
এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
মূলত মরুভূমি বা শুষ্ক ভূখণ্ডের দিকে বছরের নির্দিষ্ট সময় ‘লু হাওয়া’ নামে তাপপ্রবাহ দেখা যায়। পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা শক্তিশালী, ধূলিকণা মিশ্রিত, দমকা, গরম এবং শুষ্ক বাতাসই হলো লু হাওয়া। মূলত গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া এটি। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে লু হাওয়া বয়ে যায়। এই বাতাস বিশেষ করে মে এবং জুন মাসে শক্তিশালী হয়। এ সময় তাপমাত্রা থাকে ৪৫–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাস থাকে শুষ্ক। লু হাওয়ার সংস্পর্শে প্রায়ই মারাত্মক হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
দেশে এখন পশ্চিম/দক্ষিণ–পশ্চিম দিক থেকে গরম ও শুষ্ক বাতাস বইছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
যেহেতু লু হাওয়ায় আর্দ্রতা থাকে অত্যন্ত কম এবং উচ্চ তাপমাত্রা থাকে এ কারণে গাছপালার ওপর এই আবহাওয়ার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। মে এবং জুন মাসে লু হাওয়া প্রভাবিত অঞ্চলগুলো পুড়ে বাদামি হয়ে যায়!
লু হাওয়া প্রধানত উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ মরুভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। গ্রেট ইন্ডিয়ান মরুভূমি, চোলিস্তান মরুভূমি এবং দক্ষিণ বেলুচিস্তানের মরুভূমি অঞ্চল এর আওতায় পড়ে।
গ্রীষ্মের শেষের দিকে ভারতে লু হাওয়ার প্রকোপ চলে যায়। উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের কিছু এলাকায় বর্ষা শুরু হওয়ার আগে তীব্র ধুলিঝড় হয়। এটিকে বলে কালী আন্ধি বা কালো ঝড়। লু হাওয়ার আকস্মিক অবসানের ফলে ভূমির বাদামি থেকে আকস্মিকভাবে সবুজে রূপান্তর অনেকের কাছে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে মনে হতে পারে। যেটি এখন সৌদি আরবের মতো মরুর দেশে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে অবশ্য লু হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো পাননি আবহাওয়াবিদেরা। তবে এ বছর আকস্মিকভাবে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে এখানেও এমন পরিস্থিতি দেখতে হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম নিদর্শন হিসেবেও এটিকে অনেকে দেখছেন।
লু হাওয়ার মধ্যে পশু–পাখিরা আবাস ও খাবারের উৎস দুটিই হারিয়ে ফেলে। বহু পশুপাখি ক্ষুধা তৃষ্ণায় মারা যায়। বিশেষ করে ঘন বন নেই এমন এলাকায় এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যায়। কীটপতঙ্গবাহিত কিছু রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, লু হাওয়ার কালে ব্যাপকভাবে কমে যায়। পোকামাকড়ের সংখ্যাও কমে যায়। ১৮৯৭ সালে দেখা গেছে, উত্তর ভারতের সমভূমিতে লু হাওয়ার সময় ম্যালেরিয়া ছিল না। তখনো অবশ্য এটি যে মশাবাহিত রোগ তা আবিষ্কৃত হয়নি।
ইন্দো-পাকিস্তান সংস্কৃতিতে লু হাওয়াকে ‘বদ হাওয়া’ বা ‘অশুভ বায়ু’ বলে মনে করা হয়। এ সময় শিশু এবং বয়স্কদের পাশাপাশি পোষা প্রাণীদেরও বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। লু হাওয়ার সময় এসব অঞ্চলের মানুষ সাধারণত বিকেলের সময়টা বাড়িতেই অবস্থান করে।
লু হাওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলে ‘লু লগনা’। এ সময় বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুস-খুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়।
রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত আকারে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্ন সহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে।
এ ছাড়া রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় ‘কাইরি কা পান্না’ লু হাওয়ায় সুস্থ থাকতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মূলত কাঁচা বা পাকা আমের পানীয়।
এই গরমে করণীয়
দেশে লু হাওয়া না বাইলেও তাপমাত্রা কিন্তু ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই থাকছে, সঙ্গে শুষ্ক ও গরম বাতাস। ফলে রোদে বেরোলেই গা জ্বালা করছে। মনে হচ্ছে যেন এয়ার ফ্রাই হয়ে যাচ্ছি। ছায়ায় বসে থেকেও আরাম নেই, কারণ বাতাসও গরম। বারবার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। নাসারন্ধ্রের প্রাচীর শুকিয়ে ফেটে রক্ত বের হচ্ছে কারও। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জ্বর কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
গরম ও শুষ্ক বাতাসের কারণে শরীরে পানির সংকট দেখা দিলেও অনেকে হয়তো টের পাচ্ছেন না। শরীর না ঘামার কারণে একটা ভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। ফলে পানিশূন্যতার মারাত্মক ঝুঁকি থাকছে। পানিশূন্যতা বুঝতে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন।
এ ছাড়া গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এ সময় বাতাসে তুলনামূলক ধূলিকণা বেশি থাকে। ফলে যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা আছে তাঁদের বেশি সাবধান থাকতে হবে।
এই বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ:
১. যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। বিশেষ করে বিকেল বেলা।
২. বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. ঘরের বাইরে নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখুন।
৪. রোদে ছাতা ব্যবহার করুন অথবা মাথা সুতি কাপড়ে ঢেকে রাখুন।
৫. প্রচুর ঠান্ডা তরল পান করুন।
৬. মাংস, ডুবো তেলে ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭. কাশি হলে বা গলা সুর সুর করলে মধু, লবণ ও আদার রস মিশিয়ে চেটে খেতে পারেন।
৮. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান
৯. মৌসুমি ফল যেমন: তরমুজ খান যত ইচ্ছা। বাঙ্গির জুস খেতে পারেন। পানিশূন্যতা নিবারণে কাজে দেবে।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
মূলত মরুভূমি বা শুষ্ক ভূখণ্ডের দিকে বছরের নির্দিষ্ট সময় ‘লু হাওয়া’ নামে তাপপ্রবাহ দেখা যায়। পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা শক্তিশালী, ধূলিকণা মিশ্রিত, দমকা, গরম এবং শুষ্ক বাতাসই হলো লু হাওয়া। মূলত গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া এটি। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে লু হাওয়া বয়ে যায়। এই বাতাস বিশেষ করে মে এবং জুন মাসে শক্তিশালী হয়। এ সময় তাপমাত্রা থাকে ৪৫–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাস থাকে শুষ্ক। লু হাওয়ার সংস্পর্শে প্রায়ই মারাত্মক হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
দেশে এখন পশ্চিম/দক্ষিণ–পশ্চিম দিক থেকে গরম ও শুষ্ক বাতাস বইছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
যেহেতু লু হাওয়ায় আর্দ্রতা থাকে অত্যন্ত কম এবং উচ্চ তাপমাত্রা থাকে এ কারণে গাছপালার ওপর এই আবহাওয়ার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। মে এবং জুন মাসে লু হাওয়া প্রভাবিত অঞ্চলগুলো পুড়ে বাদামি হয়ে যায়!
লু হাওয়া প্রধানত উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ মরুভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। গ্রেট ইন্ডিয়ান মরুভূমি, চোলিস্তান মরুভূমি এবং দক্ষিণ বেলুচিস্তানের মরুভূমি অঞ্চল এর আওতায় পড়ে।
গ্রীষ্মের শেষের দিকে ভারতে লু হাওয়ার প্রকোপ চলে যায়। উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের কিছু এলাকায় বর্ষা শুরু হওয়ার আগে তীব্র ধুলিঝড় হয়। এটিকে বলে কালী আন্ধি বা কালো ঝড়। লু হাওয়ার আকস্মিক অবসানের ফলে ভূমির বাদামি থেকে আকস্মিকভাবে সবুজে রূপান্তর অনেকের কাছে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে মনে হতে পারে। যেটি এখন সৌদি আরবের মতো মরুর দেশে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে অবশ্য লু হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো পাননি আবহাওয়াবিদেরা। তবে এ বছর আকস্মিকভাবে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে এখানেও এমন পরিস্থিতি দেখতে হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম নিদর্শন হিসেবেও এটিকে অনেকে দেখছেন।
লু হাওয়ার মধ্যে পশু–পাখিরা আবাস ও খাবারের উৎস দুটিই হারিয়ে ফেলে। বহু পশুপাখি ক্ষুধা তৃষ্ণায় মারা যায়। বিশেষ করে ঘন বন নেই এমন এলাকায় এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যায়। কীটপতঙ্গবাহিত কিছু রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, লু হাওয়ার কালে ব্যাপকভাবে কমে যায়। পোকামাকড়ের সংখ্যাও কমে যায়। ১৮৯৭ সালে দেখা গেছে, উত্তর ভারতের সমভূমিতে লু হাওয়ার সময় ম্যালেরিয়া ছিল না। তখনো অবশ্য এটি যে মশাবাহিত রোগ তা আবিষ্কৃত হয়নি।
ইন্দো-পাকিস্তান সংস্কৃতিতে লু হাওয়াকে ‘বদ হাওয়া’ বা ‘অশুভ বায়ু’ বলে মনে করা হয়। এ সময় শিশু এবং বয়স্কদের পাশাপাশি পোষা প্রাণীদেরও বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। লু হাওয়ার সময় এসব অঞ্চলের মানুষ সাধারণত বিকেলের সময়টা বাড়িতেই অবস্থান করে।
লু হাওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলে ‘লু লগনা’। এ সময় বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুস-খুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়।
রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত আকারে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্ন সহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে।
এ ছাড়া রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় ‘কাইরি কা পান্না’ লু হাওয়ায় সুস্থ থাকতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মূলত কাঁচা বা পাকা আমের পানীয়।
এই গরমে করণীয়
দেশে লু হাওয়া না বাইলেও তাপমাত্রা কিন্তু ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই থাকছে, সঙ্গে শুষ্ক ও গরম বাতাস। ফলে রোদে বেরোলেই গা জ্বালা করছে। মনে হচ্ছে যেন এয়ার ফ্রাই হয়ে যাচ্ছি। ছায়ায় বসে থেকেও আরাম নেই, কারণ বাতাসও গরম। বারবার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। নাসারন্ধ্রের প্রাচীর শুকিয়ে ফেটে রক্ত বের হচ্ছে কারও। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জ্বর কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
গরম ও শুষ্ক বাতাসের কারণে শরীরে পানির সংকট দেখা দিলেও অনেকে হয়তো টের পাচ্ছেন না। শরীর না ঘামার কারণে একটা ভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। ফলে পানিশূন্যতার মারাত্মক ঝুঁকি থাকছে। পানিশূন্যতা বুঝতে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন।
এ ছাড়া গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এ সময় বাতাসে তুলনামূলক ধূলিকণা বেশি থাকে। ফলে যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা আছে তাঁদের বেশি সাবধান থাকতে হবে।
এই বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ:
১. যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। বিশেষ করে বিকেল বেলা।
২. বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. ঘরের বাইরে নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখুন।
৪. রোদে ছাতা ব্যবহার করুন অথবা মাথা সুতি কাপড়ে ঢেকে রাখুন।
৫. প্রচুর ঠান্ডা তরল পান করুন।
৬. মাংস, ডুবো তেলে ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭. কাশি হলে বা গলা সুর সুর করলে মধু, লবণ ও আদার রস মিশিয়ে চেটে খেতে পারেন।
৮. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান
৯. মৌসুমি ফল যেমন: তরমুজ খান যত ইচ্ছা। বাঙ্গির জুস খেতে পারেন। পানিশূন্যতা নিবারণে কাজে দেবে।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
মূলত মরুভূমি বা শুষ্ক ভূখণ্ডের দিকে বছরের নির্দিষ্ট সময় ‘লু হাওয়া’ নামে তাপপ্রবাহ দেখা যায়। পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা শক্তিশালী, ধূলিকণা মিশ্রিত, দমকা, গরম এবং শুষ্ক বাতাসই হলো লু হাওয়া। মূলত গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া এটি। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে লু হাওয়া বয়ে যায়। এই বাতাস বিশেষ করে মে এবং জুন মাসে শক্তিশালী হয়। এ সময় তাপমাত্রা থাকে ৪৫–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাস থাকে শুষ্ক। লু হাওয়ার সংস্পর্শে প্রায়ই মারাত্মক হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
দেশে এখন পশ্চিম/দক্ষিণ–পশ্চিম দিক থেকে গরম ও শুষ্ক বাতাস বইছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
যেহেতু লু হাওয়ায় আর্দ্রতা থাকে অত্যন্ত কম এবং উচ্চ তাপমাত্রা থাকে এ কারণে গাছপালার ওপর এই আবহাওয়ার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। মে এবং জুন মাসে লু হাওয়া প্রভাবিত অঞ্চলগুলো পুড়ে বাদামি হয়ে যায়!
লু হাওয়া প্রধানত উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ মরুভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। গ্রেট ইন্ডিয়ান মরুভূমি, চোলিস্তান মরুভূমি এবং দক্ষিণ বেলুচিস্তানের মরুভূমি অঞ্চল এর আওতায় পড়ে।
গ্রীষ্মের শেষের দিকে ভারতে লু হাওয়ার প্রকোপ চলে যায়। উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের কিছু এলাকায় বর্ষা শুরু হওয়ার আগে তীব্র ধুলিঝড় হয়। এটিকে বলে কালী আন্ধি বা কালো ঝড়। লু হাওয়ার আকস্মিক অবসানের ফলে ভূমির বাদামি থেকে আকস্মিকভাবে সবুজে রূপান্তর অনেকের কাছে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে মনে হতে পারে। যেটি এখন সৌদি আরবের মতো মরুর দেশে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে অবশ্য লু হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো পাননি আবহাওয়াবিদেরা। তবে এ বছর আকস্মিকভাবে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে এখানেও এমন পরিস্থিতি দেখতে হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম নিদর্শন হিসেবেও এটিকে অনেকে দেখছেন।
লু হাওয়ার মধ্যে পশু–পাখিরা আবাস ও খাবারের উৎস দুটিই হারিয়ে ফেলে। বহু পশুপাখি ক্ষুধা তৃষ্ণায় মারা যায়। বিশেষ করে ঘন বন নেই এমন এলাকায় এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যায়। কীটপতঙ্গবাহিত কিছু রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, লু হাওয়ার কালে ব্যাপকভাবে কমে যায়। পোকামাকড়ের সংখ্যাও কমে যায়। ১৮৯৭ সালে দেখা গেছে, উত্তর ভারতের সমভূমিতে লু হাওয়ার সময় ম্যালেরিয়া ছিল না। তখনো অবশ্য এটি যে মশাবাহিত রোগ তা আবিষ্কৃত হয়নি।
ইন্দো-পাকিস্তান সংস্কৃতিতে লু হাওয়াকে ‘বদ হাওয়া’ বা ‘অশুভ বায়ু’ বলে মনে করা হয়। এ সময় শিশু এবং বয়স্কদের পাশাপাশি পোষা প্রাণীদেরও বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। লু হাওয়ার সময় এসব অঞ্চলের মানুষ সাধারণত বিকেলের সময়টা বাড়িতেই অবস্থান করে।
লু হাওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলে ‘লু লগনা’। এ সময় বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুস-খুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়।
রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত আকারে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্ন সহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে।
এ ছাড়া রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় ‘কাইরি কা পান্না’ লু হাওয়ায় সুস্থ থাকতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মূলত কাঁচা বা পাকা আমের পানীয়।
এই গরমে করণীয়
দেশে লু হাওয়া না বাইলেও তাপমাত্রা কিন্তু ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই থাকছে, সঙ্গে শুষ্ক ও গরম বাতাস। ফলে রোদে বেরোলেই গা জ্বালা করছে। মনে হচ্ছে যেন এয়ার ফ্রাই হয়ে যাচ্ছি। ছায়ায় বসে থেকেও আরাম নেই, কারণ বাতাসও গরম। বারবার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। নাসারন্ধ্রের প্রাচীর শুকিয়ে ফেটে রক্ত বের হচ্ছে কারও। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জ্বর কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
গরম ও শুষ্ক বাতাসের কারণে শরীরে পানির সংকট দেখা দিলেও অনেকে হয়তো টের পাচ্ছেন না। শরীর না ঘামার কারণে একটা ভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। ফলে পানিশূন্যতার মারাত্মক ঝুঁকি থাকছে। পানিশূন্যতা বুঝতে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন।
এ ছাড়া গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এ সময় বাতাসে তুলনামূলক ধূলিকণা বেশি থাকে। ফলে যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা আছে তাঁদের বেশি সাবধান থাকতে হবে।
এই বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ:
১. যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। বিশেষ করে বিকেল বেলা।
২. বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. ঘরের বাইরে নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখুন।
৪. রোদে ছাতা ব্যবহার করুন অথবা মাথা সুতি কাপড়ে ঢেকে রাখুন।
৫. প্রচুর ঠান্ডা তরল পান করুন।
৬. মাংস, ডুবো তেলে ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭. কাশি হলে বা গলা সুর সুর করলে মধু, লবণ ও আদার রস মিশিয়ে চেটে খেতে পারেন।
৮. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান
৯. মৌসুমি ফল যেমন: তরমুজ খান যত ইচ্ছা। বাঙ্গির জুস খেতে পারেন। পানিশূন্যতা নিবারণে কাজে দেবে।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
মূলত মরুভূমি বা শুষ্ক ভূখণ্ডের দিকে বছরের নির্দিষ্ট সময় ‘লু হাওয়া’ নামে তাপপ্রবাহ দেখা যায়। পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা শক্তিশালী, ধূলিকণা মিশ্রিত, দমকা, গরম এবং শুষ্ক বাতাসই হলো লু হাওয়া। মূলত গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া এটি। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানের ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে লু হাওয়া বয়ে যায়। এই বাতাস বিশেষ করে মে এবং জুন মাসে শক্তিশালী হয়। এ সময় তাপমাত্রা থাকে ৪৫–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে বাতাস থাকে শুষ্ক। লু হাওয়ার সংস্পর্শে প্রায়ই মারাত্মক হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে।
দেশে এখন পশ্চিম/দক্ষিণ–পশ্চিম দিক থেকে গরম ও শুষ্ক বাতাস বইছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংজ্ঞা অনুযায়ী দেশের অধিকাংশ এলাকার ওপর দিয়ে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
যেহেতু লু হাওয়ায় আর্দ্রতা থাকে অত্যন্ত কম এবং উচ্চ তাপমাত্রা থাকে এ কারণে গাছপালার ওপর এই আবহাওয়ার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। মে এবং জুন মাসে লু হাওয়া প্রভাবিত অঞ্চলগুলো পুড়ে বাদামি হয়ে যায়!
লু হাওয়া প্রধানত উত্তর-পশ্চিম ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহৎ মরুভূমি অঞ্চলে উৎপন্ন হয়। গ্রেট ইন্ডিয়ান মরুভূমি, চোলিস্তান মরুভূমি এবং দক্ষিণ বেলুচিস্তানের মরুভূমি অঞ্চল এর আওতায় পড়ে।
গ্রীষ্মের শেষের দিকে ভারতে লু হাওয়ার প্রকোপ চলে যায়। উত্তর ভারত এবং পাকিস্তানের কিছু এলাকায় বর্ষা শুরু হওয়ার আগে তীব্র ধুলিঝড় হয়। এটিকে বলে কালী আন্ধি বা কালো ঝড়। লু হাওয়ার আকস্মিক অবসানের ফলে ভূমির বাদামি থেকে আকস্মিকভাবে সবুজে রূপান্তর অনেকের কাছে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে মনে হতে পারে। যেটি এখন সৌদি আরবের মতো মরুর দেশে দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে অবশ্য লু হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ এখনো পাননি আবহাওয়াবিদেরা। তবে এ বছর আকস্মিকভাবে চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ছে। তাতে অদূর ভবিষ্যতে এখানেও এমন পরিস্থিতি দেখতে হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম নিদর্শন হিসেবেও এটিকে অনেকে দেখছেন।
লু হাওয়ার মধ্যে পশু–পাখিরা আবাস ও খাবারের উৎস দুটিই হারিয়ে ফেলে। বহু পশুপাখি ক্ষুধা তৃষ্ণায় মারা যায়। বিশেষ করে ঘন বন নেই এমন এলাকায় এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যায়। কীটপতঙ্গবাহিত কিছু রোগ, যেমন ম্যালেরিয়া, লু হাওয়ার কালে ব্যাপকভাবে কমে যায়। পোকামাকড়ের সংখ্যাও কমে যায়। ১৮৯৭ সালে দেখা গেছে, উত্তর ভারতের সমভূমিতে লু হাওয়ার সময় ম্যালেরিয়া ছিল না। তখনো অবশ্য এটি যে মশাবাহিত রোগ তা আবিষ্কৃত হয়নি।
ইন্দো-পাকিস্তান সংস্কৃতিতে লু হাওয়াকে ‘বদ হাওয়া’ বা ‘অশুভ বায়ু’ বলে মনে করা হয়। এ সময় শিশু এবং বয়স্কদের পাশাপাশি পোষা প্রাণীদেরও বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। লু হাওয়ার সময় এসব অঞ্চলের মানুষ সাধারণত বিকেলের সময়টা বাড়িতেই অবস্থান করে।
লু হাওয়ার কারণে ব্যাপকভাবে হিটস্ট্রোকের ঘটনা ঘটে। ভারত ও পাকিস্তানে একে বলে ‘লু লগনা’। এ সময় বিশেষ কিছু শরবত ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতল করতে এবং হিট স্ট্রোক থেকে সুরক্ষা দিতে কার্যকর এসব শরবত। লু হাওয়ার সময় গোলাপ, খুস-খুস, শাহতুত, বেল ও ফলসার শরবত পান করা হয়।
রুহ আফজা নামে একটি ইউনানি রেসিপিও জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, শরীর শীতলকারী বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে এটি বানানো হয়। বাণিজ্যিকভাবে সিরাপ বা বিভিন্ন ঘ্রাণযুক্ত শরবত আকারে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ঠান্ডা দুধের পানীয়, বরফ এবং ঠান্ডা মিষ্টান্ন সহযোগে ফালুদাও জনপ্রিয়। উত্তর ভারত ও পাকিস্তানে দই দিয়ে বানানো পানীয় ‘লাচ্ছি’ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশ্বাস করা হয়, এটি লু হাওয়ার মধ্যে শরীর শীতল রাখে।
এ ছাড়া রাজস্থানের মরুভূমি এলাকায় ‘কাইরি কা পান্না’ লু হাওয়ায় সুস্থ থাকতে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এটি মূলত কাঁচা বা পাকা আমের পানীয়।
এই গরমে করণীয়
দেশে লু হাওয়া না বাইলেও তাপমাত্রা কিন্তু ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছিই থাকছে, সঙ্গে শুষ্ক ও গরম বাতাস। ফলে রোদে বেরোলেই গা জ্বালা করছে। মনে হচ্ছে যেন এয়ার ফ্রাই হয়ে যাচ্ছি। ছায়ায় বসে থেকেও আরাম নেই, কারণ বাতাসও গরম। বারবার তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। নাসারন্ধ্রের প্রাচীর শুকিয়ে ফেটে রক্ত বের হচ্ছে কারও। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জ্বর কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
গরম ও শুষ্ক বাতাসের কারণে শরীরে পানির সংকট দেখা দিলেও অনেকে হয়তো টের পাচ্ছেন না। শরীর না ঘামার কারণে একটা ভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। ফলে পানিশূন্যতার মারাত্মক ঝুঁকি থাকছে। পানিশূন্যতা বুঝতে প্রস্রাবের রঙের দিকে খেয়াল রাখুন।
এ ছাড়া গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে এ সময় বাতাসে তুলনামূলক ধূলিকণা বেশি থাকে। ফলে যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা আছে তাঁদের বেশি সাবধান থাকতে হবে।
এই বিরূপ আবহাওয়া থেকে রক্ষা পেতে কিছু পরামর্শ:
১. যতটা সম্ভব ঘরে থাকুন। বিশেষ করে বিকেল বেলা।
২. বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৩. ঘরের বাইরে নরম সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। রোদে বের হলে পুরো শরীর ঢেকে রাখুন।
৪. রোদে ছাতা ব্যবহার করুন অথবা মাথা সুতি কাপড়ে ঢেকে রাখুন।
৫. প্রচুর ঠান্ডা তরল পান করুন।
৬. মাংস, ডুবো তেলে ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৭. কাশি হলে বা গলা সুর সুর করলে মধু, লবণ ও আদার রস মিশিয়ে চেটে খেতে পারেন।
৮. ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান
৯. মৌসুমি ফল যেমন: তরমুজ খান যত ইচ্ছা। বাঙ্গির জুস খেতে পারেন। পানিশূন্যতা নিবারণে কাজে দেবে।

সকাল থেকে আজ ঢাকার আকাশে কিছুটা রোদের দেখা মিলেছে। তবে শীত আগের দিনের মতোই পড়েছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি হয়েছে ১৩ দশমিক ৭।
৯ ঘণ্টা আগে
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
২ দিন আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকাল থেকে আজ ঢাকার আকাশে কিছুটা রোদের দেখা মিলেছে। তবে শীত আগের দিনের মতোই পড়েছে।
বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি হয়েছে ১৩ দশমিক ৭।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

সকাল থেকে আজ ঢাকার আকাশে কিছুটা রোদের দেখা মিলেছে। তবে শীত আগের দিনের মতোই পড়েছে।
বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি হয়েছে ১৩ দশমিক ৭।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৩
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
২ দিন আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৩
সকাল থেকে আজ ঢাকার আকাশে কিছুটা রোদের দেখা মিলেছে। তবে শীত আগের দিনের মতোই পড়েছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি হয়েছে ১৩ দশমিক ৭।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
২ দিন আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।
টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।
ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।
মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।
টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।
ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।
মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৩
সকাল থেকে আজ ঢাকার আকাশে কিছুটা রোদের দেখা মিলেছে। তবে শীত আগের দিনের মতোই পড়েছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি হয়েছে ১৩ দশমিক ৭।
৯ ঘণ্টা আগে
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
১ দিন আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ বছর চৈত্র মাসের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়েছে। চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। রমজান মাসে এমন গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। অনেকে এই আবহাওয়া পরিস্থিতিকে মরুভূমির সঙ্গে তুলনা করছেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৩
সকাল থেকে আজ ঢাকার আকাশে কিছুটা রোদের দেখা মিলেছে। তবে শীত আগের দিনের মতোই পড়েছে। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি হয়েছে ১৩ দশমিক ৭।
৯ ঘণ্টা আগে
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
২ দিন আগে