
সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি দেশটির শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় আলভীদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, এ ধরনের সহিংসতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে (এসডিএফ) দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আল-শারা রয়টার্সকে জানান, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে মিত্রদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শারা বলেন, ‘সিরিয়া আইনের শাসনের দেশ। আইন সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রয়োগ হবে।’
দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা নিপীড়িতদের রক্ষার জন্য লড়াই করেছি, তাই আমরা কোনো রক্ত অন্যায়ভাবে ঝরতে দেব না, বরং দোষীদের অবশ্যই শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে—তারা আমাদের ঘনিষ্ঠ হলেও।’
আল-শারা জানান, সাম্প্রতিক সংঘাতে নিরাপত্তা বাহিনীর ২০০ সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে তিনি মোট মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, একটি স্বাধীন কমিটি তদন্ত করে আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাবে। সংকট মোকাবিলায় আল-শারা একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, যা ৩০ দিনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, দ্বিতীয় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে নাগরিক শান্তি ও পুনর্মিলন প্রচারের জন্য।
তবে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সংখ্যালঘু আলভী সম্প্রদায়ের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের ফলে বৃহস্পতিবার থেকে চলা সহিংসতায় মোট নিহত ১ হাজার ১৮ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ১২৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বলে দাবি করা ১৪৮ জন যোদ্ধা রয়েছেন।
আল-শারা স্বীকার করেন, সাম্প্রতিক রক্তপাত জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের পথকে প্রভাবিত করবে।’ তবে পরিস্থিতি যতটা সম্ভব সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘রক্তপাত কেবলই আরও রক্তপাতের জন্ম দেয়।’ এ সময় তিনি সাম্প্রদায়িক বিভাজন রোধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এই হত্যাকাণ্ডে বিদেশি যোদ্ধারা বা তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী জড়িত ছিল কি না—জানতে চাইলে শারা বলেন, তদন্তেই এসব প্রশ্নের উত্তর আসবে। তবে তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত গোষ্ঠী এবং বিদেশি হস্তক্ষেপকে এই সহিংসতার জন্য দায়ী করেন।
আল-শারা অভিযোগ করেন, আসাদপন্থী চতুর্থ ডিভিশনের সদস্যরাই গত বৃহস্পতিবার সংঘাতকে ইচ্ছাকৃতভাবে উসকে দিয়েছে। এই চতুর্থ ডিভিশন সাবেক প্রেসিডেন্টের ভাই মাহের আল-আসাদের নেতৃত্বে ছিল। তিনি আরও দাবি করেন, এক অজ্ঞাত বিদেশি শক্তি পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করেছে। তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করেই বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য ছিল অস্থিরতা তৈরি করা ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ উসকে দেওয়া।’
সাক্ষাৎকারে আল-শারা সিরিয়ার অস্থিতিশীলতার জন্য বিদেশি নিষেধাজ্ঞাকেও দায়ী করেন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হবে। এ ছাড়া, কূটনৈতিক আলোচনা জরুরি হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ হয়নি বলে নিশ্চিত করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ার বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই। এটি তাদের কাছে জানতে চান। সিরিয়ার দরজা খোলা।
এদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় গতকাল সোমবার রাতে ঘোষণা করেছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে (এসডিএফ) দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত করার বিষয়ে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাহী কমিটিগুলো বছরের শেষ নাগাদ এই চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হলো সকল সিরিয়ার নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা এবং দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখা।
চুক্তির প্রধান দফাগুলো হলো—সিরিয়ার ভূখণ্ড জুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে সকল সিরিয়ার নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা, কুর্দি সম্প্রদায়কে সিরিয়ার রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, তাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া, সব সিরিয়ার নাগরিকের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার সব বেসামরিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অধীনে আনা, যার মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকা, বিমানবন্দর এবং তেল ও গ্যাসক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং সব বাস্তুচ্যুত সিরিয়ার নাগরিকের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্রের মাধ্যমে তাদের সুরক্ষা বিধান করা।
আগের শাসনব্যবস্থার অবশিষ্টাংশ ও জাতীয় নিরাপত্তা ও সংহতির বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকির মোকাবিলায় সিরিয়ার রাষ্ট্রকে সমর্থন দেওয়া এবং বিভক্তিকরণের আহ্বান, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং সিরিয়ার বহুজাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির সকল প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করার মতো ধারাগুলোও যুক্ত করা হয়েছে এই চুক্তিতে।
এর আগে, গত মাসে তুরস্কের কুর্দি বিদ্রোহী সংগঠন পার্তিয়া কারকেরেন কুর্দিস্তানে কা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওজালান তাঁর সংগঠনকে বিলুপ্ত করার এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে চার দশকের সশস্ত্র লড়াই সমাপ্ত করার আহ্বান জানান। তবে আঙ্কারা দাবি করে, শুধু তুরস্কে নয়, বিশ্বের যেকোনো স্থানে থাকা পিকেকে যোদ্ধাদের নিরস্ত্র হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসও মূলত কুর্দি অধ্যুষিত। এই বাহিনীর মূল কাঠামো গঠিত হয়েছে কুর্দি পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটসের (ওয়াইপিজি) মাধ্যমে।
এসডিএফ নেতৃত্ব ২৭ ফেব্রুয়ারি ওজালানের পিকেকে বিলুপ্তির আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, এই ঘোষণা তাদের বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য নয়। এরপর, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ার আল-হাসাকায় এসডিএফের অবস্থানে তুরস্কের ড্রোন হামলা চালালে তুরস্ক ও এসডিএফ-এর মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
আঙ্কারা জানিয়েছে, তারা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে। কারণ তুরস্ক এসডিএফকে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বর্ধিতাংশ হিসেবে বিবেচনা করে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া ১৮ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে জানান, দেশটির পুলিশ টানা পাঁচ দিনের অভিযানে ২৮২ জন পিকেকে সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। আঙ্কারা নির্বাচিত প্রো-কুর্দি মেয়রদের অপসারণ এবং কুর্দি রাজনৈতিক দল দমনের মাধ্যমে চার দশকের সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি দেশটির শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় আলভীদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, এ ধরনের সহিংসতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে (এসডিএফ) দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আল-শারা রয়টার্সকে জানান, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। প্রয়োজনে মিত্রদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শারা বলেন, ‘সিরিয়া আইনের শাসনের দেশ। আইন সবার ক্ষেত্রে সমভাবে প্রয়োগ হবে।’
দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমরা নিপীড়িতদের রক্ষার জন্য লড়াই করেছি, তাই আমরা কোনো রক্ত অন্যায়ভাবে ঝরতে দেব না, বরং দোষীদের অবশ্যই শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে—তারা আমাদের ঘনিষ্ঠ হলেও।’
আল-শারা জানান, সাম্প্রতিক সংঘাতে নিরাপত্তা বাহিনীর ২০০ সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে তিনি মোট মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, একটি স্বাধীন কমিটি তদন্ত করে আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাবে। সংকট মোকাবিলায় আল-শারা একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন, যা ৩০ দিনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি, দ্বিতীয় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে নাগরিক শান্তি ও পুনর্মিলন প্রচারের জন্য।
তবে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সংখ্যালঘু আলভী সম্প্রদায়ের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের ফলে বৃহস্পতিবার থেকে চলা সহিংসতায় মোট নিহত ১ হাজার ১৮ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে ১২৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বলে দাবি করা ১৪৮ জন যোদ্ধা রয়েছেন।
আল-শারা স্বীকার করেন, সাম্প্রতিক রক্তপাত জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের পথকে প্রভাবিত করবে।’ তবে পরিস্থিতি যতটা সম্ভব সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ‘রক্তপাত কেবলই আরও রক্তপাতের জন্ম দেয়।’ এ সময় তিনি সাম্প্রদায়িক বিভাজন রোধের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এই হত্যাকাণ্ডে বিদেশি যোদ্ধারা বা তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী জড়িত ছিল কি না—জানতে চাইলে শারা বলেন, তদন্তেই এসব প্রশ্নের উত্তর আসবে। তবে তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত গোষ্ঠী এবং বিদেশি হস্তক্ষেপকে এই সহিংসতার জন্য দায়ী করেন।
আল-শারা অভিযোগ করেন, আসাদপন্থী চতুর্থ ডিভিশনের সদস্যরাই গত বৃহস্পতিবার সংঘাতকে ইচ্ছাকৃতভাবে উসকে দিয়েছে। এই চতুর্থ ডিভিশন সাবেক প্রেসিডেন্টের ভাই মাহের আল-আসাদের নেতৃত্বে ছিল। তিনি আরও দাবি করেন, এক অজ্ঞাত বিদেশি শক্তি পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করেছে। তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করেই বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য ছিল অস্থিরতা তৈরি করা ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ উসকে দেওয়া।’
সাক্ষাৎকারে আল-শারা সিরিয়ার অস্থিতিশীলতার জন্য বিদেশি নিষেধাজ্ঞাকেও দায়ী করেন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হবে। এ ছাড়া, কূটনৈতিক আলোচনা জরুরি হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ হয়নি বলে নিশ্চিত করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ার বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকারের তালিকায় নেই। এটি তাদের কাছে জানতে চান। সিরিয়ার দরজা খোলা।
এদিকে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় গতকাল সোমবার রাতে ঘোষণা করেছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসকে (এসডিএফ) দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত করার বিষয়ে একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাহী কমিটিগুলো বছরের শেষ নাগাদ এই চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হলো সকল সিরিয়ার নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা এবং দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখা।
চুক্তির প্রধান দফাগুলো হলো—সিরিয়ার ভূখণ্ড জুড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা, ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে সকল সিরিয়ার নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করা, কুর্দি সম্প্রদায়কে সিরিয়ার রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, তাদের পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া, সব সিরিয়ার নাগরিকের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করা, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার সব বেসামরিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের অধীনে আনা, যার মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকা, বিমানবন্দর এবং তেল ও গ্যাসক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং সব বাস্তুচ্যুত সিরিয়ার নাগরিকের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা এবং রাষ্ট্রের মাধ্যমে তাদের সুরক্ষা বিধান করা।
আগের শাসনব্যবস্থার অবশিষ্টাংশ ও জাতীয় নিরাপত্তা ও সংহতির বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকির মোকাবিলায় সিরিয়ার রাষ্ট্রকে সমর্থন দেওয়া এবং বিভক্তিকরণের আহ্বান, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং সিরিয়ার বহুজাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির সকল প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করার মতো ধারাগুলোও যুক্ত করা হয়েছে এই চুক্তিতে।
এর আগে, গত মাসে তুরস্কের কুর্দি বিদ্রোহী সংগঠন পার্তিয়া কারকেরেন কুর্দিস্তানে কা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) কারাবন্দী নেতা আবদুল্লাহ ওজালান তাঁর সংগঠনকে বিলুপ্ত করার এবং তুরস্কের বিরুদ্ধে চার দশকের সশস্ত্র লড়াই সমাপ্ত করার আহ্বান জানান। তবে আঙ্কারা দাবি করে, শুধু তুরস্কে নয়, বিশ্বের যেকোনো স্থানে থাকা পিকেকে যোদ্ধাদের নিরস্ত্র হতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসও মূলত কুর্দি অধ্যুষিত। এই বাহিনীর মূল কাঠামো গঠিত হয়েছে কুর্দি পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটসের (ওয়াইপিজি) মাধ্যমে।
এসডিএফ নেতৃত্ব ২৭ ফেব্রুয়ারি ওজালানের পিকেকে বিলুপ্তির আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, এই ঘোষণা তাদের বাহিনীর জন্য প্রযোজ্য নয়। এরপর, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সিরিয়ার আল-হাসাকায় এসডিএফের অবস্থানে তুরস্কের ড্রোন হামলা চালালে তুরস্ক ও এসডিএফ-এর মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
আঙ্কারা জানিয়েছে, তারা সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে। কারণ তুরস্ক এসডিএফকে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বর্ধিতাংশ হিসেবে বিবেচনা করে। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া ১৮ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে জানান, দেশটির পুলিশ টানা পাঁচ দিনের অভিযানে ২৮২ জন পিকেকে সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। আঙ্কারা নির্বাচিত প্রো-কুর্দি মেয়রদের অপসারণ এবং কুর্দি রাজনৈতিক দল দমনের মাধ্যমে চার দশকের সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৬ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
৩১ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে কায়রোতে মিসরীয়, কাতারি এবং তুর্কি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে একটি সারগর্ভ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো—যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরবর্তী ধাপে গতি আনা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি পরিষ্কার। এর মাধ্যমে হামাস এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো অস্ত্র ছোড়া হবে না, এবং তারা অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে তা করবে। তারা গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত থেকে দশ বছরের জন্য একটি হুদনা (ইসলামিক ঐতিহ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে, এবং হামাস এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’
ওই কর্মকর্তার মতে, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলো এই হুদনার গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে এবং এর সম্মতি নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, অস্ত্রগুলো গোপন করা হবে এবং মধ্যস্থতাকারীরা সরাসরি হামাসের প্রতিশ্রুতিগুলো তত্ত্বাবধান করবেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে গাজা নিজেই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবে।’ তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি এবং অবরোধের পর পুনর্গঠন এবং অভ্যন্তরীণ শাসনের দিকে ইঙ্গিত করেন।
হামাস এখন পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বের কর্তৃত্ব ছাড়া তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই আন্দোলন বারবার বলেছে যে, ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে দখলদারিত্ব শেষ হলেই কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ হবে।
তবে, এই নতুন প্রস্তাবটি নির্দিষ্টভাবে গাজা নিয়ে, এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক সক্ষমতা বা রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে এতে কিছু বলা হয়নি, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণেও এই প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছে। তিনি মিসরকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, কায়রোর অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে এবং তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মিসর সম্প্রতি জোর দিয়েছে যে, রাফা ক্রসিংয়ে উভয় দিকেই চলাচল অনুমোদন করতে হবে, যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েল কেবল গাজা থেকে প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গাজার উত্তর ও মধ্যভাগের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করেছে। হামাসও মধ্যস্থতায় অগ্রগতি খুঁজে পেয়েছে এবং অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আন্দোলনটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য একটি বাস্তববাদী উপায়ে বিশ্বাস করে।’

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে কায়রোতে মিসরীয়, কাতারি এবং তুর্কি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে একটি সারগর্ভ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো—যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরবর্তী ধাপে গতি আনা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি পরিষ্কার। এর মাধ্যমে হামাস এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো অস্ত্র ছোড়া হবে না, এবং তারা অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে তা করবে। তারা গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত থেকে দশ বছরের জন্য একটি হুদনা (ইসলামিক ঐতিহ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে, এবং হামাস এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’
ওই কর্মকর্তার মতে, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলো এই হুদনার গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে এবং এর সম্মতি নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, অস্ত্রগুলো গোপন করা হবে এবং মধ্যস্থতাকারীরা সরাসরি হামাসের প্রতিশ্রুতিগুলো তত্ত্বাবধান করবেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে গাজা নিজেই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবে।’ তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি এবং অবরোধের পর পুনর্গঠন এবং অভ্যন্তরীণ শাসনের দিকে ইঙ্গিত করেন।
হামাস এখন পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বের কর্তৃত্ব ছাড়া তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই আন্দোলন বারবার বলেছে যে, ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে দখলদারিত্ব শেষ হলেই কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ হবে।
তবে, এই নতুন প্রস্তাবটি নির্দিষ্টভাবে গাজা নিয়ে, এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক সক্ষমতা বা রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে এতে কিছু বলা হয়নি, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণেও এই প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছে। তিনি মিসরকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, কায়রোর অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে এবং তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মিসর সম্প্রতি জোর দিয়েছে যে, রাফা ক্রসিংয়ে উভয় দিকেই চলাচল অনুমোদন করতে হবে, যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েল কেবল গাজা থেকে প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গাজার উত্তর ও মধ্যভাগের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করেছে। হামাসও মধ্যস্থতায় অগ্রগতি খুঁজে পেয়েছে এবং অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আন্দোলনটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য একটি বাস্তববাদী উপায়ে বিশ্বাস করে।’

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি দেশটির শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় আলভীদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, এ ধরনের সহিংসতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে...
১১ মার্চ ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
৩১ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পুরোনো মিত্রদের মধ্যকার ফাটলকে আরও গভীর করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার আক্রমণ সত্ত্বেও নির্বাচন করার আহ্বান জানান এবং বলেন যে মস্কোই ‘সুবিধা পাচ্ছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের প্রশাসনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে শীর্ষ মার্কিন অংশীদারদের ওপর অস্বাভাবিক সমালোচনার পর, এই মন্তব্যগুলো আরও জোরালো হয়েছে, যেখানে ইউরোপে সভ্যতার ‘বিলুপ্তি’ সম্পর্কে কট্টর-ডানপন্থি শব্দ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে।
সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প পলিটিকোকে বলেন, ‘বেশিরভাগ ইউরোপীয় জাতি এখন ক্ষয়িষ্ণু।’
৭৯ বছর বয়সী এই বিলিয়নিয়ারের রাজনৈতিক উত্থান অভিবাসীদের নিয়ে উস্কানিমূলক ভাষার উপর ভিত্তি করে হয়েছিল। ইউরোপের অভিবাসন ইস্যুতে তিনি বলেন, ইউরোপের অভিবাসী নীতি একটি ‘বিপর্যয়।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তারা রাজনৈতিকভাবে শুদ্ধ হতে চায়, এবং এটিই তাদের দুর্বল করে তোলে। এটাই তাদের দুর্বল করে তোলে’ এবং যোগ করেন, ইউরোপের নেতাদের মধ্যে ‘কিছু সত্যিকারের বোকাও’ আছেন।
ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় দেশগুলোরও সমালোচনা করেন ট্রাম্প। একটি মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান মতপার্থক্যের মধ্যে এই সমালোচনা আসে, যে পরিকল্পনাটি নিয়ে ইউরোপের অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে এর ফলে কিয়েভকে রাশিয়ার কাছে অঞ্চল হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হবে। রাশিয়া ২০২২ সালে দেশটিতে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছিল।
সামরিক জোট ন্যাটোর নেতা মার্ক রুট একটি শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বানে সমর্থন জানালে তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘ন্যাটো আমাকে ড্যাডি বলে ডাকে’ ট্রাম্প এই কথাটি উল্লেখ করেন কিন্তু তিনি আরও যোগ করেন, ‘তারা কথা বলে কিন্তু কাজ করে না। এবং যুদ্ধ চলতেই থাকে।’
জানুয়ারিতে ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ইউরোপীয় নেতারা তাঁকে তোয়াজ করার চেষ্টা করছেন, বিশেষ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন বজায় রাখার জন্য।
ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকারটি গত সপ্তাহে মার্কিন নিরাপত্তা কৌশলের কারণে ইউরোপীয় রাজধানীগুলিতে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল তা আরও বাড়িয়ে দেবে। ঐ কৌশলে অভিবাসন নিয়ে ইউরোপে ‘প্রতিরোধ গড়ে তোলার’ আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তথাকথিত ‘সভ্যতার বিলুপ্তি’ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর কিছু অংশ ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট থিওরির’ উপাদানগুলোকে প্রতিফলিত করে, যা কট্টর-ডানপন্থিদের এবং ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্ক ব্যাপকভাবে প্রচারিত করে থাকেন। এই তত্ত্বে বলা হয় অভিযোগ, শ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যাকে প্রতিস্থাপন করার জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে।
পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড এবং সুইডেনসহ দেশগুলি অভিবাসনের কারণে ‘ধ্বংস’ হচ্ছে।
তিনি লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র ‘ভয়ঙ্কর, বিদ্বেষপূর্ণ, জঘন্য’ সাদিক খানের উপরও নতুন করে আক্রমণ করেন। খান পলিটিকোকে বলেছিলেন, ট্রাম্প তাঁকে নিয়ে ‘মোহাবিষ্ট’ এবং বলেছিলেন যে মার্কিন নাগরিকরা লন্ডনে থাকার জন্য ‘ভিড় করছে।’
ইউক্রেন এবং জেলেনস্কিকেও ট্রাম্প কঠোর শব্দবাণে বিদ্ধ করেন ট্রাম্প। জানুয়ারিতে তিনি জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনবিহীন একনায়ক’ বলেছিলেন এবং ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে তাঁকে তিরস্কার করেছিলেন, যার পর জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সর্বশেষ এই উত্থান-পতন দেখা গেল।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি এটি নির্বাচন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তারা নির্বাচন না করার জন্য যুদ্ধকে ব্যবহার করছে।’ ট্রাম্প বলেন, "এটা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায় যেখানে এটা আর গণতন্ত্র থাকে না।"
ইউক্রেনে নির্বাচন মার্চ ২০২৪-এ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর সামরিক আইন জারির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখলের অধীনে রয়েছে।
যুদ্ধ শেষ করার জন্য মার্কিন পরিকল্পনার খসড়ায় নতুন নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে মার্কিন পরিকল্পনা না পড়ার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ভালো হবে যদি তিনি এটা পড়েন। আপনারা জানেন, অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।’
শীর্ষ মার্কিন আলোচকরা গত সপ্তাহে মস্কোতে পুতিনের সাথে দেখা করেছেন, তারপর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাথে কয়েকদিন ধরে আলোচনা করেছেন, কিন্তু কোনো স্পষ্ট অগ্রগতি হয়নি। ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে তিনি ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পুরোনো মিত্রদের মধ্যকার ফাটলকে আরও গভীর করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার আক্রমণ সত্ত্বেও নির্বাচন করার আহ্বান জানান এবং বলেন যে মস্কোই ‘সুবিধা পাচ্ছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের প্রশাসনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে শীর্ষ মার্কিন অংশীদারদের ওপর অস্বাভাবিক সমালোচনার পর, এই মন্তব্যগুলো আরও জোরালো হয়েছে, যেখানে ইউরোপে সভ্যতার ‘বিলুপ্তি’ সম্পর্কে কট্টর-ডানপন্থি শব্দ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে।
সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প পলিটিকোকে বলেন, ‘বেশিরভাগ ইউরোপীয় জাতি এখন ক্ষয়িষ্ণু।’
৭৯ বছর বয়সী এই বিলিয়নিয়ারের রাজনৈতিক উত্থান অভিবাসীদের নিয়ে উস্কানিমূলক ভাষার উপর ভিত্তি করে হয়েছিল। ইউরোপের অভিবাসন ইস্যুতে তিনি বলেন, ইউরোপের অভিবাসী নীতি একটি ‘বিপর্যয়।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তারা রাজনৈতিকভাবে শুদ্ধ হতে চায়, এবং এটিই তাদের দুর্বল করে তোলে। এটাই তাদের দুর্বল করে তোলে’ এবং যোগ করেন, ইউরোপের নেতাদের মধ্যে ‘কিছু সত্যিকারের বোকাও’ আছেন।
ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় দেশগুলোরও সমালোচনা করেন ট্রাম্প। একটি মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান মতপার্থক্যের মধ্যে এই সমালোচনা আসে, যে পরিকল্পনাটি নিয়ে ইউরোপের অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে এর ফলে কিয়েভকে রাশিয়ার কাছে অঞ্চল হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হবে। রাশিয়া ২০২২ সালে দেশটিতে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছিল।
সামরিক জোট ন্যাটোর নেতা মার্ক রুট একটি শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বানে সমর্থন জানালে তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘ন্যাটো আমাকে ড্যাডি বলে ডাকে’ ট্রাম্প এই কথাটি উল্লেখ করেন কিন্তু তিনি আরও যোগ করেন, ‘তারা কথা বলে কিন্তু কাজ করে না। এবং যুদ্ধ চলতেই থাকে।’
জানুয়ারিতে ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ইউরোপীয় নেতারা তাঁকে তোয়াজ করার চেষ্টা করছেন, বিশেষ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন বজায় রাখার জন্য।
ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকারটি গত সপ্তাহে মার্কিন নিরাপত্তা কৌশলের কারণে ইউরোপীয় রাজধানীগুলিতে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল তা আরও বাড়িয়ে দেবে। ঐ কৌশলে অভিবাসন নিয়ে ইউরোপে ‘প্রতিরোধ গড়ে তোলার’ আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তথাকথিত ‘সভ্যতার বিলুপ্তি’ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর কিছু অংশ ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট থিওরির’ উপাদানগুলোকে প্রতিফলিত করে, যা কট্টর-ডানপন্থিদের এবং ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্ক ব্যাপকভাবে প্রচারিত করে থাকেন। এই তত্ত্বে বলা হয় অভিযোগ, শ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যাকে প্রতিস্থাপন করার জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে।
পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড এবং সুইডেনসহ দেশগুলি অভিবাসনের কারণে ‘ধ্বংস’ হচ্ছে।
তিনি লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র ‘ভয়ঙ্কর, বিদ্বেষপূর্ণ, জঘন্য’ সাদিক খানের উপরও নতুন করে আক্রমণ করেন। খান পলিটিকোকে বলেছিলেন, ট্রাম্প তাঁকে নিয়ে ‘মোহাবিষ্ট’ এবং বলেছিলেন যে মার্কিন নাগরিকরা লন্ডনে থাকার জন্য ‘ভিড় করছে।’
ইউক্রেন এবং জেলেনস্কিকেও ট্রাম্প কঠোর শব্দবাণে বিদ্ধ করেন ট্রাম্প। জানুয়ারিতে তিনি জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনবিহীন একনায়ক’ বলেছিলেন এবং ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে তাঁকে তিরস্কার করেছিলেন, যার পর জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সর্বশেষ এই উত্থান-পতন দেখা গেল।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি এটি নির্বাচন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তারা নির্বাচন না করার জন্য যুদ্ধকে ব্যবহার করছে।’ ট্রাম্প বলেন, "এটা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায় যেখানে এটা আর গণতন্ত্র থাকে না।"
ইউক্রেনে নির্বাচন মার্চ ২০২৪-এ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর সামরিক আইন জারির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখলের অধীনে রয়েছে।
যুদ্ধ শেষ করার জন্য মার্কিন পরিকল্পনার খসড়ায় নতুন নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে মার্কিন পরিকল্পনা না পড়ার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ভালো হবে যদি তিনি এটা পড়েন। আপনারা জানেন, অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।’
শীর্ষ মার্কিন আলোচকরা গত সপ্তাহে মস্কোতে পুতিনের সাথে দেখা করেছেন, তারপর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাথে কয়েকদিন ধরে আলোচনা করেছেন, কিন্তু কোনো স্পষ্ট অগ্রগতি হয়নি। ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে তিনি ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি দেশটির শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় আলভীদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, এ ধরনের সহিংসতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে...
১১ মার্চ ২০২৫
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৬ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় নেতারা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি। তাঁর ভাষায়, ইউরোপ শুধু কথা বলে কিন্তু বাস্তব ফল আনতে পারে না।
ট্রাম্প দাবি করেন, ইউরোপীয়রা ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দিচ্ছে যতক্ষণ না তারা ভেঙে পড়ে।
এদিকে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ট্রাম্পের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। লন্ডন জানিয়েছে—নিষেধাজ্ঞা আরোপ, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় ইউরোপ ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির ওপর চাপ বাড়ান এবং তাঁকে চুক্তিতে আসতে বলেন। এই চুক্তিতে রাশিয়ার কাছে কিছু ভূখণ্ড ছাড়ার ইঙ্গিত রয়েছে। তবে জেলেনস্কি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনো ভূমি ছাড়বে না। শিগগিরই ইউরোপের নেতাদের সহযোগিতায় তিনি একটি সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে উপস্থাপন করবেন।
জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে জানান, ইউক্রেন ও ইউরোপ মিলে যুদ্ধ শেষ করতে প্রয়োজনীয় সব দিক নিয়ে কাজ করছে এবং এই পরিকল্পনা তারা যুক্তরাষ্ট্রকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, মতাদর্শগত বিভাজন এখন যুক্তরাষ্ট্রের জোটকে দুর্বল করছে। তাঁর মতে, অনেক ইউরোপীয় নেতা পরিস্থিতি কীভাবে সামলাতে হবে তা জানেন না এবং অতিরিক্ত ‘রাজনৈতিক শুদ্ধতার’ মধ্যে আটকে আছেন।
ট্রাম্পের এই সমালোচনা ঠিক এমন এক সময়ে এসেছে, যখন লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ থামাতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন সদ্য প্রকাশ করেছে ৩৩ পৃষ্ঠার নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল। রাশিয়া এই কৌশলকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বলেছে এটি মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস মন্তব্য করেছেন, কৌশলটির কিছু অংশ গ্রহণযোগ্য হলেও অন্য অংশগুলো ইউরোপ প্রত্যাখ্যান করছে। তাঁর মতে, ইউরোপের গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব ইউরোপেরই।
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য ইউক্রেন যুদ্ধের কূটনৈতিক পথকে আরও জটিল করে তুলেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় নেতারা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি। তাঁর ভাষায়, ইউরোপ শুধু কথা বলে কিন্তু বাস্তব ফল আনতে পারে না।
ট্রাম্প দাবি করেন, ইউরোপীয়রা ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দিচ্ছে যতক্ষণ না তারা ভেঙে পড়ে।
এদিকে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ট্রাম্পের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। লন্ডন জানিয়েছে—নিষেধাজ্ঞা আরোপ, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় ইউরোপ ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির ওপর চাপ বাড়ান এবং তাঁকে চুক্তিতে আসতে বলেন। এই চুক্তিতে রাশিয়ার কাছে কিছু ভূখণ্ড ছাড়ার ইঙ্গিত রয়েছে। তবে জেলেনস্কি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনো ভূমি ছাড়বে না। শিগগিরই ইউরোপের নেতাদের সহযোগিতায় তিনি একটি সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে উপস্থাপন করবেন।
জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে জানান, ইউক্রেন ও ইউরোপ মিলে যুদ্ধ শেষ করতে প্রয়োজনীয় সব দিক নিয়ে কাজ করছে এবং এই পরিকল্পনা তারা যুক্তরাষ্ট্রকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, মতাদর্শগত বিভাজন এখন যুক্তরাষ্ট্রের জোটকে দুর্বল করছে। তাঁর মতে, অনেক ইউরোপীয় নেতা পরিস্থিতি কীভাবে সামলাতে হবে তা জানেন না এবং অতিরিক্ত ‘রাজনৈতিক শুদ্ধতার’ মধ্যে আটকে আছেন।
ট্রাম্পের এই সমালোচনা ঠিক এমন এক সময়ে এসেছে, যখন লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ থামাতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন সদ্য প্রকাশ করেছে ৩৩ পৃষ্ঠার নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল। রাশিয়া এই কৌশলকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বলেছে এটি মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস মন্তব্য করেছেন, কৌশলটির কিছু অংশ গ্রহণযোগ্য হলেও অন্য অংশগুলো ইউরোপ প্রত্যাখ্যান করছে। তাঁর মতে, ইউরোপের গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব ইউরোপেরই।
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য ইউক্রেন যুদ্ধের কূটনৈতিক পথকে আরও জটিল করে তুলেছে।

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি দেশটির শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় আলভীদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, এ ধরনের সহিংসতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে...
১১ মার্চ ২০২৫
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৬ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
৩১ মিনিট আগে
নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
তবে গতকাল এক বিবৃতিতে মামদানি জানান, তিনি তাঁর ঠিকানা বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পদক্ষেপ নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা। এর পাশাপাশি গ্রেসি ম্যানশনে থাকার ফলে তিনি নিউইয়র্কবাসীর জন্য তাঁর ‘অ্যাফোর্ডেবিলিটি অ্যাজেন্ডা’ (সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন ও জীবনযাত্রা) বাস্তবায়নে আরও ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন।
মামদানি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি এসেছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও নিউইয়র্কবাসী যে অ্যাজেন্ডার জন্য আমাকে ভোট দিয়েছেন, তার কথা ভেবে। এখন নিউইয়র্কবাসীর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকেই আমার মনোযোগ থাকবে।’
ম্যানহাটনে স্থানান্তরের প্রস্তুতি হিসেবে মামদানি তাঁর কুইন্সের ভাড়া বাড়ি অ্যাস্টোরিয়াকে বিদায় জানান। তিনি বলেন, অ্যাস্টোরিয়ার সব স্মৃতি তাঁর কাজের মধ্যে সব সময় জীবিত থাকবে। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়া দিয়ে এই বাড়িতে থাকতেন জোহরান মামদানি।
অন্যদিকে, গ্রেসি ম্যানশন নির্মিত হয় ১৭৯৯ সালে। এর মূল্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। ঐতিহাসিক বাড়িটি ১৯৪০-এর দশক থেকে নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২২৬ বছরের পুরোনো গ্রেসি ম্যানশন ১১ হাজার বর্গফুটের একটি প্রাসাদ। এটি ম্যানহাটনের ইয়র্কভিল নেবারহুডে ইস্ট অ্যান্ড এভিনিউয়ের ৮৮-স্ট্রিটে অবস্থিত।
প্রসঙ্গত, জোহরান মামদানি আগামী ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন।

নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
তবে গতকাল এক বিবৃতিতে মামদানি জানান, তিনি তাঁর ঠিকানা বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পদক্ষেপ নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা। এর পাশাপাশি গ্রেসি ম্যানশনে থাকার ফলে তিনি নিউইয়র্কবাসীর জন্য তাঁর ‘অ্যাফোর্ডেবিলিটি অ্যাজেন্ডা’ (সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন ও জীবনযাত্রা) বাস্তবায়নে আরও ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন।
মামদানি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি এসেছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও নিউইয়র্কবাসী যে অ্যাজেন্ডার জন্য আমাকে ভোট দিয়েছেন, তার কথা ভেবে। এখন নিউইয়র্কবাসীর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকেই আমার মনোযোগ থাকবে।’
ম্যানহাটনে স্থানান্তরের প্রস্তুতি হিসেবে মামদানি তাঁর কুইন্সের ভাড়া বাড়ি অ্যাস্টোরিয়াকে বিদায় জানান। তিনি বলেন, অ্যাস্টোরিয়ার সব স্মৃতি তাঁর কাজের মধ্যে সব সময় জীবিত থাকবে। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়া দিয়ে এই বাড়িতে থাকতেন জোহরান মামদানি।
অন্যদিকে, গ্রেসি ম্যানশন নির্মিত হয় ১৭৯৯ সালে। এর মূল্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। ঐতিহাসিক বাড়িটি ১৯৪০-এর দশক থেকে নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২২৬ বছরের পুরোনো গ্রেসি ম্যানশন ১১ হাজার বর্গফুটের একটি প্রাসাদ। এটি ম্যানহাটনের ইয়র্কভিল নেবারহুডে ইস্ট অ্যান্ড এভিনিউয়ের ৮৮-স্ট্রিটে অবস্থিত।
প্রসঙ্গত, জোহরান মামদানি আগামী ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন।

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা সম্প্রতি দেশটির শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় আলভীদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, এ ধরনের সহিংসতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে...
১১ মার্চ ২০২৫
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৬ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
৩১ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে