রীনাত ফওজিয়া

আমার বাবা মোবারক হোসেন খানের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, ১৯৩৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তাঁর বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খান ছিলেন সফদর হোসেন খানের পাঁচ পুত্রের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। সফদর হোসেন খান ছিলেন সচ্ছল গৃহস্থ মানুষ। খুব শৌখিন মানুষ ছিলেন তিনি। সংগীতের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা ও আকর্ষণ ছিল তাঁর। বিশেষ করে সেতার শেখার জন্য যে কষ্ট তিনি করেছিলেন, তা রীতিমতো গল্প মনে হয়।
তখন কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ত্রিপুরা সব একসঙ্গে ছিল। সফদর হোসেন খান খবর নিয়ে জেনেছিলেন ত্রিপুরার রাজদরবারের সভা সংগীতজ্ঞ হলেন মিয়া তানসেনের বংশধর ওস্তাদ কাসেম আলী খাঁ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার শিবপুর নামক অজ পাড়াগাঁ থেকে বের হয়ে ছুটে গেলেন ত্রিপুরার রাজদরবারে। তারপর অনেক কষ্ট করে ওস্তাদ কাসেম আলী খাঁকে রাজি করান তাঁকে শিষ্যত্বে বরণ করে নিতে। সেই থেকে পরিবারের রক্তধারায় যুক্ত হয়ে গেল সংগীত। সফদর হোসেন খানের পাঁচ ছেলে কমবেশি সবাই সংগীত চর্চা করেছেন। তাঁরা হলেন সমিরউদ্দিন খাঁ, ফকির আফতাবউদ্দিন খাঁ, সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, নায়েব আলী খাঁ ও আয়েত আলী খাঁ।
একটি সংগীত সংশ্লিষ্ট পরিবারের মানুষ হিসেবে স্বাভাবিকভাবে আমার বাবার সুরের প্রতি আকর্ষণ ছিল ছোটবেলা থেকে। ছোটবেলা থেকেই গান গাইতে শিখে গেলেন। বাড়িতে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের চর্চা হয়। হারমোনিয়াম থেকে শুরু করে সেতার, সরোদ, সুরবাহার, বেহালা, তবলা-বাঁয়া আরও কত কি! আর সব শিশুদের মতো মোবারক হোসেন খানও এসব যন্ত্রের বাজাতে বাজাতে ও গাইতে গাইতে বড় হতে লাগলেন। তখন সে পরিবারে একটা রেওয়াজ ছিল, ছেলেরা যখন স্কুলে যাওয়ার মতো বড় হতো তখন লেখাপড়ার পাশাপাশি তাকে কোনো একটা বাদ্যযন্ত্রে হাতেখড়ি দেওয়া হতো। আব্বাকে হাতেখড়ি দেওয়া হলো বেহালা যন্ত্রে। প্রতিদিন স্কুল থেকে এসে আব্বা দাদুর বাদ্যযন্ত্রের কারখানায় চলে যেতেন। সেখানে আরও কয়েকজন একসঙ্গে বেহালা শিখতেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন চাচাতো ভাই আমিনুর হোসেন খান ও ভাগনে খুরশিদ খান। বাবা এঁদের সঙ্গে কয়েক বছর তালিম নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে পড়াশোনার চাপে হোক বা যে কারণেই হোক, শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি।
লেখাপড়ায় বরাবর ভালো ছিলেন মোবারক হোসেন খান। সে জন্য পরিবারের দিক থেকে একটা চাপ ছিল ভালোভাবে লেখাপড়া করার জন্য। ফলে ক্রমে তিনি লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। সংগীত চর্চাটা সেভাবে ধরে রাখতে পারলেন না। তাঁর সংগীত চর্চাটা ছিল অনিয়মিত। বেহালা ছেড়ে দেওয়ার পরে তিনি ‘মন্দ্রনাদ’ নামে একটা যন্ত্র বেশ কিছুদিন বাজিয়েছেন। যন্ত্রটা অনেকটা বেহালার আকার। কিন্তু অনেক বড়। আর বাজানোর ধরনটাও আলাদা। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খানের পরামর্শে আমার দাদু ওস্তাদ আয়েত আলী খান এই যন্ত্রটা উদ্ভাবন করেছিলেন। এরপর কিছুদিন বাজিয়েছেন ‘চন্দ্রসারং’। এই যন্ত্রটাও ওস্তাদ আলাউদ্দিন খানের পরামর্শে ওস্তাদ আয়েত আলী খান উদ্ভাবন করেছিলেন। এ ছাড়া তিনি তবলা বাজানো রপ্ত করেছিলেন ছোটবেলা থেকে।
ছাত্রজীবনে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অনুষ্ঠানে তবলা সংগত করেছেন। তা ছাড়া উচ্চাঙ্গ সংগীতেও তাঁর দক্ষতা ছিল ভালো। চাচাতো ভাই ওস্তাদ খাদেম হোমন খান, ভাগনে ওস্তাদ খুরশিদ খানের মতো গুণী শিল্পীদের সঙ্গে তবলা সংগত করেছেন তিনি। কিন্তু সবশেষে তাঁর মনে ধরল বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খানের বানানো যন্ত্র সুরবাহার। বাবা একদিন দাদুকে বললেন, ‘আমি সুরবাহার বাজাব।’ দাদুর খুব আদরের ছেলে ছিলেন আব্বা। তাঁর কোনো আবদারে দাদু না বলতেন না। তিনি অনুমতি দিয়ে নিজের সুরবাহার যন্ত্রটা ছেলেকে বাজাতে দিলেন।
লেখাপড়া আর সংগীত চর্চা চলল পাশাপাশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ পাস করার পর কর্মজীবন শুরু করলেন বেতারে, অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে। কর্মজীবনে একের পর এক সাফল্য পেলেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হয়ে অবসর গ্রহণ করলেন। কিন্তু সংগীত চর্চাটা আর সেভাবে ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে সংগীত বিষয়ে পড়াশোনা করতে খুব ভালোবাসতেন। এক সময় সংগীত বিষয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন এবং এক সময় তিনি সংগীত গবেষক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন।
সংগীত বিষয়ে লেখালেখির পাশাপাশি প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, অনুবাদ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। ‘সংগীতসাধক অভিধান’, ‘ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর পত্রাবলি’, ‘বাদ্যযন্ত্র প্রসঙ্গ’, ‘সংগীত প্রসঙ্গ’, ‘সংগীত সাধনা’, ‘রাগসংগীত’, ‘কণ্ঠসাধন’, ‘যন্ত্রসাধন’, ‘সংগীত গুণীজন’, ‘সংগীত মালিকা’, ‘আমার সংগীত স্বজন’, ‘ছোটদের সারেগামা ও সংগীতবিদ্যা’, ‘তিন সংগীতস্রষ্টা’, ‘গড়ল যারা সুরের তাজমহল’, ‘বাংলাদেশের মুসলিম সংগীতসাধক’, ‘আমি যে বাজিয়েছিলেম’, ‘নজরুল সংগীতের বিচিত্র ধারা’, ‘নজরুল সংগীত প্রসঙ্গ’, ‘ছড়া গান’, ‘গানের স্বরলিপি’, ‘সংগীত সন্দর্শন’, ‘মিউজিক অ্যান্ড ইটস স্টাডি’, ‘ইসলামিক কনট্রিবিউশন টু সাউথ এশিয়া’স ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক’, ‘ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান: দ্য লিজেন্ড ইন মিউজিক’ ইত্যাদি তাঁর লেখা সংগীত বিষয়ক বই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো ‘মুক্তিযুদ্ধের গান’, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়’। ‘মুক্তিযুদ্ধের সেরা গল্প’ তাঁর সংকলন ও সম্পাদনায় প্রকাশিত বই। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় তিনি ১২০ টির বেশি বই লিখেছেন। এসব বইয়ের জন্য তিনি ১৯৮৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন। এ ছাড়া স্বাধীনতা পদক (১৯৯৪), গবেষণা সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং অনুবাদে অলক্ত সাহিত্য পুরস্কারে (২০১০) ভূষিত হয়েছেন।
সংগীত গবেষক কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসকের বাইরে আমাদের কাছে তিনি ছিলেন স্নেহময় পিতা। আমাদের তিনি প্রতিদিন গল্প শোনাতেন—লোকজ গল্প, ঠাকুরমার ঝুলির গল্প, তারপর বিদেশি গল্পের অনুবাদ। সেগুলোর মধ্যে মনে পড়ে গ্রিম ব্রাদার্স এর লেখা ‘হ্যান্সেল অ্যান্ড গ্রেটেল’ গল্পটার কথা। আরও অনেক বই থেকে অনুবাদ করে আব্বা আমাদের গল্প শোনাতেন। সেই থেকেই কি না জানি না, তিনি একপর্যায়ে মনোযোগ দিয়ে বিদেশি গল্পের অনুবাদ করতে শুরু করেন। পরে সেগুলো সব বই আকারে প্রকাশিত হয়।
আরেকটা খুব আনন্দের স্মৃতি আছে তাঁর সঙ্গে। ছোটবেলায় স্কুলে আমাদের যে বাংলা বই পড়ানো হতো তাতে অনেক ছড়া ও কবিতা থাকত। আমরা এগুলো মুখস্থ করতাম। বাবা আমাদের জন্য এগুলো সুর করে গান বানিয়ে দিতেন। ‘পাখীসব করে রব রাতি পোহাইলো, কাননে কুসুমকলি সকলে ফুটিলো’, কিংবা ‘আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল তুলিতে যাই’ এগুলো সব আমাদের কাছে গান হয়ে গিয়েছিল। খুব উৎসাহের সঙ্গে হারমোনিয়াম বাজিয়ে তিনি এই ছড়াগুলোয় সুর দিতেন। তারপর আমাদের ডেকে সেগুলো শিখিয়ে দিতেন।
মানুষ হিসেবে বাবা ছিলেন খুব সময়ানুবর্তী, নিয়মানুবর্তী, নিজের কাজে নিষ্ঠাবান, পরিবারের প্রতি দায়িত্ববান। আর যত গুণাবলি হতে পারে, আমার বিশ্বাস সবই বাবার ছিল। বাইরের কাজে এত ব্যস্ত থাকার পরও পারিবারিক জীবনের আনন্দটাই তাঁর কাছে বড় ছিল। আমাদের যেকোনো কাজে বাবাকে পাইনি, এমন কোনো দিন হয়নি। খুব গুছিয়ে জীবনের সবগুলো কাজ করে গেছেন তিনি। শেষ জীবনে তাঁর আলঝেইমার্স রোগ হয়। অসুখটা যে আলঝেইমার্স, সে কথা আমরা অনেক পরে জেনেছি। এর একটা বহিঃপ্রকাশ ডিমেনশিয়া। অর্থাৎ স্মৃতিভ্রংশ। সেটা অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই বুঝতে পারছিলাম।
প্রথমদিকে চিন্তাভাবনার অসংগতি, কথাবার্তায় যুক্তির অভাব। অসুখটির বৈশিষ্ট্য অনুসারে এক সময় শর্ট টার্ম মেমোরি হারিয়ে গিয়ে লং টার্ম মেমোরি ফিরে ফিরে আসতে লাগল। গতকাল কী ঘটল, পরশু কী ঘটল সেসব কথা মনে নেই। কিন্তু ষাট/সত্তর বছর আগের স্মৃতি জীবন্ত হয়ে ফিরে আসত তাঁর কাছে। ভাইবোনেরা কে কোথায় খেলাধুলা করতেন, উঠানে খেলার সময় বাজ পড়ে তাঁর বড় বোনের কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল, এ ধরনের অনেক কথা যা বহু বছর বলা হয়নি।
খুব ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছিলেন বলে তাঁর মাকে নিয়ে স্মৃতি কম ছিল। কাজেই মায়ের গল্পগুলো আসত অন্যভাবে। বাবা বলতেন, ‘আমার মা এখানে আসবে। মা আসলে তাকে এখানে বসতে দিব। মাকে নিয়ে বেড়াতে যাব’ ইত্যাদি। এই একই গল্প প্রতিদিন। আমার মনে হলো এই অলীক কল্পনা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। আমি নিজেকে মায়ের জায়গায় নিয়ে গেলাম। ক্রমে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি ঘটল। ধীরে ধীরে বেশির ভাগ স্মৃতি মুছে যেতে লাগল। আব্বার স্মৃতিপটে ধরে রাখা অনেক অনেক চেনামুখ ক্রমে অচেনা হয়ে উঠতে লাগল। চেনামুখের সংখ্যা কমতে কমতে শেষে তিনজনে এসে ঠেকল।
আমি বাবার খুব আদরের কন্যা ছিলাম। প্রতিদিন তাঁর অবস্থা একটু একটু করে খারাপের দিকে যাচ্ছে, সেটা বুঝতে পারছিলাম। মনে মনে অস্থির হচ্ছিলাম। কী করা যায়, ভাবছি। পারিবারিক চিকিৎসক তাঁকে জেরিয়াট্রিক বিশেষজ্ঞ অর্থাৎ বার্ধক্যজনিত রোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে বললেন। সেরকম এক চিকিৎসক জানালেন, তিনি অসুখটির সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেছেন।
আলঝেইমার্স হলে চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না। অনেকে পরামর্শ দিলেন, পুরোনো কিছু বিষয় মনে করিয়ে দিতে, যাতে তাঁর মস্তিষ্ক সচল হয়। আমি তাঁকে নিয়ে সারগাম গাওয়া শুরু করলাম। খেয়াল করে দেখলাম, সারগাম তাঁর কিছুটা মনে আছে। আমার সঙ্গে গাইতে শুরু করলেন। আমি পালটা সারগাম শুরু করলাম। সারেগা রেগামা গামাপা মাপাধা...। আরোহণ পারলেন। অবরোহণে গিয়ে বিস্মৃতি দেখা দিল। তবে আব্বা শব্দ উচ্চারণ না করে আ আ আ করে গাইলেন আমার সঙ্গে। আমি তবলার বোল বলতে শুরু করলাম। দেখি, শুয়ে শুয়ে হাতের আঙুল নাড়াচাড়া করার চেষ্টা করছেন। এককালে তবলা বাজিয়েছেন অনেক। কিছুটা কি মনে পড়ল? আমি সুর করে দরুদ পড়ে শোনাতাম। খুব মনোযোগ দিয়ে মাথা নেড়ে নেড়ে শুনতেন।
কিন্তু উল্লেখযোগ্য কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন হলো না। শেষ দিকে দ্রুতই অবস্থা খারাপের দিকে যেতে লাগল। আম্মা বলতে গেলে চব্বিশ ঘণ্টা আব্বাকে চোখে চোখে রাখতেন। আলঝেইমার্স রোগীরা সম্পূর্ণভাবে পরনির্ভরশীল হয়ে যায়। আম্মার ওপর আব্বার এই নির্ভরশীলতা অবধারিতভাবেই। তিনি যত্নের সঙ্গে দিনরাত দেখাশোনা করতেন।
কিন্তু শেষ দিনটা যে হঠাৎ এত কাছে এসে যাবে, সেটা আমরা কখনো ভাবিনি। শান্তশিষ্ট বাবা, কাউকে জীবনে বিরক্ত করেননি, নিজের কাজে ডুবে থাকতেন। সব সময় অন্যের সুবিধা দেখতেন, প্রয়োজনে নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন। ঠিক এরই স্বাক্ষর রেখে গেলেন জীবনের শেষ বেলায়। কাউকে কোনো রকম বিরক্ত না করে, এমনকি না জানিয়ে ঘুমের মধ্যে নীরবে এক জগৎ থেকে অন্য জগতে চলে গেলেন। ঠিক পাশে থাকা মানুষটিও কিছু বুঝতে পারলেন না। আমি আমার মায়ের কথা বলছি। আব্বার কিছু অস্বস্তি হচ্ছিল, সে কারণে আম্মার ঘুম ভেঙেছিল শেষ রাতের দিকে। আম্মা টর্চ জ্বালিয়ে আব্বাকে দেখলেন কিছুক্ষণ। কিন্তু তারপর আব্বা শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। আম্মাও বাকি রাত ঘুমিয়ে সকাল সকাল উঠে নামাজ পড়ে ঘরের কিছু কাজ সেরে নিলেন। আব্বার এত সকাল সকাল না উঠলেও চলবে। এই ভেবে তিনি সকালের খাবার তৈরি করে নয়টার পর আব্বাকে ডাকতে গেলেন। মুখে ডাকার পর সাড়া না পেয়ে গায়ে হাত দিয়ে জাগাতে গিয়ে দেখলেন তাঁর শরীর শীতল হয়ে গেছে। সুদীর্ঘ সময়ের জীবনসঙ্গী তাঁকে ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন। তারিখটা ছিল ২৪ নভেম্বর ২০১৯।
লেখক: অধ্যাপক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, ঢাকা, সেতারশিল্পী এবং সংগীত গবেষক

আমার বাবা মোবারক হোসেন খানের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, ১৯৩৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তাঁর বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খান ছিলেন সফদর হোসেন খানের পাঁচ পুত্রের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। সফদর হোসেন খান ছিলেন সচ্ছল গৃহস্থ মানুষ। খুব শৌখিন মানুষ ছিলেন তিনি। সংগীতের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা ও আকর্ষণ ছিল তাঁর। বিশেষ করে সেতার শেখার জন্য যে কষ্ট তিনি করেছিলেন, তা রীতিমতো গল্প মনে হয়।
তখন কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ত্রিপুরা সব একসঙ্গে ছিল। সফদর হোসেন খান খবর নিয়ে জেনেছিলেন ত্রিপুরার রাজদরবারের সভা সংগীতজ্ঞ হলেন মিয়া তানসেনের বংশধর ওস্তাদ কাসেম আলী খাঁ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার শিবপুর নামক অজ পাড়াগাঁ থেকে বের হয়ে ছুটে গেলেন ত্রিপুরার রাজদরবারে। তারপর অনেক কষ্ট করে ওস্তাদ কাসেম আলী খাঁকে রাজি করান তাঁকে শিষ্যত্বে বরণ করে নিতে। সেই থেকে পরিবারের রক্তধারায় যুক্ত হয়ে গেল সংগীত। সফদর হোসেন খানের পাঁচ ছেলে কমবেশি সবাই সংগীত চর্চা করেছেন। তাঁরা হলেন সমিরউদ্দিন খাঁ, ফকির আফতাবউদ্দিন খাঁ, সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, নায়েব আলী খাঁ ও আয়েত আলী খাঁ।
একটি সংগীত সংশ্লিষ্ট পরিবারের মানুষ হিসেবে স্বাভাবিকভাবে আমার বাবার সুরের প্রতি আকর্ষণ ছিল ছোটবেলা থেকে। ছোটবেলা থেকেই গান গাইতে শিখে গেলেন। বাড়িতে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের চর্চা হয়। হারমোনিয়াম থেকে শুরু করে সেতার, সরোদ, সুরবাহার, বেহালা, তবলা-বাঁয়া আরও কত কি! আর সব শিশুদের মতো মোবারক হোসেন খানও এসব যন্ত্রের বাজাতে বাজাতে ও গাইতে গাইতে বড় হতে লাগলেন। তখন সে পরিবারে একটা রেওয়াজ ছিল, ছেলেরা যখন স্কুলে যাওয়ার মতো বড় হতো তখন লেখাপড়ার পাশাপাশি তাকে কোনো একটা বাদ্যযন্ত্রে হাতেখড়ি দেওয়া হতো। আব্বাকে হাতেখড়ি দেওয়া হলো বেহালা যন্ত্রে। প্রতিদিন স্কুল থেকে এসে আব্বা দাদুর বাদ্যযন্ত্রের কারখানায় চলে যেতেন। সেখানে আরও কয়েকজন একসঙ্গে বেহালা শিখতেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন চাচাতো ভাই আমিনুর হোসেন খান ও ভাগনে খুরশিদ খান। বাবা এঁদের সঙ্গে কয়েক বছর তালিম নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে পড়াশোনার চাপে হোক বা যে কারণেই হোক, শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেননি।
লেখাপড়ায় বরাবর ভালো ছিলেন মোবারক হোসেন খান। সে জন্য পরিবারের দিক থেকে একটা চাপ ছিল ভালোভাবে লেখাপড়া করার জন্য। ফলে ক্রমে তিনি লেখাপড়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। সংগীত চর্চাটা সেভাবে ধরে রাখতে পারলেন না। তাঁর সংগীত চর্চাটা ছিল অনিয়মিত। বেহালা ছেড়ে দেওয়ার পরে তিনি ‘মন্দ্রনাদ’ নামে একটা যন্ত্র বেশ কিছুদিন বাজিয়েছেন। যন্ত্রটা অনেকটা বেহালার আকার। কিন্তু অনেক বড়। আর বাজানোর ধরনটাও আলাদা। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খানের পরামর্শে আমার দাদু ওস্তাদ আয়েত আলী খান এই যন্ত্রটা উদ্ভাবন করেছিলেন। এরপর কিছুদিন বাজিয়েছেন ‘চন্দ্রসারং’। এই যন্ত্রটাও ওস্তাদ আলাউদ্দিন খানের পরামর্শে ওস্তাদ আয়েত আলী খান উদ্ভাবন করেছিলেন। এ ছাড়া তিনি তবলা বাজানো রপ্ত করেছিলেন ছোটবেলা থেকে।
ছাত্রজীবনে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অনুষ্ঠানে তবলা সংগত করেছেন। তা ছাড়া উচ্চাঙ্গ সংগীতেও তাঁর দক্ষতা ছিল ভালো। চাচাতো ভাই ওস্তাদ খাদেম হোমন খান, ভাগনে ওস্তাদ খুরশিদ খানের মতো গুণী শিল্পীদের সঙ্গে তবলা সংগত করেছেন তিনি। কিন্তু সবশেষে তাঁর মনে ধরল বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খানের বানানো যন্ত্র সুরবাহার। বাবা একদিন দাদুকে বললেন, ‘আমি সুরবাহার বাজাব।’ দাদুর খুব আদরের ছেলে ছিলেন আব্বা। তাঁর কোনো আবদারে দাদু না বলতেন না। তিনি অনুমতি দিয়ে নিজের সুরবাহার যন্ত্রটা ছেলেকে বাজাতে দিলেন।
লেখাপড়া আর সংগীত চর্চা চলল পাশাপাশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ পাস করার পর কর্মজীবন শুরু করলেন বেতারে, অনুষ্ঠান প্রযোজক হিসেবে। কর্মজীবনে একের পর এক সাফল্য পেলেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হয়ে অবসর গ্রহণ করলেন। কিন্তু সংগীত চর্চাটা আর সেভাবে ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে সংগীত বিষয়ে পড়াশোনা করতে খুব ভালোবাসতেন। এক সময় সংগীত বিষয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখতে শুরু করেন এবং এক সময় তিনি সংগীত গবেষক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন।
সংগীত বিষয়ে লেখালেখির পাশাপাশি প্রবন্ধ, শিশুসাহিত্য, অনুবাদ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। ‘সংগীতসাধক অভিধান’, ‘ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর পত্রাবলি’, ‘বাদ্যযন্ত্র প্রসঙ্গ’, ‘সংগীত প্রসঙ্গ’, ‘সংগীত সাধনা’, ‘রাগসংগীত’, ‘কণ্ঠসাধন’, ‘যন্ত্রসাধন’, ‘সংগীত গুণীজন’, ‘সংগীত মালিকা’, ‘আমার সংগীত স্বজন’, ‘ছোটদের সারেগামা ও সংগীতবিদ্যা’, ‘তিন সংগীতস্রষ্টা’, ‘গড়ল যারা সুরের তাজমহল’, ‘বাংলাদেশের মুসলিম সংগীতসাধক’, ‘আমি যে বাজিয়েছিলেম’, ‘নজরুল সংগীতের বিচিত্র ধারা’, ‘নজরুল সংগীত প্রসঙ্গ’, ‘ছড়া গান’, ‘গানের স্বরলিপি’, ‘সংগীত সন্দর্শন’, ‘মিউজিক অ্যান্ড ইটস স্টাডি’, ‘ইসলামিক কনট্রিবিউশন টু সাউথ এশিয়া’স ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিক’, ‘ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান: দ্য লিজেন্ড ইন মিউজিক’ ইত্যাদি তাঁর লেখা সংগীত বিষয়ক বই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো ‘মুক্তিযুদ্ধের গান’, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়’। ‘মুক্তিযুদ্ধের সেরা গল্প’ তাঁর সংকলন ও সম্পাদনায় প্রকাশিত বই। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় তিনি ১২০ টির বেশি বই লিখেছেন। এসব বইয়ের জন্য তিনি ১৯৮৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন। এ ছাড়া স্বাধীনতা পদক (১৯৯৪), গবেষণা সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং অনুবাদে অলক্ত সাহিত্য পুরস্কারে (২০১০) ভূষিত হয়েছেন।
সংগীত গবেষক কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রশাসকের বাইরে আমাদের কাছে তিনি ছিলেন স্নেহময় পিতা। আমাদের তিনি প্রতিদিন গল্প শোনাতেন—লোকজ গল্প, ঠাকুরমার ঝুলির গল্প, তারপর বিদেশি গল্পের অনুবাদ। সেগুলোর মধ্যে মনে পড়ে গ্রিম ব্রাদার্স এর লেখা ‘হ্যান্সেল অ্যান্ড গ্রেটেল’ গল্পটার কথা। আরও অনেক বই থেকে অনুবাদ করে আব্বা আমাদের গল্প শোনাতেন। সেই থেকেই কি না জানি না, তিনি একপর্যায়ে মনোযোগ দিয়ে বিদেশি গল্পের অনুবাদ করতে শুরু করেন। পরে সেগুলো সব বই আকারে প্রকাশিত হয়।
আরেকটা খুব আনন্দের স্মৃতি আছে তাঁর সঙ্গে। ছোটবেলায় স্কুলে আমাদের যে বাংলা বই পড়ানো হতো তাতে অনেক ছড়া ও কবিতা থাকত। আমরা এগুলো মুখস্থ করতাম। বাবা আমাদের জন্য এগুলো সুর করে গান বানিয়ে দিতেন। ‘পাখীসব করে রব রাতি পোহাইলো, কাননে কুসুমকলি সকলে ফুটিলো’, কিংবা ‘আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ফুল তুলিতে যাই’ এগুলো সব আমাদের কাছে গান হয়ে গিয়েছিল। খুব উৎসাহের সঙ্গে হারমোনিয়াম বাজিয়ে তিনি এই ছড়াগুলোয় সুর দিতেন। তারপর আমাদের ডেকে সেগুলো শিখিয়ে দিতেন।
মানুষ হিসেবে বাবা ছিলেন খুব সময়ানুবর্তী, নিয়মানুবর্তী, নিজের কাজে নিষ্ঠাবান, পরিবারের প্রতি দায়িত্ববান। আর যত গুণাবলি হতে পারে, আমার বিশ্বাস সবই বাবার ছিল। বাইরের কাজে এত ব্যস্ত থাকার পরও পারিবারিক জীবনের আনন্দটাই তাঁর কাছে বড় ছিল। আমাদের যেকোনো কাজে বাবাকে পাইনি, এমন কোনো দিন হয়নি। খুব গুছিয়ে জীবনের সবগুলো কাজ করে গেছেন তিনি। শেষ জীবনে তাঁর আলঝেইমার্স রোগ হয়। অসুখটা যে আলঝেইমার্স, সে কথা আমরা অনেক পরে জেনেছি। এর একটা বহিঃপ্রকাশ ডিমেনশিয়া। অর্থাৎ স্মৃতিভ্রংশ। সেটা অবশ্য বেশ কিছুদিন ধরেই বুঝতে পারছিলাম।
প্রথমদিকে চিন্তাভাবনার অসংগতি, কথাবার্তায় যুক্তির অভাব। অসুখটির বৈশিষ্ট্য অনুসারে এক সময় শর্ট টার্ম মেমোরি হারিয়ে গিয়ে লং টার্ম মেমোরি ফিরে ফিরে আসতে লাগল। গতকাল কী ঘটল, পরশু কী ঘটল সেসব কথা মনে নেই। কিন্তু ষাট/সত্তর বছর আগের স্মৃতি জীবন্ত হয়ে ফিরে আসত তাঁর কাছে। ভাইবোনেরা কে কোথায় খেলাধুলা করতেন, উঠানে খেলার সময় বাজ পড়ে তাঁর বড় বোনের কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল, এ ধরনের অনেক কথা যা বহু বছর বলা হয়নি।
খুব ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছিলেন বলে তাঁর মাকে নিয়ে স্মৃতি কম ছিল। কাজেই মায়ের গল্পগুলো আসত অন্যভাবে। বাবা বলতেন, ‘আমার মা এখানে আসবে। মা আসলে তাকে এখানে বসতে দিব। মাকে নিয়ে বেড়াতে যাব’ ইত্যাদি। এই একই গল্প প্রতিদিন। আমার মনে হলো এই অলীক কল্পনা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। আমি নিজেকে মায়ের জায়গায় নিয়ে গেলাম। ক্রমে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি ঘটল। ধীরে ধীরে বেশির ভাগ স্মৃতি মুছে যেতে লাগল। আব্বার স্মৃতিপটে ধরে রাখা অনেক অনেক চেনামুখ ক্রমে অচেনা হয়ে উঠতে লাগল। চেনামুখের সংখ্যা কমতে কমতে শেষে তিনজনে এসে ঠেকল।
আমি বাবার খুব আদরের কন্যা ছিলাম। প্রতিদিন তাঁর অবস্থা একটু একটু করে খারাপের দিকে যাচ্ছে, সেটা বুঝতে পারছিলাম। মনে মনে অস্থির হচ্ছিলাম। কী করা যায়, ভাবছি। পারিবারিক চিকিৎসক তাঁকে জেরিয়াট্রিক বিশেষজ্ঞ অর্থাৎ বার্ধক্যজনিত রোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে বললেন। সেরকম এক চিকিৎসক জানালেন, তিনি অসুখটির সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গেছেন।
আলঝেইমার্স হলে চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না। অনেকে পরামর্শ দিলেন, পুরোনো কিছু বিষয় মনে করিয়ে দিতে, যাতে তাঁর মস্তিষ্ক সচল হয়। আমি তাঁকে নিয়ে সারগাম গাওয়া শুরু করলাম। খেয়াল করে দেখলাম, সারগাম তাঁর কিছুটা মনে আছে। আমার সঙ্গে গাইতে শুরু করলেন। আমি পালটা সারগাম শুরু করলাম। সারেগা রেগামা গামাপা মাপাধা...। আরোহণ পারলেন। অবরোহণে গিয়ে বিস্মৃতি দেখা দিল। তবে আব্বা শব্দ উচ্চারণ না করে আ আ আ করে গাইলেন আমার সঙ্গে। আমি তবলার বোল বলতে শুরু করলাম। দেখি, শুয়ে শুয়ে হাতের আঙুল নাড়াচাড়া করার চেষ্টা করছেন। এককালে তবলা বাজিয়েছেন অনেক। কিছুটা কি মনে পড়ল? আমি সুর করে দরুদ পড়ে শোনাতাম। খুব মনোযোগ দিয়ে মাথা নেড়ে নেড়ে শুনতেন।
কিন্তু উল্লেখযোগ্য কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন হলো না। শেষ দিকে দ্রুতই অবস্থা খারাপের দিকে যেতে লাগল। আম্মা বলতে গেলে চব্বিশ ঘণ্টা আব্বাকে চোখে চোখে রাখতেন। আলঝেইমার্স রোগীরা সম্পূর্ণভাবে পরনির্ভরশীল হয়ে যায়। আম্মার ওপর আব্বার এই নির্ভরশীলতা অবধারিতভাবেই। তিনি যত্নের সঙ্গে দিনরাত দেখাশোনা করতেন।
কিন্তু শেষ দিনটা যে হঠাৎ এত কাছে এসে যাবে, সেটা আমরা কখনো ভাবিনি। শান্তশিষ্ট বাবা, কাউকে জীবনে বিরক্ত করেননি, নিজের কাজে ডুবে থাকতেন। সব সময় অন্যের সুবিধা দেখতেন, প্রয়োজনে নিজেকে গুটিয়ে রাখতেন। ঠিক এরই স্বাক্ষর রেখে গেলেন জীবনের শেষ বেলায়। কাউকে কোনো রকম বিরক্ত না করে, এমনকি না জানিয়ে ঘুমের মধ্যে নীরবে এক জগৎ থেকে অন্য জগতে চলে গেলেন। ঠিক পাশে থাকা মানুষটিও কিছু বুঝতে পারলেন না। আমি আমার মায়ের কথা বলছি। আব্বার কিছু অস্বস্তি হচ্ছিল, সে কারণে আম্মার ঘুম ভেঙেছিল শেষ রাতের দিকে। আম্মা টর্চ জ্বালিয়ে আব্বাকে দেখলেন কিছুক্ষণ। কিন্তু তারপর আব্বা শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। আম্মাও বাকি রাত ঘুমিয়ে সকাল সকাল উঠে নামাজ পড়ে ঘরের কিছু কাজ সেরে নিলেন। আব্বার এত সকাল সকাল না উঠলেও চলবে। এই ভেবে তিনি সকালের খাবার তৈরি করে নয়টার পর আব্বাকে ডাকতে গেলেন। মুখে ডাকার পর সাড়া না পেয়ে গায়ে হাত দিয়ে জাগাতে গিয়ে দেখলেন তাঁর শরীর শীতল হয়ে গেছে। সুদীর্ঘ সময়ের জীবনসঙ্গী তাঁকে ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন। তারিখটা ছিল ২৪ নভেম্বর ২০১৯।
লেখক: অধ্যাপক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ, ঢাকা, সেতারশিল্পী এবং সংগীত গবেষক

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
৫ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
৫ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
৫ ঘণ্টা আগে
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি জানিয়ে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রী এমন দাবি করলে বাদ পড়েন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে। এরপর কল্কি সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ দেওয়া হয় দীপিকাকে।
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস। কনসার্ট বাতিল হওয়ার ঘটনাকে আয়োজকদের ব্যর্থতা দাবি করে জেমস বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।’
জেমসের ম্যানেজার ও মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়োজকেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতর থেকে অনেক বেশি মানুষ ছিল বাইরে। এভাবে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আমরা সন্ধ্যার সময়ই ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরুর পর জানতে পারি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আমাদের জানানো হয়, বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকায় চলে আসেন জেমস।’
জানা যায়, স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজ সাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বের সময় জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলার কবলে পড়েছেন জেমস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন—এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘এমন কথা সত্যি নয়। সন্ধ্যায় ফরিদপুর পৌঁছালেও অনুষ্ঠানস্থলে যাননি জেমস। ছিলেন একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেই তিনি খবর পান বিশৃঙ্খলার। পরে শো বাতিল করলে আমরা ভেন্যুতে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত ১০ গুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্য আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস। কনসার্ট বাতিল হওয়ার ঘটনাকে আয়োজকদের ব্যর্থতা দাবি করে জেমস বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।’
জেমসের ম্যানেজার ও মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়োজকেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতর থেকে অনেক বেশি মানুষ ছিল বাইরে। এভাবে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আমরা সন্ধ্যার সময়ই ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরুর পর জানতে পারি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আমাদের জানানো হয়, বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকায় চলে আসেন জেমস।’
জানা যায়, স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজ সাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বের সময় জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলার কবলে পড়েছেন জেমস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন—এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘এমন কথা সত্যি নয়। সন্ধ্যায় ফরিদপুর পৌঁছালেও অনুষ্ঠানস্থলে যাননি জেমস। ছিলেন একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেই তিনি খবর পান বিশৃঙ্খলার। পরে শো বাতিল করলে আমরা ভেন্যুতে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত ১০ গুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্য আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

আমার বাবা মোবারক হোসেন খানের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, ১৯৩৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তাঁর বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খান ছিলেন সফদর হোসেন খানের পাঁচ পুত্রের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। সফদর হোসেন খান ছিলেন সচ্ছল গৃহস্থ মানুষ। খুব শৌখিন মানুষ ছিলেন তিনি। সংগীতের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা ও আকর্ষণ ছিল তাঁর। বিশেষ করে সেতার শেখার জ
২৪ নভেম্বর ২০২৩
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
৫ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
৫ ঘণ্টা আগে
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি জানিয়ে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রী এমন দাবি করলে বাদ পড়েন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে। এরপর কল্কি সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ দেওয়া হয় দীপিকাকে।
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি। প্রদীপ ঘোষের সিনেমাটি ২০২৩ সালে আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। নির্মাতা জানালেন নতুন বছরে আবার শুরু হচ্ছে সিনেমার শুটিং।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে রাশিদ পলাশ লেখেন, ‘এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশা আল্লাহ ২০২৬’। মন্তব্যের ঘরে পরীমণি লেখেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি’। স্পষ্টতই বোঝা গেল, জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরে আবার প্রীতিলতা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন পরীমণি।
প্রীতিলতা সিনেমা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করলে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই প্রীতিলতার বাকি অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিংয়ে যাব।’
২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রীতিলতার ফার্স্ট লুক। প্রীতিলতা বেশে চমকে দিয়েছিলেন পরী। সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। কিন্তু পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতিসহ নানা কারণে সে সময় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাঝে কয়েকবার এই সিনেমার শুটিং শুরুর কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। নতুন বছরে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান পরিচালক রাশিদ পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিং শেষ করতে চান প্রীতিলতার। এরপরেই শুরু করবেন সম্পাদনাসহ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
রাশিদ পলাশ বলেন, ‘২০২০ সালের শেষ দিকে আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা অংশের কাজ শেষ করা আছে। এখন আমরা শুটিং করব চট্টগ্রাম অংশের। আশা করছি রোজার ঈদের পর এপ্রিল মাসে আবার ক্যামেরা ওপেন করতে পারব।’

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি। প্রদীপ ঘোষের সিনেমাটি ২০২৩ সালে আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। নির্মাতা জানালেন নতুন বছরে আবার শুরু হচ্ছে সিনেমার শুটিং।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে রাশিদ পলাশ লেখেন, ‘এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশা আল্লাহ ২০২৬’। মন্তব্যের ঘরে পরীমণি লেখেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি’। স্পষ্টতই বোঝা গেল, জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরে আবার প্রীতিলতা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন পরীমণি।
প্রীতিলতা সিনেমা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করলে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই প্রীতিলতার বাকি অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিংয়ে যাব।’
২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রীতিলতার ফার্স্ট লুক। প্রীতিলতা বেশে চমকে দিয়েছিলেন পরী। সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। কিন্তু পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতিসহ নানা কারণে সে সময় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাঝে কয়েকবার এই সিনেমার শুটিং শুরুর কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। নতুন বছরে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান পরিচালক রাশিদ পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিং শেষ করতে চান প্রীতিলতার। এরপরেই শুরু করবেন সম্পাদনাসহ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
রাশিদ পলাশ বলেন, ‘২০২০ সালের শেষ দিকে আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা অংশের কাজ শেষ করা আছে। এখন আমরা শুটিং করব চট্টগ্রাম অংশের। আশা করছি রোজার ঈদের পর এপ্রিল মাসে আবার ক্যামেরা ওপেন করতে পারব।’

আমার বাবা মোবারক হোসেন খানের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, ১৯৩৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তাঁর বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খান ছিলেন সফদর হোসেন খানের পাঁচ পুত্রের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। সফদর হোসেন খান ছিলেন সচ্ছল গৃহস্থ মানুষ। খুব শৌখিন মানুষ ছিলেন তিনি। সংগীতের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা ও আকর্ষণ ছিল তাঁর। বিশেষ করে সেতার শেখার জ
২৪ নভেম্বর ২০২৩
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
৫ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
৫ ঘণ্টা আগে
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি জানিয়ে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রী এমন দাবি করলে বাদ পড়েন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে। এরপর কল্কি সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ দেওয়া হয় দীপিকাকে।
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প। এর প্রমাণ এ বছর আবারও পেয়েছে বলিউড।
হৃতিক রোশন-এনটিআর জুনিয়র-কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘ওয়ার ২’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। ব্যর্থ হয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’, বরুণ ধাওয়ান-জাহ্নবী কাপুরের ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’, শহিদ কাপুরের ‘দেবা’, কাজলের ‘মা’, অর্জুন কাপুরের ‘মেরে হাজবেন্ড কি বিবি’সহ একাধিক বড় তারকার সিনেমা। হিট সিনেমার সিকুয়েলও এবার খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওয়ার ২ তো আছেই, ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজয়ের ‘দে দে পেয়ার দে ২’, ‘সন অব সরদার ২’, টাইগার শ্রফের ‘বাঘি ৪’, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী-তৃপ্তি দিমরির ‘ধাড়াক ২’সহ একগুচ্ছ সিকুয়েল।
আগে থেকেই দক্ষিণের চাপে ছিল বলিউড। এ বছর সে চাপ আরও বেড়েছে। ইদানীং দক্ষিণি সিনেমাগুলো প্যান-ইন্ডিয়া নাম দিয়ে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পায়। ফলে দক্ষিণি সিনেমার সাফল্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বলিউডের বক্স অফিস। বলিউডের হতাশার এই বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বড় সাফল্য এনে দেয় ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’। দেড় শ কোটিতে নির্মিত সিনেমাটি ৮০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। তবে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও ওঠে সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতার পর ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব ফেরাটাও বলিউডের এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রেক্ষাগৃহে ২৬৬ কোটির বেশি ব্যবসা করা সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে ওটিটিতে না দিয়ে আমির সরাসরি মুক্তি দেন ইউটিউবে। সেখানেও বড় সাফল্য পেয়েছেন। এ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নতুন জুটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন নির্মাতা মোহিত সুরি। আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডাকে নিয়ে তিনি তৈরি করেন ‘সাইয়ারা’। এই গতানুগতিক প্রেমের আখ্যান দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আয় করেছে ৫৭৯ কোটি রুপি। এ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড পেয়েছে দুই নতুন মুখ, যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন আগামীর তারকা। অ্যাকশন গল্পের আধিক্যের ভিড়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ কিংবা ‘হাউসফুল ৫’-এর মতো কমেডি গল্প। এ দুই সিনেমা দিয়ে এবার বক্স অফিসে কিছুটা হলেও সাফল্য ফিরে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছেন রণবীর সিং। বছরজুড়ে তাঁর মুক্তির তালিকা ছিল শূন্য। ছিলেন আলোচনার বাইরে। ৫ ডিসেম্বর আসে তাঁর স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় হাজার কোটির মাইলফলকে পৌঁছেছে সিনেমাটি। এটিই বলিউডে এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় ফিরেছেন অক্ষয় খান্না।

তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প। এর প্রমাণ এ বছর আবারও পেয়েছে বলিউড।
হৃতিক রোশন-এনটিআর জুনিয়র-কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘ওয়ার ২’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। ব্যর্থ হয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’, বরুণ ধাওয়ান-জাহ্নবী কাপুরের ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’, শহিদ কাপুরের ‘দেবা’, কাজলের ‘মা’, অর্জুন কাপুরের ‘মেরে হাজবেন্ড কি বিবি’সহ একাধিক বড় তারকার সিনেমা। হিট সিনেমার সিকুয়েলও এবার খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওয়ার ২ তো আছেই, ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজয়ের ‘দে দে পেয়ার দে ২’, ‘সন অব সরদার ২’, টাইগার শ্রফের ‘বাঘি ৪’, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী-তৃপ্তি দিমরির ‘ধাড়াক ২’সহ একগুচ্ছ সিকুয়েল।
আগে থেকেই দক্ষিণের চাপে ছিল বলিউড। এ বছর সে চাপ আরও বেড়েছে। ইদানীং দক্ষিণি সিনেমাগুলো প্যান-ইন্ডিয়া নাম দিয়ে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পায়। ফলে দক্ষিণি সিনেমার সাফল্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বলিউডের বক্স অফিস। বলিউডের হতাশার এই বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বড় সাফল্য এনে দেয় ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’। দেড় শ কোটিতে নির্মিত সিনেমাটি ৮০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। তবে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও ওঠে সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতার পর ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব ফেরাটাও বলিউডের এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রেক্ষাগৃহে ২৬৬ কোটির বেশি ব্যবসা করা সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে ওটিটিতে না দিয়ে আমির সরাসরি মুক্তি দেন ইউটিউবে। সেখানেও বড় সাফল্য পেয়েছেন। এ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নতুন জুটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন নির্মাতা মোহিত সুরি। আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডাকে নিয়ে তিনি তৈরি করেন ‘সাইয়ারা’। এই গতানুগতিক প্রেমের আখ্যান দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আয় করেছে ৫৭৯ কোটি রুপি। এ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড পেয়েছে দুই নতুন মুখ, যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন আগামীর তারকা। অ্যাকশন গল্পের আধিক্যের ভিড়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ কিংবা ‘হাউসফুল ৫’-এর মতো কমেডি গল্প। এ দুই সিনেমা দিয়ে এবার বক্স অফিসে কিছুটা হলেও সাফল্য ফিরে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছেন রণবীর সিং। বছরজুড়ে তাঁর মুক্তির তালিকা ছিল শূন্য। ছিলেন আলোচনার বাইরে। ৫ ডিসেম্বর আসে তাঁর স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় হাজার কোটির মাইলফলকে পৌঁছেছে সিনেমাটি। এটিই বলিউডে এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় ফিরেছেন অক্ষয় খান্না।

আমার বাবা মোবারক হোসেন খানের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, ১৯৩৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তাঁর বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খান ছিলেন সফদর হোসেন খানের পাঁচ পুত্রের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। সফদর হোসেন খান ছিলেন সচ্ছল গৃহস্থ মানুষ। খুব শৌখিন মানুষ ছিলেন তিনি। সংগীতের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা ও আকর্ষণ ছিল তাঁর। বিশেষ করে সেতার শেখার জ
২৪ নভেম্বর ২০২৩
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
৫ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
৫ ঘণ্টা আগে
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি জানিয়ে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রী এমন দাবি করলে বাদ পড়েন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে। এরপর কল্কি সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ দেওয়া হয় দীপিকাকে।
৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



আমার বাবা মোবারক হোসেন খানের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, ১৯৩৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। তাঁর বাবা ওস্তাদ আয়েত আলী খান ছিলেন সফদর হোসেন খানের পাঁচ পুত্রের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। সফদর হোসেন খান ছিলেন সচ্ছল গৃহস্থ মানুষ। খুব শৌখিন মানুষ ছিলেন তিনি। সংগীতের প্রতি ভীষণ ভালোবাসা ও আকর্ষণ ছিল তাঁর। বিশেষ করে সেতার শেখার জ
২৪ নভেম্বর ২০২৩
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
৫ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
৫ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
৫ ঘণ্টা আগে