
বন্য প্রাণীবিষয়ক আলোকচিত্রী ও সাফারি গাইড গৌরব রামনারায়ণ ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে একটি ‘সোনালি’ বাঘের ছবি তোলেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে। তবে এই সোনালি বাঘ বন্য প্রাণী গবেষক ও সংরক্ষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন?
গৌরব রামনারায়ণ গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় যখন একটি সাফারিতে বের হন, তখন বাঘের খোঁজ করছিলেন না তিনি। ২৫ বছরের এই তরুণ কিছু পর্যটককে নিয়ে জঙ্গলে ঘুরছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল অন্য প্রাণী দেখা।
এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য আসামের ৪৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। আসামের জঙ্গলগুলোর মধ্যে এই অরণ্যেই সবচেয়ে বেশি বাঘ আছে। তবে দেখা মেলে কম। বরং অন্য বন্য প্রাণীর জন্য বেশি পরিচিতি জাতীয় উদ্যানটির। এর মধ্যে আছে এক শৃঙ্গ গন্ডার ও বিভিন্ন প্রজাতির বর্ণিল পাখি। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি এক শৃঙ্গ গন্ডারের বাস এই বনেই। তো সেদিন এগুলোরই খোঁজ করছিলেন তাঁরা।
সাফারি জিপে বসে দলটির সদস্যরা হঠাৎ একটি হরিণের সতর্ক গলায় ডাক শুনলেন। শিকারি কোনো প্রাণীর উপস্থিতি টের পেলেই কেবল এরা এমন সতর্ক সংকেত দেয় বলে জানান রামনারায়ণ। তিনি গাড়ি চালানো শুরু করেন। গাড়িটি একটি বাঁক নিয়ে এক জায়গায় দাঁড় করালেন। তখনই প্রায় ৭০০ মিটার দূরে, রাস্তায় একটি বাঘ দেখতে পেলেন।
‘প্রথম যখন ওটাকে দেখলাম, একেবারে সাদা দেখাচ্ছিল। সাধারণ একটি বাঘ মনে হচ্ছিল না একে মোটেই।’ বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ট্যুর গাইডের কাজ করা এবং বন্য প্রাণীর ছবি তোলা রামনারায়ণ, ‘এটা যে অন্য সব বাঘের মতো নয়, তা বোঝার মতো যথেষ্ট বাঘ আমি জীবনে দেখেছি।’
ক্যামেরা লেন্সের ভেতর দিয়ে যখন বাঘটির দিকে তাকালেন, সন্দেহ সত্যি বলে প্রমাণিত হলো। স্ট্রবেরি-সোনালি ডোরাসহ প্রাণীটি নিঃসন্দেহে একটি বিরল সোনালি বাঘ।
রামনারায়ণন বলেন, ‘বাঘটি আমাদের দিকে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আক্রমণের বা আমাদের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছায় নয়, বরং সম্পূর্ণরূপে তার পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া এবং নিজের এলাকা চিহ্নিত করাটাই ছিল উদ্দেশ্য।’
বাঘটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় জিপের ১০০ মিটারের মধ্যে চলে এল। এ সময় ওটার দুর্দান্ত কয়েকটি ছবি তুলতে সক্ষম হন রামনারায়ণ। তিনি অনলাইনে একটি ছবি পোস্ট করলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অসাধারণ ছবি এবং বাঘের অস্বাভাবিক রঙের জন্য প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন।
কিন্তু সোনালি বাঘ, যেটি সোনালি পশমি বাঘ বা স্ট্রবেরি বাঘ নামেও পরিচিত, মোটেই বাঘের কোনো উপপ্রজাতি নয়। একটি জিনগত মিউটেশনের ফলাফল হিসেবে এদের লোমের রং পরিবর্তিত হয়। দেখতে সুন্দর হলেও এদের উপস্থিতির একটি অন্ধকার দিকও আছে।
এসব তথ্য জানা যায়, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের ইকোলজির অধ্যাপক উমা রামকৃষ্ণান বলেন, সাদা এবং তুষারসাদা বাঘের মতো সোনালি বাঘগুলো হলো এমন একটি অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের ফল, যা রং সৃষ্টিকারী জিনের মিউটেশন হিসেবে উপস্থিত হয়।
সাদা বাঘে মিউটেশন রং সৃষ্টিতে বাধা দেয়। এদিকে সোনালি বাঘে জিনের এমন একটি মিউটেশন, যা লোম বা চুলের বৃদ্ধির সময় লাল-হলুদ রঞ্জক উৎপাদন সময়কে প্রসারিত করে। সাদা বাঘগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে অপ্রত্যাশিত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়, তাদের একটি সাদা কোটের মতো থাকে, যেখানে খুব সামান্য দৃশ্যমান স্বর্ণকেশী ডোরা থাকে। তাই তাদের কেউ কেউ ডোরাবিহীন বাঘও বলেন।
বুনো পরিবেশে প্রতি ১০ হাজার বাঘের বাচ্চার মধ্যে একটির এমন সাদা লোম নিয়ে জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা, এদিকে সোনালি লোমের বাঘের শাবক জন্মানোর সম্ভাবনা আরও বেশি বিরল। এ কারণেই সংরক্ষণবাদীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এই বাঘের উপস্থিতি বিচ্ছিন্ন বাঘের জনসংখ্যায় প্রজননের লক্ষণ হতে পারে।
এ রকম অস্বাভাবিক লোমের বিষয়টি বন্দী বাঘের বেলায় তুলনামূলকভাবে কম বিরল। এগুলো প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানান রামকৃষ্ণান। সাদা বাঘ এই জিনগুলোর জন্য বেছে বেছে প্রজনন করা হয়। এমনকি তাদের বংশধরদের সঙ্গেও। বর্তমানে বন্য অবস্থায় কোনো সাদা বাঘ থাকার কথা জানা যায় না। এ ধরনের শেষ বাঘটিকে ১৯৫০-এর দশকে গুলি করে মারা হয় বলে ধারণা করা হয়। গোটা বিশ্বে এ ধরনের বন্দী বাঘ আছে দুই শতাধিক।
অনিয়মিত রঙের পশমের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এ ধরনের প্রজনন বাঘের বাচ্চার অন্তত চ্যাপ্টা মুখ বা ট্যারা চোখর কারণ হতে পারে। তেমনি অন্যান্য জেনেটিক মিউটেশন রোগের বিরুদ্ধে বাঘের প্রতিরক্ষাকে দুর্বল করতে পারে বলে জানান রামকৃষ্ণান।
কিছু সূত্র অনুসারে বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৩০টি সোনালি বাঘ রয়েছে। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান দাবি করেছে, সেখানে এমন চারটি বন্য বাঘ রয়েছে। এমন বুনো সোনালি বাঘ অবশ্য পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যাওয়ার খবর মেলেনি।
২০১৪ সাল থেকেই কাজিরাঙ্গায় সোনালি বাঘ দেখা যাওয়ার খবর মিলছে। রামনারায়ণই একমাত্র ব্যক্তি নন, যিনি এদের ক্যামেরায় বন্দী করলেন। ২০২০ সালে মুম্বাইয়ের আলোকচিত্রী ময়ুরেশ হেনদ্রে কাজিরাঙ্গায় সাফারির সময় এমন একটি বাঘের ছবি তুলে অনলাইনে পোস্ট করেন। এটি সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তোলে।
বিষয়টি পর্যটক টানার কথা বিবেচনা করলে ইতিবাচক হলেও পার্ক কর্তৃপক্ষ এটি উদ্যাপন করেনি। ২০২০ সালে পার্কের এক্স অ্যাকাউন্টে (আগের টুইটার) ন্যাশনাল পার্কের গবেষণা কর্মকর্তা রবীন্দ্র শর্মা বলেন, একটি খণ্ডিত জনসংখ্যার মধ্যে প্রজননের কারণে এমন জিনগুলো প্রদর্শিত হয়।
আসামের বুনো ১৯০টি বাঘের মধ্যে ৭০ শতাংশের বাস কাজিরাঙ্গায়। কিন্তু এই অঞ্চলে দ্রুত উন্নয়নের অর্থ বন্য প্রাণীগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার ঐতিহাসিক পথগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের একটি গবেষণায় পার্কের চারপাশের এলাকার বনাঞ্চল ক্রমবর্ধমান হারে বিভক্ত হচ্ছে এবং বনের আশপাশের করিডর বা এক জঙ্গল থেকে অন্যটিতে চলাচলের পথ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানানো হয়। যদি কাজিরাঙ্গার বাঘের জনসংখ্যা আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে অন্তত প্রজননের মতো সমস্যাগুলো এর জনসংখ্যাকে হুমকির মুখে ফেলবে। শর্মা এক্সে তাঁর পোস্টে বলেন।
‘বাঘ আছে এমন অঞ্চলের মধ্যে উন্নত সংযোগ, বাঘের দূরপাল্লার চলাচলকে উৎসাহিত করে—এমন জমির ব্যবহার জিনগতভাবে বৈচিত্র্যময় বাঘের জনসংখ্যা গড়ে তোলার মূল নিয়ামক বলে মন্তব্য করেন সংরক্ষণবাদী এবং ভারতের সেন্টার ফর ওয়াইল্ডলাইফ স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা কতা উল্লাস কারান্থ। তিনি বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে, ঝুঁকিপূর্ণ বা অতিক্রম করা কঠিন—এমন আবাসস্থলের মধ্যে সেতু এবং সুড়ঙ্গের মতো কাঠামো দিয়ে সংযোগ তৈরি করা যেতে পারে।’

বন্য প্রাণীবিষয়ক আলোকচিত্রী ও সাফারি গাইড গৌরব রামনারায়ণ ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে একটি ‘সোনালি’ বাঘের ছবি তোলেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে। তবে এই সোনালি বাঘ বন্য প্রাণী গবেষক ও সংরক্ষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন?
গৌরব রামনারায়ণ গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় যখন একটি সাফারিতে বের হন, তখন বাঘের খোঁজ করছিলেন না তিনি। ২৫ বছরের এই তরুণ কিছু পর্যটককে নিয়ে জঙ্গলে ঘুরছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল অন্য প্রাণী দেখা।
এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য আসামের ৪৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। আসামের জঙ্গলগুলোর মধ্যে এই অরণ্যেই সবচেয়ে বেশি বাঘ আছে। তবে দেখা মেলে কম। বরং অন্য বন্য প্রাণীর জন্য বেশি পরিচিতি জাতীয় উদ্যানটির। এর মধ্যে আছে এক শৃঙ্গ গন্ডার ও বিভিন্ন প্রজাতির বর্ণিল পাখি। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি এক শৃঙ্গ গন্ডারের বাস এই বনেই। তো সেদিন এগুলোরই খোঁজ করছিলেন তাঁরা।
সাফারি জিপে বসে দলটির সদস্যরা হঠাৎ একটি হরিণের সতর্ক গলায় ডাক শুনলেন। শিকারি কোনো প্রাণীর উপস্থিতি টের পেলেই কেবল এরা এমন সতর্ক সংকেত দেয় বলে জানান রামনারায়ণ। তিনি গাড়ি চালানো শুরু করেন। গাড়িটি একটি বাঁক নিয়ে এক জায়গায় দাঁড় করালেন। তখনই প্রায় ৭০০ মিটার দূরে, রাস্তায় একটি বাঘ দেখতে পেলেন।
‘প্রথম যখন ওটাকে দেখলাম, একেবারে সাদা দেখাচ্ছিল। সাধারণ একটি বাঘ মনে হচ্ছিল না একে মোটেই।’ বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ট্যুর গাইডের কাজ করা এবং বন্য প্রাণীর ছবি তোলা রামনারায়ণ, ‘এটা যে অন্য সব বাঘের মতো নয়, তা বোঝার মতো যথেষ্ট বাঘ আমি জীবনে দেখেছি।’
ক্যামেরা লেন্সের ভেতর দিয়ে যখন বাঘটির দিকে তাকালেন, সন্দেহ সত্যি বলে প্রমাণিত হলো। স্ট্রবেরি-সোনালি ডোরাসহ প্রাণীটি নিঃসন্দেহে একটি বিরল সোনালি বাঘ।
রামনারায়ণন বলেন, ‘বাঘটি আমাদের দিকে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আক্রমণের বা আমাদের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছায় নয়, বরং সম্পূর্ণরূপে তার পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া এবং নিজের এলাকা চিহ্নিত করাটাই ছিল উদ্দেশ্য।’
বাঘটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় জিপের ১০০ মিটারের মধ্যে চলে এল। এ সময় ওটার দুর্দান্ত কয়েকটি ছবি তুলতে সক্ষম হন রামনারায়ণ। তিনি অনলাইনে একটি ছবি পোস্ট করলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অসাধারণ ছবি এবং বাঘের অস্বাভাবিক রঙের জন্য প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন।
কিন্তু সোনালি বাঘ, যেটি সোনালি পশমি বাঘ বা স্ট্রবেরি বাঘ নামেও পরিচিত, মোটেই বাঘের কোনো উপপ্রজাতি নয়। একটি জিনগত মিউটেশনের ফলাফল হিসেবে এদের লোমের রং পরিবর্তিত হয়। দেখতে সুন্দর হলেও এদের উপস্থিতির একটি অন্ধকার দিকও আছে।
এসব তথ্য জানা যায়, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের ইকোলজির অধ্যাপক উমা রামকৃষ্ণান বলেন, সাদা এবং তুষারসাদা বাঘের মতো সোনালি বাঘগুলো হলো এমন একটি অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের ফল, যা রং সৃষ্টিকারী জিনের মিউটেশন হিসেবে উপস্থিত হয়।
সাদা বাঘে মিউটেশন রং সৃষ্টিতে বাধা দেয়। এদিকে সোনালি বাঘে জিনের এমন একটি মিউটেশন, যা লোম বা চুলের বৃদ্ধির সময় লাল-হলুদ রঞ্জক উৎপাদন সময়কে প্রসারিত করে। সাদা বাঘগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে অপ্রত্যাশিত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়, তাদের একটি সাদা কোটের মতো থাকে, যেখানে খুব সামান্য দৃশ্যমান স্বর্ণকেশী ডোরা থাকে। তাই তাদের কেউ কেউ ডোরাবিহীন বাঘও বলেন।
বুনো পরিবেশে প্রতি ১০ হাজার বাঘের বাচ্চার মধ্যে একটির এমন সাদা লোম নিয়ে জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা, এদিকে সোনালি লোমের বাঘের শাবক জন্মানোর সম্ভাবনা আরও বেশি বিরল। এ কারণেই সংরক্ষণবাদীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এই বাঘের উপস্থিতি বিচ্ছিন্ন বাঘের জনসংখ্যায় প্রজননের লক্ষণ হতে পারে।
এ রকম অস্বাভাবিক লোমের বিষয়টি বন্দী বাঘের বেলায় তুলনামূলকভাবে কম বিরল। এগুলো প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানান রামকৃষ্ণান। সাদা বাঘ এই জিনগুলোর জন্য বেছে বেছে প্রজনন করা হয়। এমনকি তাদের বংশধরদের সঙ্গেও। বর্তমানে বন্য অবস্থায় কোনো সাদা বাঘ থাকার কথা জানা যায় না। এ ধরনের শেষ বাঘটিকে ১৯৫০-এর দশকে গুলি করে মারা হয় বলে ধারণা করা হয়। গোটা বিশ্বে এ ধরনের বন্দী বাঘ আছে দুই শতাধিক।
অনিয়মিত রঙের পশমের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এ ধরনের প্রজনন বাঘের বাচ্চার অন্তত চ্যাপ্টা মুখ বা ট্যারা চোখর কারণ হতে পারে। তেমনি অন্যান্য জেনেটিক মিউটেশন রোগের বিরুদ্ধে বাঘের প্রতিরক্ষাকে দুর্বল করতে পারে বলে জানান রামকৃষ্ণান।
কিছু সূত্র অনুসারে বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৩০টি সোনালি বাঘ রয়েছে। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান দাবি করেছে, সেখানে এমন চারটি বন্য বাঘ রয়েছে। এমন বুনো সোনালি বাঘ অবশ্য পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যাওয়ার খবর মেলেনি।
২০১৪ সাল থেকেই কাজিরাঙ্গায় সোনালি বাঘ দেখা যাওয়ার খবর মিলছে। রামনারায়ণই একমাত্র ব্যক্তি নন, যিনি এদের ক্যামেরায় বন্দী করলেন। ২০২০ সালে মুম্বাইয়ের আলোকচিত্রী ময়ুরেশ হেনদ্রে কাজিরাঙ্গায় সাফারির সময় এমন একটি বাঘের ছবি তুলে অনলাইনে পোস্ট করেন। এটি সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তোলে।
বিষয়টি পর্যটক টানার কথা বিবেচনা করলে ইতিবাচক হলেও পার্ক কর্তৃপক্ষ এটি উদ্যাপন করেনি। ২০২০ সালে পার্কের এক্স অ্যাকাউন্টে (আগের টুইটার) ন্যাশনাল পার্কের গবেষণা কর্মকর্তা রবীন্দ্র শর্মা বলেন, একটি খণ্ডিত জনসংখ্যার মধ্যে প্রজননের কারণে এমন জিনগুলো প্রদর্শিত হয়।
আসামের বুনো ১৯০টি বাঘের মধ্যে ৭০ শতাংশের বাস কাজিরাঙ্গায়। কিন্তু এই অঞ্চলে দ্রুত উন্নয়নের অর্থ বন্য প্রাণীগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার ঐতিহাসিক পথগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের একটি গবেষণায় পার্কের চারপাশের এলাকার বনাঞ্চল ক্রমবর্ধমান হারে বিভক্ত হচ্ছে এবং বনের আশপাশের করিডর বা এক জঙ্গল থেকে অন্যটিতে চলাচলের পথ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানানো হয়। যদি কাজিরাঙ্গার বাঘের জনসংখ্যা আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে অন্তত প্রজননের মতো সমস্যাগুলো এর জনসংখ্যাকে হুমকির মুখে ফেলবে। শর্মা এক্সে তাঁর পোস্টে বলেন।
‘বাঘ আছে এমন অঞ্চলের মধ্যে উন্নত সংযোগ, বাঘের দূরপাল্লার চলাচলকে উৎসাহিত করে—এমন জমির ব্যবহার জিনগতভাবে বৈচিত্র্যময় বাঘের জনসংখ্যা গড়ে তোলার মূল নিয়ামক বলে মন্তব্য করেন সংরক্ষণবাদী এবং ভারতের সেন্টার ফর ওয়াইল্ডলাইফ স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা কতা উল্লাস কারান্থ। তিনি বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে, ঝুঁকিপূর্ণ বা অতিক্রম করা কঠিন—এমন আবাসস্থলের মধ্যে সেতু এবং সুড়ঙ্গের মতো কাঠামো দিয়ে সংযোগ তৈরি করা যেতে পারে।’

বন্য প্রাণীবিষয়ক আলোকচিত্রী ও সাফারি গাইড গৌরব রামনারায়ণ ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে একটি ‘সোনালি’ বাঘের ছবি তোলেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে। তবে এই সোনালি বাঘ বন্য প্রাণী গবেষক ও সংরক্ষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন?
গৌরব রামনারায়ণ গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় যখন একটি সাফারিতে বের হন, তখন বাঘের খোঁজ করছিলেন না তিনি। ২৫ বছরের এই তরুণ কিছু পর্যটককে নিয়ে জঙ্গলে ঘুরছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল অন্য প্রাণী দেখা।
এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য আসামের ৪৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। আসামের জঙ্গলগুলোর মধ্যে এই অরণ্যেই সবচেয়ে বেশি বাঘ আছে। তবে দেখা মেলে কম। বরং অন্য বন্য প্রাণীর জন্য বেশি পরিচিতি জাতীয় উদ্যানটির। এর মধ্যে আছে এক শৃঙ্গ গন্ডার ও বিভিন্ন প্রজাতির বর্ণিল পাখি। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি এক শৃঙ্গ গন্ডারের বাস এই বনেই। তো সেদিন এগুলোরই খোঁজ করছিলেন তাঁরা।
সাফারি জিপে বসে দলটির সদস্যরা হঠাৎ একটি হরিণের সতর্ক গলায় ডাক শুনলেন। শিকারি কোনো প্রাণীর উপস্থিতি টের পেলেই কেবল এরা এমন সতর্ক সংকেত দেয় বলে জানান রামনারায়ণ। তিনি গাড়ি চালানো শুরু করেন। গাড়িটি একটি বাঁক নিয়ে এক জায়গায় দাঁড় করালেন। তখনই প্রায় ৭০০ মিটার দূরে, রাস্তায় একটি বাঘ দেখতে পেলেন।
‘প্রথম যখন ওটাকে দেখলাম, একেবারে সাদা দেখাচ্ছিল। সাধারণ একটি বাঘ মনে হচ্ছিল না একে মোটেই।’ বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ট্যুর গাইডের কাজ করা এবং বন্য প্রাণীর ছবি তোলা রামনারায়ণ, ‘এটা যে অন্য সব বাঘের মতো নয়, তা বোঝার মতো যথেষ্ট বাঘ আমি জীবনে দেখেছি।’
ক্যামেরা লেন্সের ভেতর দিয়ে যখন বাঘটির দিকে তাকালেন, সন্দেহ সত্যি বলে প্রমাণিত হলো। স্ট্রবেরি-সোনালি ডোরাসহ প্রাণীটি নিঃসন্দেহে একটি বিরল সোনালি বাঘ।
রামনারায়ণন বলেন, ‘বাঘটি আমাদের দিকে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আক্রমণের বা আমাদের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছায় নয়, বরং সম্পূর্ণরূপে তার পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া এবং নিজের এলাকা চিহ্নিত করাটাই ছিল উদ্দেশ্য।’
বাঘটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় জিপের ১০০ মিটারের মধ্যে চলে এল। এ সময় ওটার দুর্দান্ত কয়েকটি ছবি তুলতে সক্ষম হন রামনারায়ণ। তিনি অনলাইনে একটি ছবি পোস্ট করলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অসাধারণ ছবি এবং বাঘের অস্বাভাবিক রঙের জন্য প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন।
কিন্তু সোনালি বাঘ, যেটি সোনালি পশমি বাঘ বা স্ট্রবেরি বাঘ নামেও পরিচিত, মোটেই বাঘের কোনো উপপ্রজাতি নয়। একটি জিনগত মিউটেশনের ফলাফল হিসেবে এদের লোমের রং পরিবর্তিত হয়। দেখতে সুন্দর হলেও এদের উপস্থিতির একটি অন্ধকার দিকও আছে।
এসব তথ্য জানা যায়, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের ইকোলজির অধ্যাপক উমা রামকৃষ্ণান বলেন, সাদা এবং তুষারসাদা বাঘের মতো সোনালি বাঘগুলো হলো এমন একটি অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের ফল, যা রং সৃষ্টিকারী জিনের মিউটেশন হিসেবে উপস্থিত হয়।
সাদা বাঘে মিউটেশন রং সৃষ্টিতে বাধা দেয়। এদিকে সোনালি বাঘে জিনের এমন একটি মিউটেশন, যা লোম বা চুলের বৃদ্ধির সময় লাল-হলুদ রঞ্জক উৎপাদন সময়কে প্রসারিত করে। সাদা বাঘগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে অপ্রত্যাশিত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়, তাদের একটি সাদা কোটের মতো থাকে, যেখানে খুব সামান্য দৃশ্যমান স্বর্ণকেশী ডোরা থাকে। তাই তাদের কেউ কেউ ডোরাবিহীন বাঘও বলেন।
বুনো পরিবেশে প্রতি ১০ হাজার বাঘের বাচ্চার মধ্যে একটির এমন সাদা লোম নিয়ে জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা, এদিকে সোনালি লোমের বাঘের শাবক জন্মানোর সম্ভাবনা আরও বেশি বিরল। এ কারণেই সংরক্ষণবাদীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এই বাঘের উপস্থিতি বিচ্ছিন্ন বাঘের জনসংখ্যায় প্রজননের লক্ষণ হতে পারে।
এ রকম অস্বাভাবিক লোমের বিষয়টি বন্দী বাঘের বেলায় তুলনামূলকভাবে কম বিরল। এগুলো প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানান রামকৃষ্ণান। সাদা বাঘ এই জিনগুলোর জন্য বেছে বেছে প্রজনন করা হয়। এমনকি তাদের বংশধরদের সঙ্গেও। বর্তমানে বন্য অবস্থায় কোনো সাদা বাঘ থাকার কথা জানা যায় না। এ ধরনের শেষ বাঘটিকে ১৯৫০-এর দশকে গুলি করে মারা হয় বলে ধারণা করা হয়। গোটা বিশ্বে এ ধরনের বন্দী বাঘ আছে দুই শতাধিক।
অনিয়মিত রঙের পশমের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এ ধরনের প্রজনন বাঘের বাচ্চার অন্তত চ্যাপ্টা মুখ বা ট্যারা চোখর কারণ হতে পারে। তেমনি অন্যান্য জেনেটিক মিউটেশন রোগের বিরুদ্ধে বাঘের প্রতিরক্ষাকে দুর্বল করতে পারে বলে জানান রামকৃষ্ণান।
কিছু সূত্র অনুসারে বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৩০টি সোনালি বাঘ রয়েছে। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান দাবি করেছে, সেখানে এমন চারটি বন্য বাঘ রয়েছে। এমন বুনো সোনালি বাঘ অবশ্য পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যাওয়ার খবর মেলেনি।
২০১৪ সাল থেকেই কাজিরাঙ্গায় সোনালি বাঘ দেখা যাওয়ার খবর মিলছে। রামনারায়ণই একমাত্র ব্যক্তি নন, যিনি এদের ক্যামেরায় বন্দী করলেন। ২০২০ সালে মুম্বাইয়ের আলোকচিত্রী ময়ুরেশ হেনদ্রে কাজিরাঙ্গায় সাফারির সময় এমন একটি বাঘের ছবি তুলে অনলাইনে পোস্ট করেন। এটি সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তোলে।
বিষয়টি পর্যটক টানার কথা বিবেচনা করলে ইতিবাচক হলেও পার্ক কর্তৃপক্ষ এটি উদ্যাপন করেনি। ২০২০ সালে পার্কের এক্স অ্যাকাউন্টে (আগের টুইটার) ন্যাশনাল পার্কের গবেষণা কর্মকর্তা রবীন্দ্র শর্মা বলেন, একটি খণ্ডিত জনসংখ্যার মধ্যে প্রজননের কারণে এমন জিনগুলো প্রদর্শিত হয়।
আসামের বুনো ১৯০টি বাঘের মধ্যে ৭০ শতাংশের বাস কাজিরাঙ্গায়। কিন্তু এই অঞ্চলে দ্রুত উন্নয়নের অর্থ বন্য প্রাণীগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার ঐতিহাসিক পথগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের একটি গবেষণায় পার্কের চারপাশের এলাকার বনাঞ্চল ক্রমবর্ধমান হারে বিভক্ত হচ্ছে এবং বনের আশপাশের করিডর বা এক জঙ্গল থেকে অন্যটিতে চলাচলের পথ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানানো হয়। যদি কাজিরাঙ্গার বাঘের জনসংখ্যা আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে অন্তত প্রজননের মতো সমস্যাগুলো এর জনসংখ্যাকে হুমকির মুখে ফেলবে। শর্মা এক্সে তাঁর পোস্টে বলেন।
‘বাঘ আছে এমন অঞ্চলের মধ্যে উন্নত সংযোগ, বাঘের দূরপাল্লার চলাচলকে উৎসাহিত করে—এমন জমির ব্যবহার জিনগতভাবে বৈচিত্র্যময় বাঘের জনসংখ্যা গড়ে তোলার মূল নিয়ামক বলে মন্তব্য করেন সংরক্ষণবাদী এবং ভারতের সেন্টার ফর ওয়াইল্ডলাইফ স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা কতা উল্লাস কারান্থ। তিনি বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে, ঝুঁকিপূর্ণ বা অতিক্রম করা কঠিন—এমন আবাসস্থলের মধ্যে সেতু এবং সুড়ঙ্গের মতো কাঠামো দিয়ে সংযোগ তৈরি করা যেতে পারে।’

বন্য প্রাণীবিষয়ক আলোকচিত্রী ও সাফারি গাইড গৌরব রামনারায়ণ ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে একটি ‘সোনালি’ বাঘের ছবি তোলেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে। তবে এই সোনালি বাঘ বন্য প্রাণী গবেষক ও সংরক্ষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন?
গৌরব রামনারায়ণ গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় যখন একটি সাফারিতে বের হন, তখন বাঘের খোঁজ করছিলেন না তিনি। ২৫ বছরের এই তরুণ কিছু পর্যটককে নিয়ে জঙ্গলে ঘুরছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল অন্য প্রাণী দেখা।
এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য আসামের ৪৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। আসামের জঙ্গলগুলোর মধ্যে এই অরণ্যেই সবচেয়ে বেশি বাঘ আছে। তবে দেখা মেলে কম। বরং অন্য বন্য প্রাণীর জন্য বেশি পরিচিতি জাতীয় উদ্যানটির। এর মধ্যে আছে এক শৃঙ্গ গন্ডার ও বিভিন্ন প্রজাতির বর্ণিল পাখি। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি এক শৃঙ্গ গন্ডারের বাস এই বনেই। তো সেদিন এগুলোরই খোঁজ করছিলেন তাঁরা।
সাফারি জিপে বসে দলটির সদস্যরা হঠাৎ একটি হরিণের সতর্ক গলায় ডাক শুনলেন। শিকারি কোনো প্রাণীর উপস্থিতি টের পেলেই কেবল এরা এমন সতর্ক সংকেত দেয় বলে জানান রামনারায়ণ। তিনি গাড়ি চালানো শুরু করেন। গাড়িটি একটি বাঁক নিয়ে এক জায়গায় দাঁড় করালেন। তখনই প্রায় ৭০০ মিটার দূরে, রাস্তায় একটি বাঘ দেখতে পেলেন।
‘প্রথম যখন ওটাকে দেখলাম, একেবারে সাদা দেখাচ্ছিল। সাধারণ একটি বাঘ মনে হচ্ছিল না একে মোটেই।’ বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ট্যুর গাইডের কাজ করা এবং বন্য প্রাণীর ছবি তোলা রামনারায়ণ, ‘এটা যে অন্য সব বাঘের মতো নয়, তা বোঝার মতো যথেষ্ট বাঘ আমি জীবনে দেখেছি।’
ক্যামেরা লেন্সের ভেতর দিয়ে যখন বাঘটির দিকে তাকালেন, সন্দেহ সত্যি বলে প্রমাণিত হলো। স্ট্রবেরি-সোনালি ডোরাসহ প্রাণীটি নিঃসন্দেহে একটি বিরল সোনালি বাঘ।
রামনারায়ণন বলেন, ‘বাঘটি আমাদের দিকে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে আক্রমণের বা আমাদের ক্ষতি করার কোনো ইচ্ছায় নয়, বরং সম্পূর্ণরূপে তার পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া এবং নিজের এলাকা চিহ্নিত করাটাই ছিল উদ্দেশ্য।’
বাঘটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় জিপের ১০০ মিটারের মধ্যে চলে এল। এ সময় ওটার দুর্দান্ত কয়েকটি ছবি তুলতে সক্ষম হন রামনারায়ণ। তিনি অনলাইনে একটি ছবি পোস্ট করলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অসাধারণ ছবি এবং বাঘের অস্বাভাবিক রঙের জন্য প্রশংসায় ভাসিয়ে দেন।
কিন্তু সোনালি বাঘ, যেটি সোনালি পশমি বাঘ বা স্ট্রবেরি বাঘ নামেও পরিচিত, মোটেই বাঘের কোনো উপপ্রজাতি নয়। একটি জিনগত মিউটেশনের ফলাফল হিসেবে এদের লোমের রং পরিবর্তিত হয়। দেখতে সুন্দর হলেও এদের উপস্থিতির একটি অন্ধকার দিকও আছে।
এসব তথ্য জানা যায়, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের ইকোলজির অধ্যাপক উমা রামকৃষ্ণান বলেন, সাদা এবং তুষারসাদা বাঘের মতো সোনালি বাঘগুলো হলো এমন একটি অস্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যের ফল, যা রং সৃষ্টিকারী জিনের মিউটেশন হিসেবে উপস্থিত হয়।
সাদা বাঘে মিউটেশন রং সৃষ্টিতে বাধা দেয়। এদিকে সোনালি বাঘে জিনের এমন একটি মিউটেশন, যা লোম বা চুলের বৃদ্ধির সময় লাল-হলুদ রঞ্জক উৎপাদন সময়কে প্রসারিত করে। সাদা বাঘগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে অপ্রত্যাশিত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়, তাদের একটি সাদা কোটের মতো থাকে, যেখানে খুব সামান্য দৃশ্যমান স্বর্ণকেশী ডোরা থাকে। তাই তাদের কেউ কেউ ডোরাবিহীন বাঘও বলেন।
বুনো পরিবেশে প্রতি ১০ হাজার বাঘের বাচ্চার মধ্যে একটির এমন সাদা লোম নিয়ে জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা, এদিকে সোনালি লোমের বাঘের শাবক জন্মানোর সম্ভাবনা আরও বেশি বিরল। এ কারণেই সংরক্ষণবাদীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এই বাঘের উপস্থিতি বিচ্ছিন্ন বাঘের জনসংখ্যায় প্রজননের লক্ষণ হতে পারে।
এ রকম অস্বাভাবিক লোমের বিষয়টি বন্দী বাঘের বেলায় তুলনামূলকভাবে কম বিরল। এগুলো প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে জানান রামকৃষ্ণান। সাদা বাঘ এই জিনগুলোর জন্য বেছে বেছে প্রজনন করা হয়। এমনকি তাদের বংশধরদের সঙ্গেও। বর্তমানে বন্য অবস্থায় কোনো সাদা বাঘ থাকার কথা জানা যায় না। এ ধরনের শেষ বাঘটিকে ১৯৫০-এর দশকে গুলি করে মারা হয় বলে ধারণা করা হয়। গোটা বিশ্বে এ ধরনের বন্দী বাঘ আছে দুই শতাধিক।
অনিয়মিত রঙের পশমের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এ ধরনের প্রজনন বাঘের বাচ্চার অন্তত চ্যাপ্টা মুখ বা ট্যারা চোখর কারণ হতে পারে। তেমনি অন্যান্য জেনেটিক মিউটেশন রোগের বিরুদ্ধে বাঘের প্রতিরক্ষাকে দুর্বল করতে পারে বলে জানান রামকৃষ্ণান।
কিছু সূত্র অনুসারে বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৩০টি সোনালি বাঘ রয়েছে। কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান দাবি করেছে, সেখানে এমন চারটি বন্য বাঘ রয়েছে। এমন বুনো সোনালি বাঘ অবশ্য পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যাওয়ার খবর মেলেনি।
২০১৪ সাল থেকেই কাজিরাঙ্গায় সোনালি বাঘ দেখা যাওয়ার খবর মিলছে। রামনারায়ণই একমাত্র ব্যক্তি নন, যিনি এদের ক্যামেরায় বন্দী করলেন। ২০২০ সালে মুম্বাইয়ের আলোকচিত্রী ময়ুরেশ হেনদ্রে কাজিরাঙ্গায় সাফারির সময় এমন একটি বাঘের ছবি তুলে অনলাইনে পোস্ট করেন। এটি সে সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তোলে।
বিষয়টি পর্যটক টানার কথা বিবেচনা করলে ইতিবাচক হলেও পার্ক কর্তৃপক্ষ এটি উদ্যাপন করেনি। ২০২০ সালে পার্কের এক্স অ্যাকাউন্টে (আগের টুইটার) ন্যাশনাল পার্কের গবেষণা কর্মকর্তা রবীন্দ্র শর্মা বলেন, একটি খণ্ডিত জনসংখ্যার মধ্যে প্রজননের কারণে এমন জিনগুলো প্রদর্শিত হয়।
আসামের বুনো ১৯০টি বাঘের মধ্যে ৭০ শতাংশের বাস কাজিরাঙ্গায়। কিন্তু এই অঞ্চলে দ্রুত উন্নয়নের অর্থ বন্য প্রাণীগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার ঐতিহাসিক পথগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের একটি গবেষণায় পার্কের চারপাশের এলাকার বনাঞ্চল ক্রমবর্ধমান হারে বিভক্ত হচ্ছে এবং বনের আশপাশের করিডর বা এক জঙ্গল থেকে অন্যটিতে চলাচলের পথ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানানো হয়। যদি কাজিরাঙ্গার বাঘের জনসংখ্যা আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তাহলে অন্তত প্রজননের মতো সমস্যাগুলো এর জনসংখ্যাকে হুমকির মুখে ফেলবে। শর্মা এক্সে তাঁর পোস্টে বলেন।
‘বাঘ আছে এমন অঞ্চলের মধ্যে উন্নত সংযোগ, বাঘের দূরপাল্লার চলাচলকে উৎসাহিত করে—এমন জমির ব্যবহার জিনগতভাবে বৈচিত্র্যময় বাঘের জনসংখ্যা গড়ে তোলার মূল নিয়ামক বলে মন্তব্য করেন সংরক্ষণবাদী এবং ভারতের সেন্টার ফর ওয়াইল্ডলাইফ স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা কতা উল্লাস কারান্থ। তিনি বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে, ঝুঁকিপূর্ণ বা অতিক্রম করা কঠিন—এমন আবাসস্থলের মধ্যে সেতু এবং সুড়ঙ্গের মতো কাঠামো দিয়ে সংযোগ তৈরি করা যেতে পারে।’

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

বন্য প্রাণীবিষয়ক আলোকচিত্রী ও সাফারি গাইড গৌরব রামনারায়ণ ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে একটি ‘সোনালি’ বাঘের ছবি তোলেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে। তবে এই সোনালি বাঘ বন্য প্রাণী গবেষক ও সংরক্ষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন?
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

বন্য প্রাণীবিষয়ক আলোকচিত্রী ও সাফারি গাইড গৌরব রামনারায়ণ ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে একটি ‘সোনালি’ বাঘের ছবি তোলেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে। তবে এই সোনালি বাঘ বন্য প্রাণী গবেষক ও সংরক্ষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন?
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৪ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিকে পেছনে ফেলে এ শীর্ষ দূষিত শহর হলো ঢাকা।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান ১ম। আজ সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ২৯৬, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, ইস্টার্ন হাউজিং ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।
দূষিত বায়ুর শহর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৭৮, ২৩৩, ১৯৯ ও ১৮৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি। আজ বৃহস্পতিবার দিল্লিকে পেছনে ফেলে এ শীর্ষ দূষিত শহর হলো ঢাকা।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান ১ম। আজ সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ২৯৬, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ু দূষণ সবচেয়ে বেশি— পল্লবী দক্ষিণ, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, ইস্টার্ন হাউজিং ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।
দূষিত বায়ুর শহর তালিকায় শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও কলকাতা, পাকিস্তানের লাহোর ও কাতারের দোহা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৭৮, ২৩৩, ১৯৯ ও ১৮৯।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বন্য প্রাণীবিষয়ক আলোকচিত্রী ও সাফারি গাইড গৌরব রামনারায়ণ ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে একটি ‘সোনালি’ বাঘের ছবি তোলেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে। তবে এই সোনালি বাঘ বন্য প্রাণী গবেষক ও সংরক্ষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন?
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা আজকের এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।
এ ছাড়া আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৭ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলা এই তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ।
এ ছাড়া আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৭ মিনিটে।

বন্য প্রাণীবিষয়ক আলোকচিত্রী ও সাফারি গাইড গৌরব রামনারায়ণ ভারতের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানে একটি ‘সোনালি’ বাঘের ছবি তোলেন। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে। তবে এই সোনালি বাঘ বন্য প্রাণী গবেষক ও সংরক্ষকদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন?
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই এ তালিকায় শীর্ষে ছিল ভারতের দিল্লি।
১ দিন আগে