সাবিত আল হোসেন

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম, ওজন বৃদ্ধিসহ নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এগুলো বাদ দিয়ে কম মসলাযুক্ত, বেশি আঁশসমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে হবে।
আজকের পত্রিকা: দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে সাহরিতে ভাত এবং ইফতারে ভাজাপোড়া খেয়ে আসছেন রোজাদারেরা। এই অভ্যাস কতটা প্রশান্তিদায়ক?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: আমাদের দেশের মানুষ ঐতিহ্য ও আবহাওয়া বিবেচনায় সাহরিতে ভাত খেয়ে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস যেন না হয়। সাহরিতে আমিষ ও আঁশযুক্ত খাবার, যেমন লাল চাল, লাল আটা, শাক-সবজি, বিচিজাতীয় খাদ্য; যেমন শিমের বিচি, মটরশুঁটি, ডাল খেতে হবে। এ ছাড়া ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারের তালিকায় রাখা ভালো। কারণ আমিষ ও আঁশজাতীয় খাবার ধীরে হজম হয়, ফলে ক্ষুধা অনুভব কম হয় এবং পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে ইফতারে ভাজাপোড়া ও তেলজাতীয় খাবার আমাদের দেশের মানুষের ঐতিহ্য। তবে সুস্বাস্থের জন্য অবশ্যই ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে সহজপাচ্য, তরল ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। তা না হলে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণে বেশি মসলাযুক্ত ভাজাপোড়া খাবারে অ্যাসিডিটিসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
আজকের পত্রিকা: গরমকাল বিবেচনায় রোজাদারেরা কোন ধরনের খাবার সাহরিতে খেতে পারেন বা খাওয়া উচিত?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: মার্চ-এপ্রিল সময়টা বছরের উষ্ণতম সময়। ফলে প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ ও পানি বের হয়ে যায়। এ কারণে মানুষ সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য রোজায় পানিশূন্যতা রোধে সহজে হজম হয় এমন শাকসবজি, যেমন লাউ, ঝিঙে, পটোল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া প্রভৃতি অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। বিরিয়ানি-খিচুড়ি মসলাযুক্ত খাবার হজমে প্রচুর পানি পরিশোষণ হয়; যার কারণে রোজাদার তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়তে পারেন। ফলে এই খাবারগুলো বর্জন করতে হবে। এ ছাড়া সাহরিতে চা ও কফি পান না করাই ভালো। এগুলোতে থাকা ক্যাফেইন তৃষ্ণার সৃষ্টি করে, অ্যাসিডিটি উৎপন্ন করে এবং খাদ্যের পুষ্টি পরিশোষণে বাধা দেয়।
আজকের পত্রিকা: এ সময় ইফতারে কোন ধরনের খাবার রাখা উচিত?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: রোজায় দীর্ঘ বিরতিতে না খেয়ে থাকার ফলে শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভূত হয়। এ জন্য সহজপাচ্য রসালো ও তরলজাতীয় খাবার দিয়ে ইফতারি শুরু করা উচিত। ঘরে তৈরি তাজা ফলের শরবত, ডাবের পানি, তোকমা, ইসবগুল প্রভৃতি খাওয়া যেতে পারে, যা দেহের পানি ও লবণের (ইলেকট্রোলাইট) ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধে কাজ করবে। এ ছাড়া যেকোনো মিষ্টি ফল—যেমন খেজুর, তরমুজ, কলা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে, যা দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করবে। পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সহজে হজম হয় এমন খাবার ইফতারে রাখা যেতে পারে, যেমন সেদ্ধ ছোলা, দই-চিড়া, সবজিখিচুড়ি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং শসা-টমেটোর মিশ্রিত সালাদ প্রভৃতি। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বিরতি নিয়ে মূল খাবার শুরু করা উচিত।
আজকের পত্রিকা: আজকাল ফলের ওপর মানুষের ভরসা কমে যাচ্ছে। এর সমাধান কী?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: প্রতিদিন একজন মানুষের ১০০ গ্রাম ফল খাওয়া উচিত। এ জন্য জনগণকে ফল খেতে উৎসাহিত করতে হবে। অনেকেরই ধারণা, ফল সতেজ রাখার জন্য তাতে ফরমালিন মেশানো হয়। প্রাকৃতিকভাবেই ফলে ফরমালিন থাকে বিধায় আলাদা করে এর ব্যবহার কোনো প্রকার প্রভাব ফেলে না। তা ছাড়া ফরমালিন একটি উদ্বায়ী পদার্থ, যা সহজেই বাতাসে মিশে যায়। দীর্ঘ সময় ফল সতেজ রাখার জন্য অথবা পাকানোর জন্য অনুমোদিত ফুড গ্রেডের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় অননুমোদিত রাসায়নিক ব্যাবহার করে থাকেন, যা স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর। এটি রোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশীয় কিছু ফল, যেমন—কলা, পেয়ারা ইত্যাদি সারা বছর পাওয়া যায় এবং এগুলো দামেও সস্তা। এই ফলগুলো নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। অন্যান্য দেশীয় মৌসুমি ফল ভরা মৌসুমে নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। মৌসুমের শুরুতে অথবা অসময়ে ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ইফতারে কোন পানীয় গ্রহণযোগ্য আর কোন পানীয় বর্জনীয়?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: স্বাভাবিক অবস্থায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৭ থেকে ১৪ গ্লাস নিরাপদ পানি পান করা উচিত। ভালো পানীয় হচ্ছে আমরা সাধারণত সব সময় যে পানি পান করি। ইফতারে পানি পানের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন—সারা দিন রোজা রাখার পর খালি পেটে একসঙ্গে অনেক পানি বা শরবত পান করা উচিত নয়। একটু ধীরে ধীরে, সময় নিয়ে পানি পান করা ভালো। এ ছাড়া সাধারণ পানির বাইরে উপকারী পানীয় হলো ইসপগুল, তোকমা, চিয়া সিড ইত্যাদি দিয়ে তৈরি শরবত, টক দইয়ের শরবত, মাঠা, লেবু, ডাবের পানি, তাজা ফলের রস ইত্যাদি। কারণ, এ ধরনের শরবত সারা দিনের পানির চাহিদা পূরণ করে। একই সঙ্গে ভিটামিন আর মিনারেলেরও জোগান দেয়। ফলে আমরা খুব সহজেই সতেজ বোধ করি।
বর্জনীয় হিসেবে সব ধরনের কোমল বা সোডা পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত শরবত, জুস ইত্যাদি। সোডাজাতীয় পানীয় আমাদের খুব দ্রুত পানিশূন্য করে তোলে। এ ছাড়া বাসায় তৈরি শরবত বা ফলের জুসে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার না করা ভালো। আবার অনেকে ইফতারের সময় ফ্রিজে পানি রেখে ঠান্ডা করে খেতে পছন্দ করেন। এ বিষয়েও সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এখন প্রচুর গরম, এর মধ্যে হুট করে বেশি ঠান্ডা পানি খেলে শরীরে অনেক সময় বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে যে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, সেটি পূরণ করতে ইফতারের পর থেকে সাহরির আগ পর্যন্ত ৭ থেকে ১৪ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: রোজা এলেই অনেকের অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। এর পেছনে আসলে কোন খাবার দায়ী, নাকি অন্য কোনো সমস্যা?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: সাধারণত অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে এবং সাহরিতে বেশি মসলাযুক্ত খাবার খেলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। এ ছাড়া চা ও কফি পান, দুশ্চিতা, ধূমপান এবং অনিদ্রার কারণেও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম ও শারীরিক সক্রিয়তা এ ক্ষেত্রে কার্যকর প্রতিরোধব্যবস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে।
আজকের পত্রিকা: কর্মজীবী নারী ও পুরুষের জন্য কোন ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেবেন?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: কর্মজীবী নারী ও পুরুষকে কর্মের তাগিদে প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয়। সে জন্য তাঁদের বেশি ক্যালরি খরচ হয় এবং শরীরে প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। তাই কর্মজীবীদের উচ্চ ক্যালরি, আমিষ ও আঁশযুক্ত এবং সহজপাচ্য সুষম খাবার সাহরি ও ইফতারের সময় খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শরবত, সামর্থ্য অনুয়ায়ী দেশীয় ফল, পাতলা সবজিখিচুড়ি, ছোলা-মুড়ি, ডিম, দুধ কিংবা দুধজাত খাবার, বিভিন্ন ধলনের শাক, বিচি জাতীয়শস্য, ছোট-বড় মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ইত্যাদি খতে হবে। আমিষের জন্য অন্য কিছু জোগাড় করা না গেলেও নিদেনপক্ষে প্রতিজনের জন্য একটি করে ডিম এবং সঙ্গে এক বাটি ডাল খেতে হবে। একজন মানুষকে প্রতিদিন ৩০০ গ্রাম শাকসবজি খেতে হবে। আয়ের সঙ্গে সংগতি রেখে খাবার খেতে হবে।

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম, ওজন বৃদ্ধিসহ নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এগুলো বাদ দিয়ে কম মসলাযুক্ত, বেশি আঁশসমৃদ্ধ সুষম খাবার খেতে হবে।
আজকের পত্রিকা: দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে সাহরিতে ভাত এবং ইফতারে ভাজাপোড়া খেয়ে আসছেন রোজাদারেরা। এই অভ্যাস কতটা প্রশান্তিদায়ক?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: আমাদের দেশের মানুষ ঐতিহ্য ও আবহাওয়া বিবেচনায় সাহরিতে ভাত খেয়ে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস যেন না হয়। সাহরিতে আমিষ ও আঁশযুক্ত খাবার, যেমন লাল চাল, লাল আটা, শাক-সবজি, বিচিজাতীয় খাদ্য; যেমন শিমের বিচি, মটরশুঁটি, ডাল খেতে হবে। এ ছাড়া ডিম, দুধ ইত্যাদি খাবারের তালিকায় রাখা ভালো। কারণ আমিষ ও আঁশজাতীয় খাবার ধীরে হজম হয়, ফলে ক্ষুধা অনুভব কম হয় এবং পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে ইফতারে ভাজাপোড়া ও তেলজাতীয় খাবার আমাদের দেশের মানুষের ঐতিহ্য। তবে সুস্বাস্থের জন্য অবশ্যই ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে সহজপাচ্য, তরল ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। তা না হলে দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার কারণে বেশি মসলাযুক্ত ভাজাপোড়া খাবারে অ্যাসিডিটিসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
আজকের পত্রিকা: গরমকাল বিবেচনায় রোজাদারেরা কোন ধরনের খাবার সাহরিতে খেতে পারেন বা খাওয়া উচিত?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: মার্চ-এপ্রিল সময়টা বছরের উষ্ণতম সময়। ফলে প্রচুর ঘাম হয়। এতে শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ ও পানি বের হয়ে যায়। এ কারণে মানুষ সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য রোজায় পানিশূন্যতা রোধে সহজে হজম হয় এমন শাকসবজি, যেমন লাউ, ঝিঙে, পটোল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া প্রভৃতি অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। বিরিয়ানি-খিচুড়ি মসলাযুক্ত খাবার হজমে প্রচুর পানি পরিশোষণ হয়; যার কারণে রোজাদার তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়তে পারেন। ফলে এই খাবারগুলো বর্জন করতে হবে। এ ছাড়া সাহরিতে চা ও কফি পান না করাই ভালো। এগুলোতে থাকা ক্যাফেইন তৃষ্ণার সৃষ্টি করে, অ্যাসিডিটি উৎপন্ন করে এবং খাদ্যের পুষ্টি পরিশোষণে বাধা দেয়।
আজকের পত্রিকা: এ সময় ইফতারে কোন ধরনের খাবার রাখা উচিত?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: রোজায় দীর্ঘ বিরতিতে না খেয়ে থাকার ফলে শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভূত হয়। এ জন্য সহজপাচ্য রসালো ও তরলজাতীয় খাবার দিয়ে ইফতারি শুরু করা উচিত। ঘরে তৈরি তাজা ফলের শরবত, ডাবের পানি, তোকমা, ইসবগুল প্রভৃতি খাওয়া যেতে পারে, যা দেহের পানি ও লবণের (ইলেকট্রোলাইট) ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করবে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধে কাজ করবে। এ ছাড়া যেকোনো মিষ্টি ফল—যেমন খেজুর, তরমুজ, কলা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে, যা দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ করতে সহায়তা করবে। পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সহজে হজম হয় এমন খাবার ইফতারে রাখা যেতে পারে, যেমন সেদ্ধ ছোলা, দই-চিড়া, সবজিখিচুড়ি, বিভিন্ন ধরনের বাদাম এবং শসা-টমেটোর মিশ্রিত সালাদ প্রভৃতি। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বিরতি নিয়ে মূল খাবার শুরু করা উচিত।
আজকের পত্রিকা: আজকাল ফলের ওপর মানুষের ভরসা কমে যাচ্ছে। এর সমাধান কী?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: প্রতিদিন একজন মানুষের ১০০ গ্রাম ফল খাওয়া উচিত। এ জন্য জনগণকে ফল খেতে উৎসাহিত করতে হবে। অনেকেরই ধারণা, ফল সতেজ রাখার জন্য তাতে ফরমালিন মেশানো হয়। প্রাকৃতিকভাবেই ফলে ফরমালিন থাকে বিধায় আলাদা করে এর ব্যবহার কোনো প্রকার প্রভাব ফেলে না। তা ছাড়া ফরমালিন একটি উদ্বায়ী পদার্থ, যা সহজেই বাতাসে মিশে যায়। দীর্ঘ সময় ফল সতেজ রাখার জন্য অথবা পাকানোর জন্য অনুমোদিত ফুড গ্রেডের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় অননুমোদিত রাসায়নিক ব্যাবহার করে থাকেন, যা স্বাস্থ্যে জন্য ক্ষতিকর। এটি রোধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশীয় কিছু ফল, যেমন—কলা, পেয়ারা ইত্যাদি সারা বছর পাওয়া যায় এবং এগুলো দামেও সস্তা। এই ফলগুলো নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। অন্যান্য দেশীয় মৌসুমি ফল ভরা মৌসুমে নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। মৌসুমের শুরুতে অথবা অসময়ে ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ইফতারে কোন পানীয় গ্রহণযোগ্য আর কোন পানীয় বর্জনীয়?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: স্বাভাবিক অবস্থায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৭ থেকে ১৪ গ্লাস নিরাপদ পানি পান করা উচিত। ভালো পানীয় হচ্ছে আমরা সাধারণত সব সময় যে পানি পান করি। ইফতারে পানি পানের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন—সারা দিন রোজা রাখার পর খালি পেটে একসঙ্গে অনেক পানি বা শরবত পান করা উচিত নয়। একটু ধীরে ধীরে, সময় নিয়ে পানি পান করা ভালো। এ ছাড়া সাধারণ পানির বাইরে উপকারী পানীয় হলো ইসপগুল, তোকমা, চিয়া সিড ইত্যাদি দিয়ে তৈরি শরবত, টক দইয়ের শরবত, মাঠা, লেবু, ডাবের পানি, তাজা ফলের রস ইত্যাদি। কারণ, এ ধরনের শরবত সারা দিনের পানির চাহিদা পূরণ করে। একই সঙ্গে ভিটামিন আর মিনারেলেরও জোগান দেয়। ফলে আমরা খুব সহজেই সতেজ বোধ করি।
বর্জনীয় হিসেবে সব ধরনের কোমল বা সোডা পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত শরবত, জুস ইত্যাদি। সোডাজাতীয় পানীয় আমাদের খুব দ্রুত পানিশূন্য করে তোলে। এ ছাড়া বাসায় তৈরি শরবত বা ফলের জুসে অতিরিক্ত চিনি ব্যবহার না করা ভালো। আবার অনেকে ইফতারের সময় ফ্রিজে পানি রেখে ঠান্ডা করে খেতে পছন্দ করেন। এ বিষয়েও সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এখন প্রচুর গরম, এর মধ্যে হুট করে বেশি ঠান্ডা পানি খেলে শরীরে অনেক সময় বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। মনে রাখতে হবে, সারা দিন রোজা রাখার পর শরীরে যে পানিশূন্যতা তৈরি হয়, সেটি পূরণ করতে ইফতারের পর থেকে সাহরির আগ পর্যন্ত ৭ থেকে ১৪ গ্লাস পানি পান করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: রোজা এলেই অনেকের অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। এর পেছনে আসলে কোন খাবার দায়ী, নাকি অন্য কোনো সমস্যা?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: সাধারণত অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে এবং সাহরিতে বেশি মসলাযুক্ত খাবার খেলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। এ ছাড়া চা ও কফি পান, দুশ্চিতা, ধূমপান এবং অনিদ্রার কারণেও অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম ও শারীরিক সক্রিয়তা এ ক্ষেত্রে কার্যকর প্রতিরোধব্যবস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে।
আজকের পত্রিকা: কর্মজীবী নারী ও পুরুষের জন্য কোন ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেবেন?
মো. আব্দুল ওয়াদুদ: কর্মজীবী নারী ও পুরুষকে কর্মের তাগিদে প্রতিদিনই বাইরে যেতে হয়। সে জন্য তাঁদের বেশি ক্যালরি খরচ হয় এবং শরীরে প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। তাই কর্মজীবীদের উচ্চ ক্যালরি, আমিষ ও আঁশযুক্ত এবং সহজপাচ্য সুষম খাবার সাহরি ও ইফতারের সময় খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শরবত, সামর্থ্য অনুয়ায়ী দেশীয় ফল, পাতলা সবজিখিচুড়ি, ছোলা-মুড়ি, ডিম, দুধ কিংবা দুধজাত খাবার, বিভিন্ন ধলনের শাক, বিচি জাতীয়শস্য, ছোট-বড় মাছ, মাংস, ডিম, ডাল ইত্যাদি খতে হবে। আমিষের জন্য অন্য কিছু জোগাড় করা না গেলেও নিদেনপক্ষে প্রতিজনের জন্য একটি করে ডিম এবং সঙ্গে এক বাটি ডাল খেতে হবে। একজন মানুষকে প্রতিদিন ৩০০ গ্রাম শাকসবজি খেতে হবে। আয়ের সঙ্গে সংগতি রেখে খাবার খেতে হবে।

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
৩ ঘণ্টা আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
নিজেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না ভাঙা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। কেউ কেউ লিখিত পরিকল্পনা বা অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করেন। আবার কেউ জিমের সদস্যপদ বা ব্যায়াম ক্লাসে ভর্তি হয়ে নিজেকে দায়বদ্ধ করে তোলেন। এতে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা কমে।
জীবনযাপনের সঙ্গে মানানসই পরিকল্পনা বেছে নেওয়া
যে ডায়েট বা ব্যায়াম পরিকল্পনা দীর্ঘদিন মেনে চলা সম্ভব নয়, তা এড়িয়ে চলা ভালো। অতিরিক্ত কঠোর নিয়ম অথবা সবকিছু একেবারে বাদ দেওয়ার মানসিকতা অনেক সময় উল্টো ফল বয়ে আনে। বরং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ, খাবারের পরিমাণ কমানো, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং বেশি করে ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করার মতো অভ্যাসগুলো দীর্ঘ মেয়াদে উপকারী।
পছন্দের ব্যায়াম খোঁজা
ওজন কমাতে শারীরিক কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে ব্যায়াম আপনার ভালো লাগে না, তা বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। হাঁটা, সাঁতার, নাচ, সাইক্লিং কিংবা জিম—যে ধরনের ব্যায়াম উপভোগ করেন, সেটিই বেছে নেওয়া ভালো।
যে বিষয়গুলো অনুপ্রেরণা জোগায়
ওজন কমানোর পুরো যাত্রায় শুধু শেষ লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে হতাশা আসতে পারে। তাই ছোট ছোট প্রক্রিয়াগত লক্ষ্য ঠিক করা জরুরি। যেমন সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েক দিন ব্যায়াম করা বা প্রতিটি খাবারে সবজি রাখা। এসব লক্ষ্য পূরণ হলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজের অগ্রগতি লিখে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার ও দৈনন্দিন অভ্যাসের হিসাব রাখলে কোথায় ভুল হচ্ছে কিংবা কোন অভ্যাস ওজন বাড়াচ্ছে, তা সহজে ধরা পড়ে।
সামাজিক সহায়তা এবং ইতিবাচক মনোভাব
পরিবার ও বন্ধুদের নিজের লক্ষ্য জানালে তারা মানসিক সমর্থন দিতে পারে। কেউ কেউ ওজন কমানোর সঙ্গী পেলে আরও অনুপ্রাণিত বোধ করে। পাশাপাশি নিজের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কথা বলা এবং পরিবর্তনের প্রতি দৃঢ় মনোভাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বাধা এলে যা করতে হবে
জীবনে নানা ধরনের চাপ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবার সঠিক পথে ফেরা সহজ হয়। নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা না করে নিজের ভুল মেনে নেওয়া এবং নিজেকে ক্ষমা করাও অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে সহায়ক।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাই সবচেয়ে বড় শক্তি। সবার অনুপ্রেরণার উৎস এক নয়। তাই নিজের জন্য কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে নেওয়াই হলো মূল চাবিকাঠি।
তবে ধৈর্য ধরুন, ছোট ছোট সাফল্য উদ্যাপন করুন
এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে সংকোচ করবেন না। সঠিক পরিকল্পনা ও সমর্থন থাকলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথ লাইন

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
নিজেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না ভাঙা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। কেউ কেউ লিখিত পরিকল্পনা বা অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করেন। আবার কেউ জিমের সদস্যপদ বা ব্যায়াম ক্লাসে ভর্তি হয়ে নিজেকে দায়বদ্ধ করে তোলেন। এতে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা কমে।
জীবনযাপনের সঙ্গে মানানসই পরিকল্পনা বেছে নেওয়া
যে ডায়েট বা ব্যায়াম পরিকল্পনা দীর্ঘদিন মেনে চলা সম্ভব নয়, তা এড়িয়ে চলা ভালো। অতিরিক্ত কঠোর নিয়ম অথবা সবকিছু একেবারে বাদ দেওয়ার মানসিকতা অনেক সময় উল্টো ফল বয়ে আনে। বরং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ, খাবারের পরিমাণ কমানো, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং বেশি করে ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করার মতো অভ্যাসগুলো দীর্ঘ মেয়াদে উপকারী।
পছন্দের ব্যায়াম খোঁজা
ওজন কমাতে শারীরিক কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে ব্যায়াম আপনার ভালো লাগে না, তা বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। হাঁটা, সাঁতার, নাচ, সাইক্লিং কিংবা জিম—যে ধরনের ব্যায়াম উপভোগ করেন, সেটিই বেছে নেওয়া ভালো।
যে বিষয়গুলো অনুপ্রেরণা জোগায়
ওজন কমানোর পুরো যাত্রায় শুধু শেষ লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে হতাশা আসতে পারে। তাই ছোট ছোট প্রক্রিয়াগত লক্ষ্য ঠিক করা জরুরি। যেমন সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েক দিন ব্যায়াম করা বা প্রতিটি খাবারে সবজি রাখা। এসব লক্ষ্য পূরণ হলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজের অগ্রগতি লিখে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার ও দৈনন্দিন অভ্যাসের হিসাব রাখলে কোথায় ভুল হচ্ছে কিংবা কোন অভ্যাস ওজন বাড়াচ্ছে, তা সহজে ধরা পড়ে।
সামাজিক সহায়তা এবং ইতিবাচক মনোভাব
পরিবার ও বন্ধুদের নিজের লক্ষ্য জানালে তারা মানসিক সমর্থন দিতে পারে। কেউ কেউ ওজন কমানোর সঙ্গী পেলে আরও অনুপ্রাণিত বোধ করে। পাশাপাশি নিজের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কথা বলা এবং পরিবর্তনের প্রতি দৃঢ় মনোভাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বাধা এলে যা করতে হবে
জীবনে নানা ধরনের চাপ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবার সঠিক পথে ফেরা সহজ হয়। নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা না করে নিজের ভুল মেনে নেওয়া এবং নিজেকে ক্ষমা করাও অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে সহায়ক।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাই সবচেয়ে বড় শক্তি। সবার অনুপ্রেরণার উৎস এক নয়। তাই নিজের জন্য কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে নেওয়াই হলো মূল চাবিকাঠি।
তবে ধৈর্য ধরুন, ছোট ছোট সাফল্য উদ্যাপন করুন
এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে সংকোচ করবেন না। সঠিক পরিকল্পনা ও সমর্থন থাকলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথ লাইন

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়? মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম,
০৮ এপ্রিল ২০২৩
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
৩ ঘণ্টা আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
৫ ঘণ্টা আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ
শীতকালীন সবজি খাওয়ায় সতর্কতা
কাবেজ জাতীয় সবজি; যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতায় থাকে গয়ট্রোজেন নামে একধরনের উপাদান। এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে থাকে। তাই যাঁদের হাইপোথাইরয়েড আছে, তাঁদের এসব সবজি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না। কিন্তু রান্না করে অল্প খাওয়া যাবে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের হরমোনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত দুর্বল লাগে, ঠান্ডা ভাব এবং কাজের গতি ধীর হতে পারে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের করণীয়
গরম থাকার চেষ্টা করুন: জ্যাকেট কিংবা কম্বল ইত্যাদির মতো গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। গরম খাবার বেশি খেতে হবে; যেমন স্যুপ কিংবা চা।
ভিটামিন ‘ডি’ বাড়ান: সকাল ৯ থেকে ১০টার দিকে রোদে থাকার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ‘ডি’ লেভেল বেশি কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস: পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভিটামিন ‘সি ও বি’ সমৃদ্ধ এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
মন নিয়ন্ত্রণ করুন: মুড সুইং খুবই সাধারণ বিষয় থাইরয়েড রোগীদের জন্য। তাই নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রফুল্ল থাকার চেষ্টা করুন, কর্মঠ থাকুন, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রয়োজনে লাইট থেরাপি নিতে পারেন।
শীতে থাইরয়েড রোগীদের ত্বকের যত্ন
থাইরয়েড রোগীদের ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক থাকে। শীতকালে তা আরও শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই শীতকালে গোসলের পর ময়শ্চারাইজার, লোশন কিংবা ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করুন। ত্বকে চুলকানি অথবা র্যাশ থাকলে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
নিয়মিত ফলোআপ
৩ থেকে ৬ মাস পরপর আপনার হরমোন ও থাইরয়েড, বিশেষত এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের মাত্রা কম কিংবা বেশি করা যাবে না।
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল, কাকরাইল, ঢাকা

থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ
শীতকালীন সবজি খাওয়ায় সতর্কতা
কাবেজ জাতীয় সবজি; যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতায় থাকে গয়ট্রোজেন নামে একধরনের উপাদান। এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে থাকে। তাই যাঁদের হাইপোথাইরয়েড আছে, তাঁদের এসব সবজি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না। কিন্তু রান্না করে অল্প খাওয়া যাবে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের হরমোনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত দুর্বল লাগে, ঠান্ডা ভাব এবং কাজের গতি ধীর হতে পারে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের করণীয়
গরম থাকার চেষ্টা করুন: জ্যাকেট কিংবা কম্বল ইত্যাদির মতো গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। গরম খাবার বেশি খেতে হবে; যেমন স্যুপ কিংবা চা।
ভিটামিন ‘ডি’ বাড়ান: সকাল ৯ থেকে ১০টার দিকে রোদে থাকার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ‘ডি’ লেভেল বেশি কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস: পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভিটামিন ‘সি ও বি’ সমৃদ্ধ এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
মন নিয়ন্ত্রণ করুন: মুড সুইং খুবই সাধারণ বিষয় থাইরয়েড রোগীদের জন্য। তাই নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রফুল্ল থাকার চেষ্টা করুন, কর্মঠ থাকুন, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রয়োজনে লাইট থেরাপি নিতে পারেন।
শীতে থাইরয়েড রোগীদের ত্বকের যত্ন
থাইরয়েড রোগীদের ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক থাকে। শীতকালে তা আরও শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই শীতকালে গোসলের পর ময়শ্চারাইজার, লোশন কিংবা ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করুন। ত্বকে চুলকানি অথবা র্যাশ থাকলে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
নিয়মিত ফলোআপ
৩ থেকে ৬ মাস পরপর আপনার হরমোন ও থাইরয়েড, বিশেষত এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের মাত্রা কম কিংবা বেশি করা যাবে না।
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল, কাকরাইল, ঢাকা

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়? মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম,
০৮ এপ্রিল ২০২৩
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
৪ ঘণ্টা আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
৫ ঘণ্টা আগেমো. ইকবাল হোসেন

সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়। আবার ত্বক, চুল ও প্রজননতন্ত্রের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ই’-এর ভূমিকা অনেক বেশি। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো আমরা প্রধানত শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু অসাবধানতার ফলে শাকসবজি ও ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ হারিয়ে যায়।
আমরা ঐতিহ্যগতভাবে শাকসবজি কাটার পর পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে থাকি। এতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ‘বি ও সি’ পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাই না। তাই সেগুলো কাটা বা খোসা ছাড়ানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ময়লা পরিষ্কারের পাশাপাশি সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকবে। শাকসবজি কাটার আগে বঁটি, ছুরি বা গ্রেটারও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
শাকসবজি রান্নার নামে দীর্ঘ সময় আগুনের তাপে রাখা যাবে না। অল্প তাপেই শাকসবজিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু মারা যায়। এগুলো যত কম সময় সেদ্ধ করা হবে, তত বেশি পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকবে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে শাকসবজির প্রায় ৫০ শতাংশ পটাশিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এটি শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় খনিজ। ফলে অল্প আঁচে ভাপানো শাকসবজি খাওয়া ভালো।
প্রতিটি শাকসবজির নিজস্ব রং বজায় রেখে রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ বেশি বজায় থাকবে। যেমন গাজর রান্নার পর লাল রং, শিম রান্নার পর সবুজ রং কিংবা ফুলকপির সাদা রং বজায় থাকতে হবে। রান্না করতে গিয়ে শাকসবজির রং যত নষ্ট হবে, তার পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হবে।
অনেক সময় রাতে শাকসবজি কেটে রেখে দেওয়া হয় সকালে রান্না করার জন্য। অথবা সকালে কেটে রাখি দুপুরে রান্না করার জন্য। এভাবে দীর্ঘ সময় কেটে রেখে দিলে শাকসবজির কাটা অংশ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে। এভাবে কেটে রাখা শাকসবজিতে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই এর সঠিক পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রাতে কেটে না রেখে রান্নার আগে কেটে দ্রুত রান্না করুন।
শাকসবজি কাটার কাজে ধারালো বঁটি অথবা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে এগুলো কাটার পর অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে কেটে রাখা শাকসবজিতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
সবজি ছোট টুকরা করে না কেটে যথাসম্ভব বড় টুকরা করে কাটবেন। ছোট টুকরা করে কাটলে তাপে বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। কিন্তু টুকরা বড় রাখলে বেশি তাপে রান্নায়ও ভেতরের পুষ্টিগুণ সহজে নষ্ট হয় না।
গাজর, পটোল, লাউ, শসা, মিষ্টিকুমড়ার মতো সবজিগুলো খোসাসহ রান্না করতে হবে। এসব সবজির খোসায়ও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
শাকসবজি ভাজা ভাজা না করে রান্না করে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। প্রথমত ভাজা করতে হলে খুব ছোট টুকরা করে কাটতে হয়। দ্বিতীয়ত ভাজি করতে হলে দীর্ঘ সময় তাপে রাখতে হয়। এই দুটি বিষয় শাকসবজির পুষ্টিগুণ অনেক কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো ঝোল করে রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়। আবার ত্বক, চুল ও প্রজননতন্ত্রের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ই’-এর ভূমিকা অনেক বেশি। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো আমরা প্রধানত শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু অসাবধানতার ফলে শাকসবজি ও ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ হারিয়ে যায়।
আমরা ঐতিহ্যগতভাবে শাকসবজি কাটার পর পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে থাকি। এতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ‘বি ও সি’ পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাই না। তাই সেগুলো কাটা বা খোসা ছাড়ানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ময়লা পরিষ্কারের পাশাপাশি সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকবে। শাকসবজি কাটার আগে বঁটি, ছুরি বা গ্রেটারও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
শাকসবজি রান্নার নামে দীর্ঘ সময় আগুনের তাপে রাখা যাবে না। অল্প তাপেই শাকসবজিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু মারা যায়। এগুলো যত কম সময় সেদ্ধ করা হবে, তত বেশি পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকবে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে শাকসবজির প্রায় ৫০ শতাংশ পটাশিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এটি শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় খনিজ। ফলে অল্প আঁচে ভাপানো শাকসবজি খাওয়া ভালো।
প্রতিটি শাকসবজির নিজস্ব রং বজায় রেখে রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ বেশি বজায় থাকবে। যেমন গাজর রান্নার পর লাল রং, শিম রান্নার পর সবুজ রং কিংবা ফুলকপির সাদা রং বজায় থাকতে হবে। রান্না করতে গিয়ে শাকসবজির রং যত নষ্ট হবে, তার পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হবে।
অনেক সময় রাতে শাকসবজি কেটে রেখে দেওয়া হয় সকালে রান্না করার জন্য। অথবা সকালে কেটে রাখি দুপুরে রান্না করার জন্য। এভাবে দীর্ঘ সময় কেটে রেখে দিলে শাকসবজির কাটা অংশ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে। এভাবে কেটে রাখা শাকসবজিতে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই এর সঠিক পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রাতে কেটে না রেখে রান্নার আগে কেটে দ্রুত রান্না করুন।
শাকসবজি কাটার কাজে ধারালো বঁটি অথবা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে এগুলো কাটার পর অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে কেটে রাখা শাকসবজিতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
সবজি ছোট টুকরা করে না কেটে যথাসম্ভব বড় টুকরা করে কাটবেন। ছোট টুকরা করে কাটলে তাপে বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। কিন্তু টুকরা বড় রাখলে বেশি তাপে রান্নায়ও ভেতরের পুষ্টিগুণ সহজে নষ্ট হয় না।
গাজর, পটোল, লাউ, শসা, মিষ্টিকুমড়ার মতো সবজিগুলো খোসাসহ রান্না করতে হবে। এসব সবজির খোসায়ও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
শাকসবজি ভাজা ভাজা না করে রান্না করে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। প্রথমত ভাজা করতে হলে খুব ছোট টুকরা করে কাটতে হয়। দ্বিতীয়ত ভাজি করতে হলে দীর্ঘ সময় তাপে রাখতে হয়। এই দুটি বিষয় শাকসবজির পুষ্টিগুণ অনেক কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো ঝোল করে রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়? মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম,
০৮ এপ্রিল ২০২৩
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
৩ ঘণ্টা আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
৫ ঘণ্টা আগেডা. মো. আরমান হোসেন রনি

ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো আঘাতের চিহ্ন না-ও থাকতে পারে।
কারণ
শিশুর অতিরিক্ত কান্না, বিরক্তি কিংবা অস্থিরতার কারণে অভিভাবক বা পরিচর্যাকারীর রাগ এ ঘটনার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এই অবস্থায় শিশুকে ঝাঁকালে তাদের ঘাড়ের পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এ ছাড়া মাথা শরীরের তুলনায় বড় হওয়ায় ঝাঁকানোর সময় তা সামনে-পেছনে দ্রুত নড়াচড়া করে। ফলে মস্তিষ্ক খুলির ভেতরে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং রক্তনালিগুলো ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কী ঘটে
শিশুকে জোরে ঝাঁকানোর ফলে তিনটি প্রধান ক্ষতি হয়—
মস্তিষ্কে আঘাত: মস্তিষ্ক ও খুলির মাঝখানে থাকা রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
চোখে আঘাত: ভিট্রিওরেটিনাল ট্র্যাকশনের কারণে মাল্টিলেয়ার্ড রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়, যা শেকেন বেবি সিনড্রোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
ঘাড় ও স্পাইনাল ইনজুরি: সার্ভাইক্যাল স্পাইনের ক্ষতি ও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ
শেকেন বেবি সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
অতিরিক্ত কান্না বা অস্বাভাবিক নিস্তেজ হয়ে যাওয়া
চোখের পরীক্ষায় দেখা যায়—
রোগনির্ণয়
শেকেন বেবি সিনড্রোম মূলত ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস। তবে নিশ্চিত করার জন্য—
চিকিৎসা
এর চিকিৎসা একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে করা হয়—
চিকিৎসকের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব
শেকেন বেবি সিনড্রোম একটি শিশু নির্যাতনজনিত অপরাধ। তাই চিকিৎসকের দায়িত্ব শুধু চিকিৎসা করা নয়, বরং—
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো আঘাতের চিহ্ন না-ও থাকতে পারে।
কারণ
শিশুর অতিরিক্ত কান্না, বিরক্তি কিংবা অস্থিরতার কারণে অভিভাবক বা পরিচর্যাকারীর রাগ এ ঘটনার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এই অবস্থায় শিশুকে ঝাঁকালে তাদের ঘাড়ের পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এ ছাড়া মাথা শরীরের তুলনায় বড় হওয়ায় ঝাঁকানোর সময় তা সামনে-পেছনে দ্রুত নড়াচড়া করে। ফলে মস্তিষ্ক খুলির ভেতরে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং রক্তনালিগুলো ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কী ঘটে
শিশুকে জোরে ঝাঁকানোর ফলে তিনটি প্রধান ক্ষতি হয়—
মস্তিষ্কে আঘাত: মস্তিষ্ক ও খুলির মাঝখানে থাকা রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
চোখে আঘাত: ভিট্রিওরেটিনাল ট্র্যাকশনের কারণে মাল্টিলেয়ার্ড রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়, যা শেকেন বেবি সিনড্রোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
ঘাড় ও স্পাইনাল ইনজুরি: সার্ভাইক্যাল স্পাইনের ক্ষতি ও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ
শেকেন বেবি সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
অতিরিক্ত কান্না বা অস্বাভাবিক নিস্তেজ হয়ে যাওয়া
চোখের পরীক্ষায় দেখা যায়—
রোগনির্ণয়
শেকেন বেবি সিনড্রোম মূলত ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস। তবে নিশ্চিত করার জন্য—
চিকিৎসা
এর চিকিৎসা একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে করা হয়—
চিকিৎসকের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব
শেকেন বেবি সিনড্রোম একটি শিশু নির্যাতনজনিত অপরাধ। তাই চিকিৎসকের দায়িত্ব শুধু চিকিৎসা করা নয়, বরং—
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

আজকের পত্রিকা: রমজানজুড়ে প্রতিবছর দেশে নানান ধরনের খাবারের পসরা দেখা যায়। বাস্তবে এসব খাবার রোজাদারদের জন্য কতটা উপাদেয়? মো. আব্দুল ওয়াদুদ: এসব খাবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেশি মসলাযুক্ত, অতিরিক্ত তেলে ভাজা এবং কৃত্রিম রঙে ভরপুর ও মুখরোচক। এগুলো মোটেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এই খাবারের ফলে অ্যাসিডিটি, বদহজম,
০৮ এপ্রিল ২০২৩
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
৩ ঘণ্টা আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
৪ ঘণ্টা আগে