
গল্পটা শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে। একটি শুটিং হাউসে। ২০১২ সালের ৯ এপ্রিলের কথা। সেদিনই প্রথম আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দেখা হয় মেহজাবীন চৌধুরীর। একটি কাজের ব্যাপারে আলাপ করতে শুটিং স্পটে এসেছিলেন রাজীব। প্রথম দিন মাত্র ১৫ মিনিট কথা হয় তাঁদের। ওই স্বল্প সময়েই দুজনের মধ্যে ঘটে যায় সেই ম্যাজিক, যে জাদুমন্ত্রবলে মানুষ পরস্পরের প্রেমে পড়ে, মায়ায় জড়ায়, থেকে যায় সারা জীবন।
প্রথম দিনের সেই আলাপ কতটা উথালপাথাল করে দিয়েছিল মেহজাবীনের মন? অভিনেত্রী বলেন, ‘সেদিন বাঁকা দাঁতের সুন্দর হাসির একটি ছেলে আসে আমার সঙ্গে দেখা করতে। আমি শুটিং হাউসের ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে নিচের রাস্তা থেকে আমাকে দেখে হাত নাড়ে। মাত্র ১৫ মিনিট কথা বলে, হাত মিলিয়ে, সে চলে যায়। আমি বুঝতে পারি, আমার হৃদয়ের একটা অংশ যেন তার সঙ্গে চলে গেল। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, এটাই সেই মানুষ, যার জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম।’
এরপর ধীরে ধীরে রাজীব-মেহজাবীনের পরিচয় গাঢ় হয়, ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দুজনের মন দুলে ওঠে ভালোবাসার দক্ষিণা হাওয়ায়। শুরুতে এই সম্পর্ক নিজেদের মধ্যে গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু গোপন কথাটি কত দিন আর রাখা যায় গোপনে! বছর যত গড়ায়, এ-কান থেকে ও-কানে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের প্রেম নিয়ে চর্চা হতে থাকে মিডিয়ার ব্যক্তিগত আড্ডার পরিসরে। এমনকি, সংবাদমাধ্যমেও চলে আসে তাঁদের প্রেমের খবর। কিন্তু বরাবরই সেটা অস্বীকার করে গেছেন রাজীব, মেহজাবীন—দুজনই। মেহজাবীন তো প্রেমের খবরে বিরক্ত হয়ে বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ইয়োলো জার্নালিজম’ বলে সাংবাদিকদের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে যখন তাঁদের বিয়ের দিন-তারিখ ও অনুষ্ঠানের ভেন্যুর নাম চলে আসে মিডিয়ায়, তখনো মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন মেহজাবীন। এমনকি একটি ওয়েব ফিল্মের প্রিমিয়ারে গিয়েও বিয়েসংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন না বলে চুপিচুপি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত গতকাল নিজেরাই একসঙ্গে তোলা বিয়ের সাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন, তারায় তারায় রটিয়ে দিলেন বিয়ের খবর।

গতকাল ঢাকার একটি রিসোর্টে রাজীব-মেহজাবীনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও মূল পর্বটা তাঁরা সেরেছেন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে। মেহজাবীন বলেন, ‘১৩ বছর ধরে একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি আমরা, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত একসঙ্গে উদ্যাপন করেছি। অনেকে বলে, বন্ধুত্ব সাত বছর টিকে গেলে সেটা আজীবন স্থায়ী হয়। আমরা সেটার প্রায় দ্বিগুণ সময় পার করেছি। প্রথম পরিচয় থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৯৪ দিন। ২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আমরা এই বন্ধন আজীবনের জন্য স্থায়ী করে নিলাম। হাতে হাত রেখে বাকি জীবনটা পার করে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করলাম।’

বিয়েতে মেহজাবীন পরেছিলেন অফ হোয়াইট লেহেঙ্গা, পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে একই রঙের হালকা গয়না। আর রাজীবের পরনে ছিল বাদামি আচকান। তাঁদের শুভকামনা জানাতে হাজির ছিলেন দুই পরিবারের সদস্য ও মিডিয়ার সহকর্মীরা। মালাবদলের পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রাজীব-মেহজাবীন। ম্যাচশেষে বিজয়ী খেলোয়াড় যেভাবে তুলে ধরে ট্রফি, সেই ভাবে মেহজাবীনের এক হাত শূন্যে উঁচিয়ে ধরেন রাজীব। এরপর মেহজাবীন তাঁর কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে থাকেন। চোখে জল আসে রাজীবেরও। পরস্পর পরস্পরের অশ্রু মুছিয়ে দেন। তাঁদের সামনে থাকা অতিথিদের কণ্ঠে তখন উল্লাসধ্বনি। কারণ সবাই জানেন, তাঁদের এ অশ্রু আনন্দের। এ আনন্দ প্রাপ্তির। ভালোবাসায় ভুবন জয়ের।

গল্পটা শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে। একটি শুটিং হাউসে। ২০১২ সালের ৯ এপ্রিলের কথা। সেদিনই প্রথম আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দেখা হয় মেহজাবীন চৌধুরীর। একটি কাজের ব্যাপারে আলাপ করতে শুটিং স্পটে এসেছিলেন রাজীব। প্রথম দিন মাত্র ১৫ মিনিট কথা হয় তাঁদের। ওই স্বল্প সময়েই দুজনের মধ্যে ঘটে যায় সেই ম্যাজিক, যে জাদুমন্ত্রবলে মানুষ পরস্পরের প্রেমে পড়ে, মায়ায় জড়ায়, থেকে যায় সারা জীবন।
প্রথম দিনের সেই আলাপ কতটা উথালপাথাল করে দিয়েছিল মেহজাবীনের মন? অভিনেত্রী বলেন, ‘সেদিন বাঁকা দাঁতের সুন্দর হাসির একটি ছেলে আসে আমার সঙ্গে দেখা করতে। আমি শুটিং হাউসের ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে নিচের রাস্তা থেকে আমাকে দেখে হাত নাড়ে। মাত্র ১৫ মিনিট কথা বলে, হাত মিলিয়ে, সে চলে যায়। আমি বুঝতে পারি, আমার হৃদয়ের একটা অংশ যেন তার সঙ্গে চলে গেল। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, এটাই সেই মানুষ, যার জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম।’
এরপর ধীরে ধীরে রাজীব-মেহজাবীনের পরিচয় গাঢ় হয়, ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দুজনের মন দুলে ওঠে ভালোবাসার দক্ষিণা হাওয়ায়। শুরুতে এই সম্পর্ক নিজেদের মধ্যে গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু গোপন কথাটি কত দিন আর রাখা যায় গোপনে! বছর যত গড়ায়, এ-কান থেকে ও-কানে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের প্রেম নিয়ে চর্চা হতে থাকে মিডিয়ার ব্যক্তিগত আড্ডার পরিসরে। এমনকি, সংবাদমাধ্যমেও চলে আসে তাঁদের প্রেমের খবর। কিন্তু বরাবরই সেটা অস্বীকার করে গেছেন রাজীব, মেহজাবীন—দুজনই। মেহজাবীন তো প্রেমের খবরে বিরক্ত হয়ে বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ইয়োলো জার্নালিজম’ বলে সাংবাদিকদের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে যখন তাঁদের বিয়ের দিন-তারিখ ও অনুষ্ঠানের ভেন্যুর নাম চলে আসে মিডিয়ায়, তখনো মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন মেহজাবীন। এমনকি একটি ওয়েব ফিল্মের প্রিমিয়ারে গিয়েও বিয়েসংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন না বলে চুপিচুপি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত গতকাল নিজেরাই একসঙ্গে তোলা বিয়ের সাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন, তারায় তারায় রটিয়ে দিলেন বিয়ের খবর।

গতকাল ঢাকার একটি রিসোর্টে রাজীব-মেহজাবীনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও মূল পর্বটা তাঁরা সেরেছেন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে। মেহজাবীন বলেন, ‘১৩ বছর ধরে একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি আমরা, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত একসঙ্গে উদ্যাপন করেছি। অনেকে বলে, বন্ধুত্ব সাত বছর টিকে গেলে সেটা আজীবন স্থায়ী হয়। আমরা সেটার প্রায় দ্বিগুণ সময় পার করেছি। প্রথম পরিচয় থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৯৪ দিন। ২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আমরা এই বন্ধন আজীবনের জন্য স্থায়ী করে নিলাম। হাতে হাত রেখে বাকি জীবনটা পার করে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করলাম।’

বিয়েতে মেহজাবীন পরেছিলেন অফ হোয়াইট লেহেঙ্গা, পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে একই রঙের হালকা গয়না। আর রাজীবের পরনে ছিল বাদামি আচকান। তাঁদের শুভকামনা জানাতে হাজির ছিলেন দুই পরিবারের সদস্য ও মিডিয়ার সহকর্মীরা। মালাবদলের পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রাজীব-মেহজাবীন। ম্যাচশেষে বিজয়ী খেলোয়াড় যেভাবে তুলে ধরে ট্রফি, সেই ভাবে মেহজাবীনের এক হাত শূন্যে উঁচিয়ে ধরেন রাজীব। এরপর মেহজাবীন তাঁর কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে থাকেন। চোখে জল আসে রাজীবেরও। পরস্পর পরস্পরের অশ্রু মুছিয়ে দেন। তাঁদের সামনে থাকা অতিথিদের কণ্ঠে তখন উল্লাসধ্বনি। কারণ সবাই জানেন, তাঁদের এ অশ্রু আনন্দের। এ আনন্দ প্রাপ্তির। ভালোবাসায় ভুবন জয়ের।

গল্পটা শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে। একটি শুটিং হাউসে। ২০১২ সালের ৯ এপ্রিলের কথা। সেদিনই প্রথম আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দেখা হয় মেহজাবীন চৌধুরীর। একটি কাজের ব্যাপারে আলাপ করতে শুটিং স্পটে এসেছিলেন রাজীব। প্রথম দিন মাত্র ১৫ মিনিট কথা হয় তাঁদের। ওই স্বল্প সময়েই দুজনের মধ্যে ঘটে যায় সেই ম্যাজিক, যে জাদুমন্ত্রবলে মানুষ পরস্পরের প্রেমে পড়ে, মায়ায় জড়ায়, থেকে যায় সারা জীবন।
প্রথম দিনের সেই আলাপ কতটা উথালপাথাল করে দিয়েছিল মেহজাবীনের মন? অভিনেত্রী বলেন, ‘সেদিন বাঁকা দাঁতের সুন্দর হাসির একটি ছেলে আসে আমার সঙ্গে দেখা করতে। আমি শুটিং হাউসের ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে নিচের রাস্তা থেকে আমাকে দেখে হাত নাড়ে। মাত্র ১৫ মিনিট কথা বলে, হাত মিলিয়ে, সে চলে যায়। আমি বুঝতে পারি, আমার হৃদয়ের একটা অংশ যেন তার সঙ্গে চলে গেল। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, এটাই সেই মানুষ, যার জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম।’
এরপর ধীরে ধীরে রাজীব-মেহজাবীনের পরিচয় গাঢ় হয়, ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দুজনের মন দুলে ওঠে ভালোবাসার দক্ষিণা হাওয়ায়। শুরুতে এই সম্পর্ক নিজেদের মধ্যে গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু গোপন কথাটি কত দিন আর রাখা যায় গোপনে! বছর যত গড়ায়, এ-কান থেকে ও-কানে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের প্রেম নিয়ে চর্চা হতে থাকে মিডিয়ার ব্যক্তিগত আড্ডার পরিসরে। এমনকি, সংবাদমাধ্যমেও চলে আসে তাঁদের প্রেমের খবর। কিন্তু বরাবরই সেটা অস্বীকার করে গেছেন রাজীব, মেহজাবীন—দুজনই। মেহজাবীন তো প্রেমের খবরে বিরক্ত হয়ে বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ইয়োলো জার্নালিজম’ বলে সাংবাদিকদের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে যখন তাঁদের বিয়ের দিন-তারিখ ও অনুষ্ঠানের ভেন্যুর নাম চলে আসে মিডিয়ায়, তখনো মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন মেহজাবীন। এমনকি একটি ওয়েব ফিল্মের প্রিমিয়ারে গিয়েও বিয়েসংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন না বলে চুপিচুপি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত গতকাল নিজেরাই একসঙ্গে তোলা বিয়ের সাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন, তারায় তারায় রটিয়ে দিলেন বিয়ের খবর।

গতকাল ঢাকার একটি রিসোর্টে রাজীব-মেহজাবীনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও মূল পর্বটা তাঁরা সেরেছেন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে। মেহজাবীন বলেন, ‘১৩ বছর ধরে একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি আমরা, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত একসঙ্গে উদ্যাপন করেছি। অনেকে বলে, বন্ধুত্ব সাত বছর টিকে গেলে সেটা আজীবন স্থায়ী হয়। আমরা সেটার প্রায় দ্বিগুণ সময় পার করেছি। প্রথম পরিচয় থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৯৪ দিন। ২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আমরা এই বন্ধন আজীবনের জন্য স্থায়ী করে নিলাম। হাতে হাত রেখে বাকি জীবনটা পার করে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করলাম।’

বিয়েতে মেহজাবীন পরেছিলেন অফ হোয়াইট লেহেঙ্গা, পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে একই রঙের হালকা গয়না। আর রাজীবের পরনে ছিল বাদামি আচকান। তাঁদের শুভকামনা জানাতে হাজির ছিলেন দুই পরিবারের সদস্য ও মিডিয়ার সহকর্মীরা। মালাবদলের পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রাজীব-মেহজাবীন। ম্যাচশেষে বিজয়ী খেলোয়াড় যেভাবে তুলে ধরে ট্রফি, সেই ভাবে মেহজাবীনের এক হাত শূন্যে উঁচিয়ে ধরেন রাজীব। এরপর মেহজাবীন তাঁর কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে থাকেন। চোখে জল আসে রাজীবেরও। পরস্পর পরস্পরের অশ্রু মুছিয়ে দেন। তাঁদের সামনে থাকা অতিথিদের কণ্ঠে তখন উল্লাসধ্বনি। কারণ সবাই জানেন, তাঁদের এ অশ্রু আনন্দের। এ আনন্দ প্রাপ্তির। ভালোবাসায় ভুবন জয়ের।

গল্পটা শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে। একটি শুটিং হাউসে। ২০১২ সালের ৯ এপ্রিলের কথা। সেদিনই প্রথম আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দেখা হয় মেহজাবীন চৌধুরীর। একটি কাজের ব্যাপারে আলাপ করতে শুটিং স্পটে এসেছিলেন রাজীব। প্রথম দিন মাত্র ১৫ মিনিট কথা হয় তাঁদের। ওই স্বল্প সময়েই দুজনের মধ্যে ঘটে যায় সেই ম্যাজিক, যে জাদুমন্ত্রবলে মানুষ পরস্পরের প্রেমে পড়ে, মায়ায় জড়ায়, থেকে যায় সারা জীবন।
প্রথম দিনের সেই আলাপ কতটা উথালপাথাল করে দিয়েছিল মেহজাবীনের মন? অভিনেত্রী বলেন, ‘সেদিন বাঁকা দাঁতের সুন্দর হাসির একটি ছেলে আসে আমার সঙ্গে দেখা করতে। আমি শুটিং হাউসের ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে নিচের রাস্তা থেকে আমাকে দেখে হাত নাড়ে। মাত্র ১৫ মিনিট কথা বলে, হাত মিলিয়ে, সে চলে যায়। আমি বুঝতে পারি, আমার হৃদয়ের একটা অংশ যেন তার সঙ্গে চলে গেল। তখনই বুঝতে পেরেছিলাম, এটাই সেই মানুষ, যার জন্য আমি অপেক্ষা করছিলাম।’
এরপর ধীরে ধীরে রাজীব-মেহজাবীনের পরিচয় গাঢ় হয়, ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। দুজনের মন দুলে ওঠে ভালোবাসার দক্ষিণা হাওয়ায়। শুরুতে এই সম্পর্ক নিজেদের মধ্যে গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু গোপন কথাটি কত দিন আর রাখা যায় গোপনে! বছর যত গড়ায়, এ-কান থেকে ও-কানে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের প্রেম নিয়ে চর্চা হতে থাকে মিডিয়ার ব্যক্তিগত আড্ডার পরিসরে। এমনকি, সংবাদমাধ্যমেও চলে আসে তাঁদের প্রেমের খবর। কিন্তু বরাবরই সেটা অস্বীকার করে গেছেন রাজীব, মেহজাবীন—দুজনই। মেহজাবীন তো প্রেমের খবরে বিরক্ত হয়ে বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ইয়োলো জার্নালিজম’ বলে সাংবাদিকদের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।
সর্বশেষ গত সপ্তাহে যখন তাঁদের বিয়ের দিন-তারিখ ও অনুষ্ঠানের ভেন্যুর নাম চলে আসে মিডিয়ায়, তখনো মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন মেহজাবীন। এমনকি একটি ওয়েব ফিল্মের প্রিমিয়ারে গিয়েও বিয়েসংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন না বলে চুপিচুপি অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত গতকাল নিজেরাই একসঙ্গে তোলা বিয়ের সাজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন, তারায় তারায় রটিয়ে দিলেন বিয়ের খবর।

গতকাল ঢাকার একটি রিসোর্টে রাজীব-মেহজাবীনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও মূল পর্বটা তাঁরা সেরেছেন ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে। মেহজাবীন বলেন, ‘১৩ বছর ধরে একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি আমরা, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত একসঙ্গে উদ্যাপন করেছি। অনেকে বলে, বন্ধুত্ব সাত বছর টিকে গেলে সেটা আজীবন স্থায়ী হয়। আমরা সেটার প্রায় দ্বিগুণ সময় পার করেছি। প্রথম পরিচয় থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৯৪ দিন। ২০২৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আমরা এই বন্ধন আজীবনের জন্য স্থায়ী করে নিলাম। হাতে হাত রেখে বাকি জীবনটা পার করে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করলাম।’

বিয়েতে মেহজাবীন পরেছিলেন অফ হোয়াইট লেহেঙ্গা, পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে একই রঙের হালকা গয়না। আর রাজীবের পরনে ছিল বাদামি আচকান। তাঁদের শুভকামনা জানাতে হাজির ছিলেন দুই পরিবারের সদস্য ও মিডিয়ার সহকর্মীরা। মালাবদলের পর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন রাজীব-মেহজাবীন। ম্যাচশেষে বিজয়ী খেলোয়াড় যেভাবে তুলে ধরে ট্রফি, সেই ভাবে মেহজাবীনের এক হাত শূন্যে উঁচিয়ে ধরেন রাজীব। এরপর মেহজাবীন তাঁর কাঁধে মাথা রেখে কাঁদতে থাকেন। চোখে জল আসে রাজীবেরও। পরস্পর পরস্পরের অশ্রু মুছিয়ে দেন। তাঁদের সামনে থাকা অতিথিদের কণ্ঠে তখন উল্লাসধ্বনি। কারণ সবাই জানেন, তাঁদের এ অশ্রু আনন্দের। এ আনন্দ প্রাপ্তির। ভালোবাসায় ভুবন জয়ের।

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
১৫ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
১৬ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
১৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা। বিটিভির ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ অনুষ্ঠানের জন্য গানগুলো তৈরি করা হয়েছে। ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর রাত ১০টায় দুই পর্বে প্রচার হবে এই অনুষ্ঠান।

৩০ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে পারফর্ম করবে নির্ঝর, দলছুট, তরুণ, রেনেসাঁ ও শিরোনামহীন। ৩১ ডিসেম্বর পারফর্ম করবে পার্থিব, পেন্টাগন, ফিডব্যাক, নোভা ও সোলস। গোলাম মোর্শেদের প্রযোজনা, আহমেদ তেপান্তরের গ্রন্থনা এবং শারমিন নিগারের শিল্পনির্দেশনায় বিটিভির নিজস্ব সেটে গানগুলোর চিত্রায়ণ হয়েছে। গান শোনানোর পাশাপাশি প্রতিটি দলের সদস্যরা গান নিয়ে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ফেরদৌস বাপ্পী।

বিটিভির এই আয়োজন নিয়ে শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড শিল্পের ইতিহাসে প্রথম একক কোনো অনুষ্ঠানের জন্য ১০টি ব্যান্ড ১০টি নতুন গান গেয়েছে। এই অনুষ্ঠানের নতুনত্ব হচ্ছে, ১০টি গানের কথা লিখেছেন একজন গীতিকার, সুর করেছেন একজন সুরকার। কর্তৃপক্ষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে তারুণ্যের জন্য কিছু করতে, আমি চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি ফোয়াদ নাসের বাবুকে ধন্যবাদ, তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন প্রতিটি ব্যান্ডের ঢং বজায় রেখে সুর করতে। এ অধ্যায় খুব পরিশ্রমের। তবে আমরা টিম হয়ে কাজটি উপভোগ করেছি।’
সুরকার ফোয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘এত কম সময়ে একসঙ্গে এত ব্যান্ডের জন্য মৌলিক সুর আগে কেউ করেনি। কেমন হয়েছে, তা শ্রোতারা বলবেন। পুরো আয়োজনের জন্য বিটিভি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।’
সোলসের দলনেতা ও ভোকাল পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘যখন জানলাম বিটিভির উদ্যোগে শহীদ মাহমুদ জঙ্গীর লেখা আর ফোয়াদ নাসের বাবুর সুরে গাইতে হবে, তখন আর না করার সাহস দেখাইনি। কারণ সোলসের আজকের জায়গায় দাঁড়ানোর ব্যাপারে বিটিভি অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আশা করি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে বিটিভি।’

গল্পটা শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে। একটি শুটিং হাউসে। ২০১২ সালের ৯ এপ্রিলের কথা। সেদিনই প্রথম আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দেখা হয় মেহজাবীন চৌধুরীর। একটি কাজের ব্যাপারে আলাপ করতে শুটিং স্পটে এসেছিলেন রাজীব।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
১৬ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
১৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার রেকর্ড গড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডিজনির অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, আয় করেছে ১ বিলিয়নের বেশি। তৃতীয় স্থানটিও একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। সাড়া জাগানো জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা—দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসেল’ নিয়েও কম উত্তেজনা ছিল না।
অ্যানিমেশনের এই রমরমা পরিস্থিতিতে মান বাঁচিয়েছে ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ (৯৫৮ মিলিয়ন) এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ (৮৬৯ মিলিয়ন)। দুটি সিনেমাই ১ বিলিয়নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। ব্র্যাড পিট ‘এফ ওয়ান’ দিয়ে এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েট ‘সুপারম্যান’ দিয়ে বছরের মাঝামাঝি কিছুটা সাড়া ফেলতে পেরেছিলেন। এ ছাড়া বছরজুড়ে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি হলিউড।
হলিউডে তারকাদের স্টারডম যে ধীরে ধীরে ম্লান হচ্ছে, এ বছর সে চিত্রটা আরও বেশি করে ধরা পড়েছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে রীতিমতো ফ্লপ। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার ব্যবসা করেছে। একইভাবে ব্যর্থ জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের আলোচিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পিসবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজারে ২০০ মিলিয়নও তুলতে পারেনি, যা এ ফ্র্যাঞ্চাইজির একটি হতাশাজনক পতনই বলা চলে। ব্র্যাড পিটের এফ ওয়ান সিনেমার বক্স অফিস ফলাফল এ তারকার স্টারডমের তুলনায় অনেকটাই কম।
তবে যেকোনো সময়ের তুলনায় এ বছর হলিউডে ভালোই সাফল্য পেয়েছে ভৌতিক সিনেমা। ৯০ মিলিয়ন বাজেটের ‘সিনারস’ সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবসা করেছে বিশ্বব্যাপী। আর ৩৮ মিলিয়নে তৈরি ‘ওয়েপনস’ পার করেছে আড়াই শ মিলিয়ন ডলার। হরর সিনেমার এই সাফল্যের ফল হিসেবে আগামী বছর হলিউডে ভূতের গল্পের নির্মাণ আরও বাড়বে, এ কথা বলাই যায়।
এ বছরের আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা—ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। বছরের পর বছর ধরে মার্ভেলের সুপারহিরোর গল্প গোগ্রাসে গিলেছে দর্শক। ডিসি বরাবরই ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। কিন্তু এবার গণেশ উল্টে গেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো আলোচিত সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পারেনি। সুপারম্যানই এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমা। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের যাত্রা শুরুর পর এবারই প্রথম ডিসির কাছে হারল প্রতিষ্ঠানটি।

গল্পটা শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে। একটি শুটিং হাউসে। ২০১২ সালের ৯ এপ্রিলের কথা। সেদিনই প্রথম আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দেখা হয় মেহজাবীন চৌধুরীর। একটি কাজের ব্যাপারে আলাপ করতে শুটিং স্পটে এসেছিলেন রাজীব।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
১৫ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
১৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



গল্পটা শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে। একটি শুটিং হাউসে। ২০১২ সালের ৯ এপ্রিলের কথা। সেদিনই প্রথম আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দেখা হয় মেহজাবীন চৌধুরীর। একটি কাজের ব্যাপারে আলাপ করতে শুটিং স্পটে এসেছিলেন রাজীব।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
১৫ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
১৬ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর...
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

২০২৫ সালটি আরব সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী বছর হিসেবে থেকে যাবে। বিভিন্ন প্রজন্মের একঝাঁক মেধাবী পরিচালক উঠে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের সিনেমার মাধ্যমে তুলে আনছেন আরবের ইতিহাস-ঐতিহ্য। ভেঙে দিচ্ছেন আরবের সমাজ সম্পর্কে বহির্বিশ্বের নানা ভুল ধারণা। আরবের ঐতিহাসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতানির্ভর গল্পগুলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমাদৃতও হচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটেছে ৯৮তম অস্কারের শর্টলিস্টে। ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম বিভাগে প্রাথমিকভাবে মনোনীত ১৫টি সিনেমার মধ্যে জায়গা পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ৪টি সিনেমা—‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’, ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’, ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’ ও ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’। অস্কারের ইতিহাসে যা অভূতপূর্ব ঘটনা। এ ছাড়া ফ্রান্স থেকে অস্কারে অংশ নেওয়া ইরানি নির্মাতা জাফর পানাহির ‘ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট’ও রয়েছে এ তালিকায়। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার পেয়েছে সিনেমাটি। সিডনি, মিডলবার্গ, এশিয়া প্যাসিফিক, নিউইয়র্ক ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাওয়ার্ডসহ নানা উৎসবে পুরস্কৃত-প্রশংসিত হয়েছে পানাহির সিনেমাটি।
এর পরই যে আরব সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছে, সেটি ‘দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব’। ভেনিস উৎসবের ইতিহাসে দীর্ঘতম ২৩ মিনিট স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছে কুসারু বিন হানিয়া পরিচালিত সিনেমাটি। পেয়েছে সিলভার লায়ন পুরস্কার। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত পাঁচ বছর বয়সী কন্যাশিশু রজবের মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে এটি। ভেনিস থেকে সান সেবাস্টিয়ান কিংবা শিকাগো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল—সব উৎসবে দর্শকদের চোখ ভিজিয়েছে দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব।
কান উৎসবে এ বছর ক্যামের দ্যর ও ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পাওয়া ইরাকের সিনেমা ‘দ্য প্রেসিডেন্টস কেক’ নিয়েও আলোচনা ছিল বছরজুড়ে। ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সালে সংঘটিত আরব বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘প্যালেস্টাইন ৩৬’ সিনেমাটিও ব্যাপক সমাদর পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। এ ছাড়া ‘ইউনান’, ‘অল দ্যাটস লেফট অব ইউ’, ‘আ স্যাড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড’, ‘হিজরা’, ‘হ্যাপি বার্থডে’, ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন গাজা’, ‘আইশা ক্যান্ট ফ্লাই অ্যাওয়ে’, ‘টু আ ল্যান্ড আননোন’ সিনেমাগুলো বিভিন্ন নামকরা চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।

গল্পটা শুরু হয়েছিল ১৩ বছর আগে। একটি শুটিং হাউসে। ২০১২ সালের ৯ এপ্রিলের কথা। সেদিনই প্রথম আদনান আল রাজীবের সঙ্গে দেখা হয় মেহজাবীন চৌধুরীর। একটি কাজের ব্যাপারে আলাপ করতে শুটিং স্পটে এসেছিলেন রাজীব।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয় অনেক গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী ও ফোয়াদ নাসের বাবুর নাম। এবার এই দুজন মিলে ১০ ব্যান্ডের জন্য তৈরি করলেন নতুন ১০টি গান। গানগুলো গেয়েছে ব্যান্ড ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, দলছুট, শিরোনামহীন, নির্ঝর, তরুণ, পার্থিব, পেন্টাগন ও নোভা।
১৫ ঘণ্টা আগে
অ্যানিমেশনের জয়জয়কার। এ বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার তালিকায় নজর রাখলে এটিই প্রমাণিত হয়। রক্ত-মাংসের অভিনেতাদের হারিয়ে এ বছর দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে অ্যানিমেশনের চরিত্ররা। ৮০ মিলিয়নে নির্মিত চীনের অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ ২ বিলিয়নের বেশি আয় করে সেরা ব্যবসাসফল সিনেমার...
১৬ ঘণ্টা আগে
বছরের শেষভাগে ডিসেম্বর মাসে নেটফ্লিক্স ঘোষণা দেয় ৭২ বিলিয়ন ডলার দিয়ে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির টিভি, স্টুডিও ও স্ট্রিমিং ব্যবসা কিনে নিচ্ছে তারা। এমন ঘোষণার পর প্যারামাউন্ট প্রস্তাব দেয় তারা ১০৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামে ওয়ার্নার ব্রস কিনতে প্রস্তুত।
১৬ ঘণ্টা আগে