আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। নেতানিয়াহুর দাবি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘আমাদের চোখের সামনে, একের পর এক দেশ ও অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছেন।’ তাই তাঁকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া উচিত।
এদিকে ট্রাম্প নিজেও দীর্ঘদিন ধরে এই পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে আসছেন। তাঁর দাবি, ইসরায়েল-ইরান থেকে শুরু করে রুয়ান্ডা-কঙ্গো, ভারত-পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে শান্তি স্থাপনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য!
কিন্তু গাজায় সংঘাত যখন তীব্র আকার ধারণ করেছে, তখন প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই শান্তি পুরস্কার কি ট্রাম্পের ভাগ্যে জুটবে? তিনি কি এই পুরস্কারের যোগ্য? এ বিষয়ে পাঁচজন বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছে দা কনভারসেশন। চলুন, জানি—ট্রাম্পের সম্পর্কে কী বলছেন এই বিশেষজ্ঞরা।
অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল, আরবান অ্যান্ড সোশ্যাল স্টাডিজ স্কুলের অ্যাডজাঙ্কট সিনিয়র ফেলো এমা সর্টিস। ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য নেতানিয়াহুর মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেছেন এমা। তিনি এটিকে ‘কুকুরের প্রদর্শনীতে হায়েনাকে নামানোর’ সঙ্গে তুলনা করেছেন।
সর্টিস বলেন, ‘ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের যোগ্য নন।’ তিনি মনে করেন, এ বিষয়ে আলোচনা করতে বাধ্য করাটাই প্রমাণ করে, সবকিছুকে নিজের মতো করে বদলে নেওয়ার ক্ষমতা ট্রাম্পের আছে।
সর্টিস বলেন, ‘গাজায় কোনো শান্তি নেই। ইরানে শান্তি নেই। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নেই। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যও ট্রাম্পের আগ্রহ বা মনোযোগ নেই। তাঁর প্রশাসন কূটনীতির জন্য প্রয়োজনীয় খরচ বা বিনিয়োগ করতে রাজি নয়। উপরন্তু, তিনি যুদ্ধবিরোধীও নন।’
এমা সর্টিস প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এটা কেমন শান্তি? এর জন্য তাঁকে নোবেল দিতে হবে?’
সর্টিস মনে করেন, ট্রাম্পের ‘ট্রফি’ (নোবেল) পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রশ্রয় দিলে হয়তো তিনি অল্প সময়ের জন্য খুশি হতে পারেন। কিন্তু এর ফলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার তার সব বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। একই সঙ্গে এটি আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ট্রাম্পের অবজ্ঞাকেই সমর্থন করবে।
আলি মামৌরি, ডেকিন ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়ন বিভাগের রিসার্চ ফেলো। মামৌরি বলেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির (নেতানিয়াহু) দ্বারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা ‘একটি নজিরবিহীন বিদ্রূপ’। এটা কোনোভাবেই মানা যায় না।
মামৌরির মতে, আব্রাহাম অ্যাকর্ডস মধ্যস্থতায় ট্রাম্পের ভূমিকা একটি কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে প্রশংসিত হয়েছিল। এর ফলে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কোর মতো কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। কিন্তু মামৌরি মনে করেন, এই অর্জন একটি উল্লেখযোগ্য মূল্যে এসেছে। এই চুক্তিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনি ইস্যুকে এক পাশে সরিয়ে রেখেছে, যা দীর্ঘদিন ধরে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার মূল কারণ হিসেবে স্বীকৃত এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের বিষয়ে কয়েক দশকের আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকে উপেক্ষা করেছে।
মামৌরি আরও বলেন, ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের এমন নীতিগুলোকে খোলাখুলি সমর্থন করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে ব্যাপকভাবে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযুক্ত করার প্রস্তাব। গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয়ের মুখে তাঁর নীরবতাও ছিল সমানভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এমন কর্মকাণ্ডের পর ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনীত করা আসলেই বিদ্রূপ।
ইয়ান পারমিটার, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়ন বিভাগের গবেষক। পারমিটার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য নেতানিয়াহুর মনোনয়নকে ‘তোষামোদ’ হিসেবে দেখছেন। ট্রাম্প নিজেও এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের দাবি করছেন, যা তাঁর পূর্বসূরি বারাক ওবামা প্রথম মেয়াদেই পেয়েছিলেন।
কিন্তু ওবামা ও ট্রাম্পের মধ্যে কে কতটুকু সফল
২০০৯ সালে ওবামা পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ‘নতুন আবহ’ তৈরির জন্য, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন। পারমিটার প্রশ্ন তোলেন, ওবামার সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলো ফলপ্রসূ না হওয়ায় ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে এসে কী ধরনের দাবি করতে পারেন?
ট্রাম্প এ বছর দুটি সংঘাত সমাধানের কৃতিত্ব দাবি করেছেন—প্রথমে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, বিষয়টি দুই দেশের সামরিক বাহিনীর আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।
রুয়ান্ডা-ডিআর কঙ্গো সংঘাত—এই দুই দেশের বিরোধ দীর্ঘদিনের। দেশ দুটি জুনে ওভাল অফিসে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, কাতার এই চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ব্যাপারটি লুকিয়েছে।
পারমিটারের মতে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে জুনে ১২ দিনের যুদ্ধে ট্রাম্পের চাপের কারণে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, এই দাবি তিনি যুক্তিসংগতভাবেই করতে পারেন। তবে ট্রাম্পের বড় পরীক্ষা হলো গাজা যুদ্ধ। এই সংঘাতকে তাঁর নোবেল দাবির সঙ্গে যোগ করতে হলে, কেবল একটি যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট হবে না।
পারমিটারের মতে, ট্রাম্পকে একটি অস্থায়ী বিরতির চেয়ে বেশি কিছু অর্জন করতে নেতানিয়াহুকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তাঁকে অবশ্যই যুদ্ধের স্থায়ী অবসানে বাধ্য করতে হবে এবং সব ইসরায়েলি জিম্মিকেও মুক্তি দিতে হবে।
এ ছাড়া ট্রাম্প যদি নেতানিয়াহুকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান নিয়ে গুরুতর পদক্ষেপ নিতে রাজি করাতে পারেন, তাহলে সেটি সত্যিকারের নোবেল পাওয়ার মতো একটি অর্জন হবে। পারমিটারের মতে, ‘ট্রাম্প এখনো সেই অবস্থানে পৌঁছাননি।’
জেসমিন-কিম ওয়েস্টেনডর্ফ, মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘাত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ইনিশিয়েটিভ ফর পিসবিল্ডিংয়ের সহপরিচালক। জেসমিনও ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁর মতে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানকে স্বীকৃতি দেয়, কিন্তু ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড এর বিপরীত।
জেসমিন বলেন, ট্রাম্প নিজেকে ‘শান্তি স্থাপনকারী’ হিসেবে ঘোষণা করলেও বাস্তবতা ভিন্ন। তাঁর অভিযোগ, ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা, সহিংস সংঘাত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন উসকে দিয়েছেন।
জেসমিন মনে করিয়ে দেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার মূলত সশস্ত্র সংঘাত কমানো, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেওয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে ২০১১ সালে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে যৌন সহিংসতার ব্যবহার বন্ধে কাজের জন্য নাদিয়া মুরাদ ও ডেনিস মুকওয়েগের কথা বলেন জেসমিন।
জেসমিন-কিম ওয়েস্টেনডর্ফের স্পষ্ট মত, ট্রাম্প কোনো শান্তি স্থাপনকারী নন এবং তিনি এই পুরস্কারের যোগ্যও নন।
শাহরাম আকবরজাদেহ, ডেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়ন ফোরামের পরিচালক। আকবরজাদেহ বলেন, ‘নেতানিয়াহু আমাদের বিশ্বাস করাতে চান, ট্রাম্প একজন শান্তি স্থাপনকারী। এর চেয়ে মিথ্যা আর কিছু হতে পারে না। তাঁর হাত রক্তে রঞ্জিত। এরপরও ট্রাম্প নিজেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের যোগ্য মনে করেন, এটি তাঁর বাস্তবতাবিবর্জিত দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ।’
আকবরজাদেহ অভিযোগ করেন, গাজার যুদ্ধ ২০ মাসে গড়িয়েছে। ট্রাম্প এখনো এই সংঘাত বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এটা কোনো শান্তি স্থাপনকারীর কাজ হতে পারে?’ আকবরজাদেহের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের শান্তির ধারণা হলো কবরস্থানের শান্তি।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। নেতানিয়াহুর দাবি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘আমাদের চোখের সামনে, একের পর এক দেশ ও অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছেন।’ তাই তাঁকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া উচিত।
এদিকে ট্রাম্প নিজেও দীর্ঘদিন ধরে এই পুরস্কারের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে আসছেন। তাঁর দাবি, ইসরায়েল-ইরান থেকে শুরু করে রুয়ান্ডা-কঙ্গো, ভারত-পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে শান্তি স্থাপনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য!
কিন্তু গাজায় সংঘাত যখন তীব্র আকার ধারণ করেছে, তখন প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই শান্তি পুরস্কার কি ট্রাম্পের ভাগ্যে জুটবে? তিনি কি এই পুরস্কারের যোগ্য? এ বিষয়ে পাঁচজন বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছে দা কনভারসেশন। চলুন, জানি—ট্রাম্পের সম্পর্কে কী বলছেন এই বিশেষজ্ঞরা।
অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল, আরবান অ্যান্ড সোশ্যাল স্টাডিজ স্কুলের অ্যাডজাঙ্কট সিনিয়র ফেলো এমা সর্টিস। ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য নেতানিয়াহুর মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টির কড়া সমালোচনা করেছেন এমা। তিনি এটিকে ‘কুকুরের প্রদর্শনীতে হায়েনাকে নামানোর’ সঙ্গে তুলনা করেছেন।
সর্টিস বলেন, ‘ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের যোগ্য নন।’ তিনি মনে করেন, এ বিষয়ে আলোচনা করতে বাধ্য করাটাই প্রমাণ করে, সবকিছুকে নিজের মতো করে বদলে নেওয়ার ক্ষমতা ট্রাম্পের আছে।
সর্টিস বলেন, ‘গাজায় কোনো শান্তি নেই। ইরানে শান্তি নেই। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি নেই। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যও ট্রাম্পের আগ্রহ বা মনোযোগ নেই। তাঁর প্রশাসন কূটনীতির জন্য প্রয়োজনীয় খরচ বা বিনিয়োগ করতে রাজি নয়। উপরন্তু, তিনি যুদ্ধবিরোধীও নন।’
এমা সর্টিস প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এটা কেমন শান্তি? এর জন্য তাঁকে নোবেল দিতে হবে?’
সর্টিস মনে করেন, ট্রাম্পের ‘ট্রফি’ (নোবেল) পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রশ্রয় দিলে হয়তো তিনি অল্প সময়ের জন্য খুশি হতে পারেন। কিন্তু এর ফলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার তার সব বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। একই সঙ্গে এটি আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ট্রাম্পের অবজ্ঞাকেই সমর্থন করবে।
আলি মামৌরি, ডেকিন ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়ন বিভাগের রিসার্চ ফেলো। মামৌরি বলেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যক্তির (নেতানিয়াহু) দ্বারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা ‘একটি নজিরবিহীন বিদ্রূপ’। এটা কোনোভাবেই মানা যায় না।
মামৌরির মতে, আব্রাহাম অ্যাকর্ডস মধ্যস্থতায় ট্রাম্পের ভূমিকা একটি কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে প্রশংসিত হয়েছিল। এর ফলে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কোর মতো কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। কিন্তু মামৌরি মনে করেন, এই অর্জন একটি উল্লেখযোগ্য মূল্যে এসেছে। এই চুক্তিগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনি ইস্যুকে এক পাশে সরিয়ে রেখেছে, যা দীর্ঘদিন ধরে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার মূল কারণ হিসেবে স্বীকৃত এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের বিষয়ে কয়েক দশকের আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকে উপেক্ষা করেছে।
মামৌরি আরও বলেন, ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের এমন নীতিগুলোকে খোলাখুলি সমর্থন করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে ব্যাপকভাবে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড সংযুক্ত করার প্রস্তাব। গাজায় ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয়ের মুখে তাঁর নীরবতাও ছিল সমানভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এমন কর্মকাণ্ডের পর ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনীত করা আসলেই বিদ্রূপ।
ইয়ান পারমিটার, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়ন বিভাগের গবেষক। পারমিটার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য নেতানিয়াহুর মনোনয়নকে ‘তোষামোদ’ হিসেবে দেখছেন। ট্রাম্প নিজেও এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের দাবি করছেন, যা তাঁর পূর্বসূরি বারাক ওবামা প্রথম মেয়াদেই পেয়েছিলেন।
কিন্তু ওবামা ও ট্রাম্পের মধ্যে কে কতটুকু সফল
২০০৯ সালে ওবামা পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ‘নতুন আবহ’ তৈরির জন্য, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নোবেল পেয়েছিলেন। পারমিটার প্রশ্ন তোলেন, ওবামার সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলো ফলপ্রসূ না হওয়ায় ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে এসে কী ধরনের দাবি করতে পারেন?
ট্রাম্প এ বছর দুটি সংঘাত সমাধানের কৃতিত্ব দাবি করেছেন—প্রথমে ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, বিষয়টি দুই দেশের সামরিক বাহিনীর আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।
রুয়ান্ডা-ডিআর কঙ্গো সংঘাত—এই দুই দেশের বিরোধ দীর্ঘদিনের। দেশ দুটি জুনে ওভাল অফিসে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, কাতার এই চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ব্যাপারটি লুকিয়েছে।
পারমিটারের মতে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে জুনে ১২ দিনের যুদ্ধে ট্রাম্পের চাপের কারণে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল, এই দাবি তিনি যুক্তিসংগতভাবেই করতে পারেন। তবে ট্রাম্পের বড় পরীক্ষা হলো গাজা যুদ্ধ। এই সংঘাতকে তাঁর নোবেল দাবির সঙ্গে যোগ করতে হলে, কেবল একটি যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট হবে না।
পারমিটারের মতে, ট্রাম্পকে একটি অস্থায়ী বিরতির চেয়ে বেশি কিছু অর্জন করতে নেতানিয়াহুকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তাঁকে অবশ্যই যুদ্ধের স্থায়ী অবসানে বাধ্য করতে হবে এবং সব ইসরায়েলি জিম্মিকেও মুক্তি দিতে হবে।
এ ছাড়া ট্রাম্প যদি নেতানিয়াহুকে দ্বিরাষ্ট্র সমাধান নিয়ে গুরুতর পদক্ষেপ নিতে রাজি করাতে পারেন, তাহলে সেটি সত্যিকারের নোবেল পাওয়ার মতো একটি অর্জন হবে। পারমিটারের মতে, ‘ট্রাম্প এখনো সেই অবস্থানে পৌঁছাননি।’
জেসমিন-কিম ওয়েস্টেনডর্ফ, মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘাত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ইনিশিয়েটিভ ফর পিসবিল্ডিংয়ের সহপরিচালক। জেসমিনও ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাঁর মতে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানকে স্বীকৃতি দেয়, কিন্তু ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড এর বিপরীত।
জেসমিন বলেন, ট্রাম্প নিজেকে ‘শান্তি স্থাপনকারী’ হিসেবে ঘোষণা করলেও বাস্তবতা ভিন্ন। তাঁর অভিযোগ, ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা, সহিংস সংঘাত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন উসকে দিয়েছেন।
জেসমিন মনে করিয়ে দেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার মূলত সশস্ত্র সংঘাত কমানো, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেওয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে ২০১১ সালে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে যৌন সহিংসতার ব্যবহার বন্ধে কাজের জন্য নাদিয়া মুরাদ ও ডেনিস মুকওয়েগের কথা বলেন জেসমিন।
জেসমিন-কিম ওয়েস্টেনডর্ফের স্পষ্ট মত, ট্রাম্প কোনো শান্তি স্থাপনকারী নন এবং তিনি এই পুরস্কারের যোগ্যও নন।
শাহরাম আকবরজাদেহ, ডেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য অধ্যয়ন ফোরামের পরিচালক। আকবরজাদেহ বলেন, ‘নেতানিয়াহু আমাদের বিশ্বাস করাতে চান, ট্রাম্প একজন শান্তি স্থাপনকারী। এর চেয়ে মিথ্যা আর কিছু হতে পারে না। তাঁর হাত রক্তে রঞ্জিত। এরপরও ট্রাম্প নিজেকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের যোগ্য মনে করেন, এটি তাঁর বাস্তবতাবিবর্জিত দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ।’
আকবরজাদেহ অভিযোগ করেন, গাজার যুদ্ধ ২০ মাসে গড়িয়েছে। ট্রাম্প এখনো এই সংঘাত বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এটা কোনো শান্তি স্থাপনকারীর কাজ হতে পারে?’ আকবরজাদেহের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের শান্তির ধারণা হলো কবরস্থানের শান্তি।’

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে পোইপেত পৌর এলাকায় থাই বাহিনী দুটি বোমা ফেলেছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই জানিয়েছেন, পোইপেতের বাইরে অবস্থিত একটি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে বিএম-২১ রকেট মজুত করা হচ্ছিল। তাঁর দাবি, এই অভিযানে কোনো বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
বিবিসি জানিয়েছে, বিএম-২১ রকেট সাধারণত সাঁজোয়া যান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত হয়। পোইপেত শহরে এই ধরনের হামলার ঘটনা চলমান সংঘাতে প্রথম বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই শহরটি থাই জুয়াড়িদের কাছে জনপ্রিয় ক্যাসিনো কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার থাইল্যান্ড জানিয়েছিল, কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার থাই নাগরিক পোইপেতে আটকা পড়েছেন। কম্বোডিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত বন্ধকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, দেশ ছাড়ার জন্য আকাশপথ খোলা রয়েছে।
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শত বছরের পুরোনো সীমান্ত বিরোধ গত ২৪ জুলাই ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যখন কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডে রকেট হামলা চালায় এবং পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড বিমান হামলা শুরু করে। পাঁচ দিনব্যাপী তীব্র লড়াইয়ের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি গত সপ্তাহে আবার ভেস্তে যায়। সর্বশেষ দফায় উভয় পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর জন্য দায়ী করছে।

গাজায় সংঘাত যখন তীব্র আকার ধারণ করেছে, তখন প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই শান্তি পুরস্কার কি ট্রাম্পের ভাগ্যে জুটবে? তিনি কি এই পুরস্কারের যোগ্য? এ বিষয়ে পাঁচজন বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছে দা কনভারসেশন। চলুন, জানি—ট্রাম্পের সম্পর্কে কী বলছেন এই পাঁচ বিশেষজ্ঞ।
১৪ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি আজ বৃহস্পতিবার সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতায় পর্যবসিত হবে না’, তবে ভারতকে এটি মোকাবিলায় অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।
সংসদীয় কমিটি তাদের প্রতিবেদনে ১৯৭১ সালের সংকটের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির তুলনা করে বলেছে, ১৯৭১ সালে চ্যালেঞ্জ ছিল অস্তিত্ব রক্ষা, মানবিক সংকট ও একটি নতুন জাতির জন্ম নিয়ে। তবে বর্তমান চ্যালেঞ্জটি আরও গুরুতর এবং এটি একটি ‘প্রজন্মগত বিচ্ছিন্নতা’। রাজনৈতিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এবং ভারতের দিক থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাব্য কৌশলগত পুনর্বিন্যাস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে কয়েকটি কারণ একসঙ্গে কাজ করছে—ইসলামপন্থী চরমপন্থার উত্থান, চীন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আধিপত্যের পতন।
কমিটি সরকারের কাছে একাধিক সুপারিশ জমা দিয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলেছে, ভারত যদি এই মুহূর্তে নিজেকে নতুন করে মানিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়, তবে যুদ্ধের কারণে নয়, বরং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ হয়ে পড়ার কারণে ঢাকা থেকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
কমিটি বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক পুনর্গঠন ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় চীনের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি ও পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পেকুয়ার ওই ঘাঁটিতে আটটি সাবমেরিন রাখার সক্ষমতা রয়েছে, যদিও বাংলাদেশের কাছে বর্তমানে মাত্র দুটি সাবমেরিন আছে।
কমিটির মতে, চীন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গেই যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামীও রয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই ইসলামপন্থী দলটির প্রতিনিধিরা সম্প্রতি চীন সফরও করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটে কমিটি সুপারিশ করেছে, বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শক্তি যাতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে, যা অন্য কোনো দেশ (যেমন চীন) দিতে পারবে না।
বাংলাদেশে ইসলামপন্থী দলগুলোর প্রভাব বাড়ার বিষয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। আগে নিষিদ্ধ থাকা জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়া এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়াকে কমিটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
অন্যদিকে, ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যার ফলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছে না। কমিটি মনে করে, আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচন হলে এর ‘গ্রহণযোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

গাজায় সংঘাত যখন তীব্র আকার ধারণ করেছে, তখন প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই শান্তি পুরস্কার কি ট্রাম্পের ভাগ্যে জুটবে? তিনি কি এই পুরস্কারের যোগ্য? এ বিষয়ে পাঁচজন বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছে দা কনভারসেশন। চলুন, জানি—ট্রাম্পের সম্পর্কে কী বলছেন এই পাঁচ বিশেষজ্ঞ।
১৪ জুলাই ২০২৫
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে বৈশ্বিক পর্যায়ে সংঘটিত সব ধরনের ক্রিপটো সেবা-সংক্রান্ত হ্যাকিং ঘটনার ৭৬ শতাংশের জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ী—ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী—বিভিন্ন ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ, কাস্টডিয়ান এবং ওয়েব ৩ প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশ এই রেকর্ড চুরির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা। এসব কর্মী প্রাথমিকভাবে ভেতরে প্রবেশাধিকার তৈরি করে এবং পরে বড় পরিসরের চুরির পথ সুগম করে তোলে। চেইনঅ্যানালিসিস বলছে, এই কৌশল হ্যাকারদের দ্রুত ও কার্যকরভাবে বড় অঙ্কের সম্পদ হাতাতে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ক্রিপটো চুরির মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৪ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে বিখ্যাত ক্রিপটো এক্সচেঞ্জ বাইবিটে সংঘটিত এক হামলাতেই ১.৫ বিলিয়ন ডলার চুরি হয়ে যায়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার পেছনে ছিল উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া হ্যাকার গ্রুপ ‘লাজারাস’।
চুরি করা অর্থ পাচারের জন্য উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা প্রায়ই চীনের কিছু সেবার ওপর নির্ভর করে। চেইনঅ্যানালিসিস-এর জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অ্যান্ড্রু ফিয়ারম্যান জানান, এসব চীনা মানি লন্ডারিং নেটওয়ার্ক ইচ্ছাকৃতভাবে অবৈধ অর্থ সাদা করতে সহায়তা করে।
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়া বৈদেশিক আর্থিক ব্যবস্থায় সহজে লেনদেন করতে পারে না। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দেশটিকে সামরিক ও অস্ত্র কর্মসূচির অর্থ জোগাড়ে অবৈধ পথ বেছে নিতে বাধ্য করেছে। গবেষকদের মতে, একসময় আদর্শগত উদ্দেশ্যে সাইবার হামলা চালালেও এখন উত্তর কোরিয়ার হ্যাকিং কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আর্থিক লাভ নিশ্চিত করা।

গাজায় সংঘাত যখন তীব্র আকার ধারণ করেছে, তখন প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই শান্তি পুরস্কার কি ট্রাম্পের ভাগ্যে জুটবে? তিনি কি এই পুরস্কারের যোগ্য? এ বিষয়ে পাঁচজন বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছে দা কনভারসেশন। চলুন, জানি—ট্রাম্পের সম্পর্কে কী বলছেন এই পাঁচ বিশেষজ্ঞ।
১৪ জুলাই ২০২৫
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৭ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ইহুদি উৎসবকে লক্ষ্য করে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর দেশটিতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও উগ্রবাদ দমনে কঠোর আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ। গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হানুক্কাহ উৎসবের প্রথম দিন উপলক্ষে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৫ জন নিহত হন। এই হামলাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজ বলেন, নতুন আইন মূলত যারা ঘৃণা, বিভাজন ও উগ্রবাদ ছড়ায়—তাদের লক্ষ্য করেই আনা হবে। তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে এমন ব্যক্তিদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা দেওয়া হবে, যারা ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করে। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থায় ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ, মোকাবিলা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনের আওতায় সহিংসতা উসকে দেওয়া ধর্মীয় বক্তা ও নেতাদের জন্য শাস্তির বিধান ছাড়াও ‘অ্যাগ্রাভেটেড হেট স্পিচ’ নামে অপরাধের একটি নতুন সংজ্ঞা সংযোজন করা হবে। অনলাইনে হুমকি ও হয়রানির ক্ষেত্রে শাস্তি নির্ধারণে বিদ্বেষ ছড়ানোনে গুরুতর উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অ্যালবানিজ বলেন, ‘প্রত্যেক ইহুদি অস্ট্রেলিয়ানের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানিত বোধ করার অধিকার রয়েছে।’
এই হামলার পর দেশটিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ-পশ্চিম সিডনিতে সাতজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুলিশ বলছে, বন্ডাই হামলার সঙ্গে এই ঘটনার সরাসরি কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।
এদিকে সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও কিছু সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইহুদি কাউন্সিল অব অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, বন্দুক নিয়ন্ত্রণ ও অনলাইনে বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও, কিছু প্রস্তাব ইসরায়েলপন্থী লবির পুরোনো দাবির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যা সহিংস উগ্রবাদ দমনের চেয়ে মতপ্রকাশ সীমিত করতে পারে। সংগঠনটির নির্বাহী কর্মকর্তা ড. ম্যাক্স কাইজার সতর্ক করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বা সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে মতাদর্শিক নজরদারি চালানো হলে তা ইহুদিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে আরও ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিবিদ্বেষ রোধে সরকার আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব শুধু ভুল স্বীকার করা নয়, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করাও।’

গাজায় সংঘাত যখন তীব্র আকার ধারণ করেছে, তখন প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই শান্তি পুরস্কার কি ট্রাম্পের ভাগ্যে জুটবে? তিনি কি এই পুরস্কারের যোগ্য? এ বিষয়ে পাঁচজন বিশেষজ্ঞের মতামত নিয়েছে দা কনভারসেশন। চলুন, জানি—ট্রাম্পের সম্পর্কে কী বলছেন এই পাঁচ বিশেষজ্ঞ।
১৪ জুলাই ২০২৫
কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহর পোইপেতের কাছে একটি রসদ কেন্দ্র লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। পোইপেত শহরটি থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এবং ক্যাসিনোর জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ থামার কোনো লক্ষণ না দেখানোর মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটল।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ভারতের জন্য ‘সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতের একটি সংসদীয় কমিটি সরকারকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে পরিস্থিতি হয়তো ‘বিশৃঙ্খলা...
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা রেকর্ড পরিমাণ ক্রিপ্টোকারেন্সি চুরি করেছে। ব্লকচেইন তথ্য বিশ্লেষণ প্ল্যাটফর্ম ‘চেইনঅ্যানালিসিস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—চলতি বছরে দেশটি অন্তত ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ডিজিটাল সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে