মীর রাকিব হাসান

ঢাকা: বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে।
নেটিজেনদের কেউ কেউ চঞ্চলের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তবে অধিকাংশই এসব বিরূপ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। ধর্ম নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠতেই অস্বস্তি প্রকাশ করেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই অভিনেতা। প্রতিবাদও করেছেন। জানিয়ে দেন-ধর্ম নয়, মানুষ হিসেবেই তাঁর আসল পরিচয়।
ধিক্কার জানাই। মনে রাখবেন, এই দেশে মীর সাব্বির যেভাবে বড় হয়েছে চঞ্চলও একইভাবে বড় হয়েছেন।
—মীর সাব্বির, অভিনেতা
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু চঞ্চল চৌধুরীই নন। অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনাও তাঁর মাকে নিয়ে ফেসবুকে ছবি দিলে এমন খারাপ মন্তব্যের শিকার হন। সিয়াম আহমেদ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। সেখানেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটু মন্তব্যের শিকার হতে হয় কমবেশি সবাইকেই। তারকা হলে তো কথাই নেই! একটি সেলফিই হয়ত দিয়েছেন। মুহূর্তেই একদল এসে জানিয়ে দেবে, দেখতে আপনি কুৎসিত! আপনাকে কারও ভালো না লাগতেই পারে। কিন্তু সেটা বলার ভাষা এমন! কেউ আপনার ইহকাল-পরকাল নিয়ে চিন্তিত হয়ে নানা উপদেশ বিলিয়ে যাবে।
স্নেহের চঞ্চল চৌধুরী, কতিপয় আকাট মূর্খের সাম্প্রদায়িক উক্তিতে মন খারাপ করো না। আমরা তোমাকে ভালোবাসি
—নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কারও মা, কারও স্ত্রী, কারও স্বামী, কারও শরীরের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, কারও বর্ণ, কারও ধর্ম, কারও ব্যক্তিগত জীবন, কারও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, কারও অর্জন, কারও প্রত্যাশা, কারও ব্যক্তিগত মতামত-এগুলোর কোনকিছুই রেহাই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, সবখানেই আছে এই কটুক্তিকারীরা। তুলনামূলক বিচার করলে বোঝা যায়, অসুস্থ চর্চাটা এই অঞ্চলেই বেশি। তারকা যেহেতু, সবসময় পাল্টা মন্তব্যও করতে পারছেন না তাঁরা। চারপাশের এমন নেতিবাচকতা ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দেয়, আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেয়।
এমনও হয়েছে এই কারণে গত বছর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মডেল-অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোবিদের। একবার নাকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন! চিকিৎসকের পরামর্শে দূরে আছেন ফেসবুক টুইটার থেকে। বেশির ভাগ মডেল-অভিনেত্রী একবাক্যে বলেন, ‘এসবে পাত্তা দেই না।’ কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়।
চঞ্চল, ভাবনা বা আমাদের সবার এমন অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু আমরা কি কেউ একটুও কথা বলতে পারি না? সাইবারে এই ঘৃণা কি কেবল আমাদের জন্য? আমি লজ্জিত, আমি বিব্রত।
—বন্যা মির্জা, অভিনেত্রী
আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই ‘পাত্তা না দেওয়া’র অবস্থানে এসেছেন তাঁরা। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, জয়া আহসান, শবনম বুবলী, মেহজাবীন চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, নুসরাত ফারিয়া, শবনম ফারিয়া, ভাবনা, জেসিয়া ইসলাম, তানজিন তিশা বা নায়লা নাঈমদের পাবলিক পোস্টের নিচে যেসব মন্তব্য আসে, সেগুলোর বেশিরভাগই উপদেশমূলক, অশালীন ও অপমানজনক।
যারা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন, সেই জনপ্রিয় ব্যক্তিটির মুখোমুখি হলে এরা সরাসরি কিছুই বলতে পারবেন না। উল্টো হয়ত অটোগ্রাফ-সেলফি তুলতে চাইবেন। এসব মন্তব্য কারা করেন? কেন করেন? সাধারণত যে উত্তরটা আসে, ‘অশিক্ষিত মূর্খরা করেন। অপ্রস্তুত একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতে ইন্টারনেট চলে যাওয়ার ফল হচ্ছে এসব।’
ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ, আমি হিন্দু নাকি মুসলিম! তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কি? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এসব রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সবক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই।
—চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
কথাটা অনেকাংশেই সত্য। কিন্তু পুরোপুরি নয়। অল্প জানাশোনা মানুষদের ওপর দোষ চাপিয়ে আসলে আড়াল করা হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের মানসিকতাকে। সমস্যাটা আসলে আমাদের সবার মধ্যেই। অন্যের ভালো-মন্দে দখলদারি করতে আমরা কে না ভালোবাসি! কারও কিছু পছন্দ না-ই হতে পারে, সেটা জানানোও যেতে পারে।
কিন্তু কাউকে নিজের মতো হওয়ার পরামর্শ দিতে পারি না আমরা! কটু মন্তব্যকারীদের সবাই ‘অশিক্ষিত’-‘মূর্খ’ নয়, তাঁদের প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনেকেই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন তাঁরা।
মন্তব্য ডিলিট করি নাসোহানা সাবা, অভিনেত্রী
অনেক তারকাই ফেসবুকে মন্তব্যের ঘর বন্ধ রাখেন। আমারটা খোলা থাকে। কারণ এসব কটুক্তিকে আমি কেয়ার করি না। বাজে মন্তব্যকারীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব করে তা নয়। পত্রিকার নিউজের নিচেও অনেকে অনেক ধরণের মন্তব্য করে। ফেসবুকে আমি সাহসী ছবি পোস্ট করি। অনেক ইস্যু নিয়ে বলি। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করে।
আমার মাকেও এরা ছাড়ল না। আমার হাতাকাটা ব্লাউজ নিয়ে তাঁদের কথা, আমার মা কেন টিপ পরল, আমার মা হিন্দু। আমার মা হিন্দু হোক আর মুসলিম হোক তবে সে মানুষ। আমার মার ওড়না দেখা যাচ্ছে না কেন? এরাই ধর্ষক। মানুষ কারও মাকে নিয়ে এমন নোংরামি করতে পারে?
—আশনা হাবিব ভাবনা, অভিনেত্রী
তবে নেগেটিভ হলেই ডিলিট করি না। উত্তর দেওয়ার দরকার মনে করি না। দুএকজন আছে যাদের উত্তর দেই, ‘আপনি একটা গাধা। আপনার আয়োডিনের অভাব আছে।’ এসব বলে ব্লক করে দেই, কিন্তু তার সেই মন্তব্য ডিলিট করি না। আমার রিঅ্যাকশন অন্যরাও দেখুক।
বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবেঅপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী
অনেক সময়ই দেখি, কেউ একজন খুব বাজে মন্তব্য করল। প্রোফাইলে গিয়ে দেখি সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। এতটুকু বাচ্চা ছেলে পড়াশোনা না করে ফেসবুকে এসে এসব করে বেড়ায়! ওর বোন বা মা যদি দেখে তাঁদের আদরের ছেলের কাণ্ড! নিশ্চিত তাঁরা মানতে পারবেন না। এমন বাজেভাবে একজনকে নিয়ে কেউ ভাবতে পারে!
অনেক সময়ই মনে হয় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেই, দেখা যাবে ওর ক্যারিয়ারে সেটার প্রভাব পড়বে। ওর মন্তব্যে আমার জীবনে যতটা না প্রভাব পড়েছে তারচেয়ে ওর বেশিই পড়বে। আমি মনে করি, বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবে। বুঝবে ওরা একজন মানুষকে কতটা আঘাত করছে।
ইগনোর করাটা সমাধান নয়শবনম ফারিয়া, অভিনেত্রী
খুব খারাপ লাগে, যখন আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা এসব মন্তব্য দেখে। ওরা আসলেই আপসেট হয়ে যায়। বিশেষ করে আমার দুই বোন, হাজবেন্ড। এটা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’কে আরও অ্যাকটিভ হতে হবে। কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়া গেলে অনেকের শিক্ষা হতো।
চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি জনৈক ধর্ম-গাধার ঘৃণিত মন্তব্যে একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি লজ্জ্বিত। অপমানিত। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্র আর অসভ্য সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
—আসিফ আকবর, গায়ক
অনেকেই আমাকে বলে, এসব ইগনোর করে যাও। কথা বললে, ওরা মজা পেয়ে আরও করে। এটা আমি করেছিও। একসময় আমি মন্তব্য মুছে দিতাম। কিন্তু এটা তো সমাধান নয়।
আজ তাঁকে ব্লক করে দিলাম, কালকে সে সাফা কবিরের পেজে গিয়ে বাজে মন্তব্য করবে। সাফা ব্লক করে দিল তো মেহজাবীনের পেজে গিয়ে করবে।
অনলাইনের যত অপরাধ কার্যক্রম হয়, সেগুলো দেখভাল করে ঢাকা মেট্রো পুলিশের ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’। হ্যাকিংসহ বড় ধরণের অপরাধ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁদের। তবে কটু মন্তব্যকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। রাস্তার ইভটিজার আর অনলাইনে অশালীন কটু মন্তব্যকারী—দুজনের অপরাধ প্রায় একই।
যারা নিয়মিত কটূক্তি করে বেড়ায় তাঁদেরকে সাজা দিলে হয়ত অন্যরাও সতর্ক হবে।
এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও পরিমিত শালীনতা লক্ষণীয়; তা মুষ্টিমেয় কিছু বিচ্যুত মানুষ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আমাদের প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও প্রিয় অভিনেত্রী ভাবনাকে নিয়ে যেসব অযাচিত, অনভিপ্রেত ও অশালীন কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হয়েছে; তা সীমা অতিক্রান্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই বিষবাষ্পকে এখনই প্রতিকার করতে না পারলে সাইবার রিজিলিয়েন্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের ধুঁকতে হবে এটা নিশ্চিত।
আশার কথা হচ্ছে, অসংখ্য নেটিজেন এসব বাজে কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা ইঙ্কলুসিভ সমাজের জয়গান গেয়েছেন। সম্মানিত নেটিজেনদের এই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাই। দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ পুলিশ অবশ্যই এই বিষবাষ্পের মূলোৎপাটন করবে। আমরা খুব শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম
মা দিবস সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ঢাকা: বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে।
নেটিজেনদের কেউ কেউ চঞ্চলের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তবে অধিকাংশই এসব বিরূপ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। ধর্ম নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠতেই অস্বস্তি প্রকাশ করেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই অভিনেতা। প্রতিবাদও করেছেন। জানিয়ে দেন-ধর্ম নয়, মানুষ হিসেবেই তাঁর আসল পরিচয়।
ধিক্কার জানাই। মনে রাখবেন, এই দেশে মীর সাব্বির যেভাবে বড় হয়েছে চঞ্চলও একইভাবে বড় হয়েছেন।
—মীর সাব্বির, অভিনেতা
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু চঞ্চল চৌধুরীই নন। অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনাও তাঁর মাকে নিয়ে ফেসবুকে ছবি দিলে এমন খারাপ মন্তব্যের শিকার হন। সিয়াম আহমেদ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। সেখানেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটু মন্তব্যের শিকার হতে হয় কমবেশি সবাইকেই। তারকা হলে তো কথাই নেই! একটি সেলফিই হয়ত দিয়েছেন। মুহূর্তেই একদল এসে জানিয়ে দেবে, দেখতে আপনি কুৎসিত! আপনাকে কারও ভালো না লাগতেই পারে। কিন্তু সেটা বলার ভাষা এমন! কেউ আপনার ইহকাল-পরকাল নিয়ে চিন্তিত হয়ে নানা উপদেশ বিলিয়ে যাবে।
স্নেহের চঞ্চল চৌধুরী, কতিপয় আকাট মূর্খের সাম্প্রদায়িক উক্তিতে মন খারাপ করো না। আমরা তোমাকে ভালোবাসি
—নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কারও মা, কারও স্ত্রী, কারও স্বামী, কারও শরীরের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, কারও বর্ণ, কারও ধর্ম, কারও ব্যক্তিগত জীবন, কারও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, কারও অর্জন, কারও প্রত্যাশা, কারও ব্যক্তিগত মতামত-এগুলোর কোনকিছুই রেহাই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, সবখানেই আছে এই কটুক্তিকারীরা। তুলনামূলক বিচার করলে বোঝা যায়, অসুস্থ চর্চাটা এই অঞ্চলেই বেশি। তারকা যেহেতু, সবসময় পাল্টা মন্তব্যও করতে পারছেন না তাঁরা। চারপাশের এমন নেতিবাচকতা ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দেয়, আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেয়।
এমনও হয়েছে এই কারণে গত বছর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মডেল-অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোবিদের। একবার নাকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন! চিকিৎসকের পরামর্শে দূরে আছেন ফেসবুক টুইটার থেকে। বেশির ভাগ মডেল-অভিনেত্রী একবাক্যে বলেন, ‘এসবে পাত্তা দেই না।’ কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়।
চঞ্চল, ভাবনা বা আমাদের সবার এমন অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু আমরা কি কেউ একটুও কথা বলতে পারি না? সাইবারে এই ঘৃণা কি কেবল আমাদের জন্য? আমি লজ্জিত, আমি বিব্রত।
—বন্যা মির্জা, অভিনেত্রী
আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই ‘পাত্তা না দেওয়া’র অবস্থানে এসেছেন তাঁরা। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, জয়া আহসান, শবনম বুবলী, মেহজাবীন চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, নুসরাত ফারিয়া, শবনম ফারিয়া, ভাবনা, জেসিয়া ইসলাম, তানজিন তিশা বা নায়লা নাঈমদের পাবলিক পোস্টের নিচে যেসব মন্তব্য আসে, সেগুলোর বেশিরভাগই উপদেশমূলক, অশালীন ও অপমানজনক।
যারা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন, সেই জনপ্রিয় ব্যক্তিটির মুখোমুখি হলে এরা সরাসরি কিছুই বলতে পারবেন না। উল্টো হয়ত অটোগ্রাফ-সেলফি তুলতে চাইবেন। এসব মন্তব্য কারা করেন? কেন করেন? সাধারণত যে উত্তরটা আসে, ‘অশিক্ষিত মূর্খরা করেন। অপ্রস্তুত একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতে ইন্টারনেট চলে যাওয়ার ফল হচ্ছে এসব।’
ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ, আমি হিন্দু নাকি মুসলিম! তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কি? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এসব রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সবক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই।
—চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
কথাটা অনেকাংশেই সত্য। কিন্তু পুরোপুরি নয়। অল্প জানাশোনা মানুষদের ওপর দোষ চাপিয়ে আসলে আড়াল করা হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের মানসিকতাকে। সমস্যাটা আসলে আমাদের সবার মধ্যেই। অন্যের ভালো-মন্দে দখলদারি করতে আমরা কে না ভালোবাসি! কারও কিছু পছন্দ না-ই হতে পারে, সেটা জানানোও যেতে পারে।
কিন্তু কাউকে নিজের মতো হওয়ার পরামর্শ দিতে পারি না আমরা! কটু মন্তব্যকারীদের সবাই ‘অশিক্ষিত’-‘মূর্খ’ নয়, তাঁদের প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনেকেই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন তাঁরা।
মন্তব্য ডিলিট করি নাসোহানা সাবা, অভিনেত্রী
অনেক তারকাই ফেসবুকে মন্তব্যের ঘর বন্ধ রাখেন। আমারটা খোলা থাকে। কারণ এসব কটুক্তিকে আমি কেয়ার করি না। বাজে মন্তব্যকারীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব করে তা নয়। পত্রিকার নিউজের নিচেও অনেকে অনেক ধরণের মন্তব্য করে। ফেসবুকে আমি সাহসী ছবি পোস্ট করি। অনেক ইস্যু নিয়ে বলি। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করে।
আমার মাকেও এরা ছাড়ল না। আমার হাতাকাটা ব্লাউজ নিয়ে তাঁদের কথা, আমার মা কেন টিপ পরল, আমার মা হিন্দু। আমার মা হিন্দু হোক আর মুসলিম হোক তবে সে মানুষ। আমার মার ওড়না দেখা যাচ্ছে না কেন? এরাই ধর্ষক। মানুষ কারও মাকে নিয়ে এমন নোংরামি করতে পারে?
—আশনা হাবিব ভাবনা, অভিনেত্রী
তবে নেগেটিভ হলেই ডিলিট করি না। উত্তর দেওয়ার দরকার মনে করি না। দুএকজন আছে যাদের উত্তর দেই, ‘আপনি একটা গাধা। আপনার আয়োডিনের অভাব আছে।’ এসব বলে ব্লক করে দেই, কিন্তু তার সেই মন্তব্য ডিলিট করি না। আমার রিঅ্যাকশন অন্যরাও দেখুক।
বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবেঅপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী
অনেক সময়ই দেখি, কেউ একজন খুব বাজে মন্তব্য করল। প্রোফাইলে গিয়ে দেখি সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। এতটুকু বাচ্চা ছেলে পড়াশোনা না করে ফেসবুকে এসে এসব করে বেড়ায়! ওর বোন বা মা যদি দেখে তাঁদের আদরের ছেলের কাণ্ড! নিশ্চিত তাঁরা মানতে পারবেন না। এমন বাজেভাবে একজনকে নিয়ে কেউ ভাবতে পারে!
অনেক সময়ই মনে হয় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেই, দেখা যাবে ওর ক্যারিয়ারে সেটার প্রভাব পড়বে। ওর মন্তব্যে আমার জীবনে যতটা না প্রভাব পড়েছে তারচেয়ে ওর বেশিই পড়বে। আমি মনে করি, বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবে। বুঝবে ওরা একজন মানুষকে কতটা আঘাত করছে।
ইগনোর করাটা সমাধান নয়শবনম ফারিয়া, অভিনেত্রী
খুব খারাপ লাগে, যখন আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা এসব মন্তব্য দেখে। ওরা আসলেই আপসেট হয়ে যায়। বিশেষ করে আমার দুই বোন, হাজবেন্ড। এটা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’কে আরও অ্যাকটিভ হতে হবে। কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়া গেলে অনেকের শিক্ষা হতো।
চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি জনৈক ধর্ম-গাধার ঘৃণিত মন্তব্যে একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি লজ্জ্বিত। অপমানিত। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্র আর অসভ্য সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
—আসিফ আকবর, গায়ক
অনেকেই আমাকে বলে, এসব ইগনোর করে যাও। কথা বললে, ওরা মজা পেয়ে আরও করে। এটা আমি করেছিও। একসময় আমি মন্তব্য মুছে দিতাম। কিন্তু এটা তো সমাধান নয়।
আজ তাঁকে ব্লক করে দিলাম, কালকে সে সাফা কবিরের পেজে গিয়ে বাজে মন্তব্য করবে। সাফা ব্লক করে দিল তো মেহজাবীনের পেজে গিয়ে করবে।
অনলাইনের যত অপরাধ কার্যক্রম হয়, সেগুলো দেখভাল করে ঢাকা মেট্রো পুলিশের ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’। হ্যাকিংসহ বড় ধরণের অপরাধ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁদের। তবে কটু মন্তব্যকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। রাস্তার ইভটিজার আর অনলাইনে অশালীন কটু মন্তব্যকারী—দুজনের অপরাধ প্রায় একই।
যারা নিয়মিত কটূক্তি করে বেড়ায় তাঁদেরকে সাজা দিলে হয়ত অন্যরাও সতর্ক হবে।
এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও পরিমিত শালীনতা লক্ষণীয়; তা মুষ্টিমেয় কিছু বিচ্যুত মানুষ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আমাদের প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও প্রিয় অভিনেত্রী ভাবনাকে নিয়ে যেসব অযাচিত, অনভিপ্রেত ও অশালীন কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হয়েছে; তা সীমা অতিক্রান্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই বিষবাষ্পকে এখনই প্রতিকার করতে না পারলে সাইবার রিজিলিয়েন্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের ধুঁকতে হবে এটা নিশ্চিত।
আশার কথা হচ্ছে, অসংখ্য নেটিজেন এসব বাজে কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা ইঙ্কলুসিভ সমাজের জয়গান গেয়েছেন। সম্মানিত নেটিজেনদের এই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাই। দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ পুলিশ অবশ্যই এই বিষবাষ্পের মূলোৎপাটন করবে। আমরা খুব শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম
মা দিবস সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
মীর রাকিব হাসান

ঢাকা: বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে।
নেটিজেনদের কেউ কেউ চঞ্চলের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তবে অধিকাংশই এসব বিরূপ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। ধর্ম নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠতেই অস্বস্তি প্রকাশ করেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই অভিনেতা। প্রতিবাদও করেছেন। জানিয়ে দেন-ধর্ম নয়, মানুষ হিসেবেই তাঁর আসল পরিচয়।
ধিক্কার জানাই। মনে রাখবেন, এই দেশে মীর সাব্বির যেভাবে বড় হয়েছে চঞ্চলও একইভাবে বড় হয়েছেন।
—মীর সাব্বির, অভিনেতা
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু চঞ্চল চৌধুরীই নন। অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনাও তাঁর মাকে নিয়ে ফেসবুকে ছবি দিলে এমন খারাপ মন্তব্যের শিকার হন। সিয়াম আহমেদ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। সেখানেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটু মন্তব্যের শিকার হতে হয় কমবেশি সবাইকেই। তারকা হলে তো কথাই নেই! একটি সেলফিই হয়ত দিয়েছেন। মুহূর্তেই একদল এসে জানিয়ে দেবে, দেখতে আপনি কুৎসিত! আপনাকে কারও ভালো না লাগতেই পারে। কিন্তু সেটা বলার ভাষা এমন! কেউ আপনার ইহকাল-পরকাল নিয়ে চিন্তিত হয়ে নানা উপদেশ বিলিয়ে যাবে।
স্নেহের চঞ্চল চৌধুরী, কতিপয় আকাট মূর্খের সাম্প্রদায়িক উক্তিতে মন খারাপ করো না। আমরা তোমাকে ভালোবাসি
—নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কারও মা, কারও স্ত্রী, কারও স্বামী, কারও শরীরের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, কারও বর্ণ, কারও ধর্ম, কারও ব্যক্তিগত জীবন, কারও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, কারও অর্জন, কারও প্রত্যাশা, কারও ব্যক্তিগত মতামত-এগুলোর কোনকিছুই রেহাই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, সবখানেই আছে এই কটুক্তিকারীরা। তুলনামূলক বিচার করলে বোঝা যায়, অসুস্থ চর্চাটা এই অঞ্চলেই বেশি। তারকা যেহেতু, সবসময় পাল্টা মন্তব্যও করতে পারছেন না তাঁরা। চারপাশের এমন নেতিবাচকতা ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দেয়, আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেয়।
এমনও হয়েছে এই কারণে গত বছর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মডেল-অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোবিদের। একবার নাকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন! চিকিৎসকের পরামর্শে দূরে আছেন ফেসবুক টুইটার থেকে। বেশির ভাগ মডেল-অভিনেত্রী একবাক্যে বলেন, ‘এসবে পাত্তা দেই না।’ কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়।
চঞ্চল, ভাবনা বা আমাদের সবার এমন অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু আমরা কি কেউ একটুও কথা বলতে পারি না? সাইবারে এই ঘৃণা কি কেবল আমাদের জন্য? আমি লজ্জিত, আমি বিব্রত।
—বন্যা মির্জা, অভিনেত্রী
আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই ‘পাত্তা না দেওয়া’র অবস্থানে এসেছেন তাঁরা। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, জয়া আহসান, শবনম বুবলী, মেহজাবীন চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, নুসরাত ফারিয়া, শবনম ফারিয়া, ভাবনা, জেসিয়া ইসলাম, তানজিন তিশা বা নায়লা নাঈমদের পাবলিক পোস্টের নিচে যেসব মন্তব্য আসে, সেগুলোর বেশিরভাগই উপদেশমূলক, অশালীন ও অপমানজনক।
যারা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন, সেই জনপ্রিয় ব্যক্তিটির মুখোমুখি হলে এরা সরাসরি কিছুই বলতে পারবেন না। উল্টো হয়ত অটোগ্রাফ-সেলফি তুলতে চাইবেন। এসব মন্তব্য কারা করেন? কেন করেন? সাধারণত যে উত্তরটা আসে, ‘অশিক্ষিত মূর্খরা করেন। অপ্রস্তুত একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতে ইন্টারনেট চলে যাওয়ার ফল হচ্ছে এসব।’
ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ, আমি হিন্দু নাকি মুসলিম! তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কি? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এসব রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সবক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই।
—চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
কথাটা অনেকাংশেই সত্য। কিন্তু পুরোপুরি নয়। অল্প জানাশোনা মানুষদের ওপর দোষ চাপিয়ে আসলে আড়াল করা হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের মানসিকতাকে। সমস্যাটা আসলে আমাদের সবার মধ্যেই। অন্যের ভালো-মন্দে দখলদারি করতে আমরা কে না ভালোবাসি! কারও কিছু পছন্দ না-ই হতে পারে, সেটা জানানোও যেতে পারে।
কিন্তু কাউকে নিজের মতো হওয়ার পরামর্শ দিতে পারি না আমরা! কটু মন্তব্যকারীদের সবাই ‘অশিক্ষিত’-‘মূর্খ’ নয়, তাঁদের প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনেকেই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন তাঁরা।
মন্তব্য ডিলিট করি নাসোহানা সাবা, অভিনেত্রী
অনেক তারকাই ফেসবুকে মন্তব্যের ঘর বন্ধ রাখেন। আমারটা খোলা থাকে। কারণ এসব কটুক্তিকে আমি কেয়ার করি না। বাজে মন্তব্যকারীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব করে তা নয়। পত্রিকার নিউজের নিচেও অনেকে অনেক ধরণের মন্তব্য করে। ফেসবুকে আমি সাহসী ছবি পোস্ট করি। অনেক ইস্যু নিয়ে বলি। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করে।
আমার মাকেও এরা ছাড়ল না। আমার হাতাকাটা ব্লাউজ নিয়ে তাঁদের কথা, আমার মা কেন টিপ পরল, আমার মা হিন্দু। আমার মা হিন্দু হোক আর মুসলিম হোক তবে সে মানুষ। আমার মার ওড়না দেখা যাচ্ছে না কেন? এরাই ধর্ষক। মানুষ কারও মাকে নিয়ে এমন নোংরামি করতে পারে?
—আশনা হাবিব ভাবনা, অভিনেত্রী
তবে নেগেটিভ হলেই ডিলিট করি না। উত্তর দেওয়ার দরকার মনে করি না। দুএকজন আছে যাদের উত্তর দেই, ‘আপনি একটা গাধা। আপনার আয়োডিনের অভাব আছে।’ এসব বলে ব্লক করে দেই, কিন্তু তার সেই মন্তব্য ডিলিট করি না। আমার রিঅ্যাকশন অন্যরাও দেখুক।
বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবেঅপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী
অনেক সময়ই দেখি, কেউ একজন খুব বাজে মন্তব্য করল। প্রোফাইলে গিয়ে দেখি সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। এতটুকু বাচ্চা ছেলে পড়াশোনা না করে ফেসবুকে এসে এসব করে বেড়ায়! ওর বোন বা মা যদি দেখে তাঁদের আদরের ছেলের কাণ্ড! নিশ্চিত তাঁরা মানতে পারবেন না। এমন বাজেভাবে একজনকে নিয়ে কেউ ভাবতে পারে!
অনেক সময়ই মনে হয় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেই, দেখা যাবে ওর ক্যারিয়ারে সেটার প্রভাব পড়বে। ওর মন্তব্যে আমার জীবনে যতটা না প্রভাব পড়েছে তারচেয়ে ওর বেশিই পড়বে। আমি মনে করি, বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবে। বুঝবে ওরা একজন মানুষকে কতটা আঘাত করছে।
ইগনোর করাটা সমাধান নয়শবনম ফারিয়া, অভিনেত্রী
খুব খারাপ লাগে, যখন আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা এসব মন্তব্য দেখে। ওরা আসলেই আপসেট হয়ে যায়। বিশেষ করে আমার দুই বোন, হাজবেন্ড। এটা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’কে আরও অ্যাকটিভ হতে হবে। কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়া গেলে অনেকের শিক্ষা হতো।
চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি জনৈক ধর্ম-গাধার ঘৃণিত মন্তব্যে একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি লজ্জ্বিত। অপমানিত। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্র আর অসভ্য সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
—আসিফ আকবর, গায়ক
অনেকেই আমাকে বলে, এসব ইগনোর করে যাও। কথা বললে, ওরা মজা পেয়ে আরও করে। এটা আমি করেছিও। একসময় আমি মন্তব্য মুছে দিতাম। কিন্তু এটা তো সমাধান নয়।
আজ তাঁকে ব্লক করে দিলাম, কালকে সে সাফা কবিরের পেজে গিয়ে বাজে মন্তব্য করবে। সাফা ব্লক করে দিল তো মেহজাবীনের পেজে গিয়ে করবে।
অনলাইনের যত অপরাধ কার্যক্রম হয়, সেগুলো দেখভাল করে ঢাকা মেট্রো পুলিশের ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’। হ্যাকিংসহ বড় ধরণের অপরাধ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁদের। তবে কটু মন্তব্যকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। রাস্তার ইভটিজার আর অনলাইনে অশালীন কটু মন্তব্যকারী—দুজনের অপরাধ প্রায় একই।
যারা নিয়মিত কটূক্তি করে বেড়ায় তাঁদেরকে সাজা দিলে হয়ত অন্যরাও সতর্ক হবে।
এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও পরিমিত শালীনতা লক্ষণীয়; তা মুষ্টিমেয় কিছু বিচ্যুত মানুষ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আমাদের প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও প্রিয় অভিনেত্রী ভাবনাকে নিয়ে যেসব অযাচিত, অনভিপ্রেত ও অশালীন কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হয়েছে; তা সীমা অতিক্রান্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই বিষবাষ্পকে এখনই প্রতিকার করতে না পারলে সাইবার রিজিলিয়েন্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের ধুঁকতে হবে এটা নিশ্চিত।
আশার কথা হচ্ছে, অসংখ্য নেটিজেন এসব বাজে কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা ইঙ্কলুসিভ সমাজের জয়গান গেয়েছেন। সম্মানিত নেটিজেনদের এই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাই। দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ পুলিশ অবশ্যই এই বিষবাষ্পের মূলোৎপাটন করবে। আমরা খুব শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম
মা দিবস সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

ঢাকা: বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে।
নেটিজেনদের কেউ কেউ চঞ্চলের ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। তবে অধিকাংশই এসব বিরূপ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। ধর্ম নিয়ে এমন প্রশ্ন উঠতেই অস্বস্তি প্রকাশ করেন ‘আয়নাবাজি’ খ্যাত এই অভিনেতা। প্রতিবাদও করেছেন। জানিয়ে দেন-ধর্ম নয়, মানুষ হিসেবেই তাঁর আসল পরিচয়।
ধিক্কার জানাই। মনে রাখবেন, এই দেশে মীর সাব্বির যেভাবে বড় হয়েছে চঞ্চলও একইভাবে বড় হয়েছেন।
—মীর সাব্বির, অভিনেতা
সাম্প্রতিক সময়ে শুধু চঞ্চল চৌধুরীই নন। অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনাও তাঁর মাকে নিয়ে ফেসবুকে ছবি দিলে এমন খারাপ মন্তব্যের শিকার হন। সিয়াম আহমেদ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দিয়েছেন। সেখানেও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটু মন্তব্যের শিকার হতে হয় কমবেশি সবাইকেই। তারকা হলে তো কথাই নেই! একটি সেলফিই হয়ত দিয়েছেন। মুহূর্তেই একদল এসে জানিয়ে দেবে, দেখতে আপনি কুৎসিত! আপনাকে কারও ভালো না লাগতেই পারে। কিন্তু সেটা বলার ভাষা এমন! কেউ আপনার ইহকাল-পরকাল নিয়ে চিন্তিত হয়ে নানা উপদেশ বিলিয়ে যাবে।
স্নেহের চঞ্চল চৌধুরী, কতিপয় আকাট মূর্খের সাম্প্রদায়িক উক্তিতে মন খারাপ করো না। আমরা তোমাকে ভালোবাসি
—নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
কারও মা, কারও স্ত্রী, কারও স্বামী, কারও শরীরের কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, কারও বর্ণ, কারও ধর্ম, কারও ব্যক্তিগত জীবন, কারও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, কারও অর্জন, কারও প্রত্যাশা, কারও ব্যক্তিগত মতামত-এগুলোর কোনকিছুই রেহাই পাচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে ঢুঁ মারলে দেখা যায়, সবখানেই আছে এই কটুক্তিকারীরা। তুলনামূলক বিচার করলে বোঝা যায়, অসুস্থ চর্চাটা এই অঞ্চলেই বেশি। তারকা যেহেতু, সবসময় পাল্টা মন্তব্যও করতে পারছেন না তাঁরা। চারপাশের এমন নেতিবাচকতা ভেতরে ভেতরে দুর্বল করে দেয়, আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেয়।
এমনও হয়েছে এই কারণে গত বছর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মডেল-অভিনেত্রী কিছুদিন আগেই শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোবিদের। একবার নাকি আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলেন! চিকিৎসকের পরামর্শে দূরে আছেন ফেসবুক টুইটার থেকে। বেশির ভাগ মডেল-অভিনেত্রী একবাক্যে বলেন, ‘এসবে পাত্তা দেই না।’ কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়।
চঞ্চল, ভাবনা বা আমাদের সবার এমন অভিজ্ঞতা হয়। কিন্তু আমরা কি কেউ একটুও কথা বলতে পারি না? সাইবারে এই ঘৃণা কি কেবল আমাদের জন্য? আমি লজ্জিত, আমি বিব্রত।
—বন্যা মির্জা, অভিনেত্রী
আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই ‘পাত্তা না দেওয়া’র অবস্থানে এসেছেন তাঁরা। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, জয়া আহসান, শবনম বুবলী, মেহজাবীন চৌধুরী, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, নুসরাত ফারিয়া, শবনম ফারিয়া, ভাবনা, জেসিয়া ইসলাম, তানজিন তিশা বা নায়লা নাঈমদের পাবলিক পোস্টের নিচে যেসব মন্তব্য আসে, সেগুলোর বেশিরভাগই উপদেশমূলক, অশালীন ও অপমানজনক।
যারা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন, সেই জনপ্রিয় ব্যক্তিটির মুখোমুখি হলে এরা সরাসরি কিছুই বলতে পারবেন না। উল্টো হয়ত অটোগ্রাফ-সেলফি তুলতে চাইবেন। এসব মন্তব্য কারা করেন? কেন করেন? সাধারণত যে উত্তরটা আসে, ‘অশিক্ষিত মূর্খরা করেন। অপ্রস্তুত একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর হাতে ইন্টারনেট চলে যাওয়ার ফল হচ্ছে এসব।’
ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ, আমি হিন্দু নাকি মুসলিম! তাতে আপনাদের লাভ বা ক্ষতি কি? সকলেরই সবচেয়ে বড় পরিচয় ‘মানুষ’। ধর্ম নিয়ে এসব রুচিহীন প্রশ্ন ও বিব্রতকর আলোচনা সবক্ষেত্রে বন্ধ হোক। আসুন, সবাই মানুষ হই।
—চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেতা
কথাটা অনেকাংশেই সত্য। কিন্তু পুরোপুরি নয়। অল্প জানাশোনা মানুষদের ওপর দোষ চাপিয়ে আসলে আড়াল করা হচ্ছে সব শ্রেণির মানুষের মানসিকতাকে। সমস্যাটা আসলে আমাদের সবার মধ্যেই। অন্যের ভালো-মন্দে দখলদারি করতে আমরা কে না ভালোবাসি! কারও কিছু পছন্দ না-ই হতে পারে, সেটা জানানোও যেতে পারে।
কিন্তু কাউকে নিজের মতো হওয়ার পরামর্শ দিতে পারি না আমরা! কটু মন্তব্যকারীদের সবাই ‘অশিক্ষিত’-‘মূর্খ’ নয়, তাঁদের প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনেকেই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন তাঁরা।
মন্তব্য ডিলিট করি নাসোহানা সাবা, অভিনেত্রী
অনেক তারকাই ফেসবুকে মন্তব্যের ঘর বন্ধ রাখেন। আমারটা খোলা থাকে। কারণ এসব কটুক্তিকে আমি কেয়ার করি না। বাজে মন্তব্যকারীরা শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব করে তা নয়। পত্রিকার নিউজের নিচেও অনেকে অনেক ধরণের মন্তব্য করে। ফেসবুকে আমি সাহসী ছবি পোস্ট করি। অনেক ইস্যু নিয়ে বলি। সেখানে অনেকেই মন্তব্য করে।
আমার মাকেও এরা ছাড়ল না। আমার হাতাকাটা ব্লাউজ নিয়ে তাঁদের কথা, আমার মা কেন টিপ পরল, আমার মা হিন্দু। আমার মা হিন্দু হোক আর মুসলিম হোক তবে সে মানুষ। আমার মার ওড়না দেখা যাচ্ছে না কেন? এরাই ধর্ষক। মানুষ কারও মাকে নিয়ে এমন নোংরামি করতে পারে?
—আশনা হাবিব ভাবনা, অভিনেত্রী
তবে নেগেটিভ হলেই ডিলিট করি না। উত্তর দেওয়ার দরকার মনে করি না। দুএকজন আছে যাদের উত্তর দেই, ‘আপনি একটা গাধা। আপনার আয়োডিনের অভাব আছে।’ এসব বলে ব্লক করে দেই, কিন্তু তার সেই মন্তব্য ডিলিট করি না। আমার রিঅ্যাকশন অন্যরাও দেখুক।
বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবেঅপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী
অনেক সময়ই দেখি, কেউ একজন খুব বাজে মন্তব্য করল। প্রোফাইলে গিয়ে দেখি সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোট। এতটুকু বাচ্চা ছেলে পড়াশোনা না করে ফেসবুকে এসে এসব করে বেড়ায়! ওর বোন বা মা যদি দেখে তাঁদের আদরের ছেলের কাণ্ড! নিশ্চিত তাঁরা মানতে পারবেন না। এমন বাজেভাবে একজনকে নিয়ে কেউ ভাবতে পারে!
অনেক সময়ই মনে হয় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যদি আইনানুগ ব্যবস্থা নেই, দেখা যাবে ওর ক্যারিয়ারে সেটার প্রভাব পড়বে। ওর মন্তব্যে আমার জীবনে যতটা না প্রভাব পড়েছে তারচেয়ে ওর বেশিই পড়বে। আমি মনে করি, বয়স বাড়লে এরাও শোধরাবে। বুঝবে ওরা একজন মানুষকে কতটা আঘাত করছে।
ইগনোর করাটা সমাধান নয়শবনম ফারিয়া, অভিনেত্রী
খুব খারাপ লাগে, যখন আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা এসব মন্তব্য দেখে। ওরা আসলেই আপসেট হয়ে যায়। বিশেষ করে আমার দুই বোন, হাজবেন্ড। এটা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’কে আরও অ্যাকটিভ হতে হবে। কয়েকজনকে শাস্তি দেওয়া গেলে অনেকের শিক্ষা হতো।
চঞ্চল চৌধুরীর প্রতি জনৈক ধর্ম-গাধার ঘৃণিত মন্তব্যে একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হিসেবে আমি লজ্জ্বিত। অপমানিত। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উগ্র আর অসভ্য সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
—আসিফ আকবর, গায়ক
অনেকেই আমাকে বলে, এসব ইগনোর করে যাও। কথা বললে, ওরা মজা পেয়ে আরও করে। এটা আমি করেছিও। একসময় আমি মন্তব্য মুছে দিতাম। কিন্তু এটা তো সমাধান নয়।
আজ তাঁকে ব্লক করে দিলাম, কালকে সে সাফা কবিরের পেজে গিয়ে বাজে মন্তব্য করবে। সাফা ব্লক করে দিল তো মেহজাবীনের পেজে গিয়ে করবে।
অনলাইনের যত অপরাধ কার্যক্রম হয়, সেগুলো দেখভাল করে ঢাকা মেট্রো পুলিশের ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ডিভিশন’। হ্যাকিংসহ বড় ধরণের অপরাধ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁদের। তবে কটু মন্তব্যকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা খুব একটা শোনা যায় না। রাস্তার ইভটিজার আর অনলাইনে অশালীন কটু মন্তব্যকারী—দুজনের অপরাধ প্রায় একই।
যারা নিয়মিত কটূক্তি করে বেড়ায় তাঁদেরকে সাজা দিলে হয়ত অন্যরাও সতর্ক হবে।
এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় উদ্বেগের বিষয়। আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যে ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও পরিমিত শালীনতা লক্ষণীয়; তা মুষ্টিমেয় কিছু বিচ্যুত মানুষ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
আমাদের প্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও প্রিয় অভিনেত্রী ভাবনাকে নিয়ে যেসব অযাচিত, অনভিপ্রেত ও অশালীন কমেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা হয়েছে; তা সীমা অতিক্রান্ত করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই বিষবাষ্পকে এখনই প্রতিকার করতে না পারলে সাইবার রিজিলিয়েন্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের ধুঁকতে হবে এটা নিশ্চিত।
আশার কথা হচ্ছে, অসংখ্য নেটিজেন এসব বাজে কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা ইঙ্কলুসিভ সমাজের জয়গান গেয়েছেন। সম্মানিত নেটিজেনদের এই প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাই। দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, প্রচলিত আইনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ পুলিশ অবশ্যই এই বিষবাষ্পের মূলোৎপাটন করবে। আমরা খুব শিগগিরই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
নাজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার, সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম
মা দিবস সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৮ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৮ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।
হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’
অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’
আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে
১১ মে ২০২১
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৮ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৮ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৮ ঘণ্টা আগেবিজয় দিবসের আয়োজন
বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।
আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।
কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’
সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’
কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে
১১ মে ২০২১
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৮ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৮ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।
আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।
রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’
দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে
১১ মে ২০২১
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৮ ঘণ্টা আগে
‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি।
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।
মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।
মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।
জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।
মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।
মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।
জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিশ্ব মা দিবসে মাকে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই মায়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তেমনই একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ক্যাপশনে লেখেন ‘মা’। মায়ের সঙ্গে সন্তানের এমন স্থিরচিত্রও পড়েছে সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে
১১ মে ২০২১
চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর।
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন।
৮ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প।
৮ ঘণ্টা আগে