মীর রাকিব হাসান

ঢাকা: বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে।
নেটিজেনদের কেউ কেউ চঞ্চলের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তবে অধিকাংশই এসব বিরূপ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। ধর্ম নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠতেই অস্বস্তি প্রকাশ করেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই অভিনেতা। প্রতিবাদও করেছেন। জানিয়ে দেন-ধর্ম নয়, মানুষ হিসেবেই তাঁর আসল পরিচয়।
ধিক্কার জানাই। মনে রাখবেন, এই দেশে মীর সাব্বির যেভাবে বড় হয়েছে চঞ্চলও একইভাবে বড় হয়েছেন।
—মীর সাব্বির, অভিনেতা
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু চঞ্চল চৌধুরীই নন। অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনাও তাঁর মাকে নিয়ে ফেসবুকে ছবি দিলে এমন খারাপ মন্তব্যের শিকার হন। সিয়াম আহমেদ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। সেখানেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটু মন্তব্যের শিকার হতে হয় কমবেশি সবাইকেই। তারকা হলে তো কথাই নেই! একটি সেলফিই হয়ত দিয়েছেন। মুহূর্তেই একদল এসে জানিয়ে দেবে, দেখতে আপনি কুৎসিত! আপনাকে কারও ভালো না লাগতেই পারে। কিন্তু সেটা বলার ভাষা এমন! কেউ আপনার ইহকাল-পরকাল নিয়ে চিন্তিত হয়ে নানা উপদেশ বিলিয়ে যাবে।
স্নেহের চঞ্চল চৌধুরী, কতিপয় আকাট মূর্খের সাম্প্রদায়িক উক্তিতে মন খারাপ করো না। আমরা তোমাকে ভালোবাসি
—নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কারও মা, কারও স্ত্রী, কারও স্বামী, কারও শরীরের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, কারও বর্ণ, কারও ধর্ম, কারও ব্যক্তিগত জীবন, কারও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, কারও অর্জন, কারও প্রত্যাশা, কারও ব্যক্তিগত মতামত-এগুলোর কোনকিছুই রেহাই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, সবখানেই আছে এই কটুক্তিকারীরা। তুলনামূলক বিচার করলে বোঝা যায়, অসুস্থ চর্চাটা এই অঞ্চলেই বেশি। তারকা যেহেতু, সবসময় পাল্টা মন্তব্যও করতে পারছেন না তাঁরা। চারপাশের এমন নেতিবাচকতা ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দেয়, আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেয়।
এমনও হয়েছে এই কারণে গত বছর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মডেল-অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোবিদের। একবার নাকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন! চিকিৎসকের পরামর্শে দূরে আছেন ফেসবুক টুইটার থেকে। বেশির ভাগ মডেল-অভিনেত্রী একবাক্যে বলেন, ‘এসবে পাত্তা দেই না।’ কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়।
চঞ্চল, ভাবনা বা আমাদের সবার এমন অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু আমরা কি কেউ একটুও কথা বলতে পারি না? সাইবারে এই ঘৃণা কি কেবল আমাদের জন্য? আমি লজ্জিত, আমি বিব্রত।
—বন্যা মির্জা, অভিনেত্রী
আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই ‘পাত্তা না দেওয়া’র অবস্থানে এসেছেন তাঁরা। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, জয়া আহসান, শবনম বুবলী, মেহজাবীন চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, নুসরাত ফারিয়া, শবনম ফারিয়া, ভাবনা, জেসিয়া ইসলাম, তানজিন তিশা বা নায়লা নাঈমদের পাবলিক পোস্টের নিচে যেসব মন্তব্য আসে, সেগুলোর বেশিরভাগই উপদেশমূলক, অশালীন ও অপমানজনক।
যারা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন, সেই জনপ্রিয় ব্যক্তিটির মুখোমুখি হলে এরা সরাসরি কিছুই বলতে পারবেন না। উল্টো হয়ত অটোগ্রাফ-সেলফি তুলতে চাইবেন। এসব মন্তব্য কারা করেন? কেন করেন? সাধারণত যে উত্তরটা আসে, ‘অশিক্ষিত মূর্খরা করেন। অপ্রস্তুত একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতে ইন্টারনেট চলে যাওয়ার ফল হচ্ছে এসব।’
ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ, আমি হিন্দু নাকি মুসলিম! তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কি? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এসব রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সবক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই।
—চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
কথাটা অনেকাংশেই সত্য। কিন্তু পুরোপুরি নয়। অল্প জানাশোনা মানুষদের ওপর দোষ চাপিয়ে আসলে আড়াল করা হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের মানসিকতাকে। সমস্যাটা আসলে আমাদের সবার মধ্যেই। অন্যের ভালো-মন্দে দখলদারি করতে আমরা কে না ভালোবাসি! কারও কিছু পছন্দ না-ই হতে পারে, সেটা জানানোও যেতে পারে।
কিন্তু কাউকে নিজের মতো হওয়ার পরামর্শ দিতে পারি না আমরা! কটু মন্তব্যকারীদের সবাই ‘অশিক্ষিত’-‘মূর্খ’ নয়, তাঁদের প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনেকেই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন তাঁরা।
মন্তব্য ডিলিট করি নাসোহানা সাবা, অভিনেত্রী
অনেক তারকাই ফেসবুকে মন্তব্যের ঘর বন্ধ রাখেন। আমারটা খোলা থাকে। কারণ এসব কটুক্তিকে আমি কেয়ার করি না। বাজে মন্তব্যকারীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব করে তা নয়। পত্রিকার নিউজের নিচেও অনেকে অনেক ধরণের মন্তব্য করে। ফেসবুকে আমি সাহসী ছবি পোস্ট করি। অনেক ইস্যু নিয়ে বলি। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করে।
আমার মাকেও এরা ছাড়ল না। আমার হাতাকাটা ব্লাউজ নিয়ে তাঁদের কথা, আমার মা কেন টিপ পরল, আমার মা হিন্দু। আমার মা হিন্দু হোক আর মুসলিম হোক তবে সে মানুষ। আমার মার ওড়না দেখা যাচ্ছে না কেন? এরাই ধর্ষক। মানুষ কারও মাকে নিয়ে এমন নোংরামি করতে পারে?
—আশনা হাবিব ভাবনা, অভিনেত্রী
তবে নেগেটিভ হলেই ডিলিট করি না। উত্তর দেওয়ার দরকার মনে করি না। দুএকজন আছে যাদের উত্তর দেই, ‘আপনি একটা গাধা। আপনার আয়োডিনের অভাব আছে।’ এসব বলে ব্লক করে দেই, কিন্তু তার সেই মন্তব্য ডিলিট করি না। আমার রিঅ্যাকশন অন্যরাও দেখুক।
বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবেঅপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী
অনেক সময়ই দেখি, কেউ একজন খুব বাজে মন্তব্য করল। প্রোফাইলে গিয়ে দেখি সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। এতটুকু বাচ্চা ছেলে পড়াশোনা না করে ফেসবুকে এসে এসব করে বেড়ায়! ওর বোন বা মা যদি দেখে তাঁদের আদরের ছেলের কাণ্ড! নিশ্চিত তাঁরা মানতে পারবেন না। এমন বাজেভাবে একজনকে নিয়ে কেউ ভাবতে পারে!
অনেক সময়ই মনে হয় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেই, দেখা যাবে ওর ক্যারিয়ারে সেটার প্রভাব পড়বে। ওর মন্তব্যে আমার জীবনে যতটা না প্রভাব পড়েছে তারচেয়ে ওর বেশিই পড়বে। আমি মনে করি, বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবে। বুঝবে ওরা একজন মানুষকে কতটা আঘাত করছে।
ইগনোর করাটা সমাধান নয়শবনম ফারিয়া, অভিনেত্রী
খুব খারাপ লাগে, যখন আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা এসব মন্তব্য দেখে। ওরা আসলেই আপসেট হয়ে যায়। বিশেষ করে আমার দুই বোন, হাজবেন্ড। এটা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’কে আরও অ্যাকটিভ হতে হবে। কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়া গেলে অনেকের শিক্ষা হতো।
চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি জনৈক ধর্ম-গাধার ঘৃণিত মন্তব্যে একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি লজ্জ্বিত। অপমানিত। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্র আর অসভ্য সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
—আসিফ আকবর, গায়ক
অনেকেই আমাকে বলে, এসব ইগনোর করে যাও। কথা বললে, ওরা মজা পেয়ে আরও করে। এটা আমি করেছিও। একসময় আমি মন্তব্য মুছে দিতাম। কিন্তু এটা তো সমাধান নয়।
আজ তাঁকে ব্লক করে দিলাম, কালকে সে সাফা কবিরের পেজে গিয়ে বাজে মন্তব্য করবে। সাফা ব্লক করে দিল তো মেহজাবীনের পেজে গিয়ে করবে।
অনলাইনের যত অপরাধ কার্যক্রম হয়, সেগুলো দেখভাল করে ঢাকা মেট্রো পুলিশের ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’। হ্যাকিংসহ বড় ধরণের অপরাধ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁদের। তবে কটু মন্তব্যকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। রাস্তার ইভটিজার আর অনলাইনে অশালীন কটু মন্তব্যকারী—দুজনের অপরাধ প্রায় একই।
যারা নিয়মিত কটূক্তি করে বেড়ায় তাঁদেরকে সাজা দিলে হয়ত অন্যরাও সতর্ক হবে।
এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও পরিমিত শালীনতা লক্ষণীয়; তা মুষ্টিমেয় কিছু বিচ্যুত মানুষ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আমাদের প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও প্রিয় অভিনেত্রী ভাবনাকে নিয়ে যেসব অযাচিত, অনভিপ্রেত ও অশালীন কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হয়েছে; তা সীমা অতিক্রান্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই বিষবাষ্পকে এখনই প্রতিকার করতে না পারলে সাইবার রিজিলিয়েন্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের ধুঁকতে হবে এটা নিশ্চিত।
আশার কথা হচ্ছে, অসংখ্য নেটিজেন এসব বাজে কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা ইঙ্কলুসিভ সমাজের জয়গান গেয়েছেন। সম্মানিত নেটিজেনদের এই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাই। দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ পুলিশ অবশ্যই এই বিষবাষ্পের মূলোৎপাটন করবে। আমরা খুব শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম
মা দিবস সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ঢাকা: বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে।
নেটিজেনদের কেউ কেউ চঞ্চলের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তবে অধিকাংশই এসব বিরূপ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। ধর্ম নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠতেই অস্বস্তি প্রকাশ করেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই অভিনেতা। প্রতিবাদও করেছেন। জানিয়ে দেন-ধর্ম নয়, মানুষ হিসেবেই তাঁর আসল পরিচয়।
ধিক্কার জানাই। মনে রাখবেন, এই দেশে মীর সাব্বির যেভাবে বড় হয়েছে চঞ্চলও একইভাবে বড় হয়েছেন।
—মীর সাব্বির, অভিনেতা
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু চঞ্চল চৌধুরীই নন। অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনাও তাঁর মাকে নিয়ে ফেসবুকে ছবি দিলে এমন খারাপ মন্তব্যের শিকার হন। সিয়াম আহমেদ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। সেখানেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটু মন্তব্যের শিকার হতে হয় কমবেশি সবাইকেই। তারকা হলে তো কথাই নেই! একটি সেলফিই হয়ত দিয়েছেন। মুহূর্তেই একদল এসে জানিয়ে দেবে, দেখতে আপনি কুৎসিত! আপনাকে কারও ভালো না লাগতেই পারে। কিন্তু সেটা বলার ভাষা এমন! কেউ আপনার ইহকাল-পরকাল নিয়ে চিন্তিত হয়ে নানা উপদেশ বিলিয়ে যাবে।
স্নেহের চঞ্চল চৌধুরী, কতিপয় আকাট মূর্খের সাম্প্রদায়িক উক্তিতে মন খারাপ করো না। আমরা তোমাকে ভালোবাসি
—নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কারও মা, কারও স্ত্রী, কারও স্বামী, কারও শরীরের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, কারও বর্ণ, কারও ধর্ম, কারও ব্যক্তিগত জীবন, কারও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, কারও অর্জন, কারও প্রত্যাশা, কারও ব্যক্তিগত মতামত-এগুলোর কোনকিছুই রেহাই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, সবখানেই আছে এই কটুক্তিকারীরা। তুলনামূলক বিচার করলে বোঝা যায়, অসুস্থ চর্চাটা এই অঞ্চলেই বেশি। তারকা যেহেতু, সবসময় পাল্টা মন্তব্যও করতে পারছেন না তাঁরা। চারপাশের এমন নেতিবাচকতা ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দেয়, আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেয়।
এমনও হয়েছে এই কারণে গত বছর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মডেল-অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোবিদের। একবার নাকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন! চিকিৎসকের পরামর্শে দূরে আছেন ফেসবুক টুইটার থেকে। বেশির ভাগ মডেল-অভিনেত্রী একবাক্যে বলেন, ‘এসবে পাত্তা দেই না।’ কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়।
চঞ্চল, ভাবনা বা আমাদের সবার এমন অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু আমরা কি কেউ একটুও কথা বলতে পারি না? সাইবারে এই ঘৃণা কি কেবল আমাদের জন্য? আমি লজ্জিত, আমি বিব্রত।
—বন্যা মির্জা, অভিনেত্রী
আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই ‘পাত্তা না দেওয়া’র অবস্থানে এসেছেন তাঁরা। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, জয়া আহসান, শবনম বুবলী, মেহজাবীন চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, নুসরাত ফারিয়া, শবনম ফারিয়া, ভাবনা, জেসিয়া ইসলাম, তানজিন তিশা বা নায়লা নাঈমদের পাবলিক পোস্টের নিচে যেসব মন্তব্য আসে, সেগুলোর বেশিরভাগই উপদেশমূলক, অশালীন ও অপমানজনক।
যারা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন, সেই জনপ্রিয় ব্যক্তিটির মুখোমুখি হলে এরা সরাসরি কিছুই বলতে পারবেন না। উল্টো হয়ত অটোগ্রাফ-সেলফি তুলতে চাইবেন। এসব মন্তব্য কারা করেন? কেন করেন? সাধারণত যে উত্তরটা আসে, ‘অশিক্ষিত মূর্খরা করেন। অপ্রস্তুত একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতে ইন্টারনেট চলে যাওয়ার ফল হচ্ছে এসব।’
ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ, আমি হিন্দু নাকি মুসলিম! তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কি? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এসব রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সবক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই।
—চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
কথাটা অনেকাংশেই সত্য। কিন্তু পুরোপুরি নয়। অল্প জানাশোনা মানুষদের ওপর দোষ চাপিয়ে আসলে আড়াল করা হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের মানসিকতাকে। সমস্যাটা আসলে আমাদের সবার মধ্যেই। অন্যের ভালো-মন্দে দখলদারি করতে আমরা কে না ভালোবাসি! কারও কিছু পছন্দ না-ই হতে পারে, সেটা জানানোও যেতে পারে।
কিন্তু কাউকে নিজের মতো হওয়ার পরামর্শ দিতে পারি না আমরা! কটু মন্তব্যকারীদের সবাই ‘অশিক্ষিত’-‘মূর্খ’ নয়, তাঁদের প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনেকেই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন তাঁরা।
মন্তব্য ডিলিট করি নাসোহানা সাবা, অভিনেত্রী
অনেক তারকাই ফেসবুকে মন্তব্যের ঘর বন্ধ রাখেন। আমারটা খোলা থাকে। কারণ এসব কটুক্তিকে আমি কেয়ার করি না। বাজে মন্তব্যকারীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব করে তা নয়। পত্রিকার নিউজের নিচেও অনেকে অনেক ধরণের মন্তব্য করে। ফেসবুকে আমি সাহসী ছবি পোস্ট করি। অনেক ইস্যু নিয়ে বলি। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করে।
আমার মাকেও এরা ছাড়ল না। আমার হাতাকাটা ব্লাউজ নিয়ে তাঁদের কথা, আমার মা কেন টিপ পরল, আমার মা হিন্দু। আমার মা হিন্দু হোক আর মুসলিম হোক তবে সে মানুষ। আমার মার ওড়না দেখা যাচ্ছে না কেন? এরাই ধর্ষক। মানুষ কারও মাকে নিয়ে এমন নোংরামি করতে পারে?
—আশনা হাবিব ভাবনা, অভিনেত্রী
তবে নেগেটিভ হলেই ডিলিট করি না। উত্তর দেওয়ার দরকার মনে করি না। দুএকজন আছে যাদের উত্তর দেই, ‘আপনি একটা গাধা। আপনার আয়োডিনের অভাব আছে।’ এসব বলে ব্লক করে দেই, কিন্তু তার সেই মন্তব্য ডিলিট করি না। আমার রিঅ্যাকশন অন্যরাও দেখুক।
বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবেঅপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী
অনেক সময়ই দেখি, কেউ একজন খুব বাজে মন্তব্য করল। প্রোফাইলে গিয়ে দেখি সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। এতটুকু বাচ্চা ছেলে পড়াশোনা না করে ফেসবুকে এসে এসব করে বেড়ায়! ওর বোন বা মা যদি দেখে তাঁদের আদরের ছেলের কাণ্ড! নিশ্চিত তাঁরা মানতে পারবেন না। এমন বাজেভাবে একজনকে নিয়ে কেউ ভাবতে পারে!
অনেক সময়ই মনে হয় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেই, দেখা যাবে ওর ক্যারিয়ারে সেটার প্রভাব পড়বে। ওর মন্তব্যে আমার জীবনে যতটা না প্রভাব পড়েছে তারচেয়ে ওর বেশিই পড়বে। আমি মনে করি, বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবে। বুঝবে ওরা একজন মানুষকে কতটা আঘাত করছে।
ইগনোর করাটা সমাধান নয়শবনম ফারিয়া, অভিনেত্রী
খুব খারাপ লাগে, যখন আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা এসব মন্তব্য দেখে। ওরা আসলেই আপসেট হয়ে যায়। বিশেষ করে আমার দুই বোন, হাজবেন্ড। এটা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’কে আরও অ্যাকটিভ হতে হবে। কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়া গেলে অনেকের শিক্ষা হতো।
চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি জনৈক ধর্ম-গাধার ঘৃণিত মন্তব্যে একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি লজ্জ্বিত। অপমানিত। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্র আর অসভ্য সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
—আসিফ আকবর, গায়ক
অনেকেই আমাকে বলে, এসব ইগনোর করে যাও। কথা বললে, ওরা মজা পেয়ে আরও করে। এটা আমি করেছিও। একসময় আমি মন্তব্য মুছে দিতাম। কিন্তু এটা তো সমাধান নয়।
আজ তাঁকে ব্লক করে দিলাম, কালকে সে সাফা কবিরের পেজে গিয়ে বাজে মন্তব্য করবে। সাফা ব্লক করে দিল তো মেহজাবীনের পেজে গিয়ে করবে।
অনলাইনের যত অপরাধ কার্যক্রম হয়, সেগুলো দেখভাল করে ঢাকা মেট্রো পুলিশের ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’। হ্যাকিংসহ বড় ধরণের অপরাধ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁদের। তবে কটু মন্তব্যকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। রাস্তার ইভটিজার আর অনলাইনে অশালীন কটু মন্তব্যকারী—দুজনের অপরাধ প্রায় একই।
যারা নিয়মিত কটূক্তি করে বেড়ায় তাঁদেরকে সাজা দিলে হয়ত অন্যরাও সতর্ক হবে।
এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও পরিমিত শালীনতা লক্ষণীয়; তা মুষ্টিমেয় কিছু বিচ্যুত মানুষ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আমাদের প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও প্রিয় অভিনেত্রী ভাবনাকে নিয়ে যেসব অযাচিত, অনভিপ্রেত ও অশালীন কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হয়েছে; তা সীমা অতিক্রান্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই বিষবাষ্পকে এখনই প্রতিকার করতে না পারলে সাইবার রিজিলিয়েন্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের ধুঁকতে হবে এটা নিশ্চিত।
আশার কথা হচ্ছে, অসংখ্য নেটিজেন এসব বাজে কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা ইঙ্কলুসিভ সমাজের জয়গান গেয়েছেন। সম্মানিত নেটিজেনদের এই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাই। দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ পুলিশ অবশ্যই এই বিষবাষ্পের মূলোৎপাটন করবে। আমরা খুব শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম
মা দিবস সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৪ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৫ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৫ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে
১১ মে ২০২১
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৫ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৫ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে
১১ মে ২০২১
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৪ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৫ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে
১১ মে ২০২১
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৪ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৫ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে
১১ মে ২০২১
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৪ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৫ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৫ ঘণ্টা আগে