Ajker Patrika

শীতে জরুরি যে ৫ ভিটামিন

ফিচার ডেস্ক
শীতে জরুরি যে ৫ ভিটামিন

শীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।

২০২৩ সালের ‘দ্য জার্নাল অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে ভাইরাস খুব সহজে মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। কিন্তু সচেতন থাকলে এই অবস্থা এড়ানো যায়। সে জন্য জানতে হবে এ ঋতুতে কোন ভিটামিনগুলো বেশি জরুরি।

ভিটামিন সি

রোগ প্রতিরো ক্ষমতা শক্তিশালী রাখতে ভিটামিন সি অত্যন্ত জরুরি। ২০২৩ সালে ‘কিউরিয়াস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত। এটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শ্বেত রক্তকণিকা, বিশেষ করে ফ্যাগোসাইট ও লিম্ফোসাইটের উৎপাদনসহ কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। এগুলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও সাহায্য করে থাকে।

লেবু ও লেবুজাতীয় সব ধরনের টক ফল ভিটামিন সির চমৎকার উৎস। এ ছাড়া আঙুর, পেঁপে, আনারস, জাম ইত্যাদি ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। সবুজ পাতার সব সবজি ও শাকে এই ভিটামিন আছে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ, পুদিনাপাতা বা পার্সলে পাতায়ও ভিটামিন সি আছে।

ভিটামিন ডি

ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে দুই ধরনের শ্বেত রক্তকণিকার লড়াই করার ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ভিটামিন ডি। ২০১১ সালে ‘জার্নাল অব ইনভেস্টিগেটিভ মেডিসিনে’ প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে ভিটামিন ডির অভাব সংক্রমণের বর্ধিত সংবেদনশীলতার সঙ্গে যুক্ত। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং শীতকালের কম তাপমাত্রায় সর্দি ও ফ্লুর মতো সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।

সূর্যের আলো ভিটামিন ডির সবচেয়ে সহজ উৎস। এ ছাড়া ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত মাছ, কড মাছের তেল, টুনা মাছ ও মাশরুমে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

ভিটামিন ই

ভিটামিন ই ফ্রি র‌্যাডিক্যালকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে এবং অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে ইমিউন কোষ রক্ষা করে। ২০১১ সালে ‘ভিটামিন অ্যান্ড হরমোন’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, ইমিউন কোষের স্বাভাবিক কার্যকারিতার জন্য ভিটামিন ই গুরুত্বপূর্ণ। এটি টি-কোষের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

যেকোনো ধরনের বাদাম, উদ্ভিজ তেল, ডিম, গম, সয়াবিন, সূর্যমুখী, সবুজ শাকসবজি, লেবু, আভোকাডো, স্যালমন মাছ, চর্বিবিহীন মাছ ইত্যাদি এই ভিটামিনে পূর্ণ।

ভিটামিন এ

২০২২ সালে ‘নিউট্রিশন ক্লিনিক অ্যাট মেটাবলিজম’-এ প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, দৃষ্টিশক্তির উপকারের পাশাপাশি ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এটি শ্বাসযন্ত্র এবং পাচনতন্ত্রের ত্বক ও শ্লেষ্মা ঝিল্লি ভালো রাখতে কাজ করে। এগুলো সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম স্তর। শ্বেত রক্তকণিকা উৎপাদনে এটি সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে।

ছোট মাছ, দুধ, মাখন, কড লিভার অয়েল, ঘি, গরু-মুরগি-খাসির কলিজা, মাংস, ডিম, গাজর, পালংশাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, সরিষাশাক, লাল মরিচ, টমেটো, কুমড়া, লেটুস, আম, জাম্বুরা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি ভিটামিন এ-তে ভরপুর।

ভিটামিন বি৬ ও বি১২

‘ইউরোপীয় জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে’ প্রকাশিত ২০০৬ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ভিটামিন বি৬ গুরুতরভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা উন্নত করতে পারে। এটি ইমিউন কোষ এবং অ্যান্টিবডি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এটি জৈব রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, যা শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। ২০২১ সালে ‘নিউট্রিশন রিভিউ’তে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, ভিটামিন বি১২ ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে পারে।

এটি ডিএনএ সংশ্লেষণ, লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন ও স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

ওটস, গরু-টার্কি-মুরগির কলিজা, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ ও দুধজাতীয় খাবার, শিম ও মটরশুঁটি, মাশরুম, বাদাম ও বিভিন্ন প্রকারের বীজ, আস্ত শস্য, সবুজ শাকসবজি, কলা, আভোকাডো, গুড়, মধু ইত্যাদিতে এ দুই প্রকার ভিটামিন বি পাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোপালগঞ্জ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন

দুই উপদেষ্টার ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেয়েও দেশে আসতে পারেননি সাকিব

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এরশাদের ১২৬টি আসনের টোপ প্রত্যাখ্যান করে সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন খালেদা জিয়া

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ