মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী

পরপর গত দুই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি উদ্যোগে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। ১৩ মার্চ মন্ত্রিসভায় তিনি দেশের সবার প্রতি রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন। এর আগে নিজ দল আওয়ামী লীগকেও ইফতার পার্টি না করে সেই অর্থ দুস্থ ও অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। সে কারণে এবার এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কোথাও ইফতার পার্টির কোনো খবর গণমাধ্যমেও প্রচারিত হতে দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইফতার পার্টি সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে না করার সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এর বাইরেও তিনি জনগণের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা ধর্মীয় দৃষ্টিতে যেমন সমর্থনযোগ্য, একইভাবে দুস্থ ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে ইফতার পার্টির অর্থ ব্যয় করার বিষয়টিও সমর্থনযোগ্য।
বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখা গেছে সরকারি উদ্যোগে ইফতার পার্টির আয়োজন করতে। যখনই যে সরকার ক্ষমতায় ছিল, রমজানে সরকারপ্রধানের বিশেষ ইফতার পার্টিতে বিশেষ গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং দলীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হতো। অনেকেই যেন এই আয়োজনে আমন্ত্রণ পাওয়ার জন্য আগে থেকেই মুখিয়ে থাকতেন। গণভবনে সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে ইফতার পার্টির পরিবেশ দেখার সৌভাগ্য যাদের হয়েছে, তারা টেবিলে ইফতারের রমরমা আয়োজন যেমন উপভোগ করতেন, সরকারপ্রধান কিংবা মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেও প্রীত হতেন। আয়োজনে বহু মানুষেরই সমাবেশ ঘটত। দু-একটি আমন্ত্রণ পেয়ে যাওয়ার সৌভাগ্যও আমার হয়। ইফতার পার্টির এমন বিশাল আয়োজনের দৃশ্য দেখে মনে হতো এত বিপুল সরকারি অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজনটা কী, এর লাভই বা কী? আমাদের দেশটা এখনো এমন পর্যায়ে যায়নি যে ইফতার পার্টির নামে এত বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করা যায়।
শুধু সরকারপ্রধানের দপ্তরই নয়, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয় প্রতিবছর রমজান এলেই ইফতার আয়োজনের নামে যা করত, তা সংযমের মাসের চরিত্রের সঙ্গে খুব একটা যায় না। যে অর্থ এভাবে খরচ করা হয়ে থাকে, তা দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের কল্যাণমূলক কোনো কাজ করা গেলে কয়েক বছরে অনেক ভালো কাজই দৃশ্যমান হওয়ার মতো হতো হয়তো। রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে এসব আয়োজন অনেকটা বিলাসিতার পর্যায়ে পড়ে। যাঁরা এসব ইফতার পার্টিতে অংশ নেন, তাঁদের ভালো মানের ইফতার খাওয়ার সামর্থ্য নিশ্চয়ই রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ইফতার পার্টি দেওয়ার সংস্কৃতি বছরে বছরে যেন বেড়েই চলছিল।
অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোও একের পর এক প্রতিযোগিতা দিয়ে ইফতার পার্টির জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করতে থাকে। সেখানে ছোটখাটো রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়ার খবরও গণমাধ্যমের কল্যাণে আমরা জেনেছি। বড় দলগুলোর ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে ইফতার পার্টি শুধু শহরেই নয়, গ্রামে-গঞ্জেও রোজার মাসে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। উদীয়মান কোনো কোনো নেতাকে গ্রামে ইফতার পার্টির আয়োজন করে নিজের অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জানান দিতেই এসব উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। কোনো কোনো দল ইফতার পার্টিতে এলাকার গণ্যমান্য ও তরুণদের নিমন্ত্রণ জানিয়ে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পর্যায়ে সর্বত্রই ইফতার পার্টি রমজানে কোনো না কোনো সংগঠনের নেতা বা নেতা হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের আয়োজনে করা হয়ে থাকে। এসব ইফতার পার্টি নিয়ে দলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ঘটনা ঘটতেও দেখা গেছে, আবার কোথাও চাঁদাবাজির কথাও শোনা যায়। সব মিলিয়ে বিষয়টি রোজার তাৎপর্যে পালিত হওয়ার চেয়ে ভোগ-বিলাস, দল, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর প্রদর্শনীর বিষয়টি বিস্তৃত হয়েছে। অথচ রোজার আসল শিক্ষাই হচ্ছে সংযম, কিন্তু ইফতার পার্টিতে সংযমের চেয়ে অপব্যয় এবং কারও কারও ক্ষমতা প্রদর্শনের বিষয় হিসেবেও বিষয়টি আবির্ভূত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি ও দলীয় ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তাতে যদি ভবিষ্যতে বাড়-বাড়ন্ত ইফতার পার্টির আয়োজন বন্ধ হয়, সেটি সব দিক থেকেই মঙ্গলজনক হতে পারে। বিশেষত ইফতার পার্টির বরাদ্দ অর্থ যদি গরিব ও দুস্থ মানুষের খাদ্য, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেটি হবে জাতির জন্য কল্যাণকর। রমজানে যে যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তিনি বা তাঁরা সামর্থ্য অনুযায়ী ইফতারের সময় ইফতার করেই থাকেন। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই নিজ ঘরে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করে থাকেন। যাঁদের অর্থ-বিত্ত আছে, তাঁরা হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে পছন্দের ইফতারসামগ্রী কিনে এনে থাকেন। আবার অনেকেই নিজের বাসা-বাড়িতেই ইফতারসামগ্রী তৈরি করেন। ফল কিংবা পানীয় জিনিস কিনে থাকেন। কেউ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে ইফতারি বিলি করেন। আবার অনেকে গরিবদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিলি করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশে রমজানে ইফতারের বিষয়টি পারিবারিকভাবেই আমরা করতে দেখে আসছি।
এবার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অভিঘাত আমাদের দেশেও পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে সরকারের শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নয়, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমনিতেই রমজানে প্রতিবছর দেশের ব্যবসায়ী সমাজ আয়-উপার্জন বৃদ্ধির নানা প্রস্তুতি নিয়ে পসরা সাজায়। গ্রামেও এখন হাট-বাজারে নানা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে
ছোট ছোট নগরীর অবয়ব লাভ করতে যাচ্ছে। শহরে অভিজাত বাণিজ্যিক এলাকা ছাড়াও আবাসিক এলাকাগুলোতে অপরিকল্পিতভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।
সুপারশপ, মল নামে অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এমনকি উপজেলা পর্যায়েও গড়ে উঠেছে। গ্রাম থেকে অসংখ্য মানুষকে এই রমজানে সেই সব সুপারমার্কেটে কেনাকাটায় ভিড় করতে দেখা যায়। ঢাকা বা অন্যান্য শহরেও ঈদের এক মাস ব্যবসায়ীরা ব্যবসা-বাণিজ্যের ভালো প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। ব্যবসায়ীদের টার্গেটই থাকে এই মাসে ব্যবসা করে কিছু বাড়তি উপার্জন করে নেওয়া। কাঁচাবাজারগুলোতেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী নিয়ে যাঁরা বসেন, তাঁরাও রোজার মাসকে আয়-উপার্জনের বিশেষ মাস হিসেবে দেখে থাকেন। রমজান উপলক্ষে সে কারণে দ্রব্যমূল্যও বাড়িয়ে দেওয়ার নানা চেষ্টা-অজুহাত আগে থেকেই ব্যবসায়ীরা করে আসছেন।
এবার বেশ আগে থেকেই নানা অজুহাতে বাজার অস্থির করার সব চেষ্টাই করা হয়েছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ কাঁচাবাজারে ভয়ানকভাবে নাকাল হচ্ছে। সেই দৃশ্য প্রতিদিনই ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোতে দেখানো হচ্ছে। সরকারকে বেশ বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়েছে। সে কারণেই সম্ভবত ১৩ মার্চের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আটটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে করে বিভিন্ন পণ্য মৌসুমের বাইরেও ভোক্তারা সহনশীল দামে কিনতে পারে। সেই রকম অতি উন্নতমানের সংরক্ষণাগার যেন সেগুলো হয়, তার প্রতিও দৃষ্টি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আমাদের বাজারব্যবস্থায় যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে অসময়ের অনেক কাঁচা পণ্যসামগ্রী সারা বছর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাজারে পাওয়া যায় না, পেলেও সেগুলোর দাম অনেক চড়া হয়ে যায়। তখনই এ নিয়ে বাজারে নানা শোরগোল পড়ে যায়।
যদি আমাদের পর্যাপ্তসংখ্যক কাঁচামালের সংরক্ষণাগার থাকত, তাহলে লেবু, শসা, পেঁপেসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা যেত। বিষয়টি বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী সংরক্ষণাগার নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন। বলা চলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার যে দুটি নির্দেশনা দিয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়িত হলে আমাদের দেশে ইফতার পার্টি নিয়ে যে অসংযমের অপ্রয়োজনীয় সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তা হয়তো ভবিষ্যতে আর আমরা দেখব না এবং কাঁচা পণ্যসামগ্রী নিয়ে যে ধরনের সংকট, দুর্নীতি, মানুষের পকেট কাটার বাজারব্যবস্থা চলে আসছে, সেটি থেকে নিকট ভবিষ্যতে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
লেখক: অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ ও কলামিস্ট

পরপর গত দুই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি উদ্যোগে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। ১৩ মার্চ মন্ত্রিসভায় তিনি দেশের সবার প্রতি রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন। এর আগে নিজ দল আওয়ামী লীগকেও ইফতার পার্টি না করে সেই অর্থ দুস্থ ও অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন। সে কারণে এবার এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কোথাও ইফতার পার্টির কোনো খবর গণমাধ্যমেও প্রচারিত হতে দেখা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইফতার পার্টি সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে না করার সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। এর বাইরেও তিনি জনগণের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা ধর্মীয় দৃষ্টিতে যেমন সমর্থনযোগ্য, একইভাবে দুস্থ ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে ইফতার পার্টির অর্থ ব্যয় করার বিষয়টিও সমর্থনযোগ্য।
বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখা গেছে সরকারি উদ্যোগে ইফতার পার্টির আয়োজন করতে। যখনই যে সরকার ক্ষমতায় ছিল, রমজানে সরকারপ্রধানের বিশেষ ইফতার পার্টিতে বিশেষ গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং দলীয় নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হতো। অনেকেই যেন এই আয়োজনে আমন্ত্রণ পাওয়ার জন্য আগে থেকেই মুখিয়ে থাকতেন। গণভবনে সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে ইফতার পার্টির পরিবেশ দেখার সৌভাগ্য যাদের হয়েছে, তারা টেবিলে ইফতারের রমরমা আয়োজন যেমন উপভোগ করতেন, সরকারপ্রধান কিংবা মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেও প্রীত হতেন। আয়োজনে বহু মানুষেরই সমাবেশ ঘটত। দু-একটি আমন্ত্রণ পেয়ে যাওয়ার সৌভাগ্যও আমার হয়। ইফতার পার্টির এমন বিশাল আয়োজনের দৃশ্য দেখে মনে হতো এত বিপুল সরকারি অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজনটা কী, এর লাভই বা কী? আমাদের দেশটা এখনো এমন পর্যায়ে যায়নি যে ইফতার পার্টির নামে এত বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করা যায়।
শুধু সরকারপ্রধানের দপ্তরই নয়, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, মন্ত্রণালয় প্রতিবছর রমজান এলেই ইফতার আয়োজনের নামে যা করত, তা সংযমের মাসের চরিত্রের সঙ্গে খুব একটা যায় না। যে অর্থ এভাবে খরচ করা হয়ে থাকে, তা দিয়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের কল্যাণমূলক কোনো কাজ করা গেলে কয়েক বছরে অনেক ভালো কাজই দৃশ্যমান হওয়ার মতো হতো হয়তো। রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করে এসব আয়োজন অনেকটা বিলাসিতার পর্যায়ে পড়ে। যাঁরা এসব ইফতার পার্টিতে অংশ নেন, তাঁদের ভালো মানের ইফতার খাওয়ার সামর্থ্য নিশ্চয়ই রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে ইফতার পার্টি দেওয়ার সংস্কৃতি বছরে বছরে যেন বেড়েই চলছিল।
অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোও একের পর এক প্রতিযোগিতা দিয়ে ইফতার পার্টির জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করতে থাকে। সেখানে ছোটখাটো রাজনৈতিক বক্তৃতা দেওয়ার খবরও গণমাধ্যমের কল্যাণে আমরা জেনেছি। বড় দলগুলোর ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগে ইফতার পার্টি শুধু শহরেই নয়, গ্রামে-গঞ্জেও রোজার মাসে ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। উদীয়মান কোনো কোনো নেতাকে গ্রামে ইফতার পার্টির আয়োজন করে নিজের অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জানান দিতেই এসব উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে। কোনো কোনো দল ইফতার পার্টিতে এলাকার গণ্যমান্য ও তরুণদের নিমন্ত্রণ জানিয়ে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পর্যায়ে সর্বত্রই ইফতার পার্টি রমজানে কোনো না কোনো সংগঠনের নেতা বা নেতা হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের আয়োজনে করা হয়ে থাকে। এসব ইফতার পার্টি নিয়ে দলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের ঘটনা ঘটতেও দেখা গেছে, আবার কোথাও চাঁদাবাজির কথাও শোনা যায়। সব মিলিয়ে বিষয়টি রোজার তাৎপর্যে পালিত হওয়ার চেয়ে ভোগ-বিলাস, দল, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর প্রদর্শনীর বিষয়টি বিস্তৃত হয়েছে। অথচ রোজার আসল শিক্ষাই হচ্ছে সংযম, কিন্তু ইফতার পার্টিতে সংযমের চেয়ে অপব্যয় এবং কারও কারও ক্ষমতা প্রদর্শনের বিষয় হিসেবেও বিষয়টি আবির্ভূত হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি ও দলীয় ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তাতে যদি ভবিষ্যতে বাড়-বাড়ন্ত ইফতার পার্টির আয়োজন বন্ধ হয়, সেটি সব দিক থেকেই মঙ্গলজনক হতে পারে। বিশেষত ইফতার পার্টির বরাদ্দ অর্থ যদি গরিব ও দুস্থ মানুষের খাদ্য, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেটি হবে জাতির জন্য কল্যাণকর। রমজানে যে যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তিনি বা তাঁরা সামর্থ্য অনুযায়ী ইফতারের সময় ইফতার করেই থাকেন। আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই নিজ ঘরে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করে থাকেন। যাঁদের অর্থ-বিত্ত আছে, তাঁরা হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে পছন্দের ইফতারসামগ্রী কিনে এনে থাকেন। আবার অনেকেই নিজের বাসা-বাড়িতেই ইফতারসামগ্রী তৈরি করেন। ফল কিংবা পানীয় জিনিস কিনে থাকেন। কেউ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে ইফতারি বিলি করেন। আবার অনেকে গরিবদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিলি করে থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশে রমজানে ইফতারের বিষয়টি পারিবারিকভাবেই আমরা করতে দেখে আসছি।
এবার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অভিঘাত আমাদের দেশেও পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে সরকারের শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নয়, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমনিতেই রমজানে প্রতিবছর দেশের ব্যবসায়ী সমাজ আয়-উপার্জন বৃদ্ধির নানা প্রস্তুতি নিয়ে পসরা সাজায়। গ্রামেও এখন হাট-বাজারে নানা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে
ছোট ছোট নগরীর অবয়ব লাভ করতে যাচ্ছে। শহরে অভিজাত বাণিজ্যিক এলাকা ছাড়াও আবাসিক এলাকাগুলোতে অপরিকল্পিতভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।
সুপারশপ, মল নামে অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এমনকি উপজেলা পর্যায়েও গড়ে উঠেছে। গ্রাম থেকে অসংখ্য মানুষকে এই রমজানে সেই সব সুপারমার্কেটে কেনাকাটায় ভিড় করতে দেখা যায়। ঢাকা বা অন্যান্য শহরেও ঈদের এক মাস ব্যবসায়ীরা ব্যবসা-বাণিজ্যের ভালো প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। ব্যবসায়ীদের টার্গেটই থাকে এই মাসে ব্যবসা করে কিছু বাড়তি উপার্জন করে নেওয়া। কাঁচাবাজারগুলোতেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী নিয়ে যাঁরা বসেন, তাঁরাও রোজার মাসকে আয়-উপার্জনের বিশেষ মাস হিসেবে দেখে থাকেন। রমজান উপলক্ষে সে কারণে দ্রব্যমূল্যও বাড়িয়ে দেওয়ার নানা চেষ্টা-অজুহাত আগে থেকেই ব্যবসায়ীরা করে আসছেন।
এবার বেশ আগে থেকেই নানা অজুহাতে বাজার অস্থির করার সব চেষ্টাই করা হয়েছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ কাঁচাবাজারে ভয়ানকভাবে নাকাল হচ্ছে। সেই দৃশ্য প্রতিদিনই ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলোতে দেখানো হচ্ছে। সরকারকে বেশ বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়েছে। সে কারণেই সম্ভবত ১৩ মার্চের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আটটি বিভাগে পর্যায়ক্রমে কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে করে বিভিন্ন পণ্য মৌসুমের বাইরেও ভোক্তারা সহনশীল দামে কিনতে পারে। সেই রকম অতি উন্নতমানের সংরক্ষণাগার যেন সেগুলো হয়, তার প্রতিও দৃষ্টি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আমাদের বাজারব্যবস্থায় যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে অসময়ের অনেক কাঁচা পণ্যসামগ্রী সারা বছর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাজারে পাওয়া যায় না, পেলেও সেগুলোর দাম অনেক চড়া হয়ে যায়। তখনই এ নিয়ে বাজারে নানা শোরগোল পড়ে যায়।
যদি আমাদের পর্যাপ্তসংখ্যক কাঁচামালের সংরক্ষণাগার থাকত, তাহলে লেবু, শসা, পেঁপেসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা যেত। বিষয়টি বিবেচনা করেই প্রধানমন্ত্রী সংরক্ষণাগার নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন। বলা চলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার যে দুটি নির্দেশনা দিয়েছেন, সেগুলো বাস্তবায়িত হলে আমাদের দেশে ইফতার পার্টি নিয়ে যে অসংযমের অপ্রয়োজনীয় সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তা হয়তো ভবিষ্যতে আর আমরা দেখব না এবং কাঁচা পণ্যসামগ্রী নিয়ে যে ধরনের সংকট, দুর্নীতি, মানুষের পকেট কাটার বাজারব্যবস্থা চলে আসছে, সেটি থেকে নিকট ভবিষ্যতে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
লেখক: অধ্যাপক, ইতিহাসবিদ ও কলামিস্ট

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

পরপর গত দুই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি উদ্যোগে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। ১৩ মার্চ মন্ত্রিসভায় তিনি দেশের সবার প্রতি রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন। এর আগে নিজ দল আওয়ামী লীগকেও ইফতার পার্টি না করে সেই অর
১৫ মার্চ ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

পরপর গত দুই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি উদ্যোগে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। ১৩ মার্চ মন্ত্রিসভায় তিনি দেশের সবার প্রতি রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন। এর আগে নিজ দল আওয়ামী লীগকেও ইফতার পার্টি না করে সেই অর
১৫ মার্চ ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

পরপর গত দুই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি উদ্যোগে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। ১৩ মার্চ মন্ত্রিসভায় তিনি দেশের সবার প্রতি রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন। এর আগে নিজ দল আওয়ামী লীগকেও ইফতার পার্টি না করে সেই অর
১৫ মার্চ ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

পরপর গত দুই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি উদ্যোগে ইফতার পার্টি না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। ১৩ মার্চ মন্ত্রিসভায় তিনি দেশের সবার প্রতি রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন। এর আগে নিজ দল আওয়ামী লীগকেও ইফতার পার্টি না করে সেই অর
১৫ মার্চ ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫