মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ, ঢাকা

স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দিতে গঠিত সংস্কার কমিশন ওষুধের প্রাপ্যতা, চিকিৎসা শিক্ষার মান ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কমিশন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে। আজকের পত্রিকাকে কমিশনের কয়েকজন সদস্য বলেছেন, বিদ্যমান কাঠামোর অনেক কিছুই ভেঙে নতুন করে গড়া কিংবা কিছু ক্ষেত্রে কাঠামো বহাল রেখে সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা—মূলত এ দুই ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
আজকের পত্রিকা সংস্কার কমিশনের ভাবনা ও কার্যক্রমের বিষয়ে তিনজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, সংস্কার কমিশন কাজ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ছয়টি বিভাগের স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ওষুধশিল্প, বেসরকারি মেডিকেল কলেজসহ স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। মাঠপর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলোর সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে কমিশন। গত ১৮ নভেম্বর গঠিত ১২ সদস্যের এ কমিশনকে গঠনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিশনের দুজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে কিছু অগ্রাধিকার চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। তাঁদের বিবেচনায় প্রয়োজন, প্রাপ্যতা ও সীমাবদ্ধতাগুলো গুরুত্ব পেয়েছে। বিবেচনায় নেওয়া ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসকদের মানোন্নয়ন, স্বাস্থ্যশিক্ষা, চিকিৎসক-রোগী সুরক্ষা, ওষুধ, পুষ্টি, চিকিৎসা ব্যয়সহ প্রাসঙ্গিক সবকিছু। গত তিন দশকে যেসব সমস্যার সমাধান করা যায়নি, সেসব থেকেও পরিত্রাণের পথ খোঁজা হচ্ছে।
কমিশন প্রান্তিক মানুষের কাছে ওষুধের দুষ্প্রাপ্যতা দূর করার প্রস্তাব করবে। সুলভ মূল্যে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, সরকারি হাসপাতালের দেওয়া ওষুধের তালিকা বড় করার মতো প্রস্তাব থাকবে। এতে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের বিদ্যমান তালিকার সংস্কার প্রয়োজন হবে।কমিশনের একজন সদস্য বলেছেন, ১৯৮২ সালে প্রথম ওষুধ নীতি প্রণয়নের সময় অত্যাবশ্যকীয় তালিকায় ছিল ১৫০টি ওষুধ। তবে তালিকায় শেষ পর্যন্ত থাকে ১১৭টি। ২০০৮ সালে দুই শর বেশি ওষুধকে জরুরি ওষুধের এই তালিকায় রাখা হয়। তবে ওষুধ কোম্পানিগুলোর চাপের কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, সরকার অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম নির্ধারণ করে দেয়। তাতে ওষুধগুলো সাধারণ মানুষের জন্য সুলভ হয়। এসব ওষুধে লাভ কম হওয়ায় কোম্পানিগুলো আগ্রহ দেখায় না। রোগের ধরন এবং চিকিৎসাপদ্ধতির পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কমিশন তালিকা সময়োপযোগী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কমিশন জনস্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সরকারের মূল স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সঙ্গে ‘সমন্বয়ের সেতু স্থাপন’ করার কথাও বিবেচনা করছে। বিকল্প হিসেবে নগর স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ভেঙে পুরো ব্যবস্থাই স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার কথা বলবে। কমিশনের সদস্যরা বলছেন, স্থানীয় সরকার আইনের মাধ্যমে নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা হলেও সেই স্বাস্থ্যসেবার প্রায় শতভাগই নিছক কাগজে-কলমে। নগরাঞ্চলে স্থানীয় সরকারের স্বাস্থ্য অবকাঠামো নেই। তাই সাধারণ মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হয়।
তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্ব
কমিশনের সদস্যরা বলেছেন, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার কিছু অবকাঠামো থাকলেও সেখানে সেবার যথাযথ আয়োজন নেই। প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রামে ত্রুটি রয়েছে। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে সুষ্ঠু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। কমিশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে স্বাস্থ্যসেবার প্রথম রেফারেন্স পয়েন্ট করার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে। এর সদস্যরা এই প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা বিবেচনায় নিচ্ছেন।
চিকিৎসা শিক্ষার মান ও অন্যান্য
একাধারে চিকিৎসক-সংকটের দিকে গুরুত্ব দিয়ে এবং বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গত কয়েক দশকে সরকারি ও বেসরকারি বহুসংখ্যক মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখন বছরে অন্তত ১০ হাজার চিকিৎসক তৈরি হচ্ছেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, এ হারে চললে কয়েক বছর পর চিকিৎসকের তুলনামূলক আধিক্যও দেখা দিতে পারে। কমিশনের একাধিক সদস্য এদিকে ইঙ্গিত করে চিকিৎসা শিক্ষার মানের ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁরা উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, নতুন চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ মানহীন হয়ে তৈরি হচ্ছে।
কমিশনের এক সদস্য বলেছেন, ‘চিকিৎসক তৈরির সক্ষমতার সঙ্গে মানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কার্যত পেশাটা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। অথচ চিকিৎসকের ওপর মানুষের জীবন মরণ নির্ভর করে।’
চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে মানের পাশাপাশি আরও দুটি বিষয় সামনে এনেছে কমিশন। এগুলো হচ্ছে চিকিৎসক তৈরির সক্ষমতা অতিরিক্ত না হওয়া নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসকদের নিবন্ধন বিষয়ে সংস্কার আনা। ডিগ্রি পাওয়ার পর একজন চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে নিবন্ধন পান। এরপর তাঁকে পেশাগত জীবনে আর কখনো যোগ্যতা ও পেশাগত উৎকর্ষের জন্য পরীক্ষা বা যাচাইয়ের সম্মুখীন হতে হয় না। কমিশন বিএমডিসি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কয়েক বছরের বিরতিতে যোগ্যতা যাচাইয়ের ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করবে বলে জানিয়েছেন এক সদস্য।
অন্য কয়েকটি বিষয়
কমিশনের পর্যবেক্ষণ, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা পুরোটাই চিকিৎসককেন্দ্রিক। তারা জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে এই ‘চিকিৎসকনির্ভর’ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজছে। স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের বণ্টন ও পদায়ন যথাযথভাবে না হওয়ার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। তারা উল্লেখ করে, দেখা যায় কোনো উপজেলায় অবেদনবিদ থাকলেও শল্যচিকিৎসক নেই। আবার কোথাও শল্যচিকিৎসক থাকলেও নেই অবেদনবিদ। প্রয়োজন অনুযায়ী নেই মেডিকেল অফিসার।
বিশেষজ্ঞরা যা বলেন
জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, গত কয়েক দশকে দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিটি শাখা কার্যত ভেঙে পড়েছে। সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ছাড়া স্বাস্থ্য খাতের কোনো ক্ষেত্রকেই এককভাবে শতভাগ কার্যকর করা যাবে না। তাঁদের মতে, সংস্কার কমিশনের উচিত হবে স্বাস্থ্যের প্রতিটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তাব তৈরি করা। কোনো বিষয়ে সংস্কার এবং কোনো বিষয়ে শক্তিশালীকরণে নজর দিতে হবে।
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কাগজে-কলমে থাকলে বাস্তবে নেই। এর সঙ্গে প্রিভেনশন (প্রতিরোধমূলক) ও প্রমোটিভ (স্বাস্থ্য শিক্ষা, সচেতনতা) স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি রয়েছে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও পরামর্শগুলো হওয়া উচিত জনকল্যাণমুখী। তাদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা তেমনই।’
চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসকদের মানোন্নয়ন, ওষুধ, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, জরুরি চিকিৎসাসহ সব বিষয় কমিশন তাদের সুপারিশে তুলে ধরবে বলে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষার মান খুবই খারাপ। যে হারে মানহীন চিকিৎসক তৈরি করা হচ্ছে, তার নজির বিশ্বের অন্য কোথাও নেই। চিকিৎসা শিক্ষার মান ঠিক করার বিষয়টি সুপারিশে অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। বেসিক সায়েন্স শিক্ষকের সংকট সমাধানের উপায় বের করতে হবে। দেশে আর নতুন মেডিকেল কলেজের প্রয়োজন নেই।’
চিকিৎসকদের বিএমডিসির নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজনের দিকে ইঙ্গিত করে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, বহু দেশে চিকিৎসকদের প্রতি তিন থেকে পাঁচ বছর পর পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়। তিনি জরুরি চিকিৎসাকে নতুন কাঠামোর মধ্যে আনা, স্বাস্থ্যবিমার ওপর গুরুত্ব দেওয়া, সাধারণ মানুষের জন্য দুরারোগ্য এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসার অর্থায়নের উপায় নিয়ে ভাবার পরামর্শ দেন।

স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দিতে গঠিত সংস্কার কমিশন ওষুধের প্রাপ্যতা, চিকিৎসা শিক্ষার মান ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কমিশন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে। আজকের পত্রিকাকে কমিশনের কয়েকজন সদস্য বলেছেন, বিদ্যমান কাঠামোর অনেক কিছুই ভেঙে নতুন করে গড়া কিংবা কিছু ক্ষেত্রে কাঠামো বহাল রেখে সার্বিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা—মূলত এ দুই ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
আজকের পত্রিকা সংস্কার কমিশনের ভাবনা ও কার্যক্রমের বিষয়ে তিনজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, সংস্কার কমিশন কাজ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ছয়টি বিভাগের স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ওষুধশিল্প, বেসরকারি মেডিকেল কলেজসহ স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। মাঠপর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলোর সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার কাজ চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছে কমিশন। গত ১৮ নভেম্বর গঠিত ১২ সদস্যের এ কমিশনকে গঠনের তারিখ থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিশনের দুজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে কিছু অগ্রাধিকার চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। তাঁদের বিবেচনায় প্রয়োজন, প্রাপ্যতা ও সীমাবদ্ধতাগুলো গুরুত্ব পেয়েছে। বিবেচনায় নেওয়া ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসকদের মানোন্নয়ন, স্বাস্থ্যশিক্ষা, চিকিৎসক-রোগী সুরক্ষা, ওষুধ, পুষ্টি, চিকিৎসা ব্যয়সহ প্রাসঙ্গিক সবকিছু। গত তিন দশকে যেসব সমস্যার সমাধান করা যায়নি, সেসব থেকেও পরিত্রাণের পথ খোঁজা হচ্ছে।
কমিশন প্রান্তিক মানুষের কাছে ওষুধের দুষ্প্রাপ্যতা দূর করার প্রস্তাব করবে। সুলভ মূল্যে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, সরকারি হাসপাতালের দেওয়া ওষুধের তালিকা বড় করার মতো প্রস্তাব থাকবে। এতে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের বিদ্যমান তালিকার সংস্কার প্রয়োজন হবে।কমিশনের একজন সদস্য বলেছেন, ১৯৮২ সালে প্রথম ওষুধ নীতি প্রণয়নের সময় অত্যাবশ্যকীয় তালিকায় ছিল ১৫০টি ওষুধ। তবে তালিকায় শেষ পর্যন্ত থাকে ১১৭টি। ২০০৮ সালে দুই শর বেশি ওষুধকে জরুরি ওষুধের এই তালিকায় রাখা হয়। তবে ওষুধ কোম্পানিগুলোর চাপের কারণে তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, সরকার অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম নির্ধারণ করে দেয়। তাতে ওষুধগুলো সাধারণ মানুষের জন্য সুলভ হয়। এসব ওষুধে লাভ কম হওয়ায় কোম্পানিগুলো আগ্রহ দেখায় না। রোগের ধরন এবং চিকিৎসাপদ্ধতির পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কমিশন তালিকা সময়োপযোগী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কমিশন জনস্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সরকারের মূল স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সঙ্গে ‘সমন্বয়ের সেতু স্থাপন’ করার কথাও বিবেচনা করছে। বিকল্প হিসেবে নগর স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ভেঙে পুরো ব্যবস্থাই স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার কথা বলবে। কমিশনের সদস্যরা বলছেন, স্থানীয় সরকার আইনের মাধ্যমে নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে আলাদা করা হলেও সেই স্বাস্থ্যসেবার প্রায় শতভাগই নিছক কাগজে-কলমে। নগরাঞ্চলে স্থানীয় সরকারের স্বাস্থ্য অবকাঠামো নেই। তাই সাধারণ মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনেও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রতিষ্ঠানে যেতে বাধ্য হয়।
তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্ব
কমিশনের সদস্যরা বলেছেন, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার কিছু অবকাঠামো থাকলেও সেখানে সেবার যথাযথ আয়োজন নেই। প্রতিষ্ঠানের অর্গানোগ্রামে ত্রুটি রয়েছে। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে সুষ্ঠু স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। কমিশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে স্বাস্থ্যসেবার প্রথম রেফারেন্স পয়েন্ট করার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে। এর সদস্যরা এই প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা বিবেচনায় নিচ্ছেন।
চিকিৎসা শিক্ষার মান ও অন্যান্য
একাধারে চিকিৎসক-সংকটের দিকে গুরুত্ব দিয়ে এবং বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে গত কয়েক দশকে সরকারি ও বেসরকারি বহুসংখ্যক মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখন বছরে অন্তত ১০ হাজার চিকিৎসক তৈরি হচ্ছেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, এ হারে চললে কয়েক বছর পর চিকিৎসকের তুলনামূলক আধিক্যও দেখা দিতে পারে। কমিশনের একাধিক সদস্য এদিকে ইঙ্গিত করে চিকিৎসা শিক্ষার মানের ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁরা উদ্বেগ জানিয়ে বলেছেন, নতুন চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ মানহীন হয়ে তৈরি হচ্ছে।
কমিশনের এক সদস্য বলেছেন, ‘চিকিৎসক তৈরির সক্ষমতার সঙ্গে মানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কার্যত পেশাটা নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। অথচ চিকিৎসকের ওপর মানুষের জীবন মরণ নির্ভর করে।’
চিকিৎসা শিক্ষার ক্ষেত্রে মানের পাশাপাশি আরও দুটি বিষয় সামনে এনেছে কমিশন। এগুলো হচ্ছে চিকিৎসক তৈরির সক্ষমতা অতিরিক্ত না হওয়া নিশ্চিত করা এবং চিকিৎসকদের নিবন্ধন বিষয়ে সংস্কার আনা। ডিগ্রি পাওয়ার পর একজন চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) থেকে নিবন্ধন পান। এরপর তাঁকে পেশাগত জীবনে আর কখনো যোগ্যতা ও পেশাগত উৎকর্ষের জন্য পরীক্ষা বা যাচাইয়ের সম্মুখীন হতে হয় না। কমিশন বিএমডিসি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কয়েক বছরের বিরতিতে যোগ্যতা যাচাইয়ের ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করবে বলে জানিয়েছেন এক সদস্য।
অন্য কয়েকটি বিষয়
কমিশনের পর্যবেক্ষণ, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা পুরোটাই চিকিৎসককেন্দ্রিক। তারা জনকল্যাণ নিশ্চিত করতে এই ‘চিকিৎসকনির্ভর’ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজছে। স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের বণ্টন ও পদায়ন যথাযথভাবে না হওয়ার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। তারা উল্লেখ করে, দেখা যায় কোনো উপজেলায় অবেদনবিদ থাকলেও শল্যচিকিৎসক নেই। আবার কোথাও শল্যচিকিৎসক থাকলেও নেই অবেদনবিদ। প্রয়োজন অনুযায়ী নেই মেডিকেল অফিসার।
বিশেষজ্ঞরা যা বলেন
জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, গত কয়েক দশকে দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিটি শাখা কার্যত ভেঙে পড়েছে। সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ছাড়া স্বাস্থ্য খাতের কোনো ক্ষেত্রকেই এককভাবে শতভাগ কার্যকর করা যাবে না। তাঁদের মতে, সংস্কার কমিশনের উচিত হবে স্বাস্থ্যের প্রতিটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তাব তৈরি করা। কোনো বিষয়ে সংস্কার এবং কোনো বিষয়ে শক্তিশালীকরণে নজর দিতে হবে।
পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (ইলেক্ট) অধ্যাপক ডা. আবু জামিল ফয়সাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কাগজে-কলমে থাকলে বাস্তবে নেই। এর সঙ্গে প্রিভেনশন (প্রতিরোধমূলক) ও প্রমোটিভ (স্বাস্থ্য শিক্ষা, সচেতনতা) স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি রয়েছে। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ও পরামর্শগুলো হওয়া উচিত জনকল্যাণমুখী। তাদের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা তেমনই।’
চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসকদের মানোন্নয়ন, ওষুধ, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, জরুরি চিকিৎসাসহ সব বিষয় কমিশন তাদের সুপারিশে তুলে ধরবে বলে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চিকিৎসা শিক্ষার মান খুবই খারাপ। যে হারে মানহীন চিকিৎসক তৈরি করা হচ্ছে, তার নজির বিশ্বের অন্য কোথাও নেই। চিকিৎসা শিক্ষার মান ঠিক করার বিষয়টি সুপারিশে অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। বেসিক সায়েন্স শিক্ষকের সংকট সমাধানের উপায় বের করতে হবে। দেশে আর নতুন মেডিকেল কলেজের প্রয়োজন নেই।’
চিকিৎসকদের বিএমডিসির নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজনের দিকে ইঙ্গিত করে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, বহু দেশে চিকিৎসকদের প্রতি তিন থেকে পাঁচ বছর পর পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হয়। তিনি জরুরি চিকিৎসাকে নতুন কাঠামোর মধ্যে আনা, স্বাস্থ্যবিমার ওপর গুরুত্ব দেওয়া, সাধারণ মানুষের জন্য দুরারোগ্য এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসার অর্থায়নের উপায় নিয়ে ভাবার পরামর্শ দেন।

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
১ দিন আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
১ দিন আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
১ দিন আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
নিজেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না ভাঙা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। কেউ কেউ লিখিত পরিকল্পনা বা অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করেন। আবার কেউ জিমের সদস্যপদ বা ব্যায়াম ক্লাসে ভর্তি হয়ে নিজেকে দায়বদ্ধ করে তোলেন। এতে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা কমে।
জীবনযাপনের সঙ্গে মানানসই পরিকল্পনা বেছে নেওয়া
যে ডায়েট বা ব্যায়াম পরিকল্পনা দীর্ঘদিন মেনে চলা সম্ভব নয়, তা এড়িয়ে চলা ভালো। অতিরিক্ত কঠোর নিয়ম অথবা সবকিছু একেবারে বাদ দেওয়ার মানসিকতা অনেক সময় উল্টো ফল বয়ে আনে। বরং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ, খাবারের পরিমাণ কমানো, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং বেশি করে ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করার মতো অভ্যাসগুলো দীর্ঘ মেয়াদে উপকারী।
পছন্দের ব্যায়াম খোঁজা
ওজন কমাতে শারীরিক কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে ব্যায়াম আপনার ভালো লাগে না, তা বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। হাঁটা, সাঁতার, নাচ, সাইক্লিং কিংবা জিম—যে ধরনের ব্যায়াম উপভোগ করেন, সেটিই বেছে নেওয়া ভালো।
যে বিষয়গুলো অনুপ্রেরণা জোগায়
ওজন কমানোর পুরো যাত্রায় শুধু শেষ লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে হতাশা আসতে পারে। তাই ছোট ছোট প্রক্রিয়াগত লক্ষ্য ঠিক করা জরুরি। যেমন সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েক দিন ব্যায়াম করা বা প্রতিটি খাবারে সবজি রাখা। এসব লক্ষ্য পূরণ হলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজের অগ্রগতি লিখে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার ও দৈনন্দিন অভ্যাসের হিসাব রাখলে কোথায় ভুল হচ্ছে কিংবা কোন অভ্যাস ওজন বাড়াচ্ছে, তা সহজে ধরা পড়ে।
সামাজিক সহায়তা এবং ইতিবাচক মনোভাব
পরিবার ও বন্ধুদের নিজের লক্ষ্য জানালে তারা মানসিক সমর্থন দিতে পারে। কেউ কেউ ওজন কমানোর সঙ্গী পেলে আরও অনুপ্রাণিত বোধ করে। পাশাপাশি নিজের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কথা বলা এবং পরিবর্তনের প্রতি দৃঢ় মনোভাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বাধা এলে যা করতে হবে
জীবনে নানা ধরনের চাপ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবার সঠিক পথে ফেরা সহজ হয়। নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা না করে নিজের ভুল মেনে নেওয়া এবং নিজেকে ক্ষমা করাও অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে সহায়ক।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাই সবচেয়ে বড় শক্তি। সবার অনুপ্রেরণার উৎস এক নয়। তাই নিজের জন্য কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে নেওয়াই হলো মূল চাবিকাঠি।
তবে ধৈর্য ধরুন, ছোট ছোট সাফল্য উদ্যাপন করুন
এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে সংকোচ করবেন না। সঠিক পরিকল্পনা ও সমর্থন থাকলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথ লাইন

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
নিজেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না ভাঙা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। কেউ কেউ লিখিত পরিকল্পনা বা অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করেন। আবার কেউ জিমের সদস্যপদ বা ব্যায়াম ক্লাসে ভর্তি হয়ে নিজেকে দায়বদ্ধ করে তোলেন। এতে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা কমে।
জীবনযাপনের সঙ্গে মানানসই পরিকল্পনা বেছে নেওয়া
যে ডায়েট বা ব্যায়াম পরিকল্পনা দীর্ঘদিন মেনে চলা সম্ভব নয়, তা এড়িয়ে চলা ভালো। অতিরিক্ত কঠোর নিয়ম অথবা সবকিছু একেবারে বাদ দেওয়ার মানসিকতা অনেক সময় উল্টো ফল বয়ে আনে। বরং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ, খাবারের পরিমাণ কমানো, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং বেশি করে ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করার মতো অভ্যাসগুলো দীর্ঘ মেয়াদে উপকারী।
পছন্দের ব্যায়াম খোঁজা
ওজন কমাতে শারীরিক কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে ব্যায়াম আপনার ভালো লাগে না, তা বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। হাঁটা, সাঁতার, নাচ, সাইক্লিং কিংবা জিম—যে ধরনের ব্যায়াম উপভোগ করেন, সেটিই বেছে নেওয়া ভালো।
যে বিষয়গুলো অনুপ্রেরণা জোগায়
ওজন কমানোর পুরো যাত্রায় শুধু শেষ লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে হতাশা আসতে পারে। তাই ছোট ছোট প্রক্রিয়াগত লক্ষ্য ঠিক করা জরুরি। যেমন সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েক দিন ব্যায়াম করা বা প্রতিটি খাবারে সবজি রাখা। এসব লক্ষ্য পূরণ হলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজের অগ্রগতি লিখে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার ও দৈনন্দিন অভ্যাসের হিসাব রাখলে কোথায় ভুল হচ্ছে কিংবা কোন অভ্যাস ওজন বাড়াচ্ছে, তা সহজে ধরা পড়ে।
সামাজিক সহায়তা এবং ইতিবাচক মনোভাব
পরিবার ও বন্ধুদের নিজের লক্ষ্য জানালে তারা মানসিক সমর্থন দিতে পারে। কেউ কেউ ওজন কমানোর সঙ্গী পেলে আরও অনুপ্রাণিত বোধ করে। পাশাপাশি নিজের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কথা বলা এবং পরিবর্তনের প্রতি দৃঢ় মনোভাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বাধা এলে যা করতে হবে
জীবনে নানা ধরনের চাপ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবার সঠিক পথে ফেরা সহজ হয়। নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা না করে নিজের ভুল মেনে নেওয়া এবং নিজেকে ক্ষমা করাও অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে সহায়ক।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাই সবচেয়ে বড় শক্তি। সবার অনুপ্রেরণার উৎস এক নয়। তাই নিজের জন্য কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে নেওয়াই হলো মূল চাবিকাঠি।
তবে ধৈর্য ধরুন, ছোট ছোট সাফল্য উদ্যাপন করুন
এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে সংকোচ করবেন না। সঠিক পরিকল্পনা ও সমর্থন থাকলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথ লাইন

স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দিতে গঠিত সংস্কার কমিশন ওষুধের প্রাপ্যতা, চিকিৎসা শিক্ষার মান ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কমিশন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে।
২৭ জানুয়ারি ২০২৫
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
১ দিন আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
১ দিন আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
১ দিন আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ
শীতকালীন সবজি খাওয়ায় সতর্কতা
কাবেজ জাতীয় সবজি; যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতায় থাকে গয়ট্রোজেন নামে একধরনের উপাদান। এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে থাকে। তাই যাঁদের হাইপোথাইরয়েড আছে, তাঁদের এসব সবজি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না। কিন্তু রান্না করে অল্প খাওয়া যাবে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের হরমোনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত দুর্বল লাগে, ঠান্ডা ভাব এবং কাজের গতি ধীর হতে পারে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের করণীয়
গরম থাকার চেষ্টা করুন: জ্যাকেট কিংবা কম্বল ইত্যাদির মতো গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। গরম খাবার বেশি খেতে হবে; যেমন স্যুপ কিংবা চা।
ভিটামিন ‘ডি’ বাড়ান: সকাল ৯ থেকে ১০টার দিকে রোদে থাকার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ‘ডি’ লেভেল বেশি কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস: পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভিটামিন ‘সি ও বি’ সমৃদ্ধ এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
মন নিয়ন্ত্রণ করুন: মুড সুইং খুবই সাধারণ বিষয় থাইরয়েড রোগীদের জন্য। তাই নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রফুল্ল থাকার চেষ্টা করুন, কর্মঠ থাকুন, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রয়োজনে লাইট থেরাপি নিতে পারেন।
শীতে থাইরয়েড রোগীদের ত্বকের যত্ন
থাইরয়েড রোগীদের ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক থাকে। শীতকালে তা আরও শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই শীতকালে গোসলের পর ময়শ্চারাইজার, লোশন কিংবা ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করুন। ত্বকে চুলকানি অথবা র্যাশ থাকলে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
নিয়মিত ফলোআপ
৩ থেকে ৬ মাস পরপর আপনার হরমোন ও থাইরয়েড, বিশেষত এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের মাত্রা কম কিংবা বেশি করা যাবে না।
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল, কাকরাইল, ঢাকা

থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ
শীতকালীন সবজি খাওয়ায় সতর্কতা
কাবেজ জাতীয় সবজি; যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতায় থাকে গয়ট্রোজেন নামে একধরনের উপাদান। এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে থাকে। তাই যাঁদের হাইপোথাইরয়েড আছে, তাঁদের এসব সবজি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না। কিন্তু রান্না করে অল্প খাওয়া যাবে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের হরমোনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত দুর্বল লাগে, ঠান্ডা ভাব এবং কাজের গতি ধীর হতে পারে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের করণীয়
গরম থাকার চেষ্টা করুন: জ্যাকেট কিংবা কম্বল ইত্যাদির মতো গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। গরম খাবার বেশি খেতে হবে; যেমন স্যুপ কিংবা চা।
ভিটামিন ‘ডি’ বাড়ান: সকাল ৯ থেকে ১০টার দিকে রোদে থাকার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ‘ডি’ লেভেল বেশি কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস: পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভিটামিন ‘সি ও বি’ সমৃদ্ধ এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
মন নিয়ন্ত্রণ করুন: মুড সুইং খুবই সাধারণ বিষয় থাইরয়েড রোগীদের জন্য। তাই নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রফুল্ল থাকার চেষ্টা করুন, কর্মঠ থাকুন, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রয়োজনে লাইট থেরাপি নিতে পারেন।
শীতে থাইরয়েড রোগীদের ত্বকের যত্ন
থাইরয়েড রোগীদের ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক থাকে। শীতকালে তা আরও শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই শীতকালে গোসলের পর ময়শ্চারাইজার, লোশন কিংবা ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করুন। ত্বকে চুলকানি অথবা র্যাশ থাকলে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
নিয়মিত ফলোআপ
৩ থেকে ৬ মাস পরপর আপনার হরমোন ও থাইরয়েড, বিশেষত এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের মাত্রা কম কিংবা বেশি করা যাবে না।
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল, কাকরাইল, ঢাকা

স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দিতে গঠিত সংস্কার কমিশন ওষুধের প্রাপ্যতা, চিকিৎসা শিক্ষার মান ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কমিশন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে।
২৭ জানুয়ারি ২০২৫
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
১ দিন আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
১ দিন আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
১ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়। আবার ত্বক, চুল ও প্রজননতন্ত্রের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ই’-এর ভূমিকা অনেক বেশি। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো আমরা প্রধানত শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু অসাবধানতার ফলে শাকসবজি ও ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ হারিয়ে যায়।
আমরা ঐতিহ্যগতভাবে শাকসবজি কাটার পর পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে থাকি। এতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ‘বি ও সি’ পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাই না। তাই সেগুলো কাটা বা খোসা ছাড়ানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ময়লা পরিষ্কারের পাশাপাশি সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকবে। শাকসবজি কাটার আগে বঁটি, ছুরি বা গ্রেটারও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
শাকসবজি রান্নার নামে দীর্ঘ সময় আগুনের তাপে রাখা যাবে না। অল্প তাপেই শাকসবজিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু মারা যায়। এগুলো যত কম সময় সেদ্ধ করা হবে, তত বেশি পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকবে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে শাকসবজির প্রায় ৫০ শতাংশ পটাশিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এটি শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় খনিজ। ফলে অল্প আঁচে ভাপানো শাকসবজি খাওয়া ভালো।
প্রতিটি শাকসবজির নিজস্ব রং বজায় রেখে রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ বেশি বজায় থাকবে। যেমন গাজর রান্নার পর লাল রং, শিম রান্নার পর সবুজ রং কিংবা ফুলকপির সাদা রং বজায় থাকতে হবে। রান্না করতে গিয়ে শাকসবজির রং যত নষ্ট হবে, তার পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হবে।
অনেক সময় রাতে শাকসবজি কেটে রেখে দেওয়া হয় সকালে রান্না করার জন্য। অথবা সকালে কেটে রাখি দুপুরে রান্না করার জন্য। এভাবে দীর্ঘ সময় কেটে রেখে দিলে শাকসবজির কাটা অংশ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে। এভাবে কেটে রাখা শাকসবজিতে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই এর সঠিক পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রাতে কেটে না রেখে রান্নার আগে কেটে দ্রুত রান্না করুন।
শাকসবজি কাটার কাজে ধারালো বঁটি অথবা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে এগুলো কাটার পর অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে কেটে রাখা শাকসবজিতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
সবজি ছোট টুকরা করে না কেটে যথাসম্ভব বড় টুকরা করে কাটবেন। ছোট টুকরা করে কাটলে তাপে বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। কিন্তু টুকরা বড় রাখলে বেশি তাপে রান্নায়ও ভেতরের পুষ্টিগুণ সহজে নষ্ট হয় না।
গাজর, পটোল, লাউ, শসা, মিষ্টিকুমড়ার মতো সবজিগুলো খোসাসহ রান্না করতে হবে। এসব সবজির খোসায়ও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
শাকসবজি ভাজা ভাজা না করে রান্না করে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। প্রথমত ভাজা করতে হলে খুব ছোট টুকরা করে কাটতে হয়। দ্বিতীয়ত ভাজি করতে হলে দীর্ঘ সময় তাপে রাখতে হয়। এই দুটি বিষয় শাকসবজির পুষ্টিগুণ অনেক কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো ঝোল করে রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়। আবার ত্বক, চুল ও প্রজননতন্ত্রের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ই’-এর ভূমিকা অনেক বেশি। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো আমরা প্রধানত শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু অসাবধানতার ফলে শাকসবজি ও ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ হারিয়ে যায়।
আমরা ঐতিহ্যগতভাবে শাকসবজি কাটার পর পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে থাকি। এতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ‘বি ও সি’ পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাই না। তাই সেগুলো কাটা বা খোসা ছাড়ানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ময়লা পরিষ্কারের পাশাপাশি সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকবে। শাকসবজি কাটার আগে বঁটি, ছুরি বা গ্রেটারও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
শাকসবজি রান্নার নামে দীর্ঘ সময় আগুনের তাপে রাখা যাবে না। অল্প তাপেই শাকসবজিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু মারা যায়। এগুলো যত কম সময় সেদ্ধ করা হবে, তত বেশি পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকবে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে শাকসবজির প্রায় ৫০ শতাংশ পটাশিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এটি শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় খনিজ। ফলে অল্প আঁচে ভাপানো শাকসবজি খাওয়া ভালো।
প্রতিটি শাকসবজির নিজস্ব রং বজায় রেখে রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ বেশি বজায় থাকবে। যেমন গাজর রান্নার পর লাল রং, শিম রান্নার পর সবুজ রং কিংবা ফুলকপির সাদা রং বজায় থাকতে হবে। রান্না করতে গিয়ে শাকসবজির রং যত নষ্ট হবে, তার পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হবে।
অনেক সময় রাতে শাকসবজি কেটে রেখে দেওয়া হয় সকালে রান্না করার জন্য। অথবা সকালে কেটে রাখি দুপুরে রান্না করার জন্য। এভাবে দীর্ঘ সময় কেটে রেখে দিলে শাকসবজির কাটা অংশ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে। এভাবে কেটে রাখা শাকসবজিতে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই এর সঠিক পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রাতে কেটে না রেখে রান্নার আগে কেটে দ্রুত রান্না করুন।
শাকসবজি কাটার কাজে ধারালো বঁটি অথবা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে এগুলো কাটার পর অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে কেটে রাখা শাকসবজিতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
সবজি ছোট টুকরা করে না কেটে যথাসম্ভব বড় টুকরা করে কাটবেন। ছোট টুকরা করে কাটলে তাপে বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। কিন্তু টুকরা বড় রাখলে বেশি তাপে রান্নায়ও ভেতরের পুষ্টিগুণ সহজে নষ্ট হয় না।
গাজর, পটোল, লাউ, শসা, মিষ্টিকুমড়ার মতো সবজিগুলো খোসাসহ রান্না করতে হবে। এসব সবজির খোসায়ও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
শাকসবজি ভাজা ভাজা না করে রান্না করে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। প্রথমত ভাজা করতে হলে খুব ছোট টুকরা করে কাটতে হয়। দ্বিতীয়ত ভাজি করতে হলে দীর্ঘ সময় তাপে রাখতে হয়। এই দুটি বিষয় শাকসবজির পুষ্টিগুণ অনেক কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো ঝোল করে রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দিতে গঠিত সংস্কার কমিশন ওষুধের প্রাপ্যতা, চিকিৎসা শিক্ষার মান ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কমিশন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে।
২৭ জানুয়ারি ২০২৫
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
১ দিন আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
১ দিন আগে
ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো...
১ দিন আগেডা. মো. আরমান হোসেন রনি

ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো আঘাতের চিহ্ন না-ও থাকতে পারে।
কারণ
শিশুর অতিরিক্ত কান্না, বিরক্তি কিংবা অস্থিরতার কারণে অভিভাবক বা পরিচর্যাকারীর রাগ এ ঘটনার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এই অবস্থায় শিশুকে ঝাঁকালে তাদের ঘাড়ের পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এ ছাড়া মাথা শরীরের তুলনায় বড় হওয়ায় ঝাঁকানোর সময় তা সামনে-পেছনে দ্রুত নড়াচড়া করে। ফলে মস্তিষ্ক খুলির ভেতরে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং রক্তনালিগুলো ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কী ঘটে
শিশুকে জোরে ঝাঁকানোর ফলে তিনটি প্রধান ক্ষতি হয়—
মস্তিষ্কে আঘাত: মস্তিষ্ক ও খুলির মাঝখানে থাকা রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
চোখে আঘাত: ভিট্রিওরেটিনাল ট্র্যাকশনের কারণে মাল্টিলেয়ার্ড রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়, যা শেকেন বেবি সিনড্রোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
ঘাড় ও স্পাইনাল ইনজুরি: সার্ভাইক্যাল স্পাইনের ক্ষতি ও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ
শেকেন বেবি সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
অতিরিক্ত কান্না বা অস্বাভাবিক নিস্তেজ হয়ে যাওয়া
চোখের পরীক্ষায় দেখা যায়—
রোগনির্ণয়
শেকেন বেবি সিনড্রোম মূলত ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস। তবে নিশ্চিত করার জন্য—
চিকিৎসা
এর চিকিৎসা একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে করা হয়—
চিকিৎসকের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব
শেকেন বেবি সিনড্রোম একটি শিশু নির্যাতনজনিত অপরাধ। তাই চিকিৎসকের দায়িত্ব শুধু চিকিৎসা করা নয়, বরং—
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত বা শেকেন বেবি সিনড্রোম হলো শিশু নির্যাতনের একটি মারাত্মক ও জীবনঘাতী রূপ। এটি প্রধানত ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অবস্থায় শিশুকে জোরে জোরে ঝাঁকানোর ফলে মস্তিষ্ক, চোখ ও ঘাড়ে গুরুতর আঘাত সৃষ্টি হয়, যদিও বাহ্যিকভাবে অনেক সময় কোনো আঘাতের চিহ্ন না-ও থাকতে পারে।
কারণ
শিশুর অতিরিক্ত কান্না, বিরক্তি কিংবা অস্থিরতার কারণে অভিভাবক বা পরিচর্যাকারীর রাগ এ ঘটনার জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এই অবস্থায় শিশুকে ঝাঁকালে তাদের ঘাড়ের পেশি দুর্বল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এ ছাড়া মাথা শরীরের তুলনায় বড় হওয়ায় ঝাঁকানোর সময় তা সামনে-পেছনে দ্রুত নড়াচড়া করে। ফলে মস্তিষ্ক খুলির ভেতরে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং রক্তনালিগুলো ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কী ঘটে
শিশুকে জোরে ঝাঁকানোর ফলে তিনটি প্রধান ক্ষতি হয়—
মস্তিষ্কে আঘাত: মস্তিষ্ক ও খুলির মাঝখানে থাকা রক্তনালি ছিঁড়ে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
চোখে আঘাত: ভিট্রিওরেটিনাল ট্র্যাকশনের কারণে মাল্টিলেয়ার্ড রেটিনায় রক্তক্ষরণ হয়, যা শেকেন বেবি সিনড্রোমের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
ঘাড় ও স্পাইনাল ইনজুরি: সার্ভাইক্যাল স্পাইনের ক্ষতি ও মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
লক্ষণ
শেকেন বেবি সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর লক্ষণগুলো হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
অতিরিক্ত কান্না বা অস্বাভাবিক নিস্তেজ হয়ে যাওয়া
চোখের পরীক্ষায় দেখা যায়—
রোগনির্ণয়
শেকেন বেবি সিনড্রোম মূলত ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস। তবে নিশ্চিত করার জন্য—
চিকিৎসা
এর চিকিৎসা একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে করা হয়—
চিকিৎসকের আইনগত ও নৈতিক দায়িত্ব
শেকেন বেবি সিনড্রোম একটি শিশু নির্যাতনজনিত অপরাধ। তাই চিকিৎসকের দায়িত্ব শুধু চিকিৎসা করা নয়, বরং—
চক্ষুবিশেষজ্ঞ ও সার্জন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।

স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব দিতে গঠিত সংস্কার কমিশন ওষুধের প্রাপ্যতা, চিকিৎসা শিক্ষার মান ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কমিশন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে।
২৭ জানুয়ারি ২০২৫
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
১ দিন আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
১ দিন আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
১ দিন আগে