নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে চলমান এই তীব্র গরম থেকে এখনই পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা বলছে, এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলবে। উইন্ডি বলছে, আগামী ১০ দিন দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
৪০ ডিগ্রির ওপরে ১২ জেলা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে দেশে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এদিন এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুধু এই তিন জেলাই নয়, গতকাল দেশের ১২টি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি ছিল। এর মধ্যে যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ তিন এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি ছিল। অপর এলাকাটি হলো পাবনার ঈশ্বরদী। এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, খুলনা, বাগেরহাটের মোংলায় ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। আর ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ছিল ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা তীব্র তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি জাকির হোসেন (৩৩) গতকাল সকালে ধানখেতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি হিট স্ট্রেক আক্রান্ত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত গরমে তাঁর হিট স্ট্রোক হয়েছিল।
এদিকে দুপুরে পাবনা শহরের রূপকথা রোডে চা পানের সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা সুকুমার দাস (৬০)। উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
এই অবস্থায় গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কারণ, তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এ সময় পানি না খেলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
যশোরে তাপে গলছে পিচ
এক সপ্তাহ ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তিন দিন আগে ১৮ এপ্রিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে গতকাল আবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র গরমে যশোর-নড়াইল, যশোর-ঝিনাইদহ ও যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের কিছু কিছু স্থানে সড়কের পিচ গলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে পিচ গলার কথা। কিন্তু তার অনেক আগেই পিচ গলে যাচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোর-নড়াইল সড়কের যেসব স্থানে বিটুমিনের পরিমাণ বেশি পড়েছে, প্রচণ্ড গরমে সেসব জায়গা গলে যাচ্ছে। এ জন্য সড়কের গলে যাওয়া স্থানে বালু ও নুড়িপাথর দেওয়া হচ্ছে, যাতে গলে যাওয়া পিচ আগের অবস্থায় থাকে।
তাপপ্রবাহ চলবে আরও কয়েক দিন
চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তাও (হিট অ্যালার্ট) আজ রোববার পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। গতকাল ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলেছে, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের কিছু জেলা এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। জারি করা হিট অ্যালার্টেও আপাতত কোনো পরিবর্তন আসছে না। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী চেক প্রজাতন্ত্রভিত্তিক ওয়েবসাইট উইন্ডির তথ্য বলছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাকিস্তানের একাংশ, ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে। বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় কোনো মেঘমালা গতকাল পর্যন্ত ছিল না। আগামী মঙ্গলবার থেকে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও আন্দামান সাগরে মেঘমালা তৈরি হতে শুরু করবে। ১০ দিন পর গিয়ে সেই মেঘমালা উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে। তার আগে ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিপর্যস্ত জনজীবন
এদিকে টানা তীব্র গরমে ও তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতির ঝুঁকিতে ধানসহ মাঠের ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। চুয়াডাঙ্গা শহরের গৃহিণী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘গরমে ট্যাংকের পানিও গরম হয়ে গেছে।’ মেহেরপুরের গাংনী শহরের অটোরিকশাচালক মো. আরেফিন ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। মানুষ খুব একটা বের হচ্ছে না।
তীব্র গরমে ফল-ফসলের ক্ষতি থেকে বাঁচতে বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব অঞ্চলে (পাহাড়ি ও বরেন্দ্র) তীব্র পানির সংকট ও তাপপ্রবাহ, সেখানে গাছে সকালে অথবা বিকেলে পানি স্প্রে করা যেতে পারে। মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে ফলন্ত গাছে ৭-১০ দিন অন্তর সেচ দিতে হবে। না হলে আম, লিচু, কাঁঠাল এ সময় তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঝরে পড়বে। প্রয়োজন অনুযায়ী সারও দিতে হবে।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলেরও ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এদিকে চলমান এই তীব্র গরম থেকে এখনই পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। তারা বলছে, এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলবে। উইন্ডি বলছে, আগামী ১০ দিন দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।
৪০ ডিগ্রির ওপরে ১২ জেলা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মৌসুমে দেশে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এদিন এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুধু এই তিন জেলাই নয়, গতকাল দেশের ১২টি জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি ছিল। এর মধ্যে যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ তিন এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি বা তার বেশি ছিল। অপর এলাকাটি হলো পাবনার ঈশ্বরদী। এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, খুলনা, বাগেরহাটের মোংলায় ও কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। আর ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা ছিল ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা মাঝারি তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা তীব্র তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়ালে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি জাকির হোসেন (৩৩) গতকাল সকালে ধানখেতে সেচ দিতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি হিট স্ট্রেক আক্রান্ত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হেলেনা আক্তার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত গরমে তাঁর হিট স্ট্রোক হয়েছিল।
এদিকে দুপুরে পাবনা শহরের রূপকথা রোডে চা পানের সময় হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা সুকুমার দাস (৬০)। উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
এই অবস্থায় গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গরমে সুস্থ থাকতে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। কারণ, তীব্র গরমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। এ সময় পানি না খেলে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।
যশোরে তাপে গলছে পিচ
এক সপ্তাহ ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তিন দিন আগে ১৮ এপ্রিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে গতকাল আবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র গরমে যশোর-নড়াইল, যশোর-ঝিনাইদহ ও যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের কিছু কিছু স্থানে সড়কের পিচ গলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে পিচ গলার কথা। কিন্তু তার অনেক আগেই পিচ গলে যাচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, যশোর-নড়াইল সড়কের যেসব স্থানে বিটুমিনের পরিমাণ বেশি পড়েছে, প্রচণ্ড গরমে সেসব জায়গা গলে যাচ্ছে। এ জন্য সড়কের গলে যাওয়া স্থানে বালু ও নুড়িপাথর দেওয়া হচ্ছে, যাতে গলে যাওয়া পিচ আগের অবস্থায় থাকে।
তাপপ্রবাহ চলবে আরও কয়েক দিন
চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তাও (হিট অ্যালার্ট) আজ রোববার পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। গতকাল ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলেছে, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের কিছু জেলা এবং বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। জারি করা হিট অ্যালার্টেও আপাতত কোনো পরিবর্তন আসছে না। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী চেক প্রজাতন্ত্রভিত্তিক ওয়েবসাইট উইন্ডির তথ্য বলছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাকিস্তানের একাংশ, ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে। বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় কোনো মেঘমালা গতকাল পর্যন্ত ছিল না। আগামী মঙ্গলবার থেকে বঙ্গোপসাগর, আরব সাগর ও আন্দামান সাগরে মেঘমালা তৈরি হতে শুরু করবে। ১০ দিন পর গিয়ে সেই মেঘমালা উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করবে। তার আগে ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিপর্যস্ত জনজীবন
এদিকে টানা তীব্র গরমে ও তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ক্ষতির ঝুঁকিতে ধানসহ মাঠের ফসল। কাজ কম থাকায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। চুয়াডাঙ্গা শহরের গৃহিণী তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘গরমে ট্যাংকের পানিও গরম হয়ে গেছে।’ মেহেরপুরের গাংনী শহরের অটোরিকশাচালক মো. আরেফিন ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত গরমে যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। মানুষ খুব একটা বের হচ্ছে না।
তীব্র গরমে ফল-ফসলের ক্ষতি থেকে বাঁচতে বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব অঞ্চলে (পাহাড়ি ও বরেন্দ্র) তীব্র পানির সংকট ও তাপপ্রবাহ, সেখানে গাছে সকালে অথবা বিকেলে পানি স্প্রে করা যেতে পারে। মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে ফলন্ত গাছে ৭-১০ দিন অন্তর সেচ দিতে হবে। না হলে আম, লিচু, কাঁঠাল এ সময় তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঝরে পড়বে। প্রয়োজন অনুযায়ী সারও দিতে হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ।
৭ ঘণ্টা আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৩ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাস আসতে আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। কিন্তু রাজধানী ঢাকায় এখনো পুরোপুরি শীতের আমেজ পড়েনি। আজ সোমবার ভোরবেলা ঢাকায় সামান্য কুয়াশার সঙ্গে ছিল হালকা শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৯ মিনিটে।

পৌষ মাস আসতে আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। কিন্তু রাজধানী ঢাকায় এখনো পুরোপুরি শীতের আমেজ পড়েনি। আজ সোমবার ভোরবেলা ঢাকায় সামান্য কুয়াশার সঙ্গে ছিল হালকা শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৯ মিনিটে।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলের
২১ এপ্রিল ২০২৪
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৩ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
আর শীর্ষে থাকা বাগদাদের বায়ুমান ২৬৮, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৯, ২০৮ ও ২০৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
আর শীর্ষে থাকা বাগদাদের বায়ুমান ২৬৮, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৯, ২০৮ ও ২০৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলের
২১ এপ্রিল ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ।
৭ ঘণ্টা আগে
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৩ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলের
২১ এপ্রিল ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ।
৭ ঘণ্টা আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। যেন বৈশাখের সূর্য আগুন ঝরাচ্ছে। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! বিপর্যস্ত জনজীবন। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই চড়ছে। পুড়ছে গোটা দেশ। এর প্রভাবে হিট স্ট্রোকে পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গরমজনিত রোগে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ। অতিরিক্ত গরমে ফল-ফসলের
২১ এপ্রিল ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ।
৭ ঘণ্টা আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৩ দিন আগে