জুবায়ের ইবনে কামাল

‘চন্দ্রাবতী কথা’ এমন এক গল্প যা আপনাকে নিয়ে যাবে ৪০০ বছর আগের দুনিয়ায়। প্রথমবার দেখার সময় পড়াশোনার অভাবে কিছু বিষয় দুর্বোধ্য লেগেছিল। তবে ৪০০ বছর আগের ময়মনসিংহ গীতিকা ও চন্দ্রাবতীর জীবন সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকলে ছবিটি বেশ উপভোগ্য। ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নান্দনিকতা বুঝতে হলে আমাদের গল্পটা জানা প্রয়োজন।
সময়টা ছিল আনুমানিক ১৫৫০ সাল। জন্ম নিলেন চন্দ্রাবতী। তাঁর বাবা দ্বিজ বংশীদাস ছিলেন ওই সময়ের অন্যতম মনসামঙ্গলের কবি। কথিত আছে, তাঁর বাবার গান শুনে দুর্ধর্ষ ডাকাত কেনারাম তাঁর শিষ্যে পরিণত হয়েছিল। দ্বিজ বংশী দাস যখন মনসা দেবীর গান গাইতেন, তখন নিরব হয়ে যেত চারপাশ। বাবার কাছেই এসব গান শিখতেন চন্দ্রাবতী। সহপাঠী হিসেবে থাকতেন আরেক কিশোর— জয়ানন্দ। দুজনের মনে তখন থেকেই ছিল প্রেমের উচ্ছলতা।
বড় হওয়ার পর সবার সম্মতিতে জয়ানন্দের সঙ্গে চন্দ্রার বিয়ে ঠিক হয়। যেদিন সন্ধ্যায় বিয়ে, সেদিনই বাস্তবতা মোড় নেয় অন্যদিকে। যা অসংখ্য পালাকবির রচনায় উঠে এসেছে নানাভাবে।
জয়ানন্দ হুট করেই অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেন। অথচ সেই সন্ধ্যায় বিয়ের পিঁড়িতে জয়ানন্দের অপেক্ষায় চন্দ্রা।
চন্দ্রাবতী যখন জানতে পারেন, জয়ানন্দ অন্য ধর্মের এক মেয়েকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হয়েছেন— ভীষণ মর্মাহত হন। বাবাকে জানান, তিনি আর বিয়ে করবেন না। শিব পূজার মাধ্যমে যোগ দেবেন আধ্যাত্মিক যাপনে। নতুন করে রচনা করবেন রামায়ণ।
তবে এটা তখনও কেউ ধারণা করতে পারেনি, চন্দ্রাবতী তাঁর লেখা রামায়ণে নিয়ে আসবেন নতুন এক মাত্রা। যা টিকে পরবর্তী কয়েক শ বছর।
গল্পের এই অংশে প্রবেশ করতে নির্মাতা তিনটি ভিন্ন ন্যারাশনে গল্প বলেছেন। প্রথমত খোকন বয়াতি, হামিদ বয়াতি ও লাল মাহমুদের কণ্ঠে নয়াচাঁদ ঘোষের লেখা ‘চন্দ্রাবতীর পালা’ গানের বিভিন্ন অংশ গাওয়ার মাধ্যমে চন্দ্রাবতীর জীবনের কিছু মূহুর্তের উত্থান-পতন সম্পর্কে দর্শক অবহিত হতে থাকেন।
অন্যদিকে গানের সুত্র ধরে আমরা একে একে দেখি কেন্দ্রীয় চরিত্রে দিলরুবা দোয়েলের অভিনয়ে চন্দ্রাবতীর যাত্রা। জয়ানন্দের চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ কিংবা চন্দ্রাবতীর বাবা দ্বিজ বংশীদাসের চরিত্রে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কিংবা সোনাই চরিত্রে কাজী নওশাবা আহমেদের দক্ষ অভিনয় আমাদেরকে ভিন্নভাবে সেই সময়টাকে দেখিয়ে দেয়।
এই দুটো আলাদা মাধ্যমের বাইরেও কিছু স্থিরচিত্রের মাধ্যমে সিম্বোলিক উপায়ে বিভিন্ন সময়ে গল্প বলতে দেখা যায়। যা সিনেম্যাটিক ভাষায় বেশ শক্তিশালী। যদিও কিছু স্থানে ব্যর্থ জাম্প কাটের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।
কাজী চরিত্রে আরমান পারভেজ মুরাদ দারুণ অভিনয় করেছেন। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা দিলরুবা দোয়েল দেখিয়েছেন দারুণ পারফরমেন্স। প্রদীপের আলোয় তাঁর চোখের চাহনি আপনাকে নিয়ে যাবে চার শ বছর আগের এক ট্রাজেডিতে।
চন্দ্রাবতী যে রামায়ণ লেখা শুরু করেছিলেন, তাতে মুখ্য হয়ে উঠেছিল সীতা। নীরব এক মন্দিরে শিব পূজা আর রামায়ণ লেখায় মগ্ন চন্দ্রাবতীর সঙ্গে যখন মাঝে মাঝেই দেখা করতে আসেন তার বাবা, চন্দ্রা তখন বাবাকে বলে— সীতা মার সঙ্গে কি খুব খারাপ ব্যবহার হয়নি? কেন আমরা সীতার দুঃখ অনুভব করতে পারিনি? বাস্তবেই ১৬০০ সালে যখন মারা গেলেন চন্দ্রাবতী, তখনও শেষ হয়নি রামায়ণ। তবে সেই অসমাপ্ত রামায়ণ জুড়ে ছিল শুধু সীতা ট্রাজেডির বয়ান।
২০১৩-১৪ সালে সরকারি অনুদান পাওয়া ‘চন্দ্রবতী কথা’ মুক্তি পেয়েছে ২০২১ সালে। নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরীর তুলে এনেছেন এই অঞ্চলের শেকড়ের গল্প। যেখানে খুঁজে পাওয়া যায় বাঙালির শত বছর ধরে চলে আসা বেদনা ও বাস্তবিক গল্পের ছোঁয়া।

‘চন্দ্রাবতী কথা’ এমন এক গল্প যা আপনাকে নিয়ে যাবে ৪০০ বছর আগের দুনিয়ায়। প্রথমবার দেখার সময় পড়াশোনার অভাবে কিছু বিষয় দুর্বোধ্য লেগেছিল। তবে ৪০০ বছর আগের ময়মনসিংহ গীতিকা ও চন্দ্রাবতীর জীবন সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকলে ছবিটি বেশ উপভোগ্য। ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নান্দনিকতা বুঝতে হলে আমাদের গল্পটা জানা প্রয়োজন।
সময়টা ছিল আনুমানিক ১৫৫০ সাল। জন্ম নিলেন চন্দ্রাবতী। তাঁর বাবা দ্বিজ বংশীদাস ছিলেন ওই সময়ের অন্যতম মনসামঙ্গলের কবি। কথিত আছে, তাঁর বাবার গান শুনে দুর্ধর্ষ ডাকাত কেনারাম তাঁর শিষ্যে পরিণত হয়েছিল। দ্বিজ বংশী দাস যখন মনসা দেবীর গান গাইতেন, তখন নিরব হয়ে যেত চারপাশ। বাবার কাছেই এসব গান শিখতেন চন্দ্রাবতী। সহপাঠী হিসেবে থাকতেন আরেক কিশোর— জয়ানন্দ। দুজনের মনে তখন থেকেই ছিল প্রেমের উচ্ছলতা।
বড় হওয়ার পর সবার সম্মতিতে জয়ানন্দের সঙ্গে চন্দ্রার বিয়ে ঠিক হয়। যেদিন সন্ধ্যায় বিয়ে, সেদিনই বাস্তবতা মোড় নেয় অন্যদিকে। যা অসংখ্য পালাকবির রচনায় উঠে এসেছে নানাভাবে।
জয়ানন্দ হুট করেই অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেন। অথচ সেই সন্ধ্যায় বিয়ের পিঁড়িতে জয়ানন্দের অপেক্ষায় চন্দ্রা।
চন্দ্রাবতী যখন জানতে পারেন, জয়ানন্দ অন্য ধর্মের এক মেয়েকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হয়েছেন— ভীষণ মর্মাহত হন। বাবাকে জানান, তিনি আর বিয়ে করবেন না। শিব পূজার মাধ্যমে যোগ দেবেন আধ্যাত্মিক যাপনে। নতুন করে রচনা করবেন রামায়ণ।
তবে এটা তখনও কেউ ধারণা করতে পারেনি, চন্দ্রাবতী তাঁর লেখা রামায়ণে নিয়ে আসবেন নতুন এক মাত্রা। যা টিকে পরবর্তী কয়েক শ বছর।
গল্পের এই অংশে প্রবেশ করতে নির্মাতা তিনটি ভিন্ন ন্যারাশনে গল্প বলেছেন। প্রথমত খোকন বয়াতি, হামিদ বয়াতি ও লাল মাহমুদের কণ্ঠে নয়াচাঁদ ঘোষের লেখা ‘চন্দ্রাবতীর পালা’ গানের বিভিন্ন অংশ গাওয়ার মাধ্যমে চন্দ্রাবতীর জীবনের কিছু মূহুর্তের উত্থান-পতন সম্পর্কে দর্শক অবহিত হতে থাকেন।
অন্যদিকে গানের সুত্র ধরে আমরা একে একে দেখি কেন্দ্রীয় চরিত্রে দিলরুবা দোয়েলের অভিনয়ে চন্দ্রাবতীর যাত্রা। জয়ানন্দের চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ কিংবা চন্দ্রাবতীর বাবা দ্বিজ বংশীদাসের চরিত্রে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কিংবা সোনাই চরিত্রে কাজী নওশাবা আহমেদের দক্ষ অভিনয় আমাদেরকে ভিন্নভাবে সেই সময়টাকে দেখিয়ে দেয়।
এই দুটো আলাদা মাধ্যমের বাইরেও কিছু স্থিরচিত্রের মাধ্যমে সিম্বোলিক উপায়ে বিভিন্ন সময়ে গল্প বলতে দেখা যায়। যা সিনেম্যাটিক ভাষায় বেশ শক্তিশালী। যদিও কিছু স্থানে ব্যর্থ জাম্প কাটের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।
কাজী চরিত্রে আরমান পারভেজ মুরাদ দারুণ অভিনয় করেছেন। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা দিলরুবা দোয়েল দেখিয়েছেন দারুণ পারফরমেন্স। প্রদীপের আলোয় তাঁর চোখের চাহনি আপনাকে নিয়ে যাবে চার শ বছর আগের এক ট্রাজেডিতে।
চন্দ্রাবতী যে রামায়ণ লেখা শুরু করেছিলেন, তাতে মুখ্য হয়ে উঠেছিল সীতা। নীরব এক মন্দিরে শিব পূজা আর রামায়ণ লেখায় মগ্ন চন্দ্রাবতীর সঙ্গে যখন মাঝে মাঝেই দেখা করতে আসেন তার বাবা, চন্দ্রা তখন বাবাকে বলে— সীতা মার সঙ্গে কি খুব খারাপ ব্যবহার হয়নি? কেন আমরা সীতার দুঃখ অনুভব করতে পারিনি? বাস্তবেই ১৬০০ সালে যখন মারা গেলেন চন্দ্রাবতী, তখনও শেষ হয়নি রামায়ণ। তবে সেই অসমাপ্ত রামায়ণ জুড়ে ছিল শুধু সীতা ট্রাজেডির বয়ান।
২০১৩-১৪ সালে সরকারি অনুদান পাওয়া ‘চন্দ্রবতী কথা’ মুক্তি পেয়েছে ২০২১ সালে। নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরীর তুলে এনেছেন এই অঞ্চলের শেকড়ের গল্প। যেখানে খুঁজে পাওয়া যায় বাঙালির শত বছর ধরে চলে আসা বেদনা ও বাস্তবিক গল্পের ছোঁয়া।
জুবায়ের ইবনে কামাল

‘চন্দ্রাবতী কথা’ এমন এক গল্প যা আপনাকে নিয়ে যাবে ৪০০ বছর আগের দুনিয়ায়। প্রথমবার দেখার সময় পড়াশোনার অভাবে কিছু বিষয় দুর্বোধ্য লেগেছিল। তবে ৪০০ বছর আগের ময়মনসিংহ গীতিকা ও চন্দ্রাবতীর জীবন সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকলে ছবিটি বেশ উপভোগ্য। ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নান্দনিকতা বুঝতে হলে আমাদের গল্পটা জানা প্রয়োজন।
সময়টা ছিল আনুমানিক ১৫৫০ সাল। জন্ম নিলেন চন্দ্রাবতী। তাঁর বাবা দ্বিজ বংশীদাস ছিলেন ওই সময়ের অন্যতম মনসামঙ্গলের কবি। কথিত আছে, তাঁর বাবার গান শুনে দুর্ধর্ষ ডাকাত কেনারাম তাঁর শিষ্যে পরিণত হয়েছিল। দ্বিজ বংশী দাস যখন মনসা দেবীর গান গাইতেন, তখন নিরব হয়ে যেত চারপাশ। বাবার কাছেই এসব গান শিখতেন চন্দ্রাবতী। সহপাঠী হিসেবে থাকতেন আরেক কিশোর— জয়ানন্দ। দুজনের মনে তখন থেকেই ছিল প্রেমের উচ্ছলতা।
বড় হওয়ার পর সবার সম্মতিতে জয়ানন্দের সঙ্গে চন্দ্রার বিয়ে ঠিক হয়। যেদিন সন্ধ্যায় বিয়ে, সেদিনই বাস্তবতা মোড় নেয় অন্যদিকে। যা অসংখ্য পালাকবির রচনায় উঠে এসেছে নানাভাবে।
জয়ানন্দ হুট করেই অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেন। অথচ সেই সন্ধ্যায় বিয়ের পিঁড়িতে জয়ানন্দের অপেক্ষায় চন্দ্রা।
চন্দ্রাবতী যখন জানতে পারেন, জয়ানন্দ অন্য ধর্মের এক মেয়েকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হয়েছেন— ভীষণ মর্মাহত হন। বাবাকে জানান, তিনি আর বিয়ে করবেন না। শিব পূজার মাধ্যমে যোগ দেবেন আধ্যাত্মিক যাপনে। নতুন করে রচনা করবেন রামায়ণ।
তবে এটা তখনও কেউ ধারণা করতে পারেনি, চন্দ্রাবতী তাঁর লেখা রামায়ণে নিয়ে আসবেন নতুন এক মাত্রা। যা টিকে পরবর্তী কয়েক শ বছর।
গল্পের এই অংশে প্রবেশ করতে নির্মাতা তিনটি ভিন্ন ন্যারাশনে গল্প বলেছেন। প্রথমত খোকন বয়াতি, হামিদ বয়াতি ও লাল মাহমুদের কণ্ঠে নয়াচাঁদ ঘোষের লেখা ‘চন্দ্রাবতীর পালা’ গানের বিভিন্ন অংশ গাওয়ার মাধ্যমে চন্দ্রাবতীর জীবনের কিছু মূহুর্তের উত্থান-পতন সম্পর্কে দর্শক অবহিত হতে থাকেন।
অন্যদিকে গানের সুত্র ধরে আমরা একে একে দেখি কেন্দ্রীয় চরিত্রে দিলরুবা দোয়েলের অভিনয়ে চন্দ্রাবতীর যাত্রা। জয়ানন্দের চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ কিংবা চন্দ্রাবতীর বাবা দ্বিজ বংশীদাসের চরিত্রে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কিংবা সোনাই চরিত্রে কাজী নওশাবা আহমেদের দক্ষ অভিনয় আমাদেরকে ভিন্নভাবে সেই সময়টাকে দেখিয়ে দেয়।
এই দুটো আলাদা মাধ্যমের বাইরেও কিছু স্থিরচিত্রের মাধ্যমে সিম্বোলিক উপায়ে বিভিন্ন সময়ে গল্প বলতে দেখা যায়। যা সিনেম্যাটিক ভাষায় বেশ শক্তিশালী। যদিও কিছু স্থানে ব্যর্থ জাম্প কাটের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।
কাজী চরিত্রে আরমান পারভেজ মুরাদ দারুণ অভিনয় করেছেন। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা দিলরুবা দোয়েল দেখিয়েছেন দারুণ পারফরমেন্স। প্রদীপের আলোয় তাঁর চোখের চাহনি আপনাকে নিয়ে যাবে চার শ বছর আগের এক ট্রাজেডিতে।
চন্দ্রাবতী যে রামায়ণ লেখা শুরু করেছিলেন, তাতে মুখ্য হয়ে উঠেছিল সীতা। নীরব এক মন্দিরে শিব পূজা আর রামায়ণ লেখায় মগ্ন চন্দ্রাবতীর সঙ্গে যখন মাঝে মাঝেই দেখা করতে আসেন তার বাবা, চন্দ্রা তখন বাবাকে বলে— সীতা মার সঙ্গে কি খুব খারাপ ব্যবহার হয়নি? কেন আমরা সীতার দুঃখ অনুভব করতে পারিনি? বাস্তবেই ১৬০০ সালে যখন মারা গেলেন চন্দ্রাবতী, তখনও শেষ হয়নি রামায়ণ। তবে সেই অসমাপ্ত রামায়ণ জুড়ে ছিল শুধু সীতা ট্রাজেডির বয়ান।
২০১৩-১৪ সালে সরকারি অনুদান পাওয়া ‘চন্দ্রবতী কথা’ মুক্তি পেয়েছে ২০২১ সালে। নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরীর তুলে এনেছেন এই অঞ্চলের শেকড়ের গল্প। যেখানে খুঁজে পাওয়া যায় বাঙালির শত বছর ধরে চলে আসা বেদনা ও বাস্তবিক গল্পের ছোঁয়া।

‘চন্দ্রাবতী কথা’ এমন এক গল্প যা আপনাকে নিয়ে যাবে ৪০০ বছর আগের দুনিয়ায়। প্রথমবার দেখার সময় পড়াশোনার অভাবে কিছু বিষয় দুর্বোধ্য লেগেছিল। তবে ৪০০ বছর আগের ময়মনসিংহ গীতিকা ও চন্দ্রাবতীর জীবন সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকলে ছবিটি বেশ উপভোগ্য। ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নান্দনিকতা বুঝতে হলে আমাদের গল্পটা জানা প্রয়োজন।
সময়টা ছিল আনুমানিক ১৫৫০ সাল। জন্ম নিলেন চন্দ্রাবতী। তাঁর বাবা দ্বিজ বংশীদাস ছিলেন ওই সময়ের অন্যতম মনসামঙ্গলের কবি। কথিত আছে, তাঁর বাবার গান শুনে দুর্ধর্ষ ডাকাত কেনারাম তাঁর শিষ্যে পরিণত হয়েছিল। দ্বিজ বংশী দাস যখন মনসা দেবীর গান গাইতেন, তখন নিরব হয়ে যেত চারপাশ। বাবার কাছেই এসব গান শিখতেন চন্দ্রাবতী। সহপাঠী হিসেবে থাকতেন আরেক কিশোর— জয়ানন্দ। দুজনের মনে তখন থেকেই ছিল প্রেমের উচ্ছলতা।
বড় হওয়ার পর সবার সম্মতিতে জয়ানন্দের সঙ্গে চন্দ্রার বিয়ে ঠিক হয়। যেদিন সন্ধ্যায় বিয়ে, সেদিনই বাস্তবতা মোড় নেয় অন্যদিকে। যা অসংখ্য পালাকবির রচনায় উঠে এসেছে নানাভাবে।
জয়ানন্দ হুট করেই অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেন। অথচ সেই সন্ধ্যায় বিয়ের পিঁড়িতে জয়ানন্দের অপেক্ষায় চন্দ্রা।
চন্দ্রাবতী যখন জানতে পারেন, জয়ানন্দ অন্য ধর্মের এক মেয়েকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হয়েছেন— ভীষণ মর্মাহত হন। বাবাকে জানান, তিনি আর বিয়ে করবেন না। শিব পূজার মাধ্যমে যোগ দেবেন আধ্যাত্মিক যাপনে। নতুন করে রচনা করবেন রামায়ণ।
তবে এটা তখনও কেউ ধারণা করতে পারেনি, চন্দ্রাবতী তাঁর লেখা রামায়ণে নিয়ে আসবেন নতুন এক মাত্রা। যা টিকে পরবর্তী কয়েক শ বছর।
গল্পের এই অংশে প্রবেশ করতে নির্মাতা তিনটি ভিন্ন ন্যারাশনে গল্প বলেছেন। প্রথমত খোকন বয়াতি, হামিদ বয়াতি ও লাল মাহমুদের কণ্ঠে নয়াচাঁদ ঘোষের লেখা ‘চন্দ্রাবতীর পালা’ গানের বিভিন্ন অংশ গাওয়ার মাধ্যমে চন্দ্রাবতীর জীবনের কিছু মূহুর্তের উত্থান-পতন সম্পর্কে দর্শক অবহিত হতে থাকেন।
অন্যদিকে গানের সুত্র ধরে আমরা একে একে দেখি কেন্দ্রীয় চরিত্রে দিলরুবা দোয়েলের অভিনয়ে চন্দ্রাবতীর যাত্রা। জয়ানন্দের চরিত্রে ইমতিয়াজ বর্ষণ কিংবা চন্দ্রাবতীর বাবা দ্বিজ বংশীদাসের চরিত্রে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কিংবা সোনাই চরিত্রে কাজী নওশাবা আহমেদের দক্ষ অভিনয় আমাদেরকে ভিন্নভাবে সেই সময়টাকে দেখিয়ে দেয়।
এই দুটো আলাদা মাধ্যমের বাইরেও কিছু স্থিরচিত্রের মাধ্যমে সিম্বোলিক উপায়ে বিভিন্ন সময়ে গল্প বলতে দেখা যায়। যা সিনেম্যাটিক ভাষায় বেশ শক্তিশালী। যদিও কিছু স্থানে ব্যর্থ জাম্প কাটের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।
কাজী চরিত্রে আরমান পারভেজ মুরাদ দারুণ অভিনয় করেছেন। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা দিলরুবা দোয়েল দেখিয়েছেন দারুণ পারফরমেন্স। প্রদীপের আলোয় তাঁর চোখের চাহনি আপনাকে নিয়ে যাবে চার শ বছর আগের এক ট্রাজেডিতে।
চন্দ্রাবতী যে রামায়ণ লেখা শুরু করেছিলেন, তাতে মুখ্য হয়ে উঠেছিল সীতা। নীরব এক মন্দিরে শিব পূজা আর রামায়ণ লেখায় মগ্ন চন্দ্রাবতীর সঙ্গে যখন মাঝে মাঝেই দেখা করতে আসেন তার বাবা, চন্দ্রা তখন বাবাকে বলে— সীতা মার সঙ্গে কি খুব খারাপ ব্যবহার হয়নি? কেন আমরা সীতার দুঃখ অনুভব করতে পারিনি? বাস্তবেই ১৬০০ সালে যখন মারা গেলেন চন্দ্রাবতী, তখনও শেষ হয়নি রামায়ণ। তবে সেই অসমাপ্ত রামায়ণ জুড়ে ছিল শুধু সীতা ট্রাজেডির বয়ান।
২০১৩-১৪ সালে সরকারি অনুদান পাওয়া ‘চন্দ্রবতী কথা’ মুক্তি পেয়েছে ২০২১ সালে। নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরীর তুলে এনেছেন এই অঞ্চলের শেকড়ের গল্প। যেখানে খুঁজে পাওয়া যায় বাঙালির শত বছর ধরে চলে আসা বেদনা ও বাস্তবিক গল্পের ছোঁয়া।

‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৭ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৮ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৮ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের জন্ম ও মৃত্যুদিবস ৯ ডিসেম্বর। এই উপলক্ষে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ইসফেন্দিয়ার জাহেদ হাসান মিলনায়তনে গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) আয়োজন করা হয় ‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ শিরোনামের কাব্যনাটকের প্রদর্শনী।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম ‘লেখার পোকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা কাব্যনাট্যে আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু, সুজন রেহমান, নূরাইশা হাসান সামিয়া, মীর উমাইয়া হক পদ্ম, উম্মে হাবিবা শিবলী, অদ্রিতা ভদ্র ও নার্গিস সুলতানা।
প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। পোশাক পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানেও ছিলেন তিনি। আবহসংগীত করেছেন আরেফিন নিপুন ও মাজহারুল তুষার। দেড় ঘণ্টার এই আয়োজনে হলভর্তি দর্শক পিনপতন নীরবতায় উপভোগ করেন কবিতা, আবৃত্তি, শ্রুতিনাট্য ও অভিনয়ের সম্মিলিত শিল্পভাষা।
বেগম রোকেয়াকে নিয়ে এই আয়োজন প্রসঙ্গে নির্দেশক নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘বেগম রোকেয়ার সাহসী ও ক্ষুরধার লেখা এবং তাঁর দূরদর্শী চিন্তা-চেতনা ও দর্শনই আমাদের রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা অনুষ্ঠানের মূল ভিত্তি। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান ও তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি আমাদের এই প্রযোজনায়।’
নার্গিস সুলতানা আরও বলেন, ‘আজ শত বছর পরে, এই তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজে দাঁড়িয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা, আজকের সুলতানারা কেমন আছেন? রোকেয়ার স্বপ্ন কতখানি বাস্তবে রূপ নিয়েছে? আজকের নারী কি সত্যিই অবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে না রোকেয়ার সুলতানারা এখনো নিজেদের অধিকার ও অস্তিত্বের লড়াইয়ে ব্যতিব্যস্ত! এসব প্রশ্নের উত্তরই এই কাব্যনাটকে খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।’
যেসব নারী রোকেয়ার সেই স্বপ্নের পৃথিবীকে বাস্তবে পরিণত করতে লড়াই-সংগ্রামে সোচ্চার রয়েছেন, সেসব রোকেয়া-অনুরাগীর জন্য অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়েছে বলে জানান নির্দেশক।

‘চন্দ্রাবতী কথা’ এমন এক গল্প যা আপনাকে নিয়ে যাবে ৪০০ বছর আগের দুনিয়ায়। প্রথমবার দেখার সময় পড়াশোনার অভাবে কিছু বিষয় দুর্বোধ্য লেগেছিল। তবে ৪০০ বছর আগের ময়মনসিংহ গীতিকা ও চন্দ্রাবতীর জীবন সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকলে ছবিটি বেশ উপভোগ্য। ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নান্দনিকতা বুঝতে হলে আমাদের গল্পটা জানা প্রয়োজন।
০৫ নভেম্বর ২০২১
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৮ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৮ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

‘চন্দ্রাবতী কথা’ এমন এক গল্প যা আপনাকে নিয়ে যাবে ৪০০ বছর আগের দুনিয়ায়। প্রথমবার দেখার সময় পড়াশোনার অভাবে কিছু বিষয় দুর্বোধ্য লেগেছিল। তবে ৪০০ বছর আগের ময়মনসিংহ গীতিকা ও চন্দ্রাবতীর জীবন সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকলে ছবিটি বেশ উপভোগ্য। ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নান্দনিকতা বুঝতে হলে আমাদের গল্পটা জানা প্রয়োজন।
০৫ নভেম্বর ২০২১
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৭ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৮ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

‘চন্দ্রাবতী কথা’ এমন এক গল্প যা আপনাকে নিয়ে যাবে ৪০০ বছর আগের দুনিয়ায়। প্রথমবার দেখার সময় পড়াশোনার অভাবে কিছু বিষয় দুর্বোধ্য লেগেছিল। তবে ৪০০ বছর আগের ময়মনসিংহ গীতিকা ও চন্দ্রাবতীর জীবন সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকলে ছবিটি বেশ উপভোগ্য। ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নান্দনিকতা বুঝতে হলে আমাদের গল্পটা জানা প্রয়োজন।
০৫ নভেম্বর ২০২১
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৭ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৮ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



‘চন্দ্রাবতী কথা’ এমন এক গল্প যা আপনাকে নিয়ে যাবে ৪০০ বছর আগের দুনিয়ায়। প্রথমবার দেখার সময় পড়াশোনার অভাবে কিছু বিষয় দুর্বোধ্য লেগেছিল। তবে ৪০০ বছর আগের ময়মনসিংহ গীতিকা ও চন্দ্রাবতীর জীবন সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকলে ছবিটি বেশ উপভোগ্য। ‘চন্দ্রাবতী কথা’র নান্দনিকতা বুঝতে হলে আমাদের গল্পটা জানা প্রয়োজন।
০৫ নভেম্বর ২০২১
‘রোকেয়ার স্বপ্নে আজকের সুলতানারা’ প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন নার্গিস সুলতানা। আবৃত্তি, শ্রুতিকথন আর অভিনয়ে অংশ নেন নার্গিস আক্তার, রেজিনা খন্দকার, জয়া হাওলাদার, আবুল ফজল, তোফাজ্জল হোসেন তপু প্রমুখ।
৭ ঘণ্টা আগে
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১৮ ঘণ্টা আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
১৮ ঘণ্টা আগে