
যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারে সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ফ্ল্যাট। দূর থেকে দেখে মনে হয় শস্যাগার, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর ডিজাইন আর জাঁকজমক দেখে আপনি চমকে যাবেন। আরও অবাক হবেন যখন জানবেন, বাড়িটা গাঁজার গাছ দিয়ে তৈরি। গাঁজার গাছের খড়ি দিয়ে বানানো বাড়িটিতে বেশ আলো-বাতাস চলাচল করে, সঙ্গে আরামদায়ক তো বটেই।
এ বিষয়ে বাড়িটির মালিক জেমা ব্যারন বলেন, ‘বাড়িটির দেয়ালগুলো আমাকে ছোটবেলায় পাটখড়ি দিয়ে ঘর বানানোর দিনগুলো মনে করিয়ে দেয়। এমন বাড়িতে বাস করা বেশ আরামদায়ক। গত বছর শীতকালে ২৪ ঘণ্টাই ঘর গরম ছিল, ফলে আমাদের হিটিং মেশিন চালুই করতে হয়নি।’
গাঁজাকে এত দিন সাইকোঅ্যাকটিভ মাদক হিসেবে এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকলেও এবার পরিবেশবান্ধব ও টেকসই বাড়িঘর তৈরির নির্মাণসামগ্রী হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
দ্রুত বর্ধনশীল গাজার গাছ একটি নবায়নযোগ্য সম্পদ। এর কার্বন শোষণ ক্ষমতাও বেশি। যখন বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তখন এটিকে সাধারণত ‘হেম্পক্রিট’ বা লাইম হেম্প কংক্রিটে পরিণত করা হয়। এটি তৈরি করা হয় গাঁজার গাছের কাণ্ড, শিকড়, পানি এবং চুনের মিশ্রণে। হেম্পক্রিট ভবনকে শক্তিশালী এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করে। এটি অক্ষত থাকা অবস্থা পর্যন্ত কার্বন শোষণ করতে থাকে।
সারা বিশ্বের নির্মাণশিল্প এখন কার্বনমুক্ত বাড়ি তৈরির প্রক্রিয়ার দিকে ঝুঁকছে, ফলে টেকসই উপকরণের চাহিদা বাড়ছে। ভবন এবং নির্মাণশিল্প প্রায় ৩৭ শতাংশ বৈশ্বিক কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের জন্য দায়ী। এই শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ায় গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরিত হয় এমন পদার্থ যেমন—কংক্রিট, ইস্পাত এবং কাচের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এমনটি হচ্ছে।
গাঁজার শণের কার্বন শোষণের মতো গুণকে কাজে লাগিয়ে নানা দেশ নির্মাণশিল্পকে আরও টেকসই ও কার্বন নির্গমন মুক্ত করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
যুক্তরাজ্যের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের জলবায়ু অ্যাকশনের প্রধান ইয়েতুন্দে আবদুল বলেছেন, ‘বিল্ডিং ডিজাইন, নির্মাণ এবং সংস্কারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়, এটি হ্রাসে হেম্পক্রিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যা যুক্তরাজ্যকে জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম করবে।’
ইউরোপীয় কমিশনের মতে, এক হেক্টরের গাঁজার বাগান ৯ থেকে ১৫ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে থাকে। গাঁজার গাছ বাড়তেও সময় নেয় মাত্র পাঁচ মাস। যার অর্থ কার্বন শোষণের ক্ষেত্রে সাধারণ বাণিজ্যিক বনায়নের চেয়ে এটি এগিয়ে। মাটি উর্বর করতে এবং মাটি থেকে ভারী ধাতু অপসারণেও গাঁজার গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে নির্মাণশিল্পে গাঁজার শণের ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরুর আগে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সরকারের আইন, প্রযুক্তিগত সনদ এবং গাঁজার চাষ বৃদ্ধি, সরবরাহ, সাশ্রয়ী করার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল এবং অবকাঠামোর পরিবর্তন।
বর্তমানে গাঁজা গাছের হেম্পক্রিট দিয়ে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকাতে স্বল্প বাজেটে বাড়ি তৈরি করছেন পরিবেশ নিয়ে সচেতন স্থপতিরা। এসব অঞ্চলে গাঁজার ওপর নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাঁরা এটি করতে পারছেন।
হেম্পক্রিট কংক্রিটের মতো স্তরে স্তরে স্থাপন করা যায় না। কাঠ বা পাথরের মতো ভার বহনকারী উপকরণের সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এটি পেট্রোকেমিক্যাল-ভিত্তিক উপকরণ ফাইবারগ্লাস এবং ফোম বোর্ডের চেয়ে কার্বন নিঃসরণ কম করে থাকে। 
কেমব্রিজশায়ারে ২০২০ সালে ফ্ল্যাট বাড়িটি নির্মাণ করে লন্ডনের গবেষণা ও ডিজাইন স্টুডিও ‘ম্যাটেরিয়াল কালচার’। সংস্থাটির সহপ্রতিষ্ঠাতা সামার ইসলাম বলেছেন, ‘হেম্পক্রিট সবকিছুই করে। উচ্চ তাপধারণ ক্ষমতার কারণে এটি উত্তপ্ত হয় এবং ধীরে ধীরে তাপ ছাড়ে। পাশাপাশি দিনের বেলা বাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি হাইড্রোস্কোপিক হওয়ার ফলে আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ছাড়ে।’
কেমব্রিজশায়ারের বাড়িটিতে ব্যবহৃত গাঁজার শণ মার্জেন্ট ফার্মের আশপাশের জমি থেকে নেওয়া হয়েছিল। ম্যাটেরিয়াল কালচারস এই প্রকল্পকে ‘চক্রাকার বাস্তুতন্ত্র’ বলে আখ্যা দিয়েছে। আগে থেকেই করে রাখা প্যানেলের তাকে হেম্পক্রিট বসিয়ে বাড়িটির দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের ভেতরে হেম্পক্রিটের ওপর কোনো পালিশ দেওয়া হয়নি। এ কারণে বাইরে থেকে দেখতে খড়ের গাঁটের মতো লাগে। অনেকটা পল্লি এলাকার বেড়ার বাড়ির মতো।
হেম্পক্রিটের একটি অপূর্ণতা হলো এটি বৃষ্টির সংস্পর্শে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে কাজ করছে ম্যাটেরিয়াল কালচারস। প্রতিষ্ঠানটি গাঁজার গাছের ফাইবারকে প্রাকৃতিক চিনির রেজিন দিয়ে তাপীয়ভাবে সংকুচিত করে বৃষ্টি প্রতিরোধী ক্ল্যাডিং প্যানেল তৈরি করছে।
গাঁজা গাছের শিকড় ছাড়াও বাইরের আঁশযুক্ত ত্বকের ব্যবহারও বেড়েছে। বাস্ট ফাইবার নামে পরিচিত এই অংশ এরই মধ্য মহাকাশ এবং গাড়ি নির্মাণ শিল্পে ফাইবারগ্লাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ম্যাটেরিয়াল কালচার পূর্ব–সাসেক্সের লুয়েসে নতুন ফিনিক্স প্রকল্পেও গাঁজার শণ ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে।
অবশ্য হেম্পক্রিট নতুন কোনো আবিষ্কার নয়; এটি হাজার হাজার বছর ধরে ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। যাইহোক, গত শতাব্দীতে আরও আধুনিক নির্মাণসামগ্রীর উত্থান হয়েছে। তবে গাঁজা বিনোদনে ব্যবহার হওয়ায় এর শণ ব্যবহারে নানা নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
তবে ফ্রান্সে গাঁজা চাষ কখনোই বেআইনি ছিল না, ফলে নির্মাণশিল্পে গাঁজার ব্যবহারে দেশটি বিশ্বে শীর্ষে। ২০ শতকের শেষের দিকে হেম্পক্রিট আধুনিক প্রযুক্তিতে উৎপাদন শুরু হয় দেশটিতে। ফলে এ উপাদান ব্যবহার করে ফ্রান্সে বহু ভবন নির্মিত হয়েছে।
হেম্পক্রিট দিয়ে ২০২০ সালে প্যারিসে সামাজিক আবাসন প্রকল্পের সাত তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছিল প্যারিসভিত্তিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘ব্রাগো ফ্রেস্কো’। প্রতিষ্ঠানটি আগের দশকেও বিভিন্ন স্থাপনায় হেম্পক্রিট ব্যবহার করেছিল। তবে এই প্রকল্পে এটির ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি।
ব্রাগো ফ্রেস্কোর সহপ্রতিষ্ঠাতা থিবাউট ব্রাগো হেম্পক্রিটকে ‘স্থাপত্যগুণ সম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করেছেন।
সামার ইসলাম বলেন, যুক্তরাজ্যে বড় পরিসরে গাজার শণ দিয়ে বাড়ি নির্মাণ প্রকল্প নেওয়ার এখনো কোনো উদ্যোগ নেই। এর জন্য যন্ত্রপাতি খুবই ব্যয়বহুল এবং সবখানে পাওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে গাঁজার শণের ব্যবসা, অবকাঠামোর উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উপাদানের ব্যবহারে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এটি না হওয়া পর্যন্ত হেম্পক্রিট ব্যয়বহুল এবং দুষ্প্রাপ্য উপাদান থেকে যাবে।
গাঁজা চাষে নিষেধাজ্ঞা বাতিল ও এর বহুমুখী ব্যবহারের ফলে হেম্পক্রিটের ব্যবহার বাড়ছে। যদিও বর্তমানে প্রাথমিকভাবে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় এর চাষ হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালে শণের জন্য গাঁজার চাষ ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। আর এ সময় ফ্রান্সেই মোট হেম্পের ৭০ ভাগ উৎপাদন হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদনে গাঁজার শণ শিল্পের নানা সুবিধার তুলে ধরা হয়। জাতিসংঘ পরামর্শ দিয়েছে, গাঁজার শণের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে দেশগুলোকে আইনি অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর সীমাবদ্ধতা কাটাতে হবে এবং উৎপাদন ব্যবস্থার সুবিধার্থে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
বিবিসি অবলম্বনে

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারে সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ফ্ল্যাট। দূর থেকে দেখে মনে হয় শস্যাগার, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর ডিজাইন আর জাঁকজমক দেখে আপনি চমকে যাবেন। আরও অবাক হবেন যখন জানবেন, বাড়িটা গাঁজার গাছ দিয়ে তৈরি। গাঁজার গাছের খড়ি দিয়ে বানানো বাড়িটিতে বেশ আলো-বাতাস চলাচল করে, সঙ্গে আরামদায়ক তো বটেই।
এ বিষয়ে বাড়িটির মালিক জেমা ব্যারন বলেন, ‘বাড়িটির দেয়ালগুলো আমাকে ছোটবেলায় পাটখড়ি দিয়ে ঘর বানানোর দিনগুলো মনে করিয়ে দেয়। এমন বাড়িতে বাস করা বেশ আরামদায়ক। গত বছর শীতকালে ২৪ ঘণ্টাই ঘর গরম ছিল, ফলে আমাদের হিটিং মেশিন চালুই করতে হয়নি।’
গাঁজাকে এত দিন সাইকোঅ্যাকটিভ মাদক হিসেবে এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকলেও এবার পরিবেশবান্ধব ও টেকসই বাড়িঘর তৈরির নির্মাণসামগ্রী হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
দ্রুত বর্ধনশীল গাজার গাছ একটি নবায়নযোগ্য সম্পদ। এর কার্বন শোষণ ক্ষমতাও বেশি। যখন বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তখন এটিকে সাধারণত ‘হেম্পক্রিট’ বা লাইম হেম্প কংক্রিটে পরিণত করা হয়। এটি তৈরি করা হয় গাঁজার গাছের কাণ্ড, শিকড়, পানি এবং চুনের মিশ্রণে। হেম্পক্রিট ভবনকে শক্তিশালী এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করে। এটি অক্ষত থাকা অবস্থা পর্যন্ত কার্বন শোষণ করতে থাকে।
সারা বিশ্বের নির্মাণশিল্প এখন কার্বনমুক্ত বাড়ি তৈরির প্রক্রিয়ার দিকে ঝুঁকছে, ফলে টেকসই উপকরণের চাহিদা বাড়ছে। ভবন এবং নির্মাণশিল্প প্রায় ৩৭ শতাংশ বৈশ্বিক কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের জন্য দায়ী। এই শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ায় গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরিত হয় এমন পদার্থ যেমন—কংক্রিট, ইস্পাত এবং কাচের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এমনটি হচ্ছে।
গাঁজার শণের কার্বন শোষণের মতো গুণকে কাজে লাগিয়ে নানা দেশ নির্মাণশিল্পকে আরও টেকসই ও কার্বন নির্গমন মুক্ত করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
যুক্তরাজ্যের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের জলবায়ু অ্যাকশনের প্রধান ইয়েতুন্দে আবদুল বলেছেন, ‘বিল্ডিং ডিজাইন, নির্মাণ এবং সংস্কারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়, এটি হ্রাসে হেম্পক্রিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যা যুক্তরাজ্যকে জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম করবে।’
ইউরোপীয় কমিশনের মতে, এক হেক্টরের গাঁজার বাগান ৯ থেকে ১৫ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে থাকে। গাঁজার গাছ বাড়তেও সময় নেয় মাত্র পাঁচ মাস। যার অর্থ কার্বন শোষণের ক্ষেত্রে সাধারণ বাণিজ্যিক বনায়নের চেয়ে এটি এগিয়ে। মাটি উর্বর করতে এবং মাটি থেকে ভারী ধাতু অপসারণেও গাঁজার গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে নির্মাণশিল্পে গাঁজার শণের ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরুর আগে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সরকারের আইন, প্রযুক্তিগত সনদ এবং গাঁজার চাষ বৃদ্ধি, সরবরাহ, সাশ্রয়ী করার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল এবং অবকাঠামোর পরিবর্তন।
বর্তমানে গাঁজা গাছের হেম্পক্রিট দিয়ে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকাতে স্বল্প বাজেটে বাড়ি তৈরি করছেন পরিবেশ নিয়ে সচেতন স্থপতিরা। এসব অঞ্চলে গাঁজার ওপর নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাঁরা এটি করতে পারছেন।
হেম্পক্রিট কংক্রিটের মতো স্তরে স্তরে স্থাপন করা যায় না। কাঠ বা পাথরের মতো ভার বহনকারী উপকরণের সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এটি পেট্রোকেমিক্যাল-ভিত্তিক উপকরণ ফাইবারগ্লাস এবং ফোম বোর্ডের চেয়ে কার্বন নিঃসরণ কম করে থাকে। 
কেমব্রিজশায়ারে ২০২০ সালে ফ্ল্যাট বাড়িটি নির্মাণ করে লন্ডনের গবেষণা ও ডিজাইন স্টুডিও ‘ম্যাটেরিয়াল কালচার’। সংস্থাটির সহপ্রতিষ্ঠাতা সামার ইসলাম বলেছেন, ‘হেম্পক্রিট সবকিছুই করে। উচ্চ তাপধারণ ক্ষমতার কারণে এটি উত্তপ্ত হয় এবং ধীরে ধীরে তাপ ছাড়ে। পাশাপাশি দিনের বেলা বাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি হাইড্রোস্কোপিক হওয়ার ফলে আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ছাড়ে।’
কেমব্রিজশায়ারের বাড়িটিতে ব্যবহৃত গাঁজার শণ মার্জেন্ট ফার্মের আশপাশের জমি থেকে নেওয়া হয়েছিল। ম্যাটেরিয়াল কালচারস এই প্রকল্পকে ‘চক্রাকার বাস্তুতন্ত্র’ বলে আখ্যা দিয়েছে। আগে থেকেই করে রাখা প্যানেলের তাকে হেম্পক্রিট বসিয়ে বাড়িটির দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের ভেতরে হেম্পক্রিটের ওপর কোনো পালিশ দেওয়া হয়নি। এ কারণে বাইরে থেকে দেখতে খড়ের গাঁটের মতো লাগে। অনেকটা পল্লি এলাকার বেড়ার বাড়ির মতো।
হেম্পক্রিটের একটি অপূর্ণতা হলো এটি বৃষ্টির সংস্পর্শে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে কাজ করছে ম্যাটেরিয়াল কালচারস। প্রতিষ্ঠানটি গাঁজার গাছের ফাইবারকে প্রাকৃতিক চিনির রেজিন দিয়ে তাপীয়ভাবে সংকুচিত করে বৃষ্টি প্রতিরোধী ক্ল্যাডিং প্যানেল তৈরি করছে।
গাঁজা গাছের শিকড় ছাড়াও বাইরের আঁশযুক্ত ত্বকের ব্যবহারও বেড়েছে। বাস্ট ফাইবার নামে পরিচিত এই অংশ এরই মধ্য মহাকাশ এবং গাড়ি নির্মাণ শিল্পে ফাইবারগ্লাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ম্যাটেরিয়াল কালচার পূর্ব–সাসেক্সের লুয়েসে নতুন ফিনিক্স প্রকল্পেও গাঁজার শণ ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে।
অবশ্য হেম্পক্রিট নতুন কোনো আবিষ্কার নয়; এটি হাজার হাজার বছর ধরে ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। যাইহোক, গত শতাব্দীতে আরও আধুনিক নির্মাণসামগ্রীর উত্থান হয়েছে। তবে গাঁজা বিনোদনে ব্যবহার হওয়ায় এর শণ ব্যবহারে নানা নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
তবে ফ্রান্সে গাঁজা চাষ কখনোই বেআইনি ছিল না, ফলে নির্মাণশিল্পে গাঁজার ব্যবহারে দেশটি বিশ্বে শীর্ষে। ২০ শতকের শেষের দিকে হেম্পক্রিট আধুনিক প্রযুক্তিতে উৎপাদন শুরু হয় দেশটিতে। ফলে এ উপাদান ব্যবহার করে ফ্রান্সে বহু ভবন নির্মিত হয়েছে।
হেম্পক্রিট দিয়ে ২০২০ সালে প্যারিসে সামাজিক আবাসন প্রকল্পের সাত তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছিল প্যারিসভিত্তিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘ব্রাগো ফ্রেস্কো’। প্রতিষ্ঠানটি আগের দশকেও বিভিন্ন স্থাপনায় হেম্পক্রিট ব্যবহার করেছিল। তবে এই প্রকল্পে এটির ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি।
ব্রাগো ফ্রেস্কোর সহপ্রতিষ্ঠাতা থিবাউট ব্রাগো হেম্পক্রিটকে ‘স্থাপত্যগুণ সম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করেছেন।
সামার ইসলাম বলেন, যুক্তরাজ্যে বড় পরিসরে গাজার শণ দিয়ে বাড়ি নির্মাণ প্রকল্প নেওয়ার এখনো কোনো উদ্যোগ নেই। এর জন্য যন্ত্রপাতি খুবই ব্যয়বহুল এবং সবখানে পাওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে গাঁজার শণের ব্যবসা, অবকাঠামোর উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উপাদানের ব্যবহারে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এটি না হওয়া পর্যন্ত হেম্পক্রিট ব্যয়বহুল এবং দুষ্প্রাপ্য উপাদান থেকে যাবে।
গাঁজা চাষে নিষেধাজ্ঞা বাতিল ও এর বহুমুখী ব্যবহারের ফলে হেম্পক্রিটের ব্যবহার বাড়ছে। যদিও বর্তমানে প্রাথমিকভাবে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় এর চাষ হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালে শণের জন্য গাঁজার চাষ ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। আর এ সময় ফ্রান্সেই মোট হেম্পের ৭০ ভাগ উৎপাদন হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদনে গাঁজার শণ শিল্পের নানা সুবিধার তুলে ধরা হয়। জাতিসংঘ পরামর্শ দিয়েছে, গাঁজার শণের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে দেশগুলোকে আইনি অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর সীমাবদ্ধতা কাটাতে হবে এবং উৎপাদন ব্যবস্থার সুবিধার্থে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
বিবিসি অবলম্বনে

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৭ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারে সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ফ্ল্যাট। দূর থেকে দেখে মনে হয় শস্যাগার, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর ডিজাইন আর জাঁকজমক দেখে আপনি চমকে যাবেন। আরও অবাক হবেন যখন জানবেন, বাড়িটা গাঁজার গাছ দিয়ে তৈরি। গাঁজার গাছের খড়ি দিয়ে বানানো বাড়িটিতে বেশ আলো-বাতাস চলাচল করে, সঙ্গে আরামদায়ক তো বটেই।
১৬ আগস্ট ২০২৩
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৭ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারে সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ফ্ল্যাট। দূর থেকে দেখে মনে হয় শস্যাগার, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর ডিজাইন আর জাঁকজমক দেখে আপনি চমকে যাবেন। আরও অবাক হবেন যখন জানবেন, বাড়িটা গাঁজার গাছ দিয়ে তৈরি। গাঁজার গাছের খড়ি দিয়ে বানানো বাড়িটিতে বেশ আলো-বাতাস চলাচল করে, সঙ্গে আরামদায়ক তো বটেই।
১৬ আগস্ট ২০২৩
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৮ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৭ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারে সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ফ্ল্যাট। দূর থেকে দেখে মনে হয় শস্যাগার, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর ডিজাইন আর জাঁকজমক দেখে আপনি চমকে যাবেন। আরও অবাক হবেন যখন জানবেন, বাড়িটা গাঁজার গাছ দিয়ে তৈরি। গাঁজার গাছের খড়ি দিয়ে বানানো বাড়িটিতে বেশ আলো-বাতাস চলাচল করে, সঙ্গে আরামদায়ক তো বটেই।
১৬ আগস্ট ২০২৩
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১০ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারে সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ফ্ল্যাট। দূর থেকে দেখে মনে হয় শস্যাগার, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর ডিজাইন আর জাঁকজমক দেখে আপনি চমকে যাবেন। আরও অবাক হবেন যখন জানবেন, বাড়িটা গাঁজার গাছ দিয়ে তৈরি। গাঁজার গাছের খড়ি দিয়ে বানানো বাড়িটিতে বেশ আলো-বাতাস চলাচল করে, সঙ্গে আরামদায়ক তো বটেই।
১৬ আগস্ট ২০২৩
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১০ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১৭ ঘণ্টা আগে