অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী

হার্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেহযন্ত্রটি ভালো আছে কি না, সেটা জানা নিজের আগাম অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার একটি অংশ। এ ক্ষেত্রে ৭টি জিনিস মনে রাখতে হবে।
১. উচ্চ রক্তচাপের খবর নিন নিয়মিত
হৃৎস্বাস্থ্য সম্বন্ধে ধারণা পাওয়ার একটি সহজ ও কার্যকর উপায় এটি। আপনার চিকিৎসককে তো নিয়মিত দেখাবেনই, সঙ্গে নিজে নিজেই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে বাসাতেই এর সন্ধান করুন। রক্তচাপ ১২০ বাই ৮০ আছে কি না, দেখুন। এর বাইরে থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
২. দেখে নিন বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই
আপনার ওজন যত কেজি, তাকে উচ্চতার বর্গমিটার দিয়ে ভাগ করলে বিএমআই পাওয়া যায়। আজকাল এর ফলাফলের জন্য অনেক ধরনের অ্যাপ বা বিএমআই ক্যালকুলেটর আছে। বিএমআই ১৮ দশমিক ৫ থেকে ২৩-এর মধ্যে হলে ভালো। এর বেশি হলে, মানে ওজন বেশি হলে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা বাড়বে।
৩. রেস্টিং হার্ট রেট
বিশ্রাম করা অবস্থায় প্রতি মিনিটে হার্টের স্পন্দন হার কত তা জানা থাকতে হবে। একে বলে রেস্টিং হার্ট রেট। এটি হওয়া উচিত প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০-এর মধ্যে। এটি নিয়মিত জানতে হবে। এর হার বেড়ে গেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি তৈরি হবে।
৪. এক্সারসাইজ ইনটলারেন্স
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখার সহজ উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। তবে সামান্য শরীরচর্চায় যদি হাঁপিয়ে ওঠেন, ক্লান্ত হয়ে পড়েন, হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়, তাহলে বিষয়টি চিন্তার। এগুলো কোনো রোগের লক্ষণও হতে পারে। তাই ব্যায়াম করতে গিয়ে সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দ্রুত।
৫. সতর্কসংকেতগুলো চেনা
হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় কিছু সতর্কসংকেত থাকে। সেগুলো চিনে রাখতে পারলে সুবিধা হবে। এগুলো হলো বুকব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, মাথা ঝিমঝিম করা, হার্ট স্পন্দনে অনিয়ম, প্রায়ই পা ফোলা, বদহজম বা বুক জ্বলা। এগুলো হলে চিকিৎসক দেখানো প্রয়োজন।
৬. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রয়োজন সুষম খাদ্য। প্রচুর শাকসবজি, ফল, দানা শস্য, লিন মিট, অর্থাৎ কম বয়সী প্রাণীর চর্বি ছাড়া মাংস, স্বাস্থ্যকর চর্বি।
ঘন চর্বি, যেমন মাখন, ঘি–এগুলো ট্রান্স ফ্যাট। এগুলো নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া ডুবো তেলে ভাজা ফাস্ট ফুড খাওয়া বাদ দিতে হবে। বাদ দিতে হবে বেশি লবণ-চিনিযুক্ত খাবার।
৭. মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা
মানসিক চাপ হৃৎপিণ্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন মানসিক চাপে থাকলে বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ ও হার্ট রেট। এতে বেশি খাওয়া আর ধূমপানের অভ্যাস তৈরি হতে পারে। মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে প্রাণায়াম, ইয়োগা, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যান–এসব করতে হবে নিয়মিত।

হার্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেহযন্ত্রটি ভালো আছে কি না, সেটা জানা নিজের আগাম অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার একটি অংশ। এ ক্ষেত্রে ৭টি জিনিস মনে রাখতে হবে।
১. উচ্চ রক্তচাপের খবর নিন নিয়মিত
হৃৎস্বাস্থ্য সম্বন্ধে ধারণা পাওয়ার একটি সহজ ও কার্যকর উপায় এটি। আপনার চিকিৎসককে তো নিয়মিত দেখাবেনই, সঙ্গে নিজে নিজেই ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে বাসাতেই এর সন্ধান করুন। রক্তচাপ ১২০ বাই ৮০ আছে কি না, দেখুন। এর বাইরে থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।
২. দেখে নিন বডি মাস ইনডেক্স বা বিএমআই
আপনার ওজন যত কেজি, তাকে উচ্চতার বর্গমিটার দিয়ে ভাগ করলে বিএমআই পাওয়া যায়। আজকাল এর ফলাফলের জন্য অনেক ধরনের অ্যাপ বা বিএমআই ক্যালকুলেটর আছে। বিএমআই ১৮ দশমিক ৫ থেকে ২৩-এর মধ্যে হলে ভালো। এর বেশি হলে, মানে ওজন বেশি হলে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা বাড়বে।
৩. রেস্টিং হার্ট রেট
বিশ্রাম করা অবস্থায় প্রতি মিনিটে হার্টের স্পন্দন হার কত তা জানা থাকতে হবে। একে বলে রেস্টিং হার্ট রেট। এটি হওয়া উচিত প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০-এর মধ্যে। এটি নিয়মিত জানতে হবে। এর হার বেড়ে গেলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি তৈরি হবে।
৪. এক্সারসাইজ ইনটলারেন্স
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখার সহজ উপায় হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। তবে সামান্য শরীরচর্চায় যদি হাঁপিয়ে ওঠেন, ক্লান্ত হয়ে পড়েন, হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়, তাহলে বিষয়টি চিন্তার। এগুলো কোনো রোগের লক্ষণও হতে পারে। তাই ব্যায়াম করতে গিয়ে সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দ্রুত।
৫. সতর্কসংকেতগুলো চেনা
হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় কিছু সতর্কসংকেত থাকে। সেগুলো চিনে রাখতে পারলে সুবিধা হবে। এগুলো হলো বুকব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, মাথা ঝিমঝিম করা, হার্ট স্পন্দনে অনিয়ম, প্রায়ই পা ফোলা, বদহজম বা বুক জ্বলা। এগুলো হলে চিকিৎসক দেখানো প্রয়োজন।
৬. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রয়োজন সুষম খাদ্য। প্রচুর শাকসবজি, ফল, দানা শস্য, লিন মিট, অর্থাৎ কম বয়সী প্রাণীর চর্বি ছাড়া মাংস, স্বাস্থ্যকর চর্বি।
ঘন চর্বি, যেমন মাখন, ঘি–এগুলো ট্রান্স ফ্যাট। এগুলো নিয়মিত খাওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া ডুবো তেলে ভাজা ফাস্ট ফুড খাওয়া বাদ দিতে হবে। বাদ দিতে হবে বেশি লবণ-চিনিযুক্ত খাবার।
৭. মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা
মানসিক চাপ হৃৎপিণ্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন মানসিক চাপে থাকলে বেড়ে যেতে পারে রক্তচাপ ও হার্ট রেট। এতে বেশি খাওয়া আর ধূমপানের অভ্যাস তৈরি হতে পারে। মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে প্রাণায়াম, ইয়োগা, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ধ্যান–এসব করতে হবে নিয়মিত।

জীবনে রঙের অস্তিত্ব না থাকলে কেমন হতো? নির্জীব, একঘেয়ে কেমন যেন নিরানন্দ কিংবা নেই কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা। রঙিন কিছু দেখলেই আমাদের মন যেন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, খাবারের বেলায়ও এটি একই রকম সত্য।
৪ দিন আগে
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
৫ দিন আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
৫ দিন আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
৫ দিন আগে