Ajker Patrika

গরমের পর আসতে পারে বন্যার ধাক্কা

সৌগত বসু ও আব্দুর রহমান, ঢাকা
আপডেট : ১১ মে ২০২৪, ১১: ২৬
গরমের পর আসতে পারে বন্যার ধাক্কা

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ কেটেছে সপ্তাহ ঘুরতে চলল। এর মধ্যেই আবার গরমের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সংকট এখানেই শেষ নয়। এবার বর্ষায় বৃষ্টিও বেশি হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ায়। সেই বৃষ্টির প্রভাবে ভাটির দেশ বাংলাদেশে হতে পারে বন্যা। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, জলবায়ু চক্র এল নিনো দুর্বল হয়ে যাওয়া, প্রচণ্ড গরম ও দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমিবায়ুসহ নানা কারণে আগামী জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গতবারের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হতে পারে।

ভারতের পুনেতে গত ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট ফোরামের ২৮তম অধিবেশনের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিবৃতি অনুসারে, প্রশান্ত মহাসাগরের ক্রান্তীয় অঞ্চলে এখন এল নিনো জলবায়ু চক্র বিরাজ করছে। তবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমের প্রথমার্ধে দক্ষিণ গোলার্ধে এল নিনোর প্রভাব কমবে। মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে লা নিনা জলবায়ু চক্রে শুরু হবে।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে লা নিনার প্রভাব শুরু হলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম এবং বাংলাদেশে বৃষ্টি বেশি হতে পারে। বাংলাদেশ ভাটির দেশ হওয়ায় বৃষ্টির সেই পানি গড়াবে এই দেশের ওপর দিয়েই। ফলে এখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়ায় অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ পুনে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জুন-জুলাই থেকে দেশে লা লিনার প্রভাব শুরু হবে। লা লিনা হলে দক্ষিণ এশিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যা বাড়ে। তবে মিয়ানমার অংশে বৃষ্টি কম হয়। দেশে সিলেট অংশে বৃষ্টি কম থাকবে। তবে রাজশাহী ও খুলনা অঞ্চলে বৃষ্টি বেশি হবে।

এল নিনো ও লা নিনা কী
জলবায়ু চক্রের যে পর্যায়ে পূর্ব ও মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বেড়ে যায়, তাকে এল নিনো বলে। আর উষ্ণতা কমলে তা লা নিনা নামে পরিচিত। এল নিনোর প্রভাবে গরম বাড়ে, আর লা নিনার প্রভাবে তাপমাত্রা কমে ও বৃষ্টি বাড়ে। আবহাওয়াবিদদের তথ্যমতে, ২০১৯ সাল থেকে টানা তিন বছর ‘লা নিনা’র দাপট ছিল সারা বিশ্বে। সাধারণত দুই থেকে সাত বছর পরপর এল নিনো পরিস্থিতি তৈরি হয়, যা ১৮ মাসের বেশি সময় স্থায়ী হয়।

গত বছরই এল নিনোর আবির্ভাবের কথা নিশ্চিত করেছিল বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া অধিদপ্তরও জানিয়েছিল, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এল নিনোর প্রভাব থাকবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশে এল নিনোর প্রভাব খুব একটা পড়ে না। তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটেছে। টানা ৩৩ দিনের প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ তারই প্রমাণ। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গত ৩৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড ভেঙে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল।

লা নিনায় বাংলাদেশে কী ঘটতে পারে

তবে এল নিনো ও লা নিনা চক্রের শেষ ও শুরু হওয়ার নির্দিষ্ট সময় নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় বৃষ্টিপাতের বিষয়টি নির্ভর করে আরও একটি বিষয়ের ওপর, যা ইন্ডিয়ান ওশান ডাইপোল বা আইওডি নামে পরিচিত। এটিও জলবায়ু চক্রের একটি অংশ। তবে তা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সীমাবদ্ধ। আইওডির ইতিবাচক পর্যায়ে উষ্ণ পানি ভারত মহাসাগরের পশ্চিমাংশে চলে যায় আর সাগরের গভীরের শীতল পানি পূর্ব ভারত মহাসাগরের পৃষ্ঠে উঠে আসে। এর ফলে মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আর পূর্বাংশ তথা বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপকূলে তাপমাত্রা কমে যায়। আইওডির নেতিবাচক পর্যায়ে উল্টোটা ঘটে। এ সময় বাংলাদেশ ও ভারতে তাপমাত্রা বাড়ে। বিষয়টি ইন্ডিয়ান নিনো নামেও পরিচিত। বর্তমানে ভারত মহাসাগরে নিরপেক্ষ আইওডি চলছে।

তবে বৈশ্বিক আবহাওয়ার সাম্প্রতিক পূর্বাভাস বলছে, আসন্ন বর্ষার দ্বিতীয়ার্ধে ভারত মহাসাগরে ইতিবাচক আইওডি দেখা দিতে পারে। ফলে বাংলাদেশ ও ভারতে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা কমবে।

এদিকে উত্তর গোলার্ধের শীত ও বসন্তকালে তুষারপাতের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার বৃষ্টিপাতের সরাসরি বিপরীতমুখী সম্পর্ক আছে। সোজা কথায়, উত্তর গোলার্ধে তুষারপাত কম হলে দক্ষিণ এশিয়ায় বৃষ্টি বেশি হবে। গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে উত্তর গোলার্ধে তুষারপাত স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল।

সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট ফোরাম প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ বছর সিলেট, বৃহত্তর কুমিল্লা, চট্টগ্রামের কিছু অংশ বাদে সারা বাংলাদেশেই স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি হবে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে রাজশাহী অঞ্চলে, বিশেষ করে পদ্মা অববাহিকায়। এই সময়ে খুলনা অঞ্চল ছাড়া সারা দেশের তাপমাত্রা প্রায় স্বাভাবিক থাকবে। খুলনা অঞ্চলের তাপমাত্রা বর্ষায় স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকবে। ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের মধুপুর গড় অঞ্চলসহ বড় একটি অংশের তাপমাত্রাও কম থাকবে। তবে ঢাকা বিভাগের পদ্মার দক্ষিণ তীরের জেলাগুলোর তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকতে পারে।

সম্মেলনে কী ধরনের আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, লা লিনা কমপক্ষে দুই থেকে তিন বছর থাকতে পারে। এল নিনো এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়লে লা লিনায় পরিবর্তন আসতে পারে। এ কারণে জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না যে সামনের বছর তাপমাত্রা কম থাকবে। কারণ, বেশি বৃষ্টির পর হঠাৎ শুষ্ক আবহাওয়া থাকলে তাপমাত্রা হুট করে বেড়ে যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।

বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।

‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র‌্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র‌্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র‌্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।

দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।

শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’

ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।

এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।

জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর-পূর্ব জাপান, সুনামি সতর্কতা জারি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, দিল্লির অবস্থা বিপজ্জনক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।

আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ১৫.৫

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ শান্তিরক্ষী নিহত, যুদ্ধ চলমান: আইএসপিআর

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত