
যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারে সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ফ্ল্যাট। দূর থেকে দেখে মনে হয় শস্যাগার, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর ডিজাইন আর জাঁকজমক দেখে আপনি চমকে যাবেন। আরও অবাক হবেন যখন জানবেন, বাড়িটা গাঁজার গাছ দিয়ে তৈরি। গাঁজার গাছের খড়ি দিয়ে বানানো বাড়িটিতে বেশ আলো-বাতাস চলাচল করে, সঙ্গে আরামদায়ক তো বটেই।
এ বিষয়ে বাড়িটির মালিক জেমা ব্যারন বলেন, ‘বাড়িটির দেয়ালগুলো আমাকে ছোটবেলায় পাটখড়ি দিয়ে ঘর বানানোর দিনগুলো মনে করিয়ে দেয়। এমন বাড়িতে বাস করা বেশ আরামদায়ক। গত বছর শীতকালে ২৪ ঘণ্টাই ঘর গরম ছিল, ফলে আমাদের হিটিং মেশিন চালুই করতে হয়নি।’
গাঁজাকে এত দিন সাইকোঅ্যাকটিভ মাদক হিসেবে এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকলেও এবার পরিবেশবান্ধব ও টেকসই বাড়িঘর তৈরির নির্মাণসামগ্রী হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
দ্রুত বর্ধনশীল গাজার গাছ একটি নবায়নযোগ্য সম্পদ। এর কার্বন শোষণ ক্ষমতাও বেশি। যখন বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তখন এটিকে সাধারণত ‘হেম্পক্রিট’ বা লাইম হেম্প কংক্রিটে পরিণত করা হয়। এটি তৈরি করা হয় গাঁজার গাছের কাণ্ড, শিকড়, পানি এবং চুনের মিশ্রণে। হেম্পক্রিট ভবনকে শক্তিশালী এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করে। এটি অক্ষত থাকা অবস্থা পর্যন্ত কার্বন শোষণ করতে থাকে।
সারা বিশ্বের নির্মাণশিল্প এখন কার্বনমুক্ত বাড়ি তৈরির প্রক্রিয়ার দিকে ঝুঁকছে, ফলে টেকসই উপকরণের চাহিদা বাড়ছে। ভবন এবং নির্মাণশিল্প প্রায় ৩৭ শতাংশ বৈশ্বিক কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের জন্য দায়ী। এই শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ায় গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরিত হয় এমন পদার্থ যেমন—কংক্রিট, ইস্পাত এবং কাচের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এমনটি হচ্ছে।
গাঁজার শণের কার্বন শোষণের মতো গুণকে কাজে লাগিয়ে নানা দেশ নির্মাণশিল্পকে আরও টেকসই ও কার্বন নির্গমন মুক্ত করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
যুক্তরাজ্যের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের জলবায়ু অ্যাকশনের প্রধান ইয়েতুন্দে আবদুল বলেছেন, ‘বিল্ডিং ডিজাইন, নির্মাণ এবং সংস্কারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়, এটি হ্রাসে হেম্পক্রিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যা যুক্তরাজ্যকে জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম করবে।’
ইউরোপীয় কমিশনের মতে, এক হেক্টরের গাঁজার বাগান ৯ থেকে ১৫ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে থাকে। গাঁজার গাছ বাড়তেও সময় নেয় মাত্র পাঁচ মাস। যার অর্থ কার্বন শোষণের ক্ষেত্রে সাধারণ বাণিজ্যিক বনায়নের চেয়ে এটি এগিয়ে। মাটি উর্বর করতে এবং মাটি থেকে ভারী ধাতু অপসারণেও গাঁজার গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে নির্মাণশিল্পে গাঁজার শণের ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরুর আগে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সরকারের আইন, প্রযুক্তিগত সনদ এবং গাঁজার চাষ বৃদ্ধি, সরবরাহ, সাশ্রয়ী করার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল এবং অবকাঠামোর পরিবর্তন।
বর্তমানে গাঁজা গাছের হেম্পক্রিট দিয়ে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকাতে স্বল্প বাজেটে বাড়ি তৈরি করছেন পরিবেশ নিয়ে সচেতন স্থপতিরা। এসব অঞ্চলে গাঁজার ওপর নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাঁরা এটি করতে পারছেন।
হেম্পক্রিট কংক্রিটের মতো স্তরে স্তরে স্থাপন করা যায় না। কাঠ বা পাথরের মতো ভার বহনকারী উপকরণের সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এটি পেট্রোকেমিক্যাল-ভিত্তিক উপকরণ ফাইবারগ্লাস এবং ফোম বোর্ডের চেয়ে কার্বন নিঃসরণ কম করে থাকে। 
কেমব্রিজশায়ারে ২০২০ সালে ফ্ল্যাট বাড়িটি নির্মাণ করে লন্ডনের গবেষণা ও ডিজাইন স্টুডিও ‘ম্যাটেরিয়াল কালচার’। সংস্থাটির সহপ্রতিষ্ঠাতা সামার ইসলাম বলেছেন, ‘হেম্পক্রিট সবকিছুই করে। উচ্চ তাপধারণ ক্ষমতার কারণে এটি উত্তপ্ত হয় এবং ধীরে ধীরে তাপ ছাড়ে। পাশাপাশি দিনের বেলা বাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি হাইড্রোস্কোপিক হওয়ার ফলে আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ছাড়ে।’
কেমব্রিজশায়ারের বাড়িটিতে ব্যবহৃত গাঁজার শণ মার্জেন্ট ফার্মের আশপাশের জমি থেকে নেওয়া হয়েছিল। ম্যাটেরিয়াল কালচারস এই প্রকল্পকে ‘চক্রাকার বাস্তুতন্ত্র’ বলে আখ্যা দিয়েছে। আগে থেকেই করে রাখা প্যানেলের তাকে হেম্পক্রিট বসিয়ে বাড়িটির দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের ভেতরে হেম্পক্রিটের ওপর কোনো পালিশ দেওয়া হয়নি। এ কারণে বাইরে থেকে দেখতে খড়ের গাঁটের মতো লাগে। অনেকটা পল্লি এলাকার বেড়ার বাড়ির মতো।
হেম্পক্রিটের একটি অপূর্ণতা হলো এটি বৃষ্টির সংস্পর্শে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে কাজ করছে ম্যাটেরিয়াল কালচারস। প্রতিষ্ঠানটি গাঁজার গাছের ফাইবারকে প্রাকৃতিক চিনির রেজিন দিয়ে তাপীয়ভাবে সংকুচিত করে বৃষ্টি প্রতিরোধী ক্ল্যাডিং প্যানেল তৈরি করছে।
গাঁজা গাছের শিকড় ছাড়াও বাইরের আঁশযুক্ত ত্বকের ব্যবহারও বেড়েছে। বাস্ট ফাইবার নামে পরিচিত এই অংশ এরই মধ্য মহাকাশ এবং গাড়ি নির্মাণ শিল্পে ফাইবারগ্লাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ম্যাটেরিয়াল কালচার পূর্ব–সাসেক্সের লুয়েসে নতুন ফিনিক্স প্রকল্পেও গাঁজার শণ ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে।
অবশ্য হেম্পক্রিট নতুন কোনো আবিষ্কার নয়; এটি হাজার হাজার বছর ধরে ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। যাইহোক, গত শতাব্দীতে আরও আধুনিক নির্মাণসামগ্রীর উত্থান হয়েছে। তবে গাঁজা বিনোদনে ব্যবহার হওয়ায় এর শণ ব্যবহারে নানা নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
তবে ফ্রান্সে গাঁজা চাষ কখনোই বেআইনি ছিল না, ফলে নির্মাণশিল্পে গাঁজার ব্যবহারে দেশটি বিশ্বে শীর্ষে। ২০ শতকের শেষের দিকে হেম্পক্রিট আধুনিক প্রযুক্তিতে উৎপাদন শুরু হয় দেশটিতে। ফলে এ উপাদান ব্যবহার করে ফ্রান্সে বহু ভবন নির্মিত হয়েছে।
হেম্পক্রিট দিয়ে ২০২০ সালে প্যারিসে সামাজিক আবাসন প্রকল্পের সাত তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছিল প্যারিসভিত্তিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘ব্রাগো ফ্রেস্কো’। প্রতিষ্ঠানটি আগের দশকেও বিভিন্ন স্থাপনায় হেম্পক্রিট ব্যবহার করেছিল। তবে এই প্রকল্পে এটির ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি।
ব্রাগো ফ্রেস্কোর সহপ্রতিষ্ঠাতা থিবাউট ব্রাগো হেম্পক্রিটকে ‘স্থাপত্যগুণ সম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করেছেন।
সামার ইসলাম বলেন, যুক্তরাজ্যে বড় পরিসরে গাজার শণ দিয়ে বাড়ি নির্মাণ প্রকল্প নেওয়ার এখনো কোনো উদ্যোগ নেই। এর জন্য যন্ত্রপাতি খুবই ব্যয়বহুল এবং সবখানে পাওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে গাঁজার শণের ব্যবসা, অবকাঠামোর উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উপাদানের ব্যবহারে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এটি না হওয়া পর্যন্ত হেম্পক্রিট ব্যয়বহুল এবং দুষ্প্রাপ্য উপাদান থেকে যাবে।
গাঁজা চাষে নিষেধাজ্ঞা বাতিল ও এর বহুমুখী ব্যবহারের ফলে হেম্পক্রিটের ব্যবহার বাড়ছে। যদিও বর্তমানে প্রাথমিকভাবে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় এর চাষ হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালে শণের জন্য গাঁজার চাষ ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। আর এ সময় ফ্রান্সেই মোট হেম্পের ৭০ ভাগ উৎপাদন হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদনে গাঁজার শণ শিল্পের নানা সুবিধার তুলে ধরা হয়। জাতিসংঘ পরামর্শ দিয়েছে, গাঁজার শণের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে দেশগুলোকে আইনি অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর সীমাবদ্ধতা কাটাতে হবে এবং উৎপাদন ব্যবস্থার সুবিধার্থে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
বিবিসি অবলম্বনে

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারে সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ফ্ল্যাট। দূর থেকে দেখে মনে হয় শস্যাগার, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর ডিজাইন আর জাঁকজমক দেখে আপনি চমকে যাবেন। আরও অবাক হবেন যখন জানবেন, বাড়িটা গাঁজার গাছ দিয়ে তৈরি। গাঁজার গাছের খড়ি দিয়ে বানানো বাড়িটিতে বেশ আলো-বাতাস চলাচল করে, সঙ্গে আরামদায়ক তো বটেই।
এ বিষয়ে বাড়িটির মালিক জেমা ব্যারন বলেন, ‘বাড়িটির দেয়ালগুলো আমাকে ছোটবেলায় পাটখড়ি দিয়ে ঘর বানানোর দিনগুলো মনে করিয়ে দেয়। এমন বাড়িতে বাস করা বেশ আরামদায়ক। গত বছর শীতকালে ২৪ ঘণ্টাই ঘর গরম ছিল, ফলে আমাদের হিটিং মেশিন চালুই করতে হয়নি।’
গাঁজাকে এত দিন সাইকোঅ্যাকটিভ মাদক হিসেবে এবং স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকলেও এবার পরিবেশবান্ধব ও টেকসই বাড়িঘর তৈরির নির্মাণসামগ্রী হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
দ্রুত বর্ধনশীল গাজার গাছ একটি নবায়নযোগ্য সম্পদ। এর কার্বন শোষণ ক্ষমতাও বেশি। যখন বাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, তখন এটিকে সাধারণত ‘হেম্পক্রিট’ বা লাইম হেম্প কংক্রিটে পরিণত করা হয়। এটি তৈরি করা হয় গাঁজার গাছের কাণ্ড, শিকড়, পানি এবং চুনের মিশ্রণে। হেম্পক্রিট ভবনকে শক্তিশালী এবং গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করে। এটি অক্ষত থাকা অবস্থা পর্যন্ত কার্বন শোষণ করতে থাকে।
সারা বিশ্বের নির্মাণশিল্প এখন কার্বনমুক্ত বাড়ি তৈরির প্রক্রিয়ার দিকে ঝুঁকছে, ফলে টেকসই উপকরণের চাহিদা বাড়ছে। ভবন এবং নির্মাণশিল্প প্রায় ৩৭ শতাংশ বৈশ্বিক কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের জন্য দায়ী। এই শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ায় গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরিত হয় এমন পদার্থ যেমন—কংক্রিট, ইস্পাত এবং কাচের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এমনটি হচ্ছে।
গাঁজার শণের কার্বন শোষণের মতো গুণকে কাজে লাগিয়ে নানা দেশ নির্মাণশিল্পকে আরও টেকসই ও কার্বন নির্গমন মুক্ত করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
যুক্তরাজ্যের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের জলবায়ু অ্যাকশনের প্রধান ইয়েতুন্দে আবদুল বলেছেন, ‘বিল্ডিং ডিজাইন, নির্মাণ এবং সংস্কারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হয়, এটি হ্রাসে হেম্পক্রিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যা যুক্তরাজ্যকে জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম করবে।’
ইউরোপীয় কমিশনের মতে, এক হেক্টরের গাঁজার বাগান ৯ থেকে ১৫ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে থাকে। গাঁজার গাছ বাড়তেও সময় নেয় মাত্র পাঁচ মাস। যার অর্থ কার্বন শোষণের ক্ষেত্রে সাধারণ বাণিজ্যিক বনায়নের চেয়ে এটি এগিয়ে। মাটি উর্বর করতে এবং মাটি থেকে ভারী ধাতু অপসারণেও গাঁজার গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে নির্মাণশিল্পে গাঁজার শণের ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরুর আগে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, সরকারের আইন, প্রযুক্তিগত সনদ এবং গাঁজার চাষ বৃদ্ধি, সরবরাহ, সাশ্রয়ী করার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল এবং অবকাঠামোর পরিবর্তন।
বর্তমানে গাঁজা গাছের হেম্পক্রিট দিয়ে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকাতে স্বল্প বাজেটে বাড়ি তৈরি করছেন পরিবেশ নিয়ে সচেতন স্থপতিরা। এসব অঞ্চলে গাঁজার ওপর নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাঁরা এটি করতে পারছেন।
হেম্পক্রিট কংক্রিটের মতো স্তরে স্তরে স্থাপন করা যায় না। কাঠ বা পাথরের মতো ভার বহনকারী উপকরণের সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এটি পেট্রোকেমিক্যাল-ভিত্তিক উপকরণ ফাইবারগ্লাস এবং ফোম বোর্ডের চেয়ে কার্বন নিঃসরণ কম করে থাকে। 
কেমব্রিজশায়ারে ২০২০ সালে ফ্ল্যাট বাড়িটি নির্মাণ করে লন্ডনের গবেষণা ও ডিজাইন স্টুডিও ‘ম্যাটেরিয়াল কালচার’। সংস্থাটির সহপ্রতিষ্ঠাতা সামার ইসলাম বলেছেন, ‘হেম্পক্রিট সবকিছুই করে। উচ্চ তাপধারণ ক্ষমতার কারণে এটি উত্তপ্ত হয় এবং ধীরে ধীরে তাপ ছাড়ে। পাশাপাশি দিনের বেলা বাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি হাইড্রোস্কোপিক হওয়ার ফলে আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ছাড়ে।’
কেমব্রিজশায়ারের বাড়িটিতে ব্যবহৃত গাঁজার শণ মার্জেন্ট ফার্মের আশপাশের জমি থেকে নেওয়া হয়েছিল। ম্যাটেরিয়াল কালচারস এই প্রকল্পকে ‘চক্রাকার বাস্তুতন্ত্র’ বলে আখ্যা দিয়েছে। আগে থেকেই করে রাখা প্যানেলের তাকে হেম্পক্রিট বসিয়ে বাড়িটির দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের ভেতরে হেম্পক্রিটের ওপর কোনো পালিশ দেওয়া হয়নি। এ কারণে বাইরে থেকে দেখতে খড়ের গাঁটের মতো লাগে। অনেকটা পল্লি এলাকার বেড়ার বাড়ির মতো।
হেম্পক্রিটের একটি অপূর্ণতা হলো এটি বৃষ্টির সংস্পর্শে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে কাজ করছে ম্যাটেরিয়াল কালচারস। প্রতিষ্ঠানটি গাঁজার গাছের ফাইবারকে প্রাকৃতিক চিনির রেজিন দিয়ে তাপীয়ভাবে সংকুচিত করে বৃষ্টি প্রতিরোধী ক্ল্যাডিং প্যানেল তৈরি করছে।
গাঁজা গাছের শিকড় ছাড়াও বাইরের আঁশযুক্ত ত্বকের ব্যবহারও বেড়েছে। বাস্ট ফাইবার নামে পরিচিত এই অংশ এরই মধ্য মহাকাশ এবং গাড়ি নির্মাণ শিল্পে ফাইবারগ্লাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ম্যাটেরিয়াল কালচার পূর্ব–সাসেক্সের লুয়েসে নতুন ফিনিক্স প্রকল্পেও গাঁজার শণ ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে।
অবশ্য হেম্পক্রিট নতুন কোনো আবিষ্কার নয়; এটি হাজার হাজার বছর ধরে ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। যাইহোক, গত শতাব্দীতে আরও আধুনিক নির্মাণসামগ্রীর উত্থান হয়েছে। তবে গাঁজা বিনোদনে ব্যবহার হওয়ায় এর শণ ব্যবহারে নানা নিষেধাজ্ঞা এসেছে।
তবে ফ্রান্সে গাঁজা চাষ কখনোই বেআইনি ছিল না, ফলে নির্মাণশিল্পে গাঁজার ব্যবহারে দেশটি বিশ্বে শীর্ষে। ২০ শতকের শেষের দিকে হেম্পক্রিট আধুনিক প্রযুক্তিতে উৎপাদন শুরু হয় দেশটিতে। ফলে এ উপাদান ব্যবহার করে ফ্রান্সে বহু ভবন নির্মিত হয়েছে।
হেম্পক্রিট দিয়ে ২০২০ সালে প্যারিসে সামাজিক আবাসন প্রকল্পের সাত তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছিল প্যারিসভিত্তিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘ব্রাগো ফ্রেস্কো’। প্রতিষ্ঠানটি আগের দশকেও বিভিন্ন স্থাপনায় হেম্পক্রিট ব্যবহার করেছিল। তবে এই প্রকল্পে এটির ব্যবহার ছিল সবচেয়ে বেশি।
ব্রাগো ফ্রেস্কোর সহপ্রতিষ্ঠাতা থিবাউট ব্রাগো হেম্পক্রিটকে ‘স্থাপত্যগুণ সম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করেছেন।
সামার ইসলাম বলেন, যুক্তরাজ্যে বড় পরিসরে গাজার শণ দিয়ে বাড়ি নির্মাণ প্রকল্প নেওয়ার এখনো কোনো উদ্যোগ নেই। এর জন্য যন্ত্রপাতি খুবই ব্যয়বহুল এবং সবখানে পাওয়া যায় না। এই পরিস্থিতিতে গাঁজার শণের ব্যবসা, অবকাঠামোর উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উপাদানের ব্যবহারে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এটি না হওয়া পর্যন্ত হেম্পক্রিট ব্যয়বহুল এবং দুষ্প্রাপ্য উপাদান থেকে যাবে।
গাঁজা চাষে নিষেধাজ্ঞা বাতিল ও এর বহুমুখী ব্যবহারের ফলে হেম্পক্রিটের ব্যবহার বাড়ছে। যদিও বর্তমানে প্রাথমিকভাবে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকায় এর চাষ হচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালে শণের জন্য গাঁজার চাষ ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। আর এ সময় ফ্রান্সেই মোট হেম্পের ৭০ ভাগ উৎপাদন হয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদনে গাঁজার শণ শিল্পের নানা সুবিধার তুলে ধরা হয়। জাতিসংঘ পরামর্শ দিয়েছে, গাঁজার শণের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে দেশগুলোকে আইনি অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর সীমাবদ্ধতা কাটাতে হবে এবং উৎপাদন ব্যবস্থার সুবিধার্থে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
বিবিসি অবলম্বনে

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
২ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারে সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ফ্ল্যাট। দূর থেকে দেখে মনে হয় শস্যাগার, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর ডিজাইন আর জাঁকজমক দেখে আপনি চমকে যাবেন। আরও অবাক হবেন যখন জানবেন, বাড়িটা গাঁজার গাছ দিয়ে তৈরি। গাঁজার গাছের খড়ি দিয়ে বানানো বাড়িটিতে বেশ আলো-বাতাস চলাচল করে, সঙ্গে আরামদায়ক তো বটেই।
১৬ আগস্ট ২০২৩
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
২ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারে সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ফ্ল্যাট। দূর থেকে দেখে মনে হয় শস্যাগার, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর ডিজাইন আর জাঁকজমক দেখে আপনি চমকে যাবেন। আরও অবাক হবেন যখন জানবেন, বাড়িটা গাঁজার গাছ দিয়ে তৈরি। গাঁজার গাছের খড়ি দিয়ে বানানো বাড়িটিতে বেশ আলো-বাতাস চলাচল করে, সঙ্গে আরামদায়ক তো বটেই।
১৬ আগস্ট ২০২৩
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
১ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
২ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারে সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ফ্ল্যাট। দূর থেকে দেখে মনে হয় শস্যাগার, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর ডিজাইন আর জাঁকজমক দেখে আপনি চমকে যাবেন। আরও অবাক হবেন যখন জানবেন, বাড়িটা গাঁজার গাছ দিয়ে তৈরি। গাঁজার গাছের খড়ি দিয়ে বানানো বাড়িটিতে বেশ আলো-বাতাস চলাচল করে, সঙ্গে আরামদায়ক তো বটেই।
১৬ আগস্ট ২০২৩
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগে
ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

ভোরবেলা কিছুটা কুয়াশা পড়লেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আজ সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় রোদের দেখা মিলেছে। তবে গতকালের চেয়ে কিছুটা বেশি শীত পড়ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজশায়ারে সবুজ মাঠে ঘেরা একটি ফ্ল্যাট। দূর থেকে দেখে মনে হয় শস্যাগার, কিন্তু ভেতরে প্রবেশের পর ডিজাইন আর জাঁকজমক দেখে আপনি চমকে যাবেন। আরও অবাক হবেন যখন জানবেন, বাড়িটা গাঁজার গাছ দিয়ে তৈরি। গাঁজার গাছের খড়ি দিয়ে বানানো বাড়িটিতে বেশ আলো-বাতাস চলাচল করে, সঙ্গে আরামদায়ক তো বটেই।
১৬ আগস্ট ২০২৩
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
২ দিন আগে