আশিকুর রিমেল

তিব্বতি ও লাদাখি ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সামসারা’। বাংলায় ‘সংসার’। গৌতম বুদ্ধের দর্শন, শিক্ষা ও আলোকায়নের পথ চিত্রিত হয়েছে এই সিনেমায়। ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক সহ-প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটি ২০০১ সালে মুক্তি পায়। নলিন কুমার পাণ্ডে নির্মিত এই স্বাধীন চলচ্চিত্রটিতে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর আলোকায়নের গল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।
গল্পটি বলার আগে গৌতম বুদ্ধের জীবনী থেকে কিছু বিষয় বিশেষভাবে বলে নেওয়া প্রয়োজন। যে বিষয়গুলোকে এই সিনেমায় গৌতম বুদ্ধের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে—
সিদ্ধার্থ গৌতম শাক্য প্রজাতন্ত্রের নির্বাচিত প্রধান ক্ষত্রিয় বংশের শুদ্ধোধনের পুত্র। ষোলো বছর বয়সে সিদ্ধার্থ গৌতমের সঙ্গে কোলীয় গণের সুন্দরী কন্যা যশোধরার বিয়ে হয়। তাঁদের রাহুল নামের এক পুত্রসন্তান হয়। সিদ্ধার্থ তাঁর জীবনের প্রথম ২৯ বছর রাজপুত্র হিসেবে অতিবাহিত করেছেন।
বৌদ্ধ পুথিগুলো অনুসারে, সিদ্ধার্থের বাবা শুদ্ধোধন, সিদ্ধার্থের জীবনে বিলাসিতার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও তিনি বস্তুগত ঐশ্বর্য থেকে উদাসীন ছিলেন। ভোগের আনন্দ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেছেন। ঐশ্বর্য যে জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না, তা উপলব্ধি করতে শুরু করেছিলেন ওই বয়স থেকেই। একদিন রাতে স্ত্রী যশোধরা ও সন্তান রাহুলকে ঘুমের মধ্যে রেখে গৃহত্যাগী হন। এই বিশ্বসংসারে মানুষের দুঃখ লাঘবের জন্য সন্ন্যাস নেন। অতঃপর তিনি বোধিপ্রাপ্ত হন।
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে এই প্রাথমিক তথ্যটুকু জানা থাকলে সিনেমাটির গল্পের সঙ্গে মেলাতে খানিকটা সুবিধা হবে।
সিনেমার শেষাংশে গল্পের প্রধান নারী চরিত্র পুরুষ চরিত্রকে এমন কিছু প্রশ্নের ও ভাবনার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা একজন দর্শক ও শ্রোতাকে জীবন নিয়ে ভয়ানক দ্বান্দ্বিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেবে।
যশোধরা! একজন নারী! যার বিয়ে হয়েছিল রাজপুত্র সিদ্ধার্থের সঙ্গে, গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে নয়। যাকে তিনি নিজের সর্বস্ব দিয়ে ভালোবেসেছেন। অথচ সিদ্ধার্থ রাতের আঁধারে তাঁকে এবং তাঁর সন্তান রাহুলকে রেখে চলে গেলেন। যশোধরাকে এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। অথচ গৌতম যখন বুঝতেন না দুঃখ কী, তখন থেকেই যশোধরা জীর্ণ, রোগাক্রান্ত মানুষের সেবা করে এসেছেন। সিদ্ধার্থ সেটি দেখেছেন কাছ থেকে। সেটি দেখতে গিয়েই বেঁধেছে বিপত্তি। বৈরাগ্য পেয়ে বসেছে তাঁর। বোধিপ্রাপ্তির পর জীবনকে স্বপ্নের মতো এক মোহমায়া বলেই বর্ণনা করেছেন। নির্বাণ প্রাপ্তিতেই মুক্তি খুঁজেছেন।
সিনেমার প্রধান চরিত্র তাশি এমনই। পাঁচ বছর বয়সে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর কাছে তাঁর দীক্ষা শুরু হয়। ২০ বছর বয়সে ধ্যান শুরু করেন। ৩ বছর ৩ মাস ৩ সপ্তাহ ৩ দিন অনাহারে ধ্যানমগ্ন থাকেন। এর পর তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় আশ্রমে। দীর্ঘদিন তপস্যায় বোধিপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে ভিক্ষু প্রধান তাশিকে ‘লামা’ খেতাব দেন। তিনি হয়ে ওঠেন ‘লামা তাশি’।
মানুষ তো অন্তর্যামী নয়। তাই প্রথম দিকে কেউ জানতেও পারেননি লামা তাশি এই তপস্যা থেকে তার জৈবিক আকাঙ্ক্ষামুক্ত হতে পারেননি। তাঁর মধ্যে এখনো নারী প্রেম, কাম, রীতিমতো বলবৎ। এমনকি তাশি নিজেও তখনো নিজের শরীর সম্পর্কে অতটা সচেতন হয়ে ওঠেনি।
বায়ু পরিবর্তনের জন্য লামা তাশিকে নিয়ে যাওয়া হয় লোকালয়ে। ভিক্ষুদের সেবক একটি পরিবারে তাঁদের আপ্যায়ন ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে গিয়েই প্রথম ‘পেমা’ নামের এক নারীর চোখে, ঠোঁটে চোখ পড়ে তাঁর। প্রথম কামভাব জাগে তাঁর। আশ্রমে ফিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন লামা তাশি। স্বপ্নদোষ নিয়ে লজ্জিত বিব্রত তাশিকে দলপ্রধান প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পাঠান এক মৌনব্রত সাধকের কাছে। যিনি তাঁর হাতে একটি বাণী তুলে দেন। যেখানে লেখা থাকে, ‘তোমার জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছুই তোমাকে কিছু না কিছু শেখায়।’
এর পরই তাশি শিশুকাল থেকে শেখা আপ্তবাক্যগুলোকে প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই ভেতরে জমে থাকা প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনো বস্তুর, স্বাদ, অভিজ্ঞতা ছাড়া কেন তিনি সেসব থেকে দূরে থাকার চর্চা করবেন? আশ্রমের প্রধান ভিক্ষুকে তিনি জানিয়ে দেন, তিনি কোন মোহ থেকে দূরে থাকবেন, যেই মোহে তিনি ছিলেনই না? যার স্বাদ তিনি পাননি কখনো?
নিজের অবস্থানের যৌক্তিকতা প্রমাণে তাশি গৌতম বুদ্ধেই আশ্রয় নেন। বলেন, গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, কোনো কিছু প্রকৃত বোধ পেতে হলে তার স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ করেন, গৌতম বুদ্ধের বোধিপ্রাপ্ত হওয়ার আগের ২৯ বছর ঘর, সংসার, স্ত্রী, সন্তান—সবকিছুর স্বাদ গ্রহণের অভিজ্ঞতা নেওয়ার কথা।
যেসব বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই, সেসবের ওপর আর বিশ্বাস গড়তে পারছিলেন না তাশি। মনে সংশয় দানা বাঁধতে থাকে। দলপ্রধান ভিক্ষু একটি বাক্যের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার তাশির ওপরেই ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘তুমি যে স্বপ্নটা দেখ, সেটা সত্য ছিল।’
সে রাতেই লামা তাশি সাধারণ মানুষ হিসেবে জাগতিক সংসার জীবনের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন। এত বছরের যাপিত জীবনের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান। অতঃপর লামা তাশি গেরুয়া পোশাক ছেড়ে পেমার প্রতি প্রেম, জৈবিক টানে ছুটে যান। সাধারণ পোশাক নিয়ে ছদ্মবেশে পেমাদের গ্রামে চলে যান। জীবনের মোড় ঘুরে যায় তাশির।
তাশি বেছে নেন সংসার জীবন। বিয়ে হয় পেমার সঙ্গে। পেমার বাবা অবস্থাপন্ন কৃষক। বছরে তিন মাস প্রচণ্ড শীতের বাইরে বাকি সময়টা কৃষিকাজ করে দিন কাটতে থাকে তাঁদের। তাঁদের কোলজুড়ে আসে একটা ছেলে সন্তান। তাঁর নাম রাখা হয় ‘কর্ম’। খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ নাম। পুরোদস্তুর সংসারে ডুবে থাকেন তাশি ও পেমা। স্বপ্নের মতোই যেন এক সুখের জীবন পেয়ে যান তাশি।
এ সময় আসে গল্পের আরেক মোড়। আবির্ভাব ঘটে ‘সেঁজুতি’ নামের এক ভারতীয় নারীর। আঠারো পেরিয়ে ১৯-এ পা দিয়েছেন সেঁজুতি। কাজ করেন তাঁদেরই কৃষি জমিতে। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার ফলে সেঁজুতি ও পেমার মধ্যে সখ্যও অনেক বেশি। প্রাণোচ্ছল, হাসিখুশি এই তরুণী ও তাশি একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে শুরু করে। একদিন পেমার অবর্তমানে শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পেমা বিষয়টি আঁচ করতে পারেন এবং তাশির সঙ্গে তাঁর মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। সেই সঙ্গে গল্পের ঘটনাচক্রে দেখানো হয় চারপাশে মানুষের মধ্যে থাকা লোভ, অহংকার, হিংসা, ক্রোধ, উচ্চাকাঙ্ক্ষার ক্লেদ। বিশেষ করে স্বামী অন্তপ্রাণ স্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা তাঁর মর্মপীড়া চরমে তোলে। সংসার যন্ত্রণার হয়ে উঠতে থাকে তাশির কাছে। তাশি এই যন্ত্রণার কথা কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারেন না। ফলে দিনে দিনে নিজের মধ্যে গুটিয়ে পড়েন তাশি।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, সন্ন্যাস ছেড়ে সংসার বেছে নিয়েছিলেন নিজের সিদ্ধান্তেই। সন্ন্যাস ছেড়ে পেমাকে আশ্রয় করে সংসার গড়েছিলেন। সেই সত্য স্বপ্নের পিঠে ছুরি মেরেছেন তাশি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে সংসারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
তাশি সিদ্ধান্ত নেন সন্ন্যাস নেবেন। গৌতমের মতোই তাশি বেরিয়ে পড়েন স্ত্রী-পুত্রকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে। গভীর রাতে। আবার নেন সেই গেরুয়া বেশ। পথে সূর্যের আলো ফুটেছে। হঠাৎ চমকে গিয়ে থমকে দাঁড়ান তাশি।
গল্পের এই পর্যায়ে এসে তাশি এমন কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হন, এমন কিছু ভাবনার মুখোমুখি হন, যেখানে তাঁর সত্তা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন না তাশি। অসহায়ের মতো মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ডুকরে কাঁদতে থাকেন। দুমড়ে-মুচড়ে যায় তাঁর সমস্ত কর্ম, কাম। ধুলোয় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে থাকেন। যেন ধুলোয় মিশে গেছে তাঁর সব।
চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরেক প্রতিবিম্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা, যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জানা নেই।
সিনেমার শুরুতে ইগলের পা থেকে পড়া এক পাথরের আঘাতে মারা যায় জোয়ান টগবগে এক ভেড়া। সিনেমার শেষের অংশে পেমা একটি বাক্স ফেলে চলে যান। বলা ভালো, হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যান, স্বপ্নের মতোই। দারুণ আগ্রহ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে যে স্বপ্ন এতদিন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন তাশি। এই বাক্স সাধারণত নিরাপদ যাত্রার আশীর্বাদ হিসেবে দেওয়ার রেওয়াজ। এ থেকে বলা যায়, এখান থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তাশির এক দীর্ঘ যাত্রা। সেই যাত্রা গ্রামের দিকে নাকি মৃত্যুর দিকে তা স্পষ্ট নয়।
পেমা বাক্সটি ফেলে দেওয়ার পরে অদৃশ্য হয়ে যান। এটিকে বৌদ্ধ বিশ্বাসের একটি প্রতীকী উপস্থাপন ধরে নেওয়া যায় যে, সমস্ত জীবন একটি স্বপ্নের মতো। পেমার সঙ্গে প্রথম মিলনকে তাশি স্বপ্নই ভেবেছিলেন। পেমার অদৃশ্য হয়ে যাওয়া তাশিকে বুঝিয়ে দেয়, এ জীবন মায়া। এই মায়ার ফাঁদজালে তড়পাতে থাকেন তাশি। তখনই তিনি পাথরের কাছে যান এবং তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর পড়েন। তখন মেঘের ফাঁকে দেখা মেলে সেই ইগলের। একটি তত্ত্ব হতে পারে যে, ইগলটি আবার পা থেকে একটি পাথর ছেড়ে দেয়। তাশি মারা যান সেই ভেড়ার মতোই। এই মৃত্যুই তাঁকে সমুদ্রের সঙ্গে মিলন ঘটিয়ে দেয়। এটিই বুদ্ধের আলোকায়ন!
সিনেমার বেশ কয়েকটি তীব্র কামোত্তেজক দৃশ্যে কেউ অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। কিন্তু বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে একটি চলচ্চিত্রের জন্য এটি সম্পূর্ণ উপযুক্তই বলা যেতে পারে। যেখানে বৌদ্ধধর্ম এমন একটি দর্শন, যা যৌনতার আনন্দকে নিন্দা করে না। এটি ভারতে শুট করা একটি চলচ্চিত্রের জন্যও বিশেষভাবে উপযুক্ত, যেখানে বৌদ্ধ ধর্ম এবং হিন্দুধর্ম (যে ধর্মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কামসূত্র) বহু শতাব্দী ধরে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছে।
সিনেমার শেষ অংশটিও বলছে: নায়কের স্ত্রী, পেমা, বুদ্ধের স্ত্রী যেন যশোধরাকেই আহ্বান করছেন। যদিও সহস্রাব্দ ধরে বিশ্ব বুদ্ধের দুর্দশা এবং দ্বিধাকেই কেবল চর্চা করেছে। যশোধরার কথা কেউ কখনো চিন্তা করে না, যিনি শেষ পর্যন্ত তাঁর স্বামীর খেয়ালের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছেন।
অভিনয় দুর্দান্ত। ক্রিস্টি চুং (পেমা) প্রত্যাশিত পারফরমেন্সই করেছেন। শেষ দৃশ্যটি শ্বাসরুদ্ধকর। দেখার জন্য সম্ভবত এই দৃশ্যটিই যথেষ্ট!

তিব্বতি ও লাদাখি ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সামসারা’। বাংলায় ‘সংসার’। গৌতম বুদ্ধের দর্শন, শিক্ষা ও আলোকায়নের পথ চিত্রিত হয়েছে এই সিনেমায়। ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক সহ-প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটি ২০০১ সালে মুক্তি পায়। নলিন কুমার পাণ্ডে নির্মিত এই স্বাধীন চলচ্চিত্রটিতে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর আলোকায়নের গল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।
গল্পটি বলার আগে গৌতম বুদ্ধের জীবনী থেকে কিছু বিষয় বিশেষভাবে বলে নেওয়া প্রয়োজন। যে বিষয়গুলোকে এই সিনেমায় গৌতম বুদ্ধের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে—
সিদ্ধার্থ গৌতম শাক্য প্রজাতন্ত্রের নির্বাচিত প্রধান ক্ষত্রিয় বংশের শুদ্ধোধনের পুত্র। ষোলো বছর বয়সে সিদ্ধার্থ গৌতমের সঙ্গে কোলীয় গণের সুন্দরী কন্যা যশোধরার বিয়ে হয়। তাঁদের রাহুল নামের এক পুত্রসন্তান হয়। সিদ্ধার্থ তাঁর জীবনের প্রথম ২৯ বছর রাজপুত্র হিসেবে অতিবাহিত করেছেন।
বৌদ্ধ পুথিগুলো অনুসারে, সিদ্ধার্থের বাবা শুদ্ধোধন, সিদ্ধার্থের জীবনে বিলাসিতার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও তিনি বস্তুগত ঐশ্বর্য থেকে উদাসীন ছিলেন। ভোগের আনন্দ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেছেন। ঐশ্বর্য যে জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না, তা উপলব্ধি করতে শুরু করেছিলেন ওই বয়স থেকেই। একদিন রাতে স্ত্রী যশোধরা ও সন্তান রাহুলকে ঘুমের মধ্যে রেখে গৃহত্যাগী হন। এই বিশ্বসংসারে মানুষের দুঃখ লাঘবের জন্য সন্ন্যাস নেন। অতঃপর তিনি বোধিপ্রাপ্ত হন।
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে এই প্রাথমিক তথ্যটুকু জানা থাকলে সিনেমাটির গল্পের সঙ্গে মেলাতে খানিকটা সুবিধা হবে।
সিনেমার শেষাংশে গল্পের প্রধান নারী চরিত্র পুরুষ চরিত্রকে এমন কিছু প্রশ্নের ও ভাবনার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা একজন দর্শক ও শ্রোতাকে জীবন নিয়ে ভয়ানক দ্বান্দ্বিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেবে।
যশোধরা! একজন নারী! যার বিয়ে হয়েছিল রাজপুত্র সিদ্ধার্থের সঙ্গে, গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে নয়। যাকে তিনি নিজের সর্বস্ব দিয়ে ভালোবেসেছেন। অথচ সিদ্ধার্থ রাতের আঁধারে তাঁকে এবং তাঁর সন্তান রাহুলকে রেখে চলে গেলেন। যশোধরাকে এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। অথচ গৌতম যখন বুঝতেন না দুঃখ কী, তখন থেকেই যশোধরা জীর্ণ, রোগাক্রান্ত মানুষের সেবা করে এসেছেন। সিদ্ধার্থ সেটি দেখেছেন কাছ থেকে। সেটি দেখতে গিয়েই বেঁধেছে বিপত্তি। বৈরাগ্য পেয়ে বসেছে তাঁর। বোধিপ্রাপ্তির পর জীবনকে স্বপ্নের মতো এক মোহমায়া বলেই বর্ণনা করেছেন। নির্বাণ প্রাপ্তিতেই মুক্তি খুঁজেছেন।
সিনেমার প্রধান চরিত্র তাশি এমনই। পাঁচ বছর বয়সে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর কাছে তাঁর দীক্ষা শুরু হয়। ২০ বছর বয়সে ধ্যান শুরু করেন। ৩ বছর ৩ মাস ৩ সপ্তাহ ৩ দিন অনাহারে ধ্যানমগ্ন থাকেন। এর পর তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় আশ্রমে। দীর্ঘদিন তপস্যায় বোধিপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে ভিক্ষু প্রধান তাশিকে ‘লামা’ খেতাব দেন। তিনি হয়ে ওঠেন ‘লামা তাশি’।
মানুষ তো অন্তর্যামী নয়। তাই প্রথম দিকে কেউ জানতেও পারেননি লামা তাশি এই তপস্যা থেকে তার জৈবিক আকাঙ্ক্ষামুক্ত হতে পারেননি। তাঁর মধ্যে এখনো নারী প্রেম, কাম, রীতিমতো বলবৎ। এমনকি তাশি নিজেও তখনো নিজের শরীর সম্পর্কে অতটা সচেতন হয়ে ওঠেনি।
বায়ু পরিবর্তনের জন্য লামা তাশিকে নিয়ে যাওয়া হয় লোকালয়ে। ভিক্ষুদের সেবক একটি পরিবারে তাঁদের আপ্যায়ন ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে গিয়েই প্রথম ‘পেমা’ নামের এক নারীর চোখে, ঠোঁটে চোখ পড়ে তাঁর। প্রথম কামভাব জাগে তাঁর। আশ্রমে ফিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন লামা তাশি। স্বপ্নদোষ নিয়ে লজ্জিত বিব্রত তাশিকে দলপ্রধান প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পাঠান এক মৌনব্রত সাধকের কাছে। যিনি তাঁর হাতে একটি বাণী তুলে দেন। যেখানে লেখা থাকে, ‘তোমার জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছুই তোমাকে কিছু না কিছু শেখায়।’
এর পরই তাশি শিশুকাল থেকে শেখা আপ্তবাক্যগুলোকে প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই ভেতরে জমে থাকা প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনো বস্তুর, স্বাদ, অভিজ্ঞতা ছাড়া কেন তিনি সেসব থেকে দূরে থাকার চর্চা করবেন? আশ্রমের প্রধান ভিক্ষুকে তিনি জানিয়ে দেন, তিনি কোন মোহ থেকে দূরে থাকবেন, যেই মোহে তিনি ছিলেনই না? যার স্বাদ তিনি পাননি কখনো?
নিজের অবস্থানের যৌক্তিকতা প্রমাণে তাশি গৌতম বুদ্ধেই আশ্রয় নেন। বলেন, গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, কোনো কিছু প্রকৃত বোধ পেতে হলে তার স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ করেন, গৌতম বুদ্ধের বোধিপ্রাপ্ত হওয়ার আগের ২৯ বছর ঘর, সংসার, স্ত্রী, সন্তান—সবকিছুর স্বাদ গ্রহণের অভিজ্ঞতা নেওয়ার কথা।
যেসব বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই, সেসবের ওপর আর বিশ্বাস গড়তে পারছিলেন না তাশি। মনে সংশয় দানা বাঁধতে থাকে। দলপ্রধান ভিক্ষু একটি বাক্যের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার তাশির ওপরেই ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘তুমি যে স্বপ্নটা দেখ, সেটা সত্য ছিল।’
সে রাতেই লামা তাশি সাধারণ মানুষ হিসেবে জাগতিক সংসার জীবনের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন। এত বছরের যাপিত জীবনের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান। অতঃপর লামা তাশি গেরুয়া পোশাক ছেড়ে পেমার প্রতি প্রেম, জৈবিক টানে ছুটে যান। সাধারণ পোশাক নিয়ে ছদ্মবেশে পেমাদের গ্রামে চলে যান। জীবনের মোড় ঘুরে যায় তাশির।
তাশি বেছে নেন সংসার জীবন। বিয়ে হয় পেমার সঙ্গে। পেমার বাবা অবস্থাপন্ন কৃষক। বছরে তিন মাস প্রচণ্ড শীতের বাইরে বাকি সময়টা কৃষিকাজ করে দিন কাটতে থাকে তাঁদের। তাঁদের কোলজুড়ে আসে একটা ছেলে সন্তান। তাঁর নাম রাখা হয় ‘কর্ম’। খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ নাম। পুরোদস্তুর সংসারে ডুবে থাকেন তাশি ও পেমা। স্বপ্নের মতোই যেন এক সুখের জীবন পেয়ে যান তাশি।
এ সময় আসে গল্পের আরেক মোড়। আবির্ভাব ঘটে ‘সেঁজুতি’ নামের এক ভারতীয় নারীর। আঠারো পেরিয়ে ১৯-এ পা দিয়েছেন সেঁজুতি। কাজ করেন তাঁদেরই কৃষি জমিতে। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার ফলে সেঁজুতি ও পেমার মধ্যে সখ্যও অনেক বেশি। প্রাণোচ্ছল, হাসিখুশি এই তরুণী ও তাশি একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে শুরু করে। একদিন পেমার অবর্তমানে শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পেমা বিষয়টি আঁচ করতে পারেন এবং তাশির সঙ্গে তাঁর মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। সেই সঙ্গে গল্পের ঘটনাচক্রে দেখানো হয় চারপাশে মানুষের মধ্যে থাকা লোভ, অহংকার, হিংসা, ক্রোধ, উচ্চাকাঙ্ক্ষার ক্লেদ। বিশেষ করে স্বামী অন্তপ্রাণ স্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা তাঁর মর্মপীড়া চরমে তোলে। সংসার যন্ত্রণার হয়ে উঠতে থাকে তাশির কাছে। তাশি এই যন্ত্রণার কথা কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারেন না। ফলে দিনে দিনে নিজের মধ্যে গুটিয়ে পড়েন তাশি।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, সন্ন্যাস ছেড়ে সংসার বেছে নিয়েছিলেন নিজের সিদ্ধান্তেই। সন্ন্যাস ছেড়ে পেমাকে আশ্রয় করে সংসার গড়েছিলেন। সেই সত্য স্বপ্নের পিঠে ছুরি মেরেছেন তাশি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে সংসারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
তাশি সিদ্ধান্ত নেন সন্ন্যাস নেবেন। গৌতমের মতোই তাশি বেরিয়ে পড়েন স্ত্রী-পুত্রকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে। গভীর রাতে। আবার নেন সেই গেরুয়া বেশ। পথে সূর্যের আলো ফুটেছে। হঠাৎ চমকে গিয়ে থমকে দাঁড়ান তাশি।
গল্পের এই পর্যায়ে এসে তাশি এমন কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হন, এমন কিছু ভাবনার মুখোমুখি হন, যেখানে তাঁর সত্তা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন না তাশি। অসহায়ের মতো মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ডুকরে কাঁদতে থাকেন। দুমড়ে-মুচড়ে যায় তাঁর সমস্ত কর্ম, কাম। ধুলোয় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে থাকেন। যেন ধুলোয় মিশে গেছে তাঁর সব।
চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরেক প্রতিবিম্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা, যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জানা নেই।
সিনেমার শুরুতে ইগলের পা থেকে পড়া এক পাথরের আঘাতে মারা যায় জোয়ান টগবগে এক ভেড়া। সিনেমার শেষের অংশে পেমা একটি বাক্স ফেলে চলে যান। বলা ভালো, হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যান, স্বপ্নের মতোই। দারুণ আগ্রহ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে যে স্বপ্ন এতদিন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন তাশি। এই বাক্স সাধারণত নিরাপদ যাত্রার আশীর্বাদ হিসেবে দেওয়ার রেওয়াজ। এ থেকে বলা যায়, এখান থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তাশির এক দীর্ঘ যাত্রা। সেই যাত্রা গ্রামের দিকে নাকি মৃত্যুর দিকে তা স্পষ্ট নয়।
পেমা বাক্সটি ফেলে দেওয়ার পরে অদৃশ্য হয়ে যান। এটিকে বৌদ্ধ বিশ্বাসের একটি প্রতীকী উপস্থাপন ধরে নেওয়া যায় যে, সমস্ত জীবন একটি স্বপ্নের মতো। পেমার সঙ্গে প্রথম মিলনকে তাশি স্বপ্নই ভেবেছিলেন। পেমার অদৃশ্য হয়ে যাওয়া তাশিকে বুঝিয়ে দেয়, এ জীবন মায়া। এই মায়ার ফাঁদজালে তড়পাতে থাকেন তাশি। তখনই তিনি পাথরের কাছে যান এবং তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর পড়েন। তখন মেঘের ফাঁকে দেখা মেলে সেই ইগলের। একটি তত্ত্ব হতে পারে যে, ইগলটি আবার পা থেকে একটি পাথর ছেড়ে দেয়। তাশি মারা যান সেই ভেড়ার মতোই। এই মৃত্যুই তাঁকে সমুদ্রের সঙ্গে মিলন ঘটিয়ে দেয়। এটিই বুদ্ধের আলোকায়ন!
সিনেমার বেশ কয়েকটি তীব্র কামোত্তেজক দৃশ্যে কেউ অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। কিন্তু বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে একটি চলচ্চিত্রের জন্য এটি সম্পূর্ণ উপযুক্তই বলা যেতে পারে। যেখানে বৌদ্ধধর্ম এমন একটি দর্শন, যা যৌনতার আনন্দকে নিন্দা করে না। এটি ভারতে শুট করা একটি চলচ্চিত্রের জন্যও বিশেষভাবে উপযুক্ত, যেখানে বৌদ্ধ ধর্ম এবং হিন্দুধর্ম (যে ধর্মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কামসূত্র) বহু শতাব্দী ধরে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছে।
সিনেমার শেষ অংশটিও বলছে: নায়কের স্ত্রী, পেমা, বুদ্ধের স্ত্রী যেন যশোধরাকেই আহ্বান করছেন। যদিও সহস্রাব্দ ধরে বিশ্ব বুদ্ধের দুর্দশা এবং দ্বিধাকেই কেবল চর্চা করেছে। যশোধরার কথা কেউ কখনো চিন্তা করে না, যিনি শেষ পর্যন্ত তাঁর স্বামীর খেয়ালের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছেন।
অভিনয় দুর্দান্ত। ক্রিস্টি চুং (পেমা) প্রত্যাশিত পারফরমেন্সই করেছেন। শেষ দৃশ্যটি শ্বাসরুদ্ধকর। দেখার জন্য সম্ভবত এই দৃশ্যটিই যথেষ্ট!

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
২ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৪ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৪ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’
বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’
বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ
১৩ নভেম্বর ২০২১
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৪ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৪ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।
ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’
জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।
ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’
জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ
১৩ নভেম্বর ২০২১
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
২ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৪ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’
শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’
সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’
অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’
শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’
সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’
অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ
১৩ নভেম্বর ২০২১
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
২ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৪ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
৯ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।
আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।
এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।
আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।
এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ
১৩ নভেম্বর ২০২১
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
২ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৪ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
৪ ঘণ্টা আগে