Ajker Patrika

‘সোনালি’ বাঘ কেন দুশ্চিন্তায় ফেলল বন্য প্রাণী গবেষকদের

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬: ৩০
‘সোনালি’ বাঘ কেন দুশ্চিন্তায় ফেলল বন্য প্রাণী গবেষকদের

বন্য প্রাণীবিষয়ক আলোকচিত্রী ও সাফারি গাইড গৌরব রামনারায়ণ ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে একটি ‘সোনালি’ বাঘের ছবি তোলেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে। তবে এই সোনালি বাঘ বন্য প্রাণী গবেষক ও সংরক্ষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন? 

গৌরব রামনারায়ণ গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় যখন একটি সাফারিতে বের হন, তখন বাঘের খোঁজ করছিলেন না তিনি। ২৫ বছরের এই তরুণ কিছু পর্যটককে নিয়ে জঙ্গলে ঘুরছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল অন্য প্রাণী দেখা।

এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য আসামের ৪৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। আসামের জঙ্গলগুলোর মধ্যে এই অরণ্যেই সবচেয়ে বেশি বাঘ আছে। তবে দেখা মেলে কম। বরং অন্য বন্য প্রাণীর জন্য বেশি পরিচিতি জাতীয় উদ্যানটির। এর মধ্যে আছে এক শৃঙ্গ গন্ডার ও বিভিন্ন প্রজাতির বর্ণিল পাখি। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি এক শৃঙ্গ গন্ডারের বাস এই বনেই। তো সেদিন এগুলোরই খোঁজ করছিলেন তাঁরা। 

সাফারি জিপে বসে দলটির সদস্যরা হঠাৎ একটি হরিণের সতর্ক গলায় ডাক শুনলেন। শিকারি কোনো প্রাণীর উপস্থিতি টের পেলেই কেবল এরা এমন সতর্ক সংকেত দেয় বলে জানান রামনারায়ণ। তিনি গাড়ি চালানো শুরু করেন। গাড়িটি একটি বাঁক নিয়ে এক জায়গায় দাঁড় করালেন। তখনই প্রায় ৭০০ মিটার দূরে, রাস্তায় একটি বাঘ দেখতে পেলেন। 

 ‘প্রথম যখন ওটাকে দেখলাম, একেবারে সাদা দেখাচ্ছিল। সাধারণ একটি বাঘ মনে হচ্ছিল না একে মোটেই।’ বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ট্যুর গাইডের কাজ করা এবং বন্য প্রাণীর ছবি তোলা রামনারায়ণ, ‘এটা যে অন্য সব বাঘের মতো নয়, তা বোঝার মতো যথেষ্ট বাঘ আমি জীবনে দেখেছি।’ 

ক্যামেরা লেন্সের ভেতর দিয়ে যখন বাঘটির দিকে তাকালেন, সন্দেহ সত্যি বলে প্রমাণিত হলো। স্ট্রবেরি-সোনালি ডোরাসহ প্রাণীটি নিঃসন্দেহে একটি বিরল সোনালি বাঘ। 

রামনারায়ণন বলেন, ‘বাঘটি আমাদের দিকে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আক্রমণের বা আমাদের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছায় নয়, বরং সম্পূর্ণরূপে তার পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া এবং নিজের এলাকা চিহ্নিত করাটাই ছিল উদ্দেশ্য।’ 

বাঘটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় জিপের ১০০ মিটারের মধ্যে চলে এল। এ সময় ওটার দুর্দান্ত কয়েকটি ছবি তুলতে সক্ষম হন রামনারায়ণ। তিনি অনলাইনে একটি ছবি পোস্ট করলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অসাধারণ ছবি এবং বাঘের অস্বাভাবিক রঙের জন্য প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন। 

কিন্তু সোনালি বাঘ, যেটি সোনালি পশমি বাঘ বা স্ট্রবেরি বাঘ নামেও পরিচিত, মোটেই বাঘের কোনো উপপ্রজাতি নয়। একটি জিনগত মিউটেশনের ফলাফল হিসেবে এদের লোমের রং পরিবর্তিত হয়। দেখতে সুন্দর হলেও এদের উপস্থিতির একটি অন্ধকার দিকও আছে। 

এসব তথ্য জানা যায়, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।

ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের ইকোলজির অধ্যাপক উমা রামকৃষ্ণান বলেন, সাদা এবং তুষারসাদা বাঘের মতো সোনালি বাঘগুলো হলো এমন একটি অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের ফল, যা রং সৃষ্টিকারী জিনের মিউটেশন হিসেবে উপস্থিত হয়।

সাদা বাঘে মিউটেশন রং সৃষ্টিতে বাধা দেয়। এদিকে সোনালি বাঘে জিনের এমন একটি মিউটেশন, যা লোম বা চুলের বৃদ্ধির সময় লাল-হলুদ রঞ্জক উৎপাদন সময়কে প্রসারিত করে। সাদা বাঘগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে অপ্রত্যাশিত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়, তাদের একটি সাদা কোটের মতো থাকে, যেখানে খুব সামান্য দৃশ্যমান স্বর্ণকেশী ডোরা থাকে। তাই তাদের কেউ কেউ ডোরাবিহীন বাঘও বলেন। 

বুনো পরিবেশে প্রতি ১০ হাজার বাঘের বাচ্চার মধ্যে একটির এমন সাদা লোম নিয়ে জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা, এদিকে সোনালি লোমের বাঘের শাবক জন্মানোর সম্ভাবনা আরও বেশি বিরল। এ কারণেই সংরক্ষণবাদীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এই বাঘের উপস্থিতি বিচ্ছিন্ন বাঘের জনসংখ্যায় প্রজননের লক্ষণ হতে পারে।

এ রকম অস্বাভাবিক লোমের বিষয়টি বন্দী বাঘের বেলায় তুলনামূলকভাবে কম বিরল। এগুলো প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানান রামকৃষ্ণান। সাদা বাঘ এই জিনগুলোর জন্য বেছে বেছে প্রজনন করা হয়। এমনকি তাদের বংশধরদের সঙ্গেও। বর্তমানে বন্য অবস্থায় কোনো সাদা বাঘ থাকার কথা জানা যায় না। এ ধরনের শেষ বাঘটিকে ১৯৫০-এর দশকে গুলি করে মারা হয় বলে ধারণা করা হয়। গোটা বিশ্বে এ ধরনের বন্দী বাঘ আছে দুই শতাধিক।কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক কর্তৃপক্ষের দাবি অরণ্যটিতে এমন চারটি সোনালি বাঘ আছে। ছবি: গৌরব রামনারায়ণ অনিয়মিত রঙের পশমের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এ ধরনের প্রজনন বাঘের বাচ্চার অন্তত চ্যাপ্টা মুখ বা ট্যারা চোখর কারণ হতে পারে। তেমনি অন্যান্য জেনেটিক মিউটেশন রোগের বিরুদ্ধে বাঘের প্রতিরক্ষাকে দুর্বল করতে পারে বলে জানান রামকৃষ্ণান। 

কিছু সূত্র অনুসারে বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৩০টি সোনালি বাঘ রয়েছে। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান দাবি করেছে, সেখানে এমন চারটি বন্য বাঘ রয়েছে। এমন বুনো সোনালি বাঘ অবশ্য পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যাওয়ার খবর মেলেনি। 

২০১৪ সাল থেকেই কাজিরাঙ্গায় সোনালি বাঘ দেখা যাওয়ার খবর মিলছে। রামনারায়ণই একমাত্র ব্যক্তি নন, যিনি এদের ক্যামেরায় বন্দী করলেন। ২০২০ সালে মুম্বাইয়ের আলোকচিত্রী ময়ুরেশ হেনদ্রে কাজিরাঙ্গায় সাফারির সময় এমন একটি বাঘের ছবি তুলে অনলাইনে পোস্ট করেন। এটি সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তোলে। 

বিষয়টি পর্যটক টানার কথা বিবেচনা করলে ইতিবাচক হলেও পার্ক কর্তৃপক্ষ এটি উদ্‌যাপন করেনি। ২০২০ সালে পার্কের এক্স অ্যাকাউন্টে (আগের টুইটার) ন্যাশনাল পার্কের গবেষণা কর্মকর্তা রবীন্দ্র শর্মা বলেন, একটি খণ্ডিত জনসংখ্যার মধ্যে প্রজননের কারণে এমন জিনগুলো প্রদর্শিত হয়।

আসামের বুনো ১৯০টি বাঘের মধ্যে ৭০ শতাংশের বাস কাজিরাঙ্গায়। কিন্তু এই অঞ্চলে দ্রুত উন্নয়নের অর্থ বন্য প্রাণীগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার ঐতিহাসিক পথগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের একটি গবেষণায় পার্কের চারপাশের এলাকার বনাঞ্চল ক্রমবর্ধমান হারে বিভক্ত হচ্ছে এবং বনের আশপাশের করিডর বা এক জঙ্গল থেকে অন্যটিতে চলাচলের পথ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানানো হয়। যদি কাজিরাঙ্গার বাঘের জনসংখ্যা আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে অন্তত প্রজননের মতো সমস্যাগুলো এর জনসংখ্যাকে হুমকির মুখে ফেলবে। শর্মা এক্সে তাঁর পোস্টে বলেন। 

‘বাঘ আছে এমন অঞ্চলের মধ্যে উন্নত সংযোগ, বাঘের দূরপাল্লার চলাচলকে উৎসাহিত করে—এমন জমির ব্যবহার জিনগতভাবে বৈচিত্র্যময় বাঘের জনসংখ্যা গড়ে তোলার মূল নিয়ামক বলে মন্তব্য করেন সংরক্ষণবাদী এবং ভারতের সেন্টার ফর ওয়াইল্ডলাইফ স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা কতা উল্লাস কারান্থ। তিনি বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে, ঝুঁকিপূর্ণ বা অতিক্রম করা কঠিন—এমন আবাসস্থলের মধ্যে সেতু এবং সুড়ঙ্গের মতো কাঠামো দিয়ে সংযোগ তৈরি করা যেতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে কাঁপছে সারা দেশ ভোগাচ্ছে ঘন কুয়াশা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ১৮
কুয়াশা ও কনকনে শীতে কাবু উত্তরাঞ্চল। গতকাল গাইবান্ধায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় অনেককে। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুয়াশা ও কনকনে শীতে কাবু উত্তরাঞ্চল। গতকাল গাইবান্ধায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা যায় অনেককে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।

নাছিমা বলেন, ‘শীতটা খুব কষ্ট দিতাছে। কাল থেইকা রাতে ঠিকমতো ঘুমাইতে পারি না। বাচ্চাডারে নিয়া বেশি ভয় লাগতাছে। ঠান্ডা লাগলে কী করুম, সেই চিন্তাই মাথায় ঘোরে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।

হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের সুযোগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে অসুস্থতার ঝুঁকি। অনেকে বলছেন, জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁরা।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার (৫ দিন) পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা; পাশাপাশি থাকবে কুয়াশার প্রকোপ।

ফেরি চলাচল বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা বাড়তে থাকে। সোয়া ৭টার সময় নদী পথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।’

জনজীবন বিপর্যস্ত

পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পঞ্চগড়ের সড়ক ও জনপথ। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

গতকাল সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, উত্তরের জেলা গাইবান্ধা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের শিশুচিকিৎসক সোহেল বলেন, ‘শীতের মধ্যে বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ঠান্ডা ও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। টানা কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে; যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।

জেলার বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডায় দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।

যশোর প্রতিনিধি জানান, জেলায় চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এদিনের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ও উত্তরের বাতাসে বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের অনুভূতি।

যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক জোহর আলী বলেন, ‘শীতে রিকশা চালাতে গিয়ে হাত-পা জমে যাচ্ছে। ব্রেকও ঠিকমতো ধরা যাচ্ছে না। বাসায় মনে হচ্ছে, গায়ে সুই ফোটাচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের প্রকোপ বাড়ছে: ৭ জেলায় ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ, থাকবে কত দিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৪
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।

ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, সতর্ক থাকতে পারেন যেভাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মেঘলা ঢাকার আকাশ, কুয়াশার দেখা মিলতে পারে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।

অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।

এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত