ইশতিয়াক হাসান

এখন সময়টা কুয়াশার। বেশির ভাগ জায়গাই রাত ও ভোরে কুয়াশায় রীতিমতো ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কুয়াশা কীভাবে তৈরি হয় তা কি আমরা জানি? কিংবা নানা ধরনের কুয়াশা কিংবা কুয়াশার কারণে জন্ম হওয়া অদ্ভুত সব ঘটনার কথা! তাই আজকের গল্পটা কুয়াশার।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কুয়াশা আসলে কী? একে একধরনের মেঘ বলতে পারেন। আরও পরিষ্কারভাবে বললে মাটির কাছাকাছি থাকা ঘন জলীয় বাষ্পই হলো কুয়াশা।
এখনো বোধ হয় পুরোপুরি খোলাসা হলো না। আমাদের চারপাশে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ জলীয় বাষ্প বা গ্যাসীয় অবস্থায় পানি থাকে। এই জলীয় বাষ্প যখন পুরোপুরি বাতাসের দখল নিয়ে নেয়, তখন পানির খুদে কণাগুলো ঘন হতে শুরু করে। অর্থাৎ তখন ওই গ্যাস রূপ নেয় তরলে। ছোট ছোট এই কণাগুলো বাতাসে ভেসে ঘন একটা আবরণের মতো তৈরি করে, আর এটিই আমাদের অতি পরিচিত কুয়াশা।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ওগুলো তাহলে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে না কেন। আগেই বলেছি এই কণাগুলো আকারে একেবারেই ছোট। তাই এটি মাটিতে না পড়ে ভেসে থাকে। তবে এই খুদে জলাকণাগুলোর কারণেই কিন্তু কুয়াশা দেখতে পারি আমরা। যদিও আমরা এদের জলকণা হিসেবে বুঝতে পারি না। খুব শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহার করলে বুঝবেন ঘন কুয়াশার সময় ছোট ছোট অসংখ্য জলকণা চারদিকে নড়াচড়া করে বেড়াচ্ছে।
আপনার পরের প্রশ্ন সম্ভবত, শীতকালে কেন এত বেশি দেখা যায় কুয়াশা? কুয়াশা তৈরির জন্য মাটির কাছাকাছি পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্প থাকার পাশাপাশি জলকণাকে ঘন করার জন্য কম তাপমাত্রা থাকাটাও জরুরি। এ কারণেই শীতকালে কুয়াশা বেশি দেখা যায়। ভোরের দিকে ও রাতে কুয়াশা বেশি দেখা যায়। কারণ, ওই সময় তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে।
কুয়াশা নানা ধরনের হয়। ঘন হয়, হালকা হয়। কুয়াশা তৈরির জন্য ধুলা বা বাতাসে অন্য কোনো ধরনের দূষণ প্রয়োজন। ওই ছোট্ট কঠিন বস্তুটার চারপাশে জড়ো হয়েই ঘন হয় জলকণা।
মজার বিষয় হলো বাতাস কুয়াশাকে ধ্বংস করে দিতে পারে, তেমনি কুয়াশা সৃষ্টিতেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অবশ্য আরও নানা ধরনের কুয়াশার দেখা মেলে। শীতল কোনো জায়গায় উষ্ণ বাতাস বয়ে গেলেও একধরনের কুয়াশা সৃষ্টি হয়। সাধারণত সাগরের আশপাশে এমন কুয়াশা দেখা যায়। অ্যান্টার্কটিকার মতো শীতল জায়গাতে জলকণা জমে একধরনের কুয়াশার জন্ম হয়। দুই পাহাড়ের মাঝখানের উপত্যকাগুলোয়ও জন্ম হয় কুয়াশার।
‘পি সুপার’ নামে আরেক ধরনের কুয়াশার দেখা মেলে যেটি কয়লার খুদে কণার চারপাশে জমা হয়ে তৈরি হয়। এ ধরনের কুয়াশা অনেক সময়ই দেখতে বাদামি-হলুদ রঙের। যেসব এলাকায় শক্তির জন্য কয়লা পোড়ানো হয় সেসব জায়গায় প্রায়ই এমন কুয়াশার দেখা মেলে। ১৯৫২ সালের সেই কুখ্যাত দ্য লন্ডন ফগ, যার প্রভাবে লন্ডনে ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, একধরনের পি সুপার। এই গ্রেট ফগই যুক্তরাজ্যে কয়লাশিল্প এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণকারী আইন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
কুয়াশা কিন্তু ধরেও রাখা যায়। কেমন বেখাপ্পা শোনালেও কথাটি সত্যি। বহু প্রাচীনকাল থেকেই কুয়াশা আটকে রাখার ব্যাপারটা ছিল। গাছ এবং ঝোপঝাড়ের নিচে বড় বড় পানির পাত্র রেখে দেওয়া হতো। ওই সব গাছ কুয়াশার পানিটুকু ধরে রাখত। ওই পানি ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে পড়ত পাত্রে। তবে এভাবে পানি সংগ্রহ করাটা বেশ ধীরগতির প্রক্রিয়া বুঝতেই পারছেন।
মজার ঘটনা বিজ্ঞানীরাও এখন কুয়াশা থেকে পানি সংগ্রহের দারুণ সব পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। এ ক্ষেত্রে সবার আগে বলতে হয় ‘ফগ ক্যাচারে’র নাম। বৃষ্টিপাত কম হয় এমন শুকনো জায়গাগুলোতে এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। এসব এলাকায় খুব বড় বড় পর্দা বা স্ক্রিন বসানো হয়। কুয়াশা ভেসে ভেসে যাওয়ার সময় ওই পাতলা পর্দায় বাধা পায়। এতে এদের গায়ে জলকণা জমে। ওগুলো নিচের বড় পাত্র বা আঁধারে ঝরে পড়ে। আশ্চর্যজনক ব্যাপার, এমন বড় একটি আবরণ এক দিনে ৩৭৫ লিটারের বেশি পানি সংগ্রহ করতে পারে।
পেরুর বেলাভিস্তা এলাকায় এমন ফগ ক্যাচারের দেখা মেলে বেশি। পানির জন্য অনেকটাই ফগ ক্যাচারের দিকে চেয়ে থাকতে হয় গ্রামটিকে। কিন্তু কেন? বেলাভিস্তা এমন এক জায়গা, যেখানে পানির উৎস আছে কমই। নদী নেই। নেই কোনো হ্রদ বা হিমবাহ। কৃষিকাজ তো বটেই মানুষের খাওয়ার পানির পর্যন্ত সংকট তৈরি হয়। তবে এখানে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে প্রচুর কুয়াশা ভেসে আসে। ২০০৬ সালে প্রথম শহরের আশপাশে ফগ ক্যাচার হিসেবে বেশ কিছু বড় পর্দা টানিয়ে দিল। ব্যস হয়ে গেল কাজ, পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকটাই কেটে গেছে এখন শহরবাসীর। এভাবে পেরুর আরও বিভিন্ন এলাকা, চিলির আতাকামা মরুভূমিসহ আরও অনেক জায়গাতেই কুয়াশা থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়।
কুয়াশা নিয়ে আছে নানা ধরনের আশ্চর্য ঘটনা। কুয়াশার উপস্থিতি প্রায়ই কৌশলগত যুদ্ধের মতো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর একটি বড় উদাহরণ ১৭৭৬ সালের লং আইল্যান্ডের যুদ্ধ। এ সময় আমেরিকান জেনারেল জর্জ ওয়াশিংটন এবং তাঁর দল কুয়াশা ব্যবহার করে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর নজর এড়িয়ে লং আইল্যান্ড থেকে নৌকায় ম্যানহাটনে চলে যান।
আরেকটি ঘটনা বলছি। ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৩৭। ইংল্যান্ডের একটা ফুটবল ম্যাচ ভারী কুয়াশার কারণে শুরুর একটু পরই পরিত্যক্ত হয়। স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়, রেফারি-লাইন্সম্যান সবাই মাঠ থেকে চলে গেলেন, তবে একজন রয়ে গেলেন। তিনি এক দলের গোলরক্ষক স্যাম বাট্রাম। যাবেন কেন? রেফারির ঘোষণা শোনেননি তিনি। আর কুয়াশা এত ঘন যে অন্যরা যে চলে গেছে এটা টেরও পাননি। মোটামুটি মিনিট ১৫ এই কুয়াশায় গোলবার পাহারা দিলেন। তারপরই এক পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে জানালেন ম্যাচ বাতিলের কথা।
কুয়াশার কারণে ঘটা অদ্ভুত এক বিষয় ব্রোকেন স্পেকট্রা। এ সময় সূর্যের আলো কুয়াশা বা মেঘের মধ্যে মানুষের ছায়া ফেলে, তখন ওটা বিশাল দেখা যায়। কাজেই এভাবে কখনো নিজের ছায়া দেখে ভয় পাবেন না যেন।
আবার কুয়াশার মধ্যে সূর্যের আলো পড়ে অনেকটা রংধনুর মতো একটি বিষয় ঘটনায়। এটি পরিচিত ফগবো নামে।
চিলি ও পেরুর উপকূলবর্তী এলাকায় আছে অদ্ভুত এক কুয়াশা। এটা এত পরিষ্কার যে দৃষ্টিসীমায় তেমন কোনো বাধাই তৈরি করে না। তবে সমস্যা হলো এই কুয়াশা এতটাই আর্দ্র যে, গাড়িচালকদের উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার ব্যবহার করতে হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয় গ্র্যান্ড ব্যাংকস। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের পাশের আটলান্টিক মহাসাগরে এই জায়গাটি। উত্তর থেকে আসা শীতল ল্যাব্রাডার স্রোত এবং পূর্ব দিক থেকে আসা উষ্ণ গালফ স্রোত বছরের প্রায় প্রতিটি দিনই ঘন কুয়াশার পরিবেশ তৈরি করে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, উইকিপিডিয়া, ওয়েদার অ্যান্ড রাডার, জাস্ট ফান ফ্যাক্টস ডট কম

এখন সময়টা কুয়াশার। বেশির ভাগ জায়গাই রাত ও ভোরে কুয়াশায় রীতিমতো ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কুয়াশা কীভাবে তৈরি হয় তা কি আমরা জানি? কিংবা নানা ধরনের কুয়াশা কিংবা কুয়াশার কারণে জন্ম হওয়া অদ্ভুত সব ঘটনার কথা! তাই আজকের গল্পটা কুয়াশার।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কুয়াশা আসলে কী? একে একধরনের মেঘ বলতে পারেন। আরও পরিষ্কারভাবে বললে মাটির কাছাকাছি থাকা ঘন জলীয় বাষ্পই হলো কুয়াশা।
এখনো বোধ হয় পুরোপুরি খোলাসা হলো না। আমাদের চারপাশে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ জলীয় বাষ্প বা গ্যাসীয় অবস্থায় পানি থাকে। এই জলীয় বাষ্প যখন পুরোপুরি বাতাসের দখল নিয়ে নেয়, তখন পানির খুদে কণাগুলো ঘন হতে শুরু করে। অর্থাৎ তখন ওই গ্যাস রূপ নেয় তরলে। ছোট ছোট এই কণাগুলো বাতাসে ভেসে ঘন একটা আবরণের মতো তৈরি করে, আর এটিই আমাদের অতি পরিচিত কুয়াশা।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ওগুলো তাহলে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে না কেন। আগেই বলেছি এই কণাগুলো আকারে একেবারেই ছোট। তাই এটি মাটিতে না পড়ে ভেসে থাকে। তবে এই খুদে জলাকণাগুলোর কারণেই কিন্তু কুয়াশা দেখতে পারি আমরা। যদিও আমরা এদের জলকণা হিসেবে বুঝতে পারি না। খুব শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহার করলে বুঝবেন ঘন কুয়াশার সময় ছোট ছোট অসংখ্য জলকণা চারদিকে নড়াচড়া করে বেড়াচ্ছে।
আপনার পরের প্রশ্ন সম্ভবত, শীতকালে কেন এত বেশি দেখা যায় কুয়াশা? কুয়াশা তৈরির জন্য মাটির কাছাকাছি পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্প থাকার পাশাপাশি জলকণাকে ঘন করার জন্য কম তাপমাত্রা থাকাটাও জরুরি। এ কারণেই শীতকালে কুয়াশা বেশি দেখা যায়। ভোরের দিকে ও রাতে কুয়াশা বেশি দেখা যায়। কারণ, ওই সময় তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে।
কুয়াশা নানা ধরনের হয়। ঘন হয়, হালকা হয়। কুয়াশা তৈরির জন্য ধুলা বা বাতাসে অন্য কোনো ধরনের দূষণ প্রয়োজন। ওই ছোট্ট কঠিন বস্তুটার চারপাশে জড়ো হয়েই ঘন হয় জলকণা।
মজার বিষয় হলো বাতাস কুয়াশাকে ধ্বংস করে দিতে পারে, তেমনি কুয়াশা সৃষ্টিতেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অবশ্য আরও নানা ধরনের কুয়াশার দেখা মেলে। শীতল কোনো জায়গায় উষ্ণ বাতাস বয়ে গেলেও একধরনের কুয়াশা সৃষ্টি হয়। সাধারণত সাগরের আশপাশে এমন কুয়াশা দেখা যায়। অ্যান্টার্কটিকার মতো শীতল জায়গাতে জলকণা জমে একধরনের কুয়াশার জন্ম হয়। দুই পাহাড়ের মাঝখানের উপত্যকাগুলোয়ও জন্ম হয় কুয়াশার।
‘পি সুপার’ নামে আরেক ধরনের কুয়াশার দেখা মেলে যেটি কয়লার খুদে কণার চারপাশে জমা হয়ে তৈরি হয়। এ ধরনের কুয়াশা অনেক সময়ই দেখতে বাদামি-হলুদ রঙের। যেসব এলাকায় শক্তির জন্য কয়লা পোড়ানো হয় সেসব জায়গায় প্রায়ই এমন কুয়াশার দেখা মেলে। ১৯৫২ সালের সেই কুখ্যাত দ্য লন্ডন ফগ, যার প্রভাবে লন্ডনে ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, একধরনের পি সুপার। এই গ্রেট ফগই যুক্তরাজ্যে কয়লাশিল্প এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণকারী আইন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
কুয়াশা কিন্তু ধরেও রাখা যায়। কেমন বেখাপ্পা শোনালেও কথাটি সত্যি। বহু প্রাচীনকাল থেকেই কুয়াশা আটকে রাখার ব্যাপারটা ছিল। গাছ এবং ঝোপঝাড়ের নিচে বড় বড় পানির পাত্র রেখে দেওয়া হতো। ওই সব গাছ কুয়াশার পানিটুকু ধরে রাখত। ওই পানি ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে পড়ত পাত্রে। তবে এভাবে পানি সংগ্রহ করাটা বেশ ধীরগতির প্রক্রিয়া বুঝতেই পারছেন।
মজার ঘটনা বিজ্ঞানীরাও এখন কুয়াশা থেকে পানি সংগ্রহের দারুণ সব পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। এ ক্ষেত্রে সবার আগে বলতে হয় ‘ফগ ক্যাচারে’র নাম। বৃষ্টিপাত কম হয় এমন শুকনো জায়গাগুলোতে এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। এসব এলাকায় খুব বড় বড় পর্দা বা স্ক্রিন বসানো হয়। কুয়াশা ভেসে ভেসে যাওয়ার সময় ওই পাতলা পর্দায় বাধা পায়। এতে এদের গায়ে জলকণা জমে। ওগুলো নিচের বড় পাত্র বা আঁধারে ঝরে পড়ে। আশ্চর্যজনক ব্যাপার, এমন বড় একটি আবরণ এক দিনে ৩৭৫ লিটারের বেশি পানি সংগ্রহ করতে পারে।
পেরুর বেলাভিস্তা এলাকায় এমন ফগ ক্যাচারের দেখা মেলে বেশি। পানির জন্য অনেকটাই ফগ ক্যাচারের দিকে চেয়ে থাকতে হয় গ্রামটিকে। কিন্তু কেন? বেলাভিস্তা এমন এক জায়গা, যেখানে পানির উৎস আছে কমই। নদী নেই। নেই কোনো হ্রদ বা হিমবাহ। কৃষিকাজ তো বটেই মানুষের খাওয়ার পানির পর্যন্ত সংকট তৈরি হয়। তবে এখানে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে প্রচুর কুয়াশা ভেসে আসে। ২০০৬ সালে প্রথম শহরের আশপাশে ফগ ক্যাচার হিসেবে বেশ কিছু বড় পর্দা টানিয়ে দিল। ব্যস হয়ে গেল কাজ, পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকটাই কেটে গেছে এখন শহরবাসীর। এভাবে পেরুর আরও বিভিন্ন এলাকা, চিলির আতাকামা মরুভূমিসহ আরও অনেক জায়গাতেই কুয়াশা থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়।
কুয়াশা নিয়ে আছে নানা ধরনের আশ্চর্য ঘটনা। কুয়াশার উপস্থিতি প্রায়ই কৌশলগত যুদ্ধের মতো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর একটি বড় উদাহরণ ১৭৭৬ সালের লং আইল্যান্ডের যুদ্ধ। এ সময় আমেরিকান জেনারেল জর্জ ওয়াশিংটন এবং তাঁর দল কুয়াশা ব্যবহার করে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর নজর এড়িয়ে লং আইল্যান্ড থেকে নৌকায় ম্যানহাটনে চলে যান।
আরেকটি ঘটনা বলছি। ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৩৭। ইংল্যান্ডের একটা ফুটবল ম্যাচ ভারী কুয়াশার কারণে শুরুর একটু পরই পরিত্যক্ত হয়। স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়, রেফারি-লাইন্সম্যান সবাই মাঠ থেকে চলে গেলেন, তবে একজন রয়ে গেলেন। তিনি এক দলের গোলরক্ষক স্যাম বাট্রাম। যাবেন কেন? রেফারির ঘোষণা শোনেননি তিনি। আর কুয়াশা এত ঘন যে অন্যরা যে চলে গেছে এটা টেরও পাননি। মোটামুটি মিনিট ১৫ এই কুয়াশায় গোলবার পাহারা দিলেন। তারপরই এক পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে জানালেন ম্যাচ বাতিলের কথা।
কুয়াশার কারণে ঘটা অদ্ভুত এক বিষয় ব্রোকেন স্পেকট্রা। এ সময় সূর্যের আলো কুয়াশা বা মেঘের মধ্যে মানুষের ছায়া ফেলে, তখন ওটা বিশাল দেখা যায়। কাজেই এভাবে কখনো নিজের ছায়া দেখে ভয় পাবেন না যেন।
আবার কুয়াশার মধ্যে সূর্যের আলো পড়ে অনেকটা রংধনুর মতো একটি বিষয় ঘটনায়। এটি পরিচিত ফগবো নামে।
চিলি ও পেরুর উপকূলবর্তী এলাকায় আছে অদ্ভুত এক কুয়াশা। এটা এত পরিষ্কার যে দৃষ্টিসীমায় তেমন কোনো বাধাই তৈরি করে না। তবে সমস্যা হলো এই কুয়াশা এতটাই আর্দ্র যে, গাড়িচালকদের উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার ব্যবহার করতে হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয় গ্র্যান্ড ব্যাংকস। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের পাশের আটলান্টিক মহাসাগরে এই জায়গাটি। উত্তর থেকে আসা শীতল ল্যাব্রাডার স্রোত এবং পূর্ব দিক থেকে আসা উষ্ণ গালফ স্রোত বছরের প্রায় প্রতিটি দিনই ঘন কুয়াশার পরিবেশ তৈরি করে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, উইকিপিডিয়া, ওয়েদার অ্যান্ড রাডার, জাস্ট ফান ফ্যাক্টস ডট কম
ইশতিয়াক হাসান

এখন সময়টা কুয়াশার। বেশির ভাগ জায়গাই রাত ও ভোরে কুয়াশায় রীতিমতো ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কুয়াশা কীভাবে তৈরি হয় তা কি আমরা জানি? কিংবা নানা ধরনের কুয়াশা কিংবা কুয়াশার কারণে জন্ম হওয়া অদ্ভুত সব ঘটনার কথা! তাই আজকের গল্পটা কুয়াশার।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কুয়াশা আসলে কী? একে একধরনের মেঘ বলতে পারেন। আরও পরিষ্কারভাবে বললে মাটির কাছাকাছি থাকা ঘন জলীয় বাষ্পই হলো কুয়াশা।
এখনো বোধ হয় পুরোপুরি খোলাসা হলো না। আমাদের চারপাশে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ জলীয় বাষ্প বা গ্যাসীয় অবস্থায় পানি থাকে। এই জলীয় বাষ্প যখন পুরোপুরি বাতাসের দখল নিয়ে নেয়, তখন পানির খুদে কণাগুলো ঘন হতে শুরু করে। অর্থাৎ তখন ওই গ্যাস রূপ নেয় তরলে। ছোট ছোট এই কণাগুলো বাতাসে ভেসে ঘন একটা আবরণের মতো তৈরি করে, আর এটিই আমাদের অতি পরিচিত কুয়াশা।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ওগুলো তাহলে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে না কেন। আগেই বলেছি এই কণাগুলো আকারে একেবারেই ছোট। তাই এটি মাটিতে না পড়ে ভেসে থাকে। তবে এই খুদে জলাকণাগুলোর কারণেই কিন্তু কুয়াশা দেখতে পারি আমরা। যদিও আমরা এদের জলকণা হিসেবে বুঝতে পারি না। খুব শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহার করলে বুঝবেন ঘন কুয়াশার সময় ছোট ছোট অসংখ্য জলকণা চারদিকে নড়াচড়া করে বেড়াচ্ছে।
আপনার পরের প্রশ্ন সম্ভবত, শীতকালে কেন এত বেশি দেখা যায় কুয়াশা? কুয়াশা তৈরির জন্য মাটির কাছাকাছি পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্প থাকার পাশাপাশি জলকণাকে ঘন করার জন্য কম তাপমাত্রা থাকাটাও জরুরি। এ কারণেই শীতকালে কুয়াশা বেশি দেখা যায়। ভোরের দিকে ও রাতে কুয়াশা বেশি দেখা যায়। কারণ, ওই সময় তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে।
কুয়াশা নানা ধরনের হয়। ঘন হয়, হালকা হয়। কুয়াশা তৈরির জন্য ধুলা বা বাতাসে অন্য কোনো ধরনের দূষণ প্রয়োজন। ওই ছোট্ট কঠিন বস্তুটার চারপাশে জড়ো হয়েই ঘন হয় জলকণা।
মজার বিষয় হলো বাতাস কুয়াশাকে ধ্বংস করে দিতে পারে, তেমনি কুয়াশা সৃষ্টিতেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অবশ্য আরও নানা ধরনের কুয়াশার দেখা মেলে। শীতল কোনো জায়গায় উষ্ণ বাতাস বয়ে গেলেও একধরনের কুয়াশা সৃষ্টি হয়। সাধারণত সাগরের আশপাশে এমন কুয়াশা দেখা যায়। অ্যান্টার্কটিকার মতো শীতল জায়গাতে জলকণা জমে একধরনের কুয়াশার জন্ম হয়। দুই পাহাড়ের মাঝখানের উপত্যকাগুলোয়ও জন্ম হয় কুয়াশার।
‘পি সুপার’ নামে আরেক ধরনের কুয়াশার দেখা মেলে যেটি কয়লার খুদে কণার চারপাশে জমা হয়ে তৈরি হয়। এ ধরনের কুয়াশা অনেক সময়ই দেখতে বাদামি-হলুদ রঙের। যেসব এলাকায় শক্তির জন্য কয়লা পোড়ানো হয় সেসব জায়গায় প্রায়ই এমন কুয়াশার দেখা মেলে। ১৯৫২ সালের সেই কুখ্যাত দ্য লন্ডন ফগ, যার প্রভাবে লন্ডনে ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, একধরনের পি সুপার। এই গ্রেট ফগই যুক্তরাজ্যে কয়লাশিল্প এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণকারী আইন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
কুয়াশা কিন্তু ধরেও রাখা যায়। কেমন বেখাপ্পা শোনালেও কথাটি সত্যি। বহু প্রাচীনকাল থেকেই কুয়াশা আটকে রাখার ব্যাপারটা ছিল। গাছ এবং ঝোপঝাড়ের নিচে বড় বড় পানির পাত্র রেখে দেওয়া হতো। ওই সব গাছ কুয়াশার পানিটুকু ধরে রাখত। ওই পানি ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে পড়ত পাত্রে। তবে এভাবে পানি সংগ্রহ করাটা বেশ ধীরগতির প্রক্রিয়া বুঝতেই পারছেন।
মজার ঘটনা বিজ্ঞানীরাও এখন কুয়াশা থেকে পানি সংগ্রহের দারুণ সব পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। এ ক্ষেত্রে সবার আগে বলতে হয় ‘ফগ ক্যাচারে’র নাম। বৃষ্টিপাত কম হয় এমন শুকনো জায়গাগুলোতে এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। এসব এলাকায় খুব বড় বড় পর্দা বা স্ক্রিন বসানো হয়। কুয়াশা ভেসে ভেসে যাওয়ার সময় ওই পাতলা পর্দায় বাধা পায়। এতে এদের গায়ে জলকণা জমে। ওগুলো নিচের বড় পাত্র বা আঁধারে ঝরে পড়ে। আশ্চর্যজনক ব্যাপার, এমন বড় একটি আবরণ এক দিনে ৩৭৫ লিটারের বেশি পানি সংগ্রহ করতে পারে।
পেরুর বেলাভিস্তা এলাকায় এমন ফগ ক্যাচারের দেখা মেলে বেশি। পানির জন্য অনেকটাই ফগ ক্যাচারের দিকে চেয়ে থাকতে হয় গ্রামটিকে। কিন্তু কেন? বেলাভিস্তা এমন এক জায়গা, যেখানে পানির উৎস আছে কমই। নদী নেই। নেই কোনো হ্রদ বা হিমবাহ। কৃষিকাজ তো বটেই মানুষের খাওয়ার পানির পর্যন্ত সংকট তৈরি হয়। তবে এখানে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে প্রচুর কুয়াশা ভেসে আসে। ২০০৬ সালে প্রথম শহরের আশপাশে ফগ ক্যাচার হিসেবে বেশ কিছু বড় পর্দা টানিয়ে দিল। ব্যস হয়ে গেল কাজ, পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকটাই কেটে গেছে এখন শহরবাসীর। এভাবে পেরুর আরও বিভিন্ন এলাকা, চিলির আতাকামা মরুভূমিসহ আরও অনেক জায়গাতেই কুয়াশা থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়।
কুয়াশা নিয়ে আছে নানা ধরনের আশ্চর্য ঘটনা। কুয়াশার উপস্থিতি প্রায়ই কৌশলগত যুদ্ধের মতো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর একটি বড় উদাহরণ ১৭৭৬ সালের লং আইল্যান্ডের যুদ্ধ। এ সময় আমেরিকান জেনারেল জর্জ ওয়াশিংটন এবং তাঁর দল কুয়াশা ব্যবহার করে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর নজর এড়িয়ে লং আইল্যান্ড থেকে নৌকায় ম্যানহাটনে চলে যান।
আরেকটি ঘটনা বলছি। ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৩৭। ইংল্যান্ডের একটা ফুটবল ম্যাচ ভারী কুয়াশার কারণে শুরুর একটু পরই পরিত্যক্ত হয়। স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়, রেফারি-লাইন্সম্যান সবাই মাঠ থেকে চলে গেলেন, তবে একজন রয়ে গেলেন। তিনি এক দলের গোলরক্ষক স্যাম বাট্রাম। যাবেন কেন? রেফারির ঘোষণা শোনেননি তিনি। আর কুয়াশা এত ঘন যে অন্যরা যে চলে গেছে এটা টেরও পাননি। মোটামুটি মিনিট ১৫ এই কুয়াশায় গোলবার পাহারা দিলেন। তারপরই এক পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে জানালেন ম্যাচ বাতিলের কথা।
কুয়াশার কারণে ঘটা অদ্ভুত এক বিষয় ব্রোকেন স্পেকট্রা। এ সময় সূর্যের আলো কুয়াশা বা মেঘের মধ্যে মানুষের ছায়া ফেলে, তখন ওটা বিশাল দেখা যায়। কাজেই এভাবে কখনো নিজের ছায়া দেখে ভয় পাবেন না যেন।
আবার কুয়াশার মধ্যে সূর্যের আলো পড়ে অনেকটা রংধনুর মতো একটি বিষয় ঘটনায়। এটি পরিচিত ফগবো নামে।
চিলি ও পেরুর উপকূলবর্তী এলাকায় আছে অদ্ভুত এক কুয়াশা। এটা এত পরিষ্কার যে দৃষ্টিসীমায় তেমন কোনো বাধাই তৈরি করে না। তবে সমস্যা হলো এই কুয়াশা এতটাই আর্দ্র যে, গাড়িচালকদের উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার ব্যবহার করতে হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয় গ্র্যান্ড ব্যাংকস। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের পাশের আটলান্টিক মহাসাগরে এই জায়গাটি। উত্তর থেকে আসা শীতল ল্যাব্রাডার স্রোত এবং পূর্ব দিক থেকে আসা উষ্ণ গালফ স্রোত বছরের প্রায় প্রতিটি দিনই ঘন কুয়াশার পরিবেশ তৈরি করে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, উইকিপিডিয়া, ওয়েদার অ্যান্ড রাডার, জাস্ট ফান ফ্যাক্টস ডট কম

এখন সময়টা কুয়াশার। বেশির ভাগ জায়গাই রাত ও ভোরে কুয়াশায় রীতিমতো ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কুয়াশা কীভাবে তৈরি হয় তা কি আমরা জানি? কিংবা নানা ধরনের কুয়াশা কিংবা কুয়াশার কারণে জন্ম হওয়া অদ্ভুত সব ঘটনার কথা! তাই আজকের গল্পটা কুয়াশার।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কুয়াশা আসলে কী? একে একধরনের মেঘ বলতে পারেন। আরও পরিষ্কারভাবে বললে মাটির কাছাকাছি থাকা ঘন জলীয় বাষ্পই হলো কুয়াশা।
এখনো বোধ হয় পুরোপুরি খোলাসা হলো না। আমাদের চারপাশে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ জলীয় বাষ্প বা গ্যাসীয় অবস্থায় পানি থাকে। এই জলীয় বাষ্প যখন পুরোপুরি বাতাসের দখল নিয়ে নেয়, তখন পানির খুদে কণাগুলো ঘন হতে শুরু করে। অর্থাৎ তখন ওই গ্যাস রূপ নেয় তরলে। ছোট ছোট এই কণাগুলো বাতাসে ভেসে ঘন একটা আবরণের মতো তৈরি করে, আর এটিই আমাদের অতি পরিচিত কুয়াশা।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, ওগুলো তাহলে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে না কেন। আগেই বলেছি এই কণাগুলো আকারে একেবারেই ছোট। তাই এটি মাটিতে না পড়ে ভেসে থাকে। তবে এই খুদে জলাকণাগুলোর কারণেই কিন্তু কুয়াশা দেখতে পারি আমরা। যদিও আমরা এদের জলকণা হিসেবে বুঝতে পারি না। খুব শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহার করলে বুঝবেন ঘন কুয়াশার সময় ছোট ছোট অসংখ্য জলকণা চারদিকে নড়াচড়া করে বেড়াচ্ছে।
আপনার পরের প্রশ্ন সম্ভবত, শীতকালে কেন এত বেশি দেখা যায় কুয়াশা? কুয়াশা তৈরির জন্য মাটির কাছাকাছি পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্প থাকার পাশাপাশি জলকণাকে ঘন করার জন্য কম তাপমাত্রা থাকাটাও জরুরি। এ কারণেই শীতকালে কুয়াশা বেশি দেখা যায়। ভোরের দিকে ও রাতে কুয়াশা বেশি দেখা যায়। কারণ, ওই সময় তাপমাত্রা সবচেয়ে কম থাকে।
কুয়াশা নানা ধরনের হয়। ঘন হয়, হালকা হয়। কুয়াশা তৈরির জন্য ধুলা বা বাতাসে অন্য কোনো ধরনের দূষণ প্রয়োজন। ওই ছোট্ট কঠিন বস্তুটার চারপাশে জড়ো হয়েই ঘন হয় জলকণা।
মজার বিষয় হলো বাতাস কুয়াশাকে ধ্বংস করে দিতে পারে, তেমনি কুয়াশা সৃষ্টিতেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অবশ্য আরও নানা ধরনের কুয়াশার দেখা মেলে। শীতল কোনো জায়গায় উষ্ণ বাতাস বয়ে গেলেও একধরনের কুয়াশা সৃষ্টি হয়। সাধারণত সাগরের আশপাশে এমন কুয়াশা দেখা যায়। অ্যান্টার্কটিকার মতো শীতল জায়গাতে জলকণা জমে একধরনের কুয়াশার জন্ম হয়। দুই পাহাড়ের মাঝখানের উপত্যকাগুলোয়ও জন্ম হয় কুয়াশার।
‘পি সুপার’ নামে আরেক ধরনের কুয়াশার দেখা মেলে যেটি কয়লার খুদে কণার চারপাশে জমা হয়ে তৈরি হয়। এ ধরনের কুয়াশা অনেক সময়ই দেখতে বাদামি-হলুদ রঙের। যেসব এলাকায় শক্তির জন্য কয়লা পোড়ানো হয় সেসব জায়গায় প্রায়ই এমন কুয়াশার দেখা মেলে। ১৯৫২ সালের সেই কুখ্যাত দ্য লন্ডন ফগ, যার প্রভাবে লন্ডনে ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়, একধরনের পি সুপার। এই গ্রেট ফগই যুক্তরাজ্যে কয়লাশিল্প এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণকারী আইন তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
কুয়াশা কিন্তু ধরেও রাখা যায়। কেমন বেখাপ্পা শোনালেও কথাটি সত্যি। বহু প্রাচীনকাল থেকেই কুয়াশা আটকে রাখার ব্যাপারটা ছিল। গাছ এবং ঝোপঝাড়ের নিচে বড় বড় পানির পাত্র রেখে দেওয়া হতো। ওই সব গাছ কুয়াশার পানিটুকু ধরে রাখত। ওই পানি ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে পড়ত পাত্রে। তবে এভাবে পানি সংগ্রহ করাটা বেশ ধীরগতির প্রক্রিয়া বুঝতেই পারছেন।
মজার ঘটনা বিজ্ঞানীরাও এখন কুয়াশা থেকে পানি সংগ্রহের দারুণ সব পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। এ ক্ষেত্রে সবার আগে বলতে হয় ‘ফগ ক্যাচারে’র নাম। বৃষ্টিপাত কম হয় এমন শুকনো জায়গাগুলোতে এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়। এসব এলাকায় খুব বড় বড় পর্দা বা স্ক্রিন বসানো হয়। কুয়াশা ভেসে ভেসে যাওয়ার সময় ওই পাতলা পর্দায় বাধা পায়। এতে এদের গায়ে জলকণা জমে। ওগুলো নিচের বড় পাত্র বা আঁধারে ঝরে পড়ে। আশ্চর্যজনক ব্যাপার, এমন বড় একটি আবরণ এক দিনে ৩৭৫ লিটারের বেশি পানি সংগ্রহ করতে পারে।
পেরুর বেলাভিস্তা এলাকায় এমন ফগ ক্যাচারের দেখা মেলে বেশি। পানির জন্য অনেকটাই ফগ ক্যাচারের দিকে চেয়ে থাকতে হয় গ্রামটিকে। কিন্তু কেন? বেলাভিস্তা এমন এক জায়গা, যেখানে পানির উৎস আছে কমই। নদী নেই। নেই কোনো হ্রদ বা হিমবাহ। কৃষিকাজ তো বটেই মানুষের খাওয়ার পানির পর্যন্ত সংকট তৈরি হয়। তবে এখানে প্রশান্ত মহাসাগর থেকে প্রচুর কুয়াশা ভেসে আসে। ২০০৬ সালে প্রথম শহরের আশপাশে ফগ ক্যাচার হিসেবে বেশ কিছু বড় পর্দা টানিয়ে দিল। ব্যস হয়ে গেল কাজ, পানি নিয়ে দুশ্চিন্তা অনেকটাই কেটে গেছে এখন শহরবাসীর। এভাবে পেরুর আরও বিভিন্ন এলাকা, চিলির আতাকামা মরুভূমিসহ আরও অনেক জায়গাতেই কুয়াশা থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়।
কুয়াশা নিয়ে আছে নানা ধরনের আশ্চর্য ঘটনা। কুয়াশার উপস্থিতি প্রায়ই কৌশলগত যুদ্ধের মতো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর একটি বড় উদাহরণ ১৭৭৬ সালের লং আইল্যান্ডের যুদ্ধ। এ সময় আমেরিকান জেনারেল জর্জ ওয়াশিংটন এবং তাঁর দল কুয়াশা ব্যবহার করে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর নজর এড়িয়ে লং আইল্যান্ড থেকে নৌকায় ম্যানহাটনে চলে যান।
আরেকটি ঘটনা বলছি। ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৩৭। ইংল্যান্ডের একটা ফুটবল ম্যাচ ভারী কুয়াশার কারণে শুরুর একটু পরই পরিত্যক্ত হয়। স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়, রেফারি-লাইন্সম্যান সবাই মাঠ থেকে চলে গেলেন, তবে একজন রয়ে গেলেন। তিনি এক দলের গোলরক্ষক স্যাম বাট্রাম। যাবেন কেন? রেফারির ঘোষণা শোনেননি তিনি। আর কুয়াশা এত ঘন যে অন্যরা যে চলে গেছে এটা টেরও পাননি। মোটামুটি মিনিট ১৫ এই কুয়াশায় গোলবার পাহারা দিলেন। তারপরই এক পুলিশ সদস্য এগিয়ে এসে জানালেন ম্যাচ বাতিলের কথা।
কুয়াশার কারণে ঘটা অদ্ভুত এক বিষয় ব্রোকেন স্পেকট্রা। এ সময় সূর্যের আলো কুয়াশা বা মেঘের মধ্যে মানুষের ছায়া ফেলে, তখন ওটা বিশাল দেখা যায়। কাজেই এভাবে কখনো নিজের ছায়া দেখে ভয় পাবেন না যেন।
আবার কুয়াশার মধ্যে সূর্যের আলো পড়ে অনেকটা রংধনুর মতো একটি বিষয় ঘটনায়। এটি পরিচিত ফগবো নামে।
চিলি ও পেরুর উপকূলবর্তী এলাকায় আছে অদ্ভুত এক কুয়াশা। এটা এত পরিষ্কার যে দৃষ্টিসীমায় তেমন কোনো বাধাই তৈরি করে না। তবে সমস্যা হলো এই কুয়াশা এতটাই আর্দ্র যে, গাড়িচালকদের উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার ব্যবহার করতে হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয় গ্র্যান্ড ব্যাংকস। কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের পাশের আটলান্টিক মহাসাগরে এই জায়গাটি। উত্তর থেকে আসা শীতল ল্যাব্রাডার স্রোত এবং পূর্ব দিক থেকে আসা উষ্ণ গালফ স্রোত বছরের প্রায় প্রতিটি দিনই ঘন কুয়াশার পরিবেশ তৈরি করে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, উইকিপিডিয়া, ওয়েদার অ্যান্ড রাডার, জাস্ট ফান ফ্যাক্টস ডট কম

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
২১ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।
টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।
ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।
মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।
টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।
ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।
মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

এখন সময়টা কুয়াশার। বেশির ভাগ জায়গাই রাত ও ভোরে কুয়াশায় রীতিমতো ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কুয়াশা কীভাবে তৈরি হয় তা কি আমরা জানি? কিংবা নানা ধরনের কুয়াশা কিংবা কুয়াশার কারণে জন্ম হওয়া সব অদ্ভুত সব ঘটনার কথা!
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
২১ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এখন সময়টা কুয়াশার। বেশির ভাগ জায়গাই রাত ও ভোরে কুয়াশায় রীতিমতো ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কুয়াশা কীভাবে তৈরি হয় তা কি আমরা জানি? কিংবা নানা ধরনের কুয়াশা কিংবা কুয়াশার কারণে জন্ম হওয়া সব অদ্ভুত সব ঘটনার কথা!
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
২১ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

এখন সময়টা কুয়াশার। বেশির ভাগ জায়গাই রাত ও ভোরে কুয়াশায় রীতিমতো ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কুয়াশা কীভাবে তৈরি হয় তা কি আমরা জানি? কিংবা নানা ধরনের কুয়াশা কিংবা কুয়াশার কারণে জন্ম হওয়া সব অদ্ভুত সব ঘটনার কথা!
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৭ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। চলতে পারে ঘন কুয়াশার ভোগান্তিও। তবে কয়েক দিন পরই নতুন বছরের শুরুতে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক জানিয়েছেন, গতকাল সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামা মানে রীতিমতো হাড়কাঁপানো শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সোমবারসহ আগামী চার দিন সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদর অব্যাহত থাকতে পারে।
লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়।
কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌযোগাযোগের পাশাপাশি বিমান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার প্রভাবে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকালও ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত একাধিক আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট দেরিতে অবতরণ ও উড্ডয়ন করে। তবে কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট অন্যত্র পাঠানো হয়নি।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ গতকাল দুপুরের দিকে বলেন, ‘ভোরে রানওয়ের দৃশ্যমানতা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। তবে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ফ্লাইট অপারেশন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে’।
বাগেরহাটে বৃদ্ধের মৃত্যু
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শীতের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে বৈদ্যনাথ মণ্ডল (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। বৈদ্যনাথ চিতলমারী উপজেলার খিলিগাতী গ্রামের মুকুন্দলাল মণ্ডলের ছেলে।
এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়ে গত চার দিনে মোট ৫৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
উত্তরে জীবন বিপর্যস্ত
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কুয়াশার জন্য মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। হিমালয়ের পাদদেশের কাছাকাছি হওয়ায় বরাবরই উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সে অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, গত দুই দিনে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন ১৩ এবং সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার ও গতকাল দুপুর ১২টার আগে বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, এটি চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সকাল ৬টা থেকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির ছিল। এটি চলতি মৌসুমে এখানকার সর্বনিম্ন।’

আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। চলতে পারে ঘন কুয়াশার ভোগান্তিও। তবে কয়েক দিন পরই নতুন বছরের শুরুতে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক জানিয়েছেন, গতকাল সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামা মানে রীতিমতো হাড়কাঁপানো শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সোমবারসহ আগামী চার দিন সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদর অব্যাহত থাকতে পারে।
লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়।
কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌযোগাযোগের পাশাপাশি বিমান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার প্রভাবে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকালও ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত একাধিক আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট দেরিতে অবতরণ ও উড্ডয়ন করে। তবে কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট অন্যত্র পাঠানো হয়নি।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ গতকাল দুপুরের দিকে বলেন, ‘ভোরে রানওয়ের দৃশ্যমানতা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। তবে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ফ্লাইট অপারেশন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে’।
বাগেরহাটে বৃদ্ধের মৃত্যু
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শীতের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে বৈদ্যনাথ মণ্ডল (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। বৈদ্যনাথ চিতলমারী উপজেলার খিলিগাতী গ্রামের মুকুন্দলাল মণ্ডলের ছেলে।
এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়ে গত চার দিনে মোট ৫৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
উত্তরে জীবন বিপর্যস্ত
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কুয়াশার জন্য মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। হিমালয়ের পাদদেশের কাছাকাছি হওয়ায় বরাবরই উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সে অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, গত দুই দিনে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন ১৩ এবং সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার ও গতকাল দুপুর ১২টার আগে বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, এটি চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সকাল ৬টা থেকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির ছিল। এটি চলতি মৌসুমে এখানকার সর্বনিম্ন।’

এখন সময়টা কুয়াশার। বেশির ভাগ জায়গাই রাত ও ভোরে কুয়াশায় রীতিমতো ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কুয়াশা কীভাবে তৈরি হয় তা কি আমরা জানি? কিংবা নানা ধরনের কুয়াশা কিংবা কুয়াশার কারণে জন্ম হওয়া সব অদ্ভুত সব ঘটনার কথা!
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
২১ ঘণ্টা আগে