Ajker Patrika

হলিউডে ধর্মঘট: ১০০ দিন পেরোল, আর্থিক ক্ষতি ৩০০ কোটি ডলার 

হলিউডে ধর্মঘট: ১০০ দিন পেরোল, আর্থিক ক্ষতি ৩০০ কোটি ডলার 

ন্যায্য পারিশ্রমিকের দাবিতে গত মে মাস থেকে আন্দোলন করছেন রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার (ডব্লিউজিএ) প্রায় সাড়ে ১১ হাজার সদস্য। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ‘স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড—আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টের (এসএজি–এএফটিআরএ) প্রায় দেড় লাখ সদস্য। 

শুধু তা-ই নয়, সিনেমা বা টিভি সিরিজ অথবা যেকোনো সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্রে শিল্পীদের বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের বিরুদ্ধেও সরব তাঁরা। শিল্পীরা শুটিং বন্ধ রাখার পাশাপাশি সিনেমার প্রিমিয়ার শো, প্রচার এবং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের মতো আয়োজনও বর্জন করেছেন।

আন্দোলনের ১০০ দিন পার হলেও কোনো সমাধান আসেনি। অ্যালায়েন্স অব মোশন পিকচার অ্যান্ড টেলিভিশন প্রডিউসারসের প্রতিনিধিরা ডব্লিউজিএর সঙ্গে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি।

শঙ্কার কথা হলো, এই আন্দোলনের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতিতে এরই মধ্যে কমপক্ষে ৩০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অনুমানটি করেছেন ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির বিনোদন শিল্প ব্যবস্থাপনার অধ্যাপক টড হোমস। সর্বশেষ ২০০৭ সালে সংঘটিত রাইটার্স গিল্ডের ধর্মঘটের আর্থিক ক্ষতির সঙ্গে তুলনা করে এই অনুমান করেছেন তিনি। অর্থনীতি বিষয়ক থিংক ট্যাংক মিলকেন ইনস্টিটিউটের হিসাবে, ২০০৭ সালের ওই ধর্মঘটের কারণে ৩৭ হাজার ৭০০ জন চাকরি হারান এবং ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতিতে ক্ষতি হয় ২১০ কোটি ডলার। 

অধ্যাপক টড হোমস তাঁর হিসাবে এই ২১০ কোটিকে বিবেচনায় নিয়েছেন। এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন বর্তমান মুদ্রাস্ফীতি এবং বিদ্যমান অন্যান্য বিষয়। এতে তিনি ক্ষতির পরিমাণ পেয়েছেন ৩০০ কোটি ডলার।

তিনি বলছেন, প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশিই হবে। কারণ এখানে স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড আমেরিকান ফেডারেশন অব টেলিভিশন এবং রেডিও আর্টিস্টস ইউনিয়নের সদস্যদের হিসাবে ধরতে হবে। এই দুই সংগঠনের বহু সদস্য গত জুলাইয়ে আন্দোলনে শরিক হয়েছেন। 

এই ধর্মঘটের ক্ষতি শুধু লেখক ও অভিনেতাদের ওপর পড়ছে না। হলিউডে প্রযোজনা বন্ধের ফলে এর সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক কিছুর ওপরই প্রভাব পড়ছে। এর মধ্যে শুটিংয়ে খাবার সরবরাহকারী, স্টুডিওর কাছাকাছি রেস্টুরেন্ট, প্রপস হাউস, সেট প্রস্তুতকারী, ড্রাই ক্লিনার, পেশাদার ড্রাইভার, ফুল বিক্রেতা এবং আরও অনেক কিছুর ওপর ধর্মঘটের মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। 

অধ্যাপক হোমসের মতে, এখানে বিনোদন শিল্পের আশপাশে থাকা প্রচুর মানুষ এই ধর্মঘটের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। এটি তাঁদের জন্য এখন অনেক কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক লি ওহানিয়ান বলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের আয়ের প্রায় ২০ শতাংশ আসে বিনোদন শিল্পে চাকরি এবং বিনোদনের সঙ্গে জড়িত পেশা থেকে। এখানে অর্থনীতিতে বিনোদন শিল্পের প্রভাব অনেক বেশি। কারণ এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা গড় চাকরি বা পেশার চেয়ে বেশি উপার্জন করেন।

ওহানিয়ান বলেন, ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে প্রায় ৭ লাখ মানুষ বিনোদন শিল্পে কাজ করেন। এটি এই অঙ্গরাজ্যের মোট জনশক্তির প্রায় ৫ শতাংশ।

কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, এই ধর্মঘট হলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ধর্মঘট হতে যাচ্ছে। ১৯৬০ সালে লেখকদের এ ধরনের ধর্মঘট ২১ সপ্তাহ এবং ১৯৮৮ সালে ২২ সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছিল। আর বর্তমান ধর্মঘট ১৫তম সপ্তাহে প্রবেশ করেছে। এটি আগের সব রেকর্ড ভাঙনে যদি মধ্য অক্টোবরের আগে কোনো সমাধান না হয়।

অধ্যাপক টড হোমস মনে করছেন এই ধর্মঘট অক্টোবর পর্যন্ত চললে ক্ষতির পরিমাণ ৪ বিলিয়ন থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। আর যদি এটি নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয় তবে তা ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। 

অধ্যাপক হোমস বলছেন, এই ধর্মঘট অক্টোবর পর্যন্ত চললে অর্থনীতির ক্ষতি দাঁড়াবে ৪০০–৫০০ কোটি ডলার।

এদিকে গত শুক্রবার ডব্লিউজিএর নেতারা অ্যালায়েন্স অব মোশন পিকচার অ্যান্ড টেলিভিশন প্রডিউসারসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেছিলেন। গত ২ মে থেকে ধর্মঘট শুরুর পর এটাই তাদের প্রথম বৈঠক। তবে টিভি সিরিয়ালের জন্য ন্যূনতম সংখ্যক স্টাফ নেওয়া এবং ন্যূনতম সংখ্যক সপ্তাহ কাজের নিশ্চয়তার দাবিতে তাদের আলোচনা আটকে আছে।

এদিকে ডব্লিউজিএর সঙ্গে সমঝোতা হলেও অন্যান্য ইউনিয়নের কিছু দাবি–দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা এসেছে। তার মানে ডব্লিউজিএ তাদের আন্দোলনে যোগ দেওয়া এসএজি সদস্যদের অধিকারও চায়। তার মানে দুই ইউনিয়নের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কেউ কাজে ফিরছে না। যেখানে ডব্লিউজিএর সদস্য সংখ্যা ১১ হাজার ৫০০ আর এসএজি–এএফটিআরএর সদস্য প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবশেষে জাস্টিন ট্রুডো-কেটি পেরির প্রেমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল, ইন্টারনেটে তোলপাড়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি। ছবি:  এক্স
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি। ছবি: এক্স

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, কেটি পেরি তাঁর চলমান ‘দ্য লাইফটাইমস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ স্থগিত রেখে ট্রুডোর সঙ্গে টোকিওতে এই কূটনৈতিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

জাস্টিন ট্রুডো কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখে দারুণ লাগলো@kishida 230। ক্যাটি এবং আমি আপনার ও ইউকোর সঙ্গে বসে কথা বলার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। ফুমিও, আপনার বন্ধুত্বের জন্য এবং আন্তর্জাতিক নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রতি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ।’

পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ট্রুডো একটি ধূসর স্যুট পরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রনায়কোচিত রূপে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, কেটি পেরি সেজেছিলেন সবুজ রঙের দু’টুকরো পোশাক, কালো টাইটস, একটি টার্টলনেক এবং বুট পরে। কিশিদা দম্পতির সঙ্গে ছবি তোলার সময় কেটি পেরিকে ট্রুডোর পেছনে হাত রেখে দাঁড়াতে দেখা যায়। কিশিদা ট্রুডোর পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ধন্যবাদ, জাস্টিন। আপনি এবং কেটি, দু’জনকেই অবকাশের শুভেচ্ছা!’

জাস্টিন ট্রুডো এই পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট জুড়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মুক্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে উন্মাদনার একটি ঘোষণা।’ আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘কেটি পেরি আন্তর্জাতিক কূটনীতি সামলাচ্ছেন। আমার টপ রিস্কস ২০২৫ তালিকায় এটা ছিল না!’

অনেক ভক্তও মজার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কিন্তু সঙ্গে ছুটির কার্ডের আমেজ।’ অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘খোদার কসম, এটা আমার বিঙ্গো কার্ডে ছিল না।’ এই কূটনৈতিক ঘোষণার মাধ্যমে পেরি ও ট্রুডো জুটি এখন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি মহলে নতুন আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লন্ডনে উন্মোচিত হলো শাহরুখ-কাজলের ভাস্কর্য

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৩
গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে উন্মোচিত হয় ডিডিএলজের ভাস্কর্য। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে উন্মোচিত হয় ডিডিএলজের ভাস্কর্য। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।

বর্ষণমুখর আবহাওয়ার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। এই ভাস্কর্যটি লেস্টার স্কয়ারের ‘সিনস ইন দ্য স্কয়ার’ ট্রেইলের অংশ হিসেবে হ্যারি পটার, প্যাডিংটন এবং ব্রিজেট জোনসের ভাস্কর্যের সঙ্গে যুক্ত হলো।

লন্ডনে ভাস্কর্য উন্মোচনের ফাঁকে শাহরুখ খানের কাছে নববিবাহিত দম্পতিদের জন্য তাঁর নিজস্ব পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়। মজা করে জবাব দেন শাহরুখ।

শাহরুখ উত্তর দেওয়ার আগেই অভিনেত্রী কাজল রসিকতা করে বলে ওঠেন, ‘ওঁর সব ছবিই তো বিয়ের আগের প্রেম নিয়ে, বিয়ের পরের প্রেম নিয়ে নয়!’

কাজলের কথায় সম্মতি জানিয়ে শাহরুখ খান হাসতে হাসতে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, তুমি ছিলে একজন যাকে আমি উপদেশ দিতে পারতাম। কিন্তু বিয়ের পর, তুমি তো এখন নিজের দায়িত্বে চলে গেছ!’ অবশ্য শাহরুখ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিতে ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘ততদিন (বিয়ের আগে) পর্যন্ত, আমার মনে হয় আমি ঠিকই করেছি। আপনাদের রোমান্স থাকতে হবে, গান গাইতে হবে।’ কাজল সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, ‘এবং অবশ্যই ডিডিএলজে দেখতে হবে।’

ছবিটি সম্পর্কে যশ রাজ ফিল্মসের সিইও অক্ষয় বিধানি এটিকে ‘গৌরবের বিশাল মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। অন্যদিকে, হার্ট অব লন্ডন বিজনেস অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী রস মর্গ্যান বলেন, ‘ডিডিএলজে একটি সিনেমাটিক ঘটনা যা প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে, এবং লন্ডন এই প্রথম ভারতীয় সিনেমার আন্তর্জাতিক দর্শকদের মুগ্ধ করে চলা একটি গল্পকে সম্মান জানাল।’

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন শাহরুখ খান। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বিলিয়নেয়ার ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। এই ঘটনা তাঁকে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং টেলর সুইফটের মতো বৈশ্বিক তারকাদের কাতারে নিয়ে এসেছে।

চার বছরের বিরতির পর ২০২৩ সালে চলচ্চিত্রে ফেরেন বলিউড বাদশাহ। সম্প্রতি তাঁর আসন্ন অ্যাকশন ফিল্ম ‘কিং’-এর টিজার উন্মুক্ত হয়েছে। তবে অ্যাকশন ঘরানার আরও ছবি বা পরবর্তী জেমস বন্ড হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রসিকতা করে শাহরুখ জবাব দেন: ‘না। আমার উচ্চারণ সেরকম নয়। আর আমি শেকেন মার্টিনি (বিশেষভাবে তৈরি ককটেল) পছন্দ করি না।’

এদিকে, চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক কমে যাওয়া নিয়ে কাজল মনে করেন, এখন দর্শকদের হাতে বেছে নেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘মানুষের এখন সিনেমা হলে যাওয়া বা না যাওয়ার স্বাধীনতা আছে। যখন এত বিকল্প, তখন বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’

তবে শাহরুখ খান বিশ্বাস করেন, ‘কমিউনিটি ভিউয়িং...সবসময় থাকবে। আমরা একসঙ্গে কোনো জিনিস দেখতে এবং উপভোগ করতে ভালোবাসি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাক্ষস সিনেমায় অভিনয়ের গুঞ্জন নাকচ করলেন ইধিকা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪২
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।

আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।

এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।

এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রকাশিত হলো শিরোনামহীনের ‘এই অবেলায় ২’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।

‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।

২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।

শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত