
খুব চড়া শব্দে চিৎকার করে তারা, যৌন মিলনের জন্যও থাকে উত্তেজিত। এমন কোটি কোটি ঘুগরা পোকা বা উচ্চিংড়ের আবির্ভাব ঘটতে চলেছে মার্কিন মুল্লুকের বিভিন্ন শহরতলি ও বনভূমি। আবার এই পোকাদের দুটি ‘ব্রুড’ বা দলের উদ্ভব হতে যাচ্ছে একই সময়ে। এটা শেষ ঘটে ১৮০৩ সালে, যখন টমাস জেফারসন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স থেকে লুইজিয়ানা কিনে নেয়।
আর এমন একটি প্রাকৃতিক বিষয়ের সাক্ষী হওয়ার আশায় বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি রোমাঞ্চিত সাধারণ মানুষও। বিশ্বের ৩ হাজারটিরও বেশি কীটপতঙ্গ প্রজাতির বৈচিত্র্যময় পরিবারের সদস্য ঘুগরা পোকা। তাদের বেশিরভাগ জীবন পার করে লার্ভা অবস্থায় মাটির নিচে।
তারা রূপান্তরিত এবং মিলিত হওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে আবির্ভূত হয়। কিছু প্রজাতির মাটির নিচ থেকে উত্থান হওয়াটা বার্ষিক ঘটনা এবং অন্যগুলির, যেগুলি পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকা নামে পরিচিত, প্রতি ১৩ বা ১৭ বছরে উত্থান হয়। বিবর্তনের পরিষ্কার ব্যাখ্যা না থাকায় গণিতবিদরা কেন পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকারা মৌলিক সংখ্যা চক্র অনুসরণ করে এই প্রশ্নের জবাব পেতে আগ্রহী দীর্ঘদিন ধরেই।
বছরের এই সময়ে ১৩ বছরের চক্র মেনে চলা দলটি সাউথ ও নর্থ ক্যারোলিনায় উদ্ভব হতে শুরু করেছে। তারপর মধ্য পশ্চিম অঞ্চলে আবির্ভূত হবে ১৭ বছরের চক্র মেনে চলা দলটি। মধ্য ইলিনয়ের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় একই সঙ্গে এ দুটি দলেরই আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে।
‘যখন এরা আসে, বিপুল সংখ্যায় আসে। মা-বাবারা উত্তেজিত থাকে, তেমনি উত্তেজিত থাকে বাচ্চা-কাচ্চারা।’ বলেন মাউন্ট সেন্ট জোসেফ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গবিজ্ঞানী জেন ক্রিটস্কি।
এই ঘুগরা পোকার আবির্ভাবের সঙ্গে মানুষের অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে থাকে। লোকেরা স্পষ্টভাবে স্মরণ করতে পারে ঘুগরা পোকারা এলাকায় শেষবার যখন হাজির হয় তাঁরা তখন কোথায় ছিলেন। এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলি পারিবারিক গল্পগাথার অংশ হয়ে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে চলে যায়।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক জন লিল এএফপিকে বলেন, তুলনামূলকভাবে প্রতিরক্ষাহীন, পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকাদের শক্তি তাদের বিপুল সংখ্যায়। যা আবার পাখি, শিয়াল, র্যাকুন, কচ্ছপসহ অন্যান্য প্রাণীর ক্ষুধা মেটায়।
‘সায়েন্স ম্যাগাজিনে’ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে, লিল এবং তাঁর সহকর্মীরা বিস্তৃত ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্রের ওপর এর বেশ কয়েকটি বিস্তৃত প্রভাব প্রকাশ করেছেন।
২০২১ সালে ওয়াশিংটনে ঘুগরা পোকার ‘এক্স’ দলের আবির্ভাবের ফলাফল পরীক্ষা করে গবেষকেরা দেখেন এটি পাখিদের জন্য বিশাল এক ভোজের ব্যবস্থা করে। এ সময় শুয়াপোকার সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। কারণ পাখিরা ঘুগরা পোকা খাওয়াতেই বেশি মনোযোগী ছিল।
আর শুঁয়োপোকার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ওক চারা খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।
অন্যান্য নতুন গবেষণায় দেখা গেছে ঘুগরা পোকা আবির্ভাবের পর ঘড়ির কাঁটা অনুসরণ করে ঠিক দুই বছর পর প্রচুর ফল আসে ওক গাছে। এতে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের হয় পোয়া বারো। এটি মানুষের জন্য লাইম রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
লিল বলেন, ‘এখন অতিরিক্ত ফল আসার বিষয়টি কখন ঘটবে তা ঘুগরা পোকা নির্ধারণ করে। আর এই ফল আসার সঙ্গে যোগ আছে লাইম রোগটি কখন ঘটে তার। আর এগুলো ঘুগরা পোকা আবির্ভাবের পরের বছরগুলিতে ঘটা দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত প্রভাবগুলির একটি সারসংক্ষেপ’। বলেন লিল।
কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস সাইমন ঘুগরা পোকার ডিএনএর যে রাসায়নিক পরিবর্তনগুলি জীবনচক্রে প্রভাব ফেলে তা নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি সতর্ক করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন এ পোকাদের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভিদ জন্মানোর ঋতু দীর্ঘায়িত হয়ে খাদ্য সরবরাহ বাড়ছে। যা ঘুগরা পোকাদের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
‘আমার অনুমান, আরও ‘১৭ বছরের’ ঘুগরা পোকা স্থায়ী ‘১৩ বছরের’ পোকায় পরিণত হবে,’ বলেন ক্রিস সিমনস, ‘অবশেষে বৈশিষ্ট্যটি জীনগতভাবে একীভূত হবে।"
অপর দিকে, ব্যাপকভাবে বন উজাড় হয়ে হারিয়ে গেছে বহু ঐতিহাসিক দল। তবে অবশিষ্ট দলগুলি শহরতলির পরিবেশে বেড়ে উঠছে যেখানে আলোকিত গাছগুলি তাদের ডিম পাড়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
তারপরে প্রাপ্তবয়স্করা মারা যায়, সদ্য ফোটা ঘুগরা পোকা গাছ থেকে পড়ে, মাটির নিচে গর্ত করে এবং চক্রটি নতুন করে শুরু হয়।

খুব চড়া শব্দে চিৎকার করে তারা, যৌন মিলনের জন্যও থাকে উত্তেজিত। এমন কোটি কোটি ঘুগরা পোকা বা উচ্চিংড়ের আবির্ভাব ঘটতে চলেছে মার্কিন মুল্লুকের বিভিন্ন শহরতলি ও বনভূমি। আবার এই পোকাদের দুটি ‘ব্রুড’ বা দলের উদ্ভব হতে যাচ্ছে একই সময়ে। এটা শেষ ঘটে ১৮০৩ সালে, যখন টমাস জেফারসন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স থেকে লুইজিয়ানা কিনে নেয়।
আর এমন একটি প্রাকৃতিক বিষয়ের সাক্ষী হওয়ার আশায় বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি রোমাঞ্চিত সাধারণ মানুষও। বিশ্বের ৩ হাজারটিরও বেশি কীটপতঙ্গ প্রজাতির বৈচিত্র্যময় পরিবারের সদস্য ঘুগরা পোকা। তাদের বেশিরভাগ জীবন পার করে লার্ভা অবস্থায় মাটির নিচে।
তারা রূপান্তরিত এবং মিলিত হওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে আবির্ভূত হয়। কিছু প্রজাতির মাটির নিচ থেকে উত্থান হওয়াটা বার্ষিক ঘটনা এবং অন্যগুলির, যেগুলি পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকা নামে পরিচিত, প্রতি ১৩ বা ১৭ বছরে উত্থান হয়। বিবর্তনের পরিষ্কার ব্যাখ্যা না থাকায় গণিতবিদরা কেন পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকারা মৌলিক সংখ্যা চক্র অনুসরণ করে এই প্রশ্নের জবাব পেতে আগ্রহী দীর্ঘদিন ধরেই।
বছরের এই সময়ে ১৩ বছরের চক্র মেনে চলা দলটি সাউথ ও নর্থ ক্যারোলিনায় উদ্ভব হতে শুরু করেছে। তারপর মধ্য পশ্চিম অঞ্চলে আবির্ভূত হবে ১৭ বছরের চক্র মেনে চলা দলটি। মধ্য ইলিনয়ের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় একই সঙ্গে এ দুটি দলেরই আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে।
‘যখন এরা আসে, বিপুল সংখ্যায় আসে। মা-বাবারা উত্তেজিত থাকে, তেমনি উত্তেজিত থাকে বাচ্চা-কাচ্চারা।’ বলেন মাউন্ট সেন্ট জোসেফ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গবিজ্ঞানী জেন ক্রিটস্কি।
এই ঘুগরা পোকার আবির্ভাবের সঙ্গে মানুষের অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে থাকে। লোকেরা স্পষ্টভাবে স্মরণ করতে পারে ঘুগরা পোকারা এলাকায় শেষবার যখন হাজির হয় তাঁরা তখন কোথায় ছিলেন। এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলি পারিবারিক গল্পগাথার অংশ হয়ে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে চলে যায়।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক জন লিল এএফপিকে বলেন, তুলনামূলকভাবে প্রতিরক্ষাহীন, পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকাদের শক্তি তাদের বিপুল সংখ্যায়। যা আবার পাখি, শিয়াল, র্যাকুন, কচ্ছপসহ অন্যান্য প্রাণীর ক্ষুধা মেটায়।
‘সায়েন্স ম্যাগাজিনে’ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে, লিল এবং তাঁর সহকর্মীরা বিস্তৃত ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্রের ওপর এর বেশ কয়েকটি বিস্তৃত প্রভাব প্রকাশ করেছেন।
২০২১ সালে ওয়াশিংটনে ঘুগরা পোকার ‘এক্স’ দলের আবির্ভাবের ফলাফল পরীক্ষা করে গবেষকেরা দেখেন এটি পাখিদের জন্য বিশাল এক ভোজের ব্যবস্থা করে। এ সময় শুয়াপোকার সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। কারণ পাখিরা ঘুগরা পোকা খাওয়াতেই বেশি মনোযোগী ছিল।
আর শুঁয়োপোকার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ওক চারা খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।
অন্যান্য নতুন গবেষণায় দেখা গেছে ঘুগরা পোকা আবির্ভাবের পর ঘড়ির কাঁটা অনুসরণ করে ঠিক দুই বছর পর প্রচুর ফল আসে ওক গাছে। এতে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের হয় পোয়া বারো। এটি মানুষের জন্য লাইম রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
লিল বলেন, ‘এখন অতিরিক্ত ফল আসার বিষয়টি কখন ঘটবে তা ঘুগরা পোকা নির্ধারণ করে। আর এই ফল আসার সঙ্গে যোগ আছে লাইম রোগটি কখন ঘটে তার। আর এগুলো ঘুগরা পোকা আবির্ভাবের পরের বছরগুলিতে ঘটা দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত প্রভাবগুলির একটি সারসংক্ষেপ’। বলেন লিল।
কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস সাইমন ঘুগরা পোকার ডিএনএর যে রাসায়নিক পরিবর্তনগুলি জীবনচক্রে প্রভাব ফেলে তা নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি সতর্ক করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন এ পোকাদের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভিদ জন্মানোর ঋতু দীর্ঘায়িত হয়ে খাদ্য সরবরাহ বাড়ছে। যা ঘুগরা পোকাদের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
‘আমার অনুমান, আরও ‘১৭ বছরের’ ঘুগরা পোকা স্থায়ী ‘১৩ বছরের’ পোকায় পরিণত হবে,’ বলেন ক্রিস সিমনস, ‘অবশেষে বৈশিষ্ট্যটি জীনগতভাবে একীভূত হবে।"
অপর দিকে, ব্যাপকভাবে বন উজাড় হয়ে হারিয়ে গেছে বহু ঐতিহাসিক দল। তবে অবশিষ্ট দলগুলি শহরতলির পরিবেশে বেড়ে উঠছে যেখানে আলোকিত গাছগুলি তাদের ডিম পাড়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
তারপরে প্রাপ্তবয়স্করা মারা যায়, সদ্য ফোটা ঘুগরা পোকা গাছ থেকে পড়ে, মাটির নিচে গর্ত করে এবং চক্রটি নতুন করে শুরু হয়।

খুব চড়া শব্দে চিৎকার করে তারা, যৌন মিলনের জন্যও থাকে উত্তেজিত। এমন কোটি কোটি ঘুগরা পোকা বা উচ্চিংড়ের আবির্ভাব ঘটতে চলেছে মার্কিন মুল্লুকের বিভিন্ন শহরতলি ও বনভূমি। আবার এই পোকাদের দুটি ‘ব্রুড’ বা দলের উদ্ভব হতে যাচ্ছে একই সময়ে। এটা শেষ ঘটে ১৮০৩ সালে, যখন টমাস জেফারসন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স থেকে লুইজিয়ানা কিনে নেয়।
আর এমন একটি প্রাকৃতিক বিষয়ের সাক্ষী হওয়ার আশায় বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি রোমাঞ্চিত সাধারণ মানুষও। বিশ্বের ৩ হাজারটিরও বেশি কীটপতঙ্গ প্রজাতির বৈচিত্র্যময় পরিবারের সদস্য ঘুগরা পোকা। তাদের বেশিরভাগ জীবন পার করে লার্ভা অবস্থায় মাটির নিচে।
তারা রূপান্তরিত এবং মিলিত হওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে আবির্ভূত হয়। কিছু প্রজাতির মাটির নিচ থেকে উত্থান হওয়াটা বার্ষিক ঘটনা এবং অন্যগুলির, যেগুলি পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকা নামে পরিচিত, প্রতি ১৩ বা ১৭ বছরে উত্থান হয়। বিবর্তনের পরিষ্কার ব্যাখ্যা না থাকায় গণিতবিদরা কেন পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকারা মৌলিক সংখ্যা চক্র অনুসরণ করে এই প্রশ্নের জবাব পেতে আগ্রহী দীর্ঘদিন ধরেই।
বছরের এই সময়ে ১৩ বছরের চক্র মেনে চলা দলটি সাউথ ও নর্থ ক্যারোলিনায় উদ্ভব হতে শুরু করেছে। তারপর মধ্য পশ্চিম অঞ্চলে আবির্ভূত হবে ১৭ বছরের চক্র মেনে চলা দলটি। মধ্য ইলিনয়ের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় একই সঙ্গে এ দুটি দলেরই আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে।
‘যখন এরা আসে, বিপুল সংখ্যায় আসে। মা-বাবারা উত্তেজিত থাকে, তেমনি উত্তেজিত থাকে বাচ্চা-কাচ্চারা।’ বলেন মাউন্ট সেন্ট জোসেফ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গবিজ্ঞানী জেন ক্রিটস্কি।
এই ঘুগরা পোকার আবির্ভাবের সঙ্গে মানুষের অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে থাকে। লোকেরা স্পষ্টভাবে স্মরণ করতে পারে ঘুগরা পোকারা এলাকায় শেষবার যখন হাজির হয় তাঁরা তখন কোথায় ছিলেন। এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলি পারিবারিক গল্পগাথার অংশ হয়ে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে চলে যায়।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক জন লিল এএফপিকে বলেন, তুলনামূলকভাবে প্রতিরক্ষাহীন, পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকাদের শক্তি তাদের বিপুল সংখ্যায়। যা আবার পাখি, শিয়াল, র্যাকুন, কচ্ছপসহ অন্যান্য প্রাণীর ক্ষুধা মেটায়।
‘সায়েন্স ম্যাগাজিনে’ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে, লিল এবং তাঁর সহকর্মীরা বিস্তৃত ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্রের ওপর এর বেশ কয়েকটি বিস্তৃত প্রভাব প্রকাশ করেছেন।
২০২১ সালে ওয়াশিংটনে ঘুগরা পোকার ‘এক্স’ দলের আবির্ভাবের ফলাফল পরীক্ষা করে গবেষকেরা দেখেন এটি পাখিদের জন্য বিশাল এক ভোজের ব্যবস্থা করে। এ সময় শুয়াপোকার সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। কারণ পাখিরা ঘুগরা পোকা খাওয়াতেই বেশি মনোযোগী ছিল।
আর শুঁয়োপোকার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ওক চারা খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।
অন্যান্য নতুন গবেষণায় দেখা গেছে ঘুগরা পোকা আবির্ভাবের পর ঘড়ির কাঁটা অনুসরণ করে ঠিক দুই বছর পর প্রচুর ফল আসে ওক গাছে। এতে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের হয় পোয়া বারো। এটি মানুষের জন্য লাইম রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
লিল বলেন, ‘এখন অতিরিক্ত ফল আসার বিষয়টি কখন ঘটবে তা ঘুগরা পোকা নির্ধারণ করে। আর এই ফল আসার সঙ্গে যোগ আছে লাইম রোগটি কখন ঘটে তার। আর এগুলো ঘুগরা পোকা আবির্ভাবের পরের বছরগুলিতে ঘটা দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত প্রভাবগুলির একটি সারসংক্ষেপ’। বলেন লিল।
কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস সাইমন ঘুগরা পোকার ডিএনএর যে রাসায়নিক পরিবর্তনগুলি জীবনচক্রে প্রভাব ফেলে তা নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি সতর্ক করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন এ পোকাদের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভিদ জন্মানোর ঋতু দীর্ঘায়িত হয়ে খাদ্য সরবরাহ বাড়ছে। যা ঘুগরা পোকাদের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
‘আমার অনুমান, আরও ‘১৭ বছরের’ ঘুগরা পোকা স্থায়ী ‘১৩ বছরের’ পোকায় পরিণত হবে,’ বলেন ক্রিস সিমনস, ‘অবশেষে বৈশিষ্ট্যটি জীনগতভাবে একীভূত হবে।"
অপর দিকে, ব্যাপকভাবে বন উজাড় হয়ে হারিয়ে গেছে বহু ঐতিহাসিক দল। তবে অবশিষ্ট দলগুলি শহরতলির পরিবেশে বেড়ে উঠছে যেখানে আলোকিত গাছগুলি তাদের ডিম পাড়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
তারপরে প্রাপ্তবয়স্করা মারা যায়, সদ্য ফোটা ঘুগরা পোকা গাছ থেকে পড়ে, মাটির নিচে গর্ত করে এবং চক্রটি নতুন করে শুরু হয়।

খুব চড়া শব্দে চিৎকার করে তারা, যৌন মিলনের জন্যও থাকে উত্তেজিত। এমন কোটি কোটি ঘুগরা পোকা বা উচ্চিংড়ের আবির্ভাব ঘটতে চলেছে মার্কিন মুল্লুকের বিভিন্ন শহরতলি ও বনভূমি। আবার এই পোকাদের দুটি ‘ব্রুড’ বা দলের উদ্ভব হতে যাচ্ছে একই সময়ে। এটা শেষ ঘটে ১৮০৩ সালে, যখন টমাস জেফারসন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্স থেকে লুইজিয়ানা কিনে নেয়।
আর এমন একটি প্রাকৃতিক বিষয়ের সাক্ষী হওয়ার আশায় বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি রোমাঞ্চিত সাধারণ মানুষও। বিশ্বের ৩ হাজারটিরও বেশি কীটপতঙ্গ প্রজাতির বৈচিত্র্যময় পরিবারের সদস্য ঘুগরা পোকা। তাদের বেশিরভাগ জীবন পার করে লার্ভা অবস্থায় মাটির নিচে।
তারা রূপান্তরিত এবং মিলিত হওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে আবির্ভূত হয়। কিছু প্রজাতির মাটির নিচ থেকে উত্থান হওয়াটা বার্ষিক ঘটনা এবং অন্যগুলির, যেগুলি পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকা নামে পরিচিত, প্রতি ১৩ বা ১৭ বছরে উত্থান হয়। বিবর্তনের পরিষ্কার ব্যাখ্যা না থাকায় গণিতবিদরা কেন পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকারা মৌলিক সংখ্যা চক্র অনুসরণ করে এই প্রশ্নের জবাব পেতে আগ্রহী দীর্ঘদিন ধরেই।
বছরের এই সময়ে ১৩ বছরের চক্র মেনে চলা দলটি সাউথ ও নর্থ ক্যারোলিনায় উদ্ভব হতে শুরু করেছে। তারপর মধ্য পশ্চিম অঞ্চলে আবির্ভূত হবে ১৭ বছরের চক্র মেনে চলা দলটি। মধ্য ইলিনয়ের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় একই সঙ্গে এ দুটি দলেরই আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে।
‘যখন এরা আসে, বিপুল সংখ্যায় আসে। মা-বাবারা উত্তেজিত থাকে, তেমনি উত্তেজিত থাকে বাচ্চা-কাচ্চারা।’ বলেন মাউন্ট সেন্ট জোসেফ বিশ্ববিদ্যালয়ের পতঙ্গবিজ্ঞানী জেন ক্রিটস্কি।
এই ঘুগরা পোকার আবির্ভাবের সঙ্গে মানুষের অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে থাকে। লোকেরা স্পষ্টভাবে স্মরণ করতে পারে ঘুগরা পোকারা এলাকায় শেষবার যখন হাজির হয় তাঁরা তখন কোথায় ছিলেন। এই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলি পারিবারিক গল্পগাথার অংশ হয়ে, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে চলে যায়।
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক জন লিল এএফপিকে বলেন, তুলনামূলকভাবে প্রতিরক্ষাহীন, পর্যায়ক্রমিক ঘুগরা পোকাদের শক্তি তাদের বিপুল সংখ্যায়। যা আবার পাখি, শিয়াল, র্যাকুন, কচ্ছপসহ অন্যান্য প্রাণীর ক্ষুধা মেটায়।
‘সায়েন্স ম্যাগাজিনে’ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে, লিল এবং তাঁর সহকর্মীরা বিস্তৃত ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্রের ওপর এর বেশ কয়েকটি বিস্তৃত প্রভাব প্রকাশ করেছেন।
২০২১ সালে ওয়াশিংটনে ঘুগরা পোকার ‘এক্স’ দলের আবির্ভাবের ফলাফল পরীক্ষা করে গবেষকেরা দেখেন এটি পাখিদের জন্য বিশাল এক ভোজের ব্যবস্থা করে। এ সময় শুয়াপোকার সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। কারণ পাখিরা ঘুগরা পোকা খাওয়াতেই বেশি মনোযোগী ছিল।
আর শুঁয়োপোকার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ওক চারা খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।
অন্যান্য নতুন গবেষণায় দেখা গেছে ঘুগরা পোকা আবির্ভাবের পর ঘড়ির কাঁটা অনুসরণ করে ঠিক দুই বছর পর প্রচুর ফল আসে ওক গাছে। এতে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের হয় পোয়া বারো। এটি মানুষের জন্য লাইম রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
লিল বলেন, ‘এখন অতিরিক্ত ফল আসার বিষয়টি কখন ঘটবে তা ঘুগরা পোকা নির্ধারণ করে। আর এই ফল আসার সঙ্গে যোগ আছে লাইম রোগটি কখন ঘটে তার। আর এগুলো ঘুগরা পোকা আবির্ভাবের পরের বছরগুলিতে ঘটা দীর্ঘমেয়াদি পরিবেশগত প্রভাবগুলির একটি সারসংক্ষেপ’। বলেন লিল।
কানেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস সাইমন ঘুগরা পোকার ডিএনএর যে রাসায়নিক পরিবর্তনগুলি জীবনচক্রে প্রভাব ফেলে তা নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি সতর্ক করেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন এ পোকাদের অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভিদ জন্মানোর ঋতু দীর্ঘায়িত হয়ে খাদ্য সরবরাহ বাড়ছে। যা ঘুগরা পোকাদের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে।
‘আমার অনুমান, আরও ‘১৭ বছরের’ ঘুগরা পোকা স্থায়ী ‘১৩ বছরের’ পোকায় পরিণত হবে,’ বলেন ক্রিস সিমনস, ‘অবশেষে বৈশিষ্ট্যটি জীনগতভাবে একীভূত হবে।"
অপর দিকে, ব্যাপকভাবে বন উজাড় হয়ে হারিয়ে গেছে বহু ঐতিহাসিক দল। তবে অবশিষ্ট দলগুলি শহরতলির পরিবেশে বেড়ে উঠছে যেখানে আলোকিত গাছগুলি তাদের ডিম পাড়ার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
তারপরে প্রাপ্তবয়স্করা মারা যায়, সদ্য ফোটা ঘুগরা পোকা গাছ থেকে পড়ে, মাটির নিচে গর্ত করে এবং চক্রটি নতুন করে শুরু হয়।

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৬ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

খুব চড়া শব্দে চিৎকার করে তারা। মিলনের জন্যও থাকে উত্তেজিত। এমন কোটি কোটি ঘুগরা পোকার আবির্ভাব ঘটতে চলেছে মার্কিন মুল্লুকের বিভিন্ন শহরতলি ও বনভূমি। আবার এই পোকাদের দুটি ‘ব্রুড’ বা দলের উদ্ভব হতে যাচ্ছে একই সময়ে। এটা শেষ ঘটে ১৮০৩ সালে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বায়ুদূষণের ফলে অঞ্চলটির অর্থনীতিতে বছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১০ শতাংশের সমপরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে। এই দূষণের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশও।
বিশ্বব্যাংকের ‘এ ব্রেথ অব চেঞ্জ: সলিউশনস ফর ক্লিনার এয়ার ইন দ্য ইন্দো-গেঞ্জেটিক প্লেইনস অ্যান্ড হিমালয়ান ফুটহিলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইজিপি-এইচএফ অঞ্চলে বায়ুদূষণ এখনো অন্যতম বড় উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। সমন্বিত ও বাস্তবভিত্তিক কিছু পদক্ষেপ নিলে দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এতে একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুটোরই উন্নতি হবে।
গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও ভুটানের অংশবিশেষ। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের বায়ুদূষণের প্রধান পাঁচটি উৎস রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রান্না ও ঘর গরম করার কাজে লাকড়িজাতীয় কঠিন বস্তু ব্যবহার, শিল্পকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানি (তেল, গ্যাস, কয়লা) ও বায়োম্যাসের ফিল্টার ছাড়া অদক্ষ ব্যবহার, অনুন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনের যানবাহন চালানো, কৃষকদের খেতের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং রাসায়নিক সার ও গোবরের অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গৃহস্থালি ও কারখানার বর্জ্য পোড়ানো।
দূষণ কমাতে কয়েকটি তুলনামূলকভাবে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কৌশলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এগুলো হলো–বৈদ্যুতিক চুলায় রান্না, শিল্পকারখানার বয়লার, ফার্নেস ও ইটভাটার আধুনিকায়ন, নন-মোটরাইজড ও বৈদ্যুতিক পরিবহনব্যবস্থার প্রসার, কৃষিবর্জ্য ও পশুবর্জ্যের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং বর্জ্য পৃথক্করণ ও পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।
প্রতিবেদনে নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার কৌশলকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. দূষণের উৎসেই নির্গমন কমানোর ব্যবস্থা। ২. স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া। ৩. কার্যকর আইন, বাজারভিত্তিক প্রণোদনা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, ‘নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার সমাধানগুলো বাস্তবসম্মত ও কার্যকর। নীতিনির্ধারকদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ দেয়। একই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার পরিবার, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের জন্য পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে আর্থিক ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক সুযোগ তৈরি করে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্মল বায়ু নিশ্চিত করতে ‘চারটি আই’ (ইংরেজি আদ্যক্ষর)—তথ্য, প্রণোদনা, প্রতিষ্ঠান এবং অবকাঠামোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। নির্ভরযোগ্য তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা, পরিচ্ছন্ন বিকল্পে বিনিয়োগে প্রণোদনা, কার্যকর প্রতিষ্ঠান এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো গড়ে তোলাই এই রূপান্তরের মূল চাবিকাঠি।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিবেশবিষয়ক প্র্যাকটিস ম্যানেজার অ্যান জিনেট গ্লাউবার বলেন, স্থানীয় থেকে আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া নির্মল বায়ু অর্জন সম্ভব নয়। সরকারগুলো একসঙ্গে কাজ করলেই কেবল দূষণ কমানো, লাখো মানুষের জীবন রক্ষা এবং সবার জন্য নিরাপদ বায়ু নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

খুব চড়া শব্দে চিৎকার করে তারা। মিলনের জন্যও থাকে উত্তেজিত। এমন কোটি কোটি ঘুগরা পোকার আবির্ভাব ঘটতে চলেছে মার্কিন মুল্লুকের বিভিন্ন শহরতলি ও বনভূমি। আবার এই পোকাদের দুটি ‘ব্রুড’ বা দলের উদ্ভব হতে যাচ্ছে একই সময়ে। এটা শেষ ঘটে ১৮০৩ সালে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

খুব চড়া শব্দে চিৎকার করে তারা। মিলনের জন্যও থাকে উত্তেজিত। এমন কোটি কোটি ঘুগরা পোকার আবির্ভাব ঘটতে চলেছে মার্কিন মুল্লুকের বিভিন্ন শহরতলি ও বনভূমি। আবার এই পোকাদের দুটি ‘ব্রুড’ বা দলের উদ্ভব হতে যাচ্ছে একই সময়ে। এটা শেষ ঘটে ১৮০৩ সালে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

খুব চড়া শব্দে চিৎকার করে তারা। মিলনের জন্যও থাকে উত্তেজিত। এমন কোটি কোটি ঘুগরা পোকার আবির্ভাব ঘটতে চলেছে মার্কিন মুল্লুকের বিভিন্ন শহরতলি ও বনভূমি। আবার এই পোকাদের দুটি ‘ব্রুড’ বা দলের উদ্ভব হতে যাচ্ছে একই সময়ে। এটা শেষ ঘটে ১৮০৩ সালে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানী ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি ও হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নিয়মিত অস্বাস্থ্যকর বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছে। এতে বছরে এই অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে।
১২ ঘণ্টা আগে
বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে...
১ দিন আগে