
কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যের দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এই ব্যক্তি হলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল ও গ্যাস কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল জাবের। তিনি গার্ডিয়ানকে সোজাসাপ্টা বলেছেন, তাঁর কোম্পানিকে জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা মেটাতে হবে।
আল জাবের বলেন , ‘আমার পদ্ধতি খুবই সহজ। আমরা কম কার্বন শক্তির একটি দায়িত্বশীল, নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব। কারণ, বিশ্বে সর্বনিম্ন খরচে সর্বনিম্ন কার্বন ব্যারেলের প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি অ্যাডনকের হাইড্রোকার্বন নিম্নশ্রেণির কার্বন, এসব দক্ষতার সঙ্গে এবং অন্যান্য উৎপাদকের চেয়ে নিরাপদে উত্তোলন করা হয় দাবি করে বলেন, ‘মনে রাখবেন, দিনের শেষে চাহিদাই নির্ধারণ করবে কোন ধরনের শক্তির উৎস ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সাহায্য করবে।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেলের ফলাফল উল্লেখ করে জানান, ২০৫০ সালেও বিশ্বে স্বল্প পরিমাণে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হবে, এমনকি নিট শূন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের স্তরে পৌঁছানোর পরেও।
শূন্য গ্রিনহাউসের যুগে প্রবেশ করতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসে রাখতে হবে, যা শিল্পবিপ্লবের আগের সময়ের বৈশ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে কম।
নিজের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ১ দশমিক ৫ সেলসিয়াসের মধ্যে কার্যকর ছিল জানিয়ে আল জাবের বলেন, ‘বিশ্বে কম দামে স্বল্প কার্বনসমৃদ্ধ তেল এবং গ্যাসের প্রয়োজন অব্যাহত রয়েছে। যখন চাহিদা থেমে যায়, তখন এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। নতুন শক্তি ব্যবস্থা তৈরির আগপর্যন্ত আমাদের এই মুহূর্তে বর্তমান শক্তিব্যবস্থাকে ডিকার্বনাইজ করতে হবে।
অ্যাডনক তেল ও গ্যাসে আগামী সাত বছরে ১৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নয়, বরং বর্তমান উৎপাদনের মাত্রা বজায় রাখবে জানিয়ে আল জাবের বলেন, তেল উৎপাদনে নিজের সক্ষমতা থেকে অ্যাডনক সরে যাচ্ছে।
শীর্ষ সম্মেলনের পরে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম তেলের মজুত রয়েছে। তবে আমরা এই সম্পদগুলো কাজে লাগাচ্ছি না।
গত ৩০ বছরের জলবায়ু সম্মেলনে প্রথমবারের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎকে চিহ্নিত করে একটি বৈশ্বিক খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে চুক্তিটি জলবায়ুসংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো বন্ধের জন্য কাছাকাছিও নেই এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অপ্রয়োজনীয় অর্থ আয়ের পেছনে ন্যায়সংগত কারণ দেখাতে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ সমালোচিত হয়েছে। এরপরেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কপ২৮ ও অ্যাডনকের প্রধান হওয়ায় এই বছরের শুরুর দিকে ব্যাপক আশঙ্কা সত্ত্বেও আল জাবের একজন জনপ্রিয় কপ প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। শীর্ষ সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলো বলেছে, আল জাবের তাঁদের উদ্বেগের কথা শুনছেন এবং প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যখন ধনী দেশগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি চুক্তির জন্য নিজেদের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
অ্যাডনকের দায়িত্ব নেওয়ার আগে আল জাবের ২০০৬ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারসমর্থিত পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমি পরিবর্তনের [নিম্ন কার্বনের বিশ্ব] জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর জন্য আমি ১৮ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছি। আমি শক্তি গতিবিদ্যা এবং শক্তি অর্থনীতি জানি। আমি একজন প্রকৌশলী।’
একজন ব্যবসায়ী এবং তেল কোম্পানির প্রধান হিসেবে অবাক করা চুক্তিটি বন্ধ করতে সহায়তা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শাসনকালে প্রমাণ করেছি এবং বিশ্বকে দেখিয়েছি, শিল্পপতির কপ সম্মেলনের সভাপতি হওয়া দুর্বলতা নয়। আসলে, এটি একটি শক্তি ছিল, এটি একটি সুবিধা ছিল।’
জলবায়ুকর্মীরা অ্যাডনকের জন্য আল জাবেরের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন। ফসিল ফুয়েল ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘কপ২০-এর সভাপতিত্বকারী দেশ হিসেবে আরব আমিরাতকে অবশ্যই একটি নজির স্থাপন করতে হবে। ধনী দেশগুলোকে প্যারিস চুক্তির চেতনাকে সম্মান করতে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। তা ছাড়া অন্য যেকোনো কিছু দুবাই জলবায়ু সম্মেলনে বহু কাঠখড় পুড়িয়ে অর্জিত খসড়ার ওপর সন্দেহের ছায়া ফেলবে।’
অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের ডেভিড টং বলেন, ‘আল জাবের এটা স্পষ্ট করেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কপ২৮ সম্মেলনে ঐকমত্য (চুক্তি) আনতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এখন তাঁর নেতৃত্বাধীন কোম্পানিতে এটি বাস্তবায়ন এবং তেল ও গ্যাস থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অথবা এই প্রক্রিয়াকে মনে মনে উপহাস করতে হবে।’
থিঙ্কট্যাঙ্ক ইথ্রিজির একজন সিনিয়র সহযোগী ক্যাথরিন অ্যাব্রেউ তেল ও গ্যাসের চাহিদা শিগগির কমার পূর্বাভাস দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেক জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদক মনে করে, তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি অতিমূল্যবান বস্তু এবং এসব জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নয়। কয়েক দশক ধরে তাঁরা একটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চুক্তির আড়ালে লুকিয়ে থেকেছেন, যা বোঝাপড়া তৈরি করতে ব্যর্থতা এনেছে। কিন্তু অবশেষে সেই ঘোমটা ছিঁড়ে গেছে এবং খুব ধীরে হলেও অবশ্যই পরিস্থিতি বদলে যাবে।’
আল জাবের কপ২৮ তে হওয়া চুক্তিটিকে ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘ঐতিহাসিক’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। আলোচনার সম্ভাব্য চুক্তির প্রথম খসড়া জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পরে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত আলোচনাটি টেনে নেওয়ার সময় তিনি কিছু অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।
না ঘুমিয়ে কয়েক ঘণ্টার কূটনৈতিক আলাপের পরে তিনি আলোচনায় প্রতিটি দেশের গ্রুপ এবং অনেক স্বতন্ত্র দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বৈঠক করেছেন। তিনি বলেন, একটি নতুন খসড়া পাঠ ও গৃহীত হওয়ার আশায় বুধবার রাত আড়াইটার দিকেও আলোচনার কক্ষ লোকে ভর্তি ছিল।
জাবের বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি বোধ করছিলাম, ঐকমত্য জীবন পাচ্ছে। এখানে কিছু সত্যিকারের কিছু ঘটছে। একে অপরের মন ও চিন্তার মিলন ঘটছে, আমি তাঁদের মনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছি। তাঁরা পরিকল্পনাটিকে আরও ভালো আকার দিতে সাহায্য করছিল। আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমরা ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। আমি তখন সব অনুপ্রেরণা নিয়ে আলোচনায় আরও গভীরভাবে নিমগ্ন হই।’

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৫ মিনিট আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
৭ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যর দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
৭ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যর দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৫ মিনিট আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগে
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যর দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৫ মিনিট আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
৭ ঘণ্টা আগে
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
২১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। আইকিউএয়ারের সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৫৪। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেচারাম দেউরি, কল্যাণপুর, দক্ষিণ পল্লবী, শান্তা ফোরাম, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা দিল্লির একিউআই স্কোর ৫০৭। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (১৯১), পাকিস্তানের লাহোর (১৯১), ভারতের কলকাতা (১৮১) ও মুম্বাই (১৬৫)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। আইকিউএয়ারের সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৫৪। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেচারাম দেউরি, কল্যাণপুর, দক্ষিণ পল্লবী, শান্তা ফোরাম, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা দিল্লির একিউআই স্কোর ৫০৭। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (১৯১), পাকিস্তানের লাহোর (১৯১), ভারতের কলকাতা (১৮১) ও মুম্বাই (১৬৫)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

কপ২৮ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে নিজের তেল কোম্পানির রেকর্ড বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবেন। জীবাশ্ম জ্বালানিমুক্ত পৃথিবীর জন্য একটি বৈশ্বিক চুক্তির সমন্বয়ক হওয়া সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্তে অটল তিনি। যুক্তরাজ্যর দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩
অগ্রহায়ণের বিদায়বেলায় আজ সোমবার সকালবেলা রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন রোববার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় সেটি বেড়ে হয়েছে ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৫ মিনিট আগে
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
৭ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
১১ ঘণ্টা আগে