Ajker Patrika

সূর্য ডুবলেই গ্রামে নেমে আসে হাতির পাল

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২: ০৯
সূর্য ডুবলেই গ্রামে নেমে আসে হাতির পাল

পাহাড় কেটে সাবাড়, জঙ্গল গিলছে শিল্প। ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে বন্যপ্রাণীদের আবাস। সন্ধ্যা হলেই গ্রামের মানুষ আতঙ্কে সিঁটিয়ে থাকেন। সারা দিন পরিশ্রম করে ভাত খেতে বসতেই চারদিক থেকে হাঁকডাক আসে ‘হাতি আসতেছে’। উঠানে এসে পায়চারি করে বুনো হাতি। কখনো হাতির পাল তছনছ করে যায় ফসল। আচমকা হাতির সামনে পড়ে চোখের সামনে বেঘোরে প্রাণ হারান আপনজন। হাতির আক্রমণে গত পাঁচ বছরে অন্তত ১৭ জনের প্রাণহানি আর অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। 

এই হলো চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলার চিত্র। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অরক্ষিত অবস্থায় আছে শহরতলির কর্ণফুলী উপজেলা। বলতে গেলে হাতির আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে এ এলাকা। দুর্গম বনাঞ্চলের মাঝে অবস্থিত এ উপজেলায় সূর্য ডোবার পরই শুরু হয় হাতিদের অবাধ বিচরণ। আতঙ্কে ঘুমাতে পারেন না বাসিন্দারা। দিনের বেলায় কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনের (কেইপিজেড) জলাশয় আর বাগানে অবস্থান করে হাতির পাল। রাতে নেমে আসে লোকালয়ে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাতির আক্রমণে গত ৫ বছরে কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলায় ১৭ জনের প্রাণহানি ও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। প্রতিরাতে মশাল জ্বালিয়ে পাহারা বসিয়ে রাত কাটাচ্ছেন এলাকাবাসী। 

স্থানীয়রা জানান, বাঁশখালীর পাহাড় থেকে একটি হাতির দল পাঁচ বছর ধরে দেয়াং পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে। খাদ্যের সন্ধানে তারা সন্ধ্যার পর নেমে আসে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠানের খিলপাড়া, খতিবপাড়া, মাইজপাড়া, বড়উঠান, দৌলতপুর, দক্ষিণ শাহমীরপুর এলাকাসহ আনোয়ারার বারশত ইউনিয়নের কবিরের দোকান, পশ্চিমচাল, কান্তিরহাট, বটতলী ইউনিয়নের জয়নগর, ছিরাবটতলী, গুচ্ছগ্রাম, জয়নালপাড়া, বৈরাগ ইউনিয়নের দেয়াং বাজার, উত্তর গুয়াপঞ্চক, মধ্যম গুয়াপঞ্চক, খাঁনবাড়ী, মোহাম্মদপুর, বদলপুরা, বন্দর, বারখাইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও লোকালয়ে। বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়, ফসল নষ্ট করে। 

স্থানীয়রা বলছেন, কেইপিজেড এলাকার পাহাড়ের জঙ্গল বিনাশের কারণে আবাস্থল হারানো হাতিগুলো লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এত ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির পরও বন বিভাগ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বনবিভাগ ক্ষতিপূরণ দিয়েই দায় সারছে। লোকালয় থেকে হাতি সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেওয়া হয়। 

বেপরোয়া বন্যহাতির কারণে আতঙ্কে থাকেন কেইপিজেডের বিদেশি নাগরিক এবং শ্রমিক-কর্মচারীরাও। সন্ধ্যা নামলেই ইপিজেডজুড়ে বিরাজ করে গা হিম করা পরিবেশ। বর্তমানে ২৩টি কারখানায় আনোয়ারা-কর্ণফুলী ও আশপাশের এলাকার প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। অনেকে হেঁটে কারখানায় যাতায়াত করেন। তাঁদের প্রাণ হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয়। হাতির পাল কেইপিজেডের গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনারও ক্ষতি করে। 

এদিকে কর্ণফুলীতে বন্যহাতি ও মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া দ্বন্দ্ব নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগ। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন বড়উঠানের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম। 

তিনি জানান, বন্য হাতিগুলোকে নিরাপদ স্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত আট পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় পটিয়া রেঞ্জ কর্ণফুলী উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে এসব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানার সভাপতিত্বে ও পটিয়ার রেঞ্জ অফিসার নুর আলম হাফিজের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আবু তাহের। অতিথি ছিলেন জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ দিদারুল আলম। 

সভায় বক্তারা জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বন্যপ্রাণী রক্ষার ওপর জোর তাগিদ দেন। তাঁরা বলেন, হাতি ও মানুষের মধ্যে নানা কারণে দূরত্ব ও দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। পাহাড়ে মানুষের পদচারণা বেড়ে যাওয়ায় হাতির খাবার কমেছে। বনাঞ্চলকে হাতির খাদ্য ও বাসস্থানের উপযোগী করে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে হাতি গহিন বনাঞ্চল ছেড়ে আর লোকালয়ে আসবে না। বন্যপ্রাণীর ব্যাপারে সবাইকে সহনশীল হওয়ারও পরামর্শ দেন বক্তারা। 

এ ব্যাপারে কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা বলেন, ‘হাতির আক্রমণে কর্ণফুলীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি বনবিভাগ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সকালে সূর্যের দেখা নেই, কুয়াশাচ্ছন্ন ঢাকার আকাশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫২
তাপমাত্রা খুব বেশি কমলেও আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। দেখা মেলেনি সূর্যের আলো। ছবি: আজকের পত্রিকা
তাপমাত্রা খুব বেশি কমলেও আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। দেখা মেলেনি সূর্যের আলো। ছবি: আজকের পত্রিকা

তাপমাত্রা খুব বেশি কমলেও আজ রোববার সকাল থেকে রাজধানী ঢাকার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। দেখা মেলেনি সূর্যের আলো। পাশাপাশি বইছিল হালকা হিমেল বাতাস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৩ শতাংশ।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ পরিষ্কার থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৭ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় বেড়েছে বায়ুদূষণ, দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় কাবুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ শনিবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী শহর কাবুল।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২০২, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা কাবুলের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ৪৯৫, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো ভারতের দিল্লি (৩৯৩), বাহরাইনের মানামা (২৬৪), ভারতের কলকাতা (২২৬) ও পাকিস্তানের করাচি (২০৩)।

আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— দক্ষিণ পল্লবী, কল্যাণপুর, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গোড়ান, শান্তা ফোরাম, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পৌষ মাসে নেই শীতের দেখা, বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৩০
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পৌষ মাসের ৫ তারিখ আজ। শীতের দেখা নেই; বরং বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। আজ শনিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ। আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশে কিছুটা মেঘের আনাগোনা দেখা যেতে পারে।

অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।

এ ছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজ ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত