
আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি। বাংলাদেশের ওটিটি ও সিনেমা নিয়ে আফজাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা।
এম এস রানা

ওটিটিতে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আপনার অভিনীত ‘২ষ’ সিরিজের ‘অন্তরা’ পর্বটি সম্পর্কে বলুন।
এটি প্রথম সিজনের ‘মিষ্টি কিছু’ পর্বের সিকুয়েল। মিষ্টি কিছু যেখানে শেষ হয়েছিল, তার পর থেকে অন্তরা শুরু। পর্বটির প্রেক্ষাপট বেশ সিরিয়াস। আমার কাজ করতে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনি নিয়মিত অভিনয় করেন না। কিন্তু নুহাশ হুমায়ূনের ‘ষ’-এর দুই সিজনেই কাজ করলেন। বিশেষ কোনো কারণ আছে?
নুহাশকে আমার ভালো লাগে। তার ভাবনাগুলো আলাদা। নতুন ভাবনা যাঁরা ভাবতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা মানে নিজের কিছুটা আয়ু বৃদ্ধি করা, ভাবনাকে সমৃদ্ধ করা। দুটি চিত্রনাট্য পড়েই আমার মনে হয়েছে, ও খুব আলাদা করে ভাবে।
কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?
রেসপন্স নিয়ে আমি ভাবি না। ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে যা বিশেষ, যা আলাদা কিংবা ভিন্ন এবং সবার আগ্রহ সৃষ্টি করে, তার সঙ্গে আমি জড়িত আছি। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যাঁরা দেখছেন, তাঁরা এই ‘আলাদা কিছু’কে সম্মানিত করছেন। পেট কাটা ষ যখন প্রথম এল, তখন দেখলাম প্রতিটি গল্প আলাদা। একজন লেখক বা নির্মাতার গল্প এত ভিন্ন হতে পারে, এটি কিন্তু চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা। আরও ভালো লেগেছিল, তরুণ প্রজন্মের যারা টেলিভিশন বা ছোট পর্দা নিয়ে আগ্রহ দেখায় না, তাদের ভেতর একটা আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে। যাঁরা ছোট পর্দার কাজ নিয়ে কোনো দিন কথা বলেননি, তাঁরাও অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রশংসা করেছেন।
এর আগেই ‘মেসমেট’ সিরিজে আপনার অভিনয় দেখা গেল...
এর নির্মাতাও একজন তরুণ। মেসমেট করেও ভীষণ ভালো লেগেছে। গল্পটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তা নয়, কিন্তু একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে।
ওটিটিতে কি তাহলে নিয়মিত হচ্ছেন?
তেমনটা নয়। অভিনয় আমার দুর্বলতা। ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করছি। যদি পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে আমি কখনোই অভিনয়ের সঙ্গে খুব বেশি জড়িয়ে থাকতে চাইনি। একসময় একটাই টেলিভিশন ছিল। তখন যাঁরাই কাজ করেছেন, ভালোবেসে করেছেন। পরবর্তীকালে এটার পরিধিটা অনেক বেড়ে গেল। তাই কাউকে কাউকে ভাবতে হয়েছে, এটা পেশা হয়ে উঠুক। অল্পসংখ্যক মানুষ ভেবেছে, এটা পেশা না হোক। ভালো লাগার ও ভালোবাসার জায়গায় থাকুক। আমার কাছে অভিনয়টা ভালো লাগার জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। শুধু দর্শকের সামনে থাকার জন্য কিংবা করার জন্য করা, এটা ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগে না।
যতটা আশা করা হয়েছিল, আমাদের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারছে না। এই বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
কেন শক্তিশালী হয়ে উঠছে না, সেটার উত্তর আমার জানা নেই। তবে আমি চাই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকে থাকুক। আমরা দেশের বাইরের অনেক ধারাবাহিক বা সিনেমা দেখছি। কিন্তু আমাদের বেলায় এমন হয়ে ওঠেনি। ওটিটি আসার পর এই পথটা উন্মুক্ত হয়েছে। এখন আমাদের কাজ বাইরের দেশের মানুষ দেখার সুযোগ পাচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও পাবে। তাই আশা করব, এই মাধ্যমটা ভালোভাবে টিকে থাকুক।
ইউটিউবে প্রকাশিত নাটকের অনেক ভিউ দেখা যায়। কিন্তু ওটিটির কনটেন্টগুলো এখনো মানুষের মাঝে সেভাবে পৌঁছাতে পারছে না। এ বিষয়ে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
আমরা যদি কোনো বিশেষ মাধ্যমকে বলি, এই মাধ্যমে অসংখ্য দর্শক আছে এবং সেই বিশেষ দর্শকশ্রেণি যদি বিচারক হয়, তাহলে আমাদের কাজের যে উচ্চতা, সেটি সঠিক হবে কি না, সেটা বিবেচনার বিষয়। এখন বেশির ভাগ সময়ে বাংলাদেশে সবকিছু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করা হয়। একটি গান কতবার শুনল, একটা নাটক কতজনে দেখল, একজন অভিনয়শিল্পীকে কত মানুষ পছন্দ করল। যখন আমাদের একটা রেডিও এবং একটা টেলিভিশন ছিল, মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ কম ছিল। তাই বলে কি চট্টগ্রামের একটি ব্যান্ড সোলস যখন নতুন ধারার গান করল, সেই গানগুলো কি সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? পৌঁছেছে নতুনত্বের কারণে। একটা বিশেষ শ্রেণি পছন্দ করেছে, আরেকটি শ্রেণি করেনি, এমনটা হয়নি। একটা সময় টেলিভিশনের মাধ্যমে কিছু গায়কের উত্থান হয়েছে। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর, পিলু মমতাজসহ অনেকে। তাঁরা একেকজন একেক ধরনের গান করেন। সমস্ত শ্রোতা বলল, তাঁদের গান ভালো। তার মানে, ভালোকে ভালো বলার বিশেষ ক্ষমতাটা মানুষের মাঝে ছিল। পরবর্তীকালে আইয়ুব বাচ্চু, জেমস এলেন। তাঁরাও তো ভিন্ন ঘরানার গান ও গায়কি নিয়ে সফল হলেন। যে আলাদা, যে ভিন্ন, তাকে সব শ্রেণি পছন্দ করবে। আমরা এখন আলাদা কি না, সেটাই ভাবার বিষয়। আমি যদি কোনো শ্রেণির হয়ে কিছু করতে চাই, তাহলে সেটা এগিয়ে যাওয়া হবে না, হবে থমকে যাওয়া। যাঁদের কথা বললাম, তাঁরা কেউ জনপ্রিয়তার পেছনে ছোটেননি, ভালোর পেছনে ছুটেছেন। জনপ্রিয় হওয়ার বাসনাটা শুরুতেই মানুষকে পরাজিত করছে।
কী করলে আমাদের কনটেন্টগুলো আরও ভালো হতে পারে বলে মনে হয়?
আমাদের কনটেন্টগুলোতে বিষয়বৈচিত্র্য খুব একটা নেই। মাঝে মাঝে কিছু আলাদা বিষয় নিয়ে কাজ হয়। সাধারণের মাঝেও অসাধারণ কোনো বিষয় থাকে। কিন্তু সেটা বড় করে বলা হয় না। আমরা রোজ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আয়নার সামনে দাঁড়াই। নিজেকেই কোনো দিন ভালো লাগে, আবার কোনো দিন লাগে না। নিজেই নিজের মধ্যে বৈচিত্র্য চাই। সুতরাং আমরা যা উপভোগ করি, তার মধ্যেও বৈচিত্র্য থাকাটা জরুরি। আমাদের দেশে যাঁরা লেখেন, যাঁরা নির্মাণ করেন, অভিনয়শিল্পী বা কলাকুশলী যাঁরা আছেন, প্রত্যেকেই খুব দক্ষ এবং প্রতিভাবান। কিন্তু আমাদের যে আলাদা ভাবনা আছে, মনমানসিকতা আছে, সেগুলো আমাদের কাজে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দেশের দর্শক তাদেরটা বাদ দিয়ে কেন আমাদের দেখবেন, সেটা ভাবতে হবে। আমাদের কাজে আমাদের নিজস্বতা থাকতে হবে। তবেই আমাদের কাজের আকর্ষণ বাড়বে।
বাংলাদেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ বেড়েছে। বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। স্বল্পদৈর্ঘ্য নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
ভালো কাজ ও নতুন চিন্তা আমাদের দেশে প্রশ্রয় পায় না। আশার কথা হচ্ছে, যাঁরা বাইরে যোগাযোগ করতে পারেন, তাঁরা নতুন ভাবনা বা কাজের ব্যাপারে সহায়তা পান। এখন সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণেই অনেক সিনেমা তৈরি হয়ে বাইরে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে পৃষ্ঠপোষক তৈরি হচ্ছে না কেন?
পৃথিবীতে শিল্পমনস্কতা শিল্পচর্চা বাঁচিয়ে দেয়। হাজার বছর আগেও শিল্পীরা ছবি এঁকেছেন। সেই ছবি এঁকে তো শিল্পীর পেটে ভাত জোটেনি। কিন্তু ছবি আঁকার যে স্পৃহা, আবেগ বা তাগিদ, সেটা তো কেউ না কেউ বাঁচিয়ে রেখেছেন। শিল্পী একা বাঁচিয়ে রাখেননি, তাঁর সঙ্গে মানুষ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। অতীতেও আমাদের দেশে যাঁরা বড় পরিবারের ছিলেন, সেটা রাজা হোক কিংবা জমিদার, তাঁরা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন, বিদ্যাপীঠ, প্রার্থনাশালা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছেন। নিজের কাছে থাকা জিনিস কাজে লাগিয়েছেন মানুষের প্রয়োজনে। কেন? কারণ মানুষের সাহায্য হবে। আমার মনে হয়, সেই যুগ পৃথিবীতে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সেদিন শুনলাম, আমেরিকাতে কয়েকজন অভিনেতা মিলে একটা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন। কারণ হলো, চিকিৎসার জন্য যাঁদের দীর্ঘকাল হাসপাতালে থাকতে হবে, তাঁদের সঙ্গে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের থাকার যেন সমস্যা না হয়। এই যে প্রক্রিয়াটা, এটা মানুষ, মানবতা, আবেগ এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। আমাদের দেশে শুনি, অসংখ্য অর্থবান মানুষ আছেন কিন্তু সামাজিক উন্নয়নে সেই অর্থবান মানুষের ভূমিকা খুব কম দেখতে পাই। আমরা দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার প্রযোজক আর ডি বনশল। ভিন্ন ভাষার একজন হয়েও তিনি মনে করেননি, এটি আমার ভাষার সিনেমা নয়, এখানে বিনিয়োগ করা যাবে না। আমাদের দেশে সে বিষয়টি হয়ে ওঠেনি। আমাদের দেশের নির্মাতা-কলাকুশলীদের যদি সাপোর্ট করা যেত, তাহলে আমরা আরও উঁচু জায়গায় যেতে পারতাম।
আমাদের দেশেও সিনেমার সোনালি সময় ছিল। এখন সেটা নেই কেন?
আমি কিন্তু সিনেমার পোকা ছিলাম। সপ্তাহে তিন-চারটি সিনেমা তো দেখতামই। অনেক ধরনের সিনেমা হয়েছে আমাদের দেশে। পোশাকি সিনেমা, সামাজিক, রাজনৈতিক সিনেমা যেমন হয়েছে, আবার প্রেমের সিনেমাও হয়েছে। তার পরে, আমাদের মাথা খেয়ে ফেলল বাণিজ্য। এই সিনেমা দেখতে হবে আর দেখাতে হবে—এই দুটি কারণে সিনেমার রূপ এমনভাবে পাল্টে ফেললাম যে বৃহৎসংখ্যক মানুষ সিনেমা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। মুখ থুবড়ে পড়ল সিনেমা। যখন একজন তাঁর সমস্ত বিশ্বাস, আদর্শ, যোগ্যতা দিয়ে একটা সিনেমা নির্মাণ করেন, আমরা সেটাকে বড় করে দেখি না। কারণ, সেটার মধ্যে বাণিজ্য নেই। যারা নতুন ভাবনা নিয়ে আসছে, তাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরা দরকার। নির্মাতারা তাঁদের কাজটি করলেও বাকিরা তাদের করণীয়টা করছে না। সিনেমাটা তো দর্শকদের দেখতে হবে। সেই বন্দোবস্তটাই করা হচ্ছে না।
বাণিজ্যিক সিনেমাই কি আমাদের অন্তরায়?
বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। বাণিজ্যিক ছবি বানানো অত্যন্ত যোগ্যতার ব্যাপার। আমি বলতে চাইছি, বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি নতুন ভাবনার সিনেমা তৈরি হলে তার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তোলার ভূমিকা সবার থাকা দরকার। সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই এমন সিনেমার নির্মাতারা কত দিন কষ্ট করে টিকে থাকতে পারবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আস্থার কথা হলো, এসবের মধ্যেও বহু সিনেমা হচ্ছে, যে সিনেমাগুলো খুব চমৎকার ও অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে নির্মিত হয়েছে।
ওটিটিতে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আপনার অভিনীত ‘২ষ’ সিরিজের ‘অন্তরা’ পর্বটি সম্পর্কে বলুন।
এটি প্রথম সিজনের ‘মিষ্টি কিছু’ পর্বের সিকুয়েল। মিষ্টি কিছু যেখানে শেষ হয়েছিল, তার পর থেকে অন্তরা শুরু। পর্বটির প্রেক্ষাপট বেশ সিরিয়াস। আমার কাজ করতে অনেক ভালো লেগেছে।
আপনি নিয়মিত অভিনয় করেন না। কিন্তু নুহাশ হুমায়ূনের ‘ষ’-এর দুই সিজনেই কাজ করলেন। বিশেষ কোনো কারণ আছে?
নুহাশকে আমার ভালো লাগে। তার ভাবনাগুলো আলাদা। নতুন ভাবনা যাঁরা ভাবতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারা মানে নিজের কিছুটা আয়ু বৃদ্ধি করা, ভাবনাকে সমৃদ্ধ করা। দুটি চিত্রনাট্য পড়েই আমার মনে হয়েছে, ও খুব আলাদা করে ভাবে।
কেমন রেসপন্স পাচ্ছেন?
রেসপন্স নিয়ে আমি ভাবি না। ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে যা বিশেষ, যা আলাদা কিংবা ভিন্ন এবং সবার আগ্রহ সৃষ্টি করে, তার সঙ্গে আমি জড়িত আছি। তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যাঁরা দেখছেন, তাঁরা এই ‘আলাদা কিছু’কে সম্মানিত করছেন। পেট কাটা ষ যখন প্রথম এল, তখন দেখলাম প্রতিটি গল্প আলাদা। একজন লেখক বা নির্মাতার গল্প এত ভিন্ন হতে পারে, এটি কিন্তু চমকে যাওয়ার মতো ঘটনা। আরও ভালো লেগেছিল, তরুণ প্রজন্মের যারা টেলিভিশন বা ছোট পর্দা নিয়ে আগ্রহ দেখায় না, তাদের ভেতর একটা আগ্রহ তৈরি করতে পেরেছে। যাঁরা ছোট পর্দার কাজ নিয়ে কোনো দিন কথা বলেননি, তাঁরাও অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রশংসা করেছেন।
এর আগেই ‘মেসমেট’ সিরিজে আপনার অভিনয় দেখা গেল...
এর নির্মাতাও একজন তরুণ। মেসমেট করেও ভীষণ ভালো লেগেছে। গল্পটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তা নয়, কিন্তু একটা আলাদা আকর্ষণ রয়েছে।
ওটিটিতে কি তাহলে নিয়মিত হচ্ছেন?
তেমনটা নয়। অভিনয় আমার দুর্বলতা। ১৯৭৫ সাল থেকে অভিনয় করছি। যদি পর্যালোচনা করা হয়, তাহলে বোঝা যাবে আমি কখনোই অভিনয়ের সঙ্গে খুব বেশি জড়িয়ে থাকতে চাইনি। একসময় একটাই টেলিভিশন ছিল। তখন যাঁরাই কাজ করেছেন, ভালোবেসে করেছেন। পরবর্তীকালে এটার পরিধিটা অনেক বেড়ে গেল। তাই কাউকে কাউকে ভাবতে হয়েছে, এটা পেশা হয়ে উঠুক। অল্পসংখ্যক মানুষ ভেবেছে, এটা পেশা না হোক। ভালো লাগার ও ভালোবাসার জায়গায় থাকুক। আমার কাছে অভিনয়টা ভালো লাগার জায়গা, ভালোবাসার জায়গা। শুধু দর্শকের সামনে থাকার জন্য কিংবা করার জন্য করা, এটা ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগে না।
যতটা আশা করা হয়েছিল, আমাদের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো ততটা শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারছে না। এই বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
কেন শক্তিশালী হয়ে উঠছে না, সেটার উত্তর আমার জানা নেই। তবে আমি চাই প্ল্যাটফর্মগুলো টিকে থাকুক। আমরা দেশের বাইরের অনেক ধারাবাহিক বা সিনেমা দেখছি। কিন্তু আমাদের বেলায় এমন হয়ে ওঠেনি। ওটিটি আসার পর এই পথটা উন্মুক্ত হয়েছে। এখন আমাদের কাজ বাইরের দেশের মানুষ দেখার সুযোগ পাচ্ছে, ভবিষ্যতে আরও পাবে। তাই আশা করব, এই মাধ্যমটা ভালোভাবে টিকে থাকুক।
ইউটিউবে প্রকাশিত নাটকের অনেক ভিউ দেখা যায়। কিন্তু ওটিটির কনটেন্টগুলো এখনো মানুষের মাঝে সেভাবে পৌঁছাতে পারছে না। এ বিষয়ে কী করা উচিত বলে মনে করেন?
আমরা যদি কোনো বিশেষ মাধ্যমকে বলি, এই মাধ্যমে অসংখ্য দর্শক আছে এবং সেই বিশেষ দর্শকশ্রেণি যদি বিচারক হয়, তাহলে আমাদের কাজের যে উচ্চতা, সেটি সঠিক হবে কি না, সেটা বিবেচনার বিষয়। এখন বেশির ভাগ সময়ে বাংলাদেশে সবকিছু সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করা হয়। একটি গান কতবার শুনল, একটা নাটক কতজনে দেখল, একজন অভিনয়শিল্পীকে কত মানুষ পছন্দ করল। যখন আমাদের একটা রেডিও এবং একটা টেলিভিশন ছিল, মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ কম ছিল। তাই বলে কি চট্টগ্রামের একটি ব্যান্ড সোলস যখন নতুন ধারার গান করল, সেই গানগুলো কি সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি? পৌঁছেছে নতুনত্বের কারণে। একটা বিশেষ শ্রেণি পছন্দ করেছে, আরেকটি শ্রেণি করেনি, এমনটা হয়নি। একটা সময় টেলিভিশনের মাধ্যমে কিছু গায়কের উত্থান হয়েছে। আজম খান, ফেরদৌস ওয়াহিদ, ফিরোজ সাঁই, ফকির আলমগীর, পিলু মমতাজসহ অনেকে। তাঁরা একেকজন একেক ধরনের গান করেন। সমস্ত শ্রোতা বলল, তাঁদের গান ভালো। তার মানে, ভালোকে ভালো বলার বিশেষ ক্ষমতাটা মানুষের মাঝে ছিল। পরবর্তীকালে আইয়ুব বাচ্চু, জেমস এলেন। তাঁরাও তো ভিন্ন ঘরানার গান ও গায়কি নিয়ে সফল হলেন। যে আলাদা, যে ভিন্ন, তাকে সব শ্রেণি পছন্দ করবে। আমরা এখন আলাদা কি না, সেটাই ভাবার বিষয়। আমি যদি কোনো শ্রেণির হয়ে কিছু করতে চাই, তাহলে সেটা এগিয়ে যাওয়া হবে না, হবে থমকে যাওয়া। যাঁদের কথা বললাম, তাঁরা কেউ জনপ্রিয়তার পেছনে ছোটেননি, ভালোর পেছনে ছুটেছেন। জনপ্রিয় হওয়ার বাসনাটা শুরুতেই মানুষকে পরাজিত করছে।
কী করলে আমাদের কনটেন্টগুলো আরও ভালো হতে পারে বলে মনে হয়?
আমাদের কনটেন্টগুলোতে বিষয়বৈচিত্র্য খুব একটা নেই। মাঝে মাঝে কিছু আলাদা বিষয় নিয়ে কাজ হয়। সাধারণের মাঝেও অসাধারণ কোনো বিষয় থাকে। কিন্তু সেটা বড় করে বলা হয় না। আমরা রোজ বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আয়নার সামনে দাঁড়াই। নিজেকেই কোনো দিন ভালো লাগে, আবার কোনো দিন লাগে না। নিজেই নিজের মধ্যে বৈচিত্র্য চাই। সুতরাং আমরা যা উপভোগ করি, তার মধ্যেও বৈচিত্র্য থাকাটা জরুরি। আমাদের দেশে যাঁরা লেখেন, যাঁরা নির্মাণ করেন, অভিনয়শিল্পী বা কলাকুশলী যাঁরা আছেন, প্রত্যেকেই খুব দক্ষ এবং প্রতিভাবান। কিন্তু আমাদের যে আলাদা ভাবনা আছে, মনমানসিকতা আছে, সেগুলো আমাদের কাজে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দেশের দর্শক তাদেরটা বাদ দিয়ে কেন আমাদের দেখবেন, সেটা ভাবতে হবে। আমাদের কাজে আমাদের নিজস্বতা থাকতে হবে। তবেই আমাদের কাজের আকর্ষণ বাড়বে।
বাংলাদেশে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাণ বেড়েছে। বিদেশেও প্রশংসিত হচ্ছে। স্বল্পদৈর্ঘ্য নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
ভালো কাজ ও নতুন চিন্তা আমাদের দেশে প্রশ্রয় পায় না। আশার কথা হচ্ছে, যাঁরা বাইরে যোগাযোগ করতে পারেন, তাঁরা নতুন ভাবনা বা কাজের ব্যাপারে সহায়তা পান। এখন সারা বিশ্বের নির্মাতাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ আছে। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণেই অনেক সিনেমা তৈরি হয়ে বাইরে যাচ্ছে।
আমাদের দেশে পৃষ্ঠপোষক তৈরি হচ্ছে না কেন?
পৃথিবীতে শিল্পমনস্কতা শিল্পচর্চা বাঁচিয়ে দেয়। হাজার বছর আগেও শিল্পীরা ছবি এঁকেছেন। সেই ছবি এঁকে তো শিল্পীর পেটে ভাত জোটেনি। কিন্তু ছবি আঁকার যে স্পৃহা, আবেগ বা তাগিদ, সেটা তো কেউ না কেউ বাঁচিয়ে রেখেছেন। শিল্পী একা বাঁচিয়ে রাখেননি, তাঁর সঙ্গে মানুষ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে। অতীতেও আমাদের দেশে যাঁরা বড় পরিবারের ছিলেন, সেটা রাজা হোক কিংবা জমিদার, তাঁরা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন, বিদ্যাপীঠ, প্রার্থনাশালা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছেন। নিজের কাছে থাকা জিনিস কাজে লাগিয়েছেন মানুষের প্রয়োজনে। কেন? কারণ মানুষের সাহায্য হবে। আমার মনে হয়, সেই যুগ পৃথিবীতে এখনো শেষ হয়ে যায়নি। সেদিন শুনলাম, আমেরিকাতে কয়েকজন অভিনেতা মিলে একটা অতিথিশালা নির্মাণ করেছেন। কারণ হলো, চিকিৎসার জন্য যাঁদের দীর্ঘকাল হাসপাতালে থাকতে হবে, তাঁদের সঙ্গে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের থাকার যেন সমস্যা না হয়। এই যে প্রক্রিয়াটা, এটা মানুষ, মানবতা, আবেগ এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। আমাদের দেশে শুনি, অসংখ্য অর্থবান মানুষ আছেন কিন্তু সামাজিক উন্নয়নে সেই অর্থবান মানুষের ভূমিকা খুব কম দেখতে পাই। আমরা দেখেছি, সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার প্রযোজক আর ডি বনশল। ভিন্ন ভাষার একজন হয়েও তিনি মনে করেননি, এটি আমার ভাষার সিনেমা নয়, এখানে বিনিয়োগ করা যাবে না। আমাদের দেশে সে বিষয়টি হয়ে ওঠেনি। আমাদের দেশের নির্মাতা-কলাকুশলীদের যদি সাপোর্ট করা যেত, তাহলে আমরা আরও উঁচু জায়গায় যেতে পারতাম।
আমাদের দেশেও সিনেমার সোনালি সময় ছিল। এখন সেটা নেই কেন?
আমি কিন্তু সিনেমার পোকা ছিলাম। সপ্তাহে তিন-চারটি সিনেমা তো দেখতামই। অনেক ধরনের সিনেমা হয়েছে আমাদের দেশে। পোশাকি সিনেমা, সামাজিক, রাজনৈতিক সিনেমা যেমন হয়েছে, আবার প্রেমের সিনেমাও হয়েছে। তার পরে, আমাদের মাথা খেয়ে ফেলল বাণিজ্য। এই সিনেমা দেখতে হবে আর দেখাতে হবে—এই দুটি কারণে সিনেমার রূপ এমনভাবে পাল্টে ফেললাম যে বৃহৎসংখ্যক মানুষ সিনেমা দেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। মুখ থুবড়ে পড়ল সিনেমা। যখন একজন তাঁর সমস্ত বিশ্বাস, আদর্শ, যোগ্যতা দিয়ে একটা সিনেমা নির্মাণ করেন, আমরা সেটাকে বড় করে দেখি না। কারণ, সেটার মধ্যে বাণিজ্য নেই। যারা নতুন ভাবনা নিয়ে আসছে, তাদের কাজগুলো সবার সামনে তুলে ধরা দরকার। নির্মাতারা তাঁদের কাজটি করলেও বাকিরা তাদের করণীয়টা করছে না। সিনেমাটা তো দর্শকদের দেখতে হবে। সেই বন্দোবস্তটাই করা হচ্ছে না।
বাণিজ্যিক সিনেমাই কি আমাদের অন্তরায়?
বাণিজ্যিক ছবির সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। বাণিজ্যিক ছবি বানানো অত্যন্ত যোগ্যতার ব্যাপার। আমি বলতে চাইছি, বাণিজ্যিক ঘরানার পাশাপাশি নতুন ভাবনার সিনেমা তৈরি হলে তার প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তোলার ভূমিকা সবার থাকা দরকার। সেটা আমাদের দেশে নেই। তাই এমন সিনেমার নির্মাতারা কত দিন কষ্ট করে টিকে থাকতে পারবেন, সেটা বড় প্রশ্ন। কিন্তু আস্থার কথা হলো, এসবের মধ্যেও বহু সিনেমা হচ্ছে, যে সিনেমাগুলো খুব চমৎকার ও অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে নির্মিত হয়েছে।

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৮ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৮ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৮ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৮ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৮ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৮ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

আফজাল হোসেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, নির্মাতা ও চিত্রশিল্পী। নিয়মিত না হলেও এখনো বিভিন্ন নাটক-সিরিজে দেখা যায় তাঁর অভিনয়নৈপুণ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত হলো তাঁর অভিনীত দুটি ওয়েব সিরিজ। সিনেমায়ও অভিনয় করছেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
৮ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
৮ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
৮ ঘণ্টা আগে