অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে ক্যানসারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং এর বিস্তৃতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণায় উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১০৬ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং প্রতি বছর নতুন করে ৫৩ জন রোগী যুক্ত হন। দেশের মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশই ক্যানসারের কারণে।
গতকাল শনিবার বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খালেকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমিত হিসাব অনুযায়ী (২০২২ সালের প্রতিবেদন), বাংলাদেশে প্রতিবছর ক্যানসারে আক্রান্ত হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৫৬ জন। তখনকার জনসংখ্যা অনুসারে প্রতি লাখে ১০০ জন নতুন ক্যানসার রোগী দেখা দেয়।
গবেষণা পদ্ধতি:
২০২৩ সালের জুলাই থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় জনসংখ্যা ভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি (পিবিসিআর) পরিচালিত হয়। ২ লাখ মানুষের ওপর পরিচালিত এই গবেষণায় ইন্টারনেট ভিত্তিক বিশেষ ক্যানসার নিবন্ধন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করা হয় ঘরে ঘরে গিয়ে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে একই পরিবারের ফলোআপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গবেষণার মূল তথ্য
মূল উপস্থাপনায় বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জামান বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় ৪৬ হাজার ৬৩১টি পরিবারের ২ লাখ ১ হাজার ৬৬৮ জনকে তাঁরা গবেষণার আওতায় নিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, ২১৪ জনের কোনো না কোনো ক্যানসার আছে। অর্থাৎ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত ১০৬ জন।
গবেষণায় ৩৮ প্রকার ক্যানসারের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলী, শ্বাসনালি এবং জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রধান।
পুরুষদের প্রধান ক্যানসার: শ্বাসনালি, পাকস্থলী, ফুসফুস, মুখ ও খাদ্যনালী।
নারীদের প্রধান ক্যানসার: স্তন, জরায়ুমুখ, মুখ, থাইরয়েড ও ওভারি (ডিম্বাশয়)।
ধূমপান ও তামাক সেবন: রোগীদের মধ্যে ৭৫.৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৬০.৬ শতাংশ নারী পান, জর্দা ও তামাক সেবন করেন।
চিকিৎসা গ্রহণ: ৬০ শতাংশ রোগী বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন, ৭. ৪ শতাংশ রোগী কোনো চিকিৎসা নেননি।
প্রাথমিক ফলাফল
গবেষণায় ৪৬ হাজার ৬৩১টি পরিবারের ২ লাখ ১ হাজার ৬৬৮ জন অংশগ্রহণ করেন, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
শীর্ষ ৫টি ক্যানসার:
স্তন ক্যানসার (১৬.৮ শতাংশ)
মুখগহ্বরের ক্যানসার (৮.৪ শতাংশ)
পাকস্থলীর ক্যানসার (৭ শতাংশ)
কণ্ঠনালীর ক্যানসার (৭ শতাংশ)
জরায়ু ক্যানসার (৫.১ শতাংশ)
নারীদের মধ্যে ক্যানসারের হার:
স্তন ক্যানসার (৩৬.৪ শতাংশ)
জরায়ুমুখ ক্যানসার (১১.১ শতাংশ)
মুখগহ্বর ক্যানসার (১০.১ শতাংশ)
থাইরয়েড ক্যানসার (৭.১ শতাংশ)
ডিম্বাশয় ক্যানসার (৫ শতাংশ)
অতিরিক্ত রোগ:
হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ)—১৭ শতাংশ
ডায়াবেটিস—১১ শতাংশ
হৃদ্রোগ—৬ শতাংশ
কিডনি রোগ—৩ শতাংশ
স্ট্রোক—২ শতাংশ
ফলোআপ ও নতুন অন্তর্ভুক্ত ক্যানসার:
গবেষণায় ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ হাজার ৪১১টি পরিবারের ৫৮ হাজার ৫৩৯ জনকে ফলো–আপ করা হয়েছে। এতে ধরা পড়া নতুন অন্তর্ভুক্ত শীর্ষ ৩টি ক্যানসারের মধ্যে:
ফুসফুস ক্যানসার—১৬.১ শতাংশ
যকৃতের ক্যানসার—১২.৯ শতাংশ
কণ্ঠনালীর ক্যানসার—১২.৯ শতাংশ
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে একাধিক অংশগ্রহণকারী বলেন, সারা দেশের পরিস্থিতি বোঝার জন্য এ ধরনের নিবন্ধন আরও বড় পরিসরে হওয়া প্রয়োজন। একটি দেশের পরিস্থিতি জানা–বোঝার জন্য অন্তত ৫ লাখ মানুষকে গবেষণার আওতায় নিতে হয়। এই গবেষণায় ২ লাখ মানুষের তথ্য নেওয়া হয়েছে। বিএসএমএমইউয়ের এই কাজ যেন অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে না যায়, সে ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগী ভূমিকা দরকার বলেও মত দেন অনেকে।
বাংলাদেশে ক্যানসারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং এর বিস্তৃতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণায় উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ১০৬ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হন এবং প্রতি বছর নতুন করে ৫৩ জন রোগী যুক্ত হন। দেশের মোট মৃত্যুর ১২ শতাংশই ক্যানসারের কারণে।
গতকাল শনিবার বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. খালেকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমিত হিসাব অনুযায়ী (২০২২ সালের প্রতিবেদন), বাংলাদেশে প্রতিবছর ক্যানসারে আক্রান্ত হয় ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৫৬ জন। তখনকার জনসংখ্যা অনুসারে প্রতি লাখে ১০০ জন নতুন ক্যানসার রোগী দেখা দেয়।
গবেষণা পদ্ধতি:
২০২৩ সালের জুলাই থেকে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় জনসংখ্যা ভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি (পিবিসিআর) পরিচালিত হয়। ২ লাখ মানুষের ওপর পরিচালিত এই গবেষণায় ইন্টারনেট ভিত্তিক বিশেষ ক্যানসার নিবন্ধন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করা হয় ঘরে ঘরে গিয়ে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে একই পরিবারের ফলোআপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গবেষণার মূল তথ্য
মূল উপস্থাপনায় বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. খালেকুজ্জামান বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় ৪৬ হাজার ৬৩১টি পরিবারের ২ লাখ ১ হাজার ৬৬৮ জনকে তাঁরা গবেষণার আওতায় নিয়েছেন। তাতে দেখা গেছে, ২১৪ জনের কোনো না কোনো ক্যানসার আছে। অর্থাৎ প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত ১০৬ জন।
গবেষণায় ৩৮ প্রকার ক্যানসারের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে স্তন, মুখ, পাকস্থলী, শ্বাসনালি এবং জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রধান।
পুরুষদের প্রধান ক্যানসার: শ্বাসনালি, পাকস্থলী, ফুসফুস, মুখ ও খাদ্যনালী।
নারীদের প্রধান ক্যানসার: স্তন, জরায়ুমুখ, মুখ, থাইরয়েড ও ওভারি (ডিম্বাশয়)।
ধূমপান ও তামাক সেবন: রোগীদের মধ্যে ৭৫.৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৬০.৬ শতাংশ নারী পান, জর্দা ও তামাক সেবন করেন।
চিকিৎসা গ্রহণ: ৬০ শতাংশ রোগী বিভিন্ন চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন, ৭. ৪ শতাংশ রোগী কোনো চিকিৎসা নেননি।
প্রাথমিক ফলাফল
গবেষণায় ৪৬ হাজার ৬৩১টি পরিবারের ২ লাখ ১ হাজার ৬৬৮ জন অংশগ্রহণ করেন, যাদের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ ও ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
শীর্ষ ৫টি ক্যানসার:
স্তন ক্যানসার (১৬.৮ শতাংশ)
মুখগহ্বরের ক্যানসার (৮.৪ শতাংশ)
পাকস্থলীর ক্যানসার (৭ শতাংশ)
কণ্ঠনালীর ক্যানসার (৭ শতাংশ)
জরায়ু ক্যানসার (৫.১ শতাংশ)
নারীদের মধ্যে ক্যানসারের হার:
স্তন ক্যানসার (৩৬.৪ শতাংশ)
জরায়ুমুখ ক্যানসার (১১.১ শতাংশ)
মুখগহ্বর ক্যানসার (১০.১ শতাংশ)
থাইরয়েড ক্যানসার (৭.১ শতাংশ)
ডিম্বাশয় ক্যানসার (৫ শতাংশ)
অতিরিক্ত রোগ:
হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ)—১৭ শতাংশ
ডায়াবেটিস—১১ শতাংশ
হৃদ্রোগ—৬ শতাংশ
কিডনি রোগ—৩ শতাংশ
স্ট্রোক—২ শতাংশ
ফলোআপ ও নতুন অন্তর্ভুক্ত ক্যানসার:
গবেষণায় ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ হাজার ৪১১টি পরিবারের ৫৮ হাজার ৫৩৯ জনকে ফলো–আপ করা হয়েছে। এতে ধরা পড়া নতুন অন্তর্ভুক্ত শীর্ষ ৩টি ক্যানসারের মধ্যে:
ফুসফুস ক্যানসার—১৬.১ শতাংশ
যকৃতের ক্যানসার—১২.৯ শতাংশ
কণ্ঠনালীর ক্যানসার—১২.৯ শতাংশ
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে একাধিক অংশগ্রহণকারী বলেন, সারা দেশের পরিস্থিতি বোঝার জন্য এ ধরনের নিবন্ধন আরও বড় পরিসরে হওয়া প্রয়োজন। একটি দেশের পরিস্থিতি জানা–বোঝার জন্য অন্তত ৫ লাখ মানুষকে গবেষণার আওতায় নিতে হয়। এই গবেষণায় ২ লাখ মানুষের তথ্য নেওয়া হয়েছে। বিএসএমএমইউয়ের এই কাজ যেন অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে না যায়, সে ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগী ভূমিকা দরকার বলেও মত দেন অনেকে।
সাধারণত সময়ের আগে যে শিশুর জন্ম হয়, তার ওজন কম থাকে। তবে অনেক সময় মায়ের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা বা গর্ভাবস্থার জটিলতার কারণেও সঠিক সময়ে অর্থাৎ ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ করে জন্মানো শিশুরও ওজন কম হতে পারে। এদের বলা হয় স্বল্প ওজনের কিন্তু পূর্ণ গর্ভাবস্থার নবজাতক।
২ দিন আগেযদি হঠাৎ ব্যথা, তীব্র দৃষ্টি পরিবর্তন, লাল ভাব কিংবা অন্য কোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ যদি অনুভব করেন; তাহলে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না।
২ দিন আগেপালংশাক পুষ্টিগুণে ভরা। এটি লো-ক্যালরি সুপার ফুড। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, লুটেইন, বিটা-ক্যারোটিন, জেক্সানথিন, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট-সমৃদ্ধ উদ্ভিদ যৌগ উপাদান। এগুলো চোখের স্বাস্থ্য, হাড়ের ঘনত্ব, ক্যানসার, অকালবার্ধক্য, ওজন কমানো এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
২ দিন আগেবিভিন্ন সময় আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হই। তারপর সে রোগের চিকিৎসা করাই। কিন্তু আমরা কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে যাচ্ছি, সেটি যদি আগে থেকে জানা যেত, তাহলে কেমন হতো?
২ দিন আগে