Ajker Patrika

প্রতি কেজি কোটি টাকার বেশি, তিমির বমি এত মূল্যবান কেন?

ইশতিয়াক হাসান
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১১: ১৬
প্রতি কেজি কোটি টাকার বেশি, তিমির বমি এত মূল্যবান কেন?

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে সম্প্রতি ৮ কেজি ৩৯৮ গ্রাম তিমির বমিসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে জব্দ করা তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২১ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বিজিবি। আর এ তথ্যটাই কৌতূহল জাগায় মনে। তিমির বমি জিনিসটা কী? এর এত চড়া দামের রহস্য কী? 

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বাজারপাড়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের চেষ্টা করা হয় ওই তিমির বমি। অবশ্য কক্সবাজারের রামুর বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার পরই নিশ্চিত হওয়া যায় বস্তার মধ্যে থাকা জব্দ হওয়া চালানটি অ্যাম্বারগ্রিসের বা তিমির বমি। 

তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসের অতি উচ্চমূল্যের কারণে এটি ফ্লোটিং গোল্ড বা ভাসমান সোনা নামেও পরিচিত।

স্পার্ম হোয়েল বা ক্যাশালট থেকে এটি উৎপাদিত হয়। মানুষ বহু আগে থেকেই এটি ব্যবহার করে এলেও এর উৎস ছিল অজ্ঞাত। এমনকি ১৭ লাখ ৫০ হাজার বছরের পুরোনো ফসিলের নমুনাও মিলেছে অ্যাম্বারগ্রিসের। মানুষ এটি কাজে লাগাতে শুরু করে তা-ও অন্তত হাজার বছর আগে থেকে।

কানাডার এক ব্যক্তি সৈকতে এই অ্যাম্বারগ্রিসটি খুঁজে পায়। ছবি: এএফপিকিন্তু এই বস্তু আসছে কোথা থেকে, তা নিয়ে ডালপালা মেলছিল নানা তত্ত্ব। কেউ ভাবছিলেন এটি সমুদ্রের ফেনার কঠিন রূপ, কেউ আবার বলছিলেন জিনিসটি আর কিছু নয়, বিশাল কোনো পাখির মল।

যুক্তরাজ্যের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম সূত্রে জানা যায়, রহস্যময় পদার্থটির উৎস সম্পর্কে মানুষের ধারণা প্রথম পরিষ্কার হয় ১৮ শতকের গোড়ার দিকে, বিপুল পরিমাণ তিমি শিকার শুরু হওয়ার পর। তিমির বমি বা অ্যাম্বারগ্রিসগুলো কখনো কখনো ভাসমান অবস্থায় সাগরে ভেসে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। 

ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম আরও জানায়, তিমির খাবারের একটি বড় অংশ আসে স্কুইড জাতীয় প্রাণী থেকে। তিমিরা অপাচ্য বা হজম না হওয়া বেশির ভাগ অংশ বমি করে দিলেও কিছু অংশ অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং একসঙ্গে লেগে থাকে। ধীরে ধীরে এটি একটি কঠিন অ্যাম্বারগ্রিসের পিণ্ডে পরিণত হয়। বছরের বছর ধরে জমতে জমতে যা আকারে বড় হয়।  

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে জব্দ করা অ্যাম্বারগ্রিস। ছবি: সংগৃহীতকিন্তু কথা হলো এই অ্যাম্বারগ্রিসের দাম এত বেশি কেন? তিমির বমির দুষ্প্রাপ্যতা এবং সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহারই একে এতটা মূল্যবান করে তুলেছে। এর ঘ্রাণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। কখনো কস্তুরির সঙ্গেও মিল পাওয়া যায়। 

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, যদি পারফিউম তৈরির কারখানায় সুগন্ধ বেছে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি গন্ধ পছন্দ করেন, তাহলে অ্যাম্বারগ্রিসের আউন্স-প্রতি মূল্য কয়েক হাজার ডলার হতে পারে।

কখনো অ্যামব্রেইন নামক গন্ধহীন একধরনের অ্যালকোহলের কারণে এটি আরও মূল্যবান হয়ে উঠেছে। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে এই অ্যালকোহল বের করা হয়। পারফিউমের সুগন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে ব্যবহার করা হয় অ্যামব্রেইন। অ্যাম্বারগ্রিস থেকে কী পরিমাণ অ্যামব্রেইন পাওয়া যাচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাম্বারগ্রিসের রং দেখে এটি অনুমান করা যায়। কালোর মধ্যে সবচেয়ে কম অ্যামব্রিন এবং সাদার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত সাদা অ্যাম্বারগ্রিস থেকে সেরা মানের পারফিউম বা সুগন্ধি তৈরি করা হয়।

পারফিউম বা সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান শেইমেনের মালিক নভেম্বার নিকোলাস বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান পদার্থ, যা তার অনন্য গন্ধ এবং সংরক্ষণকারী গুণাবলির জন্য পরিচিত। এটি যুক্ত করা হলে সুগন্ধ আরও গাঢ় ও স্থায়ী হয়।’

শুকনো অ্যাম্বারগ্রিস। ছবি: উইকিপিডিয়া‘অ্যাম্বারগ্রিস তীক্ষ্ণ বস্তু (যেমন—স্কুইডের ঠোঁট) থেকে তিমির অন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য উৎপাদিত হয়। একপর্যায়ে তিমি এটি উগরে দেয়। তখন সমুদ্রে ভাসতে বা উপকূলের কাছে দেখা যায়।’ বলেন নিকোলস।

তবে কীভাবে পদার্থটি সমুদ্রে অবাধে ভাসতে থাকে, তা নিয়ে এখনো বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, তিমি এটি মলের সঙ্গে ছেড়ে দিতে পারে। কেউ আবার মনে করেন, এটা এত বিশাল হয়ে যায় যে এর কারণে মলদ্বার ফেটে গিয়ে প্রাণীটির মৃত্যুও হতে পারে।

স্পার্ম হোয়েল বা তিমিরা সারা বিশ্বে বাস করে, যার অর্থ অ্যাম্বারগ্রিস যেকোনো সাগর-মহাসাগর বা বেশির ভাগ উপকূলে ভেসে থাকতে দেখার কথা। কিন্তু তা হয় না। তেমনি খুব কম তিমির মৃতদেহেই অ্যাম্বারগ্রিস মেলে।

আঠারো শতকে বিপুল পরিমাণে তিমি শিকার শুরুর আগে বিশ্বে ১১ লাখ স্পার্ম তিমি ছিল। এখন কেবল ৩ লাখ অবশিষ্ট আছে। আর তাই পাছে তিমি শিকারে উৎসাহিত করে, তাই অনেক দেশে সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস নিষিদ্ধ। তেমনি অবৈধ এটি কেনাবেচায়ও। যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ। 

এদিকে কক্সবাজারে অ্যাম্বারগ্রিস উদ্ধারের পর বিজিবি জানায়, তিমির বমি হিসেবে পরিচিত অ্যাম্বারগ্রিসের বিক্রি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ হয়ে অ্যাম্বারগ্রিসের চোরাচালান বিরল ঘটনা। 

কিন্তু মন মাতানো সৌরভ ছড়ানো ফরাসি সুগন্ধি তৈরিতে অ্যাম্বারগ্রিস এখনো খুব সাধারণ একটি উপাদান। ফ্রান্স ছাড়াও ইংল্যান্ডসহ আরও কিছু দেশে এর বিপণন বৈধ।

ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীর কিউরেটর রিচার্ড সাবিন বলেন, ‘তিমি এখন বিশ্বজুড়েই সংরক্ষিত। তবে ভবিষ্যতে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। অ্যাম্বারগ্রিসের সিনথেটিক বিকল্প পাওয়া যায় এবং এটি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া উচিত। তাহলে মানুষের মধ্যে তিমি থেকে সম্পদ আহরণের চিন্তাটা দূর হবে।’

স্পার্ম হোয়েল থেকে পাওয়া যায় অ্যাম্বারগ্রিস। ছবি: এএফপিএটি অনুমান করা হয় যে শুধু ১ শতাংশ তিমি অ্যাম্বারগ্রিস এভাবে বের করে দিতে সক্ষম। দুষ্প্রাপ্যতার কারণে এটি এত দামি হয়েছে। আবার মানভেদে কেজিপ্রতি অ্যাম্বারগ্রিসের দাম হতে পারে কয়েক লাখ টাকা থেকে দেড়-দুই কোটি টাকা।

২০২৩ সালের জুলাইয়ে এক অধ্যাপক একটি মৃত তিমির অন্ত্রে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড খুঁজে পান, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার। স্পেনের দ্বীপ লা পালমার সৈকতে সাগরের প্রবল ঢেউয়ে একটি মৃত তিমি ভেসে আসে। অন্তোনিও ফার্নান্দেজ নামের ওই অধ্যাপক তিমিটির মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। ইউনিভার্সিড দে লাস পালমাস ডি গ্রান ক্যানারিয়ার ইনস্টিটিউট অব অ্যানিমেল হেলথ অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটির প্রধান ফার্নান্দেজ তিমিটির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে নামেন। তখনই আবিষ্কার করেন, প্রাণীটির অন্ত্রে আটকে ছিল ২১ পাউন্ড ওজনের একটি পিণ্ড। প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ডলারের এই পিণ্ড অ্যাম্বারগ্রিসের তৈরি। 

বিবিসি জানিয়েছে, ২০২১ সালে এডেন উপসাগরে একদল জেলে আরব আমিরাতের এক ব্যক্তির কাছে ১৫ লাখ ডলারে অ্যাম্বারগ্রিসের একটি পিণ্ড বিক্রি করেন। এতে যে লাভ হয় তাতে ৩৫ জেলের সবাই বাড়ি, গাড়ি এবং নৌকা কেনেন।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণ বেড়েছে ঢাকায়, বিপর্যস্ত কায়রো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।

ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার তাপমাত্রা কমবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ু দূষণে তৃতীয় স্থানে ঢাকা, শীর্ষে দিল্লি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।

শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।

আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।

ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্‌রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্‌যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।

শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় সকালে তাপমাত্রা আবারও ১৬ ডিগ্রির ঘরে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কে এই আতাউর রহমান বিক্রমপুরী

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

ঋণখেলাপির তালিকায় নাম: রিট খারিজ, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মান্না

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত