ডা. কাকলী হালদার

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি
অ্যানথ্রাক্স পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশের মাটিতেই পাওয়া যায়। সুপ্ত দশায় এর স্পোর মাটির অভ্যন্তরে দীর্ঘকাল টিকে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে রোগটি এখন বিরল বা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে এটি এখনো এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু আফ্রিকান দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
ত্বকের মাধ্যমে: ত্বকে কোনো ক্ষত বা কাটা স্থান দিয়ে স্পোর প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়। এটিই মানবদেহে অ্যানথ্রাক্সের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
খাদ্যের মাধ্যমে: সংক্রমিত বা অসুস্থ পশুর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে বা কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে।
নিশ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্সের স্পোর নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। জীবাণুযুদ্ধের ক্ষেত্রে এই পথই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্পোর শরীরের কোথায় প্রবেশ করছে তার ওপর।
রোগের প্রকারভেদ ও প্রধান লক্ষণ
ত্বকের অ্যানথ্রাক্সে প্রথমে ছোট চুলকানিযুক্ত ফোসকা বা প্যাপুল হয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেটি ফেটে গিয়ে একটি কালো রঙের, ব্যথাহীন ক্ষত বা এসচার সৃষ্টি করে, যা কয়লার মতো দেখায়। আশপাশের চামড়া ফুলে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং গলা অথবা খাদ্যনালিতে ঘা হয়। তবে এটি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও শকে পরিণত হয়, যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ ও রোগীর ইতিহাস থেকে চিকিৎসকেরা অ্যানথ্রাক্স সন্দেহ করেন। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ত্বকের কালো ক্ষত দেখে সন্দেহ করা হয়।
ল্যাব পরীক্ষায় ত্বকের ক্ষত বা রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গ্রাম স্টেইন ও ব্যাকটেরিয়ার কালচার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
চিকিৎসা
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্সের জন্য সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক হওয়ার কারণে এর জন্য একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেখানে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একত্রে দেখা হয়।
পশুর টিকাদান: আক্রান্ত এলাকায় গবাদিপশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
নিরাপদ পশু জবাই: অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া বা জবাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মৃত বা অসুস্থ পশুর দেহ উন্মুক্ত না রেখে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা: কসাই বা পশু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতযুক্ত ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াতে রাবার গ্লাভস, মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
মানুষের টিকা: সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা ল্যাব কর্মীদের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি রুটিন টিকা নয়।
সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসাধারণের আতঙ্ক দূর করে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব।
প্রতিরোধ জরুরি
» অ্যানথ্রাক্স প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। তাই স্থানীয় ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের সব তথ্য উন্মুক্ত থাকা জরুরি। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
» পশু পালন এবং মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
» অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাচীন রোগ হলেও এটি এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি
অ্যানথ্রাক্স পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশের মাটিতেই পাওয়া যায়। সুপ্ত দশায় এর স্পোর মাটির অভ্যন্তরে দীর্ঘকাল টিকে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে রোগটি এখন বিরল বা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে এটি এখনো এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু আফ্রিকান দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
ত্বকের মাধ্যমে: ত্বকে কোনো ক্ষত বা কাটা স্থান দিয়ে স্পোর প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়। এটিই মানবদেহে অ্যানথ্রাক্সের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
খাদ্যের মাধ্যমে: সংক্রমিত বা অসুস্থ পশুর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে বা কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে।
নিশ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্সের স্পোর নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। জীবাণুযুদ্ধের ক্ষেত্রে এই পথই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্পোর শরীরের কোথায় প্রবেশ করছে তার ওপর।
রোগের প্রকারভেদ ও প্রধান লক্ষণ
ত্বকের অ্যানথ্রাক্সে প্রথমে ছোট চুলকানিযুক্ত ফোসকা বা প্যাপুল হয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেটি ফেটে গিয়ে একটি কালো রঙের, ব্যথাহীন ক্ষত বা এসচার সৃষ্টি করে, যা কয়লার মতো দেখায়। আশপাশের চামড়া ফুলে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং গলা অথবা খাদ্যনালিতে ঘা হয়। তবে এটি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও শকে পরিণত হয়, যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ ও রোগীর ইতিহাস থেকে চিকিৎসকেরা অ্যানথ্রাক্স সন্দেহ করেন। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ত্বকের কালো ক্ষত দেখে সন্দেহ করা হয়।
ল্যাব পরীক্ষায় ত্বকের ক্ষত বা রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গ্রাম স্টেইন ও ব্যাকটেরিয়ার কালচার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
চিকিৎসা
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্সের জন্য সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক হওয়ার কারণে এর জন্য একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেখানে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একত্রে দেখা হয়।
পশুর টিকাদান: আক্রান্ত এলাকায় গবাদিপশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
নিরাপদ পশু জবাই: অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া বা জবাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মৃত বা অসুস্থ পশুর দেহ উন্মুক্ত না রেখে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা: কসাই বা পশু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতযুক্ত ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াতে রাবার গ্লাভস, মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
মানুষের টিকা: সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা ল্যাব কর্মীদের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি রুটিন টিকা নয়।
সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসাধারণের আতঙ্ক দূর করে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব।
প্রতিরোধ জরুরি
» অ্যানথ্রাক্স প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। তাই স্থানীয় ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের সব তথ্য উন্মুক্ত থাকা জরুরি। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
» পশু পালন এবং মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
» অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাচীন রোগ হলেও এটি এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
ডা. কাকলী হালদার

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি
অ্যানথ্রাক্স পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশের মাটিতেই পাওয়া যায়। সুপ্ত দশায় এর স্পোর মাটির অভ্যন্তরে দীর্ঘকাল টিকে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে রোগটি এখন বিরল বা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে এটি এখনো এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু আফ্রিকান দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
ত্বকের মাধ্যমে: ত্বকে কোনো ক্ষত বা কাটা স্থান দিয়ে স্পোর প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়। এটিই মানবদেহে অ্যানথ্রাক্সের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
খাদ্যের মাধ্যমে: সংক্রমিত বা অসুস্থ পশুর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে বা কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে।
নিশ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্সের স্পোর নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। জীবাণুযুদ্ধের ক্ষেত্রে এই পথই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্পোর শরীরের কোথায় প্রবেশ করছে তার ওপর।
রোগের প্রকারভেদ ও প্রধান লক্ষণ
ত্বকের অ্যানথ্রাক্সে প্রথমে ছোট চুলকানিযুক্ত ফোসকা বা প্যাপুল হয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেটি ফেটে গিয়ে একটি কালো রঙের, ব্যথাহীন ক্ষত বা এসচার সৃষ্টি করে, যা কয়লার মতো দেখায়। আশপাশের চামড়া ফুলে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং গলা অথবা খাদ্যনালিতে ঘা হয়। তবে এটি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও শকে পরিণত হয়, যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ ও রোগীর ইতিহাস থেকে চিকিৎসকেরা অ্যানথ্রাক্স সন্দেহ করেন। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ত্বকের কালো ক্ষত দেখে সন্দেহ করা হয়।
ল্যাব পরীক্ষায় ত্বকের ক্ষত বা রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গ্রাম স্টেইন ও ব্যাকটেরিয়ার কালচার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
চিকিৎসা
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্সের জন্য সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক হওয়ার কারণে এর জন্য একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেখানে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একত্রে দেখা হয়।
পশুর টিকাদান: আক্রান্ত এলাকায় গবাদিপশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
নিরাপদ পশু জবাই: অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া বা জবাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মৃত বা অসুস্থ পশুর দেহ উন্মুক্ত না রেখে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা: কসাই বা পশু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতযুক্ত ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াতে রাবার গ্লাভস, মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
মানুষের টিকা: সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা ল্যাব কর্মীদের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি রুটিন টিকা নয়।
সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসাধারণের আতঙ্ক দূর করে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব।
প্রতিরোধ জরুরি
» অ্যানথ্রাক্স প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। তাই স্থানীয় ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের সব তথ্য উন্মুক্ত থাকা জরুরি। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
» পশু পালন এবং মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
» অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাচীন রোগ হলেও এটি এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
বৈশ্বিক ও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি
অ্যানথ্রাক্স পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশের মাটিতেই পাওয়া যায়। সুপ্ত দশায় এর স্পোর মাটির অভ্যন্তরে দীর্ঘকাল টিকে থাকে। তবে উন্নত দেশগুলোতে ব্যাপক টিকাদান কর্মসূচির কারণে রোগটি এখন বিরল বা বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায়। অন্যদিকে আফ্রিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে এটি এখনো এন্ডেমিক বা আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কিছু আফ্রিকান দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে।
রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স সাধারণত এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে ছড়ায় না। এটি স্পোরের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়।
ত্বকের মাধ্যমে: ত্বকে কোনো ক্ষত বা কাটা স্থান দিয়ে স্পোর প্রবেশ করলে সংক্রমণ হয়। এটিই মানবদেহে অ্যানথ্রাক্সের সবচেয়ে সাধারণ রূপ।
খাদ্যের মাধ্যমে: সংক্রমিত বা অসুস্থ পশুর মাংস ভালোভাবে রান্না না করে খেলে বা কাঁচা মাংসের সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ হতে পারে।
নিশ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্সের স্পোর নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। জীবাণুযুদ্ধের ক্ষেত্রে এই পথই সবচেয়ে বিপজ্জনক।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
এ রোগের লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্পোর শরীরের কোথায় প্রবেশ করছে তার ওপর।
রোগের প্রকারভেদ ও প্রধান লক্ষণ
ত্বকের অ্যানথ্রাক্সে প্রথমে ছোট চুলকানিযুক্ত ফোসকা বা প্যাপুল হয়। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেটি ফেটে গিয়ে একটি কালো রঙের, ব্যথাহীন ক্ষত বা এসচার সৃষ্টি করে, যা কয়লার মতো দেখায়। আশপাশের চামড়া ফুলে যেতে পারে।
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, রক্ত জমাট বাঁধা এবং গলা অথবা খাদ্যনালিতে ঘা হয়। তবে এটি অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে ফ্লুর মতো সাধারণ লক্ষণ দিয়ে শুরু হয়। জ্বর, ক্লান্তি, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি এর প্রধান লক্ষণ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে তা শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও শকে পরিণত হয়, যা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

রোগনির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগের লক্ষণ ও রোগীর ইতিহাস থেকে চিকিৎসকেরা অ্যানথ্রাক্স সন্দেহ করেন। তা ছাড়া ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ত্বকের কালো ক্ষত দেখে সন্দেহ করা হয়।
ল্যাব পরীক্ষায় ত্বকের ক্ষত বা রক্ত থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গ্রাম স্টেইন ও ব্যাকটেরিয়ার কালচার পরীক্ষা করা হয়। বর্তমানে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু দ্রুত শনাক্ত করার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি।
চিকিৎসা
অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রোগ হওয়ায় এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্সের জন্য সাধারণত ডক্সিসাইক্লিন বা সিপ্রোফ্লক্সাসিনের মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়।
নিশ্বাসের অ্যানথ্রাক্স মারাত্মক হওয়ার কারণে এর জন্য একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং অন্যান্য সহায়ক চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য ‘ওয়ান হেলথ’ পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেখানে মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশের স্বাস্থ্যকে একত্রে দেখা হয়।
পশুর টিকাদান: আক্রান্ত এলাকায় গবাদিপশুকে নিয়মিত অ্যানথ্রাক্স টিকা দেওয়া সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
নিরাপদ পশু জবাই: অসুস্থ পশুর মাংস খাওয়া বা জবাই করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মৃত বা অসুস্থ পশুর দেহ উন্মুক্ত না রেখে মাটির গভীরে পুঁতে ফেলতে হবে।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা: কসাই বা পশু নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের ক্ষতযুক্ত ত্বকের মাধ্যমে সংক্রমণ এড়াতে রাবার গ্লাভস, মাস্ক ও অন্যান্য প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ব্যবহার করা উচিত।
মানুষের টিকা: সাধারণত সামরিক বাহিনীর সদস্য কিংবা ল্যাব কর্মীদের মতো উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য অ্যানথ্রাক্সের টিকা রয়েছে। সাধারণ মানুষের জন্য এটি রুটিন টিকা নয়।
সচেতনতা ও রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ
বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সচেতন করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে জনসাধারণের আতঙ্ক দূর করে সচেতনতা তৈরি করা সম্ভব।
প্রতিরোধ জরুরি
» অ্যানথ্রাক্স প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করা ভালো। তাই স্থানীয় ভাষায় পোস্টার, লিফলেট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের সব তথ্য উন্মুক্ত থাকা জরুরি। এতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে।
» পশু পালন এবং মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল আচরণ জরুরি।
» অ্যানথ্রাক্স একটি প্রাচীন রোগ হলেও এটি এখন পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ। জনগণকে সচেতন করা এবং সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মারাত্মক রোগ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

সাধারণ মানুষের বড় একটি অংশের ধারণা, শুধু বড়রাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা সঠিক নয়। শিশু-কিশোররাও এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এ সমস্যা উদ্বেগজনকভাবে দিন দিন বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশে ডায়াবেটিস (বহুমূত্র) রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ১৩ শতাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসের এমন উপস্থিতির কারণে অন্যান্য অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৩৩ জন। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশে প্রতিবছর স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শুধু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এসব রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছে না। মেডিসিনের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাধারণ মানুষের বড় একটি অংশের ধারণা, শুধু বড়রাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা সঠিক নয়। শিশু-কিশোররাও এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এ সমস্যা উদ্বেগজনকভাবে দিন দিন বাড়ছে। নতুন একটি গবেষণা বলছে, গত ২০ বছরে শিশু-কিশোরদের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশকারী সাময়িকী দ্য ল্যানসেট চাইল্ড অ্যাডোলেসেন্ট হেলথ গত বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। চীন ও যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক গবেষণাটি করেছেন। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন চীনের হ্যাংঝৌয়ের ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের দ্য সেকেন্ড অ্যাফিলিয়েটেড হসপিটালের স্কুল অব পাবলিক হেলথের ড. জিয়ালি ঝৌ।
গবেষণা নিবন্ধের রচয়িতাদের একজন ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের দ্য সেকেন্ড অ্যাফিলিয়েটেড হসপিটালের স্কুল অব পাবলিক হেলথের ড. পিয়েগ সং। তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘২০০০ সালে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ ছেলে শিশু-কিশোর এবং ৩ শতাংশ মেয়ে শিশু-কিশোর উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ছিল। ২০২০ সালে এই হার বেড়ে যথাক্রমে সাড়ে ৬ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’ এক ইমেইলে তিনি আরও বলেন, আশার কথা হলো, আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ এবং আগেভাগে শনাক্ত করা গেলে এই এই ঝুঁকি মোকাবিলা সম্ভব। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে, বিশেষ করে শিশু-কিশোরের ওজন ও পুষ্টির দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।’
শিশু-কিশোরদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বেথ ইসরায়েল ডিকোনেস মেডিকেল সেন্টারের সহকারী অধ্যাপক ড. মিংইউ ঝ্যাং সিএনএনকে বলেন, শিশু-কিশোরদের মধ্যে যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হচ্ছে, তাদের পরবর্তী সময়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর শীর্ষ কারণ হৃদ্রোগ।
ড. পিয়েগ সং বলেন, শিশু-কিশোররা নানা কারণে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হতে পারে। এর মধ্যে শিশু বয়সে অতিরিক্ত ওজন সবচেয়ে বড় কারণ। কারণ, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, প্রদাহ ও শরীরে রক্তপ্রবাহের সঙ্গে অতিরিক্ত ওজনের যোগসূত্র রয়েছে। খাদ্যাভ্যাসও উচ্চ রক্তচাপের একটি কারণ। অতিরিক্ত সোডিয়াম (লবণ) গ্রহণ এবং অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার এ সমস্যা তৈরি করতে পারে। ভালোভাবে ঘুম না হওয়া, মানসিক চাপ ও উচ্চ রক্তচাপের পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও শিশু-কিশোররা এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।
এই গবেষক বলেন, এখনকার অনেক শিশু আগের প্রজন্মগুলোর তুলনায় কম খেলাধুলা করে, সক্রিয় থাকে। তাদের সিংহভাগ সময় কাটে অলসভাবে, মোবাইল ফোন কিংবা টেলিভিশনের স্ক্রিনে নজর রেখে। এ ছাড়া পরিবেশদূষণও শিশু-কিশোরদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়াচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহকারী অধ্যাপক ড. মিংইউ ঝ্যাংয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় জানা গেছে, মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায়ই যদি শিশু পিএফএএস (পারফ্লোরোঅ্যালকাইল অ্যান্ড পলিফ্লোরোঅ্যালকাইল) রাসায়নিক উপাদানের সংস্পর্শে আসে, তাহলে তার জন্মের পর উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। পিএফএএস হলো মানবসৃষ্ট প্রায় ১৫ হাজার ধরনের রাসায়নিক যৌগ, যেগুলো ক্যানসার, এন্ডোক্রাইন-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য জটিলতা ও শিশুর দৈহিক-মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। পিএফএএসকে ‘চিরকালীন রাসায়নিক’ও বলা হয়। কারণ, এসব রাসায়নিক মাটির সঙ্গে মেশে না এবং এগুলো কখনোই পুরোপুরি ভাঙে না।

সাধারণ মানুষের বড় একটি অংশের ধারণা, শুধু বড়রাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা সঠিক নয়। শিশু-কিশোররাও এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এ সমস্যা উদ্বেগজনকভাবে দিন দিন বাড়ছে। নতুন একটি গবেষণা বলছে, গত ২০ বছরে শিশু-কিশোরদের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের শিশু-কিশোরদের স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশকারী সাময়িকী দ্য ল্যানসেট চাইল্ড অ্যাডোলেসেন্ট হেলথ গত বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। চীন ও যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক গবেষণাটি করেছেন। এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন চীনের হ্যাংঝৌয়ের ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের দ্য সেকেন্ড অ্যাফিলিয়েটেড হসপিটালের স্কুল অব পাবলিক হেলথের ড. জিয়ালি ঝৌ।
গবেষণা নিবন্ধের রচয়িতাদের একজন ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের দ্য সেকেন্ড অ্যাফিলিয়েটেড হসপিটালের স্কুল অব পাবলিক হেলথের ড. পিয়েগ সং। তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘২০০০ সালে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ ছেলে শিশু-কিশোর এবং ৩ শতাংশ মেয়ে শিশু-কিশোর উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ছিল। ২০২০ সালে এই হার বেড়ে যথাক্রমে সাড়ে ৬ শতাংশ ও ৫ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’ এক ইমেইলে তিনি আরও বলেন, আশার কথা হলো, আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ এবং আগেভাগে শনাক্ত করা গেলে এই এই ঝুঁকি মোকাবিলা সম্ভব। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে, বিশেষ করে শিশু-কিশোরের ওজন ও পুষ্টির দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।’
শিশু-কিশোরদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের বেথ ইসরায়েল ডিকোনেস মেডিকেল সেন্টারের সহকারী অধ্যাপক ড. মিংইউ ঝ্যাং সিএনএনকে বলেন, শিশু-কিশোরদের মধ্যে যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হচ্ছে, তাদের পরবর্তী সময়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে অসংক্রামক রোগে মৃত্যুর শীর্ষ কারণ হৃদ্রোগ।
ড. পিয়েগ সং বলেন, শিশু-কিশোররা নানা কারণে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হতে পারে। এর মধ্যে শিশু বয়সে অতিরিক্ত ওজন সবচেয়ে বড় কারণ। কারণ, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, প্রদাহ ও শরীরে রক্তপ্রবাহের সঙ্গে অতিরিক্ত ওজনের যোগসূত্র রয়েছে। খাদ্যাভ্যাসও উচ্চ রক্তচাপের একটি কারণ। অতিরিক্ত সোডিয়াম (লবণ) গ্রহণ এবং অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার এ সমস্যা তৈরি করতে পারে। ভালোভাবে ঘুম না হওয়া, মানসিক চাপ ও উচ্চ রক্তচাপের পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও শিশু-কিশোররা এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।
এই গবেষক বলেন, এখনকার অনেক শিশু আগের প্রজন্মগুলোর তুলনায় কম খেলাধুলা করে, সক্রিয় থাকে। তাদের সিংহভাগ সময় কাটে অলসভাবে, মোবাইল ফোন কিংবা টেলিভিশনের স্ক্রিনে নজর রেখে। এ ছাড়া পরিবেশদূষণও শিশু-কিশোরদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়াচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সহকারী অধ্যাপক ড. মিংইউ ঝ্যাংয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণায় জানা গেছে, মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায়ই যদি শিশু পিএফএএস (পারফ্লোরোঅ্যালকাইল অ্যান্ড পলিফ্লোরোঅ্যালকাইল) রাসায়নিক উপাদানের সংস্পর্শে আসে, তাহলে তার জন্মের পর উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। পিএফএএস হলো মানবসৃষ্ট প্রায় ১৫ হাজার ধরনের রাসায়নিক যৌগ, যেগুলো ক্যানসার, এন্ডোক্রাইন-সম্পর্কিত স্বাস্থ্য জটিলতা ও শিশুর দৈহিক-মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে। পিএফএএসকে ‘চিরকালীন রাসায়নিক’ও বলা হয়। কারণ, এসব রাসায়নিক মাটির সঙ্গে মেশে না এবং এগুলো কখনোই পুরোপুরি ভাঙে না।

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
১১ অক্টোবর ২০২৫
দেশে ডায়াবেটিস (বহুমূত্র) রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ১৩ শতাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসের এমন উপস্থিতির কারণে অন্যান্য অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৩৩ জন। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশে প্রতিবছর স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শুধু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এসব রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছে না। মেডিসিনের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
১ দিন আগেমুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশে ডায়াবেটিস (বহুমূত্র) রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ১৩ শতাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসের এমন উপস্থিতির কারণে অন্যান্য অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে। সে কারণে ডায়াবেটিস রোগী বৃদ্ধির এই ঊর্ধ্বগতি পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপরই চাপ সৃষ্টি করছে এবং জনশক্তিকে দুর্বল করে তুলছে বলে জনস্বাস্থ্যবিদেরা অভিমত দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০৫০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ১৮ কোটিতে পৌঁছাবে। এখন বাংলাদেশে ১১ কোটি ৩০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ৩৮ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ এ রোগে ভুগছেন।
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রকাশনা ‘হেলথ বুলেটিন’-এর সর্বশেষ সংস্করণে বলা হয়েছে, দেশে অসংক্রামক রোগগুলো এখন প্রধান অসুস্থতা ও মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে প্রধান রোগগুলো হলো ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, ক্যানসার এবং ফুসফুসের সমস্যাসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন অসুখ (সিওপিডি)। দেশে মোট মৃত্যুর ৭০ দশমিক ২৬ শতাংশই ঘটছে অসংক্রামক রোগের কারণে। আবার অসংক্রামক রোগের মোট মৃত্যুর মধ্যে ৩৪ শতাংশ হৃদ্রোগ, ১৪ শতাংশ ক্যানসার, ৭ শতাংশ সিওপিডি, ৪ শতাংশ ডায়াবেটিস, ১১ শতাংশ অন্যান্য অসংক্রামক রোগ, ২৩ শতাংশ সংক্রামক রোগ এবং ৭ শতাংশ আঘাতের কারণে ঘটছে।
ডায়াবেটিস একটি হরমোন-সংক্রান্ত রোগ। মানবদেহের অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন নামের হরমোনটি পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি করতে ব্যর্থ হলে বা দেহে উৎপন্ন ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তে শর্করার (সুগার) মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে না। এ অবস্থাই হলো ডায়াবেটিস। বারবার মূত্রত্যাগ করা অন্যতম বৈশিষ্ট্য বলে এর বাংলা নাম বহুমূত্র। সাধারণত চার ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে—টাইপ-১, টাইপ-২, গর্ভকালীন এবং অন্যান্য। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন উৎপাদন করতে প্রায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। তাই রোগীকে জীবনধারণের জন্য অবশ্যই ইনসুলিন নিতে হয়। আর টাইপ-২ ডায়াবেটিসে দেহে উৎপন্ন ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করে না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনাচার, ভেজাল খাদ্য ও দূষণের কারণে দেশে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। এর মধ্যে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপই সবচেয়ে বেশি। ডায়াবেটিস রোগী যদি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন তবে, তাঁর কিডনি জটিলতা, অন্ধত্ব ও অন্যান্য গুরুতর সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন বলেন, ডায়াবেটিস বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বংশগত। কিছু ক্ষেত্রে স্থূলতার কারণেও হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যেমন শারীরিক কার্যক্রম বাড়ানো প্রয়োজন, তা নগর জীবনে যথাযথভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকা বা অন্যান্য বড় শহরে হাঁটার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই।

দেশে ডায়াবেটিস (বহুমূত্র) রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ১৩ শতাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসের এমন উপস্থিতির কারণে অন্যান্য অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে। সে কারণে ডায়াবেটিস রোগী বৃদ্ধির এই ঊর্ধ্বগতি পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপরই চাপ সৃষ্টি করছে এবং জনশক্তিকে দুর্বল করে তুলছে বলে জনস্বাস্থ্যবিদেরা অভিমত দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০৫০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ১৮ কোটিতে পৌঁছাবে। এখন বাংলাদেশে ১১ কোটি ৩০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ৩৮ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ এ রোগে ভুগছেন।
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রকাশনা ‘হেলথ বুলেটিন’-এর সর্বশেষ সংস্করণে বলা হয়েছে, দেশে অসংক্রামক রোগগুলো এখন প্রধান অসুস্থতা ও মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে প্রধান রোগগুলো হলো ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, ক্যানসার এবং ফুসফুসের সমস্যাসহ শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন অসুখ (সিওপিডি)। দেশে মোট মৃত্যুর ৭০ দশমিক ২৬ শতাংশই ঘটছে অসংক্রামক রোগের কারণে। আবার অসংক্রামক রোগের মোট মৃত্যুর মধ্যে ৩৪ শতাংশ হৃদ্রোগ, ১৪ শতাংশ ক্যানসার, ৭ শতাংশ সিওপিডি, ৪ শতাংশ ডায়াবেটিস, ১১ শতাংশ অন্যান্য অসংক্রামক রোগ, ২৩ শতাংশ সংক্রামক রোগ এবং ৭ শতাংশ আঘাতের কারণে ঘটছে।
ডায়াবেটিস একটি হরমোন-সংক্রান্ত রোগ। মানবদেহের অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন নামের হরমোনটি পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি করতে ব্যর্থ হলে বা দেহে উৎপন্ন ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তে শর্করার (সুগার) মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে না। এ অবস্থাই হলো ডায়াবেটিস। বারবার মূত্রত্যাগ করা অন্যতম বৈশিষ্ট্য বলে এর বাংলা নাম বহুমূত্র। সাধারণত চার ধরনের ডায়াবেটিস রয়েছে—টাইপ-১, টাইপ-২, গর্ভকালীন এবং অন্যান্য। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন উৎপাদন করতে প্রায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। তাই রোগীকে জীবনধারণের জন্য অবশ্যই ইনসুলিন নিতে হয়। আর টাইপ-২ ডায়াবেটিসে দেহে উৎপন্ন ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করে না।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অস্বাস্থ্যকর জীবনাচার, ভেজাল খাদ্য ও দূষণের কারণে দেশে বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। এর মধ্যে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপই সবচেয়ে বেশি। ডায়াবেটিস রোগী যদি উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হন তবে, তাঁর কিডনি জটিলতা, অন্ধত্ব ও অন্যান্য গুরুতর সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন বলেন, ডায়াবেটিস বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বংশগত। কিছু ক্ষেত্রে স্থূলতার কারণেও হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যেমন শারীরিক কার্যক্রম বাড়ানো প্রয়োজন, তা নগর জীবনে যথাযথভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকা বা অন্যান্য বড় শহরে হাঁটার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই।

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
১১ অক্টোবর ২০২৫
সাধারণ মানুষের বড় একটি অংশের ধারণা, শুধু বড়রাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা সঠিক নয়। শিশু-কিশোররাও এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এ সমস্যা উদ্বেগজনকভাবে দিন দিন বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৩৩ জন। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগে
দেশে প্রতিবছর স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শুধু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এসব রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছে না। মেডিসিনের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৩৩ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮৩৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৮ , ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭৭ (সিটি করপোরেশনের বাইরে), রাজশাহী বিভাগে ৬৫ (সিটি করপোরেশনের বাইরে), রংপুর বিভাগে ১২ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে ৬ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে।
এদিকে গত এক দিনে সারা দেশে ৮৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৮ হাজার ৮৪৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে এক বছরের মেয়ে শিশু রয়েছে। সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। বাকি দুজন পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৪০ ও ৬০ বছর।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৮২ হাজার ৬০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩২৬ জনের।

সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৩৩ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৮৩৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৮ , ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৬৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১১৬, ময়মনসিংহ বিভাগে ৭৭ (সিটি করপোরেশনের বাইরে), রাজশাহী বিভাগে ৬৫ (সিটি করপোরেশনের বাইরে), রংপুর বিভাগে ১২ (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ও সিলেট বিভাগে ৬ জন (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে।
এদিকে গত এক দিনে সারা দেশে ৮৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৭৮ হাজার ৮৪৮ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে এক বছরের মেয়ে শিশু রয়েছে। সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। বাকি দুজন পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৪০ ও ৬০ বছর।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৮২ হাজার ৬০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩২৬ জনের।

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
১১ অক্টোবর ২০২৫
সাধারণ মানুষের বড় একটি অংশের ধারণা, শুধু বড়রাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা সঠিক নয়। শিশু-কিশোররাও এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এ সমস্যা উদ্বেগজনকভাবে দিন দিন বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশে ডায়াবেটিস (বহুমূত্র) রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ১৩ শতাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসের এমন উপস্থিতির কারণে অন্যান্য অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
দেশে প্রতিবছর স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শুধু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এসব রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছে না। মেডিসিনের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
১ দিন আগেজাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন দিবস
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে প্রতিবছর স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শুধু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এসব রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছে না। মেডিসিনের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের গড় আয়ু বাড়ছে। ব্যথা-বেদনায় কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এতে শুধু ওষুধ দিয়ে কাজ হবে না। তিনটা রোগে ৭০ শতাংশ মানুষ মারা যায়। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও ক্রনিক ডিজিজ। এসবের সঠিক চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারলে রোগীকে আবার স্বনির্ভর ও কার্যকর জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’
মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘ইউএন বলছে, বাংলাদেশে প্রতি সাতজনে একজনের মধ্যে কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আমরা চাই, যে প্রতিষ্ঠানে এমন রোগীদের চিকিৎসা হবে, সেই একই প্রতিষ্ঠানে তাকে ফিজিওথেরাপি দিয়ে একেবারে সুস্থ করে বাড়ি ফিরতে দেওয়া হবে।’
মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে রিহ্যাবিলিটেশন নার্স তৈরি করা হবে—এমন কোনো কোর্সই নেই। শুধু চিকিৎসক থাকলে হবে না, ফিজিওথেরাপিস্ট থাকতে হবে। রিহ্যাবিলিটেশন নার্স তৈরি করতে হবে। এর জন্য আইন, পলিসি ও গভর্ন্যান্স দরকার। প্রত্যেক মানুষেরই এখন কোনো না কোনো সমস্যা থাকে, যা ফিজিওথেরাপির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত পুনর্বাসনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা’। দিবসটি উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে এম এ কে আজাদ বলেন, একটি দেশ তখনই প্রকৃত অর্থে উন্নত দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়, যখন সেখানে প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা কম, প্রতিবন্ধিতা প্রতিরোধের সব ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকে এবং যেসব ব্যক্তি প্রতিবন্ধী, তাঁদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পূর্ণ সহায়তা ও সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।
এ ছাড়া তিনি দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন ইউনিটকে শক্তিশালী করা; পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রিহ্যাবিলিটেশন জনবল নিয়োগ এবং জনসচেতনতা বাড়ানো; বিদ্যমান আইনকে কার্যকর, নতুন আইন প্রণয়ন ও নীতিমালা বাস্তবায়নে তৎপরতা বাড়ানো; সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, এসএনজিও ও সিভিল সোসাইটির একসঙ্গে কাজ করা এবং স্কুল, কলেজ, কর্মক্ষেত্র, সড়ক-পরিবহন ইত্যাদি সর্বত্র প্রতিবন্ধীবান্ধব ইউনিভার্সাল ডিজাইনের মান মেনে তৈরির দাবি জানান।

দেশে প্রতিবছর স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে শুধু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এসব রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারছে না। মেডিসিনের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে তাদের সুস্থ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের গড় আয়ু বাড়ছে। ব্যথা-বেদনায় কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এতে শুধু ওষুধ দিয়ে কাজ হবে না। তিনটা রোগে ৭০ শতাংশ মানুষ মারা যায়। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও ক্রনিক ডিজিজ। এসবের সঠিক চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারলে রোগীকে আবার স্বনির্ভর ও কার্যকর জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।’
মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘ইউএন বলছে, বাংলাদেশে প্রতি সাতজনে একজনের মধ্যে কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আমরা চাই, যে প্রতিষ্ঠানে এমন রোগীদের চিকিৎসা হবে, সেই একই প্রতিষ্ঠানে তাকে ফিজিওথেরাপি দিয়ে একেবারে সুস্থ করে বাড়ি ফিরতে দেওয়া হবে।’
মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে রিহ্যাবিলিটেশন নার্স তৈরি করা হবে—এমন কোনো কোর্সই নেই। শুধু চিকিৎসক থাকলে হবে না, ফিজিওথেরাপিস্ট থাকতে হবে। রিহ্যাবিলিটেশন নার্স তৈরি করতে হবে। এর জন্য আইন, পলিসি ও গভর্ন্যান্স দরকার। প্রত্যেক মানুষেরই এখন কোনো না কোনো সমস্যা থাকে, যা ফিজিওথেরাপির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমন্বিত পুনর্বাসনে চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা’। দিবসটি উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে এম এ কে আজাদ বলেন, একটি দেশ তখনই প্রকৃত অর্থে উন্নত দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়, যখন সেখানে প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা কম, প্রতিবন্ধিতা প্রতিরোধের সব ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকে এবং যেসব ব্যক্তি প্রতিবন্ধী, তাঁদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও জীবনযাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পূর্ণ সহায়তা ও সুযোগ নিশ্চিত করা হয়।
এ ছাড়া তিনি দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন ইউনিটকে শক্তিশালী করা; পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রিহ্যাবিলিটেশন জনবল নিয়োগ এবং জনসচেতনতা বাড়ানো; বিদ্যমান আইনকে কার্যকর, নতুন আইন প্রণয়ন ও নীতিমালা বাস্তবায়নে তৎপরতা বাড়ানো; সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, এসএনজিও ও সিভিল সোসাইটির একসঙ্গে কাজ করা এবং স্কুল, কলেজ, কর্মক্ষেত্র, সড়ক-পরিবহন ইত্যাদি সর্বত্র প্রতিবন্ধীবান্ধব ইউনিভার্সাল ডিজাইনের মান মেনে তৈরির দাবি জানান।

অ্যানথ্রাক্স হলো ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট একটি তীব্র এবং মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মূলত গবাদিপশু থেকে মানুষে ছড়ায়। বাংলায় এটি তড়কা রোগ নামেও পরিচিত। এই নাম এসেছে গ্রিক শব্দ ‘অ্যানথ্রাক্স’ থেকে, যার অর্থ কয়লা। রোগের কারণে ত্বকে কালো ক্ষত কিংবা ঘা তৈরি হয়।
১১ অক্টোবর ২০২৫
সাধারণ মানুষের বড় একটি অংশের ধারণা, শুধু বড়রাই উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা সঠিক নয়। শিশু-কিশোররাও এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এ সমস্যা উদ্বেগজনকভাবে দিন দিন বাড়ছে।
১ ঘণ্টা আগে
দেশে ডায়াবেটিস (বহুমূত্র) রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ১৩ শতাংশই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ডায়াবেটিসের এমন উপস্থিতির কারণে অন্যান্য অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবও বাড়ছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৮৩৩ জন। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
১২ ঘণ্টা আগে