপর ৪ অক্টোবর, অর্থাৎ প্রথম মৃত্যুর ঘটনার প্রায় এক মাস পর রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা দেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলার দিনেশ শ্রীবাস্তব স্বীকার করেন, নমুনা ডাকযোগে পাঠানো রুটিন প্রক্রিয়া। তিনি বলেন, সাধারণত সব নমুনা রেজিস্টার্ড পোস্টে পাঠানো হয়। তবে জরুরি ক্ষেত্রে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে পাঠানো উচিত। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, দোষীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
এ মন্তব্যই প্রকাশ করেছে, জরুরি পরিস্থিতিতেও রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা কতটা যান্ত্রিক ও সেকেলে প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভরশীল, যা জীবন বাঁচানোর বদলে কাগজে-কলমেই আটকে থাকে।
এ ঘটনার পর রাজ্যের ওষুধ পরীক্ষার অবকাঠামোর দুরবস্থাও সামনে এসেছে। ভোপাল, ইন্দোর ও জবলপুরে রাজ্যের মোট তিনটি ড্রাগ ল্যাব রয়েছে, যেগুলোর বার্ষিক নমুনা পরীক্ষণক্ষমতা মাত্র ৬ হাজার। কিন্তু সেখানে ৫ হাজার ৫০০-এর বেশি নমুনা জমে রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষায় লাগে দুই-তিন দিন।
পুরো রাজ্যের ৫০ জেলার জন্য রয়েছে মাত্র ৮০ জন ওষুধ পরিদর্শক। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এনডিটিভিকে বলেন, এ গতিতে চললে সব নমুনা পরীক্ষা করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
এদিকে সরকারের ব্যর্থতার আরও এক দৃষ্টান্ত হলো—দুটি মোবাইল ড্রাগ টেস্টিং ভ্যান। এগুলো দ্রুত মান যাচাইয়ের জন্য কেনা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেগুলো বছরের পর বছর অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে গ্যারেজে। একটি ২০২২ সাল থেকে নাড়াচাড়া হয়নি, অন্যটি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি।
এদিকে যে সিরাপ মৃত্যুর কারণ হয়েছে, সেই কোল্ডরিফের ৬৬০ বোতলের মধ্যে ৪৫৭টি উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে ২৮টি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
১৫৬টি বোতল শিশুদের দেওয়া হয়েছিল, আর ১৯টি বোতলের খোঁজই মেলেনি! সেগুলো এখন কোথায় আছে, কেউ জানে না। কিন্তু প্রতিটি হারানো বোতল অবশিষ্ট বিপদের প্রতীক।
এ ঘটনা শুধু একটি কোম্পানির অবহেলা নয়—বরং একটি ভাঙা সিস্টেমের নগ্ন প্রতিচ্ছবি। সরকার সময়মতো পদক্ষেপ নেয়নি, পরীক্ষাগারগুলো অকেজো যন্ত্রপাতি দিয়ে ভরা আর কর্মকর্তারা যেন বুঝতেই পারেননি তাঁরা একটি প্রাণঘাতী জরুরি পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
আজ যখন ২০টি শিশুর দেহ মাটিতে মিশে গেছে, আর সাতটি শিশু মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, তখনো মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দপ্তর কাগজপত্রের জটেই আটকে আছে।
যতক্ষণ পর্যন্ত বিষাক্ত নমুনা সরকারি আলমারিতে ধুলো জমায় আর গ্যারেজে থাকা টেস্টিং ভ্যানে মরচে ধরে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রশ্ন থেকেই যায়—নিজেদের এই ভয়াবহ ব্যর্থতা থেকে মধ্যপ্রদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা বা ওষুধ প্রশাসন আদৌ কোনো শিক্ষা নেবে, নাকি আরও একটি বিপর্যয়ের অপেক্ষায় থাকবে?

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় ভুলভাবে আটক হওয়া, আটক অবস্থায় নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ, স্থানীয় আইনের স্বেচ্ছাচারী প্রয়োগ, অপরাধ, নাগরিক অস্থিরতা এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তাই দেশটিতে ভ্রমণ না করতে এবং সেখানে অবস্থান না করতে মার্কিন নাগরিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও আইনগত স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশ ছাড়তে জোরালো পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সতর্কবার্তা এল এমন এক সময়, যার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রাণঘাতী হামলায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌকা লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী হামলা চালায়। এতে চারজন নিহত হয়েছেন বলে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়।
সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী এই নৌযানটি একটি ‘সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত সংগঠনের’ সঙ্গে যুক্ত। গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, নৌকাটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর পথে অবৈধ মাদক পরিবহন করছিল। এক্সে দেওয়া পোস্টে সাউদার্ন কমান্ড জানায়, নৌকায় থাকা চার পুরুষ ‘মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বহু ইঞ্জিনবিশিষ্ট দ্রুতগতির নৌকাটি আচমকা একটি প্রবল বিস্ফোরণে আঘাত পেয়ে আগুনে ঘিরে যায়।
ঘটনাটি অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তৃত মাদকবিরোধী সামরিক অভিযানের অংশ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অভিযান নিয়ে সমালোচনা বেড়েছে, কারণ এতে নিহতের সংখ্যা এখন ৮৫–এর বেশি ছাড়িয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনার জেরে একযোগে ছয়টি বড় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনের অবতরণ ও উড্ডয়নের অনুমতি বাতিল করেছে ভেনেজুয়েলা। এর আগে মার্কিন সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে ভেনেজুয়েলার কারাকাসগামী ফ্লাইটগুলো স্থগিত করেছিল এই এয়ারলাইনগুলো। পরে ভেনেজুয়েলা তাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ২৭ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ হওয়া এয়ারলাইনগুলো হলো—আইবেরিয়া, টিএপি পর্তুগাল, গোল, লাতাম, অ্যাভিয়াঙ্কা এবং টার্কিশ এয়ারলাইনস। ভেনেজুয়েলার এই সিদ্ধান্তে হাজারো যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। তবে কিছু ছোট ছোট এয়ারলাইন এখনো দেশটিতে যাতায়াত করছে।
সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ঘিরে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় এলাকায় ১৫ হাজার সেনা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড মোতায়েন করেছে। ওয়াশিংটন বলছে, এই অভিযান মাদকবিরোধী তৎপরতার অংশ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকবিরোধী অভিযানে এত বড় সামরিক উপস্থিতি সাধারণত দেখা যায় না।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় ভুলভাবে আটক হওয়া, আটক অবস্থায় নির্যাতন, সন্ত্রাসবাদ, অপহরণ, স্থানীয় আইনের স্বেচ্ছাচারী প্রয়োগ, অপরাধ, নাগরিক অস্থিরতা এবং দুর্বল স্বাস্থ্যসেবার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তাই দেশটিতে ভ্রমণ না করতে এবং সেখানে অবস্থান না করতে মার্কিন নাগরিকদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, ভেনেজুয়েলায় থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও আইনগত স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশ ছাড়তে জোরালো পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সতর্কবার্তা এল এমন এক সময়, যার কয়েক ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রাণঘাতী হামলায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে একটি নৌকা লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী হামলা চালায়। এতে চারজন নিহত হয়েছেন বলে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়।
সামরিক কর্মকর্তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী এই নৌযানটি একটি ‘সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত সংগঠনের’ সঙ্গে যুক্ত। গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, নৌকাটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগর পথে অবৈধ মাদক পরিবহন করছিল। এক্সে দেওয়া পোস্টে সাউদার্ন কমান্ড জানায়, নৌকায় থাকা চার পুরুষ ‘মাদকসন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, বহু ইঞ্জিনবিশিষ্ট দ্রুতগতির নৌকাটি আচমকা একটি প্রবল বিস্ফোরণে আঘাত পেয়ে আগুনে ঘিরে যায়।
ঘটনাটি অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তৃত মাদকবিরোধী সামরিক অভিযানের অংশ। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অভিযান নিয়ে সমালোচনা বেড়েছে, কারণ এতে নিহতের সংখ্যা এখন ৮৫–এর বেশি ছাড়িয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনার জেরে একযোগে ছয়টি বড় আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনের অবতরণ ও উড্ডয়নের অনুমতি বাতিল করেছে ভেনেজুয়েলা। এর আগে মার্কিন সতর্কবার্তার প্রেক্ষিতে ভেনেজুয়েলার কারাকাসগামী ফ্লাইটগুলো স্থগিত করেছিল এই এয়ারলাইনগুলো। পরে ভেনেজুয়েলা তাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয়। সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় ২৭ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ হওয়া এয়ারলাইনগুলো হলো—আইবেরিয়া, টিএপি পর্তুগাল, গোল, লাতাম, অ্যাভিয়াঙ্কা এবং টার্কিশ এয়ারলাইনস। ভেনেজুয়েলার এই সিদ্ধান্তে হাজারো যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। তবে কিছু ছোট ছোট এয়ারলাইন এখনো দেশটিতে যাতায়াত করছে।
সম্প্রতি ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি ঘিরে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলীয় এলাকায় ১৫ হাজার সেনা এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড মোতায়েন করেছে। ওয়াশিংটন বলছে, এই অভিযান মাদকবিরোধী তৎপরতার অংশ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকবিরোধী অভিযানে এত বড় সামরিক উপস্থিতি সাধারণত দেখা যায় না।

ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর..
০৮ অক্টোবর ২০২৫
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসাবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত-দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনী প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭ তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে, একটি মাত্র অফিসের অধীনে সশস্ত্রবাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসাবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিনবাহিনী সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফ-এর হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭ তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএ-এর ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (১) এখন জানাচ্ছে যে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনী প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন […], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফ-এর বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফ-এরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭ তম সেনাপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসি-এর মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনঃ নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।
ফলস্বরূপ, ২৭ তম সংশোধনীর অধীনে এই পুনর্গঠনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, পিএএ-এর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সিওএএসসহ-সিডিএফ-কে আরও পাঁচ বছরের জন্য পুনঃ নিয়োগ বা তাঁর মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দিচ্ছে। এর ফলে তিনি ২০৩৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্তও পদে থাকতে পারেন।
এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা ব্যাপক জল্পনা বাড়িয়েছিল। বিশেষ করে, যখন ২৭ নভেম্বর জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা অবসর নেওয়ার পর সিজেসিএসসি পদটি বিলুপ্ত হয়। ফিল্ড মার্শাল মুনির-এর আসল তিন বছরের সেনাপ্রধানের মেয়াদ (গত বছরের সংশোধনীর আগে) ২৯ নভেম্বরে শেষ হয়, কিন্তু সেদিনও কোনো বিজ্ঞপ্তি না আসায় আরও অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন, সরকার হয়তো আসন্ন চার-তারকা পদের নিয়োগ নিয়ে দর-কষাকষির জন্য এই নিয়োগ আটকে রেখেছিল।
রাজনৈতিক মহল থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের নতুন কমান্ডার (সিএনএসসি), ভাইস চিফ অব দ্য আর্মি স্টাফ (ভিসিওএএস) এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আইএসআই প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে দরদাম করতেই এই দেরি। সেনাবাহিনী আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, কোনো ভিসিওএএস নিয়োগ করা হচ্ছে না। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী, সিএনএসসি এবং যেকোনো ভিসিওএএস-এর নিয়োগ সিডিএফ-এর সুপারিশের সঙ্গে যুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তারা বারবার সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো উত্তেজনার কথা অস্বীকার করেছেন, জানিয়েছেন যে প্রক্রিয়াগত প্রয়োজনীয়তা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সূচি সময়রেখা নির্ধারণ করেছে। তবুও, ২৭ তম সংশোধনী যেভাবে তাড়াহুড়ো করে সংসদে পাশ করানো হয়েছিল, তার পরে এমন নীরবতাকে অনেকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেছেন। এই সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সিডিএফ-এর কার্যাবলি নির্ধারণের ক্ষমতাও দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বহু-ডোমেন ইন্টিগ্রেশন, পুনর্গঠন এবং সার্ভিসগুলোর মধ্যে যৌথতা বাড়ানো।
এদিকে, আইনসচিব আজম নাজির তারার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিডিএফ-এর জন্য একটি নতুন অর্গানোগ্রাম চূড়ান্ত করছে এবং এর খসড়া একদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিডিএফ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কোনো মতপার্থক্যের ধারণা তিনি নাকচ করে দেন, জোর দিয়ে বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর দেশের বাইরে থাকার কারণেই এই বিলম্ব। কর্মকর্তারা বলছেন, এই অর্গানোগ্রামেই সিডিএফ, সার্ভিস চিফ ও নতুন প্রতিষ্ঠিত কৌশলগত কমান্ডের মধ্যে কমান্ডের প্রবাহ কেমন হবে, তা উল্লেখ করা থাকবে।
সিডিএফ-এর নিয়োগ অনুমোদনের পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জারদারি বিমানবাহিনীর নেতৃত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শও অনুমোদন করেছেন। প্রেসিডেন্ট ভবন জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর জন্য ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে দুই বছরের মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছেন।’
এই মেয়াদ বৃদ্ধিটি আগামী বছরের মার্চে তাঁর বর্তমান পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কার্যকর হবে, যা তাঁকে ২০২৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পদে বহাল রাখবে।

ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর..
০৮ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সকল নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লালগালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লিতে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে এই মন্তব্য মন্তব্য করেন। এই সফরের সময় উভয় দেশ পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর চেষ্টা করবে।
ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন ভারতকে রাশিয়াকে এড়িয়ে চলতে চাপ দিচ্ছে, ঠিক তখন চার বছরে পুতিনের এই প্রথম ভারত সফরের লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানের বিক্রি বাড়ানো, এবং জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বাইরেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রসারিত করা।
নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় থেকে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং বহু দশক ধরে রাশিয়া ভারতের প্রধান অস্ত্র সরবরাহের উৎস। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার পর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত সমুদ্রপথে আসা রাশিয়ার তেলের শীর্ষ ক্রেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন যখন বলছে যে ভারতের সস্তায় রুশ তেল কেনা মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থায়নে সাহায্য করছে, তখন ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কঠোর হওয়ার ফলে এই মাসে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানি তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হতে চলেছে।
পুতিন ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র নিজেই এখনো তার নিজস্ব পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য আমাদের কাছ থেকে পারমাণবিক জ্বালানি কেনে। সেটিও তো জ্বালানি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের জ্বালানি কেনার অধিকার থাকে, তবে ভারতের কেন একই সুযোগ থাকবে না? এই প্রশ্নটির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা প্রয়োজন, এবং আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত।’
ভারত বলেছে যে ট্রাম্পের শুল্ক অন্যায্য এবং অযৌক্তিক এবং মস্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যের দিকে ইঙ্গিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যন্ত কোটি কোটি ডলারের রাশিয়ান জ্বালানি ও পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
পশ্চিমাদের চাপের কারণে ভারতীয় তেলের ক্রয় কমেছে কি না জানতে চাইলে পুতিন বলেন, ‘এই বছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস দেখা গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটা কেবল একটি সামান্য সমন্বয়। সামগ্রিকভাবে, আমাদের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আগের মতোই আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং অপরিশোধিত তেল... রাশিয়ার তেলের বাণিজ্য ভারতে মসৃণভাবে চলছে।’
ভারত ও রাশিয়ার ট্রাম্প এবং তাঁর শুল্কের সঙ্গে কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত জানতে চাইলে পুতিন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন কিছু উপদেষ্টা আছেন, যাঁরা বিশ্বাস করেন যে এই ধরনের শুল্কনীতি বাস্তবায়ন চূড়ান্তভাবে মার্কিন অর্থনীতির জন্য উপকারী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সকল নিয়ম লঙ্ঘন সংশোধন করা হবে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে নরেন্দ্র মোদি দিল্লিতে বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরের রানওয়েতে লালগালিচার ওপর তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী মোদি আয়োজিত একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের জন্য একই গাড়িতে চলে যান।
পুতিনের এই সফরে রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী এবং একটি বড় রাশিয়ান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লিতে উপস্থিত ছিল। শুক্রবার দুই নেতা শীর্ষ বৈঠক করবেন, যেখানে একাধিক চুক্তি ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর..
০৮ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচি সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫, কলকাতায় ৩৫, চেন্নাইয়ে ২৬ এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএলের নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলো পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

ভারতের ২০ বছরের পুরোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিগো এক দিনে ৫৫০টির বেশি ফ্লাইট বাতিল করার মধ্য দিয়ে এক নতুন ও উদ্বেগজনক রেকর্ড তৈরি করেছে। ক্রু-সংক্রান্ত সমস্যা এবং প্রযুক্তিগত জটিলতাসহ একাধিক পরিচালনাগত ব্যাঘাতের কারণে এই বিপর্যয় টানা তৃতীয় দিনেও অব্যাহত রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেছেন, এই মুহূর্তে স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনা এবং সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখা ‘সহজ লক্ষ্য’ হবে না। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো তাদের সময়সূচি সমন্বয় করেছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অংশ হিসেবে পূর্বপরিকল্পিত পরিষেবা বাতিল করছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট বাতিলের সংখ্যা ছিল নিম্নরূপ—মুম্বাইয়ে কমপক্ষে ১১৮টি, বেঙ্গালুরুতে ১০০টি, হায়দরাবাদে ৭৫, কলকাতায় ৩৫, চেন্নাইয়ে ২৬ এবং গোয়ায় ১১টি। অন্যান্য বিমানবন্দর থেকেও ফ্লাইট বাতিলের খবর পাওয়া গেছে।
ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তারা সংশোধিত ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস (এফডিটিএল) নিয়মের অধীনে ক্রুদের প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে মূল্যায়ন করেছিল। এই পরিকল্পনার ত্রুটির ফলেই শীতকালীন আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত ভিড়ের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এফডিটিএল নিয়মের দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে রূপান্তরকালীন অসুবিধার কারণেই এই বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে বলে ইন্ডিগো ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনকে (ডিজিসিএ) জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে যে দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পাইলটের প্রকৃত সংখ্যা তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।
বিমান সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এফডিটএলের নতুন নিয়মের ফলে কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, বিশেষ করে রাতের বেলা অপারেশনের ক্ষেত্রে, যেখানে স্লট কম এবং ডিউটি সময়ের বিধিনিষেধ কঠোর। এই নতুন নিয়মগুলো পাইলটদের নিরাপত্তা ও ক্লান্তি ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য তৈরি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ইন্ডিগো অস্থায়ীভাবে দুটি নিয়ম প্রত্যাহার করেছে—
১. রাত ডিউটির সংজ্ঞা মধ্যরাত থেকে ভোর ৬টা করার নিয়মটি সাময়িকভাবে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং
২. রাতে অবতরণের সংখ্যা দুটিতে সীমাবদ্ধ করার নিয়মটিও সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা জেলায়। সেখানেই প্রথম রহস্যজনকভাবে কয়েকটি শিশুর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, তারা সবাই ‘কোল্ডরিফ’ নামের একটি কাশির সিরাপ খেয়েছিল। এই ওষুধ তৈরি করেছিল তামিলনাড়ুভিত্তিক একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি। এই সিরাপ খেয়ে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে ১০টি শিশুর..
০৮ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট ভেনেজুয়েলায় ভ্রমণ নিয়ে নতুন করে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। দেশটিতে থাকা সব মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। নিরাপত্তা হুমকি দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১১ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড়ো ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে তাঁকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর পরই, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে পারে, তবে ভারত কেন তা পারবে না।
২ ঘণ্টা আগে