আলমগীর আলম

রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী আচরণ, খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের পার্থক্য নিয়ে একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব আছে। সেটিকে বলা হয় ‘ব্লাড টাইড ডায়েট’ বা রক্তের গ্রুপভিত্তিক খাদ্যতত্ত্ব। এই তত্ত্বের মূল প্রবর্তক ড. পিটার ডি’আডামো। তিনি তাঁর বই ‘ইট রাইট ফোর টাইপ’ (১৯৯৬)-এ দাবি করেন, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী মানুষের শরীরের হজম, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও খাদ্যের প্রয়োজন ভিন্ন হয়। রক্তের গ্রুপ অনুসারে খাবার খেলে মানুষ সুস্থ থাকতে পারে সহজে। সেই সঙ্গে তিনি খাবারকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। এর এক ভাগ উপকারী, একটি পরিহারযোগ্য এবং অন্যটি নিরপেক্ষ।
গ্রুপ অনুসারে মানুষের বৈশিষ্ট্য ও খাবার
গ্রুপ ‘ও’: শিকারি। শিকারি বলতে আদি মানুষ, যারা শিকার করে খাবার খেত। তাদের রক্তের গ্রুপ সাধারণত ছিল ‘ও’। ফলে তাদের প্রাণিজ খাবার হজম হলেও শস্যভিত্তিক খাবার ভালো হজম হয় না।
গ্রুপ ‘এ’: চাষাবাদকারী। এরা নিরামিষভোজী। নিরামিষ খাবার এদের জন্য বেশি উপযোগী। যে অঞ্চলে প্রাণিজ খাবার ছিল না, সেই অঞ্চলে তারা ফলমূল খেয়ে জীবনযাপন করত। কৃষিসভ্যতা গড়ে ওঠার সময় মানুষ ‘এ’ গ্রুপের রক্ত পায়।
গ্রুপ ‘বি’: যাযাবর। দুগ্ধজাত খাবার, শস্য ও মাংস খেতে পারে। এই গ্রুপের মানুষ সবই খেতে পারত; বিশেষ করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে যারা টিকে থাকত, তারা ফসল ফলিয়ে খেতে পারত, আবার শিকার করেও খেতে পারত।
গ্রুপ ‘এবি’: আধুনিক রক্তের গ্রুপ। মাঝামাঝি খাদ্যতালিকা। এর বৈশিষ্ট্য রান্না করে খাবার খাওয়া। এই গ্রুপের মানুষ সবই অল্প অল্প খেতে পারে।
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কি
এই তত্ত্বের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব শক্ত নয়। বেশ কিছু গবেষণা এই তত্ত্বকে বাতিল করে দিয়েছে। তার মধ্যে ২০১৩ সালে ‘আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা বলেছে, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী খাদ্যতালিকার কার্যকারিতা প্রমাণিত নয়।
এ ছাড়া কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৪ সালে আরেকটি গবেষণায় জানায় যে এই তত্ত্ব অনুযায়ী খাদ্য খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যগত কিছু উপকার হতে পারে, কিন্তু তা রক্তের গ্রুপের কারণে নয়।
তত্ত্বটি কীভাবে জনপ্রিয় হলো
তারপরও কিন্তু এই তত্ত্ব বেশ জনপ্রিয়। এর কারণ হলো, ব্যক্তিকেন্দ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য মানুষ এই রীতি অনুশীলন করে উপকৃত হয়েছে। অনেকে নিজের রক্তের গ্রুপের ভিত্তিতে খাদ্য নির্বাচন করাকে সুস্বাস্থ্যের জন্য ‘বিশেষভাবে’ প্রয়োজনীয় মনে করে। এ ছাড়া কিছু খাদ্য পরিবর্তন করার ফলে ওজন বা হজমে উন্নতি হয়েছে কিছু মানুষের। কৌতূহলী মানুষ রক্তের গ্রুপের কারণে মিলিয়ে দেখেছে এবং আবিষ্কার করেছে, খাদ্য পরিবর্তনের ফলে হজমের উন্নতি হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ এই নিয়ম মেনে চলে সুস্থতাবোধ করছে, এই নিয়মে অসুস্থ হওয়ার হার কমেছে।
রক্তের কোন গ্রুপের জন্য কোন খাবার

গ্রুপ ও
উপকারী খাবার
গরু, ভেড়া ও মুরগির মাংস, ব্রকলি, রসুন, পেঁয়াজ, পালংশাক, খেজুর, আনার, অলিভ অয়েল, আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিড, আদা, হলুদ, মরিচগুঁড়া।
নিরপেক্ষ খাবার
ভাত, সয়াবিন তেল, গাজর, লেটুস, আপেল, আঙুর, দুধবিহীন দই।
নিষিদ্ধ খাবার
গম, ভুট্টা, বার্লি, গরুর দুধ, পনির, আলু, বাঁধাকপি, কমলা, স্ট্রবেরি, কাজু, পেস্তা।

গ্রুপ এ
উপকারী খাবার
ব্রকলি, কুমড়া, গাজর, রসুন, পালংশাক, আনারস, ব্লুবেরি, চেরি, আপেল, ওটস, ভাত, টোফু, সয়াবিন, অলিভ অয়েল, বাদাম, আখরোট।
নিরপেক্ষ খাবার
মটর, ডাল, সাদা চাল, দুধবিহীন দই।
নিষিদ্ধ খাবার
গরু, ভেড়া ও হাঁসের মাংস, পনির, দুধ, টমেটো, আলু, বাঁধাকপি, কমলা, কলা, পেঁপে।

গ্রুপ বি
উপকারী খাবার
ভেড়ার মাংস, দুধ, দই, পনির, স্যামন, ওটস, ভাত, শাক, বাঁধাকপি, বিট, আঙুর, কলা, পেঁপে।
নিরপেক্ষ খাবার
মাঝেমধ্যে মুরগির মাংস, বাদাম, টোফু, কমলা, আনার।
বিরূপ বা এড়াতে হবে
মুরগি ও হাঁসের মাংস, ভুট্টা, গম, বার্লি, টমেটো, অলিভ অয়েল, কাজু, তিল।

গ্রুপ এবি
উপকারী খাবার
স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেল, দই, পনির, দুধ (সীমিতভাবে), ব্রকলি, ফুলকপি, রসুন, আনারস, চেরি, আঙুর, ওটস, ভাত, আখরোট, চিনাবাদাম।
নিরপেক্ষ খাবার
সয়াবিন, টোফু, স্পেল্ট রুটি, কমলা।
বিরূপ বা এড়াতে হবে
লাল মাংস, ভুট্টা, গম, কলা, নারকেল, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্য, পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী আচরণ, খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের পার্থক্য নিয়ে একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব আছে। সেটিকে বলা হয় ‘ব্লাড টাইড ডায়েট’ বা রক্তের গ্রুপভিত্তিক খাদ্যতত্ত্ব। এই তত্ত্বের মূল প্রবর্তক ড. পিটার ডি’আডামো। তিনি তাঁর বই ‘ইট রাইট ফোর টাইপ’ (১৯৯৬)-এ দাবি করেন, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী মানুষের শরীরের হজম, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও খাদ্যের প্রয়োজন ভিন্ন হয়। রক্তের গ্রুপ অনুসারে খাবার খেলে মানুষ সুস্থ থাকতে পারে সহজে। সেই সঙ্গে তিনি খাবারকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। এর এক ভাগ উপকারী, একটি পরিহারযোগ্য এবং অন্যটি নিরপেক্ষ।
গ্রুপ অনুসারে মানুষের বৈশিষ্ট্য ও খাবার
গ্রুপ ‘ও’: শিকারি। শিকারি বলতে আদি মানুষ, যারা শিকার করে খাবার খেত। তাদের রক্তের গ্রুপ সাধারণত ছিল ‘ও’। ফলে তাদের প্রাণিজ খাবার হজম হলেও শস্যভিত্তিক খাবার ভালো হজম হয় না।
গ্রুপ ‘এ’: চাষাবাদকারী। এরা নিরামিষভোজী। নিরামিষ খাবার এদের জন্য বেশি উপযোগী। যে অঞ্চলে প্রাণিজ খাবার ছিল না, সেই অঞ্চলে তারা ফলমূল খেয়ে জীবনযাপন করত। কৃষিসভ্যতা গড়ে ওঠার সময় মানুষ ‘এ’ গ্রুপের রক্ত পায়।
গ্রুপ ‘বি’: যাযাবর। দুগ্ধজাত খাবার, শস্য ও মাংস খেতে পারে। এই গ্রুপের মানুষ সবই খেতে পারত; বিশেষ করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে যারা টিকে থাকত, তারা ফসল ফলিয়ে খেতে পারত, আবার শিকার করেও খেতে পারত।
গ্রুপ ‘এবি’: আধুনিক রক্তের গ্রুপ। মাঝামাঝি খাদ্যতালিকা। এর বৈশিষ্ট্য রান্না করে খাবার খাওয়া। এই গ্রুপের মানুষ সবই অল্প অল্প খেতে পারে।
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কি
এই তত্ত্বের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব শক্ত নয়। বেশ কিছু গবেষণা এই তত্ত্বকে বাতিল করে দিয়েছে। তার মধ্যে ২০১৩ সালে ‘আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা বলেছে, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী খাদ্যতালিকার কার্যকারিতা প্রমাণিত নয়।
এ ছাড়া কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৪ সালে আরেকটি গবেষণায় জানায় যে এই তত্ত্ব অনুযায়ী খাদ্য খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যগত কিছু উপকার হতে পারে, কিন্তু তা রক্তের গ্রুপের কারণে নয়।
তত্ত্বটি কীভাবে জনপ্রিয় হলো
তারপরও কিন্তু এই তত্ত্ব বেশ জনপ্রিয়। এর কারণ হলো, ব্যক্তিকেন্দ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য মানুষ এই রীতি অনুশীলন করে উপকৃত হয়েছে। অনেকে নিজের রক্তের গ্রুপের ভিত্তিতে খাদ্য নির্বাচন করাকে সুস্বাস্থ্যের জন্য ‘বিশেষভাবে’ প্রয়োজনীয় মনে করে। এ ছাড়া কিছু খাদ্য পরিবর্তন করার ফলে ওজন বা হজমে উন্নতি হয়েছে কিছু মানুষের। কৌতূহলী মানুষ রক্তের গ্রুপের কারণে মিলিয়ে দেখেছে এবং আবিষ্কার করেছে, খাদ্য পরিবর্তনের ফলে হজমের উন্নতি হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ এই নিয়ম মেনে চলে সুস্থতাবোধ করছে, এই নিয়মে অসুস্থ হওয়ার হার কমেছে।
রক্তের কোন গ্রুপের জন্য কোন খাবার

গ্রুপ ও
উপকারী খাবার
গরু, ভেড়া ও মুরগির মাংস, ব্রকলি, রসুন, পেঁয়াজ, পালংশাক, খেজুর, আনার, অলিভ অয়েল, আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিড, আদা, হলুদ, মরিচগুঁড়া।
নিরপেক্ষ খাবার
ভাত, সয়াবিন তেল, গাজর, লেটুস, আপেল, আঙুর, দুধবিহীন দই।
নিষিদ্ধ খাবার
গম, ভুট্টা, বার্লি, গরুর দুধ, পনির, আলু, বাঁধাকপি, কমলা, স্ট্রবেরি, কাজু, পেস্তা।

গ্রুপ এ
উপকারী খাবার
ব্রকলি, কুমড়া, গাজর, রসুন, পালংশাক, আনারস, ব্লুবেরি, চেরি, আপেল, ওটস, ভাত, টোফু, সয়াবিন, অলিভ অয়েল, বাদাম, আখরোট।
নিরপেক্ষ খাবার
মটর, ডাল, সাদা চাল, দুধবিহীন দই।
নিষিদ্ধ খাবার
গরু, ভেড়া ও হাঁসের মাংস, পনির, দুধ, টমেটো, আলু, বাঁধাকপি, কমলা, কলা, পেঁপে।

গ্রুপ বি
উপকারী খাবার
ভেড়ার মাংস, দুধ, দই, পনির, স্যামন, ওটস, ভাত, শাক, বাঁধাকপি, বিট, আঙুর, কলা, পেঁপে।
নিরপেক্ষ খাবার
মাঝেমধ্যে মুরগির মাংস, বাদাম, টোফু, কমলা, আনার।
বিরূপ বা এড়াতে হবে
মুরগি ও হাঁসের মাংস, ভুট্টা, গম, বার্লি, টমেটো, অলিভ অয়েল, কাজু, তিল।

গ্রুপ এবি
উপকারী খাবার
স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেল, দই, পনির, দুধ (সীমিতভাবে), ব্রকলি, ফুলকপি, রসুন, আনারস, চেরি, আঙুর, ওটস, ভাত, আখরোট, চিনাবাদাম।
নিরপেক্ষ খাবার
সয়াবিন, টোফু, স্পেল্ট রুটি, কমলা।
বিরূপ বা এড়াতে হবে
লাল মাংস, ভুট্টা, গম, কলা, নারকেল, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্য, পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
আলমগীর আলম

রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী আচরণ, খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের পার্থক্য নিয়ে একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব আছে। সেটিকে বলা হয় ‘ব্লাড টাইড ডায়েট’ বা রক্তের গ্রুপভিত্তিক খাদ্যতত্ত্ব। এই তত্ত্বের মূল প্রবর্তক ড. পিটার ডি’আডামো। তিনি তাঁর বই ‘ইট রাইট ফোর টাইপ’ (১৯৯৬)-এ দাবি করেন, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী মানুষের শরীরের হজম, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও খাদ্যের প্রয়োজন ভিন্ন হয়। রক্তের গ্রুপ অনুসারে খাবার খেলে মানুষ সুস্থ থাকতে পারে সহজে। সেই সঙ্গে তিনি খাবারকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। এর এক ভাগ উপকারী, একটি পরিহারযোগ্য এবং অন্যটি নিরপেক্ষ।
গ্রুপ অনুসারে মানুষের বৈশিষ্ট্য ও খাবার
গ্রুপ ‘ও’: শিকারি। শিকারি বলতে আদি মানুষ, যারা শিকার করে খাবার খেত। তাদের রক্তের গ্রুপ সাধারণত ছিল ‘ও’। ফলে তাদের প্রাণিজ খাবার হজম হলেও শস্যভিত্তিক খাবার ভালো হজম হয় না।
গ্রুপ ‘এ’: চাষাবাদকারী। এরা নিরামিষভোজী। নিরামিষ খাবার এদের জন্য বেশি উপযোগী। যে অঞ্চলে প্রাণিজ খাবার ছিল না, সেই অঞ্চলে তারা ফলমূল খেয়ে জীবনযাপন করত। কৃষিসভ্যতা গড়ে ওঠার সময় মানুষ ‘এ’ গ্রুপের রক্ত পায়।
গ্রুপ ‘বি’: যাযাবর। দুগ্ধজাত খাবার, শস্য ও মাংস খেতে পারে। এই গ্রুপের মানুষ সবই খেতে পারত; বিশেষ করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে যারা টিকে থাকত, তারা ফসল ফলিয়ে খেতে পারত, আবার শিকার করেও খেতে পারত।
গ্রুপ ‘এবি’: আধুনিক রক্তের গ্রুপ। মাঝামাঝি খাদ্যতালিকা। এর বৈশিষ্ট্য রান্না করে খাবার খাওয়া। এই গ্রুপের মানুষ সবই অল্প অল্প খেতে পারে।
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কি
এই তত্ত্বের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব শক্ত নয়। বেশ কিছু গবেষণা এই তত্ত্বকে বাতিল করে দিয়েছে। তার মধ্যে ২০১৩ সালে ‘আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা বলেছে, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী খাদ্যতালিকার কার্যকারিতা প্রমাণিত নয়।
এ ছাড়া কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৪ সালে আরেকটি গবেষণায় জানায় যে এই তত্ত্ব অনুযায়ী খাদ্য খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যগত কিছু উপকার হতে পারে, কিন্তু তা রক্তের গ্রুপের কারণে নয়।
তত্ত্বটি কীভাবে জনপ্রিয় হলো
তারপরও কিন্তু এই তত্ত্ব বেশ জনপ্রিয়। এর কারণ হলো, ব্যক্তিকেন্দ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য মানুষ এই রীতি অনুশীলন করে উপকৃত হয়েছে। অনেকে নিজের রক্তের গ্রুপের ভিত্তিতে খাদ্য নির্বাচন করাকে সুস্বাস্থ্যের জন্য ‘বিশেষভাবে’ প্রয়োজনীয় মনে করে। এ ছাড়া কিছু খাদ্য পরিবর্তন করার ফলে ওজন বা হজমে উন্নতি হয়েছে কিছু মানুষের। কৌতূহলী মানুষ রক্তের গ্রুপের কারণে মিলিয়ে দেখেছে এবং আবিষ্কার করেছে, খাদ্য পরিবর্তনের ফলে হজমের উন্নতি হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ এই নিয়ম মেনে চলে সুস্থতাবোধ করছে, এই নিয়মে অসুস্থ হওয়ার হার কমেছে।
রক্তের কোন গ্রুপের জন্য কোন খাবার

গ্রুপ ও
উপকারী খাবার
গরু, ভেড়া ও মুরগির মাংস, ব্রকলি, রসুন, পেঁয়াজ, পালংশাক, খেজুর, আনার, অলিভ অয়েল, আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিড, আদা, হলুদ, মরিচগুঁড়া।
নিরপেক্ষ খাবার
ভাত, সয়াবিন তেল, গাজর, লেটুস, আপেল, আঙুর, দুধবিহীন দই।
নিষিদ্ধ খাবার
গম, ভুট্টা, বার্লি, গরুর দুধ, পনির, আলু, বাঁধাকপি, কমলা, স্ট্রবেরি, কাজু, পেস্তা।

গ্রুপ এ
উপকারী খাবার
ব্রকলি, কুমড়া, গাজর, রসুন, পালংশাক, আনারস, ব্লুবেরি, চেরি, আপেল, ওটস, ভাত, টোফু, সয়াবিন, অলিভ অয়েল, বাদাম, আখরোট।
নিরপেক্ষ খাবার
মটর, ডাল, সাদা চাল, দুধবিহীন দই।
নিষিদ্ধ খাবার
গরু, ভেড়া ও হাঁসের মাংস, পনির, দুধ, টমেটো, আলু, বাঁধাকপি, কমলা, কলা, পেঁপে।

গ্রুপ বি
উপকারী খাবার
ভেড়ার মাংস, দুধ, দই, পনির, স্যামন, ওটস, ভাত, শাক, বাঁধাকপি, বিট, আঙুর, কলা, পেঁপে।
নিরপেক্ষ খাবার
মাঝেমধ্যে মুরগির মাংস, বাদাম, টোফু, কমলা, আনার।
বিরূপ বা এড়াতে হবে
মুরগি ও হাঁসের মাংস, ভুট্টা, গম, বার্লি, টমেটো, অলিভ অয়েল, কাজু, তিল।

গ্রুপ এবি
উপকারী খাবার
স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেল, দই, পনির, দুধ (সীমিতভাবে), ব্রকলি, ফুলকপি, রসুন, আনারস, চেরি, আঙুর, ওটস, ভাত, আখরোট, চিনাবাদাম।
নিরপেক্ষ খাবার
সয়াবিন, টোফু, স্পেল্ট রুটি, কমলা।
বিরূপ বা এড়াতে হবে
লাল মাংস, ভুট্টা, গম, কলা, নারকেল, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্য, পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী আচরণ, খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের পার্থক্য নিয়ে একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব আছে। সেটিকে বলা হয় ‘ব্লাড টাইড ডায়েট’ বা রক্তের গ্রুপভিত্তিক খাদ্যতত্ত্ব। এই তত্ত্বের মূল প্রবর্তক ড. পিটার ডি’আডামো। তিনি তাঁর বই ‘ইট রাইট ফোর টাইপ’ (১৯৯৬)-এ দাবি করেন, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী মানুষের শরীরের হজম, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও খাদ্যের প্রয়োজন ভিন্ন হয়। রক্তের গ্রুপ অনুসারে খাবার খেলে মানুষ সুস্থ থাকতে পারে সহজে। সেই সঙ্গে তিনি খাবারকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। এর এক ভাগ উপকারী, একটি পরিহারযোগ্য এবং অন্যটি নিরপেক্ষ।
গ্রুপ অনুসারে মানুষের বৈশিষ্ট্য ও খাবার
গ্রুপ ‘ও’: শিকারি। শিকারি বলতে আদি মানুষ, যারা শিকার করে খাবার খেত। তাদের রক্তের গ্রুপ সাধারণত ছিল ‘ও’। ফলে তাদের প্রাণিজ খাবার হজম হলেও শস্যভিত্তিক খাবার ভালো হজম হয় না।
গ্রুপ ‘এ’: চাষাবাদকারী। এরা নিরামিষভোজী। নিরামিষ খাবার এদের জন্য বেশি উপযোগী। যে অঞ্চলে প্রাণিজ খাবার ছিল না, সেই অঞ্চলে তারা ফলমূল খেয়ে জীবনযাপন করত। কৃষিসভ্যতা গড়ে ওঠার সময় মানুষ ‘এ’ গ্রুপের রক্ত পায়।
গ্রুপ ‘বি’: যাযাবর। দুগ্ধজাত খাবার, শস্য ও মাংস খেতে পারে। এই গ্রুপের মানুষ সবই খেতে পারত; বিশেষ করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে যারা টিকে থাকত, তারা ফসল ফলিয়ে খেতে পারত, আবার শিকার করেও খেতে পারত।
গ্রুপ ‘এবি’: আধুনিক রক্তের গ্রুপ। মাঝামাঝি খাদ্যতালিকা। এর বৈশিষ্ট্য রান্না করে খাবার খাওয়া। এই গ্রুপের মানুষ সবই অল্প অল্প খেতে পারে।
বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কি
এই তত্ত্বের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব শক্ত নয়। বেশ কিছু গবেষণা এই তত্ত্বকে বাতিল করে দিয়েছে। তার মধ্যে ২০১৩ সালে ‘আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা বলেছে, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী খাদ্যতালিকার কার্যকারিতা প্রমাণিত নয়।
এ ছাড়া কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৪ সালে আরেকটি গবেষণায় জানায় যে এই তত্ত্ব অনুযায়ী খাদ্য খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যগত কিছু উপকার হতে পারে, কিন্তু তা রক্তের গ্রুপের কারণে নয়।
তত্ত্বটি কীভাবে জনপ্রিয় হলো
তারপরও কিন্তু এই তত্ত্ব বেশ জনপ্রিয়। এর কারণ হলো, ব্যক্তিকেন্দ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য মানুষ এই রীতি অনুশীলন করে উপকৃত হয়েছে। অনেকে নিজের রক্তের গ্রুপের ভিত্তিতে খাদ্য নির্বাচন করাকে সুস্বাস্থ্যের জন্য ‘বিশেষভাবে’ প্রয়োজনীয় মনে করে। এ ছাড়া কিছু খাদ্য পরিবর্তন করার ফলে ওজন বা হজমে উন্নতি হয়েছে কিছু মানুষের। কৌতূহলী মানুষ রক্তের গ্রুপের কারণে মিলিয়ে দেখেছে এবং আবিষ্কার করেছে, খাদ্য পরিবর্তনের ফলে হজমের উন্নতি হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ এই নিয়ম মেনে চলে সুস্থতাবোধ করছে, এই নিয়মে অসুস্থ হওয়ার হার কমেছে।
রক্তের কোন গ্রুপের জন্য কোন খাবার

গ্রুপ ও
উপকারী খাবার
গরু, ভেড়া ও মুরগির মাংস, ব্রকলি, রসুন, পেঁয়াজ, পালংশাক, খেজুর, আনার, অলিভ অয়েল, আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিড, আদা, হলুদ, মরিচগুঁড়া।
নিরপেক্ষ খাবার
ভাত, সয়াবিন তেল, গাজর, লেটুস, আপেল, আঙুর, দুধবিহীন দই।
নিষিদ্ধ খাবার
গম, ভুট্টা, বার্লি, গরুর দুধ, পনির, আলু, বাঁধাকপি, কমলা, স্ট্রবেরি, কাজু, পেস্তা।

গ্রুপ এ
উপকারী খাবার
ব্রকলি, কুমড়া, গাজর, রসুন, পালংশাক, আনারস, ব্লুবেরি, চেরি, আপেল, ওটস, ভাত, টোফু, সয়াবিন, অলিভ অয়েল, বাদাম, আখরোট।
নিরপেক্ষ খাবার
মটর, ডাল, সাদা চাল, দুধবিহীন দই।
নিষিদ্ধ খাবার
গরু, ভেড়া ও হাঁসের মাংস, পনির, দুধ, টমেটো, আলু, বাঁধাকপি, কমলা, কলা, পেঁপে।

গ্রুপ বি
উপকারী খাবার
ভেড়ার মাংস, দুধ, দই, পনির, স্যামন, ওটস, ভাত, শাক, বাঁধাকপি, বিট, আঙুর, কলা, পেঁপে।
নিরপেক্ষ খাবার
মাঝেমধ্যে মুরগির মাংস, বাদাম, টোফু, কমলা, আনার।
বিরূপ বা এড়াতে হবে
মুরগি ও হাঁসের মাংস, ভুট্টা, গম, বার্লি, টমেটো, অলিভ অয়েল, কাজু, তিল।

গ্রুপ এবি
উপকারী খাবার
স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেল, দই, পনির, দুধ (সীমিতভাবে), ব্রকলি, ফুলকপি, রসুন, আনারস, চেরি, আঙুর, ওটস, ভাত, আখরোট, চিনাবাদাম।
নিরপেক্ষ খাবার
সয়াবিন, টোফু, স্পেল্ট রুটি, কমলা।
বিরূপ বা এড়াতে হবে
লাল মাংস, ভুট্টা, গম, কলা, নারকেল, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল।
পরামর্শ দিয়েছেন: খাদ্য, পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র

ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতনবৈষম্য দূরীকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী শনিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় সমবেত হয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন।
গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি প্রথম দুই দিন চলেছিল শহীদ মিনারে। পরে তাঁরা অবস্থান নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন দেশের ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা।
এই কর্মসূচির কারণে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে টিকা নিতে এসে অনেক মা ও শিশু ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের এ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সেবা কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে টিকা নিতে এসে মা ও শিশুরা ফিরে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে কর্মবিরতিতে যেতে তাঁরা চাননি। কিন্তু দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তাঁরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বারবার প্রতিশ্রুতির আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আমাদের ১৬তম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেডে উন্নীত করার সরকারি আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না। এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর হতে বাধ্য হব।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের নানা বঞ্চনার চিত্রও তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা জানান, টিকাদানের আগে মাসজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, নবজাতক ও গর্ভবতী মায়ের রেজিস্ট্রেশন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ, ডটস (সরাসরি পর্যবেক্ষণ থেরাপি) পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়ানো, উঠান বৈঠক, মা সমাবেশসহ বিভিন্ন সেবা তাঁরা দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সেবা দেওয়ার পরও তাঁদের মাসিক ভ্রমণভাতা মাত্র ৬০০ টাকা। আর বেতন মোট ৯ হাজার ৭০০ টাকা।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমাধারীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া, ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, বেতনস্কেল পুনর্নির্ধারণের সময় টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) সম্পন্নকারীদের সমমান স্বীকৃতি প্রদান।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব ফজলুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখনো বিশ্লেষণ শুরু হয়নি।’
তিনি আরও জানান, ৬৪ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ আজ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের দাবির বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ রয়েছে। সেখানে প্রক্রিয়াগতভাবে কিছুটা সময় লাগছে। গত তিন দিন তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছে। আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করছি, সবকিছু ভালোভাবে সমাধান হবে।’

নিয়োগবিধি সংশোধন, বেতনবৈষম্য দূরীকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদানের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী শনিবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় সমবেত হয়ে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবেন।
গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতি প্রথম দুই দিন চলেছিল শহীদ মিনারে। পরে তাঁরা অবস্থান নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন দেশের ৬৪ জেলার স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা।
এই কর্মসূচির কারণে কয়েক দিন ধরে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে টিকা নিতে এসে অনেক মা ও শিশু ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের এ কর্মসূচির কারণে সারা দেশে ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সেবা কয়েক দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে টিকা নিতে এসে মা ও শিশুরা ফিরে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করে কর্মবিরতিতে যেতে তাঁরা চাননি। কিন্তু দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তাঁরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বারবার প্রতিশ্রুতির আশ্বাস মিললেও বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান জানিয়ে নেতারা বলেন, ‘আমাদের ১৬তম গ্রেড থেকে ১৪তম গ্রেডে উন্নীত করার সরকারি আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করব না। এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর হতে বাধ্য হব।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্বাস্থ্য সহকারীদের নানা বঞ্চনার চিত্রও তুলে ধরে আন্দোলনকারীরা জানান, টিকাদানের আগে মাসজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, নবজাতক ও গর্ভবতী মায়ের রেজিস্ট্রেশন, যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ, ডটস (সরাসরি পর্যবেক্ষণ থেরাপি) পদ্ধতিতে ওষুধ খাওয়ানো, উঠান বৈঠক, মা সমাবেশসহ বিভিন্ন সেবা তাঁরা দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সেবা দেওয়ার পরও তাঁদের মাসিক ভ্রমণভাতা মাত্র ৬০০ টাকা। আর বেতন মোট ৯ হাজার ৭০০ টাকা।
আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমাধারীদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা দেওয়া, ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেডে পদোন্নতি নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্ত করা, বেতনস্কেল পুনর্নির্ধারণের সময় টাইম স্কেল বা উচ্চতর স্কেল সংযুক্ত করা এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা (এসআইটি) সম্পন্নকারীদের সমমান স্বীকৃতি প্রদান।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্যসচিব ফজলুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে এখনো বিশ্লেষণ শুরু হয়নি।’
তিনি আরও জানান, ৬৪ জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী শনিবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ আজ সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের দাবির বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাজ রয়েছে। সেখানে প্রক্রিয়াগতভাবে কিছুটা সময় লাগছে। গত তিন দিন তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান করছে। আমরা কাজ করছি। আমরা আশা করছি, সবকিছু ভালোভাবে সমাধান হবে।’

রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী আচরণ, খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের পার্থক্য নিয়ে একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব আছে। সেটিকে বলা হয় ‘ব্লাড টাইড ডায়েট’ বা রক্তের গ্রুপভিত্তিক খাদ্যতত্ত্ব। এই তত্ত্বের মূল প্রবর্তক ড. পিটার ডি’আডামো। তিনি তাঁর বই ‘ইট রাইট ফোর টাইপ’ (১৯৯৬)-এ দাবি করেন, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী মানুষের শরীরের হজম...
২৮ জুন ২০২৫
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
এদিকে দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাওয়ার কথা রয়েছে আন্দোলনকারীদের। তবে কঠোর এই কর্মসূচিতে যাওয়ার আগে গতকাল রাতে বৈঠকে বসেছেন আন্দোলনকারীরা। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কর্মবিরতির কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়লেও দাবি আদায়ে দিনভর কঠোর অবস্থানে ছিলেন তাঁরা। কর্মবিরতির সময় হাসপাতালের জরুরি সেবা চালু থাকলেও অনেককে সেবা না পেয়ে চলে যেতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরতরা জানান, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘদিনেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। এর আগে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। ফলে দাবি আদায়ে এবার কঠোর কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে যায়। এসব সেবাপ্রার্থীর বড় অংশ ঢাকার বাইরে থেকে আসে। টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের গতকালের কর্মবিরতির কারণে অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যায়।
বিভিন্ন স্থানে দিনভর ভোগান্তি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সেবা বন্ধ রেখে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
কর্মবিরতি চলাকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ফার্মেসিতে বিনা মূল্যে সরকারি ওষুধ বিতরণ, রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রামসহ রোগনির্ণয়ের বিভিন্ন সেবাকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ সময় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেবাকেন্দ্রগুলোয় কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলছিল। তবে হাসপাতালের অন্যান্য সেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। চমেক হাসপাতালে রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের একজন কর্মচারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, কর্মবিরতির ফলে এক্স-রে করা সাময়িক বন্ধ ছিল।
একই দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ও নার্সদের মতো তাঁদেরও চাকরিগত মর্যাদা দশম গ্রেডে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ওষুধ বিতরণ বন্ধ ছিল।
আবদুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, ‘সিটি স্ক্যান করানোর জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি, কর্মবিরতি দিয়েছে। এ জন্য ফিরে যাচ্ছি।’
উল্লাপাড়ার আনিসুর নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘কোমরে ব্যথা। তাই ডাক্তারের কাছে এসেছি। এসে শুনি, দুপুরের আগে চিকিৎসা হবে না।’
একই দাবিতে রাজবাড়ীতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা চার ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা। কর্মবিরতি কর্মসূচিতে দাবি আদায় না হলে ৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে হাসপাতাল শাটডাউন ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী আচরণ, খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের পার্থক্য নিয়ে একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব আছে। সেটিকে বলা হয় ‘ব্লাড টাইড ডায়েট’ বা রক্তের গ্রুপভিত্তিক খাদ্যতত্ত্ব। এই তত্ত্বের মূল প্রবর্তক ড. পিটার ডি’আডামো। তিনি তাঁর বই ‘ইট রাইট ফোর টাইপ’ (১৯৯৬)-এ দাবি করেন, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী মানুষের শরীরের হজম...
২৮ জুন ২০২৫
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেমুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র। কারণ হাসপাতালে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগার ১ শতাংশেরও কম।
হাসপাতাল পরিচালনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবন্ধীবান্ধব শৌচাগার একটি হাসপাতালের মৌলিক পরিকাঠামোর অংশ হওয়া উচিত। তবে দেশে এ ধরনের সুবিধার মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘাটতি বেশি। ফলে রোগীরা শুধু ভোগান্তিতেই পড়ছেন না; বরং গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় শৌচাগার ব্যবহার করতে না পারার ফলে কিডনি জটিলতা, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (মূত্রনালি সংক্রমণ) ও পানিশূন্যতাসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিষয়ক গবেষণা প্রকাশনা সংস্থা পাবলিক লাইব্রেরি অব সায়েন্সের প্লস ওয়ান সাময়িকীতে বাংলাদেশে হাসপাতালের শৌচাগার নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ পায়। গবেষণার শিরোনাম ‘ইনঅ্যাডিক্যুইট স্যানিটেশন ইন হেলথকেয়ার ফ্যাসিলিটিজ: অ্যা কম্প্রিহেনসিভ ইভ্যালুয়েশন অব টয়লেটস ইন মেজর হাসপাতাল ইন ঢাকা, বাংলাদেশ’। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের নয়জন গবেষক।
গবেষণায় রাজধানীর ১০টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪৫৯টি শৌচাগার পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী রোগীদের উপযোগী শৌচাগারের সংখ্যা মাত্র ১০টি, যা ১ শতাংশেরও কম বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রায় ৯৯ শতাংশ শৌচাগার হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী বা চলাফেরায় সীমাবদ্ধ রোগীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয়। অধিকাংশ শৌচাগারে দরজা সংকীর্ণ, কমোডের উচ্চতা অনুপযুক্ত, গ্র্যাব-বার বা হাতল নেই এবং প্রবেশপথে র্যাম্পের সুবিধাও নেই। ফলে প্রতিবন্ধী রোগীরা শৌচাগার ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন।
দেশে ক্যানসার রোগীদের জন্য সর্বোচ্চ সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এখানকার দুটি ভবনের কোথাও প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার পাওয়া যায়নি।
একইভাবে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য সরকারের বিশেষায়িত চিকিৎসাকেন্দ্র জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তিনটি ভবনের কোথাও নেই প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার। তাঁদের জন্য আলাদা শৌচাগার না থাকার কথা স্বীকার করেন এই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে ভর্তি রোগীরা বেডসাইড টয়লেট ব্যবহার করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেখানে প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য শৌচাগার, হুইলচেয়ার বা শয্যাসহ ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় র্যাম্প রাখা প্রয়োজন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে নির্ধারিত শয্যার ২-৩ গুণ রোগী ভর্তি থাকেন। দৈনিক বহির্বিভাগে রোগী আসেন সক্ষমতার ৪-৫ গুণ। স্বাভাবিক রোগীদের জন্য উন্নত শৌচাগারের ব্যবস্থাপনা নেই। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্যও আলাদা শৌচাগার রাখা যায়নি। তবে আমরা এ বিষয়ে পরিকল্পনা করছি।’

রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী আচরণ, খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের পার্থক্য নিয়ে একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব আছে। সেটিকে বলা হয় ‘ব্লাড টাইড ডায়েট’ বা রক্তের গ্রুপভিত্তিক খাদ্যতত্ত্ব। এই তত্ত্বের মূল প্রবর্তক ড. পিটার ডি’আডামো। তিনি তাঁর বই ‘ইট রাইট ফোর টাইপ’ (১৯৯৬)-এ দাবি করেন, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী মানুষের শরীরের হজম...
২৮ জুন ২০২৫
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা পুরুষ। তাঁদে বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

দেশে গত এক দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে নতুন আক্রান্ত ৫৬৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৩৮৬ জনের মৃত্যু হলো। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৫ হাজার ৫৭৭। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আজ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা পুরুষ। তাঁদে বয়স যথাক্রমে ৫৫ ও ৬৫ বছর।
চলতি বছর ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার আগে অক্টোবর মাসে ৮০ জন ও সেপ্টেম্বর মাসে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮২, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৮৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছে।

রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী আচরণ, খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যের পার্থক্য নিয়ে একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব আছে। সেটিকে বলা হয় ‘ব্লাড টাইড ডায়েট’ বা রক্তের গ্রুপভিত্তিক খাদ্যতত্ত্ব। এই তত্ত্বের মূল প্রবর্তক ড. পিটার ডি’আডামো। তিনি তাঁর বই ‘ইট রাইট ফোর টাইপ’ (১৯৯৬)-এ দাবি করেন, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী মানুষের শরীরের হজম...
২৮ জুন ২০২৫
ছয় দফা দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে। শনিবার থেকে সারা দেশের স্বাস্থ্য সহকারীরা ঢাকায় এসে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
বেতনকাঠামোর দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে হাসপাতালসহ দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চার ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাঁদের এই কর্মসূচির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়ে রোগী এবং তাদের স্বজনেরা। গত ৩০ নভেম্বর থেকে...
১ দিন আগে
দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ধরনের হাসপাতালে প্রতিবছরই বাড়ছে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা। কিন্তু অধিকাংশ চিকিৎসাকেন্দ্রেই শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অযোগ্য অথবা ন্যূনতম মানের নয়। ফলে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীরা নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন। আর প্রতিবন্ধী রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভোগান্তি আরও তীব্র।
২ দিন আগে