আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের এক ৭১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রথম জীবিত মানুষ হিসেবে শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপনের পর প্রায় ছয় মাস বেঁচে ছিলেন। ২০২৪ সালের মে মাসে ওই ব্যক্তির যকৃতের বড় অংশ কেটে ফেলার পর, শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই ব্যক্তির যকৃতে টিউমার ধরা পড়ায় তাঁর যকৃতের বড় একটি অংশ ফেলে দিতে হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, চীনের হেফেইয়ের আঞ্চলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তির শরীরে শূকরের যকৃৎ ৩৮ দিন ধরে কার্যকর ছিল। পরে কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় সেটি অপসারণ করা হয়। অপসারণের পর তিনি আবারও সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে প্রথম অপারেশনের ১৭১ দিন পরে তিনি মারা যান। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ ছিল পরিপাকতন্ত্রে বারবার রক্তক্ষরণ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের জন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে। শূকরের অঙ্গ মানুষের অঙ্গের মতো জটিল এবং আকারে প্রায় অনুরূপ। যুক্তরাজ্যে যকৃৎ প্রতিস্থাপনের জন্য সাধারণত কোনো একজন ব্যক্তিকে গড়ে ছয় মাস অপেক্ষা করতে হয়। একজন রোগীর জন্য উপযুক্ত রক্তের ধরন, আকার এবং অন্যান্য শর্ত মিলিয়ে দাতা খুঁজে পাওয়া প্রয়োজন।
শূকরের হৃৎপিণ্ড এবং কিডনি প্রতিস্থাপন এরই মধ্যে হয়েছে। কিন্তু যকৃৎ বেশ জটিল অঙ্গ। হৃৎপিণ্ড কেবল রক্ত পাম্প করে, কিডনি বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার করে। যকৃৎ রক্ত ফিল্টার করে, পুষ্টি তৈরি করে, ক্ষতিকারক পদার্থ আলাদা করে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, শক্তি সংরক্ষণ করে, ইমিউন বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সংকেত পাঠায় এবং চর্বি ও কোলেস্টেরল ভাঙে।
শূকরের যকৃৎ যাতে মানুষের শরীরে ভালোমতো খাপ খাইয়ে নিতে পারে—এ জন্য বিজ্ঞানীরা শূকরের কিছু জিনগত পরিবর্তন আনেন। এতে কিছু মানবীয় জিন যুক্ত করা হয় এবং শূকরের বৈশিষ্ট্যের কিছু জিন সরানো হয়। এতে মানুষের দেহ শূকরের যকৃৎকে পৃথক কোনো প্রাণীর বলে চিহ্নিত করতে পারে। ২০২৪ সালে মার্চে আরেক চীনা রোগীর ওপর একই ধরনের পরীক্ষা করা হয়।
গবেষক দল একটি ক্ষুদ্র শূকরকে ১১ মাস বয়স পর্যন্ত বড় করে। এই সময়ের মধ্যে এই শূকরটির যকৃতে ১০টি জিন পরিবর্তন করা হয়। এরপর সেটি পরিপূর্ণ হয়ে ওঠার পর প্রতিস্থাপন করা হয়। এই যকৃতের ওজন আধা কেজিরও বেশি। রোগীর নিজের অবশিষ্ট যকৃতের সঙ্গে শূকরের যকৃৎ সংযুক্ত করা হয়, যাতে দুটি যকৃৎ একসঙ্গে কাজ করে। শূকরের যকৃতের মোট তিনটি জিন সরানো হয় এবং সাতটি মানবীয় জিন যুক্ত করা হয়েছিল।
গবেষণার প্রধান ড. বেইচেং সুন বলেন, ‘এই কেস প্রমাণ করে যে, জেনেটিকভাবে পরিবর্তিত শূকরের যকৃৎ মানুষের মধ্যে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, যা আশাব্যঞ্জক এবং একই সঙ্গে বাকি চ্যালেঞ্জ—বিশেষ করে রক্ত জমাট বাঁধা সমস্যা এবং ইমিউন জটিলতা—কীভাবে সমাধান করতে হবে তার পথ দেখিয়েছে।’
জার্নাল অব হেপাটোলজির সহসম্পাদক ড. হেইনার ওয়েডেমেয়ার বলেন, ‘এটি দেখাচ্ছে যে, জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত শূকরের যকৃৎ মানুষের শরীরে কাজ করতে পারে। একই সঙ্গে, এটি ভবিষ্যতে ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে কিছু চ্যালেঞ্জও দেখাচ্ছে। জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যকৃতের সমস্যায় থাকা রোগীদের জন্য নতুন পথ খুলে দিতে পারে। যকৃৎ প্রতিস্থাপনের একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অভাব এবং দীর্ঘ অপেক্ষার সমস্যার সমাধান করতে পারে। তবে পুরোপুরি নিরাপদ এবং কার্যকর করতে এখনো অনেক গবেষণা প্রয়োজন।

চীনের এক ৭১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রথম জীবিত মানুষ হিসেবে শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপনের পর প্রায় ছয় মাস বেঁচে ছিলেন। ২০২৪ সালের মে মাসে ওই ব্যক্তির যকৃতের বড় অংশ কেটে ফেলার পর, শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই ব্যক্তির যকৃতে টিউমার ধরা পড়ায় তাঁর যকৃতের বড় একটি অংশ ফেলে দিতে হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, চীনের হেফেইয়ের আঞ্চলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তির শরীরে শূকরের যকৃৎ ৩৮ দিন ধরে কার্যকর ছিল। পরে কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় সেটি অপসারণ করা হয়। অপসারণের পর তিনি আবারও সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে প্রথম অপারেশনের ১৭১ দিন পরে তিনি মারা যান। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ ছিল পরিপাকতন্ত্রে বারবার রক্তক্ষরণ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের জন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে। শূকরের অঙ্গ মানুষের অঙ্গের মতো জটিল এবং আকারে প্রায় অনুরূপ। যুক্তরাজ্যে যকৃৎ প্রতিস্থাপনের জন্য সাধারণত কোনো একজন ব্যক্তিকে গড়ে ছয় মাস অপেক্ষা করতে হয়। একজন রোগীর জন্য উপযুক্ত রক্তের ধরন, আকার এবং অন্যান্য শর্ত মিলিয়ে দাতা খুঁজে পাওয়া প্রয়োজন।
শূকরের হৃৎপিণ্ড এবং কিডনি প্রতিস্থাপন এরই মধ্যে হয়েছে। কিন্তু যকৃৎ বেশ জটিল অঙ্গ। হৃৎপিণ্ড কেবল রক্ত পাম্প করে, কিডনি বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার করে। যকৃৎ রক্ত ফিল্টার করে, পুষ্টি তৈরি করে, ক্ষতিকারক পদার্থ আলাদা করে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, শক্তি সংরক্ষণ করে, ইমিউন বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সংকেত পাঠায় এবং চর্বি ও কোলেস্টেরল ভাঙে।
শূকরের যকৃৎ যাতে মানুষের শরীরে ভালোমতো খাপ খাইয়ে নিতে পারে—এ জন্য বিজ্ঞানীরা শূকরের কিছু জিনগত পরিবর্তন আনেন। এতে কিছু মানবীয় জিন যুক্ত করা হয় এবং শূকরের বৈশিষ্ট্যের কিছু জিন সরানো হয়। এতে মানুষের দেহ শূকরের যকৃৎকে পৃথক কোনো প্রাণীর বলে চিহ্নিত করতে পারে। ২০২৪ সালে মার্চে আরেক চীনা রোগীর ওপর একই ধরনের পরীক্ষা করা হয়।
গবেষক দল একটি ক্ষুদ্র শূকরকে ১১ মাস বয়স পর্যন্ত বড় করে। এই সময়ের মধ্যে এই শূকরটির যকৃতে ১০টি জিন পরিবর্তন করা হয়। এরপর সেটি পরিপূর্ণ হয়ে ওঠার পর প্রতিস্থাপন করা হয়। এই যকৃতের ওজন আধা কেজিরও বেশি। রোগীর নিজের অবশিষ্ট যকৃতের সঙ্গে শূকরের যকৃৎ সংযুক্ত করা হয়, যাতে দুটি যকৃৎ একসঙ্গে কাজ করে। শূকরের যকৃতের মোট তিনটি জিন সরানো হয় এবং সাতটি মানবীয় জিন যুক্ত করা হয়েছিল।
গবেষণার প্রধান ড. বেইচেং সুন বলেন, ‘এই কেস প্রমাণ করে যে, জেনেটিকভাবে পরিবর্তিত শূকরের যকৃৎ মানুষের মধ্যে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, যা আশাব্যঞ্জক এবং একই সঙ্গে বাকি চ্যালেঞ্জ—বিশেষ করে রক্ত জমাট বাঁধা সমস্যা এবং ইমিউন জটিলতা—কীভাবে সমাধান করতে হবে তার পথ দেখিয়েছে।’
জার্নাল অব হেপাটোলজির সহসম্পাদক ড. হেইনার ওয়েডেমেয়ার বলেন, ‘এটি দেখাচ্ছে যে, জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত শূকরের যকৃৎ মানুষের শরীরে কাজ করতে পারে। একই সঙ্গে, এটি ভবিষ্যতে ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে কিছু চ্যালেঞ্জও দেখাচ্ছে। জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যকৃতের সমস্যায় থাকা রোগীদের জন্য নতুন পথ খুলে দিতে পারে। যকৃৎ প্রতিস্থাপনের একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অভাব এবং দীর্ঘ অপেক্ষার সমস্যার সমাধান করতে পারে। তবে পুরোপুরি নিরাপদ এবং কার্যকর করতে এখনো অনেক গবেষণা প্রয়োজন।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনের এক ৭১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রথম জীবিত মানুষ হিসেবে শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপনের পর প্রায় ছয় মাস বেঁচে ছিলেন। ২০২৪ সালের মে মাসে ওই ব্যক্তির যকৃতের বড় অংশ কেটে ফেলার পর, শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই ব্যক্তির যকৃতে টিউমার ধরা পড়ায় তাঁর যকৃতের বড় একটি অংশ ফেলে দিতে হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, চীনের হেফেইয়ের আঞ্চলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তির শরীরে শূকরের যকৃৎ ৩৮ দিন ধরে কার্যকর ছিল। পরে কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় সেটি অপসারণ করা হয়। অপসারণের পর তিনি আবারও সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে প্রথম অপারেশনের ১৭১ দিন পরে তিনি মারা যান। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ ছিল পরিপাকতন্ত্রে বারবার রক্তক্ষরণ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের জন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে। শূকরের অঙ্গ মানুষের অঙ্গের মতো জটিল এবং আকারে প্রায় অনুরূপ। যুক্তরাজ্যে যকৃৎ প্রতিস্থাপনের জন্য সাধারণত কোনো একজন ব্যক্তিকে গড়ে ছয় মাস অপেক্ষা করতে হয়। একজন রোগীর জন্য উপযুক্ত রক্তের ধরন, আকার এবং অন্যান্য শর্ত মিলিয়ে দাতা খুঁজে পাওয়া প্রয়োজন।
শূকরের হৃৎপিণ্ড এবং কিডনি প্রতিস্থাপন এরই মধ্যে হয়েছে। কিন্তু যকৃৎ বেশ জটিল অঙ্গ। হৃৎপিণ্ড কেবল রক্ত পাম্প করে, কিডনি বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার করে। যকৃৎ রক্ত ফিল্টার করে, পুষ্টি তৈরি করে, ক্ষতিকারক পদার্থ আলাদা করে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, শক্তি সংরক্ষণ করে, ইমিউন বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সংকেত পাঠায় এবং চর্বি ও কোলেস্টেরল ভাঙে।
শূকরের যকৃৎ যাতে মানুষের শরীরে ভালোমতো খাপ খাইয়ে নিতে পারে—এ জন্য বিজ্ঞানীরা শূকরের কিছু জিনগত পরিবর্তন আনেন। এতে কিছু মানবীয় জিন যুক্ত করা হয় এবং শূকরের বৈশিষ্ট্যের কিছু জিন সরানো হয়। এতে মানুষের দেহ শূকরের যকৃৎকে পৃথক কোনো প্রাণীর বলে চিহ্নিত করতে পারে। ২০২৪ সালে মার্চে আরেক চীনা রোগীর ওপর একই ধরনের পরীক্ষা করা হয়।
গবেষক দল একটি ক্ষুদ্র শূকরকে ১১ মাস বয়স পর্যন্ত বড় করে। এই সময়ের মধ্যে এই শূকরটির যকৃতে ১০টি জিন পরিবর্তন করা হয়। এরপর সেটি পরিপূর্ণ হয়ে ওঠার পর প্রতিস্থাপন করা হয়। এই যকৃতের ওজন আধা কেজিরও বেশি। রোগীর নিজের অবশিষ্ট যকৃতের সঙ্গে শূকরের যকৃৎ সংযুক্ত করা হয়, যাতে দুটি যকৃৎ একসঙ্গে কাজ করে। শূকরের যকৃতের মোট তিনটি জিন সরানো হয় এবং সাতটি মানবীয় জিন যুক্ত করা হয়েছিল।
গবেষণার প্রধান ড. বেইচেং সুন বলেন, ‘এই কেস প্রমাণ করে যে, জেনেটিকভাবে পরিবর্তিত শূকরের যকৃৎ মানুষের মধ্যে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, যা আশাব্যঞ্জক এবং একই সঙ্গে বাকি চ্যালেঞ্জ—বিশেষ করে রক্ত জমাট বাঁধা সমস্যা এবং ইমিউন জটিলতা—কীভাবে সমাধান করতে হবে তার পথ দেখিয়েছে।’
জার্নাল অব হেপাটোলজির সহসম্পাদক ড. হেইনার ওয়েডেমেয়ার বলেন, ‘এটি দেখাচ্ছে যে, জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত শূকরের যকৃৎ মানুষের শরীরে কাজ করতে পারে। একই সঙ্গে, এটি ভবিষ্যতে ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে কিছু চ্যালেঞ্জও দেখাচ্ছে। জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যকৃতের সমস্যায় থাকা রোগীদের জন্য নতুন পথ খুলে দিতে পারে। যকৃৎ প্রতিস্থাপনের একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অভাব এবং দীর্ঘ অপেক্ষার সমস্যার সমাধান করতে পারে। তবে পুরোপুরি নিরাপদ এবং কার্যকর করতে এখনো অনেক গবেষণা প্রয়োজন।

চীনের এক ৭১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রথম জীবিত মানুষ হিসেবে শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপনের পর প্রায় ছয় মাস বেঁচে ছিলেন। ২০২৪ সালের মে মাসে ওই ব্যক্তির যকৃতের বড় অংশ কেটে ফেলার পর, শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই ব্যক্তির যকৃতে টিউমার ধরা পড়ায় তাঁর যকৃতের বড় একটি অংশ ফেলে দিতে হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, চীনের হেফেইয়ের আঞ্চলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই ব্যক্তির শরীরে শূকরের যকৃৎ ৩৮ দিন ধরে কার্যকর ছিল। পরে কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় সেটি অপসারণ করা হয়। অপসারণের পর তিনি আবারও সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে প্রথম অপারেশনের ১৭১ দিন পরে তিনি মারা যান। তবে তাঁর মৃত্যুর কারণ ছিল পরিপাকতন্ত্রে বারবার রক্তক্ষরণ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের জন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে। শূকরের অঙ্গ মানুষের অঙ্গের মতো জটিল এবং আকারে প্রায় অনুরূপ। যুক্তরাজ্যে যকৃৎ প্রতিস্থাপনের জন্য সাধারণত কোনো একজন ব্যক্তিকে গড়ে ছয় মাস অপেক্ষা করতে হয়। একজন রোগীর জন্য উপযুক্ত রক্তের ধরন, আকার এবং অন্যান্য শর্ত মিলিয়ে দাতা খুঁজে পাওয়া প্রয়োজন।
শূকরের হৃৎপিণ্ড এবং কিডনি প্রতিস্থাপন এরই মধ্যে হয়েছে। কিন্তু যকৃৎ বেশ জটিল অঙ্গ। হৃৎপিণ্ড কেবল রক্ত পাম্প করে, কিডনি বর্জ্য পদার্থ ফিল্টার করে। যকৃৎ রক্ত ফিল্টার করে, পুষ্টি তৈরি করে, ক্ষতিকারক পদার্থ আলাদা করে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, শক্তি সংরক্ষণ করে, ইমিউন বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় সংকেত পাঠায় এবং চর্বি ও কোলেস্টেরল ভাঙে।
শূকরের যকৃৎ যাতে মানুষের শরীরে ভালোমতো খাপ খাইয়ে নিতে পারে—এ জন্য বিজ্ঞানীরা শূকরের কিছু জিনগত পরিবর্তন আনেন। এতে কিছু মানবীয় জিন যুক্ত করা হয় এবং শূকরের বৈশিষ্ট্যের কিছু জিন সরানো হয়। এতে মানুষের দেহ শূকরের যকৃৎকে পৃথক কোনো প্রাণীর বলে চিহ্নিত করতে পারে। ২০২৪ সালে মার্চে আরেক চীনা রোগীর ওপর একই ধরনের পরীক্ষা করা হয়।
গবেষক দল একটি ক্ষুদ্র শূকরকে ১১ মাস বয়স পর্যন্ত বড় করে। এই সময়ের মধ্যে এই শূকরটির যকৃতে ১০টি জিন পরিবর্তন করা হয়। এরপর সেটি পরিপূর্ণ হয়ে ওঠার পর প্রতিস্থাপন করা হয়। এই যকৃতের ওজন আধা কেজিরও বেশি। রোগীর নিজের অবশিষ্ট যকৃতের সঙ্গে শূকরের যকৃৎ সংযুক্ত করা হয়, যাতে দুটি যকৃৎ একসঙ্গে কাজ করে। শূকরের যকৃতের মোট তিনটি জিন সরানো হয় এবং সাতটি মানবীয় জিন যুক্ত করা হয়েছিল।
গবেষণার প্রধান ড. বেইচেং সুন বলেন, ‘এই কেস প্রমাণ করে যে, জেনেটিকভাবে পরিবর্তিত শূকরের যকৃৎ মানুষের মধ্যে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, যা আশাব্যঞ্জক এবং একই সঙ্গে বাকি চ্যালেঞ্জ—বিশেষ করে রক্ত জমাট বাঁধা সমস্যা এবং ইমিউন জটিলতা—কীভাবে সমাধান করতে হবে তার পথ দেখিয়েছে।’
জার্নাল অব হেপাটোলজির সহসম্পাদক ড. হেইনার ওয়েডেমেয়ার বলেন, ‘এটি দেখাচ্ছে যে, জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত শূকরের যকৃৎ মানুষের শরীরে কাজ করতে পারে। একই সঙ্গে, এটি ভবিষ্যতে ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে কিছু চ্যালেঞ্জও দেখাচ্ছে। জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত শূকরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যকৃতের সমস্যায় থাকা রোগীদের জন্য নতুন পথ খুলে দিতে পারে। যকৃৎ প্রতিস্থাপনের একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অভাব এবং দীর্ঘ অপেক্ষার সমস্যার সমাধান করতে পারে। তবে পুরোপুরি নিরাপদ এবং কার্যকর করতে এখনো অনেক গবেষণা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্ট
৩ দিন আগে
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারা দেশে ৬১০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৪ দিন আগে
দেশে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে নভেম্বর মাস অন্য সব মাসকে ছাড়িয়ে গেছে। এ মাসে ২৪ হাজার ৫৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং ৯৯ জন মারা গেছে। আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ দিন আগে
গলা বা বুক জ্বালাপোড়া, টক কিংবা তিতা ঢেকুর, খাবার ওপরে উঠে আসা, গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি, খাবার গিলতে কষ্ট, এমনকি স্বর ভাঙা—এসব উপসর্গে হরহামেশা মানুষ ভোগে। এগুলো একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং কাজের সক্ষমতা ব্যাহত করে। ইএনটি চিকিৎসায় আমরা অনেক সময় গলা পরীক্ষা করে কোনো ক্ষত...
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল শাখা আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ বছরের বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘সব বাধা দূর করি, এইডসমুক্ত সমাজ গড়ি’।
কোনো ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে একপর্যায়ে তার এইডস হতে পারে। মারাত্মক এই ভাইরাস ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলে। কোনো রোগের বিরুদ্ধেই শরীর লড়তে পারে না। সেই অবস্থাকে বলা হয় এইডস রোগ। এইচআইভির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর প্রতিষেধক দীর্ঘদিনের চেষ্টায়ও তৈরি করা সম্ভব হয়নি। প্রতিরোধই এই রোগের বিস্তার ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র।
সরকারের তথ্য বলছে, এ বছরের প্রায় ২ হাজার শনাক্তের মধ্যে ২১৭ জনই মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। দেশে বর্তমানে এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০। দেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এরপর প্রতিবছর এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। দু-এক বছর আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও সামগ্রিকভাবে দিনে দিনে বেড়েছে।
চলতি বছরের আক্রান্তের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরে দেশে এইচআইভি শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের ৮১ শতাংশই পুরুষ। এ ছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির অর্ধেক পুরুষ সমকামী ও পুরুষ যৌনকর্মী।
প্রসঙ্গত, এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে অনিরাপদ শারীরিক মিলন, চিকিৎসার সময় এই ভাইরাসে সংক্রমিত রক্ত নেওয়ার মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে। অন্যের ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সেলুনের সংক্রমিত ক্ষুর-কাঁচির মাধ্যমেও ছড়ায় এই ভাইরাস।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এইডস/এসটিডি কর্মসূচি) ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘দেশে অনুমিত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০। এর ৮১.৮৮ শতাংশকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ চিকিৎসার আওতায় আছে। আর যারা চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদের ৯১ শতাংশের শরীরে ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে।’
ডা. মো. খায়রুজ্জামান জানান, দেশে এ পর্যন্ত এইচআইভি শনাক্ত মানুষের মধ্যে ৮ হাজার ৩০০ জন চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৬৬৬ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের বছর
বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এরপর প্রতিবছর এই ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। ২০২০ সালে করোনার ব্যাপক সংক্রমণের বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে এইচআইভি শনাক্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত বছর শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৩৮। এ বছর সংখ্যাটি ১ হাজার ৮৯১ জন; যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ৭২৯ জন, ২০২২ সালে ৯৪৭ জন, ২০২৩ সালে ১ হাজার ২৭৬ জন এবং ২০২৪ সালে ১ হাজার ৪৩৮ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ২০৫, ২৩২, ২৬৬ এবং ১৯৫ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (৬২.৬১ শতাংশ) হচ্ছে ২৫-৪৯ বছর বয়সের। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪ শতাংশ পুরুষ সমকামী, এরপর ১৪ শতাংশ পুরুষ যৌনকর্মী, ১২ শতাংশ প্রবাসী, ১১ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, মাদক সেবনকারী ৬ শতাংশ, তৃতীয় লিঙ্গ ও নারী যৌনকর্মী ১ শতাংশ করে। এ ছাড়া অন্যান্য ১১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ৬৫০ জন ভাইরাস বাহক শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭৬ জন ও খুলনা বিভাগে ২০৮ জন।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, দেশে এইডস রোগের প্রকৃত পরিস্থিতি কী, যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা কতটা নির্ভরযোগ্য—এসব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন ১৭ হাজারের বেশি এইচআইভির বাহক রয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন, ‘শনাক্তের বাইরে এখনো অনেক রোগী রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে আমাদের খুব সতর্ক হতে হবে। কত রোগী শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে, তা জানতে জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবস্থাপনায় আরও জোর দিতে হবে।’
বেশির ভাগ এইডস রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাঁরা নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ওষুধ নিয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট ওষুধ সেবনের মাধ্যমেই কেবল এইডসের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এর চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। তবে দেশে শুধু সরকারি পর্যায়েই এইচআইভির চিকিৎসা রয়েছে। ২৭টি সরকারি কেন্দ্রে শনাক্তকরণ এবং ১৩টি কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভর্তি থেকে চিকিৎসার সুযোগ আছে কেবল রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে।

বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল শাখা আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ বছরের বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘সব বাধা দূর করি, এইডসমুক্ত সমাজ গড়ি’।
কোনো ব্যক্তি এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে একপর্যায়ে তার এইডস হতে পারে। মারাত্মক এই ভাইরাস ধীরে ধীরে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলে। কোনো রোগের বিরুদ্ধেই শরীর লড়তে পারে না। সেই অবস্থাকে বলা হয় এইডস রোগ। এইচআইভির বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর প্রতিষেধক দীর্ঘদিনের চেষ্টায়ও তৈরি করা সম্ভব হয়নি। প্রতিরোধই এই রোগের বিস্তার ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র।
সরকারের তথ্য বলছে, এ বছরের প্রায় ২ হাজার শনাক্তের মধ্যে ২১৭ জনই মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। দেশে বর্তমানে এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০। দেশে ১৯৮৯ সালে প্রথম এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তি শনাক্ত হয়। এরপর প্রতিবছর এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। দু-এক বছর আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও সামগ্রিকভাবে দিনে দিনে বেড়েছে।
চলতি বছরের আক্রান্তের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরে দেশে এইচআইভি শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের ৮১ শতাংশই পুরুষ। এ ছাড়া সংক্রমিত ব্যক্তির অর্ধেক পুরুষ সমকামী ও পুরুষ যৌনকর্মী।
প্রসঙ্গত, এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে অনিরাপদ শারীরিক মিলন, চিকিৎসার সময় এই ভাইরাসে সংক্রমিত রক্ত নেওয়ার মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে। অন্যের ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ বা সেলুনের সংক্রমিত ক্ষুর-কাঁচির মাধ্যমেও ছড়ায় এই ভাইরাস।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এইডস/এসটিডি কর্মসূচি) ডা. মো. খায়রুজ্জামান বলেন, ‘দেশে অনুমিত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৮০। এর ৮১.৮৮ শতাংশকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ চিকিৎসার আওতায় আছে। আর যারা চিকিৎসা নিচ্ছে, তাদের ৯১ শতাংশের শরীরে ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে।’
ডা. মো. খায়রুজ্জামান জানান, দেশে এ পর্যন্ত এইচআইভি শনাক্ত মানুষের মধ্যে ৮ হাজার ৩০০ জন চিকিৎসাধীন। এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৬৬৬ জন।
সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের বছর
বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। এরপর প্রতিবছর এই ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তি পাওয়া গেছে। ২০২০ সালে করোনার ব্যাপক সংক্রমণের বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে এইচআইভি শনাক্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত বছর শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৩৮। এ বছর সংখ্যাটি ১ হাজার ৮৯১ জন; যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ৭২৯ জন, ২০২২ সালে ৯৪৭ জন, ২০২৩ সালে ১ হাজার ২৭৬ জন এবং ২০২৪ সালে ১ হাজার ৪৩৮ জন। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ২০৫, ২৩২, ২৬৬ এবং ১৯৫ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি (৬২.৬১ শতাংশ) হচ্ছে ২৫-৪৯ বছর বয়সের। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪ শতাংশ পুরুষ সমকামী, এরপর ১৪ শতাংশ পুরুষ যৌনকর্মী, ১২ শতাংশ প্রবাসী, ১১ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, মাদক সেবনকারী ৬ শতাংশ, তৃতীয় লিঙ্গ ও নারী যৌনকর্মী ১ শতাংশ করে। এ ছাড়া অন্যান্য ১১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ৬৫০ জন ভাইরাস বাহক শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৭৬ জন ও খুলনা বিভাগে ২০৮ জন।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, দেশে এইডস রোগের প্রকৃত পরিস্থিতি কী, যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা কতটা নির্ভরযোগ্য—এসব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখন ১৭ হাজারের বেশি এইচআইভির বাহক রয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন, ‘শনাক্তের বাইরে এখনো অনেক রোগী রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে আমাদের খুব সতর্ক হতে হবে। কত রোগী শনাক্তের বাইরে রয়ে গেছে, তা জানতে জনবল বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবস্থাপনায় আরও জোর দিতে হবে।’
বেশির ভাগ এইডস রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। তাঁরা নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ওষুধ নিয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট ওষুধ সেবনের মাধ্যমেই কেবল এইডসের ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এর চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। তবে দেশে শুধু সরকারি পর্যায়েই এইচআইভির চিকিৎসা রয়েছে। ২৭টি সরকারি কেন্দ্রে শনাক্তকরণ এবং ১৩টি কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভর্তি থেকে চিকিৎসার সুযোগ আছে কেবল রাজধানীর মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে।

চীনের এক ৭১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রথম জীবিত মানুষ হিসেবে শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপনের পর প্রায় ছয় মাস বেঁচে ছিলেন। ২০২৪ সালের মে মাসে ওই ব্যক্তির যকৃতের বড় অংশ কেটে ফেলার পর, শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই ব্যক্তির যকৃতে টিউমার ধরা পড়ায় তাঁর যকৃতের বড় একটি অংশ ফেলে দিতে হয়।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারা দেশে ৬১০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৪ দিন আগে
দেশে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে নভেম্বর মাস অন্য সব মাসকে ছাড়িয়ে গেছে। এ মাসে ২৪ হাজার ৫৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং ৯৯ জন মারা গেছে। আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ দিন আগে
গলা বা বুক জ্বালাপোড়া, টক কিংবা তিতা ঢেকুর, খাবার ওপরে উঠে আসা, গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি, খাবার গিলতে কষ্ট, এমনকি স্বর ভাঙা—এসব উপসর্গে হরহামেশা মানুষ ভোগে। এগুলো একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং কাজের সক্ষমতা ব্যাহত করে। ইএনটি চিকিৎসায় আমরা অনেক সময় গলা পরীক্ষা করে কোনো ক্ষত...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারা দেশে ৬১০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮১ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৭১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০২ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২ জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬ জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এযাবৎ ৯২ হাজার ৬১৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা দুজনই পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৪৫ ও ২৫ বছর। চলতি বছরে এযাবৎ ডেঙ্গুতে ৩৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ হাজার ১২ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারা দেশে ৬১০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২২ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮১ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৭১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০২ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২ জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬ জন রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এযাবৎ ৯২ হাজার ৬১৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা দুজনই পুরুষ। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৪৫ ও ২৫ বছর। চলতি বছরে এযাবৎ ডেঙ্গুতে ৩৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯৫ হাজার ১২ জন। এর মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ও ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।

চীনের এক ৭১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রথম জীবিত মানুষ হিসেবে শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপনের পর প্রায় ছয় মাস বেঁচে ছিলেন। ২০২৪ সালের মে মাসে ওই ব্যক্তির যকৃতের বড় অংশ কেটে ফেলার পর, শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই ব্যক্তির যকৃতে টিউমার ধরা পড়ায় তাঁর যকৃতের বড় একটি অংশ ফেলে দিতে হয়।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্ট
৩ দিন আগে
দেশে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে নভেম্বর মাস অন্য সব মাসকে ছাড়িয়ে গেছে। এ মাসে ২৪ হাজার ৫৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং ৯৯ জন মারা গেছে। আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ দিন আগে
গলা বা বুক জ্বালাপোড়া, টক কিংবা তিতা ঢেকুর, খাবার ওপরে উঠে আসা, গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি, খাবার গিলতে কষ্ট, এমনকি স্বর ভাঙা—এসব উপসর্গে হরহামেশা মানুষ ভোগে। এগুলো একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং কাজের সক্ষমতা ব্যাহত করে। ইএনটি চিকিৎসায় আমরা অনেক সময় গলা পরীক্ষা করে কোনো ক্ষত...
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে নভেম্বর মাস অন্য সব মাসকে ছাড়িয়ে গেছে। এ মাসে ২৪ হাজার ৫৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং ৯৯ জন মারা গেছে।
আজ রোববার (৩০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৬৩৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচজনের। চলতি বছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট ৯২ হাজার ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী; তাদের মধ্যে ৩৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ হাজার ৫২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩, জুনে ৫ হাজার ৯৫১, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ ও সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যার ক্ষেত্রেও অক্টোবর এ বছরের দ্বিতীয় অবস্থানে। এ মাসে ডেঙ্গুতে ৮০ জন মারা যায়। জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ জন মারা যায়। তবে এ রোগে মার্চে কোনো মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আজকের তথ্যে জানানো হয়েছে, গত এক দিনে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে পাঁচ বছরের এক কন্যাশিশু রয়েছে। অন্যদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৩৯, ৬৪, ১৮ ও ৫৯ বছর।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীর মধ্যে ২২১ জন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার। এ ছাড়া রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ১১৬ জন, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৬, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুই ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রোগী ভর্তি হয়েছে।

দেশে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে নভেম্বর মাস অন্য সব মাসকে ছাড়িয়ে গেছে। এ মাসে ২৪ হাজার ৫৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং ৯৯ জন মারা গেছে।
আজ রোববার (৩০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৬৩৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচজনের। চলতি বছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মোট ৯২ হাজার ২৫ জন ডেঙ্গু রোগী; তাদের মধ্যে ৩৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের অক্টোবরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ হাজার ৫২০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জানুয়ারিতে ১ হাজার ১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬, এপ্রিলে ৭০১, মে মাসে ১ হাজার ৭৭৩, জুনে ৫ হাজার ৯৫১, জুলাইয়ে ১০ হাজার ৬৮৪, আগস্টে ১০ হাজার ৪৯৬ ও সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে।
ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যার ক্ষেত্রেও অক্টোবর এ বছরের দ্বিতীয় অবস্থানে। এ মাসে ডেঙ্গুতে ৮০ জন মারা যায়। জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, আগস্টে ৩৯, সেপ্টেম্বরে ৭৬ জন মারা যায়। তবে এ রোগে মার্চে কোনো মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আজকের তথ্যে জানানো হয়েছে, গত এক দিনে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে পাঁচ বছরের এক কন্যাশিশু রয়েছে। অন্যদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৩৯, ৬৪, ১৮ ও ৫৯ বছর।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি নতুন রোগীর মধ্যে ২২১ জন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার। এ ছাড়া রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ১১৬ জন, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৫, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৬, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুই ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন রোগী ভর্তি হয়েছে।

চীনের এক ৭১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রথম জীবিত মানুষ হিসেবে শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপনের পর প্রায় ছয় মাস বেঁচে ছিলেন। ২০২৪ সালের মে মাসে ওই ব্যক্তির যকৃতের বড় অংশ কেটে ফেলার পর, শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই ব্যক্তির যকৃতে টিউমার ধরা পড়ায় তাঁর যকৃতের বড় একটি অংশ ফেলে দিতে হয়।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্ট
৩ দিন আগে
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারা দেশে ৬১০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৪ দিন আগে
গলা বা বুক জ্বালাপোড়া, টক কিংবা তিতা ঢেকুর, খাবার ওপরে উঠে আসা, গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি, খাবার গিলতে কষ্ট, এমনকি স্বর ভাঙা—এসব উপসর্গে হরহামেশা মানুষ ভোগে। এগুলো একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং কাজের সক্ষমতা ব্যাহত করে। ইএনটি চিকিৎসায় আমরা অনেক সময় গলা পরীক্ষা করে কোনো ক্ষত...
৬ দিন আগেডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী

গলা বা বুক জ্বালাপোড়া, টক কিংবা তিতা ঢেকুর, খাবার ওপরে উঠে আসা, গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি, খাবার গিলতে কষ্ট, এমনকি স্বর ভাঙা—এসব উপসর্গে হরহামেশা মানুষ ভোগে। এগুলো একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং কাজের সক্ষমতা ব্যাহত করে। ইএনটি চিকিৎসায় আমরা অনেক সময় গলা পরীক্ষা করে কোনো ক্ষত, প্রদাহ বা সিরিয়াস প্যাথলজি না পেলে এসব সমস্যার মূল কারণ হিসেবে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিআরইডি) শনাক্ত করি।
১৯৯৯ সাল থেকে প্রতি নভেম্বর মাসে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ সচেতনতা সপ্তাহ। এ বছরও ২৩-২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জিআরইডি সচেতনতা সপ্তাহ ২০২৫।
এই বছরের মূল বিষয় হলো, ‘চলুন, জিআরইডি নিয়ে কথা বলি’; যা রোগীর উপসর্গ, চিকিৎসা ও ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করার গুরুত্বকে আরও জোরদার করে।
বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ১৫ জন জিআরইডিতে ভুগছেন। ইউরোপ ও আমেরিকায় এর প্রকোপ বেশি হলেও এশিয়ায়, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ায় রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। প্রতিরোধ সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে অনেক রোগী জটিলতায় পড়েন এবং দীর্ঘদিন ওষুধনির্ভর থাকতে হয়।
গলা ও বুক জ্বালাপোড়া কেন হয়
‘গ্যাস্ট্রো’ বলতে পাকস্থলী আর ‘ইসোফেগাস’ বলতে খাদ্যনালিকে বোঝায়। সাধারণত খাবার খাদ্যনালি দিয়ে নিচের দিকে পাকস্থলীতে নামে। কিন্তু কোনো কারণে এই স্বাভাবিক পথ ব্যাহত হলে পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালির ওপরের দিকে উঠে আসে। এই অ্যাসিডই গলা ও বুক জ্বালাপোড়া, টক ঢেকুরসহ নানা উপসর্গ তৈরি করে।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে সতর্কতা
বুক জ্বালাপোড়া সব সময় জিআরইডি না-ও হতে পারে। তবে হৃদ্রোগের কারণেও একই উপসর্গ হতে পারে। পার্থক্য বোঝার জন্য কিছু লক্ষণ জানা খুব জরুরি।
প্রতিরোধে যা করবেন
লেখক: আবাসিক সার্জন (ইএনটি), সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

গলা বা বুক জ্বালাপোড়া, টক কিংবা তিতা ঢেকুর, খাবার ওপরে উঠে আসা, গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি, খাবার গিলতে কষ্ট, এমনকি স্বর ভাঙা—এসব উপসর্গে হরহামেশা মানুষ ভোগে। এগুলো একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন এবং কাজের সক্ষমতা ব্যাহত করে। ইএনটি চিকিৎসায় আমরা অনেক সময় গলা পরীক্ষা করে কোনো ক্ষত, প্রদাহ বা সিরিয়াস প্যাথলজি না পেলে এসব সমস্যার মূল কারণ হিসেবে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ (জিআরইডি) শনাক্ত করি।
১৯৯৯ সাল থেকে প্রতি নভেম্বর মাসে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ সচেতনতা সপ্তাহ। এ বছরও ২৩-২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জিআরইডি সচেতনতা সপ্তাহ ২০২৫।
এই বছরের মূল বিষয় হলো, ‘চলুন, জিআরইডি নিয়ে কথা বলি’; যা রোগীর উপসর্গ, চিকিৎসা ও ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করার গুরুত্বকে আরও জোরদার করে।
বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ১৫ জন জিআরইডিতে ভুগছেন। ইউরোপ ও আমেরিকায় এর প্রকোপ বেশি হলেও এশিয়ায়, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়ায় রোগীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। প্রতিরোধ সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে অনেক রোগী জটিলতায় পড়েন এবং দীর্ঘদিন ওষুধনির্ভর থাকতে হয়।
গলা ও বুক জ্বালাপোড়া কেন হয়
‘গ্যাস্ট্রো’ বলতে পাকস্থলী আর ‘ইসোফেগাস’ বলতে খাদ্যনালিকে বোঝায়। সাধারণত খাবার খাদ্যনালি দিয়ে নিচের দিকে পাকস্থলীতে নামে। কিন্তু কোনো কারণে এই স্বাভাবিক পথ ব্যাহত হলে পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালির ওপরের দিকে উঠে আসে। এই অ্যাসিডই গলা ও বুক জ্বালাপোড়া, টক ঢেকুরসহ নানা উপসর্গ তৈরি করে।
বয়স্কদের ক্ষেত্রে সতর্কতা
বুক জ্বালাপোড়া সব সময় জিআরইডি না-ও হতে পারে। তবে হৃদ্রোগের কারণেও একই উপসর্গ হতে পারে। পার্থক্য বোঝার জন্য কিছু লক্ষণ জানা খুব জরুরি।
প্রতিরোধে যা করবেন
লেখক: আবাসিক সার্জন (ইএনটি), সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

চীনের এক ৭১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রথম জীবিত মানুষ হিসেবে শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপনের পর প্রায় ছয় মাস বেঁচে ছিলেন। ২০২৪ সালের মে মাসে ওই ব্যক্তির যকৃতের বড় অংশ কেটে ফেলার পর, শূকরের যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়। ওই ব্যক্তির যকৃতে টিউমার ধরা পড়ায় তাঁর যকৃতের বড় একটি অংশ ফেলে দিতে হয়।
০৯ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৯১ জন এইডস ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। দেশে প্রথম চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বছরওয়ারি হিসাবে এটাই সর্বোচ্চ এইচআইভি সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। একই সময়ে দেশে এইডসে মারা গেছে ২১৯ জন। আজ সোমবার বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্ট
৩ দিন আগে
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারা দেশে ৬১০ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
৪ দিন আগে
দেশে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে নভেম্বর মাস অন্য সব মাসকে ছাড়িয়ে গেছে। এ মাসে ২৪ হাজার ৫৩০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং ৯৯ জন মারা গেছে। আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৫ দিন আগে