
সারা বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করা করোনা ভাইরাস মহামারির বীজ তথা জীবাণু ছড়িয়েছে গবেষণাগার থেকেই। গতকাল সোমবার মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি করোনাভাইরাস মহামারির কারণ হিসেবে গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টিকে সামনে এনেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ‘সিলেক্ট সাবকমিটি অন দ্য করোনাভাইরাস ক্রাইসিস’ বলেছে, তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, করোনাভাইরাস ‘সম্ভবত একটি ল্যাব বা গবেষণা সম্পর্কিত দুর্ঘটনার কারণে উদ্ভূত হয়েছিল।’ ৫২০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন দুই বছর ধরে প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে মহামারির উৎস, এর প্রতিক্রিয়া এবং টিকাদানের প্রচেষ্টাসহ ফেডারেল এবং রাজ্য পর্যায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছে।
কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান কংগ্রেসকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘এই কাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বকে পরবর্তী মহামারি পূর্বাভাস, প্রস্তুতি, সুরক্ষায় প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে এবং আশা করি, পরবর্তী মহামারি প্রতিরোধে সাহায্য করবে।’
রিপোর্টের মূল সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল, মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) চীন অবস্থিত উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে বিতর্কিত ‘গেইন-অব-ফাংশন’ গবেষণার জন্য তহবিল প্রদান করেছিল—যেটি ভাইরাসকে আরও শক্তিশালী করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায় খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়—মহামারির শুরু হওয়ার আগে।
কোভিড-১৯-এর জীবাণু প্রথম ক্ষেত্রে উহানে পাওয়া যায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। এই শহর চীনের হুবেই প্রদেশের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এরপর ভাইরাসটি দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং এতে ৭০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।
মার্কিন ফেডারেল এজেন্সি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ এর উৎস নির্ধারণের চেষ্টা করলেও কোনো মতানৈক্য হয়নি। অনেক গবেষক বিশ্বাস করেন, ভাইরাসটি প্রাণী থেকে মানুষে ছড়িয়েছিল এবং কোনোভাবে আক্রান্ত একটি প্রাণী সম্ভবত উহানের বাজারে চলে এসেছিল। তবে মার্কিন জ্বালানি বিভাগের এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, ভাইরাসটি সম্ভবত গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও (এফবিআই) একই ধরনের দাবি করেছিল।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ করতে গিয়ে, কমিটি দুই বছর ধরে ২৫টি বৈঠক করেছে এবং ৩০টিরও বেশি সাক্ষাৎকার নিয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে ১০ লাখের বেশি পৃষ্ঠার বিভিন্ন দলিল পর্যালোচনা করে গবেষণাগার থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
এই তদন্তের অংশ হিসেবে, রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসনাল প্যানেল এন্থনি ফাউচির সঙ্গে দুই দিনব্যাপী সাক্ষাৎকার নেয়। ড. ফাউচি মহামারির শুরুর দিকে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বার্তা প্রচারের জন্য সরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। কংগ্রেসের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ, ফাউচি চীনা বিজ্ঞানীদের জন্য তহবিল অনুমোদন করে সার্স-কভ-২ বা কোভিড-১৯-এর একটি প্রকরণ তৈরি করিয়েছেন এবং এর ফলে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারি তৈরি হয়েছে।
ফাউচি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অবসর নেন। কমিটির অভিযোগ, ফাউচি চীনা গবেষণাগার থেকেই কোভিডের জীবাণু ছড়িয়ে এমন ‘তত্ত্ব’ চাপা দেওয়ার জন্য কাজ করেছেন। এদিকে, ৮৩ বছর বয়সী ড. ফাউচি বর্তমানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করছেন। কারণ, তাঁর পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গত এক গণশুনানিতে কংগ্রেসের কমিটিকে ফাউচি বলেছিলেন, উহান ল্যাব মহামারি সৃষ্টিকারী ভাইরাস সরিয়েছিল এটি প্রায় অসম্ভব।
অপরদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের কমিটির তদন্ত এই বিষয়টিও খুঁজে পেয়েছে যে, লকডাউন আরও ক্ষতি করেছে, ভালো কিছু করেনি। এ ছাড়া, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার বিষয়টি কোভিড ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে অকার্যকর ছিল। তবে সামাজিক দূরত্ব ও ভ্রমণ সীমাবদ্ধতার মতো উদ্যোগ জীবন রক্ষা করেছে।

সারা বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করা করোনা ভাইরাস মহামারির বীজ তথা জীবাণু ছড়িয়েছে গবেষণাগার থেকেই। গতকাল সোমবার মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি করোনাভাইরাস মহামারির কারণ হিসেবে গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টিকে সামনে এনেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ‘সিলেক্ট সাবকমিটি অন দ্য করোনাভাইরাস ক্রাইসিস’ বলেছে, তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, করোনাভাইরাস ‘সম্ভবত একটি ল্যাব বা গবেষণা সম্পর্কিত দুর্ঘটনার কারণে উদ্ভূত হয়েছিল।’ ৫২০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন দুই বছর ধরে প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে মহামারির উৎস, এর প্রতিক্রিয়া এবং টিকাদানের প্রচেষ্টাসহ ফেডারেল এবং রাজ্য পর্যায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছে।
কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান কংগ্রেসকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘এই কাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বকে পরবর্তী মহামারি পূর্বাভাস, প্রস্তুতি, সুরক্ষায় প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে এবং আশা করি, পরবর্তী মহামারি প্রতিরোধে সাহায্য করবে।’
রিপোর্টের মূল সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল, মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) চীন অবস্থিত উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে বিতর্কিত ‘গেইন-অব-ফাংশন’ গবেষণার জন্য তহবিল প্রদান করেছিল—যেটি ভাইরাসকে আরও শক্তিশালী করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায় খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়—মহামারির শুরু হওয়ার আগে।
কোভিড-১৯-এর জীবাণু প্রথম ক্ষেত্রে উহানে পাওয়া যায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। এই শহর চীনের হুবেই প্রদেশের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এরপর ভাইরাসটি দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং এতে ৭০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।
মার্কিন ফেডারেল এজেন্সি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ এর উৎস নির্ধারণের চেষ্টা করলেও কোনো মতানৈক্য হয়নি। অনেক গবেষক বিশ্বাস করেন, ভাইরাসটি প্রাণী থেকে মানুষে ছড়িয়েছিল এবং কোনোভাবে আক্রান্ত একটি প্রাণী সম্ভবত উহানের বাজারে চলে এসেছিল। তবে মার্কিন জ্বালানি বিভাগের এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, ভাইরাসটি সম্ভবত গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও (এফবিআই) একই ধরনের দাবি করেছিল।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ করতে গিয়ে, কমিটি দুই বছর ধরে ২৫টি বৈঠক করেছে এবং ৩০টিরও বেশি সাক্ষাৎকার নিয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে ১০ লাখের বেশি পৃষ্ঠার বিভিন্ন দলিল পর্যালোচনা করে গবেষণাগার থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
এই তদন্তের অংশ হিসেবে, রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসনাল প্যানেল এন্থনি ফাউচির সঙ্গে দুই দিনব্যাপী সাক্ষাৎকার নেয়। ড. ফাউচি মহামারির শুরুর দিকে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বার্তা প্রচারের জন্য সরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। কংগ্রেসের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ, ফাউচি চীনা বিজ্ঞানীদের জন্য তহবিল অনুমোদন করে সার্স-কভ-২ বা কোভিড-১৯-এর একটি প্রকরণ তৈরি করিয়েছেন এবং এর ফলে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারি তৈরি হয়েছে।
ফাউচি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অবসর নেন। কমিটির অভিযোগ, ফাউচি চীনা গবেষণাগার থেকেই কোভিডের জীবাণু ছড়িয়ে এমন ‘তত্ত্ব’ চাপা দেওয়ার জন্য কাজ করেছেন। এদিকে, ৮৩ বছর বয়সী ড. ফাউচি বর্তমানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করছেন। কারণ, তাঁর পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গত এক গণশুনানিতে কংগ্রেসের কমিটিকে ফাউচি বলেছিলেন, উহান ল্যাব মহামারি সৃষ্টিকারী ভাইরাস সরিয়েছিল এটি প্রায় অসম্ভব।
অপরদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের কমিটির তদন্ত এই বিষয়টিও খুঁজে পেয়েছে যে, লকডাউন আরও ক্ষতি করেছে, ভালো কিছু করেনি। এ ছাড়া, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার বিষয়টি কোভিড ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে অকার্যকর ছিল। তবে সামাজিক দূরত্ব ও ভ্রমণ সীমাবদ্ধতার মতো উদ্যোগ জীবন রক্ষা করেছে।

সারা বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করা করোনা ভাইরাস মহামারির বীজ তথা জীবাণু ছড়িয়েছে গবেষণাগার থেকেই। গতকাল সোমবার মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি করোনাভাইরাস মহামারির কারণ হিসেবে গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টিকে সামনে এনেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ‘সিলেক্ট সাবকমিটি অন দ্য করোনাভাইরাস ক্রাইসিস’ বলেছে, তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, করোনাভাইরাস ‘সম্ভবত একটি ল্যাব বা গবেষণা সম্পর্কিত দুর্ঘটনার কারণে উদ্ভূত হয়েছিল।’ ৫২০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন দুই বছর ধরে প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে মহামারির উৎস, এর প্রতিক্রিয়া এবং টিকাদানের প্রচেষ্টাসহ ফেডারেল এবং রাজ্য পর্যায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছে।
কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান কংগ্রেসকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘এই কাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বকে পরবর্তী মহামারি পূর্বাভাস, প্রস্তুতি, সুরক্ষায় প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে এবং আশা করি, পরবর্তী মহামারি প্রতিরোধে সাহায্য করবে।’
রিপোর্টের মূল সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল, মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) চীন অবস্থিত উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে বিতর্কিত ‘গেইন-অব-ফাংশন’ গবেষণার জন্য তহবিল প্রদান করেছিল—যেটি ভাইরাসকে আরও শক্তিশালী করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায় খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়—মহামারির শুরু হওয়ার আগে।
কোভিড-১৯-এর জীবাণু প্রথম ক্ষেত্রে উহানে পাওয়া যায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। এই শহর চীনের হুবেই প্রদেশের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এরপর ভাইরাসটি দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং এতে ৭০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।
মার্কিন ফেডারেল এজেন্সি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ এর উৎস নির্ধারণের চেষ্টা করলেও কোনো মতানৈক্য হয়নি। অনেক গবেষক বিশ্বাস করেন, ভাইরাসটি প্রাণী থেকে মানুষে ছড়িয়েছিল এবং কোনোভাবে আক্রান্ত একটি প্রাণী সম্ভবত উহানের বাজারে চলে এসেছিল। তবে মার্কিন জ্বালানি বিভাগের এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, ভাইরাসটি সম্ভবত গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও (এফবিআই) একই ধরনের দাবি করেছিল।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ করতে গিয়ে, কমিটি দুই বছর ধরে ২৫টি বৈঠক করেছে এবং ৩০টিরও বেশি সাক্ষাৎকার নিয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে ১০ লাখের বেশি পৃষ্ঠার বিভিন্ন দলিল পর্যালোচনা করে গবেষণাগার থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
এই তদন্তের অংশ হিসেবে, রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসনাল প্যানেল এন্থনি ফাউচির সঙ্গে দুই দিনব্যাপী সাক্ষাৎকার নেয়। ড. ফাউচি মহামারির শুরুর দিকে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বার্তা প্রচারের জন্য সরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। কংগ্রেসের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ, ফাউচি চীনা বিজ্ঞানীদের জন্য তহবিল অনুমোদন করে সার্স-কভ-২ বা কোভিড-১৯-এর একটি প্রকরণ তৈরি করিয়েছেন এবং এর ফলে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারি তৈরি হয়েছে।
ফাউচি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অবসর নেন। কমিটির অভিযোগ, ফাউচি চীনা গবেষণাগার থেকেই কোভিডের জীবাণু ছড়িয়ে এমন ‘তত্ত্ব’ চাপা দেওয়ার জন্য কাজ করেছেন। এদিকে, ৮৩ বছর বয়সী ড. ফাউচি বর্তমানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করছেন। কারণ, তাঁর পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গত এক গণশুনানিতে কংগ্রেসের কমিটিকে ফাউচি বলেছিলেন, উহান ল্যাব মহামারি সৃষ্টিকারী ভাইরাস সরিয়েছিল এটি প্রায় অসম্ভব।
অপরদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের কমিটির তদন্ত এই বিষয়টিও খুঁজে পেয়েছে যে, লকডাউন আরও ক্ষতি করেছে, ভালো কিছু করেনি। এ ছাড়া, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার বিষয়টি কোভিড ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে অকার্যকর ছিল। তবে সামাজিক দূরত্ব ও ভ্রমণ সীমাবদ্ধতার মতো উদ্যোগ জীবন রক্ষা করেছে।

সারা বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করা করোনা ভাইরাস মহামারির বীজ তথা জীবাণু ছড়িয়েছে গবেষণাগার থেকেই। গতকাল সোমবার মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি করোনাভাইরাস মহামারির কারণ হিসেবে গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টিকে সামনে এনেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ‘সিলেক্ট সাবকমিটি অন দ্য করোনাভাইরাস ক্রাইসিস’ বলেছে, তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, করোনাভাইরাস ‘সম্ভবত একটি ল্যাব বা গবেষণা সম্পর্কিত দুর্ঘটনার কারণে উদ্ভূত হয়েছিল।’ ৫২০ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন দুই বছর ধরে প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে মহামারির উৎস, এর প্রতিক্রিয়া এবং টিকাদানের প্রচেষ্টাসহ ফেডারেল এবং রাজ্য পর্যায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছে।
কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান কংগ্রেসকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, ‘এই কাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বকে পরবর্তী মহামারি পূর্বাভাস, প্রস্তুতি, সুরক্ষায় প্রস্তুতি নিতে সহায়তা করবে এবং আশা করি, পরবর্তী মহামারি প্রতিরোধে সাহায্য করবে।’
রিপোর্টের মূল সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল, মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) চীন অবস্থিত উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে বিতর্কিত ‘গেইন-অব-ফাংশন’ গবেষণার জন্য তহবিল প্রদান করেছিল—যেটি ভাইরাসকে আরও শক্তিশালী করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায় খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়—মহামারির শুরু হওয়ার আগে।
কোভিড-১৯-এর জীবাণু প্রথম ক্ষেত্রে উহানে পাওয়া যায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। এই শহর চীনের হুবেই প্রদেশের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এরপর ভাইরাসটি দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এবং এতে ৭০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়।
মার্কিন ফেডারেল এজেন্সি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা কোভিড-১৯ এর উৎস নির্ধারণের চেষ্টা করলেও কোনো মতানৈক্য হয়নি। অনেক গবেষক বিশ্বাস করেন, ভাইরাসটি প্রাণী থেকে মানুষে ছড়িয়েছিল এবং কোনোভাবে আক্রান্ত একটি প্রাণী সম্ভবত উহানের বাজারে চলে এসেছিল। তবে মার্কিন জ্বালানি বিভাগের এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, ভাইরাসটি সম্ভবত গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও (এফবিআই) একই ধরনের দাবি করেছিল।
এই প্রতিবেদন প্রকাশ করতে গিয়ে, কমিটি দুই বছর ধরে ২৫টি বৈঠক করেছে এবং ৩০টিরও বেশি সাক্ষাৎকার নিয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে ১০ লাখের বেশি পৃষ্ঠার বিভিন্ন দলিল পর্যালোচনা করে গবেষণাগার থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার তত্ত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।
এই তদন্তের অংশ হিসেবে, রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসনাল প্যানেল এন্থনি ফাউচির সঙ্গে দুই দিনব্যাপী সাক্ষাৎকার নেয়। ড. ফাউচি মহামারির শুরুর দিকে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বার্তা প্রচারের জন্য সরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। কংগ্রেসের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ, ফাউচি চীনা বিজ্ঞানীদের জন্য তহবিল অনুমোদন করে সার্স-কভ-২ বা কোভিড-১৯-এর একটি প্রকরণ তৈরি করিয়েছেন এবং এর ফলে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারি তৈরি হয়েছে।
ফাউচি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে অবসর নেন। কমিটির অভিযোগ, ফাউচি চীনা গবেষণাগার থেকেই কোভিডের জীবাণু ছড়িয়ে এমন ‘তত্ত্ব’ চাপা দেওয়ার জন্য কাজ করেছেন। এদিকে, ৮৩ বছর বয়সী ড. ফাউচি বর্তমানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করছেন। কারণ, তাঁর পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গত এক গণশুনানিতে কংগ্রেসের কমিটিকে ফাউচি বলেছিলেন, উহান ল্যাব মহামারি সৃষ্টিকারী ভাইরাস সরিয়েছিল এটি প্রায় অসম্ভব।
অপরদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের কমিটির তদন্ত এই বিষয়টিও খুঁজে পেয়েছে যে, লকডাউন আরও ক্ষতি করেছে, ভালো কিছু করেনি। এ ছাড়া, বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার বিষয়টি কোভিড ছড়িয়ে পড়া নিয়ন্ত্রণে অকার্যকর ছিল। তবে সামাজিক দূরত্ব ও ভ্রমণ সীমাবদ্ধতার মতো উদ্যোগ জীবন রক্ষা করেছে।

এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।
গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ঘোষিত ‘সর্বাত্মক অবরোধের’ অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করেছে মার্কিন কোস্টগার্ড। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় প্রবেশ এবং সেখান থেকে বের হওয়া সব তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করা হচ্ছে। তাঁর এমন ঘোষণার মাত্র কয়েক দিনের মাথায় এই অভিযান চালানো হলো।
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোলিওস দে ভেনেজুয়েলা (পিডিভিএসএ) তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে আগের অভিযানকে ‘আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল মাদুরো সরকার।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবরোধ ঘোষণার পর থেকে ভেনেজুয়েলার তেল রপ্তানিতে ধস নেমেছে। আটকের ভয়ে ভেনেজুয়েলার জলসীমার ভেতরে কয়েক মিলিয়ন ব্যারেল তেল নিয়ে বহু ট্যাংকার নোঙর করে আছে।
গত সপ্তাহের অভিযানের পর থেকে দেশটির অপরিশোধিত তেল রপ্তানি আরও কমেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হলে দৈনিক প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সরবরাহ বন্ধ হবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় এশীয় ও ইউরোপীয় বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও কিছুটা বেড়েছে।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়া উপকূলে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত ২৬টি সামরিক হামলা চালিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, এই অবরোধ ও সামরিক তৎপরতা আসলে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভেনেজুয়েলার বিশাল তেল সম্পদ দখলে নেওয়ার একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা।
ভেনেজুয়েলার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। ডিসেম্বরে দেশটি প্রতিদিন গড়ে ৬ লাখ ব্যারেল তেল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, যা এখন চরম ঝুঁকির মুখে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ডেমোক্র্যাট কিছু কংগ্রেসম্যান ‘যুদ্ধের শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, শিগগির ভেনেজুয়েলার অভ্যন্তরে স্থল হামলাও শুরু হতে পারে।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার ওপর জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে দেশটির তেল কিনতে আগ্রহী ব্যবসায়ী ও শোধনাগারগুলো তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ ব্যবহার করে আসছে। এসব ট্যাংকার নিজেদের অবস্থান গোপন রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে ইরান বা রাশিয়ার তেল পরিবহনের জন্য নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ব্যবহার করা হয়।

মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি করোনাভাইরাস মহামারির কারণ হিসেবে গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার দাবি করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সম্ভবত একটি গবেষণাগার দুর্ঘটনার কারণে উদ্ভূত হয়েছিল। এতে উল্লেখ করা হয় যে, মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে বিতর্কিত
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

সরকারি অনুষ্ঠানে সার্টিফিকেট নিতে আসা এক মুসলিম নারীর মুখ দেখতে নিকাব টান দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের বিহার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এর মধ্যে আজ আরেকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নিকাব বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা সেই নারী চিকিৎসক নুসরাত পারভীন নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে যোগ দেননি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তিনি কাজে যোগদান করেননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাটনার সিভিল সার্জন অবিনাশ কুমার সিং। এমনকি তাঁর বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পাটনার সিভিল সার্জন জানান, নুসরাত পারভীনের কাজে যোগদানের শেষ সময় ২০ ডিসেম্বরের পর আরও বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন সময়সীমা কত দিন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সিভিল সার্জন বলেন, ‘তিনি সোমবার যোগ দেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।’
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
নুসরাত পারভীন পাটনার সরকারি তিব্বি কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। কলেজের প্রিন্সিপাল মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, নুসরাত সর্বশেষ ১৭ বা ১৮ ডিসেম্বর কলেজে এসেছিলেন।
নুসরাতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা অতিরিক্ত মিডিয়া কাভারেজ এড়াতে চাইছেন। এই বিতর্কের কারণে নুসরাত আদৌ চাকরিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।
এদিকে নুসরাতের পরিবার কলকাতায় চলে গেছে বলে যে গুঞ্জন উঠেছিল, তা নাকচ করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা সরকারের ওপর নয়, বরং সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি করা বিতর্কে বিরক্ত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে পাটনায় আয়ুশ চিকিৎসকদের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। ভিডিওতে দেখা যায়, নুসরাত পারভীন নিয়োগপত্র নিতে মঞ্চে এলে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তাঁর মুখের নিকাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং একপর্যায়ে তা টেনে সরিয়ে দেন। এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন বিহারের রাজ্যপাল আরিফ মোহাম্মদ খান। তবে তিনি এই ঘটনাকে ‘বিতর্ক’ বলতে নারাজ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বাবা ও মেয়ের মধ্যে কি কোনো বিতর্ক হতে পারে? নীতীশ কুমার নারী শিক্ষার্থীদের নিজের মেয়ের মতো মনে করেন। আপনারা বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেছেন?’
তবে এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নীতীশ কুমার। গত নভেম্বরের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে এক জনসভায় এক নারীকে মালা পরানোর ভিডিও ভাইরাল হলে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় এক জেডিইউ সংসদ সদস্য থামানোর চেষ্টা করলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ধমক দেন।

মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি করোনাভাইরাস মহামারির কারণ হিসেবে গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার দাবি করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সম্ভবত একটি গবেষণাগার দুর্ঘটনার কারণে উদ্ভূত হয়েছিল। এতে উল্লেখ করা হয় যে, মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে বিতর্কিত
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

ভারতের মোদি সরকারের সদ্য পাস হওয়া ‘শান্তি’ বিল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রবীণ নেতা ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতেই এই বিতর্কিত বিলটি সংসদে জোরপূর্বক পাস করা হয়েছে।
জয়রাম রমেশের দাবি, এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পরমাণু খাতে বিদেশি সরবরাহকারীদের দায়বদ্ধতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের জাতীয় ঐকমত্যের পরিপন্থী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জয়রাম রমেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট (এনডিএএ) ২০২৬’-এর প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ৩ হাজার ১০০ পৃষ্ঠার ওই মার্কিন আইনের ১৯১২ নম্বর পৃষ্ঠায় ভারতের ‘পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন’ নিয়ে দ্বিপক্ষীয় পর্যালোচনার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের নতুন বিলে সেটা নেই।
জয়রাম রমেশ বলেন, ‘এখন আমরা নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী কেন চলতি সপ্তাহেই “শান্তি” বিলটি পাস করার জন্য এত তাড়াহুড়ো করলেন। এটি তাঁর একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (ট্রাম্প) সঙ্গে সুসম্পর্ক বা শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা মাত্র।’
কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শান্তি বিলটিকে আসলে ‘ট্রাম্প অ্যাক্ট’ বলা উচিত। এর পূর্ণরূপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন—‘দ্য রিঅ্যাক্টর ইউস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্রমিজ অ্যাক্ট’।
কী আছে এই ‘শান্তি’ বিলে
মোদি সরকারের দাবি, ‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার ভারতের পরমাণু শক্তি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। তাঁর মতে, এই বিলের লক্ষ্য হলো—১৯৬২ সালের পারমাণবিক শক্তি আইনের ভিত্তিতে আধুনিক প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও জ্বালানি বাস্তবতার সঙ্গে ভারতের পারমাণবিক কাঠামোকে আধুনিক করা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিল পাস হওয়াকে একটি ‘রূপান্তরমূলক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেন।
বিলটির মূল লক্ষ্য হলো—ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্রুত বাড়ানো। বর্তমানে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন সক্ষমতা ৮ দশমিক ২ গিগাওয়াট। মোদি সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে তা ১০০ গিগাওয়াটে নিতে চায়। এ ছাড়া ভারতের ২০৭০ সালের মধ্য নেট জিরো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং পাশাপাশি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার সঙ্গেও এটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে বিরোধীরা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যম ১৯৬২ সালের পরমাণু শক্তি আইন ও ২০১০ সালের পরমাণু ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ক বেসামরিক দায়বদ্ধতা আইন (সিভিল লাইয়াবিলিটি ফর নিউক্লিয়ার ড্যামেজ আইন) বাতিল হয়ে গেছে।
বিরোধীদের প্রধান অভিযোগ, নতুন আইনে পারমাণবিক দুর্ঘটনায় সরঞ্জাম সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতা-সংক্রান্ত কঠোর ধারাগুলো শিথিল করা হয়েছে। এখন কোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দায় মূলত অপারেটরের ওপরই বর্তাবে।
সংসদে বিলটি পাসের সময় কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলো দাবি করেছিল, বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এবং বিরোধীদের ওয়াকআউটের মধ্যেই বিলটি পাস হয়ে যায়।
বিরোধীদের মতে, ২০১০ সালে যখন ইউপিএ সরকার পরমাণু দায়বদ্ধতা আইন এনেছিল, তখন বিজেপিই সরবরাহকারীর দায়বদ্ধতার দাবিতে অনড় ছিল। এখন সেই বিজেপিই ক্ষমতায় এসে বিদেশি সংস্থাগুলোকে ছাড় দিতে আইন শিথিল করছে, যা জনস্বার্থের পরিপন্থী।

মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি করোনাভাইরাস মহামারির কারণ হিসেবে গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার দাবি করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সম্ভবত একটি গবেষণাগার দুর্ঘটনার কারণে উদ্ভূত হয়েছিল। এতে উল্লেখ করা হয় যে, মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে বিতর্কিত
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে
গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ গাভদোসের কাছে একটি মাছধরা নৌকা থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৪০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। গ্রিক কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গাভদোস দ্বীপ থেকে প্রায় ১৬ নটিক্যাল মাইল (২৯.৬ কিমি) দূরে লিবীয় সাগরে নৌকাটি শনাক্ত করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের টহল জাহাজ প্রথমে নৌকাটি দেখতে পায়। এরপর কোস্ট গার্ডের তিনটি জাহাজ, ফ্রন্টেক্সের তিনটি জাহাজ ও তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজের সমন্বয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়।
জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ৫৪০ জন অভিবাসীর সবাই বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী ক্রিট দ্বীপের আগিয়া গালিনি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গ্রিক কোস্ট গার্ডের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিশর ও পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়া ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ফিলিস্তিনি নাগরিকেরাও এই দলে ছিলেন।
তাঁদের আপাতত ক্রিট দ্বীপের রেথিমনো শহরের একটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের (Asylum) আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর তোব্রুক থেকে পরিচালিত পাচারকারী চক্রগুলো এখন ইউরোপে প্রবেশের জন্য গাভদোস রুটটিকে বেশি ব্যবহার করছে। ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ক্রিট ও গাভদোসে ৭ হাজার ৩০০-এর বেশি অভিবাসী পৌঁছেছেন, যা ২০২৪ সালের পুরো বছরের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন অভিবাসন চুক্তি কার্যকর হবে। এর আওতায় যাঁদের আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হবে, তাঁদের দ্রুত নিজ দেশে ফেরত পাঠানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
উদ্ধারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিসর ও সুদানের নাগরিকেরা এই মরণযাত্রার জন্য পাচারকারী চক্রকে জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২.৫ থেকে ৬ লাখ টাকা) পরিশোধ করেন।

মার্কিন কংগ্রেসের একটি কমিটি করোনাভাইরাস মহামারির কারণ হিসেবে গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার দাবি করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সম্ভবত একটি গবেষণাগার দুর্ঘটনার কারণে উদ্ভূত হয়েছিল। এতে উল্লেখ করা হয় যে, মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে বিতর্কিত
০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
এর আগে গত সপ্তাহে একটি বিদেশি তেলের ট্যাংকার জব্দের পর এটি দ্বিতীয় ঘটনা। তবে এই ট্যাংকারের নাম বা নির্দিষ্ট অবস্থান সম্পর্কে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউস এখনো বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্টগার্ড এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
নুসরাত পারভীনের পাটনা সদরের সাবলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সেখানকার সার্জন বিজয় কুমার জানিয়েছেন, আজ ৫-৬ জন নতুন চিকিৎসক যোগ দিলেও নুসরাতের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সিভিল সার্জন অফিস থেকেও তাঁর নিয়োগপত্র এখনো সেখানে পৌঁছায়নি।
৮ ঘণ্টা আগে
‘সাস্টেইনেবল হার্নেসিং অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব নিউক্লিয়ার এনার্জি ফর ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়া (শান্তি বা এসএইচএএনটিআই) বিল-২০২৫’ ভারতের পরমাণু খাতে আমূল পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করবে। এই বিলের মাধ্যমে ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎ খাতে এই প্রথম বেসরকারি কোম্পানিগুলোর প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে