আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম চা উৎপাদক দেশ কেনিয়া। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের নান্দি কাউন্টির সিতোই এস্টেটের পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে চা-শিল্প। ১৯৪৮ সালে এই নান্দিতে জমি অধিগ্রহণ করে চা-বাগান গড়ে তোলে ব্রিটিশ মালিকানাধীন চা উৎপাদনকারী কোম্পানি ইস্টার্ন প্রোডিউস কেনিয়া (ইপিকে)। বহু দশক ধরে নান্দিসহ কেনিয়ার অনেক অঞ্চলে চা-বাগান পরিচালনা করছে তারা।
লন্ডনের ক্যামেলিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকানাধীন এই কোম্পানির সঙ্গে সম্প্রতি জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে স্থানীয় একটি সম্প্রদায়ের। দ্বন্দ্বের কারণ উপহারের জমি।
১৯৮৬ সালে উপহার হিসেবে ইস্টার্ন প্রোডিউস কেনিয়া (ইপিকে) কিমাসাস সম্প্রদায়কে কিছু জমি উপহার দিয়েছিল। এখন ইপিকে দাবি করছে, তারা ২০২ একর জমি দিয়েছিল। এদিকে কিমাসাস কৃষক সমবায় সমিতির দাবি, তাদের ৫৫০ একর জমি উপহার দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাদের দখলে আছে ৩৫০ একর।
চা-বাগানের মাঝে এই ৩৫০ একর জমিতে কিমাসাসের শ-খানেক স্থানীয় বাসিন্দার বাস। সেখানে কাদামাটি ও জংধরা টিনের ছাউনির কুটিরে বসবাস তাদের। চা-পাতা তুলে আর গবাদি পশু চরিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তারা।
ইপিকে বলছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কেনিয়ার আইন মেনে চা-বাগান পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় সম্প্রদায়ের অসন্তোষ, জমি দখল ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ছে। তারা এ পরিস্থিতিকে ‘বিপজ্জনক নজির’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। স্থানীয়দের এ ধরনের কর্মকাণ্ড শিল্প খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি তৈরি করছে বলে অভিযোগ করে তারা।
ইপিকের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কিমাসাসের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল বিউয়ট বলেন, ‘১৯০৫ সালের দিকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকেরা এই জায়গা দখলে নেওয়ার আগে তাঁর দাদা এখানে বাস করতেন। বিরোধপূর্ণ ৩৫০ একর জমি ফেরত পাওয়া মানে হবে একটি ঐতিহাসিক অন্যায়কে সংশোধন করা।’
বিওট, তাঁর বাবা ও দাদা—তিন পুরুষই ইপিকের কর্মী ছিলেন। চা-বাগানে দাঁড়িয়ে বিওট বলতে থাকেন, ‘এই এত বছরে কিছুই হয়নি। এখনই সময়, এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
এই বিরোধের পেছনে রয়েছে কেনিয়ার বিভিন্ন চা-বাগানে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনা। কেনিয়ার চা উৎপাদকদের সমিতি (কেটিজিএ) এক বিবৃতিতে জানায়, গত জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার মালিকানাধীন ব্রাউন্স প্ল্যান্টেশনের একটি খামারে হামলা চালানো হয় এবং শতাধিক ইউক্যালিপটাস গাছ উপড়ে ফেলা হয়। রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা অপরাধী দলগুলো সিতোইতে এসব জমি দখল আক্রমণের পেছনে রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব অস্থিরতার কারণে প্রতি মাসে ২ লাখ ডলারেরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ইপিকে। কেনিয়ার রপ্তানি আয়ের প্রায় এক-চতুর্থাংশ অংশ জুড়ে থাকা এই চা-শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলছে। ৫ মিলিয়ন মানুষের জীবিকা নির্বাহের উৎস বিপদে পড়ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঔপনিবেশিক যুগের জমি দখলের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার প্রতি একটি বিস্তৃত হতাশার প্রতিফলন এসব হামলা।
আইনজীবী জোয়েল কিমুটাই বোসেক স্থানীয় সম্প্রদায়ের পক্ষে চা কোম্পানি এবং যুক্তরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে মামলায় সফল হননি। তিনি বলেন, ‘আমি আইনি ব্যবস্থায় এগোতে অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু সফল হইনি। আমার মনে হয় নতুন বা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও আক্রমণাত্মক হবে।’
২০২১ সালের জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, উপনিবেশিক যুগে ১৮৯৫-১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা কেনিয়ায় বিশাল পরিমাণ জমি দখল করে, যার বেশির ভাগই চা-বাগানে পরিণত হয়।
এই ঔপনিবেশিক সমস্যার সমাধানে ২০১০ সালের দিকে সচেতন হয়ে ওঠে কেনিয়া। গড়ে তোলা হয় জাতীয় জমি কমিশন। কমিশনের সাবেক প্রধান স্যামুয়েল টোরোরেই বলছিলেন, “কমিশনের সীমিত ক্ষমতার কারণে এর কার্যকারিতা ব্যাহত হয়েছে। আর চা কোম্পানিগুলো এবং রাজনৈতিক অভিজাতদের মধ্যেকার ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ তো ছিলই। ”
কেনিয়ার ২০১০ সালের সংবিধান অনুযায়ী, চা কোম্পানিগুলোর পূর্বের ৯৯৯ বছরের জমির ইজারা মেয়াদ কমিয়ে ৯৯ বছরে নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু সরকার জমির মালিকানা ব্যবহার করে স্থানীয় জনগণের জন্য পর্যাপ্ত জমি বা আর্থিক সুবিধা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেন।
২০২৩ সাল পর্যন্ত কেনিয়ায় ব্রিটেনের জেমস ফিনলে কোম্পানির চা-বাগান ছিল। এই কোম্পানিতে ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন গাই চেম্বার্স। তিনি বলেন, ‘এই উত্তেজনার মূল কারণ হলো বড় বড় চা-বাগানের মালিকানা রয়েছে বিদেশিদের হাতে—যেসব জমি একসময় স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছিল।’
এই অস্থিরতা প্রসঙ্গে কেনিয়া সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কোম্পানিগুলো দাবি করছে, তারা কেনিয়ার আইন মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিছু রাজনীতিবিদ এই ঐতিহাসিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে তাদের জমির মালিকানা খর্ব করার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থও এগিয়ে নিচ্ছে।
তবে এতকিছুর পরও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জমি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাগুলো খুব একটা সফল হয়নি। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এসব জমির ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন, কারণ এতে সময়সীমা এবং সরকারি রক্ষা প্রথা (ইমিউনিটি) ইত্যাদি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
চেম্বার্স পরিচালিত প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম এবং কেরিচো জেলার চা-চাষি সম্প্রদায় গত বছর সিভিসি ক্যাপিটাল-মালিকানাধীন লিপটনের এস্টেটগুলোর জন্য যৌথভাবে দরপত্র দিয়েছিল এমন একটি পরিকল্পনার অধীনে যা আগামী দুই দশকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে হস্তান্তর করত।
শেষ পর্যন্ত লিপটন কোম্পানি তাদের এস্টেট ব্রাউন্স কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়। লিপটনের একজন মুখপাত্র জানান, তারা এমন একজন ক্রেতাকে বেছে নিয়েছে, যিনি এই শিল্পের মানোন্নয়নে সহায়তা করতে পারবেন। তবে ব্রাউন্স কোম্পানি মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে কেনিয়ার জাতীয় ভূমি কমিশন ব্রিটিশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিল কেরিচো অঞ্চলের সম্প্রদায়গুলোর কাছে ক্ষমা চাওয়ার এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। তবে ব্রিটিশ সরকার এই আহ্বানের সরাসরি কোনো জবাব দেয়নি।
মন্তব্য চাওয়া হলে ব্রিটেনের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস জানায়, ‘আমরা নান্দি অঞ্চলের চা-খামারগুলোতে হামলায় উদ্বিগ্ন এবং আমরা কেনিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
তবে ইপিকে দাবি করছে, চলমান বিরোধটি কোনো ঐতিহাসিক জমি-অবিচার নিয়ে নয়, বরং এটি ‘স্বেচ্ছায় দান ও গ্রহণের’ ভিত্তিতে দেওয়া একটি উপহার নিয়ে। কিন্তু ২০১৯ সালে কেনিয়ার জাতীয় ভূমি কমিশন জানায়, কিমাসাস সম্প্রদায় পুরো ৫৫০ একর জমির মালিক। ইপিকে এই দাবিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে বলে, কিমাসাস যেসব প্রমাণ দিয়েছে, সেগুলো জাল।
২০২৩ সালের ৩ আগস্ট আদালত মামলার শুনানি চলাকালে প্রায় ২০০ মানুষ ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে ঢুকে পড়ে এবং চা-পাতা তুলে নিয়ে যেতে শুরু করে, যাদের মধ্যে একজন সংসদ সদস্যও ছিলেন। পরদিন আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদের জমি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সে সময় অধিকাংশ লোক চলে গেলেও পরে আবার অনেকে ফিরে আসে। এমনকি ইপিকের গাড়ি ও কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
কোম্পানিটি জানায়, পুলিশ ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেনি। আর পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, এ ঘটনায় কাউকে অভিযুক্ত করলে তা চলমান দেওয়ানি মামলায় হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
ইপিকের জেনারেল ম্যানেজার পিটার গোইন বলেন, ‘যদি আমরা এ ধরনের পরিস্থিতি মেনে নিই—যেখানে তরুণ প্রজন্ম বলতে শুরু করে যে তাদের যথেষ্ট নেই, তারা আরও চায়—তাহলে এটা একটা বিপজ্জনক নজির হয়ে দাঁড়াবে, যা যেকোনো মূল্যে ঠেকাতে হবে।’
পুলিশ বা প্রসিকিউটরের অফিস মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
অন্যদিকে কিমাসাস সম্প্রদায়ের নেতা বিউয়ট বলেন, তাদের পক্ষ থেকে জমি দখল করা যুক্তিসংগত, কারণ এ বিষয়ে এখনো আদালতের কোনো চূড়ান্ত রায় আসেনি।

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম চা উৎপাদক দেশ কেনিয়া। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের নান্দি কাউন্টির সিতোই এস্টেটের পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে চা-শিল্প। ১৯৪৮ সালে এই নান্দিতে জমি অধিগ্রহণ করে চা-বাগান গড়ে তোলে ব্রিটিশ মালিকানাধীন চা উৎপাদনকারী কোম্পানি ইস্টার্ন প্রোডিউস কেনিয়া (ইপিকে)। বহু দশক ধরে নান্দিসহ কেনিয়ার অনেক অঞ্চলে চা-বাগান পরিচালনা করছে তারা।
লন্ডনের ক্যামেলিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের মালিকানাধীন এই কোম্পানির সঙ্গে সম্প্রতি জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে স্থানীয় একটি সম্প্রদায়ের। দ্বন্দ্বের কারণ উপহারের জমি।
১৯৮৬ সালে উপহার হিসেবে ইস্টার্ন প্রোডিউস কেনিয়া (ইপিকে) কিমাসাস সম্প্রদায়কে কিছু জমি উপহার দিয়েছিল। এখন ইপিকে দাবি করছে, তারা ২০২ একর জমি দিয়েছিল। এদিকে কিমাসাস কৃষক সমবায় সমিতির দাবি, তাদের ৫৫০ একর জমি উপহার দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাদের দখলে আছে ৩৫০ একর।
চা-বাগানের মাঝে এই ৩৫০ একর জমিতে কিমাসাসের শ-খানেক স্থানীয় বাসিন্দার বাস। সেখানে কাদামাটি ও জংধরা টিনের ছাউনির কুটিরে বসবাস তাদের। চা-পাতা তুলে আর গবাদি পশু চরিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তারা।
ইপিকে বলছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে কেনিয়ার আইন মেনে চা-বাগান পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি স্থানীয় সম্প্রদায়ের অসন্তোষ, জমি দখল ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ছে। তারা এ পরিস্থিতিকে ‘বিপজ্জনক নজির’ হিসেবে আখ্যায়িত করছে। স্থানীয়দের এ ধরনের কর্মকাণ্ড শিল্প খাতে দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি তৈরি করছে বলে অভিযোগ করে তারা।
ইপিকের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কিমাসাসের চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল বিউয়ট বলেন, ‘১৯০৫ সালের দিকে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকেরা এই জায়গা দখলে নেওয়ার আগে তাঁর দাদা এখানে বাস করতেন। বিরোধপূর্ণ ৩৫০ একর জমি ফেরত পাওয়া মানে হবে একটি ঐতিহাসিক অন্যায়কে সংশোধন করা।’
বিওট, তাঁর বাবা ও দাদা—তিন পুরুষই ইপিকের কর্মী ছিলেন। চা-বাগানে দাঁড়িয়ে বিওট বলতে থাকেন, ‘এই এত বছরে কিছুই হয়নি। এখনই সময়, এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
এই বিরোধের পেছনে রয়েছে কেনিয়ার বিভিন্ন চা-বাগানে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি সহিংস ঘটনা। কেনিয়ার চা উৎপাদকদের সমিতি (কেটিজিএ) এক বিবৃতিতে জানায়, গত জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার মালিকানাধীন ব্রাউন্স প্ল্যান্টেশনের একটি খামারে হামলা চালানো হয় এবং শতাধিক ইউক্যালিপটাস গাছ উপড়ে ফেলা হয়। রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা অপরাধী দলগুলো সিতোইতে এসব জমি দখল আক্রমণের পেছনে রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব অস্থিরতার কারণে প্রতি মাসে ২ লাখ ডলারেরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ইপিকে। কেনিয়ার রপ্তানি আয়ের প্রায় এক-চতুর্থাংশ অংশ জুড়ে থাকা এই চা-শিল্পকে হুমকির মুখে ফেলছে। ৫ মিলিয়ন মানুষের জীবিকা নির্বাহের উৎস বিপদে পড়ছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঔপনিবেশিক যুগের জমি দখলের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার প্রতি একটি বিস্তৃত হতাশার প্রতিফলন এসব হামলা।
আইনজীবী জোয়েল কিমুটাই বোসেক স্থানীয় সম্প্রদায়ের পক্ষে চা কোম্পানি এবং যুক্তরাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে মামলায় সফল হননি। তিনি বলেন, ‘আমি আইনি ব্যবস্থায় এগোতে অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু সফল হইনি। আমার মনে হয় নতুন বা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও আক্রমণাত্মক হবে।’
২০২১ সালের জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, উপনিবেশিক যুগে ১৮৯৫-১৯৬৩ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা কেনিয়ায় বিশাল পরিমাণ জমি দখল করে, যার বেশির ভাগই চা-বাগানে পরিণত হয়।
এই ঔপনিবেশিক সমস্যার সমাধানে ২০১০ সালের দিকে সচেতন হয়ে ওঠে কেনিয়া। গড়ে তোলা হয় জাতীয় জমি কমিশন। কমিশনের সাবেক প্রধান স্যামুয়েল টোরোরেই বলছিলেন, “কমিশনের সীমিত ক্ষমতার কারণে এর কার্যকারিতা ব্যাহত হয়েছে। আর চা কোম্পানিগুলো এবং রাজনৈতিক অভিজাতদের মধ্যেকার ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ তো ছিলই। ”
কেনিয়ার ২০১০ সালের সংবিধান অনুযায়ী, চা কোম্পানিগুলোর পূর্বের ৯৯৯ বছরের জমির ইজারা মেয়াদ কমিয়ে ৯৯ বছরে নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু সরকার জমির মালিকানা ব্যবহার করে স্থানীয় জনগণের জন্য পর্যাপ্ত জমি বা আর্থিক সুবিধা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেন।
২০২৩ সাল পর্যন্ত কেনিয়ায় ব্রিটেনের জেমস ফিনলে কোম্পানির চা-বাগান ছিল। এই কোম্পানিতে ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন গাই চেম্বার্স। তিনি বলেন, ‘এই উত্তেজনার মূল কারণ হলো বড় বড় চা-বাগানের মালিকানা রয়েছে বিদেশিদের হাতে—যেসব জমি একসময় স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়েছিল।’
এই অস্থিরতা প্রসঙ্গে কেনিয়া সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কোম্পানিগুলো দাবি করছে, তারা কেনিয়ার আইন মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিছু রাজনীতিবিদ এই ঐতিহাসিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে তাদের জমির মালিকানা খর্ব করার চেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থও এগিয়ে নিচ্ছে।
তবে এতকিছুর পরও স্থানীয় সম্প্রদায়ের জমি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাগুলো খুব একটা সফল হয়নি। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এসব জমির ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন, কারণ এতে সময়সীমা এবং সরকারি রক্ষা প্রথা (ইমিউনিটি) ইত্যাদি বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
চেম্বার্স পরিচালিত প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্ম এবং কেরিচো জেলার চা-চাষি সম্প্রদায় গত বছর সিভিসি ক্যাপিটাল-মালিকানাধীন লিপটনের এস্টেটগুলোর জন্য যৌথভাবে দরপত্র দিয়েছিল এমন একটি পরিকল্পনার অধীনে যা আগামী দুই দশকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় সম্প্রদায়ের কাছে হস্তান্তর করত।
শেষ পর্যন্ত লিপটন কোম্পানি তাদের এস্টেট ব্রাউন্স কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়। লিপটনের একজন মুখপাত্র জানান, তারা এমন একজন ক্রেতাকে বেছে নিয়েছে, যিনি এই শিল্পের মানোন্নয়নে সহায়তা করতে পারবেন। তবে ব্রাউন্স কোম্পানি মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
২০১৯ সালের এক প্রতিবেদনে কেনিয়ার জাতীয় ভূমি কমিশন ব্রিটিশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছিল কেরিচো অঞ্চলের সম্প্রদায়গুলোর কাছে ক্ষমা চাওয়ার এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। তবে ব্রিটিশ সরকার এই আহ্বানের সরাসরি কোনো জবাব দেয়নি।
মন্তব্য চাওয়া হলে ব্রিটেনের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস জানায়, ‘আমরা নান্দি অঞ্চলের চা-খামারগুলোতে হামলায় উদ্বিগ্ন এবং আমরা কেনিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’
তবে ইপিকে দাবি করছে, চলমান বিরোধটি কোনো ঐতিহাসিক জমি-অবিচার নিয়ে নয়, বরং এটি ‘স্বেচ্ছায় দান ও গ্রহণের’ ভিত্তিতে দেওয়া একটি উপহার নিয়ে। কিন্তু ২০১৯ সালে কেনিয়ার জাতীয় ভূমি কমিশন জানায়, কিমাসাস সম্প্রদায় পুরো ৫৫০ একর জমির মালিক। ইপিকে এই দাবিকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করে বলে, কিমাসাস যেসব প্রমাণ দিয়েছে, সেগুলো জাল।
২০২৩ সালের ৩ আগস্ট আদালত মামলার শুনানি চলাকালে প্রায় ২০০ মানুষ ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে ঢুকে পড়ে এবং চা-পাতা তুলে নিয়ে যেতে শুরু করে, যাদের মধ্যে একজন সংসদ সদস্যও ছিলেন। পরদিন আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদের জমি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সে সময় অধিকাংশ লোক চলে গেলেও পরে আবার অনেকে ফিরে আসে। এমনকি ইপিকের গাড়ি ও কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
কোম্পানিটি জানায়, পুলিশ ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেনি। আর পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিস জানিয়েছে, এ ঘটনায় কাউকে অভিযুক্ত করলে তা চলমান দেওয়ানি মামলায় হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
ইপিকের জেনারেল ম্যানেজার পিটার গোইন বলেন, ‘যদি আমরা এ ধরনের পরিস্থিতি মেনে নিই—যেখানে তরুণ প্রজন্ম বলতে শুরু করে যে তাদের যথেষ্ট নেই, তারা আরও চায়—তাহলে এটা একটা বিপজ্জনক নজির হয়ে দাঁড়াবে, যা যেকোনো মূল্যে ঠেকাতে হবে।’
পুলিশ বা প্রসিকিউটরের অফিস মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
অন্যদিকে কিমাসাস সম্প্রদায়ের নেতা বিউয়ট বলেন, তাদের পক্ষ থেকে জমি দখল করা যুক্তিসংগত, কারণ এ বিষয়ে এখনো আদালতের কোনো চূড়ান্ত রায় আসেনি।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম চা উৎপাদক দেশ কেনিয়া। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের নান্দি কাউন্টির সিতোই এস্টেটের পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে চা শিল্প। ১৯৪৮ সালে এই নান্দিতে জমি অধিগ্রহণ করে চা বাগান গড়ে তোলে ব্রিটিশ-মালিকানাধীন চা উৎপাদনকারী কোম্পানি ইস্টার্ন প্রোডিউস কেনিয়া (ইপিকে)। বহু দশক ধরে নান্দিসহ কেনিয়ার অনেক...
১৮ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম চা উৎপাদক দেশ কেনিয়া। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের নান্দি কাউন্টির সিতোই এস্টেটের পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে চা শিল্প। ১৯৪৮ সালে এই নান্দিতে জমি অধিগ্রহণ করে চা বাগান গড়ে তোলে ব্রিটিশ-মালিকানাধীন চা উৎপাদনকারী কোম্পানি ইস্টার্ন প্রোডিউস কেনিয়া (ইপিকে)। বহু দশক ধরে নান্দিসহ কেনিয়ার অনেক...
১৮ এপ্রিল ২০২৫
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম চা উৎপাদক দেশ কেনিয়া। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের নান্দি কাউন্টির সিতোই এস্টেটের পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে চা শিল্প। ১৯৪৮ সালে এই নান্দিতে জমি অধিগ্রহণ করে চা বাগান গড়ে তোলে ব্রিটিশ-মালিকানাধীন চা উৎপাদনকারী কোম্পানি ইস্টার্ন প্রোডিউস কেনিয়া (ইপিকে)। বহু দশক ধরে নান্দিসহ কেনিয়ার অনেক...
১৮ এপ্রিল ২০২৫
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৯ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম চা উৎপাদক দেশ কেনিয়া। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের নান্দি কাউন্টির সিতোই এস্টেটের পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে চা শিল্প। ১৯৪৮ সালে এই নান্দিতে জমি অধিগ্রহণ করে চা বাগান গড়ে তোলে ব্রিটিশ-মালিকানাধীন চা উৎপাদনকারী কোম্পানি ইস্টার্ন প্রোডিউস কেনিয়া (ইপিকে)। বহু দশক ধরে নান্দিসহ কেনিয়ার অনেক...
১৮ এপ্রিল ২০২৫
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৯ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
১০ ঘণ্টা আগে