আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে ব্রাহ্মণদের আপত্তির মুখে আটকে দেওয়া হলো সমাজসংস্কারক দম্পতি জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রী বাই ফুলের জীবন নিয়ে নির্মিত বলিউড সিনেমা ‘ফুলে’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে সিনেমাটিকে ইউ সার্টিফিকেট (সবার জন্য উপযুক্ত) দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল ভারতের সেন্সর বোর্ড সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)।
তবে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের কিছু সংগঠনের অভিযোগ—ছবিতে ব্রাহ্মণদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ এবং পরশুরাম আর্থিক বিকাশ মহামণ্ডলের মতো সংগঠনের মুখে পিছিয়ে দেওয়া হয় সিনেমাটির মুক্তির তারিখ।
হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে উল্লেখিত বর্ণ সম্পর্কিত কিছু সংলাপ ও দৃশ্যে কাটছাঁটের নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
হিন্দু সমাজে চার বর্ণের (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) মধ্যে ব্রাহ্মণদের মর্যাদা সবার ওপরে। বংশ পরম্পরায় তাঁদের শাস্ত্র জ্ঞানের ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ বর্ণের মানুষেরা) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
সাবিত্রীবাই ফুলে ভারতের নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৮৪৮ সালে স্বামী জ্যোতিরাও ফুলের সঙ্গে ভারতে প্রথম কন্যাশিশুদের জন্য স্কুল স্থাপন করেন তিনি।
প্রতীক গান্ধী ও পত্রলেখা অভিনীত ‘ফুলে’ চলচ্চিত্রটি গত ১১ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
পরিচালক মহাদেবন অবশ্য দাবি করেছেন, সিনেমাটি কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং ইতিহাসনির্ভর। তিনি বলেন, ‘ট্রেলার দেখার পর কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা শুধু ঐতিহাসিক তথ্যই দেখিয়েছি।’
এ বিষয়ে তিনি ব্রাহ্মণ সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁদের বলেছিলাম, ব্রাহ্মণরাই জ্যোতিরাও ফুলেকে ২০টি বিদ্যালয় স্থাপনে সাহায্য করেছিলেন। ফুলে যখন সত্যশোধক সমাজ নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন, তখন ব্রাহ্মণরাই হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, এসব ছবিতে দেখানো হয়েছে। তা শুনে সমাজপতিরা খুশিই হয়েছিলেন। তা ছাড়া আমি নিজে একজন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। আমি কেন ব্রাহ্মণদের ছোট করে দেখাব! শুধু যা সত্য তা তুলে ধরা হয়েছে সিমেনাটিতে। এর পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নেই।’
কিন্তু সংগঠনগুলোর চাপের মুখে সিবিএফসি সিনেমাটি নতুন করে সম্পাদনার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে ‘দলিত’ শব্দটি বাদ দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত কিছু সংলাপ ও দৃশ্য ‘টোন ডাউন’ বা তাদের ভাষায় লঘু করতেও বলতে হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইতিহাসবিদ ও সমাজকর্মীরা। তাঁদের মতে, জাতপাত সংক্রান্ত তথ্য ও সংলাপ বাদ দেওয়া মানে হলো ইতিহাসকে মুছে ফেলা এবং দলিতদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অস্বীকার করা। সমাজ গবেষক নীরজ বুনকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘সমাজের উঁচু বর্ণের অবিচার আর জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন জ্যোতিরাও–সাবিত্রীবাই ফুলে। আজ আবার সেই একই সামাজিক প্রতিপত্তির কারণে সেন্সর বোর্ডে আটকে গেল তাঁদের সিনেমা। ব্যাপারটা প্রহসন বটে!’

ভারতে ব্রাহ্মণদের আপত্তির মুখে আটকে দেওয়া হলো সমাজসংস্কারক দম্পতি জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রী বাই ফুলের জীবন নিয়ে নির্মিত বলিউড সিনেমা ‘ফুলে’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে সিনেমাটিকে ইউ সার্টিফিকেট (সবার জন্য উপযুক্ত) দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল ভারতের সেন্সর বোর্ড সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)।
তবে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের কিছু সংগঠনের অভিযোগ—ছবিতে ব্রাহ্মণদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ এবং পরশুরাম আর্থিক বিকাশ মহামণ্ডলের মতো সংগঠনের মুখে পিছিয়ে দেওয়া হয় সিনেমাটির মুক্তির তারিখ।
হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে উল্লেখিত বর্ণ সম্পর্কিত কিছু সংলাপ ও দৃশ্যে কাটছাঁটের নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
হিন্দু সমাজে চার বর্ণের (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) মধ্যে ব্রাহ্মণদের মর্যাদা সবার ওপরে। বংশ পরম্পরায় তাঁদের শাস্ত্র জ্ঞানের ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ বর্ণের মানুষেরা) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
সাবিত্রীবাই ফুলে ভারতের নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৮৪৮ সালে স্বামী জ্যোতিরাও ফুলের সঙ্গে ভারতে প্রথম কন্যাশিশুদের জন্য স্কুল স্থাপন করেন তিনি।
প্রতীক গান্ধী ও পত্রলেখা অভিনীত ‘ফুলে’ চলচ্চিত্রটি গত ১১ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
পরিচালক মহাদেবন অবশ্য দাবি করেছেন, সিনেমাটি কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং ইতিহাসনির্ভর। তিনি বলেন, ‘ট্রেলার দেখার পর কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা শুধু ঐতিহাসিক তথ্যই দেখিয়েছি।’
এ বিষয়ে তিনি ব্রাহ্মণ সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁদের বলেছিলাম, ব্রাহ্মণরাই জ্যোতিরাও ফুলেকে ২০টি বিদ্যালয় স্থাপনে সাহায্য করেছিলেন। ফুলে যখন সত্যশোধক সমাজ নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন, তখন ব্রাহ্মণরাই হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, এসব ছবিতে দেখানো হয়েছে। তা শুনে সমাজপতিরা খুশিই হয়েছিলেন। তা ছাড়া আমি নিজে একজন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। আমি কেন ব্রাহ্মণদের ছোট করে দেখাব! শুধু যা সত্য তা তুলে ধরা হয়েছে সিমেনাটিতে। এর পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নেই।’
কিন্তু সংগঠনগুলোর চাপের মুখে সিবিএফসি সিনেমাটি নতুন করে সম্পাদনার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে ‘দলিত’ শব্দটি বাদ দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত কিছু সংলাপ ও দৃশ্য ‘টোন ডাউন’ বা তাদের ভাষায় লঘু করতেও বলতে হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইতিহাসবিদ ও সমাজকর্মীরা। তাঁদের মতে, জাতপাত সংক্রান্ত তথ্য ও সংলাপ বাদ দেওয়া মানে হলো ইতিহাসকে মুছে ফেলা এবং দলিতদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অস্বীকার করা। সমাজ গবেষক নীরজ বুনকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘সমাজের উঁচু বর্ণের অবিচার আর জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন জ্যোতিরাও–সাবিত্রীবাই ফুলে। আজ আবার সেই একই সামাজিক প্রতিপত্তির কারণে সেন্সর বোর্ডে আটকে গেল তাঁদের সিনেমা। ব্যাপারটা প্রহসন বটে!’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে ব্রাহ্মণদের আপত্তির মুখে আটকে দেওয়া হলো সমাজসংস্কারক দম্পতি জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রী বাই ফুলের জীবন নিয়ে নির্মিত বলিউড সিনেমা ‘ফুলে’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে সিনেমাটিকে ইউ সার্টিফিকেট (সবার জন্য উপযুক্ত) দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল ভারতের সেন্সর বোর্ড সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)।
তবে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের কিছু সংগঠনের অভিযোগ—ছবিতে ব্রাহ্মণদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ এবং পরশুরাম আর্থিক বিকাশ মহামণ্ডলের মতো সংগঠনের মুখে পিছিয়ে দেওয়া হয় সিনেমাটির মুক্তির তারিখ।
হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে উল্লেখিত বর্ণ সম্পর্কিত কিছু সংলাপ ও দৃশ্যে কাটছাঁটের নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
হিন্দু সমাজে চার বর্ণের (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) মধ্যে ব্রাহ্মণদের মর্যাদা সবার ওপরে। বংশ পরম্পরায় তাঁদের শাস্ত্র জ্ঞানের ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ বর্ণের মানুষেরা) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
সাবিত্রীবাই ফুলে ভারতের নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৮৪৮ সালে স্বামী জ্যোতিরাও ফুলের সঙ্গে ভারতে প্রথম কন্যাশিশুদের জন্য স্কুল স্থাপন করেন তিনি।
প্রতীক গান্ধী ও পত্রলেখা অভিনীত ‘ফুলে’ চলচ্চিত্রটি গত ১১ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
পরিচালক মহাদেবন অবশ্য দাবি করেছেন, সিনেমাটি কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং ইতিহাসনির্ভর। তিনি বলেন, ‘ট্রেলার দেখার পর কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা শুধু ঐতিহাসিক তথ্যই দেখিয়েছি।’
এ বিষয়ে তিনি ব্রাহ্মণ সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁদের বলেছিলাম, ব্রাহ্মণরাই জ্যোতিরাও ফুলেকে ২০টি বিদ্যালয় স্থাপনে সাহায্য করেছিলেন। ফুলে যখন সত্যশোধক সমাজ নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন, তখন ব্রাহ্মণরাই হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, এসব ছবিতে দেখানো হয়েছে। তা শুনে সমাজপতিরা খুশিই হয়েছিলেন। তা ছাড়া আমি নিজে একজন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। আমি কেন ব্রাহ্মণদের ছোট করে দেখাব! শুধু যা সত্য তা তুলে ধরা হয়েছে সিমেনাটিতে। এর পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নেই।’
কিন্তু সংগঠনগুলোর চাপের মুখে সিবিএফসি সিনেমাটি নতুন করে সম্পাদনার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে ‘দলিত’ শব্দটি বাদ দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত কিছু সংলাপ ও দৃশ্য ‘টোন ডাউন’ বা তাদের ভাষায় লঘু করতেও বলতে হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইতিহাসবিদ ও সমাজকর্মীরা। তাঁদের মতে, জাতপাত সংক্রান্ত তথ্য ও সংলাপ বাদ দেওয়া মানে হলো ইতিহাসকে মুছে ফেলা এবং দলিতদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অস্বীকার করা। সমাজ গবেষক নীরজ বুনকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘সমাজের উঁচু বর্ণের অবিচার আর জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন জ্যোতিরাও–সাবিত্রীবাই ফুলে। আজ আবার সেই একই সামাজিক প্রতিপত্তির কারণে সেন্সর বোর্ডে আটকে গেল তাঁদের সিনেমা। ব্যাপারটা প্রহসন বটে!’

ভারতে ব্রাহ্মণদের আপত্তির মুখে আটকে দেওয়া হলো সমাজসংস্কারক দম্পতি জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রী বাই ফুলের জীবন নিয়ে নির্মিত বলিউড সিনেমা ‘ফুলে’।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে সিনেমাটিকে ইউ সার্টিফিকেট (সবার জন্য উপযুক্ত) দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছিল ভারতের সেন্সর বোর্ড সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)।
তবে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের কিছু সংগঠনের অভিযোগ—ছবিতে ব্রাহ্মণদের ‘অপমান’ করা হয়েছে। অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজ এবং পরশুরাম আর্থিক বিকাশ মহামণ্ডলের মতো সংগঠনের মুখে পিছিয়ে দেওয়া হয় সিনেমাটির মুক্তির তারিখ।
হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রে উল্লেখিত বর্ণ সম্পর্কিত কিছু সংলাপ ও দৃশ্যে কাটছাঁটের নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
হিন্দু সমাজে চার বর্ণের (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র) মধ্যে ব্রাহ্মণদের মর্যাদা সবার ওপরে। বংশ পরম্পরায় তাঁদের শাস্ত্র জ্ঞানের ধারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ বর্ণের মানুষেরা) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।
সাবিত্রীবাই ফুলে ভারতের নারী অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত। ১৮৪৮ সালে স্বামী জ্যোতিরাও ফুলের সঙ্গে ভারতে প্রথম কন্যাশিশুদের জন্য স্কুল স্থাপন করেন তিনি।
প্রতীক গান্ধী ও পত্রলেখা অভিনীত ‘ফুলে’ চলচ্চিত্রটি গত ১১ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
পরিচালক মহাদেবন অবশ্য দাবি করেছেন, সিনেমাটি কোনো সম্প্রদায়কে আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়, বরং ইতিহাসনির্ভর। তিনি বলেন, ‘ট্রেলার দেখার পর কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা শুধু ঐতিহাসিক তথ্যই দেখিয়েছি।’
এ বিষয়ে তিনি ব্রাহ্মণ সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি অখিল ভারতীয় ব্রাহ্মণ সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁদের বলেছিলাম, ব্রাহ্মণরাই জ্যোতিরাও ফুলেকে ২০টি বিদ্যালয় স্থাপনে সাহায্য করেছিলেন। ফুলে যখন সত্যশোধক সমাজ নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন, তখন ব্রাহ্মণরাই হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, এসব ছবিতে দেখানো হয়েছে। তা শুনে সমাজপতিরা খুশিই হয়েছিলেন। তা ছাড়া আমি নিজে একজন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ। আমি কেন ব্রাহ্মণদের ছোট করে দেখাব! শুধু যা সত্য তা তুলে ধরা হয়েছে সিমেনাটিতে। এর পেছনে কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নেই।’
কিন্তু সংগঠনগুলোর চাপের মুখে সিবিএফসি সিনেমাটি নতুন করে সম্পাদনার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে ‘দলিত’ শব্দটি বাদ দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত কিছু সংলাপ ও দৃশ্য ‘টোন ডাউন’ বা তাদের ভাষায় লঘু করতেও বলতে হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইতিহাসবিদ ও সমাজকর্মীরা। তাঁদের মতে, জাতপাত সংক্রান্ত তথ্য ও সংলাপ বাদ দেওয়া মানে হলো ইতিহাসকে মুছে ফেলা এবং দলিতদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অস্বীকার করা। সমাজ গবেষক নীরজ বুনকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘সমাজের উঁচু বর্ণের অবিচার আর জাতপাতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন জ্যোতিরাও–সাবিত্রীবাই ফুলে। আজ আবার সেই একই সামাজিক প্রতিপত্তির কারণে সেন্সর বোর্ডে আটকে গেল তাঁদের সিনেমা। ব্যাপারটা প্রহসন বটে!’

ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো।
১২ ঘণ্টা আগে
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
১ দিন আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
১ দিন আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো। জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে সেই মানুষটিই নিজেকে পুরোপুরি উৎসর্গ করেছিলেন প্রাণীর অধিকার রক্ষার আন্দোলনে।
বার্দোর মৃত্যুতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন অসাধারণ নারীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, যিনি সবকিছু দিয়েছিলেন এবং প্রাণীদের প্রতি আরও সম্মানজনক একটি পৃথিবীর জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন। তাঁর আদর্শ ও সংগ্রাম ফাউন্ডেশনের কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবে।
সিএনএন জানিয়েছে, ফ্রান্সে ‘বিবি’ নামে পরিচিত ছিলেন ব্রিজিত। ১৯৫০ ও ৬০–এর দশকে তাঁর খোলামেলা, সংযমহীন অভিনয় একদিকে দর্শককে মোহিত করে, অন্যদিকে রক্ষণশীলতার ধারক-বাহকদের কাঁপিয়ে দেয়। হলিউডে যখন যৌনতা নিয়ে কঠোর সেন্সরশিপ চলছিল, তখন বার্দো বিদেশি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মার্কিন দর্শকদের কাছে নতুন এক স্বাধীনতার ছবি হাজির করেন। ১৯৬১ সালে লাইফ ম্যাগাজিন লিখেছিল, ‘মেয়েরা যখন হাঁটে, তারা বার্দোর মতো হাঁটে, পোশাক পরে, চুল বাঁধে এবং তাঁর মতো মুক্ত আত্মা হতে চায়।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বার্দোকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, তিনি স্বাধীন জীবনের প্রতীক। এক্সে দেওয়া পোস্টে মাখোঁ লেখেন, ‘তাঁর সিনেমা, কণ্ঠ, দীপ্তি, দুঃখ, প্রাণীদের প্রতি উদার ভালোবাসা—সব মিলিয়ে বার্দো এক মুক্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি।’
বার্দো ছিলেন আধুনিক সেলিব্রিটির প্রথম দিককার এক উদাহরণ। প্রাক-নারীবাদী যুগেই তিনি নিজের শর্তে প্রেম করেছেন, সম্পর্ক গড়েছেন, ভোগবাদী জীবনযাপন নিয়ে কখনো অনুতপ্ত হননি। ফরাসি দার্শনিক সিমোন দ্য বোভোয়ার ১৯৫৯ সালে লিখেছিলেন, প্রেমের খেলায় বার্দো যেমন শিকার, তেমনি শিকারি—আর সেটাই পুরুষ অহংকারে আঘাত হানে।
নিজের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে বার্দো কখনো বড়াই করেননি। তবু ‘...অ্যান্ড গড ক্রিয়েটেড উইম্যান’, ‘কঁতঁপ্ত’, ‘ভিভা মারিয়া!’সহ ৪০টির বেশি চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশক ধরে তাঁর ক্যারিশমা অপ্রতিরোধ্য ছিল। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকাও। ফ্যাশনে তাঁর প্রভাব ছিল দীর্ঘস্থায়ী—স্বর্ণকেশী এলোমেলো চুল, সহজ পোশাক ও স্বাভাবিক উপস্থিতি বহু অভিনেত্রী ও মডেলের অনুকরণীয় হয়ে ওঠে।
১৯৭৩ সালে, মাত্র ৩৯ বছর বয়সে সিনেমা থেকে অবসর নিয়ে জীবনকে অন্যদিকে নিয়ে যান বার্দো। প্রাণী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি হয়ে ওঠেন কণ্ঠস্বর। ১৯৮৭ সালে তিনি বলেন, ‘যৌবন ও সৌন্দর্য দিয়েছি পুরুষদের, এখন আমার প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা দেব প্রাণীদের জন্য।’ তবে তাঁর জীবন বিতর্কমুক্ত ছিল না—অভিবাসন ও ধর্মীয় আচার নিয়ে মন্তব্যের কারণে তিনি সমালোচিত ও দণ্ডিত হয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবে বার্ধক্যকে গ্রহণ করাও ছিল তাঁর আরেকটি বিদ্রোহ। প্লাস্টিক সার্জারি এড়িয়ে সাদা চুল ও মুখের ভাঁজ নিয়েই তিনি প্রকাশ্যে থেকেছেন।
ব্রিজিত বার্দোর জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, প্যারিসে। একসময় ব্যালে নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখা মেয়েটি শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠেন শতাব্দীর এক প্রতীক—যিনি স্বাধীনতা, বিতর্ক ও করুণ বাস্তবতার মাঝেই নিজের মতো করে বেঁচে ছিলেন।

ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো। জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে সেই মানুষটিই নিজেকে পুরোপুরি উৎসর্গ করেছিলেন প্রাণীর অধিকার রক্ষার আন্দোলনে।
বার্দোর মৃত্যুতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন অসাধারণ নারীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, যিনি সবকিছু দিয়েছিলেন এবং প্রাণীদের প্রতি আরও সম্মানজনক একটি পৃথিবীর জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন। তাঁর আদর্শ ও সংগ্রাম ফাউন্ডেশনের কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবে।
সিএনএন জানিয়েছে, ফ্রান্সে ‘বিবি’ নামে পরিচিত ছিলেন ব্রিজিত। ১৯৫০ ও ৬০–এর দশকে তাঁর খোলামেলা, সংযমহীন অভিনয় একদিকে দর্শককে মোহিত করে, অন্যদিকে রক্ষণশীলতার ধারক-বাহকদের কাঁপিয়ে দেয়। হলিউডে যখন যৌনতা নিয়ে কঠোর সেন্সরশিপ চলছিল, তখন বার্দো বিদেশি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মার্কিন দর্শকদের কাছে নতুন এক স্বাধীনতার ছবি হাজির করেন। ১৯৬১ সালে লাইফ ম্যাগাজিন লিখেছিল, ‘মেয়েরা যখন হাঁটে, তারা বার্দোর মতো হাঁটে, পোশাক পরে, চুল বাঁধে এবং তাঁর মতো মুক্ত আত্মা হতে চায়।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বার্দোকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, তিনি স্বাধীন জীবনের প্রতীক। এক্সে দেওয়া পোস্টে মাখোঁ লেখেন, ‘তাঁর সিনেমা, কণ্ঠ, দীপ্তি, দুঃখ, প্রাণীদের প্রতি উদার ভালোবাসা—সব মিলিয়ে বার্দো এক মুক্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি।’
বার্দো ছিলেন আধুনিক সেলিব্রিটির প্রথম দিককার এক উদাহরণ। প্রাক-নারীবাদী যুগেই তিনি নিজের শর্তে প্রেম করেছেন, সম্পর্ক গড়েছেন, ভোগবাদী জীবনযাপন নিয়ে কখনো অনুতপ্ত হননি। ফরাসি দার্শনিক সিমোন দ্য বোভোয়ার ১৯৫৯ সালে লিখেছিলেন, প্রেমের খেলায় বার্দো যেমন শিকার, তেমনি শিকারি—আর সেটাই পুরুষ অহংকারে আঘাত হানে।
নিজের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে বার্দো কখনো বড়াই করেননি। তবু ‘...অ্যান্ড গড ক্রিয়েটেড উইম্যান’, ‘কঁতঁপ্ত’, ‘ভিভা মারিয়া!’সহ ৪০টির বেশি চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশক ধরে তাঁর ক্যারিশমা অপ্রতিরোধ্য ছিল। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকাও। ফ্যাশনে তাঁর প্রভাব ছিল দীর্ঘস্থায়ী—স্বর্ণকেশী এলোমেলো চুল, সহজ পোশাক ও স্বাভাবিক উপস্থিতি বহু অভিনেত্রী ও মডেলের অনুকরণীয় হয়ে ওঠে।
১৯৭৩ সালে, মাত্র ৩৯ বছর বয়সে সিনেমা থেকে অবসর নিয়ে জীবনকে অন্যদিকে নিয়ে যান বার্দো। প্রাণী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি হয়ে ওঠেন কণ্ঠস্বর। ১৯৮৭ সালে তিনি বলেন, ‘যৌবন ও সৌন্দর্য দিয়েছি পুরুষদের, এখন আমার প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা দেব প্রাণীদের জন্য।’ তবে তাঁর জীবন বিতর্কমুক্ত ছিল না—অভিবাসন ও ধর্মীয় আচার নিয়ে মন্তব্যের কারণে তিনি সমালোচিত ও দণ্ডিত হয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবে বার্ধক্যকে গ্রহণ করাও ছিল তাঁর আরেকটি বিদ্রোহ। প্লাস্টিক সার্জারি এড়িয়ে সাদা চুল ও মুখের ভাঁজ নিয়েই তিনি প্রকাশ্যে থেকেছেন।
ব্রিজিত বার্দোর জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, প্যারিসে। একসময় ব্যালে নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখা মেয়েটি শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠেন শতাব্দীর এক প্রতীক—যিনি স্বাধীনতা, বিতর্ক ও করুণ বাস্তবতার মাঝেই নিজের মতো করে বেঁচে ছিলেন।

ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ
১৫ এপ্রিল ২০২৫
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
১ দিন আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
১ দিন আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস। কনসার্ট বাতিল হওয়ার ঘটনাকে আয়োজকদের ব্যর্থতা দাবি করে জেমস বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।’
জেমসের ম্যানেজার ও মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়োজকেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতর থেকে অনেক বেশি মানুষ ছিল বাইরে। এভাবে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আমরা সন্ধ্যার সময়ই ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরুর পর জানতে পারি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আমাদের জানানো হয়, বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকায় চলে আসেন জেমস।’
জানা যায়, স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজ সাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বের সময় জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলার কবলে পড়েছেন জেমস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন—এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘এমন কথা সত্যি নয়। সন্ধ্যায় ফরিদপুর পৌঁছালেও অনুষ্ঠানস্থলে যাননি জেমস। ছিলেন একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেই তিনি খবর পান বিশৃঙ্খলার। পরে শো বাতিল করলে আমরা ভেন্যুতে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত ১০ গুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্য আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস। কনসার্ট বাতিল হওয়ার ঘটনাকে আয়োজকদের ব্যর্থতা দাবি করে জেমস বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।’
জেমসের ম্যানেজার ও মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়োজকেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতর থেকে অনেক বেশি মানুষ ছিল বাইরে। এভাবে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আমরা সন্ধ্যার সময়ই ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরুর পর জানতে পারি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আমাদের জানানো হয়, বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকায় চলে আসেন জেমস।’
জানা যায়, স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজ সাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বের সময় জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলার কবলে পড়েছেন জেমস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন—এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘এমন কথা সত্যি নয়। সন্ধ্যায় ফরিদপুর পৌঁছালেও অনুষ্ঠানস্থলে যাননি জেমস। ছিলেন একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেই তিনি খবর পান বিশৃঙ্খলার। পরে শো বাতিল করলে আমরা ভেন্যুতে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত ১০ গুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্য আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ
১৫ এপ্রিল ২০২৫
ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো।
১২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
১ দিন আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
১ দিন আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি। প্রদীপ ঘোষের সিনেমাটি ২০২৩ সালে আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। নির্মাতা জানালেন নতুন বছরে আবার শুরু হচ্ছে সিনেমার শুটিং।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে রাশিদ পলাশ লেখেন, ‘এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশা আল্লাহ ২০২৬’। মন্তব্যের ঘরে পরীমণি লেখেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি’। স্পষ্টতই বোঝা গেল, জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরে আবার প্রীতিলতা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন পরীমণি।
প্রীতিলতা সিনেমা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করলে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই প্রীতিলতার বাকি অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিংয়ে যাব।’
২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রীতিলতার ফার্স্ট লুক। প্রীতিলতা বেশে চমকে দিয়েছিলেন পরী। সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। কিন্তু পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতিসহ নানা কারণে সে সময় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাঝে কয়েকবার এই সিনেমার শুটিং শুরুর কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। নতুন বছরে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান পরিচালক রাশিদ পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিং শেষ করতে চান প্রীতিলতার। এরপরেই শুরু করবেন সম্পাদনাসহ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
রাশিদ পলাশ বলেন, ‘২০২০ সালের শেষ দিকে আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা অংশের কাজ শেষ করা আছে। এখন আমরা শুটিং করব চট্টগ্রাম অংশের। আশা করছি রোজার ঈদের পর এপ্রিল মাসে আবার ক্যামেরা ওপেন করতে পারব।’

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি। প্রদীপ ঘোষের সিনেমাটি ২০২৩ সালে আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। নির্মাতা জানালেন নতুন বছরে আবার শুরু হচ্ছে সিনেমার শুটিং।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে রাশিদ পলাশ লেখেন, ‘এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশা আল্লাহ ২০২৬’। মন্তব্যের ঘরে পরীমণি লেখেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি’। স্পষ্টতই বোঝা গেল, জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরে আবার প্রীতিলতা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন পরীমণি।
প্রীতিলতা সিনেমা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করলে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই প্রীতিলতার বাকি অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিংয়ে যাব।’
২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রীতিলতার ফার্স্ট লুক। প্রীতিলতা বেশে চমকে দিয়েছিলেন পরী। সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। কিন্তু পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতিসহ নানা কারণে সে সময় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাঝে কয়েকবার এই সিনেমার শুটিং শুরুর কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। নতুন বছরে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান পরিচালক রাশিদ পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিং শেষ করতে চান প্রীতিলতার। এরপরেই শুরু করবেন সম্পাদনাসহ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
রাশিদ পলাশ বলেন, ‘২০২০ সালের শেষ দিকে আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা অংশের কাজ শেষ করা আছে। এখন আমরা শুটিং করব চট্টগ্রাম অংশের। আশা করছি রোজার ঈদের পর এপ্রিল মাসে আবার ক্যামেরা ওপেন করতে পারব।’

ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ
১৫ এপ্রিল ২০২৫
ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো।
১২ ঘণ্টা আগে
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
১ দিন আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
১ দিন আগেবিনোদন ডেস্ক

তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প। এর প্রমাণ এ বছর আবারও পেয়েছে বলিউড।
হৃতিক রোশন-এনটিআর জুনিয়র-কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘ওয়ার ২’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। ব্যর্থ হয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’, বরুণ ধাওয়ান-জাহ্নবী কাপুরের ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’, শহিদ কাপুরের ‘দেবা’, কাজলের ‘মা’, অর্জুন কাপুরের ‘মেরে হাজবেন্ড কি বিবি’সহ একাধিক বড় তারকার সিনেমা। হিট সিনেমার সিকুয়েলও এবার খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওয়ার ২ তো আছেই, ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজয়ের ‘দে দে পেয়ার দে ২’, ‘সন অব সরদার ২’, টাইগার শ্রফের ‘বাঘি ৪’, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী-তৃপ্তি দিমরির ‘ধাড়াক ২’সহ একগুচ্ছ সিকুয়েল।
আগে থেকেই দক্ষিণের চাপে ছিল বলিউড। এ বছর সে চাপ আরও বেড়েছে। ইদানীং দক্ষিণি সিনেমাগুলো প্যান-ইন্ডিয়া নাম দিয়ে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পায়। ফলে দক্ষিণি সিনেমার সাফল্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বলিউডের বক্স অফিস। বলিউডের হতাশার এই বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বড় সাফল্য এনে দেয় ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’। দেড় শ কোটিতে নির্মিত সিনেমাটি ৮০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। তবে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও ওঠে সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতার পর ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব ফেরাটাও বলিউডের এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রেক্ষাগৃহে ২৬৬ কোটির বেশি ব্যবসা করা সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে ওটিটিতে না দিয়ে আমির সরাসরি মুক্তি দেন ইউটিউবে। সেখানেও বড় সাফল্য পেয়েছেন। এ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নতুন জুটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন নির্মাতা মোহিত সুরি। আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডাকে নিয়ে তিনি তৈরি করেন ‘সাইয়ারা’। এই গতানুগতিক প্রেমের আখ্যান দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আয় করেছে ৫৭৯ কোটি রুপি। এ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড পেয়েছে দুই নতুন মুখ, যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন আগামীর তারকা। অ্যাকশন গল্পের আধিক্যের ভিড়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ কিংবা ‘হাউসফুল ৫’-এর মতো কমেডি গল্প। এ দুই সিনেমা দিয়ে এবার বক্স অফিসে কিছুটা হলেও সাফল্য ফিরে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছেন রণবীর সিং। বছরজুড়ে তাঁর মুক্তির তালিকা ছিল শূন্য। ছিলেন আলোচনার বাইরে। ৫ ডিসেম্বর আসে তাঁর স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় হাজার কোটির মাইলফলকে পৌঁছেছে সিনেমাটি। এটিই বলিউডে এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় ফিরেছেন অক্ষয় খান্না।

তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প। এর প্রমাণ এ বছর আবারও পেয়েছে বলিউড।
হৃতিক রোশন-এনটিআর জুনিয়র-কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘ওয়ার ২’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। ব্যর্থ হয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’, বরুণ ধাওয়ান-জাহ্নবী কাপুরের ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’, শহিদ কাপুরের ‘দেবা’, কাজলের ‘মা’, অর্জুন কাপুরের ‘মেরে হাজবেন্ড কি বিবি’সহ একাধিক বড় তারকার সিনেমা। হিট সিনেমার সিকুয়েলও এবার খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওয়ার ২ তো আছেই, ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজয়ের ‘দে দে পেয়ার দে ২’, ‘সন অব সরদার ২’, টাইগার শ্রফের ‘বাঘি ৪’, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী-তৃপ্তি দিমরির ‘ধাড়াক ২’সহ একগুচ্ছ সিকুয়েল।
আগে থেকেই দক্ষিণের চাপে ছিল বলিউড। এ বছর সে চাপ আরও বেড়েছে। ইদানীং দক্ষিণি সিনেমাগুলো প্যান-ইন্ডিয়া নাম দিয়ে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পায়। ফলে দক্ষিণি সিনেমার সাফল্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বলিউডের বক্স অফিস। বলিউডের হতাশার এই বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বড় সাফল্য এনে দেয় ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’। দেড় শ কোটিতে নির্মিত সিনেমাটি ৮০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। তবে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও ওঠে সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতার পর ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব ফেরাটাও বলিউডের এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রেক্ষাগৃহে ২৬৬ কোটির বেশি ব্যবসা করা সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে ওটিটিতে না দিয়ে আমির সরাসরি মুক্তি দেন ইউটিউবে। সেখানেও বড় সাফল্য পেয়েছেন। এ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নতুন জুটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন নির্মাতা মোহিত সুরি। আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডাকে নিয়ে তিনি তৈরি করেন ‘সাইয়ারা’। এই গতানুগতিক প্রেমের আখ্যান দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আয় করেছে ৫৭৯ কোটি রুপি। এ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড পেয়েছে দুই নতুন মুখ, যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন আগামীর তারকা। অ্যাকশন গল্পের আধিক্যের ভিড়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ কিংবা ‘হাউসফুল ৫’-এর মতো কমেডি গল্প। এ দুই সিনেমা দিয়ে এবার বক্স অফিসে কিছুটা হলেও সাফল্য ফিরে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছেন রণবীর সিং। বছরজুড়ে তাঁর মুক্তির তালিকা ছিল শূন্য। ছিলেন আলোচনার বাইরে। ৫ ডিসেম্বর আসে তাঁর স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় হাজার কোটির মাইলফলকে পৌঁছেছে সিনেমাটি। এটিই বলিউডে এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় ফিরেছেন অক্ষয় খান্না।

ভারতের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মের অনুসারী এবং অধিকাংশই এখনো জাতপাত-ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করেন। ফুলে দম্পতি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। বিশেষত দলিতদের শিক্ষার অধিকার ও সামাজিক সমতার পক্ষে লড়েছেন তাঁরা। যাদের হিন্দু বর্ণ প্রথায় ‘অস্পৃশ্য’ (যাদের স্পর্শ অপবিত্র বলে মনে করে উচ্চ
১৫ এপ্রিল ২০২৫
ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো।
১২ ঘণ্টা আগে
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
১ দিন আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
১ দিন আগে