জাহীদ রেজা নূর

যে তিনজন মানুষ সত্যজিৎ রায়ের বিষয়ে এখানে কথা বলেছেন, একবারের জন্য হলেও সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছে। নানা উপলক্ষে তাঁদের দেখা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই রায়ের চলচ্চিত্র–জীবনের এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, যা শুনতে ভালো লাগবে। এটা কোনো নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়তো নয়, কিন্তু একসঙ্গে এই তিনজনকে পাওয়া একটা ব্যাপার বটে।
১৯৭৫ সালে সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করা হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে। সেখান থেকেই এই লেখাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। সে সংকলনে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখার্জী, শর্মিলা ঠাকুরসহ ভারতের আরও কয়েকজন শিল্পীর চোখে সত্যজিৎ রায় কেমন ছিলেন, তার বর্ণনা আছে। আমরা তো সেগুলো বাংলাতেই পড়ে নিতে পারব। এখানে ভিনদেশী তিন চলচ্চিত্র বোদ্ধার কথাই শুনি বরং।
জর্জ সাদ্যুল ছিলেন তুখোড় ফরাসী সাংবাদিক। চলচ্চিত্র নিয়ে লিখতেন তিনি। ছিলেন স্যুরিয়ালিস্ট, ১৯৩২ সালে পরিণত হয়েছিলেন কমিউনিস্টে। বিশ্ব চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁর লেখা বই l'Histoire générale du cinéma, সমীহ জাগানিয়া। ১৯০৪ সালে জন্ম নেওয়া এই সাংবাদিক মারা যান ১৯৬৭ সালে। সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
সাদ্যুল লিখছেন, ‘রায় সম্পর্কে জানা `কিংবদন্তী’গুলো সম্পর্কে বলি: নিজেরাই আমরা কারও গায়ে কোনো একটা তকমা এঁকে দিই, তারপর তা প্রচার করি। প্যারিসে আমি কয়েকবার সত্যজিৎ রায়কে দেখেছি। ওর কয়েকটি সিনেমা দেখেছি এবং তা থেকে ব্যক্তি সত্যজিৎ ও তাঁর নান্দনিক পথযাত্রা সম্পর্কে নিজের একটা ধারণা জন্মেছে। কলকাতার এই শিল্পী শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন সেই দিনটিতে, যেদিন তিনি ঝাঁ ও ক্লদ রেনোয়ার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। এরা দুজন বাংলায় গিয়েছিলেন ‘দ্য রিভার’–এর শুটিং করতে। তাঁদের এই সাক্ষাতের পরই রায় চিৎকার করে উঠেছিলেন—‘আমিও সিনেমা পরিচালক!’ এবং তারপর তিনি ‘পথের পাঁচালী’র জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করেন। কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানোর আগ পর্যন্ত এই ছবি সম্পর্কে ভারতে কোনো আলোড়নই ওঠেনি। কানেও ছবিটি নিয়ে আলোড়ন উঠত না, যদি না আঁদ্রে বাজেন ছবিটির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ না করতেন। ‘বছরের সেরা মানবিক দলিল’ পুরস্কারটা পেয়েছিল ‘পথের পাঁচালী’। ইউরোপের স্বীকৃতি না পেলে সত্যজিৎ রায়ের পক্ষে তাঁর চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ত। ‘অপরাজিত’ ছবির জন্য ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে `স্বর্ণ সিংহ’ লাভ করলেও তাতে ভারতে তাঁর জনপ্রিয়তা আসেনি। বছরের পর বছর তিনি ছবি তৈরি করেছেন, কিন্তু সেটা দেশের বাজারে জায়গা করে নিতে পারেনি। ইংল্যান্ড আর আমেরিকার বাজারে তাতে সাফল্য এসেছে। তাই অনেকেই বলাবলি করত, পূর্বদেশের এই চলচ্চিত্র পরিচালক সম্পূর্ণই পশ্চিমা–নির্ভর। কিন্তু এই কথা একেবারেই সত্য নয়। নয়া দিল্লি ও কলকাতায় দীর্ঘ সময় বসবাস করে এবং কয়েক ঘণ্টা সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কথা বলার পর সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে গড়ে ওঠা ওইসব কিংবদন্তী আর টিকে থাকেনি। ভারতে সত্যজিৎ রায়কে কেউ চেনে না—এ কথা একেবারেই সত্য নয়। নয়া দিল্লি কিংবা কলকাতার রাস্তায় নেমে এলেই পথচারীর দল কীভাবে তাঁকে ঘিরে ধরত এবং অটোগ্রাফ নিত, সেটা তো আমি নিজ চোখে দেখেছি। রাষ্ট্রপতি এবং মন্ত্রীরা তাঁকে সমীহ করে কথা বলতেন।
জাপানি চলচ্চিত্র পরিচালক আকিরা কুরোসাওয়াকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু এটুকু বললেই চলে যে, তিনি চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী পরিচালক। জাপানের টোকিওয় তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯১০ সালে। সে শহরেই মারা গেছেন ১৯৯৮ সালে।
সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে রচিত একটি রুশ সংকলনের জন্য মস্কোতে ১৯৭৫ সালে কুরোসাওয়ার মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছেন, প্রথমবারের মতো সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ দেখার পর আমার ভেতরটা যেভাবে আন্দোলিত হয়ে উঠেছিল, সেটা এখনো ভুলতে পারি না। এরপরও বারবার আমি এই ছবি দেখেছি, আর প্রতিবারই আগেরবারের চেয়ে অনেক বেশি আকৃষ্ট করেছে সেটা। যেন পূর্ণযৌবনা নদী বয়ে চলেছে ধীরে চলচ্চিত্রের সকল শৌকর্য নিয়ে। মানুষের জন্ম হয়, সে বেঁচে থাকে ও একসময় মরে যায়। সত্যজিৎ রায় মানবজীবনের এই স্বাভাবিক চক্রটি নিয়েই ছবি তৈরি করেন এবং তা করেন এমন অবলীলায় যে, তাতে অমসৃণ কিছু থাকে না। অথচ তা প্রবলভাবে দর্শক–শ্রোতার আবেগকে গ্রাস করে নেয়। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রের ভাষা খুবই সুক্ষ্ণ, তাতেই তার পূর্ণতা। রায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল টোকিওতে। মনে আছে, আমার মনে কী এক অসামান্য ছাপ ফেলেছিল শিল্পীর অবয়ব—উচ্চতায় অনেকখানি, হাত–পায়ের ভঙ্গি আকর্ষণীয়, অন্তর্ভেদী দৃষ্টি। আর তা দেখেই আমার মাথায় ভাবনাটা এল—এ রকম মানুষের পক্ষেই এ ধরনের বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্ভব। তখনই আমি তাঁর প্রতি আরও গভীরভাবে আকৃষ্ট হলাম। দুর্ভাগ্যবশত তাঁর ছবিগুলোর মধ্যে আমি শুধু তিনটি ছবি দেখেছি. ‘পথের পাচালী’, ‘অপরাজিত’, আর ‘অপুর সংসার’। পৃথিবীর সকল পরিচালককে আমি বলব, এখনই সত্যজিৎ রায়ের ছবি দেখে ফেলুন। বিশেষ করে ‘পথের পাঁচালী, আর ‘অপরাজিত’। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র না দেখার অর্থ পৃথিবীতে বসবাস করে সূর্য ও চাঁদকে না দেখা।
গ্রিগরি চুখরাইয়ের নাম অনেকেরই মনে পড়ে যাবে ‘ব্যালাড অব এ সোলজার’ ছবিটির কথা মনে করিয়ে দিলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে এ রকম কাব্যিক ছবি খুব কমই হয়েছে। সে ছবি গ্রিগরি চুখরাইয়ের তৈরি। চুখরাইও সত্যজিৎ রায়কে চলচ্চিত্র জগতের এক মহাশক্তি বলেই মনে করেন।
চুখরাইয়ের জন্ম ১৯২১ সালে ইউক্রেনের মেলিতাপোলে। মস্কোতে মারা যান ২০০১ সালে। চুখরাই লিখছেন, ‘আধুনিক চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক। রাষ্ট্রের সীমানা আর ভাষার অবোধ্যতা দূর হয়ে যায় প্রায় বিনাশ্রমে। বলা যায়, সাহিত্যের চেয়েও দ্রুত অন্য ভাষাভাষীকে আকৃষ্ট করে চলচ্চিত্রের ভাষা। কোনো দেশের লাখ লাখ মানুষ সিনেমা দেখে, অন্য দেশের মানুষ তা উপভোগ করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সব দেশের সবার কথা মাথায় রেখে কিন্তু পরিচালক ছবি নির্মাণ করেন না। যদি কেউ নিজের দেশ, নিজ সংস্কৃতির ওপর নির্ভর না করে আন্তর্জাতিক ছবি নির্মাণ করার কথা ভাবেন, তাহলে তার সে ভাবনা মুখ থুবড়ে পড়বে। সে রকম চেষ্টা ব্যর্থ হয়। জাতীয় জীবনের প্রতিফলন আছে যে ছবিতে, সে ছবিই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র হিসেবে টিকে যায়। সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাও সফল হয়েছে তার জাতীয় সংস্কৃতির চরিত্রের জন্যই। ভারতীয় বাণিজ্যিক ছবিই সর্বপ্রথম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যায়। এরই ফাঁকে একসময় রাশিয়ায় আসে সাতিয়াজিৎ রায়ের নাম, যদিও ভারতীয় উচ্চারণে তা ‘শত্যোজিৎ রায়’।
চুখরাই বলছেন, সত্যজিৎ রায়ের ছবি সম্পর্কে বলা যায়, ভারতকে ভেতরের চোখ দিয়ে দেখা। ওপরের চাকচিক্য নয়, ভেতরটাই উঠে আসে সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে। সত্যজিৎ রায়ের ছবি মানেই একজন শিল্পীর সৃষ্টি, একজন সৃষ্টিশীল মানুষের কারবার, যে মানুষটি দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর দর্শন ও নান্দনিক ভাবনার ভিত্তির ওপর। অপু ট্রিলজি, জলসাঘর, চারুলতা, অরণ্যের দিনরাত্রি, প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি সত্যজিৎ রায়কে সম্মান এনে দিয়েছে। আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছে পথের পাঁচালী। একটি দরিদ্র পরিবারকে নিয়েই এর গল্প। গল্পের শুরুতে মনে করতে চাই বা না চাই, মনে হবে এটা ইতালির নিওরিয়ালিস্ট ছবির মতো। নব্যবাস্তবতাবাদী ছবির সঙ্গেই এর যত মিল। ক্রিয়েটিভ টেকনিকগুলোও একরকম মনে হবে। যদিও স্বাধীনতা–পূর্ব ভারতের দারিদ্র্য আর বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী ইতালির দারিদ্র্যের তুলনা চলে না, তবুও ছবি হিসেবে তা একই রকম লাগবে। কিন্তু ছবিটি যখন এগিয়ে যেতে থাকবে, তখন বুঝতে পারা যাবে যে, এটা নিওরিয়ালাজিম মুদ্রার এপিঠ–ওপিঠ নয়। এটা সত্যজিৎ রায়ের তৈরি বাস্তবতা এবং এর চলচ্চিত্রের ভাষাও সত্যজিৎ রায়েরই। ছবিতে ইন্দিরা ঠাকরুণের যে চেহারা হাজির করা হয়েছে, তা নান্দনিকতা বহির্ভূত। বার্ধক্য তাঁকে এতটাই কাহিল করে তুলেছে যে, তাঁর দিকে তাকাতেই অস্বস্তি হয়। কিন্তু ছবিটি দেখা শুরু করার একটু পর থেকেই আমি নিজের অজান্তেই এই বৃদ্ধাকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমার জন্য এই বৃদ্ধা হয়ে পড়লেন অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান। কীভাবে এই জাদু ঘটে গেল, তার ব্যাখ্যা খুব সহজ নয়। মানে, ব্যাখ্যা করা সম্ভব সবকিছুই এবং তা দরকারিও। যেকোনো ব্যাখ্যার জন্যই দরকার ঠিক শব্দটি খুঁজে পাওয়া। কিন্তু এখানে শব্দ নয়, জাদুটা আসলে শিল্পের। শিল্পই ঘটিয়ে দিল এই জাদুটি। একজন বড় শিল্পীই এই জাদুকরি কাণ্ডটি ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। এই বিধ্বস্ত কুৎসিৎ পরিবর্তিত হলো বিধ্বস্ত সুন্দর মন্দিরে। আর এটা ঘটতে পারল এ জন্য যে, পরিচালক তাঁর নন্দনতাত্ত্বিক আবহে মূল্যবান করে তুলেছেন মানুষের মনকে, মানুষকে। এ ধরনের ছবি বানাতে ভেতরের সাহস লাগে, আর নিজ জাতির প্রতি লাগে অমলিন ভালোবাসা। কেউ কেউ আছেন, যারা মনে করেন, নিজ জাতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের ঠিক উপায় হচ্ছে, তার আলোকিত সেরা জিনিসগুলোর উপস্থাপন। সত্যজিৎ রায় সেটা মনে করেন না। তিনি মনে করেন, দেখাতে হবে সেটাই, যা সত্য। আমিও তাঁর সঙ্গে একমত। সত্যজিৎ রায়ের ছবির কাব্যময়তাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কত সুক্ষ্ণভাবেই না তাঁর ছবিতে প্রকৃতি, বৃষ্টি, ফুল, আকাশ, পানি নিজের শব্দে সত্যের প্রকাশ ঘটায়। প্রকৃতির এ রকম নান্দনিক উপস্থাপনা কেবল তাঁর পক্ষেই করা সম্ভব, যিনি নিজে গভীরভাবে তা অনুভব করেন। সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে প্রকৃতিও জীবন্ত, পরিচালকের সঙ্গেই সে শ্বাস–প্রশ্বাস নেয়। প্রকৃতি, চরিত্র, দৃশ্য—সবমিলে একটা সংগীতের সৃষ্টি হয়, সবকিছুর যেন একটাই ত্বক, একই অণু–পরমাণু, সব যেন একসঙ্গে মিলেমিশে গেছে।
সত্যজিতের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতি হাতড়ে চুখরাই বলছেন, সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় ১৯৬৩ সালে। সে সময় আমরা একসঙ্গে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরিবোর্ডে ছিলাম। তিনি শুধু তাঁর পেশাদারি মনোভাব এবং বিশাল তাত্ত্বিক জ্ঞান দিয়ে আমাকে আকৃষ্ট করেননি। তিনি আকৃষ্ট করেছেন তাঁর উচ্চ মূল্যবোধ ও সরলতা দিয়ে। জুরি বোর্ডের প্রধান হিসেবে যে জটিল সমস্যাগুলোয় পড়তাম, সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে সে বিষয়ে ঠিক পরামর্শটি পেতাম। সব ব্যাপারেই তাঁর কিছু না কিছু বলার ছিল। খুব মুশকিল হয়, যখন কেউ তাঁর বিবেচনাবোধ দিয়ে দোদুল্যমান হয়। নিজস্ব নীতিও খুব দরকারি। আরেকটা বিষয়ে বলি। অনেকেই মনে করেন, সত্যজিৎ রায়ের সব ছবিই একইভাবে নির্মিত। রায়ের নান্দনিক ভাষা এক ছবি থেকে আরেক ছবিতে বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। কলকাতার পটভূমিতে নির্মিত ছবি ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র ভাষা, ‘পথের পাচালী’ বা গ্রামকেন্দ্রিক ছবির ভাষা থেকে একেবারে আলাদা। রায় বেড়ে উঠেছেন ভারতের ধ্রুপদী সংস্কৃতির আওতায়। কিন্তু তিনি নিশ্বাস–প্রশ্বাস নিয়েছেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের ভুবনে। দেশ ও আন্তর্জাতিকতা—দুইয়ের মিলনই সত্যজিৎ রায়কে করে তুলেছে বিশ্বমানের চলচ্চিত্রকার।

যে তিনজন মানুষ সত্যজিৎ রায়ের বিষয়ে এখানে কথা বলেছেন, একবারের জন্য হলেও সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছে। নানা উপলক্ষে তাঁদের দেখা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই রায়ের চলচ্চিত্র–জীবনের এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, যা শুনতে ভালো লাগবে। এটা কোনো নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়তো নয়, কিন্তু একসঙ্গে এই তিনজনকে পাওয়া একটা ব্যাপার বটে।
১৯৭৫ সালে সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করা হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নে। সেখান থেকেই এই লেখাগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে। সে সংকলনে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখার্জী, শর্মিলা ঠাকুরসহ ভারতের আরও কয়েকজন শিল্পীর চোখে সত্যজিৎ রায় কেমন ছিলেন, তার বর্ণনা আছে। আমরা তো সেগুলো বাংলাতেই পড়ে নিতে পারব। এখানে ভিনদেশী তিন চলচ্চিত্র বোদ্ধার কথাই শুনি বরং।
জর্জ সাদ্যুল ছিলেন তুখোড় ফরাসী সাংবাদিক। চলচ্চিত্র নিয়ে লিখতেন তিনি। ছিলেন স্যুরিয়ালিস্ট, ১৯৩২ সালে পরিণত হয়েছিলেন কমিউনিস্টে। বিশ্ব চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁর লেখা বই l'Histoire générale du cinéma, সমীহ জাগানিয়া। ১৯০৪ সালে জন্ম নেওয়া এই সাংবাদিক মারা যান ১৯৬৭ সালে। সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
সাদ্যুল লিখছেন, ‘রায় সম্পর্কে জানা `কিংবদন্তী’গুলো সম্পর্কে বলি: নিজেরাই আমরা কারও গায়ে কোনো একটা তকমা এঁকে দিই, তারপর তা প্রচার করি। প্যারিসে আমি কয়েকবার সত্যজিৎ রায়কে দেখেছি। ওর কয়েকটি সিনেমা দেখেছি এবং তা থেকে ব্যক্তি সত্যজিৎ ও তাঁর নান্দনিক পথযাত্রা সম্পর্কে নিজের একটা ধারণা জন্মেছে। কলকাতার এই শিল্পী শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন সেই দিনটিতে, যেদিন তিনি ঝাঁ ও ক্লদ রেনোয়ার সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। এরা দুজন বাংলায় গিয়েছিলেন ‘দ্য রিভার’–এর শুটিং করতে। তাঁদের এই সাক্ষাতের পরই রায় চিৎকার করে উঠেছিলেন—‘আমিও সিনেমা পরিচালক!’ এবং তারপর তিনি ‘পথের পাঁচালী’র জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করেন। কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানোর আগ পর্যন্ত এই ছবি সম্পর্কে ভারতে কোনো আলোড়নই ওঠেনি। কানেও ছবিটি নিয়ে আলোড়ন উঠত না, যদি না আঁদ্রে বাজেন ছবিটির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ না করতেন। ‘বছরের সেরা মানবিক দলিল’ পুরস্কারটা পেয়েছিল ‘পথের পাঁচালী’। ইউরোপের স্বীকৃতি না পেলে সত্যজিৎ রায়ের পক্ষে তাঁর চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ত। ‘অপরাজিত’ ছবির জন্য ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে `স্বর্ণ সিংহ’ লাভ করলেও তাতে ভারতে তাঁর জনপ্রিয়তা আসেনি। বছরের পর বছর তিনি ছবি তৈরি করেছেন, কিন্তু সেটা দেশের বাজারে জায়গা করে নিতে পারেনি। ইংল্যান্ড আর আমেরিকার বাজারে তাতে সাফল্য এসেছে। তাই অনেকেই বলাবলি করত, পূর্বদেশের এই চলচ্চিত্র পরিচালক সম্পূর্ণই পশ্চিমা–নির্ভর। কিন্তু এই কথা একেবারেই সত্য নয়। নয়া দিল্লি ও কলকাতায় দীর্ঘ সময় বসবাস করে এবং কয়েক ঘণ্টা সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে কথা বলার পর সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে গড়ে ওঠা ওইসব কিংবদন্তী আর টিকে থাকেনি। ভারতে সত্যজিৎ রায়কে কেউ চেনে না—এ কথা একেবারেই সত্য নয়। নয়া দিল্লি কিংবা কলকাতার রাস্তায় নেমে এলেই পথচারীর দল কীভাবে তাঁকে ঘিরে ধরত এবং অটোগ্রাফ নিত, সেটা তো আমি নিজ চোখে দেখেছি। রাষ্ট্রপতি এবং মন্ত্রীরা তাঁকে সমীহ করে কথা বলতেন।
জাপানি চলচ্চিত্র পরিচালক আকিরা কুরোসাওয়াকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। শুধু এটুকু বললেই চলে যে, তিনি চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী পরিচালক। জাপানের টোকিওয় তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯১০ সালে। সে শহরেই মারা গেছেন ১৯৯৮ সালে।
সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে রচিত একটি রুশ সংকলনের জন্য মস্কোতে ১৯৭৫ সালে কুরোসাওয়ার মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেছেন, প্রথমবারের মতো সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’ দেখার পর আমার ভেতরটা যেভাবে আন্দোলিত হয়ে উঠেছিল, সেটা এখনো ভুলতে পারি না। এরপরও বারবার আমি এই ছবি দেখেছি, আর প্রতিবারই আগেরবারের চেয়ে অনেক বেশি আকৃষ্ট করেছে সেটা। যেন পূর্ণযৌবনা নদী বয়ে চলেছে ধীরে চলচ্চিত্রের সকল শৌকর্য নিয়ে। মানুষের জন্ম হয়, সে বেঁচে থাকে ও একসময় মরে যায়। সত্যজিৎ রায় মানবজীবনের এই স্বাভাবিক চক্রটি নিয়েই ছবি তৈরি করেন এবং তা করেন এমন অবলীলায় যে, তাতে অমসৃণ কিছু থাকে না। অথচ তা প্রবলভাবে দর্শক–শ্রোতার আবেগকে গ্রাস করে নেয়। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রের ভাষা খুবই সুক্ষ্ণ, তাতেই তার পূর্ণতা। রায়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল টোকিওতে। মনে আছে, আমার মনে কী এক অসামান্য ছাপ ফেলেছিল শিল্পীর অবয়ব—উচ্চতায় অনেকখানি, হাত–পায়ের ভঙ্গি আকর্ষণীয়, অন্তর্ভেদী দৃষ্টি। আর তা দেখেই আমার মাথায় ভাবনাটা এল—এ রকম মানুষের পক্ষেই এ ধরনের বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্ভব। তখনই আমি তাঁর প্রতি আরও গভীরভাবে আকৃষ্ট হলাম। দুর্ভাগ্যবশত তাঁর ছবিগুলোর মধ্যে আমি শুধু তিনটি ছবি দেখেছি. ‘পথের পাচালী’, ‘অপরাজিত’, আর ‘অপুর সংসার’। পৃথিবীর সকল পরিচালককে আমি বলব, এখনই সত্যজিৎ রায়ের ছবি দেখে ফেলুন। বিশেষ করে ‘পথের পাঁচালী, আর ‘অপরাজিত’। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র না দেখার অর্থ পৃথিবীতে বসবাস করে সূর্য ও চাঁদকে না দেখা।
গ্রিগরি চুখরাইয়ের নাম অনেকেরই মনে পড়ে যাবে ‘ব্যালাড অব এ সোলজার’ ছবিটির কথা মনে করিয়ে দিলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে এ রকম কাব্যিক ছবি খুব কমই হয়েছে। সে ছবি গ্রিগরি চুখরাইয়ের তৈরি। চুখরাইও সত্যজিৎ রায়কে চলচ্চিত্র জগতের এক মহাশক্তি বলেই মনে করেন।
চুখরাইয়ের জন্ম ১৯২১ সালে ইউক্রেনের মেলিতাপোলে। মস্কোতে মারা যান ২০০১ সালে। চুখরাই লিখছেন, ‘আধুনিক চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক। রাষ্ট্রের সীমানা আর ভাষার অবোধ্যতা দূর হয়ে যায় প্রায় বিনাশ্রমে। বলা যায়, সাহিত্যের চেয়েও দ্রুত অন্য ভাষাভাষীকে আকৃষ্ট করে চলচ্চিত্রের ভাষা। কোনো দেশের লাখ লাখ মানুষ সিনেমা দেখে, অন্য দেশের মানুষ তা উপভোগ করে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সব দেশের সবার কথা মাথায় রেখে কিন্তু পরিচালক ছবি নির্মাণ করেন না। যদি কেউ নিজের দেশ, নিজ সংস্কৃতির ওপর নির্ভর না করে আন্তর্জাতিক ছবি নির্মাণ করার কথা ভাবেন, তাহলে তার সে ভাবনা মুখ থুবড়ে পড়বে। সে রকম চেষ্টা ব্যর্থ হয়। জাতীয় জীবনের প্রতিফলন আছে যে ছবিতে, সে ছবিই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র হিসেবে টিকে যায়। সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাও সফল হয়েছে তার জাতীয় সংস্কৃতির চরিত্রের জন্যই। ভারতীয় বাণিজ্যিক ছবিই সর্বপ্রথম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যায়। এরই ফাঁকে একসময় রাশিয়ায় আসে সাতিয়াজিৎ রায়ের নাম, যদিও ভারতীয় উচ্চারণে তা ‘শত্যোজিৎ রায়’।
চুখরাই বলছেন, সত্যজিৎ রায়ের ছবি সম্পর্কে বলা যায়, ভারতকে ভেতরের চোখ দিয়ে দেখা। ওপরের চাকচিক্য নয়, ভেতরটাই উঠে আসে সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে। সত্যজিৎ রায়ের ছবি মানেই একজন শিল্পীর সৃষ্টি, একজন সৃষ্টিশীল মানুষের কারবার, যে মানুষটি দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর দর্শন ও নান্দনিক ভাবনার ভিত্তির ওপর। অপু ট্রিলজি, জলসাঘর, চারুলতা, অরণ্যের দিনরাত্রি, প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি সত্যজিৎ রায়কে সম্মান এনে দিয়েছে। আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছে পথের পাঁচালী। একটি দরিদ্র পরিবারকে নিয়েই এর গল্প। গল্পের শুরুতে মনে করতে চাই বা না চাই, মনে হবে এটা ইতালির নিওরিয়ালিস্ট ছবির মতো। নব্যবাস্তবতাবাদী ছবির সঙ্গেই এর যত মিল। ক্রিয়েটিভ টেকনিকগুলোও একরকম মনে হবে। যদিও স্বাধীনতা–পূর্ব ভারতের দারিদ্র্য আর বিশ্বযুদ্ধ–পরবর্তী ইতালির দারিদ্র্যের তুলনা চলে না, তবুও ছবি হিসেবে তা একই রকম লাগবে। কিন্তু ছবিটি যখন এগিয়ে যেতে থাকবে, তখন বুঝতে পারা যাবে যে, এটা নিওরিয়ালাজিম মুদ্রার এপিঠ–ওপিঠ নয়। এটা সত্যজিৎ রায়ের তৈরি বাস্তবতা এবং এর চলচ্চিত্রের ভাষাও সত্যজিৎ রায়েরই। ছবিতে ইন্দিরা ঠাকরুণের যে চেহারা হাজির করা হয়েছে, তা নান্দনিকতা বহির্ভূত। বার্ধক্য তাঁকে এতটাই কাহিল করে তুলেছে যে, তাঁর দিকে তাকাতেই অস্বস্তি হয়। কিন্তু ছবিটি দেখা শুরু করার একটু পর থেকেই আমি নিজের অজান্তেই এই বৃদ্ধাকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমার জন্য এই বৃদ্ধা হয়ে পড়লেন অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান। কীভাবে এই জাদু ঘটে গেল, তার ব্যাখ্যা খুব সহজ নয়। মানে, ব্যাখ্যা করা সম্ভব সবকিছুই এবং তা দরকারিও। যেকোনো ব্যাখ্যার জন্যই দরকার ঠিক শব্দটি খুঁজে পাওয়া। কিন্তু এখানে শব্দ নয়, জাদুটা আসলে শিল্পের। শিল্পই ঘটিয়ে দিল এই জাদুটি। একজন বড় শিল্পীই এই জাদুকরি কাণ্ডটি ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। এই বিধ্বস্ত কুৎসিৎ পরিবর্তিত হলো বিধ্বস্ত সুন্দর মন্দিরে। আর এটা ঘটতে পারল এ জন্য যে, পরিচালক তাঁর নন্দনতাত্ত্বিক আবহে মূল্যবান করে তুলেছেন মানুষের মনকে, মানুষকে। এ ধরনের ছবি বানাতে ভেতরের সাহস লাগে, আর নিজ জাতির প্রতি লাগে অমলিন ভালোবাসা। কেউ কেউ আছেন, যারা মনে করেন, নিজ জাতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের ঠিক উপায় হচ্ছে, তার আলোকিত সেরা জিনিসগুলোর উপস্থাপন। সত্যজিৎ রায় সেটা মনে করেন না। তিনি মনে করেন, দেখাতে হবে সেটাই, যা সত্য। আমিও তাঁর সঙ্গে একমত। সত্যজিৎ রায়ের ছবির কাব্যময়তাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কত সুক্ষ্ণভাবেই না তাঁর ছবিতে প্রকৃতি, বৃষ্টি, ফুল, আকাশ, পানি নিজের শব্দে সত্যের প্রকাশ ঘটায়। প্রকৃতির এ রকম নান্দনিক উপস্থাপনা কেবল তাঁর পক্ষেই করা সম্ভব, যিনি নিজে গভীরভাবে তা অনুভব করেন। সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে প্রকৃতিও জীবন্ত, পরিচালকের সঙ্গেই সে শ্বাস–প্রশ্বাস নেয়। প্রকৃতি, চরিত্র, দৃশ্য—সবমিলে একটা সংগীতের সৃষ্টি হয়, সবকিছুর যেন একটাই ত্বক, একই অণু–পরমাণু, সব যেন একসঙ্গে মিলেমিশে গেছে।
সত্যজিতের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতি হাতড়ে চুখরাই বলছেন, সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় ১৯৬৩ সালে। সে সময় আমরা একসঙ্গে মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরিবোর্ডে ছিলাম। তিনি শুধু তাঁর পেশাদারি মনোভাব এবং বিশাল তাত্ত্বিক জ্ঞান দিয়ে আমাকে আকৃষ্ট করেননি। তিনি আকৃষ্ট করেছেন তাঁর উচ্চ মূল্যবোধ ও সরলতা দিয়ে। জুরি বোর্ডের প্রধান হিসেবে যে জটিল সমস্যাগুলোয় পড়তাম, সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে সে বিষয়ে ঠিক পরামর্শটি পেতাম। সব ব্যাপারেই তাঁর কিছু না কিছু বলার ছিল। খুব মুশকিল হয়, যখন কেউ তাঁর বিবেচনাবোধ দিয়ে দোদুল্যমান হয়। নিজস্ব নীতিও খুব দরকারি। আরেকটা বিষয়ে বলি। অনেকেই মনে করেন, সত্যজিৎ রায়ের সব ছবিই একইভাবে নির্মিত। রায়ের নান্দনিক ভাষা এক ছবি থেকে আরেক ছবিতে বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। কলকাতার পটভূমিতে নির্মিত ছবি ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র ভাষা, ‘পথের পাচালী’ বা গ্রামকেন্দ্রিক ছবির ভাষা থেকে একেবারে আলাদা। রায় বেড়ে উঠেছেন ভারতের ধ্রুপদী সংস্কৃতির আওতায়। কিন্তু তিনি নিশ্বাস–প্রশ্বাস নিয়েছেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের ভুবনে। দেশ ও আন্তর্জাতিকতা—দুইয়ের মিলনই সত্যজিৎ রায়কে করে তুলেছে বিশ্বমানের চলচ্চিত্রকার।

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
১ ঘণ্টা আগে
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, কেটি পেরি তাঁর চলমান ‘দ্য লাইফটাইমস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ স্থগিত রেখে ট্রুডোর সঙ্গে টোকিওতে এই কূটনৈতিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
জাস্টিন ট্রুডো কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখে দারুণ লাগলো@kishida 230। ক্যাটি এবং আমি আপনার ও ইউকোর সঙ্গে বসে কথা বলার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। ফুমিও, আপনার বন্ধুত্বের জন্য এবং আন্তর্জাতিক নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রতি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ।’
Great to see you @kishida230. Katy and I were so glad to have the chance to sit down with you and Yuko. Thank you, Fumio, for your friendship and your continued commitment to both the international rules-based order and to a better future for everyone. https://t.co/zLEuppHNST
— Justin Trudeau (@JustinTrudeau) December 4, 2025
পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ট্রুডো একটি ধূসর স্যুট পরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রনায়কোচিত রূপে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, কেটি পেরি সেজেছিলেন সবুজ রঙের দু’টুকরো পোশাক, কালো টাইটস, একটি টার্টলনেক এবং বুট পরে। কিশিদা দম্পতির সঙ্গে ছবি তোলার সময় কেটি পেরিকে ট্রুডোর পেছনে হাত রেখে দাঁড়াতে দেখা যায়। কিশিদা ট্রুডোর পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ধন্যবাদ, জাস্টিন। আপনি এবং কেটি, দু’জনকেই অবকাশের শুভেচ্ছা!’
জাস্টিন ট্রুডো এই পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট জুড়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মুক্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে উন্মাদনার একটি ঘোষণা।’ আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘কেটি পেরি আন্তর্জাতিক কূটনীতি সামলাচ্ছেন। আমার টপ রিস্কস ২০২৫ তালিকায় এটা ছিল না!’
অনেক ভক্তও মজার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কিন্তু সঙ্গে ছুটির কার্ডের আমেজ।’ অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘খোদার কসম, এটা আমার বিঙ্গো কার্ডে ছিল না।’ এই কূটনৈতিক ঘোষণার মাধ্যমে পেরি ও ট্রুডো জুটি এখন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি মহলে নতুন আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, কেটি পেরি তাঁর চলমান ‘দ্য লাইফটাইমস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ স্থগিত রেখে ট্রুডোর সঙ্গে টোকিওতে এই কূটনৈতিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
জাস্টিন ট্রুডো কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখে দারুণ লাগলো@kishida 230। ক্যাটি এবং আমি আপনার ও ইউকোর সঙ্গে বসে কথা বলার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। ফুমিও, আপনার বন্ধুত্বের জন্য এবং আন্তর্জাতিক নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রতি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ।’
Great to see you @kishida230. Katy and I were so glad to have the chance to sit down with you and Yuko. Thank you, Fumio, for your friendship and your continued commitment to both the international rules-based order and to a better future for everyone. https://t.co/zLEuppHNST
— Justin Trudeau (@JustinTrudeau) December 4, 2025
পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ট্রুডো একটি ধূসর স্যুট পরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রনায়কোচিত রূপে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, কেটি পেরি সেজেছিলেন সবুজ রঙের দু’টুকরো পোশাক, কালো টাইটস, একটি টার্টলনেক এবং বুট পরে। কিশিদা দম্পতির সঙ্গে ছবি তোলার সময় কেটি পেরিকে ট্রুডোর পেছনে হাত রেখে দাঁড়াতে দেখা যায়। কিশিদা ট্রুডোর পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ধন্যবাদ, জাস্টিন। আপনি এবং কেটি, দু’জনকেই অবকাশের শুভেচ্ছা!’
জাস্টিন ট্রুডো এই পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট জুড়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মুক্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে উন্মাদনার একটি ঘোষণা।’ আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘কেটি পেরি আন্তর্জাতিক কূটনীতি সামলাচ্ছেন। আমার টপ রিস্কস ২০২৫ তালিকায় এটা ছিল না!’
অনেক ভক্তও মজার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কিন্তু সঙ্গে ছুটির কার্ডের আমেজ।’ অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘খোদার কসম, এটা আমার বিঙ্গো কার্ডে ছিল না।’ এই কূটনৈতিক ঘোষণার মাধ্যমে পেরি ও ট্রুডো জুটি এখন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি মহলে নতুন আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন।

জর্জ সাদ্যুল, আকিরা কুরোসাওয়া ও গ্রিগরি চুখরাই—তাঁরা প্রত্যেকেই সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র–জীবনের এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, যা শুনতে ভালো লাগবে। এটা কোনো নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়তো নয়, কিন্তু একসঙ্গে এই তিনজনকে পাওয়া একটা ব্যাপার বটে।
০২ মে ২০২১
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
বর্ষণমুখর আবহাওয়ার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। এই ভাস্কর্যটি লেস্টার স্কয়ারের ‘সিনস ইন দ্য স্কয়ার’ ট্রেইলের অংশ হিসেবে হ্যারি পটার, প্যাডিংটন এবং ব্রিজেট জোনসের ভাস্কর্যের সঙ্গে যুক্ত হলো।
লন্ডনে ভাস্কর্য উন্মোচনের ফাঁকে শাহরুখ খানের কাছে নববিবাহিত দম্পতিদের জন্য তাঁর নিজস্ব পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়। মজা করে জবাব দেন শাহরুখ।
শাহরুখ উত্তর দেওয়ার আগেই অভিনেত্রী কাজল রসিকতা করে বলে ওঠেন, ‘ওঁর সব ছবিই তো বিয়ের আগের প্রেম নিয়ে, বিয়ের পরের প্রেম নিয়ে নয়!’
কাজলের কথায় সম্মতি জানিয়ে শাহরুখ খান হাসতে হাসতে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, তুমি ছিলে একজন যাকে আমি উপদেশ দিতে পারতাম। কিন্তু বিয়ের পর, তুমি তো এখন নিজের দায়িত্বে চলে গেছ!’ অবশ্য শাহরুখ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিতে ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘ততদিন (বিয়ের আগে) পর্যন্ত, আমার মনে হয় আমি ঠিকই করেছি। আপনাদের রোমান্স থাকতে হবে, গান গাইতে হবে।’ কাজল সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, ‘এবং অবশ্যই ডিডিএলজে দেখতে হবে।’
ছবিটি সম্পর্কে যশ রাজ ফিল্মসের সিইও অক্ষয় বিধানি এটিকে ‘গৌরবের বিশাল মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। অন্যদিকে, হার্ট অব লন্ডন বিজনেস অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী রস মর্গ্যান বলেন, ‘ডিডিএলজে একটি সিনেমাটিক ঘটনা যা প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে, এবং লন্ডন এই প্রথম ভারতীয় সিনেমার আন্তর্জাতিক দর্শকদের মুগ্ধ করে চলা একটি গল্পকে সম্মান জানাল।’
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন শাহরুখ খান। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বিলিয়নেয়ার ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। এই ঘটনা তাঁকে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং টেলর সুইফটের মতো বৈশ্বিক তারকাদের কাতারে নিয়ে এসেছে।
চার বছরের বিরতির পর ২০২৩ সালে চলচ্চিত্রে ফেরেন বলিউড বাদশাহ। সম্প্রতি তাঁর আসন্ন অ্যাকশন ফিল্ম ‘কিং’-এর টিজার উন্মুক্ত হয়েছে। তবে অ্যাকশন ঘরানার আরও ছবি বা পরবর্তী জেমস বন্ড হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রসিকতা করে শাহরুখ জবাব দেন: ‘না। আমার উচ্চারণ সেরকম নয়। আর আমি শেকেন মার্টিনি (বিশেষভাবে তৈরি ককটেল) পছন্দ করি না।’
এদিকে, চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক কমে যাওয়া নিয়ে কাজল মনে করেন, এখন দর্শকদের হাতে বেছে নেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘মানুষের এখন সিনেমা হলে যাওয়া বা না যাওয়ার স্বাধীনতা আছে। যখন এত বিকল্প, তখন বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’
তবে শাহরুখ খান বিশ্বাস করেন, ‘কমিউনিটি ভিউয়িং...সবসময় থাকবে। আমরা একসঙ্গে কোনো জিনিস দেখতে এবং উপভোগ করতে ভালোবাসি।’

বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
বর্ষণমুখর আবহাওয়ার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। এই ভাস্কর্যটি লেস্টার স্কয়ারের ‘সিনস ইন দ্য স্কয়ার’ ট্রেইলের অংশ হিসেবে হ্যারি পটার, প্যাডিংটন এবং ব্রিজেট জোনসের ভাস্কর্যের সঙ্গে যুক্ত হলো।
লন্ডনে ভাস্কর্য উন্মোচনের ফাঁকে শাহরুখ খানের কাছে নববিবাহিত দম্পতিদের জন্য তাঁর নিজস্ব পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়। মজা করে জবাব দেন শাহরুখ।
শাহরুখ উত্তর দেওয়ার আগেই অভিনেত্রী কাজল রসিকতা করে বলে ওঠেন, ‘ওঁর সব ছবিই তো বিয়ের আগের প্রেম নিয়ে, বিয়ের পরের প্রেম নিয়ে নয়!’
কাজলের কথায় সম্মতি জানিয়ে শাহরুখ খান হাসতে হাসতে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, তুমি ছিলে একজন যাকে আমি উপদেশ দিতে পারতাম। কিন্তু বিয়ের পর, তুমি তো এখন নিজের দায়িত্বে চলে গেছ!’ অবশ্য শাহরুখ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিতে ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘ততদিন (বিয়ের আগে) পর্যন্ত, আমার মনে হয় আমি ঠিকই করেছি। আপনাদের রোমান্স থাকতে হবে, গান গাইতে হবে।’ কাজল সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, ‘এবং অবশ্যই ডিডিএলজে দেখতে হবে।’
ছবিটি সম্পর্কে যশ রাজ ফিল্মসের সিইও অক্ষয় বিধানি এটিকে ‘গৌরবের বিশাল মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। অন্যদিকে, হার্ট অব লন্ডন বিজনেস অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী রস মর্গ্যান বলেন, ‘ডিডিএলজে একটি সিনেমাটিক ঘটনা যা প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে, এবং লন্ডন এই প্রথম ভারতীয় সিনেমার আন্তর্জাতিক দর্শকদের মুগ্ধ করে চলা একটি গল্পকে সম্মান জানাল।’
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন শাহরুখ খান। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বিলিয়নেয়ার ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। এই ঘটনা তাঁকে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং টেলর সুইফটের মতো বৈশ্বিক তারকাদের কাতারে নিয়ে এসেছে।
চার বছরের বিরতির পর ২০২৩ সালে চলচ্চিত্রে ফেরেন বলিউড বাদশাহ। সম্প্রতি তাঁর আসন্ন অ্যাকশন ফিল্ম ‘কিং’-এর টিজার উন্মুক্ত হয়েছে। তবে অ্যাকশন ঘরানার আরও ছবি বা পরবর্তী জেমস বন্ড হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রসিকতা করে শাহরুখ জবাব দেন: ‘না। আমার উচ্চারণ সেরকম নয়। আর আমি শেকেন মার্টিনি (বিশেষভাবে তৈরি ককটেল) পছন্দ করি না।’
এদিকে, চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক কমে যাওয়া নিয়ে কাজল মনে করেন, এখন দর্শকদের হাতে বেছে নেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘মানুষের এখন সিনেমা হলে যাওয়া বা না যাওয়ার স্বাধীনতা আছে। যখন এত বিকল্প, তখন বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’
তবে শাহরুখ খান বিশ্বাস করেন, ‘কমিউনিটি ভিউয়িং...সবসময় থাকবে। আমরা একসঙ্গে কোনো জিনিস দেখতে এবং উপভোগ করতে ভালোবাসি।’

জর্জ সাদ্যুল, আকিরা কুরোসাওয়া ও গ্রিগরি চুখরাই—তাঁরা প্রত্যেকেই সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র–জীবনের এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, যা শুনতে ভালো লাগবে। এটা কোনো নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়তো নয়, কিন্তু একসঙ্গে এই তিনজনকে পাওয়া একটা ব্যাপার বটে।
০২ মে ২০২১
দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
১ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

জর্জ সাদ্যুল, আকিরা কুরোসাওয়া ও গ্রিগরি চুখরাই—তাঁরা প্রত্যেকেই সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র–জীবনের এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, যা শুনতে ভালো লাগবে। এটা কোনো নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়তো নয়, কিন্তু একসঙ্গে এই তিনজনকে পাওয়া একটা ব্যাপার বটে।
০২ মে ২০২১
দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
১ ঘণ্টা আগে
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

জর্জ সাদ্যুল, আকিরা কুরোসাওয়া ও গ্রিগরি চুখরাই—তাঁরা প্রত্যেকেই সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র–জীবনের এমন কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, যা শুনতে ভালো লাগবে। এটা কোনো নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়তো নয়, কিন্তু একসঙ্গে এই তিনজনকে পাওয়া একটা ব্যাপার বটে।
০২ মে ২০২১
দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
১ ঘণ্টা আগে
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৯ ঘণ্টা আগে