ইশতিয়াক হাসান

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া দামের রহস্য কী?
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টা করা হয় ওই তিমির বমি। অবশ্য কক্সবাজারের রামুর বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যায় বস্তার মধ্যে থাকা জব্দ হওয়া চালানটি অ্যাম্বারগ্রিসের বা তিমির বমি।
তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের অতি উচ্চমূল্যের কারণে এটি ফ্লোটিং গোল্ড বা ভাসমান সোনা নামেও পরিচিত।
স্পার্ম হোয়েল বা ক্যাশালট থেকে এটি উৎপাদিত হয়। মানুষ বহু আগে থেকেই এটি ব্যবহার করে এলেও এর উৎস ছিল অজ্ঞাত। এমনকি ১৭ লাখ ৫০ হাজার বছরের পুরোনো ফসিলের নমুনাও মিলেছে অ্যাম্বারগ্রিসের। মানুষ এটি কাজে লাগাতে শুরু করে তা-ও অন্তত হাজার বছর আগে থেকে।
কিন্তু এই বস্তু আসছে কোথা থেকে, তা নিয়ে ডালপালা মেলছিল নানা তত্ত্ব। কেউ ভাবছিলেন এটি সমুদ্রের ফেনার কঠিন রূপ, কেউ আবার বলছিলেন জিনিসটি আর কিছু নয়, বিশাল কোনো পাখির মল।
যুক্তরাজ্যের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম সূত্রে জানা যায়, রহস্যময় পদার্থটির উৎস সম্পর্কে মানুষের ধারণা প্রথম পরিষ্কার হয় ১৮ শতকের গোড়ার দিকে, বিপুল পরিমাণ তিমি শিকার শুরু হওয়ার পর। তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসগুলো কখনো কখনো ভাসমান অবস্থায় সাগরে ভেসে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম আরও জানায়, তিমির খাবারের একটি বড় অংশ আসে স্কুইড জাতীয় প্রাণী থেকে। তিমিরা অপাচ্য বা হজম না হওয়া বেশির ভাগ অংশ বমি করে দিলেও কিছু অংশ অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং একসঙ্গে লেগে থাকে। ধীরে ধীরে এটি একটি কঠিন অ্যাম্বারগ্রিসের পিণ্ডে পরিণত হয়। বছরের বছর ধরে জমতে জমতে যা আকারে বড় হয়।
কিন্তু কথা হলো এই অ্যাম্বারগ্রিসের দাম এত বেশি কেন? তিমির বমির দুষ্প্রাপ্যতা এবং সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহারই একে এতটা মূল্যবান করে তুলেছে। এর ঘ্রাণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। কখনো কস্তুরির সঙ্গেও মিল পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, যদি পারফিউম তৈরির কারখানায় সুগন্ধ বেছে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি গন্ধ পছন্দ করেন, তাহলে অ্যাম্বারগ্রিসের আউন্স-প্রতি মূল্য কয়েক হাজার ডলার হতে পারে।
কখনো অ্যামব্রেইন নামক গন্ধহীন একধরনের অ্যালকোহলের কারণে এটি আরও মূল্যবান হয়ে উঠেছে। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে এই অ্যালকোহল বের করা হয়। পারফিউমের সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার করা হয় অ্যামব্রেইন। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে কী পরিমাণ অ্যামব্রেইন পাওয়া যাচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাম্বারগ্রিসের রং দেখে এটি অনুমান করা যায়। কালোর মধ্যে সবচেয়ে কম অ্যামব্রিন এবং সাদার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত সাদা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে সেরা মানের পারফিউম বা সুগন্ধি তৈরি করা হয়।
পারফিউম বা সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান শেইমেনের মালিক নভেম্বার নিকোলাস বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান পদার্থ, যা তার অনন্য গন্ধ এবং সংরক্ষণকারী গুণাবলির জন্য পরিচিত। এটি যুক্ত করা হলে সুগন্ধ আরও গাঢ় ও স্থায়ী হয়।’
‘অ্যাম্বারগ্রিস তীক্ষ্ণ বস্তু (যেমন—স্কুইডের ঠোঁট) থেকে তিমির অন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য উৎপাদিত হয়। একপর্যায়ে তিমি এটি উগরে দেয়। তখন সমুদ্রে ভাসতে বা উপকূলের কাছে দেখা যায়।’ বলেন নিকোলস।
তবে কীভাবে পদার্থটি সমুদ্রে অবাধে ভাসতে থাকে, তা নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, তিমি এটি মলের সঙ্গে ছেড়ে দিতে পারে। কেউ আবার মনে করেন, এটা এত বিশাল হয়ে যায় যে এর কারণে মলদ্বার ফেটে গিয়ে প্রাণীটির মৃত্যুও হতে পারে।
স্পার্ম হোয়েল বা তিমিরা সারা বিশ্বে বাস করে, যার অর্থ অ্যাম্বারগ্রিস যেকোনো সাগর-মহাসাগর বা বেশির ভাগ উপকূলে ভেসে থাকতে দেখার কথা। কিন্তু তা হয় না। তেমনি খুব কম তিমির মৃতদেহেই অ্যাম্বারগ্রিস মেলে।
আঠারো শতকে বিপুল পরিমাণে তিমি শিকার শুরুর আগে বিশ্বে ১১ লাখ স্পার্ম তিমি ছিল। এখন কেবল ৩ লাখ অবশিষ্ট আছে। আর তাই পাছে তিমি শিকারে উৎসাহিত করে, তাই অনেক দেশে সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস নিষিদ্ধ। তেমনি অবৈধ এটি কেনাবেচায়ও। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ।
এদিকে কক্সবাজারে অ্যাম্বারগ্রিস উদ্ধারের পর বিজিবি জানায়, তিমির বমি হিসেবে পরিচিত অ্যাম্বারগ্রিসের বিক্রি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ হয়ে অ্যাম্বারগ্রিসের চোরাচালান বিরল ঘটনা।
কিন্তু মন মাতানো সৌরভ ছড়ানো ফরাসি সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস এখনো খুব সাধারণ একটি উপাদান। ফ্রান্স ছাড়াও ইংল্যান্ডসহ আরও কিছু দেশে এর বিপণন বৈধ।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর কিউরেটর রিচার্ড সাবিন বলেন, ‘তিমি এখন বিশ্বজুড়েই সংরক্ষিত। তবে ভবিষ্যতে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। অ্যাম্বারগ্রিসের সিনথেটিক বিকল্প পাওয়া যায় এবং এটি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া উচিত। তাহলে মানুষের মধ্যে তিমি থেকে সম্পদ আহরণের চিন্তাটা দূর হবে।’
এটি অনুমান করা হয় যে শুধু ১ শতাংশ তিমি অ্যাম্বারগ্রিস এভাবে বের করে দিতে সক্ষম। দুষ্প্রাপ্যতার কারণে এটি এত দামি হয়েছে। আবার মানভেদে কেজিপ্রতি অ্যাম্বারগ্রিসের দাম হতে পারে কয়েক লাখ টাকা থেকে দেড়-দুই কোটি টাকা।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে এক অধ্যাপক একটি মৃত তিমির অন্ত্রে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড খুঁজে পান, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার। স্পেনের দ্বীপ লা পালমার সৈকতে সাগরের প্রবল ঢেউয়ে একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। অন্তোনিও ফার্নান্দেজ নামের ওই অধ্যাপক তিমিটির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ইউনিভার্সিড দে লাস পালমাস ডি গ্রান ক্যানারিয়ার ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটির প্রধান ফার্নান্দেজ তিমিটির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নামেন। তখনই আবিষ্কার করেন, প্রাণীটির অন্ত্রে আটকে ছিল ২১ পাউন্ড ওজনের একটি পিণ্ড। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলারের এই পিণ্ড অ্যাম্বারগ্রিসের তৈরি।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালে এডেন উপসাগরে একদল জেলে আরব আমিরাতের এক ব্যক্তির কাছে ১৫ লাখ ডলারে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড বিক্রি করেন। এতে যে লাভ হয় তাতে ৩৫ জেলের সবাই বাড়ি, গাড়ি এবং নৌকা কেনেন।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া দামের রহস্য কী?
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টা করা হয় ওই তিমির বমি। অবশ্য কক্সবাজারের রামুর বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যায় বস্তার মধ্যে থাকা জব্দ হওয়া চালানটি অ্যাম্বারগ্রিসের বা তিমির বমি।
তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের অতি উচ্চমূল্যের কারণে এটি ফ্লোটিং গোল্ড বা ভাসমান সোনা নামেও পরিচিত।
স্পার্ম হোয়েল বা ক্যাশালট থেকে এটি উৎপাদিত হয়। মানুষ বহু আগে থেকেই এটি ব্যবহার করে এলেও এর উৎস ছিল অজ্ঞাত। এমনকি ১৭ লাখ ৫০ হাজার বছরের পুরোনো ফসিলের নমুনাও মিলেছে অ্যাম্বারগ্রিসের। মানুষ এটি কাজে লাগাতে শুরু করে তা-ও অন্তত হাজার বছর আগে থেকে।
কিন্তু এই বস্তু আসছে কোথা থেকে, তা নিয়ে ডালপালা মেলছিল নানা তত্ত্ব। কেউ ভাবছিলেন এটি সমুদ্রের ফেনার কঠিন রূপ, কেউ আবার বলছিলেন জিনিসটি আর কিছু নয়, বিশাল কোনো পাখির মল।
যুক্তরাজ্যের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম সূত্রে জানা যায়, রহস্যময় পদার্থটির উৎস সম্পর্কে মানুষের ধারণা প্রথম পরিষ্কার হয় ১৮ শতকের গোড়ার দিকে, বিপুল পরিমাণ তিমি শিকার শুরু হওয়ার পর। তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসগুলো কখনো কখনো ভাসমান অবস্থায় সাগরে ভেসে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম আরও জানায়, তিমির খাবারের একটি বড় অংশ আসে স্কুইড জাতীয় প্রাণী থেকে। তিমিরা অপাচ্য বা হজম না হওয়া বেশির ভাগ অংশ বমি করে দিলেও কিছু অংশ অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং একসঙ্গে লেগে থাকে। ধীরে ধীরে এটি একটি কঠিন অ্যাম্বারগ্রিসের পিণ্ডে পরিণত হয়। বছরের বছর ধরে জমতে জমতে যা আকারে বড় হয়।
কিন্তু কথা হলো এই অ্যাম্বারগ্রিসের দাম এত বেশি কেন? তিমির বমির দুষ্প্রাপ্যতা এবং সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহারই একে এতটা মূল্যবান করে তুলেছে। এর ঘ্রাণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। কখনো কস্তুরির সঙ্গেও মিল পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, যদি পারফিউম তৈরির কারখানায় সুগন্ধ বেছে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি গন্ধ পছন্দ করেন, তাহলে অ্যাম্বারগ্রিসের আউন্স-প্রতি মূল্য কয়েক হাজার ডলার হতে পারে।
কখনো অ্যামব্রেইন নামক গন্ধহীন একধরনের অ্যালকোহলের কারণে এটি আরও মূল্যবান হয়ে উঠেছে। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে এই অ্যালকোহল বের করা হয়। পারফিউমের সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার করা হয় অ্যামব্রেইন। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে কী পরিমাণ অ্যামব্রেইন পাওয়া যাচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাম্বারগ্রিসের রং দেখে এটি অনুমান করা যায়। কালোর মধ্যে সবচেয়ে কম অ্যামব্রিন এবং সাদার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত সাদা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে সেরা মানের পারফিউম বা সুগন্ধি তৈরি করা হয়।
পারফিউম বা সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান শেইমেনের মালিক নভেম্বার নিকোলাস বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান পদার্থ, যা তার অনন্য গন্ধ এবং সংরক্ষণকারী গুণাবলির জন্য পরিচিত। এটি যুক্ত করা হলে সুগন্ধ আরও গাঢ় ও স্থায়ী হয়।’
‘অ্যাম্বারগ্রিস তীক্ষ্ণ বস্তু (যেমন—স্কুইডের ঠোঁট) থেকে তিমির অন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য উৎপাদিত হয়। একপর্যায়ে তিমি এটি উগরে দেয়। তখন সমুদ্রে ভাসতে বা উপকূলের কাছে দেখা যায়।’ বলেন নিকোলস।
তবে কীভাবে পদার্থটি সমুদ্রে অবাধে ভাসতে থাকে, তা নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, তিমি এটি মলের সঙ্গে ছেড়ে দিতে পারে। কেউ আবার মনে করেন, এটা এত বিশাল হয়ে যায় যে এর কারণে মলদ্বার ফেটে গিয়ে প্রাণীটির মৃত্যুও হতে পারে।
স্পার্ম হোয়েল বা তিমিরা সারা বিশ্বে বাস করে, যার অর্থ অ্যাম্বারগ্রিস যেকোনো সাগর-মহাসাগর বা বেশির ভাগ উপকূলে ভেসে থাকতে দেখার কথা। কিন্তু তা হয় না। তেমনি খুব কম তিমির মৃতদেহেই অ্যাম্বারগ্রিস মেলে।
আঠারো শতকে বিপুল পরিমাণে তিমি শিকার শুরুর আগে বিশ্বে ১১ লাখ স্পার্ম তিমি ছিল। এখন কেবল ৩ লাখ অবশিষ্ট আছে। আর তাই পাছে তিমি শিকারে উৎসাহিত করে, তাই অনেক দেশে সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস নিষিদ্ধ। তেমনি অবৈধ এটি কেনাবেচায়ও। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ।
এদিকে কক্সবাজারে অ্যাম্বারগ্রিস উদ্ধারের পর বিজিবি জানায়, তিমির বমি হিসেবে পরিচিত অ্যাম্বারগ্রিসের বিক্রি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ হয়ে অ্যাম্বারগ্রিসের চোরাচালান বিরল ঘটনা।
কিন্তু মন মাতানো সৌরভ ছড়ানো ফরাসি সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস এখনো খুব সাধারণ একটি উপাদান। ফ্রান্স ছাড়াও ইংল্যান্ডসহ আরও কিছু দেশে এর বিপণন বৈধ।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর কিউরেটর রিচার্ড সাবিন বলেন, ‘তিমি এখন বিশ্বজুড়েই সংরক্ষিত। তবে ভবিষ্যতে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। অ্যাম্বারগ্রিসের সিনথেটিক বিকল্প পাওয়া যায় এবং এটি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া উচিত। তাহলে মানুষের মধ্যে তিমি থেকে সম্পদ আহরণের চিন্তাটা দূর হবে।’
এটি অনুমান করা হয় যে শুধু ১ শতাংশ তিমি অ্যাম্বারগ্রিস এভাবে বের করে দিতে সক্ষম। দুষ্প্রাপ্যতার কারণে এটি এত দামি হয়েছে। আবার মানভেদে কেজিপ্রতি অ্যাম্বারগ্রিসের দাম হতে পারে কয়েক লাখ টাকা থেকে দেড়-দুই কোটি টাকা।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে এক অধ্যাপক একটি মৃত তিমির অন্ত্রে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড খুঁজে পান, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার। স্পেনের দ্বীপ লা পালমার সৈকতে সাগরের প্রবল ঢেউয়ে একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। অন্তোনিও ফার্নান্দেজ নামের ওই অধ্যাপক তিমিটির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ইউনিভার্সিড দে লাস পালমাস ডি গ্রান ক্যানারিয়ার ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটির প্রধান ফার্নান্দেজ তিমিটির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নামেন। তখনই আবিষ্কার করেন, প্রাণীটির অন্ত্রে আটকে ছিল ২১ পাউন্ড ওজনের একটি পিণ্ড। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলারের এই পিণ্ড অ্যাম্বারগ্রিসের তৈরি।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালে এডেন উপসাগরে একদল জেলে আরব আমিরাতের এক ব্যক্তির কাছে ১৫ লাখ ডলারে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড বিক্রি করেন। এতে যে লাভ হয় তাতে ৩৫ জেলের সবাই বাড়ি, গাড়ি এবং নৌকা কেনেন।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম
ইশতিয়াক হাসান

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া দামের রহস্য কী?
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টা করা হয় ওই তিমির বমি। অবশ্য কক্সবাজারের রামুর বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যায় বস্তার মধ্যে থাকা জব্দ হওয়া চালানটি অ্যাম্বারগ্রিসের বা তিমির বমি।
তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের অতি উচ্চমূল্যের কারণে এটি ফ্লোটিং গোল্ড বা ভাসমান সোনা নামেও পরিচিত।
স্পার্ম হোয়েল বা ক্যাশালট থেকে এটি উৎপাদিত হয়। মানুষ বহু আগে থেকেই এটি ব্যবহার করে এলেও এর উৎস ছিল অজ্ঞাত। এমনকি ১৭ লাখ ৫০ হাজার বছরের পুরোনো ফসিলের নমুনাও মিলেছে অ্যাম্বারগ্রিসের। মানুষ এটি কাজে লাগাতে শুরু করে তা-ও অন্তত হাজার বছর আগে থেকে।
কিন্তু এই বস্তু আসছে কোথা থেকে, তা নিয়ে ডালপালা মেলছিল নানা তত্ত্ব। কেউ ভাবছিলেন এটি সমুদ্রের ফেনার কঠিন রূপ, কেউ আবার বলছিলেন জিনিসটি আর কিছু নয়, বিশাল কোনো পাখির মল।
যুক্তরাজ্যের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম সূত্রে জানা যায়, রহস্যময় পদার্থটির উৎস সম্পর্কে মানুষের ধারণা প্রথম পরিষ্কার হয় ১৮ শতকের গোড়ার দিকে, বিপুল পরিমাণ তিমি শিকার শুরু হওয়ার পর। তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসগুলো কখনো কখনো ভাসমান অবস্থায় সাগরে ভেসে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম আরও জানায়, তিমির খাবারের একটি বড় অংশ আসে স্কুইড জাতীয় প্রাণী থেকে। তিমিরা অপাচ্য বা হজম না হওয়া বেশির ভাগ অংশ বমি করে দিলেও কিছু অংশ অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং একসঙ্গে লেগে থাকে। ধীরে ধীরে এটি একটি কঠিন অ্যাম্বারগ্রিসের পিণ্ডে পরিণত হয়। বছরের বছর ধরে জমতে জমতে যা আকারে বড় হয়।
কিন্তু কথা হলো এই অ্যাম্বারগ্রিসের দাম এত বেশি কেন? তিমির বমির দুষ্প্রাপ্যতা এবং সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহারই একে এতটা মূল্যবান করে তুলেছে। এর ঘ্রাণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। কখনো কস্তুরির সঙ্গেও মিল পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, যদি পারফিউম তৈরির কারখানায় সুগন্ধ বেছে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি গন্ধ পছন্দ করেন, তাহলে অ্যাম্বারগ্রিসের আউন্স-প্রতি মূল্য কয়েক হাজার ডলার হতে পারে।
কখনো অ্যামব্রেইন নামক গন্ধহীন একধরনের অ্যালকোহলের কারণে এটি আরও মূল্যবান হয়ে উঠেছে। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে এই অ্যালকোহল বের করা হয়। পারফিউমের সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার করা হয় অ্যামব্রেইন। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে কী পরিমাণ অ্যামব্রেইন পাওয়া যাচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাম্বারগ্রিসের রং দেখে এটি অনুমান করা যায়। কালোর মধ্যে সবচেয়ে কম অ্যামব্রিন এবং সাদার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত সাদা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে সেরা মানের পারফিউম বা সুগন্ধি তৈরি করা হয়।
পারফিউম বা সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান শেইমেনের মালিক নভেম্বার নিকোলাস বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান পদার্থ, যা তার অনন্য গন্ধ এবং সংরক্ষণকারী গুণাবলির জন্য পরিচিত। এটি যুক্ত করা হলে সুগন্ধ আরও গাঢ় ও স্থায়ী হয়।’
‘অ্যাম্বারগ্রিস তীক্ষ্ণ বস্তু (যেমন—স্কুইডের ঠোঁট) থেকে তিমির অন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য উৎপাদিত হয়। একপর্যায়ে তিমি এটি উগরে দেয়। তখন সমুদ্রে ভাসতে বা উপকূলের কাছে দেখা যায়।’ বলেন নিকোলস।
তবে কীভাবে পদার্থটি সমুদ্রে অবাধে ভাসতে থাকে, তা নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, তিমি এটি মলের সঙ্গে ছেড়ে দিতে পারে। কেউ আবার মনে করেন, এটা এত বিশাল হয়ে যায় যে এর কারণে মলদ্বার ফেটে গিয়ে প্রাণীটির মৃত্যুও হতে পারে।
স্পার্ম হোয়েল বা তিমিরা সারা বিশ্বে বাস করে, যার অর্থ অ্যাম্বারগ্রিস যেকোনো সাগর-মহাসাগর বা বেশির ভাগ উপকূলে ভেসে থাকতে দেখার কথা। কিন্তু তা হয় না। তেমনি খুব কম তিমির মৃতদেহেই অ্যাম্বারগ্রিস মেলে।
আঠারো শতকে বিপুল পরিমাণে তিমি শিকার শুরুর আগে বিশ্বে ১১ লাখ স্পার্ম তিমি ছিল। এখন কেবল ৩ লাখ অবশিষ্ট আছে। আর তাই পাছে তিমি শিকারে উৎসাহিত করে, তাই অনেক দেশে সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস নিষিদ্ধ। তেমনি অবৈধ এটি কেনাবেচায়ও। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ।
এদিকে কক্সবাজারে অ্যাম্বারগ্রিস উদ্ধারের পর বিজিবি জানায়, তিমির বমি হিসেবে পরিচিত অ্যাম্বারগ্রিসের বিক্রি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ হয়ে অ্যাম্বারগ্রিসের চোরাচালান বিরল ঘটনা।
কিন্তু মন মাতানো সৌরভ ছড়ানো ফরাসি সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস এখনো খুব সাধারণ একটি উপাদান। ফ্রান্স ছাড়াও ইংল্যান্ডসহ আরও কিছু দেশে এর বিপণন বৈধ।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর কিউরেটর রিচার্ড সাবিন বলেন, ‘তিমি এখন বিশ্বজুড়েই সংরক্ষিত। তবে ভবিষ্যতে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। অ্যাম্বারগ্রিসের সিনথেটিক বিকল্প পাওয়া যায় এবং এটি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া উচিত। তাহলে মানুষের মধ্যে তিমি থেকে সম্পদ আহরণের চিন্তাটা দূর হবে।’
এটি অনুমান করা হয় যে শুধু ১ শতাংশ তিমি অ্যাম্বারগ্রিস এভাবে বের করে দিতে সক্ষম। দুষ্প্রাপ্যতার কারণে এটি এত দামি হয়েছে। আবার মানভেদে কেজিপ্রতি অ্যাম্বারগ্রিসের দাম হতে পারে কয়েক লাখ টাকা থেকে দেড়-দুই কোটি টাকা।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে এক অধ্যাপক একটি মৃত তিমির অন্ত্রে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড খুঁজে পান, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার। স্পেনের দ্বীপ লা পালমার সৈকতে সাগরের প্রবল ঢেউয়ে একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। অন্তোনিও ফার্নান্দেজ নামের ওই অধ্যাপক তিমিটির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ইউনিভার্সিড দে লাস পালমাস ডি গ্রান ক্যানারিয়ার ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটির প্রধান ফার্নান্দেজ তিমিটির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নামেন। তখনই আবিষ্কার করেন, প্রাণীটির অন্ত্রে আটকে ছিল ২১ পাউন্ড ওজনের একটি পিণ্ড। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলারের এই পিণ্ড অ্যাম্বারগ্রিসের তৈরি।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালে এডেন উপসাগরে একদল জেলে আরব আমিরাতের এক ব্যক্তির কাছে ১৫ লাখ ডলারে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড বিক্রি করেন। এতে যে লাভ হয় তাতে ৩৫ জেলের সবাই বাড়ি, গাড়ি এবং নৌকা কেনেন।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া দামের রহস্য কী?
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টা করা হয় ওই তিমির বমি। অবশ্য কক্সবাজারের রামুর বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যায় বস্তার মধ্যে থাকা জব্দ হওয়া চালানটি অ্যাম্বারগ্রিসের বা তিমির বমি।
তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের অতি উচ্চমূল্যের কারণে এটি ফ্লোটিং গোল্ড বা ভাসমান সোনা নামেও পরিচিত।
স্পার্ম হোয়েল বা ক্যাশালট থেকে এটি উৎপাদিত হয়। মানুষ বহু আগে থেকেই এটি ব্যবহার করে এলেও এর উৎস ছিল অজ্ঞাত। এমনকি ১৭ লাখ ৫০ হাজার বছরের পুরোনো ফসিলের নমুনাও মিলেছে অ্যাম্বারগ্রিসের। মানুষ এটি কাজে লাগাতে শুরু করে তা-ও অন্তত হাজার বছর আগে থেকে।
কিন্তু এই বস্তু আসছে কোথা থেকে, তা নিয়ে ডালপালা মেলছিল নানা তত্ত্ব। কেউ ভাবছিলেন এটি সমুদ্রের ফেনার কঠিন রূপ, কেউ আবার বলছিলেন জিনিসটি আর কিছু নয়, বিশাল কোনো পাখির মল।
যুক্তরাজ্যের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম সূত্রে জানা যায়, রহস্যময় পদার্থটির উৎস সম্পর্কে মানুষের ধারণা প্রথম পরিষ্কার হয় ১৮ শতকের গোড়ার দিকে, বিপুল পরিমাণ তিমি শিকার শুরু হওয়ার পর। তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসগুলো কখনো কখনো ভাসমান অবস্থায় সাগরে ভেসে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম আরও জানায়, তিমির খাবারের একটি বড় অংশ আসে স্কুইড জাতীয় প্রাণী থেকে। তিমিরা অপাচ্য বা হজম না হওয়া বেশির ভাগ অংশ বমি করে দিলেও কিছু অংশ অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং একসঙ্গে লেগে থাকে। ধীরে ধীরে এটি একটি কঠিন অ্যাম্বারগ্রিসের পিণ্ডে পরিণত হয়। বছরের বছর ধরে জমতে জমতে যা আকারে বড় হয়।
কিন্তু কথা হলো এই অ্যাম্বারগ্রিসের দাম এত বেশি কেন? তিমির বমির দুষ্প্রাপ্যতা এবং সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহারই একে এতটা মূল্যবান করে তুলেছে। এর ঘ্রাণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। কখনো কস্তুরির সঙ্গেও মিল পাওয়া যায়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, যদি পারফিউম তৈরির কারখানায় সুগন্ধ বেছে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি গন্ধ পছন্দ করেন, তাহলে অ্যাম্বারগ্রিসের আউন্স-প্রতি মূল্য কয়েক হাজার ডলার হতে পারে।
কখনো অ্যামব্রেইন নামক গন্ধহীন একধরনের অ্যালকোহলের কারণে এটি আরও মূল্যবান হয়ে উঠেছে। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে এই অ্যালকোহল বের করা হয়। পারফিউমের সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার করা হয় অ্যামব্রেইন। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে কী পরিমাণ অ্যামব্রেইন পাওয়া যাচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাম্বারগ্রিসের রং দেখে এটি অনুমান করা যায়। কালোর মধ্যে সবচেয়ে কম অ্যামব্রিন এবং সাদার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত সাদা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে সেরা মানের পারফিউম বা সুগন্ধি তৈরি করা হয়।
পারফিউম বা সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান শেইমেনের মালিক নভেম্বার নিকোলাস বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান পদার্থ, যা তার অনন্য গন্ধ এবং সংরক্ষণকারী গুণাবলির জন্য পরিচিত। এটি যুক্ত করা হলে সুগন্ধ আরও গাঢ় ও স্থায়ী হয়।’
‘অ্যাম্বারগ্রিস তীক্ষ্ণ বস্তু (যেমন—স্কুইডের ঠোঁট) থেকে তিমির অন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য উৎপাদিত হয়। একপর্যায়ে তিমি এটি উগরে দেয়। তখন সমুদ্রে ভাসতে বা উপকূলের কাছে দেখা যায়।’ বলেন নিকোলস।
তবে কীভাবে পদার্থটি সমুদ্রে অবাধে ভাসতে থাকে, তা নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, তিমি এটি মলের সঙ্গে ছেড়ে দিতে পারে। কেউ আবার মনে করেন, এটা এত বিশাল হয়ে যায় যে এর কারণে মলদ্বার ফেটে গিয়ে প্রাণীটির মৃত্যুও হতে পারে।
স্পার্ম হোয়েল বা তিমিরা সারা বিশ্বে বাস করে, যার অর্থ অ্যাম্বারগ্রিস যেকোনো সাগর-মহাসাগর বা বেশির ভাগ উপকূলে ভেসে থাকতে দেখার কথা। কিন্তু তা হয় না। তেমনি খুব কম তিমির মৃতদেহেই অ্যাম্বারগ্রিস মেলে।
আঠারো শতকে বিপুল পরিমাণে তিমি শিকার শুরুর আগে বিশ্বে ১১ লাখ স্পার্ম তিমি ছিল। এখন কেবল ৩ লাখ অবশিষ্ট আছে। আর তাই পাছে তিমি শিকারে উৎসাহিত করে, তাই অনেক দেশে সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস নিষিদ্ধ। তেমনি অবৈধ এটি কেনাবেচায়ও। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ।
এদিকে কক্সবাজারে অ্যাম্বারগ্রিস উদ্ধারের পর বিজিবি জানায়, তিমির বমি হিসেবে পরিচিত অ্যাম্বারগ্রিসের বিক্রি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ হয়ে অ্যাম্বারগ্রিসের চোরাচালান বিরল ঘটনা।
কিন্তু মন মাতানো সৌরভ ছড়ানো ফরাসি সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস এখনো খুব সাধারণ একটি উপাদান। ফ্রান্স ছাড়াও ইংল্যান্ডসহ আরও কিছু দেশে এর বিপণন বৈধ।
ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর কিউরেটর রিচার্ড সাবিন বলেন, ‘তিমি এখন বিশ্বজুড়েই সংরক্ষিত। তবে ভবিষ্যতে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। অ্যাম্বারগ্রিসের সিনথেটিক বিকল্প পাওয়া যায় এবং এটি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া উচিত। তাহলে মানুষের মধ্যে তিমি থেকে সম্পদ আহরণের চিন্তাটা দূর হবে।’
এটি অনুমান করা হয় যে শুধু ১ শতাংশ তিমি অ্যাম্বারগ্রিস এভাবে বের করে দিতে সক্ষম। দুষ্প্রাপ্যতার কারণে এটি এত দামি হয়েছে। আবার মানভেদে কেজিপ্রতি অ্যাম্বারগ্রিসের দাম হতে পারে কয়েক লাখ টাকা থেকে দেড়-দুই কোটি টাকা।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে এক অধ্যাপক একটি মৃত তিমির অন্ত্রে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড খুঁজে পান, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার। স্পেনের দ্বীপ লা পালমার সৈকতে সাগরের প্রবল ঢেউয়ে একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। অন্তোনিও ফার্নান্দেজ নামের ওই অধ্যাপক তিমিটির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ইউনিভার্সিড দে লাস পালমাস ডি গ্রান ক্যানারিয়ার ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটির প্রধান ফার্নান্দেজ তিমিটির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নামেন। তখনই আবিষ্কার করেন, প্রাণীটির অন্ত্রে আটকে ছিল ২১ পাউন্ড ওজনের একটি পিণ্ড। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলারের এই পিণ্ড অ্যাম্বারগ্রিসের তৈরি।
বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালে এডেন উপসাগরে একদল জেলে আরব আমিরাতের এক ব্যক্তির কাছে ১৫ লাখ ডলারে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড বিক্রি করেন। এতে যে লাভ হয় তাতে ৩৫ জেলের সবাই বাড়ি, গাড়ি এবং নৌকা কেনেন।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া
০৯ অক্টোবর ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া
০৯ অক্টোবর ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া
০৯ অক্টোবর ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া
০৯ অক্টোবর ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
২ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
২ দিন আগে