আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত অবসানের জন্য একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাগজে-কলমে এটি মোটামুটি একটি যৌক্তিক চুক্তি। এই পরিকল্পনার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বন্ধ করা, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা বাড়ানো, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করা ও সম্ভাব্য নির্বাসন দেওয়া এবং ফিলিস্তিনিদের স্বশাসনের দিকে একটি চূড়ান্ত পথ তৈরি করা। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে গাজাবাসীকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করে সেখানে রিসোর্ট তৈরির জন্য ট্রাম্পের পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এর ফলে গাজা থেকে জাতিগতভাবে ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করার ইসরায়েলি স্বপ্নকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
মোটকথা, ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি হলো বহু বছর ধরে আলোচিত কিছু যুক্তিসংগত ধারণার সমষ্টি, যা বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ, সংঘাত নিরসনে উভয় পক্ষেরই কিছু কিছু বিষয়ে গুরুতর আপত্তি ছিল। এখন প্রশ্ন হলো, সেই পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, প্রধান আরব রাষ্ট্রসমূহ, ইসরায়েলি জিম্মি পরিবার ও হামাসের পৃষ্ঠপোষক তুরস্ক ও কাতারের সমর্থন রয়েছে। হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও শর্তসাপেক্ষে এতে সমর্থন দিয়েছেন এবং ইসরায়েলের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে প্রশংসা করেন।
এত কিছুর পরেও সবচেয়ে কঠিন কাজটি হলো চুক্তির পরবর্তী পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা। ট্রাম্প এটিকে ‘সম্পন্ন চুক্তি’ হিসেবে উপস্থাপন করলেও আসল কাজ সবে শুরু হয়েছে। প্রশ্ন হলো—ট্রাম্প ও মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর মিত্ররা কি হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের মতো বিষয়ে ছাড় দিতে রাজি করাতে পারবে, যা তারা এখন পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করে আসছে?
এই চুক্তি ইসরায়েলের সংসদে নেতানিয়াহুর চরম ডানপন্থী জোটের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে নেতানিয়াহু চুক্তি থেকে সরেও যেতে পারেন। যদি এমন হয়, তবে কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁকে আটকাতে পারবেন?
এই পরিকল্পনা সফল করতে হলে ট্রাম্পের প্রয়োজন হবে কাতারের ও তুরস্কের (যেখানে হামাস নেতারা আশ্রয় নেন) বন্ধুদের। তারা হামাসকে চুক্তিতে আনতে বাধ্য করবে। সে সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী যেন তাঁর অঙ্গীকার বজায় রাখেন, সেদিকে ট্রাম্পকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।
তাত্ত্বিকভাবে ট্রাম্পের এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। কাতার ও তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে তাঁর উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং সম্প্রতি তিনি উভয়কেই হোয়াইট হাউসে আতিথেয়তা দিয়েছেন। এ ছাড়া নেতানিয়াহুর ওপর ট্রাম্পের এমন একটি প্রভাব রয়েছে, যা এর আগে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ছিল না।
আগে বারাক ওবামার মতো উদার আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের চাপ থেকে নেতানিয়াহু নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করলেও ট্রাম্পের ক্ষেত্রে তিনি নিজেকে তাঁর মিত্র হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। ২০২৬ সালে নতুন নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় নেতানিয়াহু এমন একজন নেতার (ট্রাম্প) সঙ্গে বিরোধে যেতে পারবেন না, যাঁর সমর্থন নির্বাচনে তাঁর সফলতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এ কারণেই ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে সমর্থন করা ছাড়া নেতানিয়াহুর কোনো উপায় ছিল না।
তবে এই প্রাথমিক সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি চুক্তি সফল হওয়ার নিশ্চয়তা দেয় না। হামাস এখনো প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। তারা আলোচনার সময় দীর্ঘায়িত করতে এবং ব্যর্থতার দায় ইসরায়েলের ওপর চাপানোর উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিকর জবাব দিতে পারে। অন্যদিকে নেতানিয়াহু তাঁর চরম ডানপন্থী জোটের সদস্যদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হবেন। তাঁরা গাজাকে জাতিগতভাবে নির্মূল করে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন করতে চান। ফলে তাঁর সরকার ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকলে তিনি চুক্তি থেকে সরে আসার চেষ্টা করতে পারেন।
ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেন, নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে ‘হ্যাঁ’ বলেন। আর যখন তিনি ইসরায়েলে ফিরে আসেন, তখন ‘না’ বলেন। কারণ, তিনি যখন হোয়াইট হাউসে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান, তখন নিজেকে একজন যুগান্তকারী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অনুভব করেন। আর নিজ দেশে ফিরে তিনি বুঝতে পারেন তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান।
অতীতেও নেতানিয়াহু অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে নানা আলোচনা থেকে সরে এসেছেন। তবে সেই চুক্তিতে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট সরাসরি জড়িত ছিলেন না। ট্রাম্পের কাছে নেতানিয়াহুকে বাধ্য করার ক্ষমতা আছে। তবে প্রশ্ন হলো, তিনি সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম কি না।
গাজা যুদ্ধের মর্মান্তিক সত্য হলো, অধিকাংশ ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি বহু মাস ধরে এই সংঘাতের অবসান চেয়েছেন, কিন্তু তাঁদের নেতারা অন্যকে খুশি করতে গিয়ে নিজেদের আদর্শগত স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ট্রাম্পের পরিকল্পনা ঘোষণার পর গাজা সিটির ৪৭ বছর বয়সী বাসিন্দা মোহাম্মদ আল-বেলতাজি এএফপিকে বলেছিলেন, ‘বরাবরের মতোই, ইসরায়েল প্রথমে রাজি হয়, তারপর হামাস প্রত্যাখ্যান করে—কিংবা উল্টোটা। এটা একটা খেলা আর আমরা সাধারণ মানুষ সেটার মূল্য দিচ্ছি।’
এ প্রস্তাব কার্যকর হবে কি না, তা নির্ভর করছে হামাস ও ইসরায়েলের রাজনৈতিক অবস্থানের ওপর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়ে তাঁর মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন কি না। তবে এই চুক্তি গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত বন্ধে একটি নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে।
দ্য আটলান্টিক থেকে অনূদিত

গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত অবসানের জন্য একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাগজে-কলমে এটি মোটামুটি একটি যৌক্তিক চুক্তি। এই পরিকল্পনার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বন্ধ করা, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা বাড়ানো, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করা ও সম্ভাব্য নির্বাসন দেওয়া এবং ফিলিস্তিনিদের স্বশাসনের দিকে একটি চূড়ান্ত পথ তৈরি করা। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে গাজাবাসীকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করে সেখানে রিসোর্ট তৈরির জন্য ট্রাম্পের পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এর ফলে গাজা থেকে জাতিগতভাবে ফিলিস্তিনিদের নির্মূল করার ইসরায়েলি স্বপ্নকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
মোটকথা, ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি হলো বহু বছর ধরে আলোচিত কিছু যুক্তিসংগত ধারণার সমষ্টি, যা বাস্তবায়িত হয়নি। কারণ, সংঘাত নিরসনে উভয় পক্ষেরই কিছু কিছু বিষয়ে গুরুতর আপত্তি ছিল। এখন প্রশ্ন হলো, সেই পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, প্রধান আরব রাষ্ট্রসমূহ, ইসরায়েলি জিম্মি পরিবার ও হামাসের পৃষ্ঠপোষক তুরস্ক ও কাতারের সমর্থন রয়েছে। হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও শর্তসাপেক্ষে এতে সমর্থন দিয়েছেন এবং ইসরায়েলের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে প্রশংসা করেন।
এত কিছুর পরেও সবচেয়ে কঠিন কাজটি হলো চুক্তির পরবর্তী পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করা। ট্রাম্প এটিকে ‘সম্পন্ন চুক্তি’ হিসেবে উপস্থাপন করলেও আসল কাজ সবে শুরু হয়েছে। প্রশ্ন হলো—ট্রাম্প ও মধ্যপ্রাচ্যে তাঁর মিত্ররা কি হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের মতো বিষয়ে ছাড় দিতে রাজি করাতে পারবে, যা তারা এখন পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করে আসছে?
এই চুক্তি ইসরায়েলের সংসদে নেতানিয়াহুর চরম ডানপন্থী জোটের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে নেতানিয়াহু চুক্তি থেকে সরেও যেতে পারেন। যদি এমন হয়, তবে কি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁকে আটকাতে পারবেন?
এই পরিকল্পনা সফল করতে হলে ট্রাম্পের প্রয়োজন হবে কাতারের ও তুরস্কের (যেখানে হামাস নেতারা আশ্রয় নেন) বন্ধুদের। তারা হামাসকে চুক্তিতে আনতে বাধ্য করবে। সে সঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী যেন তাঁর অঙ্গীকার বজায় রাখেন, সেদিকে ট্রাম্পকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।
তাত্ত্বিকভাবে ট্রাম্পের এসব লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। কাতার ও তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে তাঁর উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং সম্প্রতি তিনি উভয়কেই হোয়াইট হাউসে আতিথেয়তা দিয়েছেন। এ ছাড়া নেতানিয়াহুর ওপর ট্রাম্পের এমন একটি প্রভাব রয়েছে, যা এর আগে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্টের ছিল না।
আগে বারাক ওবামার মতো উদার আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের চাপ থেকে নেতানিয়াহু নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করলেও ট্রাম্পের ক্ষেত্রে তিনি নিজেকে তাঁর মিত্র হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। ২০২৬ সালে নতুন নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় নেতানিয়াহু এমন একজন নেতার (ট্রাম্প) সঙ্গে বিরোধে যেতে পারবেন না, যাঁর সমর্থন নির্বাচনে তাঁর সফলতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এ কারণেই ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে সমর্থন করা ছাড়া নেতানিয়াহুর কোনো উপায় ছিল না।
তবে এই প্রাথমিক সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটি চুক্তি সফল হওয়ার নিশ্চয়তা দেয় না। হামাস এখনো প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। তারা আলোচনার সময় দীর্ঘায়িত করতে এবং ব্যর্থতার দায় ইসরায়েলের ওপর চাপানোর উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিকর জবাব দিতে পারে। অন্যদিকে নেতানিয়াহু তাঁর চরম ডানপন্থী জোটের সদস্যদের কাছ থেকে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হবেন। তাঁরা গাজাকে জাতিগতভাবে নির্মূল করে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন করতে চান। ফলে তাঁর সরকার ভেঙে যাওয়ার ভয় থাকলে তিনি চুক্তি থেকে সরে আসার চেষ্টা করতে পারেন।
ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ বলেন, নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে ‘হ্যাঁ’ বলেন। আর যখন তিনি ইসরায়েলে ফিরে আসেন, তখন ‘না’ বলেন। কারণ, তিনি যখন হোয়াইট হাউসে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান, তখন নিজেকে একজন যুগান্তকারী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে অনুভব করেন। আর নিজ দেশে ফিরে তিনি বুঝতে পারেন তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান।
অতীতেও নেতানিয়াহু অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে নানা আলোচনা থেকে সরে এসেছেন। তবে সেই চুক্তিতে কোনো আমেরিকান প্রেসিডেন্ট সরাসরি জড়িত ছিলেন না। ট্রাম্পের কাছে নেতানিয়াহুকে বাধ্য করার ক্ষমতা আছে। তবে প্রশ্ন হলো, তিনি সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম কি না।
গাজা যুদ্ধের মর্মান্তিক সত্য হলো, অধিকাংশ ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি বহু মাস ধরে এই সংঘাতের অবসান চেয়েছেন, কিন্তু তাঁদের নেতারা অন্যকে খুশি করতে গিয়ে নিজেদের আদর্শগত স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ট্রাম্পের পরিকল্পনা ঘোষণার পর গাজা সিটির ৪৭ বছর বয়সী বাসিন্দা মোহাম্মদ আল-বেলতাজি এএফপিকে বলেছিলেন, ‘বরাবরের মতোই, ইসরায়েল প্রথমে রাজি হয়, তারপর হামাস প্রত্যাখ্যান করে—কিংবা উল্টোটা। এটা একটা খেলা আর আমরা সাধারণ মানুষ সেটার মূল্য দিচ্ছি।’
এ প্রস্তাব কার্যকর হবে কি না, তা নির্ভর করছে হামাস ও ইসরায়েলের রাজনৈতিক অবস্থানের ওপর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ বিষয়ে তাঁর মনোযোগ ধরে রাখতে পারবেন কি না। তবে এই চুক্তি গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত বন্ধে একটি নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে।
দ্য আটলান্টিক থেকে অনূদিত

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত অবসানের জন্য একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাগজে-কলমে এটি মোটামুটি একটি যৌক্তিক চুক্তি। এই পরিকল্পনার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বন্ধ করা, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা বাড়ানো, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ...
০২ অক্টোবর ২০২৫
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত অবসানের জন্য একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাগজে-কলমে এটি মোটামুটি একটি যৌক্তিক চুক্তি। এই পরিকল্পনার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বন্ধ করা, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা বাড়ানো, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ...
০২ অক্টোবর ২০২৫
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত অবসানের জন্য একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাগজে-কলমে এটি মোটামুটি একটি যৌক্তিক চুক্তি। এই পরিকল্পনার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বন্ধ করা, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা বাড়ানো, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ...
০২ অক্টোবর ২০২৫
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

গাজায় চলমান ধ্বংসাত্মক সংঘাত অবসানের জন্য একটি ২০ দফা প্রস্তাব পেশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাগজে-কলমে এটি মোটামুটি একটি যৌক্তিক চুক্তি। এই পরিকল্পনার মূল উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বন্ধ করা, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া, গাজায় ত্রাণসহায়তা বাড়ানো, হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ...
০২ অক্টোবর ২০২৫
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১০ ঘণ্টা আগে