আশিকুর রিমেল

তিব্বতি ও লাদাখি ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সামসারা’। বাংলায় ‘সংসার’। গৌতম বুদ্ধের দর্শন, শিক্ষা ও আলোকায়নের পথ চিত্রিত হয়েছে এই সিনেমায়। ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক সহ-প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটি ২০০১ সালে মুক্তি পায়। নলিন কুমার পাণ্ডে নির্মিত এই স্বাধীন চলচ্চিত্রটিতে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর আলোকায়নের গল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।
গল্পটি বলার আগে গৌতম বুদ্ধের জীবনী থেকে কিছু বিষয় বিশেষভাবে বলে নেওয়া প্রয়োজন। যে বিষয়গুলোকে এই সিনেমায় গৌতম বুদ্ধের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে—
সিদ্ধার্থ গৌতম শাক্য প্রজাতন্ত্রের নির্বাচিত প্রধান ক্ষত্রিয় বংশের শুদ্ধোধনের পুত্র। ষোলো বছর বয়সে সিদ্ধার্থ গৌতমের সঙ্গে কোলীয় গণের সুন্দরী কন্যা যশোধরার বিয়ে হয়। তাঁদের রাহুল নামের এক পুত্রসন্তান হয়। সিদ্ধার্থ তাঁর জীবনের প্রথম ২৯ বছর রাজপুত্র হিসেবে অতিবাহিত করেছেন।
বৌদ্ধ পুথিগুলো অনুসারে, সিদ্ধার্থের বাবা শুদ্ধোধন, সিদ্ধার্থের জীবনে বিলাসিতার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও তিনি বস্তুগত ঐশ্বর্য থেকে উদাসীন ছিলেন। ভোগের আনন্দ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেছেন। ঐশ্বর্য যে জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না, তা উপলব্ধি করতে শুরু করেছিলেন ওই বয়স থেকেই। একদিন রাতে স্ত্রী যশোধরা ও সন্তান রাহুলকে ঘুমের মধ্যে রেখে গৃহত্যাগী হন। এই বিশ্বসংসারে মানুষের দুঃখ লাঘবের জন্য সন্ন্যাস নেন। অতঃপর তিনি বোধিপ্রাপ্ত হন।
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে এই প্রাথমিক তথ্যটুকু জানা থাকলে সিনেমাটির গল্পের সঙ্গে মেলাতে খানিকটা সুবিধা হবে।
সিনেমার শেষাংশে গল্পের প্রধান নারী চরিত্র পুরুষ চরিত্রকে এমন কিছু প্রশ্নের ও ভাবনার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা একজন দর্শক ও শ্রোতাকে জীবন নিয়ে ভয়ানক দ্বান্দ্বিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেবে।
যশোধরা! একজন নারী! যার বিয়ে হয়েছিল রাজপুত্র সিদ্ধার্থের সঙ্গে, গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে নয়। যাকে তিনি নিজের সর্বস্ব দিয়ে ভালোবেসেছেন। অথচ সিদ্ধার্থ রাতের আঁধারে তাঁকে এবং তাঁর সন্তান রাহুলকে রেখে চলে গেলেন। যশোধরাকে এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। অথচ গৌতম যখন বুঝতেন না দুঃখ কী, তখন থেকেই যশোধরা জীর্ণ, রোগাক্রান্ত মানুষের সেবা করে এসেছেন। সিদ্ধার্থ সেটি দেখেছেন কাছ থেকে। সেটি দেখতে গিয়েই বেঁধেছে বিপত্তি। বৈরাগ্য পেয়ে বসেছে তাঁর। বোধিপ্রাপ্তির পর জীবনকে স্বপ্নের মতো এক মোহমায়া বলেই বর্ণনা করেছেন। নির্বাণ প্রাপ্তিতেই মুক্তি খুঁজেছেন।
সিনেমার প্রধান চরিত্র তাশি এমনই। পাঁচ বছর বয়সে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর কাছে তাঁর দীক্ষা শুরু হয়। ২০ বছর বয়সে ধ্যান শুরু করেন। ৩ বছর ৩ মাস ৩ সপ্তাহ ৩ দিন অনাহারে ধ্যানমগ্ন থাকেন। এর পর তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় আশ্রমে। দীর্ঘদিন তপস্যায় বোধিপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে ভিক্ষু প্রধান তাশিকে ‘লামা’ খেতাব দেন। তিনি হয়ে ওঠেন ‘লামা তাশি’।
মানুষ তো অন্তর্যামী নয়। তাই প্রথম দিকে কেউ জানতেও পারেননি লামা তাশি এই তপস্যা থেকে তার জৈবিক আকাঙ্ক্ষামুক্ত হতে পারেননি। তাঁর মধ্যে এখনো নারী প্রেম, কাম, রীতিমতো বলবৎ। এমনকি তাশি নিজেও তখনো নিজের শরীর সম্পর্কে অতটা সচেতন হয়ে ওঠেনি।
বায়ু পরিবর্তনের জন্য লামা তাশিকে নিয়ে যাওয়া হয় লোকালয়ে। ভিক্ষুদের সেবক একটি পরিবারে তাঁদের আপ্যায়ন ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে গিয়েই প্রথম ‘পেমা’ নামের এক নারীর চোখে, ঠোঁটে চোখ পড়ে তাঁর। প্রথম কামভাব জাগে তাঁর। আশ্রমে ফিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন লামা তাশি। স্বপ্নদোষ নিয়ে লজ্জিত বিব্রত তাশিকে দলপ্রধান প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পাঠান এক মৌনব্রত সাধকের কাছে। যিনি তাঁর হাতে একটি বাণী তুলে দেন। যেখানে লেখা থাকে, ‘তোমার জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছুই তোমাকে কিছু না কিছু শেখায়।’
এর পরই তাশি শিশুকাল থেকে শেখা আপ্তবাক্যগুলোকে প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই ভেতরে জমে থাকা প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনো বস্তুর, স্বাদ, অভিজ্ঞতা ছাড়া কেন তিনি সেসব থেকে দূরে থাকার চর্চা করবেন? আশ্রমের প্রধান ভিক্ষুকে তিনি জানিয়ে দেন, তিনি কোন মোহ থেকে দূরে থাকবেন, যেই মোহে তিনি ছিলেনই না? যার স্বাদ তিনি পাননি কখনো?
নিজের অবস্থানের যৌক্তিকতা প্রমাণে তাশি গৌতম বুদ্ধেই আশ্রয় নেন। বলেন, গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, কোনো কিছু প্রকৃত বোধ পেতে হলে তার স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ করেন, গৌতম বুদ্ধের বোধিপ্রাপ্ত হওয়ার আগের ২৯ বছর ঘর, সংসার, স্ত্রী, সন্তান—সবকিছুর স্বাদ গ্রহণের অভিজ্ঞতা নেওয়ার কথা।
যেসব বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই, সেসবের ওপর আর বিশ্বাস গড়তে পারছিলেন না তাশি। মনে সংশয় দানা বাঁধতে থাকে। দলপ্রধান ভিক্ষু একটি বাক্যের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার তাশির ওপরেই ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘তুমি যে স্বপ্নটা দেখ, সেটা সত্য ছিল।’
সে রাতেই লামা তাশি সাধারণ মানুষ হিসেবে জাগতিক সংসার জীবনের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন। এত বছরের যাপিত জীবনের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান। অতঃপর লামা তাশি গেরুয়া পোশাক ছেড়ে পেমার প্রতি প্রেম, জৈবিক টানে ছুটে যান। সাধারণ পোশাক নিয়ে ছদ্মবেশে পেমাদের গ্রামে চলে যান। জীবনের মোড় ঘুরে যায় তাশির।
তাশি বেছে নেন সংসার জীবন। বিয়ে হয় পেমার সঙ্গে। পেমার বাবা অবস্থাপন্ন কৃষক। বছরে তিন মাস প্রচণ্ড শীতের বাইরে বাকি সময়টা কৃষিকাজ করে দিন কাটতে থাকে তাঁদের। তাঁদের কোলজুড়ে আসে একটা ছেলে সন্তান। তাঁর নাম রাখা হয় ‘কর্ম’। খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ নাম। পুরোদস্তুর সংসারে ডুবে থাকেন তাশি ও পেমা। স্বপ্নের মতোই যেন এক সুখের জীবন পেয়ে যান তাশি।
এ সময় আসে গল্পের আরেক মোড়। আবির্ভাব ঘটে ‘সেঁজুতি’ নামের এক ভারতীয় নারীর। আঠারো পেরিয়ে ১৯-এ পা দিয়েছেন সেঁজুতি। কাজ করেন তাঁদেরই কৃষি জমিতে। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার ফলে সেঁজুতি ও পেমার মধ্যে সখ্যও অনেক বেশি। প্রাণোচ্ছল, হাসিখুশি এই তরুণী ও তাশি একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে শুরু করে। একদিন পেমার অবর্তমানে শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পেমা বিষয়টি আঁচ করতে পারেন এবং তাশির সঙ্গে তাঁর মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। সেই সঙ্গে গল্পের ঘটনাচক্রে দেখানো হয় চারপাশে মানুষের মধ্যে থাকা লোভ, অহংকার, হিংসা, ক্রোধ, উচ্চাকাঙ্ক্ষার ক্লেদ। বিশেষ করে স্বামী অন্তপ্রাণ স্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা তাঁর মর্মপীড়া চরমে তোলে। সংসার যন্ত্রণার হয়ে উঠতে থাকে তাশির কাছে। তাশি এই যন্ত্রণার কথা কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারেন না। ফলে দিনে দিনে নিজের মধ্যে গুটিয়ে পড়েন তাশি।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, সন্ন্যাস ছেড়ে সংসার বেছে নিয়েছিলেন নিজের সিদ্ধান্তেই। সন্ন্যাস ছেড়ে পেমাকে আশ্রয় করে সংসার গড়েছিলেন। সেই সত্য স্বপ্নের পিঠে ছুরি মেরেছেন তাশি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে সংসারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
তাশি সিদ্ধান্ত নেন সন্ন্যাস নেবেন। গৌতমের মতোই তাশি বেরিয়ে পড়েন স্ত্রী-পুত্রকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে। গভীর রাতে। আবার নেন সেই গেরুয়া বেশ। পথে সূর্যের আলো ফুটেছে। হঠাৎ চমকে গিয়ে থমকে দাঁড়ান তাশি।
গল্পের এই পর্যায়ে এসে তাশি এমন কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হন, এমন কিছু ভাবনার মুখোমুখি হন, যেখানে তাঁর সত্তা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন না তাশি। অসহায়ের মতো মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ডুকরে কাঁদতে থাকেন। দুমড়ে-মুচড়ে যায় তাঁর সমস্ত কর্ম, কাম। ধুলোয় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে থাকেন। যেন ধুলোয় মিশে গেছে তাঁর সব।
চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরেক প্রতিবিম্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা, যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জানা নেই।
সিনেমার শুরুতে ইগলের পা থেকে পড়া এক পাথরের আঘাতে মারা যায় জোয়ান টগবগে এক ভেড়া। সিনেমার শেষের অংশে পেমা একটি বাক্স ফেলে চলে যান। বলা ভালো, হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যান, স্বপ্নের মতোই। দারুণ আগ্রহ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে যে স্বপ্ন এতদিন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন তাশি। এই বাক্স সাধারণত নিরাপদ যাত্রার আশীর্বাদ হিসেবে দেওয়ার রেওয়াজ। এ থেকে বলা যায়, এখান থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তাশির এক দীর্ঘ যাত্রা। সেই যাত্রা গ্রামের দিকে নাকি মৃত্যুর দিকে তা স্পষ্ট নয়।
পেমা বাক্সটি ফেলে দেওয়ার পরে অদৃশ্য হয়ে যান। এটিকে বৌদ্ধ বিশ্বাসের একটি প্রতীকী উপস্থাপন ধরে নেওয়া যায় যে, সমস্ত জীবন একটি স্বপ্নের মতো। পেমার সঙ্গে প্রথম মিলনকে তাশি স্বপ্নই ভেবেছিলেন। পেমার অদৃশ্য হয়ে যাওয়া তাশিকে বুঝিয়ে দেয়, এ জীবন মায়া। এই মায়ার ফাঁদজালে তড়পাতে থাকেন তাশি। তখনই তিনি পাথরের কাছে যান এবং তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর পড়েন। তখন মেঘের ফাঁকে দেখা মেলে সেই ইগলের। একটি তত্ত্ব হতে পারে যে, ইগলটি আবার পা থেকে একটি পাথর ছেড়ে দেয়। তাশি মারা যান সেই ভেড়ার মতোই। এই মৃত্যুই তাঁকে সমুদ্রের সঙ্গে মিলন ঘটিয়ে দেয়। এটিই বুদ্ধের আলোকায়ন!
সিনেমার বেশ কয়েকটি তীব্র কামোত্তেজক দৃশ্যে কেউ অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। কিন্তু বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে একটি চলচ্চিত্রের জন্য এটি সম্পূর্ণ উপযুক্তই বলা যেতে পারে। যেখানে বৌদ্ধধর্ম এমন একটি দর্শন, যা যৌনতার আনন্দকে নিন্দা করে না। এটি ভারতে শুট করা একটি চলচ্চিত্রের জন্যও বিশেষভাবে উপযুক্ত, যেখানে বৌদ্ধ ধর্ম এবং হিন্দুধর্ম (যে ধর্মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কামসূত্র) বহু শতাব্দী ধরে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছে।
সিনেমার শেষ অংশটিও বলছে: নায়কের স্ত্রী, পেমা, বুদ্ধের স্ত্রী যেন যশোধরাকেই আহ্বান করছেন। যদিও সহস্রাব্দ ধরে বিশ্ব বুদ্ধের দুর্দশা এবং দ্বিধাকেই কেবল চর্চা করেছে। যশোধরার কথা কেউ কখনো চিন্তা করে না, যিনি শেষ পর্যন্ত তাঁর স্বামীর খেয়ালের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছেন।
অভিনয় দুর্দান্ত। ক্রিস্টি চুং (পেমা) প্রত্যাশিত পারফরমেন্সই করেছেন। শেষ দৃশ্যটি শ্বাসরুদ্ধকর। দেখার জন্য সম্ভবত এই দৃশ্যটিই যথেষ্ট!

তিব্বতি ও লাদাখি ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সামসারা’। বাংলায় ‘সংসার’। গৌতম বুদ্ধের দর্শন, শিক্ষা ও আলোকায়নের পথ চিত্রিত হয়েছে এই সিনেমায়। ভারত, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক সহ-প্রযোজনায় নির্মিত সিনেমাটি ২০০১ সালে মুক্তি পায়। নলিন কুমার পাণ্ডে নির্মিত এই স্বাধীন চলচ্চিত্রটিতে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর আলোকায়নের গল্প উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।
গল্পটি বলার আগে গৌতম বুদ্ধের জীবনী থেকে কিছু বিষয় বিশেষভাবে বলে নেওয়া প্রয়োজন। যে বিষয়গুলোকে এই সিনেমায় গৌতম বুদ্ধের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে—
সিদ্ধার্থ গৌতম শাক্য প্রজাতন্ত্রের নির্বাচিত প্রধান ক্ষত্রিয় বংশের শুদ্ধোধনের পুত্র। ষোলো বছর বয়সে সিদ্ধার্থ গৌতমের সঙ্গে কোলীয় গণের সুন্দরী কন্যা যশোধরার বিয়ে হয়। তাঁদের রাহুল নামের এক পুত্রসন্তান হয়। সিদ্ধার্থ তাঁর জীবনের প্রথম ২৯ বছর রাজপুত্র হিসেবে অতিবাহিত করেছেন।
বৌদ্ধ পুথিগুলো অনুসারে, সিদ্ধার্থের বাবা শুদ্ধোধন, সিদ্ধার্থের জীবনে বিলাসিতার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও তিনি বস্তুগত ঐশ্বর্য থেকে উদাসীন ছিলেন। ভোগের আনন্দ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেছেন। ঐশ্বর্য যে জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না, তা উপলব্ধি করতে শুরু করেছিলেন ওই বয়স থেকেই। একদিন রাতে স্ত্রী যশোধরা ও সন্তান রাহুলকে ঘুমের মধ্যে রেখে গৃহত্যাগী হন। এই বিশ্বসংসারে মানুষের দুঃখ লাঘবের জন্য সন্ন্যাস নেন। অতঃপর তিনি বোধিপ্রাপ্ত হন।
গৌতম বুদ্ধ সম্পর্কে এই প্রাথমিক তথ্যটুকু জানা থাকলে সিনেমাটির গল্পের সঙ্গে মেলাতে খানিকটা সুবিধা হবে।
সিনেমার শেষাংশে গল্পের প্রধান নারী চরিত্র পুরুষ চরিত্রকে এমন কিছু প্রশ্নের ও ভাবনার মুখোমুখি দাঁড় করান, যা একজন দর্শক ও শ্রোতাকে জীবন নিয়ে ভয়ানক দ্বান্দ্বিক অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেবে।
যশোধরা! একজন নারী! যার বিয়ে হয়েছিল রাজপুত্র সিদ্ধার্থের সঙ্গে, গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে নয়। যাকে তিনি নিজের সর্বস্ব দিয়ে ভালোবেসেছেন। অথচ সিদ্ধার্থ রাতের আঁধারে তাঁকে এবং তাঁর সন্তান রাহুলকে রেখে চলে গেলেন। যশোধরাকে এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। অথচ গৌতম যখন বুঝতেন না দুঃখ কী, তখন থেকেই যশোধরা জীর্ণ, রোগাক্রান্ত মানুষের সেবা করে এসেছেন। সিদ্ধার্থ সেটি দেখেছেন কাছ থেকে। সেটি দেখতে গিয়েই বেঁধেছে বিপত্তি। বৈরাগ্য পেয়ে বসেছে তাঁর। বোধিপ্রাপ্তির পর জীবনকে স্বপ্নের মতো এক মোহমায়া বলেই বর্ণনা করেছেন। নির্বাণ প্রাপ্তিতেই মুক্তি খুঁজেছেন।
সিনেমার প্রধান চরিত্র তাশি এমনই। পাঁচ বছর বয়সে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর কাছে তাঁর দীক্ষা শুরু হয়। ২০ বছর বয়সে ধ্যান শুরু করেন। ৩ বছর ৩ মাস ৩ সপ্তাহ ৩ দিন অনাহারে ধ্যানমগ্ন থাকেন। এর পর তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় আশ্রমে। দীর্ঘদিন তপস্যায় বোধিপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে ভিক্ষু প্রধান তাশিকে ‘লামা’ খেতাব দেন। তিনি হয়ে ওঠেন ‘লামা তাশি’।
মানুষ তো অন্তর্যামী নয়। তাই প্রথম দিকে কেউ জানতেও পারেননি লামা তাশি এই তপস্যা থেকে তার জৈবিক আকাঙ্ক্ষামুক্ত হতে পারেননি। তাঁর মধ্যে এখনো নারী প্রেম, কাম, রীতিমতো বলবৎ। এমনকি তাশি নিজেও তখনো নিজের শরীর সম্পর্কে অতটা সচেতন হয়ে ওঠেনি।
বায়ু পরিবর্তনের জন্য লামা তাশিকে নিয়ে যাওয়া হয় লোকালয়ে। ভিক্ষুদের সেবক একটি পরিবারে তাঁদের আপ্যায়ন ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে গিয়েই প্রথম ‘পেমা’ নামের এক নারীর চোখে, ঠোঁটে চোখ পড়ে তাঁর। প্রথম কামভাব জাগে তাঁর। আশ্রমে ফিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন লামা তাশি। স্বপ্নদোষ নিয়ে লজ্জিত বিব্রত তাশিকে দলপ্রধান প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য পাঠান এক মৌনব্রত সাধকের কাছে। যিনি তাঁর হাতে একটি বাণী তুলে দেন। যেখানে লেখা থাকে, ‘তোমার জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত সবকিছুই তোমাকে কিছু না কিছু শেখায়।’
এর পরই তাশি শিশুকাল থেকে শেখা আপ্তবাক্যগুলোকে প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই ভেতরে জমে থাকা প্রশ্ন করতে থাকেন। কোনো বস্তুর, স্বাদ, অভিজ্ঞতা ছাড়া কেন তিনি সেসব থেকে দূরে থাকার চর্চা করবেন? আশ্রমের প্রধান ভিক্ষুকে তিনি জানিয়ে দেন, তিনি কোন মোহ থেকে দূরে থাকবেন, যেই মোহে তিনি ছিলেনই না? যার স্বাদ তিনি পাননি কখনো?
নিজের অবস্থানের যৌক্তিকতা প্রমাণে তাশি গৌতম বুদ্ধেই আশ্রয় নেন। বলেন, গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, কোনো কিছু প্রকৃত বোধ পেতে হলে তার স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ করেন, গৌতম বুদ্ধের বোধিপ্রাপ্ত হওয়ার আগের ২৯ বছর ঘর, সংসার, স্ত্রী, সন্তান—সবকিছুর স্বাদ গ্রহণের অভিজ্ঞতা নেওয়ার কথা।
যেসব বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই, সেসবের ওপর আর বিশ্বাস গড়তে পারছিলেন না তাশি। মনে সংশয় দানা বাঁধতে থাকে। দলপ্রধান ভিক্ষু একটি বাক্যের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভার তাশির ওপরেই ছেড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘তুমি যে স্বপ্নটা দেখ, সেটা সত্য ছিল।’
সে রাতেই লামা তাশি সাধারণ মানুষ হিসেবে জাগতিক সংসার জীবনের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন। এত বছরের যাপিত জীবনের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান। অতঃপর লামা তাশি গেরুয়া পোশাক ছেড়ে পেমার প্রতি প্রেম, জৈবিক টানে ছুটে যান। সাধারণ পোশাক নিয়ে ছদ্মবেশে পেমাদের গ্রামে চলে যান। জীবনের মোড় ঘুরে যায় তাশির।
তাশি বেছে নেন সংসার জীবন। বিয়ে হয় পেমার সঙ্গে। পেমার বাবা অবস্থাপন্ন কৃষক। বছরে তিন মাস প্রচণ্ড শীতের বাইরে বাকি সময়টা কৃষিকাজ করে দিন কাটতে থাকে তাঁদের। তাঁদের কোলজুড়ে আসে একটা ছেলে সন্তান। তাঁর নাম রাখা হয় ‘কর্ম’। খুবই ইঙ্গিতপূর্ণ নাম। পুরোদস্তুর সংসারে ডুবে থাকেন তাশি ও পেমা। স্বপ্নের মতোই যেন এক সুখের জীবন পেয়ে যান তাশি।
এ সময় আসে গল্পের আরেক মোড়। আবির্ভাব ঘটে ‘সেঁজুতি’ নামের এক ভারতীয় নারীর। আঠারো পেরিয়ে ১৯-এ পা দিয়েছেন সেঁজুতি। কাজ করেন তাঁদেরই কৃষি জমিতে। দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার ফলে সেঁজুতি ও পেমার মধ্যে সখ্যও অনেক বেশি। প্রাণোচ্ছল, হাসিখুশি এই তরুণী ও তাশি একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতে শুরু করে। একদিন পেমার অবর্তমানে শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পেমা বিষয়টি আঁচ করতে পারেন এবং তাশির সঙ্গে তাঁর মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়। সেই সঙ্গে গল্পের ঘটনাচক্রে দেখানো হয় চারপাশে মানুষের মধ্যে থাকা লোভ, অহংকার, হিংসা, ক্রোধ, উচ্চাকাঙ্ক্ষার ক্লেদ। বিশেষ করে স্বামী অন্তপ্রাণ স্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা তাঁর মর্মপীড়া চরমে তোলে। সংসার যন্ত্রণার হয়ে উঠতে থাকে তাশির কাছে। তাশি এই যন্ত্রণার কথা কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারেন না। ফলে দিনে দিনে নিজের মধ্যে গুটিয়ে পড়েন তাশি।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, সন্ন্যাস ছেড়ে সংসার বেছে নিয়েছিলেন নিজের সিদ্ধান্তেই। সন্ন্যাস ছেড়ে পেমাকে আশ্রয় করে সংসার গড়েছিলেন। সেই সত্য স্বপ্নের পিঠে ছুরি মেরেছেন তাশি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে সংসারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
তাশি সিদ্ধান্ত নেন সন্ন্যাস নেবেন। গৌতমের মতোই তাশি বেরিয়ে পড়েন স্ত্রী-পুত্রকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে। গভীর রাতে। আবার নেন সেই গেরুয়া বেশ। পথে সূর্যের আলো ফুটেছে। হঠাৎ চমকে গিয়ে থমকে দাঁড়ান তাশি।
গল্পের এই পর্যায়ে এসে তাশি এমন কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হন, এমন কিছু ভাবনার মুখোমুখি হন, যেখানে তাঁর সত্তা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারেন না তাশি। অসহায়ের মতো মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ডুকরে কাঁদতে থাকেন। দুমড়ে-মুচড়ে যায় তাঁর সমস্ত কর্ম, কাম। ধুলোয় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে থাকেন। যেন ধুলোয় মিশে গেছে তাঁর সব।
চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরেক প্রতিবিম্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা, যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জানা নেই।
সিনেমার শুরুতে ইগলের পা থেকে পড়া এক পাথরের আঘাতে মারা যায় জোয়ান টগবগে এক ভেড়া। সিনেমার শেষের অংশে পেমা একটি বাক্স ফেলে চলে যান। বলা ভালো, হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যান, স্বপ্নের মতোই। দারুণ আগ্রহ আর উচ্ছ্বাস নিয়ে যে স্বপ্ন এতদিন তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন তাশি। এই বাক্স সাধারণত নিরাপদ যাত্রার আশীর্বাদ হিসেবে দেওয়ার রেওয়াজ। এ থেকে বলা যায়, এখান থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তাশির এক দীর্ঘ যাত্রা। সেই যাত্রা গ্রামের দিকে নাকি মৃত্যুর দিকে তা স্পষ্ট নয়।
পেমা বাক্সটি ফেলে দেওয়ার পরে অদৃশ্য হয়ে যান। এটিকে বৌদ্ধ বিশ্বাসের একটি প্রতীকী উপস্থাপন ধরে নেওয়া যায় যে, সমস্ত জীবন একটি স্বপ্নের মতো। পেমার সঙ্গে প্রথম মিলনকে তাশি স্বপ্নই ভেবেছিলেন। পেমার অদৃশ্য হয়ে যাওয়া তাশিকে বুঝিয়ে দেয়, এ জীবন মায়া। এই মায়ার ফাঁদজালে তড়পাতে থাকেন তাশি। তখনই তিনি পাথরের কাছে যান এবং তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর পড়েন। তখন মেঘের ফাঁকে দেখা মেলে সেই ইগলের। একটি তত্ত্ব হতে পারে যে, ইগলটি আবার পা থেকে একটি পাথর ছেড়ে দেয়। তাশি মারা যান সেই ভেড়ার মতোই। এই মৃত্যুই তাঁকে সমুদ্রের সঙ্গে মিলন ঘটিয়ে দেয়। এটিই বুদ্ধের আলোকায়ন!
সিনেমার বেশ কয়েকটি তীব্র কামোত্তেজক দৃশ্যে কেউ অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। কিন্তু বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে একটি চলচ্চিত্রের জন্য এটি সম্পূর্ণ উপযুক্তই বলা যেতে পারে। যেখানে বৌদ্ধধর্ম এমন একটি দর্শন, যা যৌনতার আনন্দকে নিন্দা করে না। এটি ভারতে শুট করা একটি চলচ্চিত্রের জন্যও বিশেষভাবে উপযুক্ত, যেখানে বৌদ্ধ ধর্ম এবং হিন্দুধর্ম (যে ধর্মের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কামসূত্র) বহু শতাব্দী ধরে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপন করে চলেছে।
সিনেমার শেষ অংশটিও বলছে: নায়কের স্ত্রী, পেমা, বুদ্ধের স্ত্রী যেন যশোধরাকেই আহ্বান করছেন। যদিও সহস্রাব্দ ধরে বিশ্ব বুদ্ধের দুর্দশা এবং দ্বিধাকেই কেবল চর্চা করেছে। যশোধরার কথা কেউ কখনো চিন্তা করে না, যিনি শেষ পর্যন্ত তাঁর স্বামীর খেয়ালের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছেন।
অভিনয় দুর্দান্ত। ক্রিস্টি চুং (পেমা) প্রত্যাশিত পারফরমেন্সই করেছেন। শেষ দৃশ্যটি শ্বাসরুদ্ধকর। দেখার জন্য সম্ভবত এই দৃশ্যটিই যথেষ্ট!

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৬ মিনিট আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
২২ মিনিট আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
২৫ মিনিট আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
২৮ মিনিট আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।
২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’
বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’
২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।
ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’
প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’
অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।
২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’
বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’
২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।
ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’
প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’
অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ
১৩ নভেম্বর ২০২১
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
২২ মিনিট আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
২৫ মিনিট আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
২৮ মিনিট আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।
ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।
ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ
১৩ নভেম্বর ২০২১
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৬ মিনিট আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
২৫ মিনিট আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
২৮ মিনিট আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।
নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’
নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’
মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।
নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’
নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’
মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ
১৩ নভেম্বর ২০২১
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৬ মিনিট আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
২২ মিনিট আগে
‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি।
২৮ মিনিট আগেবিনোদন ডেস্ক

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।
শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।
ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।
ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।
ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’
প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।
শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।
ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।
ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।
ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’
প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

চলচ্চিত্রটি বুদ্ধের ব্যক্তিগত জীবন ও দর্শনের দ্বিধাদ্বন্দ্বের আরও একটি প্রতিনিধিত্ব। এই পৃথিবীতে একটি পরিবার ও একটি শিশুর সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা জীবন এবং আধ্যাত্মিক সাধনায় আত্মোৎসর্গের তীব্র বাসনাক্রান্ত এক ব্যক্তির দ্বিধাবিভক্ত অস্তিত্ব। এটি এমন এক দ্বিধা যার কোনো সুস্পষ্ট বা চূড়ান্ত সমাধান জ
১৩ নভেম্বর ২০২১
২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর।
১৬ মিনিট আগে
নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।
২২ মিনিট আগে
গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর।
২৫ মিনিট আগে