ইশতিয়াক হাসান

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন মোট ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার। এদিকে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২. মোনাকো
ভ্যাটিকান সিটির মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। আয়তন মোটে ২ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি এর চেয়ে ছোট। তাই মোনাকো রীতিমতো ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো।
ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৩. নউরু
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নউরু পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি।
কেবল একটি মাত্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি তার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এর প্রবালপ্রাচীর ও পামগাছে ভরপুর সমুদ্রসৈকত আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
৪. ট্যুভ্যালু
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। এই দ্বীপগুলো মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গকিলোমিটারের মতো, যা একে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজারের বেশি।
১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। মজার ঘটনা, কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।
দেশটির অর্থনীতি মাছ ধরা, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। প্রবালপ্রাচীর, চমৎকার সব সৈকত ও সাগরের নীল জল এবং বন্ধুভাবাপন্ন অধিবাসী মিলিয়ে দেশটি পর্যটকদের খুব পছন্দের।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশের আয়তন মোটে ৬১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তির জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সান মেরিনো। চারপাশ থেকেই খুদে দেশটিকে ঘিরে আছে ইতালি।
মন্তে তিতানো পর্বতের ঢালে অবস্থিত দেশটির রাজধানীর নামও সান মেরিনো। বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো রাষ্ট্রগুলোর একটি সান মেরিনো। দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
৬. লিচটেনস্টেইন
রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশে ছোট-বড় পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে লিচটেনস্টেইনের। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গকিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে এই পাহাড়গুলো। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ষষ্ঠ ক্ষুদ্রতম দেশ এটি।
লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। আকারে ছোট হলে কী হবে, আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। এখানকার ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৭. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবালপ্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
৪২ হাজারের আশপাশে জনসংখ্যা। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৮. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। আয়তনে বিশ্বের অষ্টম ক্ষুদ্রতম দেশ এটি। ২৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গকিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপ ৯৩ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসাবে ৪৭ হাজারের আশপাশে। এদিক থেকেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশ। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৯. মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১ হাজার ২০০ প্রবালদ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার, যা একে আয়তনে বিশ্বের নবম ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে।
তবে ছোট্ট এই দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে বর্তমানে মালদ্বীপের জনসংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখের কিছু বেশি। দেশটি তার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সাগরের নীল জলরাশি এবং পানির ওপরের বিলাসবহুল সব বাংলোর জন্য পর্যটকদের খুব প্রিয় এক গন্তব্য।
১০. মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত মাল্টার অবস্থান খুদে দেশের তালিকায় বিশ্বে দশম। ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুসারে ৫ লাখ ৪০ হাজারের কাছাকাছি। সে হিসাবে আয়তনে দেশটি ঢাকা শহরের কিছুটা বড়ই হবে। তার পরও কাছাকাছি আয়তনের হওয়ায় একেও রাখা হলো তালিকায়।
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, উইকিপিডিয়া
আরও খবর পড়ুন:

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন মোট ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার। এদিকে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২. মোনাকো
ভ্যাটিকান সিটির মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। আয়তন মোটে ২ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি এর চেয়ে ছোট। তাই মোনাকো রীতিমতো ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো।
ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৩. নউরু
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নউরু পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি।
কেবল একটি মাত্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি তার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এর প্রবালপ্রাচীর ও পামগাছে ভরপুর সমুদ্রসৈকত আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
৪. ট্যুভ্যালু
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। এই দ্বীপগুলো মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গকিলোমিটারের মতো, যা একে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজারের বেশি।
১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। মজার ঘটনা, কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।
দেশটির অর্থনীতি মাছ ধরা, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। প্রবালপ্রাচীর, চমৎকার সব সৈকত ও সাগরের নীল জল এবং বন্ধুভাবাপন্ন অধিবাসী মিলিয়ে দেশটি পর্যটকদের খুব পছন্দের।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশের আয়তন মোটে ৬১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তির জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সান মেরিনো। চারপাশ থেকেই খুদে দেশটিকে ঘিরে আছে ইতালি।
মন্তে তিতানো পর্বতের ঢালে অবস্থিত দেশটির রাজধানীর নামও সান মেরিনো। বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো রাষ্ট্রগুলোর একটি সান মেরিনো। দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
৬. লিচটেনস্টেইন
রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশে ছোট-বড় পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে লিচটেনস্টেইনের। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গকিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে এই পাহাড়গুলো। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ষষ্ঠ ক্ষুদ্রতম দেশ এটি।
লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। আকারে ছোট হলে কী হবে, আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। এখানকার ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৭. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবালপ্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
৪২ হাজারের আশপাশে জনসংখ্যা। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৮. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। আয়তনে বিশ্বের অষ্টম ক্ষুদ্রতম দেশ এটি। ২৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গকিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপ ৯৩ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসাবে ৪৭ হাজারের আশপাশে। এদিক থেকেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশ। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৯. মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১ হাজার ২০০ প্রবালদ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার, যা একে আয়তনে বিশ্বের নবম ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে।
তবে ছোট্ট এই দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে বর্তমানে মালদ্বীপের জনসংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখের কিছু বেশি। দেশটি তার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সাগরের নীল জলরাশি এবং পানির ওপরের বিলাসবহুল সব বাংলোর জন্য পর্যটকদের খুব প্রিয় এক গন্তব্য।
১০. মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত মাল্টার অবস্থান খুদে দেশের তালিকায় বিশ্বে দশম। ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুসারে ৫ লাখ ৪০ হাজারের কাছাকাছি। সে হিসাবে আয়তনে দেশটি ঢাকা শহরের কিছুটা বড়ই হবে। তার পরও কাছাকাছি আয়তনের হওয়ায় একেও রাখা হলো তালিকায়।
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, উইকিপিডিয়া
আরও খবর পড়ুন:
ইশতিয়াক হাসান

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন মোট ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার। এদিকে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২. মোনাকো
ভ্যাটিকান সিটির মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। আয়তন মোটে ২ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি এর চেয়ে ছোট। তাই মোনাকো রীতিমতো ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো।
ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৩. নউরু
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নউরু পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি।
কেবল একটি মাত্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি তার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এর প্রবালপ্রাচীর ও পামগাছে ভরপুর সমুদ্রসৈকত আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
৪. ট্যুভ্যালু
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। এই দ্বীপগুলো মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গকিলোমিটারের মতো, যা একে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজারের বেশি।
১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। মজার ঘটনা, কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।
দেশটির অর্থনীতি মাছ ধরা, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। প্রবালপ্রাচীর, চমৎকার সব সৈকত ও সাগরের নীল জল এবং বন্ধুভাবাপন্ন অধিবাসী মিলিয়ে দেশটি পর্যটকদের খুব পছন্দের।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশের আয়তন মোটে ৬১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তির জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সান মেরিনো। চারপাশ থেকেই খুদে দেশটিকে ঘিরে আছে ইতালি।
মন্তে তিতানো পর্বতের ঢালে অবস্থিত দেশটির রাজধানীর নামও সান মেরিনো। বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো রাষ্ট্রগুলোর একটি সান মেরিনো। দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
৬. লিচটেনস্টেইন
রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশে ছোট-বড় পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে লিচটেনস্টেইনের। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গকিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে এই পাহাড়গুলো। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ষষ্ঠ ক্ষুদ্রতম দেশ এটি।
লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। আকারে ছোট হলে কী হবে, আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। এখানকার ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৭. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবালপ্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
৪২ হাজারের আশপাশে জনসংখ্যা। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৮. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। আয়তনে বিশ্বের অষ্টম ক্ষুদ্রতম দেশ এটি। ২৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গকিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপ ৯৩ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসাবে ৪৭ হাজারের আশপাশে। এদিক থেকেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশ। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৯. মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১ হাজার ২০০ প্রবালদ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার, যা একে আয়তনে বিশ্বের নবম ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে।
তবে ছোট্ট এই দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে বর্তমানে মালদ্বীপের জনসংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখের কিছু বেশি। দেশটি তার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সাগরের নীল জলরাশি এবং পানির ওপরের বিলাসবহুল সব বাংলোর জন্য পর্যটকদের খুব প্রিয় এক গন্তব্য।
১০. মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত মাল্টার অবস্থান খুদে দেশের তালিকায় বিশ্বে দশম। ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুসারে ৫ লাখ ৪০ হাজারের কাছাকাছি। সে হিসাবে আয়তনে দেশটি ঢাকা শহরের কিছুটা বড়ই হবে। তার পরও কাছাকাছি আয়তনের হওয়ায় একেও রাখা হলো তালিকায়।
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, উইকিপিডিয়া
আরও খবর পড়ুন:

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন মোট ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার। এদিকে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২. মোনাকো
ভ্যাটিকান সিটির মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। আয়তন মোটে ২ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি এর চেয়ে ছোট। তাই মোনাকো রীতিমতো ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো।
ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৩. নউরু
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নউরু পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি।
কেবল একটি মাত্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি তার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এর প্রবালপ্রাচীর ও পামগাছে ভরপুর সমুদ্রসৈকত আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
৪. ট্যুভ্যালু
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। এই দ্বীপগুলো মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গকিলোমিটারের মতো, যা একে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজারের বেশি।
১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। মজার ঘটনা, কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।
দেশটির অর্থনীতি মাছ ধরা, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। প্রবালপ্রাচীর, চমৎকার সব সৈকত ও সাগরের নীল জল এবং বন্ধুভাবাপন্ন অধিবাসী মিলিয়ে দেশটি পর্যটকদের খুব পছন্দের।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশের আয়তন মোটে ৬১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তির জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সান মেরিনো। চারপাশ থেকেই খুদে দেশটিকে ঘিরে আছে ইতালি।
মন্তে তিতানো পর্বতের ঢালে অবস্থিত দেশটির রাজধানীর নামও সান মেরিনো। বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো রাষ্ট্রগুলোর একটি সান মেরিনো। দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
৬. লিচটেনস্টেইন
রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশে ছোট-বড় পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে লিচটেনস্টেইনের। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গকিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে এই পাহাড়গুলো। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ষষ্ঠ ক্ষুদ্রতম দেশ এটি।
লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। আকারে ছোট হলে কী হবে, আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। এখানকার ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৭. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবালপ্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
৪২ হাজারের আশপাশে জনসংখ্যা। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৮. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। আয়তনে বিশ্বের অষ্টম ক্ষুদ্রতম দেশ এটি। ২৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গকিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপ ৯৩ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসাবে ৪৭ হাজারের আশপাশে। এদিক থেকেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশ। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৯. মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১ হাজার ২০০ প্রবালদ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার, যা একে আয়তনে বিশ্বের নবম ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে।
তবে ছোট্ট এই দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে বর্তমানে মালদ্বীপের জনসংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখের কিছু বেশি। দেশটি তার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সাগরের নীল জলরাশি এবং পানির ওপরের বিলাসবহুল সব বাংলোর জন্য পর্যটকদের খুব প্রিয় এক গন্তব্য।
১০. মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত মাল্টার অবস্থান খুদে দেশের তালিকায় বিশ্বে দশম। ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুসারে ৫ লাখ ৪০ হাজারের কাছাকাছি। সে হিসাবে আয়তনে দেশটি ঢাকা শহরের কিছুটা বড়ই হবে। তার পরও কাছাকাছি আয়তনের হওয়ায় একেও রাখা হলো তালিকায়।
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, উইকিপিডিয়া
আরও খবর পড়ুন:

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্য ও লোহিত সাগর ঘিরে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই স্বীকৃতির পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক—এই তিনটি প্রধান কারণ। সোমালিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত কৌশলগত। এটি এডেন উপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং ইয়েমেনের খুব কাছেই, যেখানে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সক্রিয়। চলতি বছরে হুতি ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের প্রতিবাদে হুতিরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালায়। জবাবে ইয়েমেনের সানা ও হোদেইদায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েল।
এই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক ডেভিড মাকোভস্কি প্রশ্ন তুলেছেন—সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে কি ইসরায়েল সেখানে সামরিক সুবিধা বা গোয়েন্দা উপস্থিতির পথ খুলেছে? বিশেষ করে হুতি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় এটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’ জানিয়েছে, সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আব্দিরাহমান মোহাম্মদ আবদুল্লাহি গোপনে একাধিকবার ইসরায়েল সফর করেছেন। গত অক্টোবরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ও মোসাদের প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে নেতানিয়াহু এই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে মোসাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে সোমালিয়া ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। মিসর ও ফিলিস্তিনসহ কয়েকটি আরব দেশও এর সমালোচনা করেছে। অতীতে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোর করে সোমালিল্যান্ডে স্থানান্তরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যদিও সোমালিল্যান্ডের কর্মকর্তারা এই ধরনের কোনো যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি ইসরায়েলের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সোমালিল্যান্ডের বন্দরনগরী বেরবেরা ইসরায়েলকে লোহিত সাগরে প্রবেশের সুযোগ দিতে পারে। এমন হলে বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাব আল-মানদেব প্রণালির ওপর নজরদারি চালাতে পারবে ইসরায়েল। তবে সব মিলিয়ে, সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ইতিহাস তৈরি করলেও এর পূর্ণ প্রভাব ও ফলাফল এখনো স্পষ্ট নয়।

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
১৩ অক্টোবর ২০২৪
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে বিপুল প্রত্যাশা থাকলেও, সেটিকে লাভজনক ব্যবসায় রূপ দেওয়ার কাজ অনেক সিইওর জন্য হতাশাজনকই থেকে যায়।
তবে এই অস্থিরতার মধ্যেও কিছু প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ব্যতিক্রমী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ এবারও (২০২৫ সাল) সেরা সিইও নির্বাচন করেছে। এ ক্ষেত্রে এসঅ্যান্ডপি ১২০০ সূচকের অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোকে তাদের খাতভিত্তিক গড়ের তুলনায় অতিরিক্ত শেয়ারহোল্ডার রিটার্নের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আর তিন বছরের কম সময় দায়িত্বে থাকা সিইওদের বাদ দিয়ে শীর্ষ ১০ জনকে প্রাথমিক তালিকায় রাখা হয়।
এই তালিকায় ছিলেন—জার্মান অস্ত্র নির্মাতা রাইনমেটালের আরমিন পাপারগার, স্বর্ণখনি জায়ান্ট নিউমন্টের টম পামার, ফুজিকুরার ওকাদা নাওকি, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির ডেভিড জাসলাভ, হানহা অ্যারোস্পেসের সন জে-ইল, মাইক্রনের সঞ্জয় মেহরোত্রা, কিনরস গোল্ডের জে পল রোলিনসন, রবিনহুডের ভ্লাদিমির টেনেভ, এসকে হাইনিক্সের কাক নো-জং এবং সিগেট টেকনোলজির ডেভ মসলে।
তবে অতীতের দুর্বল পারফরম্যান্স, করপোরেট গভর্ন্যান্স সমস্যা কিংবা নিছক সৌভাগ্যের কারণে অনেকেই চূড়ান্ত বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন। স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় খনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বাড়লেও, সেটিকে সিইওদের কৃতিত্ব হিসেবে ধরা হয়নি। মেমোরি চিপ খাতে এআই বুমের সুফল পেলেও, সেখানে এসকে হাইনিক্সের গবেষণা ও উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ আলাদা করে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সবশেষে ২০২৫ সালের সেরা সিইও হিসেবে রাইনমেটালের আরমিন পাপারগারকেই বেছে নিয়েছে ‘দ্য ইকোনমিস্ট’। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশসহ ১৫৮ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাইনমেটাল বড় বড় চুক্তি জয় করেছে এবং নৌযান নির্মাণ খাতেও সম্প্রসারণে নেমেছে। ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্বে থাকা পাপারগার ইউক্রেন যুদ্ধের আগেই ইউরোপের প্রতিরক্ষা শিল্পের সম্ভাবনা অনুধাবন করেছিলেন। দূরদর্শিতা, সাহস ও দৃঢ় নেতৃত্বের ফলেই ২০২৫ সালের সেরা সিইওর স্বীকৃতি তাঁর হাতেই উঠেছে।

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
১৩ অক্টোবর ২০২৪
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
৪ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৭ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার একটি সম্ভাব্য ভিত্তি হিসেবে দেখছেন।
এর আগে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার একটি খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চললেও সেটিকে রাশিয়ার দাবির প্রতি অতিরিক্ত সহানুভূতিশীল মনে করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর প্রস্তাবটি সংশোধন করে ২০ দফায় নামিয়ে আনা হয়। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অধিকাংশ বিষয়ে পক্ষগুলোর অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে। তবে এখনো দুটি ইস্যুতে ঐকমত্য হয়নি—ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ এবং জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকানা ও পরিচালনা।
প্রস্তাবনার শুরুতেই ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব পুনর্ব্যক্ত করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিঃশর্ত আগ্রাসনবিরোধী চুক্তির প্রস্তাব রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তি বজায় রাখতে সীমান্তবর্তী সংঘর্ষরেখা নজরদারির জন্য মহাকাশভিত্তিক মানববিহীন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথাও এতে অন্তর্ভুক্ত আছে।
এই কাঠামো অনুযায়ী, ইউক্রেন তার সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান শক্তি—প্রায় ৮ লাখ সেনা—অক্ষুণ্ন রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ন্যাটোর অনুচ্ছেদ ৫-এর আদলে ইউক্রেনকে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। অপরদিকে ইউক্রেন ও ইউরোপের বিরুদ্ধে আগ্রাসন না করার নীতি নিজ দেশের আইনে এবং পার্লামেন্টের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিতে হবে রাশিয়াকে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে ইউক্রেনের জন্য রয়েছে বড় পরিসরের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল পুনর্গঠন, মানবিক সহায়তা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিক তহবিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার লক্ষ্য প্রায় ৮০০ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ। ইউক্রেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ পাবে এবং অস্থায়ীভাবে ইউরোপীয় বাজারে বিশেষ সুবিধা ভোগ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।
সবচেয়ে জটিল ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ভূখণ্ড প্রশ্ন। রাশিয়া দোনেৎস্ক অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনা প্রত্যাহার চায়, অন্যদিকে ইউক্রেন বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘর্ষ বন্ধের পক্ষে। যুক্তরাষ্ট্র এখানে একটি নিরস্ত্রীকৃত অঞ্চল ও মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব দিয়েছে।
যুদ্ধবন্দীর মতো মানবিক বিষয়ে ‘সবার বিনিময়ে সবার মুক্তি’, আটক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুদের ফেরত এবং যুদ্ধাহতদের সহায়তার কথা রয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করবে ইউক্রেন।
এই শান্তিচুক্তি আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হবে এবং এর বাস্তবায়ন তদারক করবে একটি ‘পিস কাউন্সিল’, যার সভাপতিত্ব করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সব পক্ষ একমত হলে সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে—এমনটাই বলা হয়েছে এই ২০ দফা প্রস্তাবে।

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
১৩ অক্টোবর ২০২৪
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

জার্মানির বর্তমান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ২০২৯ সাল পর্যন্ত তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেশটির নাগরিকদের একটি বড় অংশের মধ্যে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৪০ শতাংশ জার্মান নাগরিক মনে করেন, এই সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙে যেতে পারে।
২০২৫ সালের মে মাসে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রিডরিখ মার্জ। তবে বছর শেষ হতে না হতেই তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্ট অ্যাম সোনটাগ (Welt am Sonntag)।
জনমত জরিপ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ইউগভ’ জার্মান সরকারকে নিয়ে জরিপটি করে। ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ১ হাজার ১০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়।
ইউগভের তথ্যমতে, ৩৭ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন—রক্ষণশীল খ্রিষ্টান সোশ্যাল ইউনিয়ন (সিএসইউ) ও তার সহযোগী দল খ্রিষ্টান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) এবং মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসডিপি) সমন্বয়ে গঠিত এই জোট সরকারের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন (২০২৯) পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’।
অন্য দিকে ৫৩ শতাংশ নাগরিক বিশ্বাস করেন, মার্জ সরকার তাদের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারবে। অন্য ৯ শতাংশ কোনো নিশ্চিত মতামত দেয়নি।
জরিপে আরও দেখা গেছে, সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজ্যগুলোতে সরকারের প্রতি অনাস্থা সবচেয়ে বেশি (৪২ শতাংশ), যেখানে পশ্চিম জার্মানিতে এই হার ৩৬ শতাংশ।
জরিপ সংস্থা ‘ইনসা’র অন্য একটি জরিপে দেখা গেছে, চ্যান্সেলর হিসেবে ফ্রিডরিখ মার্জের কাজে সন্তুষ্ট মাত্র ২২ শতাংশ জার্মান। এই ফলাফল মূলত জোটের স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাপের মুখে নেতৃত্বের অভাব নিয়ে জনগণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জার্মানিতে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মার্জের সিডিইউ/সিএসইউ জোট ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়। অন্য দিকে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) রেকর্ড ২০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসে। আর ওলাফ শোলৎজের দল এসডিপি মাত্র ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পায়, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।
তবে এসপিডি বড় ধরনের হারের মুখ দেখলেও সিডিইউ/সিএসইউ জোটের সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করে, যার ফলে সাবেক চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের দল পুনরায় মন্ত্রিসভায় ফেরার সুযোগ পায়।

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
১৩ অক্টোবর ২০২৪
ইসরায়েল কেন সোমালিয়া থেকে স্বাধীন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিল—এই প্রশ্ন ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে। আফ্রিকার হর্ন অঞ্চলের স্বঘোষিত স্বাধীন রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েল শুধু একটি কূটনৈতিক সিদ্ধান্তই নেয়নি, বরং মধ্য
৪ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল ছিল বিশ্ব করপোরেট নেতৃত্বের জন্য এক কঠিন পরীক্ষার বছর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে শুরু হয় নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ ও অনিশ্চিত নীতিনির্ধারণ। একই সঙ্গে চীন ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তিগত আধিপত্যের লড়াই আরও তীব্র হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে একটি ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবকে সামনে রেখে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। জেলেনস্কির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এই খসড়া প্রস্তাবকে তিনি ভবিষ্যতে রাশিয়ার....
৭ ঘণ্টা আগে