ইশতিয়াক হাসান

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন মোট ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার। এদিকে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২. মোনাকো
ভ্যাটিকান সিটির মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। আয়তন মোটে ২ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি এর চেয়ে ছোট। তাই মোনাকো রীতিমতো ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো।
ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৩. নউরু
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নউরু পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি।
কেবল একটি মাত্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি তার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এর প্রবালপ্রাচীর ও পামগাছে ভরপুর সমুদ্রসৈকত আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
৪. ট্যুভ্যালু
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। এই দ্বীপগুলো মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গকিলোমিটারের মতো, যা একে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজারের বেশি।
১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। মজার ঘটনা, কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।
দেশটির অর্থনীতি মাছ ধরা, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। প্রবালপ্রাচীর, চমৎকার সব সৈকত ও সাগরের নীল জল এবং বন্ধুভাবাপন্ন অধিবাসী মিলিয়ে দেশটি পর্যটকদের খুব পছন্দের।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশের আয়তন মোটে ৬১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তির জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সান মেরিনো। চারপাশ থেকেই খুদে দেশটিকে ঘিরে আছে ইতালি।
মন্তে তিতানো পর্বতের ঢালে অবস্থিত দেশটির রাজধানীর নামও সান মেরিনো। বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো রাষ্ট্রগুলোর একটি সান মেরিনো। দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
৬. লিচটেনস্টেইন
রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশে ছোট-বড় পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে লিচটেনস্টেইনের। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গকিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে এই পাহাড়গুলো। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ষষ্ঠ ক্ষুদ্রতম দেশ এটি।
লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। আকারে ছোট হলে কী হবে, আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। এখানকার ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৭. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবালপ্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
৪২ হাজারের আশপাশে জনসংখ্যা। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৮. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। আয়তনে বিশ্বের অষ্টম ক্ষুদ্রতম দেশ এটি। ২৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গকিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপ ৯৩ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসাবে ৪৭ হাজারের আশপাশে। এদিক থেকেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশ। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৯. মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১ হাজার ২০০ প্রবালদ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার, যা একে আয়তনে বিশ্বের নবম ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে।
তবে ছোট্ট এই দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে বর্তমানে মালদ্বীপের জনসংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখের কিছু বেশি। দেশটি তার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সাগরের নীল জলরাশি এবং পানির ওপরের বিলাসবহুল সব বাংলোর জন্য পর্যটকদের খুব প্রিয় এক গন্তব্য।
১০. মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত মাল্টার অবস্থান খুদে দেশের তালিকায় বিশ্বে দশম। ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুসারে ৫ লাখ ৪০ হাজারের কাছাকাছি। সে হিসাবে আয়তনে দেশটি ঢাকা শহরের কিছুটা বড়ই হবে। তার পরও কাছাকাছি আয়তনের হওয়ায় একেও রাখা হলো তালিকায়।
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, উইকিপিডিয়া
আরও খবর পড়ুন:

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন মোট ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার। এদিকে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২. মোনাকো
ভ্যাটিকান সিটির মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। আয়তন মোটে ২ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি এর চেয়ে ছোট। তাই মোনাকো রীতিমতো ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো।
ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৩. নউরু
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নউরু পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি।
কেবল একটি মাত্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি তার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এর প্রবালপ্রাচীর ও পামগাছে ভরপুর সমুদ্রসৈকত আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
৪. ট্যুভ্যালু
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। এই দ্বীপগুলো মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গকিলোমিটারের মতো, যা একে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজারের বেশি।
১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। মজার ঘটনা, কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।
দেশটির অর্থনীতি মাছ ধরা, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। প্রবালপ্রাচীর, চমৎকার সব সৈকত ও সাগরের নীল জল এবং বন্ধুভাবাপন্ন অধিবাসী মিলিয়ে দেশটি পর্যটকদের খুব পছন্দের।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশের আয়তন মোটে ৬১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তির জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সান মেরিনো। চারপাশ থেকেই খুদে দেশটিকে ঘিরে আছে ইতালি।
মন্তে তিতানো পর্বতের ঢালে অবস্থিত দেশটির রাজধানীর নামও সান মেরিনো। বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো রাষ্ট্রগুলোর একটি সান মেরিনো। দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
৬. লিচটেনস্টেইন
রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশে ছোট-বড় পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে লিচটেনস্টেইনের। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গকিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে এই পাহাড়গুলো। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ষষ্ঠ ক্ষুদ্রতম দেশ এটি।
লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। আকারে ছোট হলে কী হবে, আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। এখানকার ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৭. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবালপ্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
৪২ হাজারের আশপাশে জনসংখ্যা। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৮. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। আয়তনে বিশ্বের অষ্টম ক্ষুদ্রতম দেশ এটি। ২৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গকিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপ ৯৩ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসাবে ৪৭ হাজারের আশপাশে। এদিক থেকেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশ। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৯. মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১ হাজার ২০০ প্রবালদ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার, যা একে আয়তনে বিশ্বের নবম ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে।
তবে ছোট্ট এই দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে বর্তমানে মালদ্বীপের জনসংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখের কিছু বেশি। দেশটি তার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সাগরের নীল জলরাশি এবং পানির ওপরের বিলাসবহুল সব বাংলোর জন্য পর্যটকদের খুব প্রিয় এক গন্তব্য।
১০. মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত মাল্টার অবস্থান খুদে দেশের তালিকায় বিশ্বে দশম। ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুসারে ৫ লাখ ৪০ হাজারের কাছাকাছি। সে হিসাবে আয়তনে দেশটি ঢাকা শহরের কিছুটা বড়ই হবে। তার পরও কাছাকাছি আয়তনের হওয়ায় একেও রাখা হলো তালিকায়।
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, উইকিপিডিয়া
আরও খবর পড়ুন:
ইশতিয়াক হাসান

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন মোট ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার। এদিকে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২. মোনাকো
ভ্যাটিকান সিটির মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। আয়তন মোটে ২ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি এর চেয়ে ছোট। তাই মোনাকো রীতিমতো ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো।
ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৩. নউরু
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নউরু পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি।
কেবল একটি মাত্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি তার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এর প্রবালপ্রাচীর ও পামগাছে ভরপুর সমুদ্রসৈকত আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
৪. ট্যুভ্যালু
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। এই দ্বীপগুলো মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গকিলোমিটারের মতো, যা একে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজারের বেশি।
১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। মজার ঘটনা, কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।
দেশটির অর্থনীতি মাছ ধরা, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। প্রবালপ্রাচীর, চমৎকার সব সৈকত ও সাগরের নীল জল এবং বন্ধুভাবাপন্ন অধিবাসী মিলিয়ে দেশটি পর্যটকদের খুব পছন্দের।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশের আয়তন মোটে ৬১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তির জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সান মেরিনো। চারপাশ থেকেই খুদে দেশটিকে ঘিরে আছে ইতালি।
মন্তে তিতানো পর্বতের ঢালে অবস্থিত দেশটির রাজধানীর নামও সান মেরিনো। বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো রাষ্ট্রগুলোর একটি সান মেরিনো। দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
৬. লিচটেনস্টেইন
রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশে ছোট-বড় পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে লিচটেনস্টেইনের। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গকিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে এই পাহাড়গুলো। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ষষ্ঠ ক্ষুদ্রতম দেশ এটি।
লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। আকারে ছোট হলে কী হবে, আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। এখানকার ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৭. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবালপ্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
৪২ হাজারের আশপাশে জনসংখ্যা। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৮. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। আয়তনে বিশ্বের অষ্টম ক্ষুদ্রতম দেশ এটি। ২৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গকিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপ ৯৩ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসাবে ৪৭ হাজারের আশপাশে। এদিক থেকেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশ। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৯. মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১ হাজার ২০০ প্রবালদ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার, যা একে আয়তনে বিশ্বের নবম ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে।
তবে ছোট্ট এই দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে বর্তমানে মালদ্বীপের জনসংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখের কিছু বেশি। দেশটি তার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সাগরের নীল জলরাশি এবং পানির ওপরের বিলাসবহুল সব বাংলোর জন্য পর্যটকদের খুব প্রিয় এক গন্তব্য।
১০. মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত মাল্টার অবস্থান খুদে দেশের তালিকায় বিশ্বে দশম। ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুসারে ৫ লাখ ৪০ হাজারের কাছাকাছি। সে হিসাবে আয়তনে দেশটি ঢাকা শহরের কিছুটা বড়ই হবে। তার পরও কাছাকাছি আয়তনের হওয়ায় একেও রাখা হলো তালিকায়।
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, উইকিপিডিয়া
আরও খবর পড়ুন:

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে, যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
জনসংখ্যা ও আয়তন দুই দিক থেকেই ভ্যাটিকান সিটি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট স্বীকৃত রাষ্ট্র। ইতালির রোমের মধ্যে অবস্থিত দেশটির আয়তন মোট ০.৪৪ বর্গকিলোমিটার। এদিকে ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে, ভ্যাটিকান সিটির জনসংখ্যা ৫০০ ছুঁই ছুঁই।
১৯২৯ সালে যখন ভ্যাটিকান সিটি প্রতিষ্ঠিত হয়, একই সময়ে ইতালিতে রোমান ক্যাথলিক ধর্মকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। পোপের বাসস্থান এবং পবিত্র তীর্থস্থান হওয়ার পাশাপাশি সিস্টিন চ্যাপেল, সেন্ট পিটার্স স্কয়ার ও সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা এখানকার দ্রষ্টব্য স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
২. মোনাকো
ভ্যাটিকান সিটির মতো মোনাকোর অবস্থানও ইউরোপ মহাদেশে। ৩৭ হাজারের আশপাশে (আনুমানিক ৩৬ হাজার ৩১৩) এর জনসংখ্যা। আয়তন মোটে ২ বর্গকিলোমিটার। স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে কেবল ভ্যাটিকান সিটি এর চেয়ে ছোট। তাই মোনাকো রীতিমতো ঘনবসতিপূর্ণ এক দেশ।
ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত দেশটিতে আছে দুটি বন্দর। আর তিন দিক থেকেই একে ঘিরে আছে ফ্রান্স। ইতালির সীমানাও বেশি দূরে নয়, মাত্র ১০ মাইল। পর্যটকদেরও প্রিয় গন্তব্য এই মোনাকো।
ক্যাসিনো ও ফর্মুলা ওয়ান রেসের জন্য বিখ্যাত মোনাকো ধনকুবেরদের খুব প্রিয় জায়গা।
৩. নউরু
বিশ্বের তৃতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ নউরু পড়েছে ওশেনিয়ায়। মোটে ২১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটি জাপান থেকে স্বাধীনতা পায় ১৯৬৮ সালে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বলছে, নউরুর জনসংখ্যা ১২ হাজারের কাছাকাছি।
কেবল একটি মাত্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত দেশটি তার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় জলবায়ু ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত। এর প্রবালপ্রাচীর ও পামগাছে ভরপুর সমুদ্রসৈকত আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
৪. ট্যুভ্যালু
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ৯টি প্রবাল অ্যাটোল নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশটি। এই দ্বীপগুলো মিলিয়ে দেশটির আয়তন ২৬ বর্গকিলোমিটারের মতো, যা একে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য অনুসারে ট্যুভ্যালুর জনসংখ্যা ১১ হাজারের বেশি।
১৯৭৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ওশেনিয়ার দেশটি। মজার ঘটনা, কমনওয়েলথভুক্ত ছোট্ট এই দেশে জন্মের পর থেকেই কোনো সামরিক বাহিনী নেই। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সাগরে টহলের জন্য মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট আছে।
দেশটির অর্থনীতি মাছ ধরা, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে। প্রবালপ্রাচীর, চমৎকার সব সৈকত ও সাগরের নীল জল এবং বন্ধুভাবাপন্ন অধিবাসী মিলিয়ে দেশটি পর্যটকদের খুব পছন্দের।
৫. সান মেরিনো
ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত ছোট্ট এই দেশের আয়তন মোটে ৬১ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। মধ্যযুগের বিভিন্ন স্থাপত্যকীর্তির জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করে সান মেরিনো। চারপাশ থেকেই খুদে দেশটিকে ঘিরে আছে ইতালি।
মন্তে তিতানো পর্বতের ঢালে অবস্থিত দেশটির রাজধানীর নামও সান মেরিনো। বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো রাষ্ট্রগুলোর একটি সান মেরিনো। দেশটিতে জনসংখ্যার চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
৬. লিচটেনস্টেইন
রাটিকন পর্বতমালার পাদদেশে ছোট-বড় পাহাড় এবং ২ হাজার ৫৯৯ মিটার উঁচু চূড়া গ্রসপিটজের জন্য আলাদা নাম আছে লিচটেনস্টেইনের। দেশটির মোট আয়তন ১৬০ বর্গকিলোমিটারের তিন ভাগের দুই ভাগ দখল করে আছে এই পাহাড়গুলো। আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ষষ্ঠ ক্ষুদ্রতম দেশ এটি।
লিচটেনস্টাইনের জনসংখ্যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি। আকারে ছোট হলে কী হবে, আল্পস পর্বতমালার কিছুটা অংশ দেশটির সীমানায় পড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য আলাদা নাম আছে এর। এখানকার ভাদুজ দুর্গও টানে পর্যটকদের।
৭. মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
ওশেনিয়ায় অবস্থিত মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ ৫টি তুলনামূলক বড় দ্বীপ ও ২৯টি অ্যাটোল (প্রবালপ্রাচীর বেষ্টিত উপহ্রদ) নিয়ে গঠিত। দেশটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার ২২৯টি দ্বীপ আছে। এগুলোর বেশির ভাগ আয়তনে যে একেবারে ছোট তার প্রমাণ, সবগুলো দ্বীপ মিলিয়ে আয়তন ১৮১ বর্গ কিলোমিটার।
৪২ হাজারের আশপাশে জনসংখ্যা। পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য পরিচিত বিকিনি অ্যাটল কিন্তু এই দ্বীপপুঞ্জের অংশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার আগে জাপান, জার্মানি ও স্পেনের অধীনে কয়েক শ বছর কাটায় মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ।
৮. সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত রাষ্ট্র সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। আয়তনে বিশ্বের অষ্টম ক্ষুদ্রতম দেশ এটি। ২৬১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মধ্যে সেন্ট কিটস দ্বীপের আয়তন ১৬৮ বর্গকিলোমিটার এবং নেভিস দ্বীপ ৯৩ বর্গকিলোমিটার।
জনসংখ্যা জাতিসংঘের হিসাবে ৪৭ হাজারের আশপাশে। এদিক থেকেও এটি পৃথিবীর খুদে রাষ্ট্রগুলোর একটি।
যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৮৩ সালে। অবশ্য আলাদা দেশ গঠনের চেষ্টায় নেভিসে ১৯৯৮ সালে একটি গণভোট হয়। তবে আলাদা হওয়ার পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন না মেলায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস নামটিরও পরিবর্তন আসেনি।
পর্যটকদের কাছে বেশ পছন্দের গন্তব্য ছোট্ট এই দেশ। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ব্রিমস্টোন হিল ফোর্টরেস ন্যাশনাল পার্কের বড় অবদান আছে এ ক্ষেত্রে।
৯. মালদ্বীপ
পর্যটকদের খুব পছন্দের গন্তব্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। ভারত মহাসাগরের প্রায় ১ হাজার ২০০ প্রবালদ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা দেশটির আয়তন মোটে ২৯৮ বর্গকিলোমিটার, যা একে আয়তনে বিশ্বের নবম ক্ষুদ্রতম দেশে পরিণত করেছে।
তবে ছোট্ট এই দেশ ঘনবসতিপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিওর দেওয়া তথ্য বলছে বর্তমানে মালদ্বীপের জনসংখ্যা সোয়া পাঁচ লাখের কিছু বেশি। দেশটি তার দৃষ্টিনন্দন সব সৈকত, সাগরের নীল জলরাশি এবং পানির ওপরের বিলাসবহুল সব বাংলোর জন্য পর্যটকদের খুব প্রিয় এক গন্তব্য।
১০. মাল্টা
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত মাল্টার অবস্থান খুদে দেশের তালিকায় বিশ্বে দশম। ৩১৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটির জনসংখ্যা ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিও অনুসারে ৫ লাখ ৪০ হাজারের কাছাকাছি। সে হিসাবে আয়তনে দেশটি ঢাকা শহরের কিছুটা বড়ই হবে। তার পরও কাছাকাছি আয়তনের হওয়ায় একেও রাখা হলো তালিকায়।
ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থান এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। আর দেশটি অনেকাংশেই পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে দেশটিতে কোনো নদী বা হ্রদ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির উৎস ও বৃষ্টির পানি সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাদু পানির চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হয়।
সূত্র: বিবিসি সায়েন্স ফোকাস ম্যাগাজিন, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, উইকিপিডিয়া
আরও খবর পড়ুন:

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়। ল্যান্ডলাইন ফোনে ১ হাজার ৫৫ জন আমেরিকানের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাওয়া হয়—দূর ভবিষ্যৎ ‘২০২৫ সাল’ কেমন হবে বলে তাঁরা মনে করেন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নিয়ে সে সময় মার্কিনরা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছিল, সেগুলো সংরক্ষিত আছে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রোপার সেন্টারের জরিপ আর্কাইভে। ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসে এখন দেখা যাচ্ছে—সেই সব অনুমানের কোনোটা মিলেছে, আর কোনোটা মেলেনি।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সেই সময়ের অনেক পূর্বাভাসই ছিল বিস্ময়করভাবে সঠিক। অধিকাংশ আমেরিকান তখনই ধারণা করেছিলেন, আগামী ২৭ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, সমকামী বিবাহ বৈধ ও স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং একটি ‘মারাত্মক নতুন রোগ’ বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবে। বাস্তবে বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট হওয়া, সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি এবং করোনা মহামারি সেই অনুমানগুলোকে সত্য প্রমাণ করেছে।
একইভাবে অনেকেই সেই সময় সঠিকভাবে ধারণা করেছিলেন, সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশ ভ্রমণ খুব সাধারণ বিষয় হয়ে উঠবে না এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সঙ্গে মানুষের সরাসরি যোগাযোগ ঘটবে না।
তবে কিছু ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবতার সঙ্গে মেলেনি। জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র একজন নারী প্রেসিডেন্ট পাবে—যা এখনো ঘটেনি। অর্ধেকের বেশি মানুষ আশা করেছিলেন ক্যানসারের নিরাময় আবিষ্কৃত হবে এবং ৬১ শতাংশ মনে করেছিলেন মানুষ নিয়মিতভাবে ১০০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচবে। বাস্তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে অগ্রগতি হলেও এসব প্রত্যাশা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
জরিপে দেশের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। সেখানে ফুটে উঠেছিল প্রবল হতাশা। ৭০ শতাংশ মনে করেছিলেন ধনীদের জীবনমান উন্নত হবে, কিন্তু মধ্যবিত্তদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিভক্ত মতামত ছিল। দরিদ্রদের জীবন আরও কঠিন হবে—এমনটাই ভাবতেন বেশির ভাগ। প্রায় ৮০ শতাংশ ধারণা করেছিলেন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা কমবে, আর ৫৭ শতাংশ মনে করেছিলেন ব্যক্তিগত স্বাধীনতাও হ্রাস পাবে। অপরাধ বৃদ্ধি, পরিবেশের অবনতি এবং নৈতিক মূল্যবোধের পতনের আশঙ্কাও ছিল প্রবল। ৭১ শতাংশ মত দিয়েছিলেন, সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে বড় করা আরও কঠিন হবে।
তবে কিছু আশাবাদী দিকও ছিল। অধিকাংশ আমেরিকান বিশ্বাস করতেন, জাতিগত সম্পর্কের উন্নতি হবে এবং চিকিৎসাসেবা আরও সহজলভ্য হবে—যদিও তা হবে ব্যয়বহুল।
গ্যালাপ আজও জরিপ চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও এখন ল্যান্ডলাইনের ওপর নির্ভরতা কম। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে জনমতও নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে। ১৯৯৮ সালে যেখানে প্রায় ৬০ শতাংশ আমেরিকান দেশের গতিপথ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন, বর্তমানে সেই হার নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
১৩ অক্টোবর ২০২৪রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই হামলার কারণে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থানের ‘পরিবর্তন বা পুনর্বিবেচনা’ করা হতে পারে। তবে মস্কো এখনই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সের্গেই লাভরভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, গতকাল রোববার রাত থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সবকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।
লাভরভ হুমকি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এমন হঠকারী কর্মকাণ্ডের জবাব দেওয়া হবে। রুশ সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে পাল্টা হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে ফেলেছে। তবে হামলার সময় প্রেসিডেন্ট পুতিন নোভগোরোদের ওই বাসভবনে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ইউরোপে ফেরার পথে জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া আবারও ভয়ংকর সব মিথ্যা বিবৃতি দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক অগ্রগতির সাফল্য নষ্ট করতেই এমন নাটক সাজানো হচ্ছে। তারা মূলত কিয়েভের সরকারি ভবনগুলোতে বড় ধরনের হামলার ক্ষেত্র তৈরি করার জন্য এই অজুহাত দিচ্ছে।’
জেলেনস্কি জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রায় ৯০ শতাংশ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, যা রাশিয়াকে বিচলিত করে তুলেছে।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, আজ প্রেসিডেন্ট পুতিন টেলিফোনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ড্রোন হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। পুতিন ট্রাম্পকে বলেছেন, এই হামলার পর রাশিয়া তাদের শান্তি আলোচনার শর্তগুলো পুনরায় খতিয়ে দেখবে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ক্রেমলিনের সহকারী ইউরি উশাকভের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই খবর শুনে ট্রাম্প ‘বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ’ হয়েছেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে এই ফোনালাপকে কেবল ‘ইতিবাচক’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
১৩ অক্টোবর ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৫ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এখন পর্যন্ত তাইওয়ানকে লক্ষ্য করে চীনের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক সামরিক প্রদর্শন।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে—মহড়ায় স্থল ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর সিমুলেটেড হামলা, পাশাপাশি তাইওয়ানের প্রধান বন্দরগুলো অবরোধ করার অনুশীলন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে বা চাপের মুখে ফেলতে এই ধরনের অবরোধ ব্যবহৃত হতে পারে বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা। সরাসরি গোলাবর্ষণের মহড়া মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে এবং আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার তাইওয়ানের আরও কাছাকাছি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করা হয়েছে।
এই মহড়ার ফলে বেসামরিক বিমান ও নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন তাদের ফ্লাইটের রুট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে এবং তাইওয়ানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প আকাশপথ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে। চীনা সামরিক কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই মহড়া ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী শক্তি’ ও ‘বিদেশি হস্তক্ষেপের’ বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কবার্তা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাইওয়ানের কাছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ। এতে রয়েছে ৮২টি হিমার্স রকেট লঞ্চার, ৪২০টি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র, স্বচালিত হাউইটজার, উন্নত ড্রোন ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-আর্মার অস্ত্র। বেইজিং এই অস্ত্রচুক্তিকে তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এতে তাইওয়ান একটি ‘বারুদের স্তূপে’ পরিণত হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মহড়া চলাকালে তাদের দ্বীপভূমির চারপাশে ৮৯টি চীনা সামরিক বিমান, ১৪টি নৌজাহাজ ও ১৪টি কোস্ট গার্ড জাহাজ শনাক্ত করা হয়েছে। কিছু চীনা জাহাজ তাইওয়ানের উপকূলের খুব কাছাকাছি অবস্থানে এসে চোখ রাঙাচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে তাইওয়ান।
চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, মহড়ার মূল লক্ষ্য তাইওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর—উত্তরের কিলুং ও দক্ষিণের কাওশিয়ুং বন্ধ করে দেওয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড দাবি করলেও তাইওয়ান বলছে, দ্বীপটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার শুধু সেখানকার জনগণেরই আছে।

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
১৩ অক্টোবর ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি বর্তমানে কারাগারে। তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তাঁরা দুজনই সাজা খাটছেন। এর মধ্যে ২০ ডিসেম্বর তোশাখানা দুর্নীতির নতুন মামলায় তাঁদের আরও ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) পৃথক দুটি আপিল করেছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি।
আপিল আবেদনে ইমরান খান ও বুশরা বিবির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, এই সাজা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ইমরান খানকে জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই এ ‘পরিকল্পিত’ রায় দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীরা ইমরান খান ও বুশরা বিবির পক্ষে কিছু যুক্তি উত্থাপন করেছেন।
আইনজীবীদের দাবি, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) কোনো এফআইআর ছাড়াই ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এর মাত্র দুই দিনের মাথায় তড়িঘড়ি করে চালানো তদন্তের ভিত্তিতে এই মামলা হয়, যা স্বচ্ছ বিচারের পরিপন্থী।
আপিল আবেদনে বলা হয়েছে, তোশাখানাসংক্রান্ত এটি চতুর্থ মামলা। একই বিষয়ে বারবার মামলা করা আইনের লঙ্ঘন এবং এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে, যাতে ইমরান খানকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রাখা যায়।
আইনজীবীদের দাবি, ২০১৮ সালের তোশাখানা নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্যের ৫০ শতাংশ পরিশোধ করেই উপহারগুলো রাখা হয়েছিল। এখানে কোনো ধরনের বিশ্বাসভঙ্গ বা ‘ক্রিমিনাল ব্রিচ অব ট্রাস্ট’ ঘটেনি।
আপিলে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, পাকিস্তান পেনাল কোড অনুযায়ী ইমরান খান ও বুশরা বিবি এই উপহার নেওয়ার সময় প্রচলিত সংজ্ঞায় ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’ ছিলেন না। বিশেষ করে, বুশরা বিবি একজন গৃহিণী হিসেবে কোনো সরকারি পদের দায়িত্বে ছিলেন না।
প্রসঙ্গত, তোশাখানা মামলাটি মূলত ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি আরব সফরকালে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দেওয়া একটি দামি বুলগারি জুয়েলারি সেট নিয়ে। প্রায় ৮ কোটি রুপি মূল্যের এই নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুলের সেটটি ইমরান দম্পতি মাত্র ২৯ লাখ রুপি পরিশোধ করে নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এই মামলায় পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এআইএ) বিশেষ আদালতের বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ তাঁদের প্রত্যেককে প্রথমে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এরপর দুর্নীতিবিরোধী আইনের আওতায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইমরান খান। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা করা হয়। তিনি ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী আছেন। বর্তমানে ইমরান খান ১৯ কোটি পাউন্ডের দুর্নীতির মামলায় ১৪ বছরের সাজা খাটছেন। বুশরা বিবিও একই মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত।
ইমরানের দল পিটিআইয়ের দাবি, তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া ‘ক্যাঙারু কোর্টে’র মতো রুদ্ধদ্বার কক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

আমাদের এই ঢাকা শহর বিপুল জনসংখ্যার ভারে রীতিমতো বিপর্যস্ত। তবে আয়তনে যে খুব বিশাল তা নয়। দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে ৩০৫ বর্গকিলোমিটারের কিছু বেশি ঢাকার আয়তন। শুনে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেগুলো আকারে ঢাকা শহর থেকেও ছোট। এই দেশগুলোর সঙ্গেই পরিচিত হব আজ।
১৩ অক্টোবর ২০২৪
১৯৯৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা ছিল একেবারেই ভিন্ন। সেই বছর প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন অভিশংসন প্রক্রিয়ার মুখে পড়েছিলেন, অস্কারে রাজত্ব করেছিল টাইটানিক, আর অধিকাংশ আমেরিকানের ঘরে ছিল ল্যান্ডলাইন ফোন। ঠিক সেই সময়েই গ্যালাপ ও ইউএসএ টুডে এক ব্যতিক্রমী জরিপ চালায়।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন—এমন অভিযোগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই দাবিকে পুরোপুরি ‘মিথ্যা ও সাজানো’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে
তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। সোমবার শুরু হওয়া এই মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও সরাসরি গোলাবর্ষণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামের এই অভিযানে তাইওয়ানকে চারদিক থেকে ঘিরে সাতটি সামুদ্রিক অঞ্চলে সমন্বিত স্থল, নৌ ও আকাশ মহড়া চালানো হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগে