ইশতিয়াক হাসান

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া দামের রহস্য কী?
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টা করা হয় ওই তিমির বমি। অবশ্য কক্সবাজারের রামুর বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যায় বস্তার মধ্যে থাকা জব্দ হওয়া চালানটি অ্যাম্বারগ্রিসের বা তিমির বমি।
তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের অতি উচ্চমূল্যের কারণে এটি ফ্লোটিং গোল্ড বা ভাসমান সোনা নামেও পরিচিত।
স্পার্ম হোয়েল বা ক্যাশালট থেকে এটি উৎপাদিত হয়। মানুষ বহু আগে থেকেই এটি ব্যবহার করে এলেও এর উৎস ছিল অজ্ঞাত। এমনকি ১৭ লাখ ৫০ হাজার বছরের পুরোনো ফসিলের নমুনাও মিলেছে অ্যাম্বারগ্রিসের। মানুষ এটি কাজে লাগাতে শুরু করে তা-ও অন্তত হাজার বছর আগে থেকে।
কিন্তু এই বস্তু আসছে কোথা থেকে, তা নিয়ে ডালপালা মেলছিল নানা তত্ত্ব। কেউ ভাবছিলেন এটি সমুদ্রের ফেনার কঠিন রূপ, কেউ আবার বলছিলেন জিনিসটি আর কিছু নয়, বিশাল কোনো পাখির মল।
যুক্তরাজ্যের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম সূত্রে জানা যায়, রহস্যময় পদার্থটির উৎস সম্পর্কে মানুষের ধারণা প্রথম পরিষ্কার হয় ১৮ শতকের গোড়ার দিকে, বিপুল পরিমাণ তিমি শিকার শুরু হওয়ার পর। তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসগুলো কখনো কখনো ভাসমান অবস্থায় সাগরে ভেসে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম আরও জানায়, তিমির খাবারের একটি বড় অংশ আসে স্কুইড জাতীয় প্রাণী থেকে। তিমিরা অপাচ্য বা হজম না হওয়া বেশির ভাগ অংশ বমি করে দিলেও কিছু অংশ অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং একসঙ্গে লেগে থাকে। ধীরে ধীরে এটি একটি কঠিন অ্যাম্বারগ্রিসের পিণ্ডে পরিণত হয়। বছরের বছর ধরে জমতে জমতে যা আকারে বড় হয়।
কিন্তু কথা হলো এই অ্যাম্বারগ্রিসের দাম এত বেশি কেন? তিমির বমির দুষ্প্রাপ্যতা এবং সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহারই একে এতটা মূল্যবান করে তুলেছে। এর ঘ্রাণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। কখনো কস্তুরির সঙ্গেও মিল পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, যদি পারফিউম তৈরির কারখানায় সুগন্ধ বেছে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি গন্ধ পছন্দ করেন, তাহলে অ্যাম্বারগ্রিসের আউন্স-প্রতি মূল্য কয়েক হাজার ডলার হতে পারে।
কখনো অ্যামব্রেইন নামক গন্ধহীন একধরনের অ্যালকোহলের কারণে এটি আরও মূল্যবান হয়ে উঠেছে। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে এই অ্যালকোহল বের করা হয়। পারফিউমের সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার করা হয় অ্যামব্রেইন। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে কী পরিমাণ অ্যামব্রেইন পাওয়া যাচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাম্বারগ্রিসের রং দেখে এটি অনুমান করা যায়। কালোর মধ্যে সবচেয়ে কম অ্যামব্রিন এবং সাদার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত সাদা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে সেরা মানের পারফিউম বা সুগন্ধি তৈরি করা হয়।
পারফিউম বা সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান শেইমেনের মালিক নভেম্বার নিকোলাস বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান পদার্থ, যা তার অনন্য গন্ধ এবং সংরক্ষণকারী গুণাবলির জন্য পরিচিত। এটি যুক্ত করা হলে সুগন্ধ আরও গাঢ় ও স্থায়ী হয়।’
‘অ্যাম্বারগ্রিস তীক্ষ্ণ বস্তু (যেমন—স্কুইডের ঠোঁট) থেকে তিমির অন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য উৎপাদিত হয়। একপর্যায়ে তিমি এটি উগরে দেয়। তখন সমুদ্রে ভাসতে বা উপকূলের কাছে দেখা যায়।’ বলেন নিকোলস।
তবে কীভাবে পদার্থটি সমুদ্রে অবাধে ভাসতে থাকে, তা নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, তিমি এটি মলের সঙ্গে ছেড়ে দিতে পারে। কেউ আবার মনে করেন, এটা এত বিশাল হয়ে যায় যে এর কারণে মলদ্বার ফেটে গিয়ে প্রাণীটির মৃত্যুও হতে পারে।
স্পার্ম হোয়েল বা তিমিরা সারা বিশ্বে বাস করে, যার অর্থ অ্যাম্বারগ্রিস যেকোনো সাগর-মহাসাগর বা বেশির ভাগ উপকূলে ভেসে থাকতে দেখার কথা। কিন্তু তা হয় না। তেমনি খুব কম তিমির মৃতদেহেই অ্যাম্বারগ্রিস মেলে।
আঠারো শতকে বিপুল পরিমাণে তিমি শিকার শুরুর আগে বিশ্বে ১১ লাখ স্পার্ম তিমি ছিল। এখন কেবল ৩ লাখ অবশিষ্ট আছে। আর তাই পাছে তিমি শিকারে উৎসাহিত করে, তাই অনেক দেশে সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস নিষিদ্ধ। তেমনি অবৈধ এটি কেনাবেচায়ও। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ।
এদিকে কক্সবাজারে অ্যাম্বারগ্রিস উদ্ধারের পর বিজিবি জানায়, তিমির বমি হিসেবে পরিচিত অ্যাম্বারগ্রিসের বিক্রি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ হয়ে অ্যাম্বারগ্রিসের চোরাচালান বিরল ঘটনা।
কিন্তু মন মাতানো সৌরভ ছড়ানো ফরাসি সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস এখনো খুব সাধারণ একটি উপাদান। ফ্রান্স ছাড়াও ইংল্যান্ডসহ আরও কিছু দেশে এর বিপণন বৈধ।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর কিউরেটর রিচার্ড সাবিন বলেন, ‘তিমি এখন বিশ্বজুড়েই সংরক্ষিত। তবে ভবিষ্যতে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। অ্যাম্বারগ্রিসের সিনথেটিক বিকল্প পাওয়া যায় এবং এটি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া উচিত। তাহলে মানুষের মধ্যে তিমি থেকে সম্পদ আহরণের চিন্তাটা দূর হবে।’
এটি অনুমান করা হয় যে শুধু ১ শতাংশ তিমি অ্যাম্বারগ্রিস এভাবে বের করে দিতে সক্ষম। দুষ্প্রাপ্যতার কারণে এটি এত দামি হয়েছে। আবার মানভেদে কেজিপ্রতি অ্যাম্বারগ্রিসের দাম হতে পারে কয়েক লাখ টাকা থেকে দেড়-দুই কোটি টাকা।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে এক অধ্যাপক একটি মৃত তিমির অন্ত্রে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড খুঁজে পান, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার। স্পেনের দ্বীপ লা পালমার সৈকতে সাগরের প্রবল ঢেউয়ে একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। অন্তোনিও ফার্নান্দেজ নামের ওই অধ্যাপক তিমিটির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ইউনিভার্সিড দে লাস পালমাস ডি গ্রান ক্যানারিয়ার ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটির প্রধান ফার্নান্দেজ তিমিটির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নামেন। তখনই আবিষ্কার করেন, প্রাণীটির অন্ত্রে আটকে ছিল ২১ পাউন্ড ওজনের একটি পিণ্ড। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলারের এই পিণ্ড অ্যাম্বারগ্রিসের তৈরি।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালে এডেন উপসাগরে একদল জেলে আরব আমিরাতের এক ব্যক্তির কাছে ১৫ লাখ ডলারে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড বিক্রি করেন। এতে যে লাভ হয় তাতে ৩৫ জেলের সবাই বাড়ি, গাড়ি এবং নৌকা কেনেন।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া দামের রহস্য কী?
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টা করা হয় ওই তিমির বমি। অবশ্য কক্সবাজারের রামুর বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যায় বস্তার মধ্যে থাকা জব্দ হওয়া চালানটি অ্যাম্বারগ্রিসের বা তিমির বমি।
তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের অতি উচ্চমূল্যের কারণে এটি ফ্লোটিং গোল্ড বা ভাসমান সোনা নামেও পরিচিত।
স্পার্ম হোয়েল বা ক্যাশালট থেকে এটি উৎপাদিত হয়। মানুষ বহু আগে থেকেই এটি ব্যবহার করে এলেও এর উৎস ছিল অজ্ঞাত। এমনকি ১৭ লাখ ৫০ হাজার বছরের পুরোনো ফসিলের নমুনাও মিলেছে অ্যাম্বারগ্রিসের। মানুষ এটি কাজে লাগাতে শুরু করে তা-ও অন্তত হাজার বছর আগে থেকে।
কিন্তু এই বস্তু আসছে কোথা থেকে, তা নিয়ে ডালপালা মেলছিল নানা তত্ত্ব। কেউ ভাবছিলেন এটি সমুদ্রের ফেনার কঠিন রূপ, কেউ আবার বলছিলেন জিনিসটি আর কিছু নয়, বিশাল কোনো পাখির মল।
যুক্তরাজ্যের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম সূত্রে জানা যায়, রহস্যময় পদার্থটির উৎস সম্পর্কে মানুষের ধারণা প্রথম পরিষ্কার হয় ১৮ শতকের গোড়ার দিকে, বিপুল পরিমাণ তিমি শিকার শুরু হওয়ার পর। তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসগুলো কখনো কখনো ভাসমান অবস্থায় সাগরে ভেসে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম আরও জানায়, তিমির খাবারের একটি বড় অংশ আসে স্কুইড জাতীয় প্রাণী থেকে। তিমিরা অপাচ্য বা হজম না হওয়া বেশির ভাগ অংশ বমি করে দিলেও কিছু অংশ অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং একসঙ্গে লেগে থাকে। ধীরে ধীরে এটি একটি কঠিন অ্যাম্বারগ্রিসের পিণ্ডে পরিণত হয়। বছরের বছর ধরে জমতে জমতে যা আকারে বড় হয়।
কিন্তু কথা হলো এই অ্যাম্বারগ্রিসের দাম এত বেশি কেন? তিমির বমির দুষ্প্রাপ্যতা এবং সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহারই একে এতটা মূল্যবান করে তুলেছে। এর ঘ্রাণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। কখনো কস্তুরির সঙ্গেও মিল পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, যদি পারফিউম তৈরির কারখানায় সুগন্ধ বেছে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি গন্ধ পছন্দ করেন, তাহলে অ্যাম্বারগ্রিসের আউন্স-প্রতি মূল্য কয়েক হাজার ডলার হতে পারে।
কখনো অ্যামব্রেইন নামক গন্ধহীন একধরনের অ্যালকোহলের কারণে এটি আরও মূল্যবান হয়ে উঠেছে। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে এই অ্যালকোহল বের করা হয়। পারফিউমের সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার করা হয় অ্যামব্রেইন। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে কী পরিমাণ অ্যামব্রেইন পাওয়া যাচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাম্বারগ্রিসের রং দেখে এটি অনুমান করা যায়। কালোর মধ্যে সবচেয়ে কম অ্যামব্রিন এবং সাদার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত সাদা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে সেরা মানের পারফিউম বা সুগন্ধি তৈরি করা হয়।
পারফিউম বা সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান শেইমেনের মালিক নভেম্বার নিকোলাস বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান পদার্থ, যা তার অনন্য গন্ধ এবং সংরক্ষণকারী গুণাবলির জন্য পরিচিত। এটি যুক্ত করা হলে সুগন্ধ আরও গাঢ় ও স্থায়ী হয়।’
‘অ্যাম্বারগ্রিস তীক্ষ্ণ বস্তু (যেমন—স্কুইডের ঠোঁট) থেকে তিমির অন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য উৎপাদিত হয়। একপর্যায়ে তিমি এটি উগরে দেয়। তখন সমুদ্রে ভাসতে বা উপকূলের কাছে দেখা যায়।’ বলেন নিকোলস।
তবে কীভাবে পদার্থটি সমুদ্রে অবাধে ভাসতে থাকে, তা নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, তিমি এটি মলের সঙ্গে ছেড়ে দিতে পারে। কেউ আবার মনে করেন, এটা এত বিশাল হয়ে যায় যে এর কারণে মলদ্বার ফেটে গিয়ে প্রাণীটির মৃত্যুও হতে পারে।
স্পার্ম হোয়েল বা তিমিরা সারা বিশ্বে বাস করে, যার অর্থ অ্যাম্বারগ্রিস যেকোনো সাগর-মহাসাগর বা বেশির ভাগ উপকূলে ভেসে থাকতে দেখার কথা। কিন্তু তা হয় না। তেমনি খুব কম তিমির মৃতদেহেই অ্যাম্বারগ্রিস মেলে।
আঠারো শতকে বিপুল পরিমাণে তিমি শিকার শুরুর আগে বিশ্বে ১১ লাখ স্পার্ম তিমি ছিল। এখন কেবল ৩ লাখ অবশিষ্ট আছে। আর তাই পাছে তিমি শিকারে উৎসাহিত করে, তাই অনেক দেশে সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস নিষিদ্ধ। তেমনি অবৈধ এটি কেনাবেচায়ও। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ।
এদিকে কক্সবাজারে অ্যাম্বারগ্রিস উদ্ধারের পর বিজিবি জানায়, তিমির বমি হিসেবে পরিচিত অ্যাম্বারগ্রিসের বিক্রি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ হয়ে অ্যাম্বারগ্রিসের চোরাচালান বিরল ঘটনা।
কিন্তু মন মাতানো সৌরভ ছড়ানো ফরাসি সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস এখনো খুব সাধারণ একটি উপাদান। ফ্রান্স ছাড়াও ইংল্যান্ডসহ আরও কিছু দেশে এর বিপণন বৈধ।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর কিউরেটর রিচার্ড সাবিন বলেন, ‘তিমি এখন বিশ্বজুড়েই সংরক্ষিত। তবে ভবিষ্যতে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। অ্যাম্বারগ্রিসের সিনথেটিক বিকল্প পাওয়া যায় এবং এটি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া উচিত। তাহলে মানুষের মধ্যে তিমি থেকে সম্পদ আহরণের চিন্তাটা দূর হবে।’
এটি অনুমান করা হয় যে শুধু ১ শতাংশ তিমি অ্যাম্বারগ্রিস এভাবে বের করে দিতে সক্ষম। দুষ্প্রাপ্যতার কারণে এটি এত দামি হয়েছে। আবার মানভেদে কেজিপ্রতি অ্যাম্বারগ্রিসের দাম হতে পারে কয়েক লাখ টাকা থেকে দেড়-দুই কোটি টাকা।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে এক অধ্যাপক একটি মৃত তিমির অন্ত্রে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড খুঁজে পান, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার। স্পেনের দ্বীপ লা পালমার সৈকতে সাগরের প্রবল ঢেউয়ে একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। অন্তোনিও ফার্নান্দেজ নামের ওই অধ্যাপক তিমিটির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ইউনিভার্সিড দে লাস পালমাস ডি গ্রান ক্যানারিয়ার ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটির প্রধান ফার্নান্দেজ তিমিটির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নামেন। তখনই আবিষ্কার করেন, প্রাণীটির অন্ত্রে আটকে ছিল ২১ পাউন্ড ওজনের একটি পিণ্ড। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলারের এই পিণ্ড অ্যাম্বারগ্রিসের তৈরি।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালে এডেন উপসাগরে একদল জেলে আরব আমিরাতের এক ব্যক্তির কাছে ১৫ লাখ ডলারে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড বিক্রি করেন। এতে যে লাভ হয় তাতে ৩৫ জেলের সবাই বাড়ি, গাড়ি এবং নৌকা কেনেন।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া
০৯ অক্টোবর ২০২৪
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া
০৯ অক্টোবর ২০২৪
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া
০৯ অক্টোবর ২০২৪
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া
০৯ অক্টোবর ২০২৪
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১ দিন আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
২ দিন আগে