আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারকৃত ও আনকাট সংস্করণ। পঞ্চাশ বছর আগে মুক্তি পেয়ে ভারতীয় সিনেমা জগতে যে ঝড় তুলেছিল ‘শোলে’, এই নতুন সংস্করণ সেই উন্মাদনা আবার ফিরিয়ে আনছে।
এই নতুন সংস্করণে দর্শকেরা দেখতে পাবেন ছবির আসল সমাপ্তি, যা সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিছু বাদ পড়া দৃশ্যও থাকবে নতুন সংস্করণে। উৎসবের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ পিয়াজ্জা ম্যাগিওরে-তে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম উন্মুক্ত মঞ্চ।
ভারতীয় সিনেমায় ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ছায়া
চিত্রনাট্য লেখক জুটি সেলিম-জাভেদের হাতে রচিত, ‘শোলে’তে অভিনয় করেছেন সেই সময়ের সব বড় তারকারা—অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জয়া ভাদুড়ি, সঞ্জীব কুমার এবং গব্বর সিং চরিত্রে আমজাদ খান (প্রয়াত)। ছবিটি ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ক্ল্যাসিক থেকে অনুপ্রাণিত হলেও, এটি ভারতীয় আত্মীকরণে অনন্য। ২০৪ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি মূলত রামগড় নামের একটি কাল্পনিক গ্রামে দুই ছোটখাটো মাস্তান জয় ও বীরুর (অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র) গল্প। তাঁরা একজন সাবেক জেলার, ঠাকুর বলদেব সিং-এর ভাড়াটে নিযুক্ত হন কুখ্যাত ডাকাত গব্বর সিংকে দমন করার জন্য। গব্বর সিং ভারতীয় সিনেমার অন্যতম আইকনিক খলনায়ক।
মুক্তির পর, মুম্বাইয়ের ১ হাজার ৫০০ আসনের মিনার্ভা থিয়েটারে ছবিটি টানা পাঁচ বছর প্রদর্শিত হয়। বিবিসি ইন্ডিয়ার অনলাইন জরিপে এটিকে ‘সহস্রাব্দের সেরা চলচ্চিত্র’ এবং ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জরিপে ‘সর্বকালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র’ হিসেবে নির্বাচিত হয়। আর. ডি. বর্মনের সংগীত এবং ছবির সংলাপের ৫ লাখ রেকর্ড ও ক্যাসেট বিক্রি হয়েছিল।

‘শোলে’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা। এর সংলাপ এখনো বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে উদ্ধৃত হয়, রাজনৈতিক বক্তৃতায় ব্যবহৃত হয়, বিজ্ঞাপনে প্যারোডি করা হয়। ছবিতে একটি ছোটখাটো মাস্তানের চরিত্রে অভিনয় করা ধর্মেন্দ্র সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শোলে হলো বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য।’ অমিতাভ বচ্চন ছবিটি শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাকে ‘অবিস্মরণীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদিও তখন আমার কোনো ধারণা ছিল না যে এটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হয়ে উঠবে।’
পুরো সিনেমাটি যেভাবে পুনরুদ্ধার করা হলো
ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর জানিয়েছেন, এই নতুন সংস্করণটিই ‘শোলে’র সবচেয়ে অথেনটিক রূপ। কারণ এতে সিনেমার প্রকৃত সমাপ্তি এবং আগে কখনো না দেখা বাদ পড়া দৃশ্যগুলো রয়েছে।

মূল গল্পে, ঠাকুর গব্বরকে তাঁর কাঁটাযুক্ত জুতো দিয়ে পিষে মেরে ফেলে। কিন্তু সেন্সর বোর্ড এতে আপত্তি জানায়। একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন, এই ধারণায় তাঁরা আপত্তি করেন। তাঁদের কাছে ছবির স্টাইলিশ সহিংসতাও অতিরিক্ত মনে হয়েছিল। জরুরি অবস্থার সময় ছবিটি মুক্তি পাওয়ায় সেন্সরের কড়াকড়ি ছিল অনেক বেশি।
সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, পরিচালক সিপ্পিকে সমাপ্তি দৃশ্যটি পুনরায় শুট করতে বাধ্য করা হয়। অভিনেতাদের নিয়ে দ্রুত দক্ষিণ ভারতের রামানাগারাম-এর পাহাড়ে ফিরে যেতে হয়। এটিই ছবিতে রামগড় গ্রাম। নতুন এবং অপেক্ষাকৃত কম সহিংস সমাপ্তিতে গব্বর সিংকে হত্যা না করে বন্দী করা হয়। এরপরই ছবিটি সেন্সরের ছাড়পত্র পায়।
এই মহাকাব্যিক চলচ্চিত্রটির তিন বছরের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া মোটেও সহজ ছিল না। ছবির মূল ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্টগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ক্যামেরার নেগেটিভগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল।
২০২২ সালে, রমেশ সিপ্পির ছেলে শেহজাদ সিপ্পি ছবিটি পুনরুদ্ধার করার প্রস্তাব নিয়ে মুম্বাই-ভিত্তিক ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কাছে যান। তিনি জানান, ছবির কিছু উপাদান মুম্বাইয়ের একটি গুদামে সংরক্ষিত আছে। এটি প্রথমে একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ মনে হলেও, পরে প্রায় অলৌকিকভাবে মিলে যায়: লেবেলবিহীন ক্যানগুলোর ভেতর পাওয়া যায় আসল ৩৫ মিলিমিটারের ক্যামেরা ও সাউন্ড নেগেটিভ!

সিপ্পি ফিল্মস ফাউন্ডেশনকে জানায়, যুক্তরাজ্যের একটি গুদামেও অতিরিক্ত রিল সংরক্ষিত আছে। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সহায়তায়, দলটি সেই আর্কাইভের উপাদানগুলো সংগ্রহ করে। এরপর সেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বোলোগনার এল’ইমাজিন রিট্রোভাটা-তে পাঠানো হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র পুনরুদ্ধার কেন্দ্র।
আশ্চর্যের বিষয়, মুক্তির প্রথম দিকে ‘শোলে’র যাত্রা মসৃণ ছিল না। প্রাথমিক রিভিউগুলো ছিল নেতিবাচক, বক্স অফিস ছিল নড়বড়ে, ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্ট কাস্টমসে আটকে গিয়েছিল।
ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন ছবিটি সম্পর্কে লিখেছিল ‘একটি নিভে যাওয়া অঙ্গার’। ফিল্মফেয়ার-এর বিক্রম সিং লিখেছিলেন, ছবির মূল সমস্যা ছিল ‘ব্যর্থ প্রচেষ্টা, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে একটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা জুড়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে।’ প্রাথমিক প্রদর্শনীতে দর্শকেরা নীরব ছিলেন—কোনো হাসি, কান্না বা করতালি ছিল না। চলচ্চিত্র লেখক অনুপমা চোপড়া তাঁর ‘শোলে: দ্য মেকিং অব অ্যা ক্ল্যাসিক’ বইয়ে লিখেছেন, ‘শুধু নীরবতা।’ সপ্তাহান্তে প্রেক্ষাগৃহগুলো পূর্ণ হলেও দর্শকদের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত ছিল। সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা ছবিটি গ্রহণ করতে শুরু করেন এবং মুখে মুখে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। অনুপমা চোপড়া লিখেছেন, ‘ভিজ্যুয়ালগুলো ছিল মহাকাব্যিক এবং শব্দ ছিল জাদুকরী...তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা সংলাপগুলো আওড়াচ্ছিল। এর মানে হলো, কিছু দর্শক অন্তত দ্বিতীয়বারের মতো ছবিটি দেখতে আসছিল।’
‘শোলে’ মুক্তির এক মাস পর, পলিডর একটি ৪৮ মিনিটের সংলাপ রেকর্ড প্রকাশ করে—এবং পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ছবির চরিত্রগুলো আইকনিক হয়ে ওঠে। গব্বর সিং—এক ‘সত্যিই ভীতিকর, কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয়’ খলনায়ক—একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা হিসেবে আবির্ভূত হন। বিদেশি সমালোচকেরা এটিকে ভারতের প্রথম ‘কারি ওয়েস্টার্ন’ বলে অভিহিত করেন।
মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে ‘শোলে’ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল—তিন বছর নিয়মিত শোতে এবং দুই বছর ম্যাটিনি শোতে। এমনকি ২৪০ তম সপ্তাহেও শো ছিল হাউসফুল। ২০১৫ সালের এপ্রিলে, ৪০ বছর পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও, ‘শোলে’ পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং ২০০২ সালের ‘দেবদাস’-এর মতো এক দশকেরও বেশি পুরোনো বেশির ভাগ ভারতীয় ছবিকে ছাপিয়ে যায়।
পঞ্চাশ বছর পরেও কেন ‘শোলে’ দর্শকদের মন জয় করে চলেছে? অমিতাভ বচ্চন এক সাক্ষাৎকারে এর একটি সহজ, কিন্তু গভীর উত্তর দিয়েছেন: ‘ভালো এবং মন্দের জয়... এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিন ঘণ্টার মধ্যে পয়েটিক জাস্টিস! যা আপনি এবং আমি সারা জীবনেও পাব না।’

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারকৃত ও আনকাট সংস্করণ। পঞ্চাশ বছর আগে মুক্তি পেয়ে ভারতীয় সিনেমা জগতে যে ঝড় তুলেছিল ‘শোলে’, এই নতুন সংস্করণ সেই উন্মাদনা আবার ফিরিয়ে আনছে।
এই নতুন সংস্করণে দর্শকেরা দেখতে পাবেন ছবির আসল সমাপ্তি, যা সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিছু বাদ পড়া দৃশ্যও থাকবে নতুন সংস্করণে। উৎসবের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ পিয়াজ্জা ম্যাগিওরে-তে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম উন্মুক্ত মঞ্চ।
ভারতীয় সিনেমায় ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ছায়া
চিত্রনাট্য লেখক জুটি সেলিম-জাভেদের হাতে রচিত, ‘শোলে’তে অভিনয় করেছেন সেই সময়ের সব বড় তারকারা—অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জয়া ভাদুড়ি, সঞ্জীব কুমার এবং গব্বর সিং চরিত্রে আমজাদ খান (প্রয়াত)। ছবিটি ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ক্ল্যাসিক থেকে অনুপ্রাণিত হলেও, এটি ভারতীয় আত্মীকরণে অনন্য। ২০৪ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি মূলত রামগড় নামের একটি কাল্পনিক গ্রামে দুই ছোটখাটো মাস্তান জয় ও বীরুর (অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র) গল্প। তাঁরা একজন সাবেক জেলার, ঠাকুর বলদেব সিং-এর ভাড়াটে নিযুক্ত হন কুখ্যাত ডাকাত গব্বর সিংকে দমন করার জন্য। গব্বর সিং ভারতীয় সিনেমার অন্যতম আইকনিক খলনায়ক।
মুক্তির পর, মুম্বাইয়ের ১ হাজার ৫০০ আসনের মিনার্ভা থিয়েটারে ছবিটি টানা পাঁচ বছর প্রদর্শিত হয়। বিবিসি ইন্ডিয়ার অনলাইন জরিপে এটিকে ‘সহস্রাব্দের সেরা চলচ্চিত্র’ এবং ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জরিপে ‘সর্বকালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র’ হিসেবে নির্বাচিত হয়। আর. ডি. বর্মনের সংগীত এবং ছবির সংলাপের ৫ লাখ রেকর্ড ও ক্যাসেট বিক্রি হয়েছিল।

‘শোলে’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা। এর সংলাপ এখনো বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে উদ্ধৃত হয়, রাজনৈতিক বক্তৃতায় ব্যবহৃত হয়, বিজ্ঞাপনে প্যারোডি করা হয়। ছবিতে একটি ছোটখাটো মাস্তানের চরিত্রে অভিনয় করা ধর্মেন্দ্র সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শোলে হলো বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য।’ অমিতাভ বচ্চন ছবিটি শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাকে ‘অবিস্মরণীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদিও তখন আমার কোনো ধারণা ছিল না যে এটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হয়ে উঠবে।’
পুরো সিনেমাটি যেভাবে পুনরুদ্ধার করা হলো
ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর জানিয়েছেন, এই নতুন সংস্করণটিই ‘শোলে’র সবচেয়ে অথেনটিক রূপ। কারণ এতে সিনেমার প্রকৃত সমাপ্তি এবং আগে কখনো না দেখা বাদ পড়া দৃশ্যগুলো রয়েছে।

মূল গল্পে, ঠাকুর গব্বরকে তাঁর কাঁটাযুক্ত জুতো দিয়ে পিষে মেরে ফেলে। কিন্তু সেন্সর বোর্ড এতে আপত্তি জানায়। একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন, এই ধারণায় তাঁরা আপত্তি করেন। তাঁদের কাছে ছবির স্টাইলিশ সহিংসতাও অতিরিক্ত মনে হয়েছিল। জরুরি অবস্থার সময় ছবিটি মুক্তি পাওয়ায় সেন্সরের কড়াকড়ি ছিল অনেক বেশি।
সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, পরিচালক সিপ্পিকে সমাপ্তি দৃশ্যটি পুনরায় শুট করতে বাধ্য করা হয়। অভিনেতাদের নিয়ে দ্রুত দক্ষিণ ভারতের রামানাগারাম-এর পাহাড়ে ফিরে যেতে হয়। এটিই ছবিতে রামগড় গ্রাম। নতুন এবং অপেক্ষাকৃত কম সহিংস সমাপ্তিতে গব্বর সিংকে হত্যা না করে বন্দী করা হয়। এরপরই ছবিটি সেন্সরের ছাড়পত্র পায়।
এই মহাকাব্যিক চলচ্চিত্রটির তিন বছরের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া মোটেও সহজ ছিল না। ছবির মূল ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্টগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ক্যামেরার নেগেটিভগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল।
২০২২ সালে, রমেশ সিপ্পির ছেলে শেহজাদ সিপ্পি ছবিটি পুনরুদ্ধার করার প্রস্তাব নিয়ে মুম্বাই-ভিত্তিক ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কাছে যান। তিনি জানান, ছবির কিছু উপাদান মুম্বাইয়ের একটি গুদামে সংরক্ষিত আছে। এটি প্রথমে একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ মনে হলেও, পরে প্রায় অলৌকিকভাবে মিলে যায়: লেবেলবিহীন ক্যানগুলোর ভেতর পাওয়া যায় আসল ৩৫ মিলিমিটারের ক্যামেরা ও সাউন্ড নেগেটিভ!

সিপ্পি ফিল্মস ফাউন্ডেশনকে জানায়, যুক্তরাজ্যের একটি গুদামেও অতিরিক্ত রিল সংরক্ষিত আছে। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সহায়তায়, দলটি সেই আর্কাইভের উপাদানগুলো সংগ্রহ করে। এরপর সেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বোলোগনার এল’ইমাজিন রিট্রোভাটা-তে পাঠানো হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র পুনরুদ্ধার কেন্দ্র।
আশ্চর্যের বিষয়, মুক্তির প্রথম দিকে ‘শোলে’র যাত্রা মসৃণ ছিল না। প্রাথমিক রিভিউগুলো ছিল নেতিবাচক, বক্স অফিস ছিল নড়বড়ে, ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্ট কাস্টমসে আটকে গিয়েছিল।
ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন ছবিটি সম্পর্কে লিখেছিল ‘একটি নিভে যাওয়া অঙ্গার’। ফিল্মফেয়ার-এর বিক্রম সিং লিখেছিলেন, ছবির মূল সমস্যা ছিল ‘ব্যর্থ প্রচেষ্টা, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে একটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা জুড়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে।’ প্রাথমিক প্রদর্শনীতে দর্শকেরা নীরব ছিলেন—কোনো হাসি, কান্না বা করতালি ছিল না। চলচ্চিত্র লেখক অনুপমা চোপড়া তাঁর ‘শোলে: দ্য মেকিং অব অ্যা ক্ল্যাসিক’ বইয়ে লিখেছেন, ‘শুধু নীরবতা।’ সপ্তাহান্তে প্রেক্ষাগৃহগুলো পূর্ণ হলেও দর্শকদের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত ছিল। সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা ছবিটি গ্রহণ করতে শুরু করেন এবং মুখে মুখে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। অনুপমা চোপড়া লিখেছেন, ‘ভিজ্যুয়ালগুলো ছিল মহাকাব্যিক এবং শব্দ ছিল জাদুকরী...তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা সংলাপগুলো আওড়াচ্ছিল। এর মানে হলো, কিছু দর্শক অন্তত দ্বিতীয়বারের মতো ছবিটি দেখতে আসছিল।’
‘শোলে’ মুক্তির এক মাস পর, পলিডর একটি ৪৮ মিনিটের সংলাপ রেকর্ড প্রকাশ করে—এবং পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ছবির চরিত্রগুলো আইকনিক হয়ে ওঠে। গব্বর সিং—এক ‘সত্যিই ভীতিকর, কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয়’ খলনায়ক—একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা হিসেবে আবির্ভূত হন। বিদেশি সমালোচকেরা এটিকে ভারতের প্রথম ‘কারি ওয়েস্টার্ন’ বলে অভিহিত করেন।
মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে ‘শোলে’ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল—তিন বছর নিয়মিত শোতে এবং দুই বছর ম্যাটিনি শোতে। এমনকি ২৪০ তম সপ্তাহেও শো ছিল হাউসফুল। ২০১৫ সালের এপ্রিলে, ৪০ বছর পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও, ‘শোলে’ পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং ২০০২ সালের ‘দেবদাস’-এর মতো এক দশকেরও বেশি পুরোনো বেশির ভাগ ভারতীয় ছবিকে ছাপিয়ে যায়।
পঞ্চাশ বছর পরেও কেন ‘শোলে’ দর্শকদের মন জয় করে চলেছে? অমিতাভ বচ্চন এক সাক্ষাৎকারে এর একটি সহজ, কিন্তু গভীর উত্তর দিয়েছেন: ‘ভালো এবং মন্দের জয়... এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিন ঘণ্টার মধ্যে পয়েটিক জাস্টিস! যা আপনি এবং আমি সারা জীবনেও পাব না।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারকৃত ও আনকাট সংস্করণ। পঞ্চাশ বছর আগে মুক্তি পেয়ে ভারতীয় সিনেমা জগতে যে ঝড় তুলেছিল ‘শোলে’, এই নতুন সংস্করণ সেই উন্মাদনা আবার ফিরিয়ে আনছে।
এই নতুন সংস্করণে দর্শকেরা দেখতে পাবেন ছবির আসল সমাপ্তি, যা সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিছু বাদ পড়া দৃশ্যও থাকবে নতুন সংস্করণে। উৎসবের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ পিয়াজ্জা ম্যাগিওরে-তে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম উন্মুক্ত মঞ্চ।
ভারতীয় সিনেমায় ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ছায়া
চিত্রনাট্য লেখক জুটি সেলিম-জাভেদের হাতে রচিত, ‘শোলে’তে অভিনয় করেছেন সেই সময়ের সব বড় তারকারা—অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জয়া ভাদুড়ি, সঞ্জীব কুমার এবং গব্বর সিং চরিত্রে আমজাদ খান (প্রয়াত)। ছবিটি ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ক্ল্যাসিক থেকে অনুপ্রাণিত হলেও, এটি ভারতীয় আত্মীকরণে অনন্য। ২০৪ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি মূলত রামগড় নামের একটি কাল্পনিক গ্রামে দুই ছোটখাটো মাস্তান জয় ও বীরুর (অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র) গল্প। তাঁরা একজন সাবেক জেলার, ঠাকুর বলদেব সিং-এর ভাড়াটে নিযুক্ত হন কুখ্যাত ডাকাত গব্বর সিংকে দমন করার জন্য। গব্বর সিং ভারতীয় সিনেমার অন্যতম আইকনিক খলনায়ক।
মুক্তির পর, মুম্বাইয়ের ১ হাজার ৫০০ আসনের মিনার্ভা থিয়েটারে ছবিটি টানা পাঁচ বছর প্রদর্শিত হয়। বিবিসি ইন্ডিয়ার অনলাইন জরিপে এটিকে ‘সহস্রাব্দের সেরা চলচ্চিত্র’ এবং ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জরিপে ‘সর্বকালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র’ হিসেবে নির্বাচিত হয়। আর. ডি. বর্মনের সংগীত এবং ছবির সংলাপের ৫ লাখ রেকর্ড ও ক্যাসেট বিক্রি হয়েছিল।

‘শোলে’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা। এর সংলাপ এখনো বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে উদ্ধৃত হয়, রাজনৈতিক বক্তৃতায় ব্যবহৃত হয়, বিজ্ঞাপনে প্যারোডি করা হয়। ছবিতে একটি ছোটখাটো মাস্তানের চরিত্রে অভিনয় করা ধর্মেন্দ্র সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শোলে হলো বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য।’ অমিতাভ বচ্চন ছবিটি শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাকে ‘অবিস্মরণীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদিও তখন আমার কোনো ধারণা ছিল না যে এটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হয়ে উঠবে।’
পুরো সিনেমাটি যেভাবে পুনরুদ্ধার করা হলো
ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর জানিয়েছেন, এই নতুন সংস্করণটিই ‘শোলে’র সবচেয়ে অথেনটিক রূপ। কারণ এতে সিনেমার প্রকৃত সমাপ্তি এবং আগে কখনো না দেখা বাদ পড়া দৃশ্যগুলো রয়েছে।

মূল গল্পে, ঠাকুর গব্বরকে তাঁর কাঁটাযুক্ত জুতো দিয়ে পিষে মেরে ফেলে। কিন্তু সেন্সর বোর্ড এতে আপত্তি জানায়। একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন, এই ধারণায় তাঁরা আপত্তি করেন। তাঁদের কাছে ছবির স্টাইলিশ সহিংসতাও অতিরিক্ত মনে হয়েছিল। জরুরি অবস্থার সময় ছবিটি মুক্তি পাওয়ায় সেন্সরের কড়াকড়ি ছিল অনেক বেশি।
সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, পরিচালক সিপ্পিকে সমাপ্তি দৃশ্যটি পুনরায় শুট করতে বাধ্য করা হয়। অভিনেতাদের নিয়ে দ্রুত দক্ষিণ ভারতের রামানাগারাম-এর পাহাড়ে ফিরে যেতে হয়। এটিই ছবিতে রামগড় গ্রাম। নতুন এবং অপেক্ষাকৃত কম সহিংস সমাপ্তিতে গব্বর সিংকে হত্যা না করে বন্দী করা হয়। এরপরই ছবিটি সেন্সরের ছাড়পত্র পায়।
এই মহাকাব্যিক চলচ্চিত্রটির তিন বছরের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া মোটেও সহজ ছিল না। ছবির মূল ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্টগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ক্যামেরার নেগেটিভগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল।
২০২২ সালে, রমেশ সিপ্পির ছেলে শেহজাদ সিপ্পি ছবিটি পুনরুদ্ধার করার প্রস্তাব নিয়ে মুম্বাই-ভিত্তিক ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কাছে যান। তিনি জানান, ছবির কিছু উপাদান মুম্বাইয়ের একটি গুদামে সংরক্ষিত আছে। এটি প্রথমে একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ মনে হলেও, পরে প্রায় অলৌকিকভাবে মিলে যায়: লেবেলবিহীন ক্যানগুলোর ভেতর পাওয়া যায় আসল ৩৫ মিলিমিটারের ক্যামেরা ও সাউন্ড নেগেটিভ!

সিপ্পি ফিল্মস ফাউন্ডেশনকে জানায়, যুক্তরাজ্যের একটি গুদামেও অতিরিক্ত রিল সংরক্ষিত আছে। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সহায়তায়, দলটি সেই আর্কাইভের উপাদানগুলো সংগ্রহ করে। এরপর সেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বোলোগনার এল’ইমাজিন রিট্রোভাটা-তে পাঠানো হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র পুনরুদ্ধার কেন্দ্র।
আশ্চর্যের বিষয়, মুক্তির প্রথম দিকে ‘শোলে’র যাত্রা মসৃণ ছিল না। প্রাথমিক রিভিউগুলো ছিল নেতিবাচক, বক্স অফিস ছিল নড়বড়ে, ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্ট কাস্টমসে আটকে গিয়েছিল।
ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন ছবিটি সম্পর্কে লিখেছিল ‘একটি নিভে যাওয়া অঙ্গার’। ফিল্মফেয়ার-এর বিক্রম সিং লিখেছিলেন, ছবির মূল সমস্যা ছিল ‘ব্যর্থ প্রচেষ্টা, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে একটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা জুড়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে।’ প্রাথমিক প্রদর্শনীতে দর্শকেরা নীরব ছিলেন—কোনো হাসি, কান্না বা করতালি ছিল না। চলচ্চিত্র লেখক অনুপমা চোপড়া তাঁর ‘শোলে: দ্য মেকিং অব অ্যা ক্ল্যাসিক’ বইয়ে লিখেছেন, ‘শুধু নীরবতা।’ সপ্তাহান্তে প্রেক্ষাগৃহগুলো পূর্ণ হলেও দর্শকদের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত ছিল। সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা ছবিটি গ্রহণ করতে শুরু করেন এবং মুখে মুখে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। অনুপমা চোপড়া লিখেছেন, ‘ভিজ্যুয়ালগুলো ছিল মহাকাব্যিক এবং শব্দ ছিল জাদুকরী...তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা সংলাপগুলো আওড়াচ্ছিল। এর মানে হলো, কিছু দর্শক অন্তত দ্বিতীয়বারের মতো ছবিটি দেখতে আসছিল।’
‘শোলে’ মুক্তির এক মাস পর, পলিডর একটি ৪৮ মিনিটের সংলাপ রেকর্ড প্রকাশ করে—এবং পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ছবির চরিত্রগুলো আইকনিক হয়ে ওঠে। গব্বর সিং—এক ‘সত্যিই ভীতিকর, কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয়’ খলনায়ক—একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা হিসেবে আবির্ভূত হন। বিদেশি সমালোচকেরা এটিকে ভারতের প্রথম ‘কারি ওয়েস্টার্ন’ বলে অভিহিত করেন।
মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে ‘শোলে’ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল—তিন বছর নিয়মিত শোতে এবং দুই বছর ম্যাটিনি শোতে। এমনকি ২৪০ তম সপ্তাহেও শো ছিল হাউসফুল। ২০১৫ সালের এপ্রিলে, ৪০ বছর পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও, ‘শোলে’ পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং ২০০২ সালের ‘দেবদাস’-এর মতো এক দশকেরও বেশি পুরোনো বেশির ভাগ ভারতীয় ছবিকে ছাপিয়ে যায়।
পঞ্চাশ বছর পরেও কেন ‘শোলে’ দর্শকদের মন জয় করে চলেছে? অমিতাভ বচ্চন এক সাক্ষাৎকারে এর একটি সহজ, কিন্তু গভীর উত্তর দিয়েছেন: ‘ভালো এবং মন্দের জয়... এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিন ঘণ্টার মধ্যে পয়েটিক জাস্টিস! যা আপনি এবং আমি সারা জীবনেও পাব না।’

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারকৃত ও আনকাট সংস্করণ। পঞ্চাশ বছর আগে মুক্তি পেয়ে ভারতীয় সিনেমা জগতে যে ঝড় তুলেছিল ‘শোলে’, এই নতুন সংস্করণ সেই উন্মাদনা আবার ফিরিয়ে আনছে।
এই নতুন সংস্করণে দর্শকেরা দেখতে পাবেন ছবির আসল সমাপ্তি, যা সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিছু বাদ পড়া দৃশ্যও থাকবে নতুন সংস্করণে। উৎসবের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ পিয়াজ্জা ম্যাগিওরে-তে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম উন্মুক্ত মঞ্চ।
ভারতীয় সিনেমায় ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ছায়া
চিত্রনাট্য লেখক জুটি সেলিম-জাভেদের হাতে রচিত, ‘শোলে’তে অভিনয় করেছেন সেই সময়ের সব বড় তারকারা—অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জয়া ভাদুড়ি, সঞ্জীব কুমার এবং গব্বর সিং চরিত্রে আমজাদ খান (প্রয়াত)। ছবিটি ওয়েস্টার্ন ও সামুরাই ক্ল্যাসিক থেকে অনুপ্রাণিত হলেও, এটি ভারতীয় আত্মীকরণে অনন্য। ২০৪ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি মূলত রামগড় নামের একটি কাল্পনিক গ্রামে দুই ছোটখাটো মাস্তান জয় ও বীরুর (অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্র) গল্প। তাঁরা একজন সাবেক জেলার, ঠাকুর বলদেব সিং-এর ভাড়াটে নিযুক্ত হন কুখ্যাত ডাকাত গব্বর সিংকে দমন করার জন্য। গব্বর সিং ভারতীয় সিনেমার অন্যতম আইকনিক খলনায়ক।
মুক্তির পর, মুম্বাইয়ের ১ হাজার ৫০০ আসনের মিনার্ভা থিয়েটারে ছবিটি টানা পাঁচ বছর প্রদর্শিত হয়। বিবিসি ইন্ডিয়ার অনলাইন জরিপে এটিকে ‘সহস্রাব্দের সেরা চলচ্চিত্র’ এবং ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের জরিপে ‘সর্বকালের সেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র’ হিসেবে নির্বাচিত হয়। আর. ডি. বর্মনের সংগীত এবং ছবির সংলাপের ৫ লাখ রেকর্ড ও ক্যাসেট বিক্রি হয়েছিল।

‘শোলে’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা। এর সংলাপ এখনো বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে উদ্ধৃত হয়, রাজনৈতিক বক্তৃতায় ব্যবহৃত হয়, বিজ্ঞাপনে প্যারোডি করা হয়। ছবিতে একটি ছোটখাটো মাস্তানের চরিত্রে অভিনয় করা ধর্মেন্দ্র সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘শোলে হলো বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য।’ অমিতাভ বচ্চন ছবিটি শুটিংয়ের অভিজ্ঞতাকে ‘অবিস্মরণীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদিও তখন আমার কোনো ধারণা ছিল না যে এটি ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হয়ে উঠবে।’
পুরো সিনেমাটি যেভাবে পুনরুদ্ধার করা হলো
ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর জানিয়েছেন, এই নতুন সংস্করণটিই ‘শোলে’র সবচেয়ে অথেনটিক রূপ। কারণ এতে সিনেমার প্রকৃত সমাপ্তি এবং আগে কখনো না দেখা বাদ পড়া দৃশ্যগুলো রয়েছে।

মূল গল্পে, ঠাকুর গব্বরকে তাঁর কাঁটাযুক্ত জুতো দিয়ে পিষে মেরে ফেলে। কিন্তু সেন্সর বোর্ড এতে আপত্তি জানায়। একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছেন, এই ধারণায় তাঁরা আপত্তি করেন। তাঁদের কাছে ছবির স্টাইলিশ সহিংসতাও অতিরিক্ত মনে হয়েছিল। জরুরি অবস্থার সময় ছবিটি মুক্তি পাওয়ায় সেন্সরের কড়াকড়ি ছিল অনেক বেশি।
সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে, পরিচালক সিপ্পিকে সমাপ্তি দৃশ্যটি পুনরায় শুট করতে বাধ্য করা হয়। অভিনেতাদের নিয়ে দ্রুত দক্ষিণ ভারতের রামানাগারাম-এর পাহাড়ে ফিরে যেতে হয়। এটিই ছবিতে রামগড় গ্রাম। নতুন এবং অপেক্ষাকৃত কম সহিংস সমাপ্তিতে গব্বর সিংকে হত্যা না করে বন্দী করা হয়। এরপরই ছবিটি সেন্সরের ছাড়পত্র পায়।
এই মহাকাব্যিক চলচ্চিত্রটির তিন বছরের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া মোটেও সহজ ছিল না। ছবির মূল ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্টগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, ক্যামেরার নেগেটিভগুলোও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় ছিল।
২০২২ সালে, রমেশ সিপ্পির ছেলে শেহজাদ সিপ্পি ছবিটি পুনরুদ্ধার করার প্রস্তাব নিয়ে মুম্বাই-ভিত্তিক ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কাছে যান। তিনি জানান, ছবির কিছু উপাদান মুম্বাইয়ের একটি গুদামে সংরক্ষিত আছে। এটি প্রথমে একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ মনে হলেও, পরে প্রায় অলৌকিকভাবে মিলে যায়: লেবেলবিহীন ক্যানগুলোর ভেতর পাওয়া যায় আসল ৩৫ মিলিমিটারের ক্যামেরা ও সাউন্ড নেগেটিভ!

সিপ্পি ফিল্মস ফাউন্ডেশনকে জানায়, যুক্তরাজ্যের একটি গুদামেও অতিরিক্ত রিল সংরক্ষিত আছে। ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সহায়তায়, দলটি সেই আর্কাইভের উপাদানগুলো সংগ্রহ করে। এরপর সেগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বোলোগনার এল’ইমাজিন রিট্রোভাটা-তে পাঠানো হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র পুনরুদ্ধার কেন্দ্র।
আশ্চর্যের বিষয়, মুক্তির প্রথম দিকে ‘শোলে’র যাত্রা মসৃণ ছিল না। প্রাথমিক রিভিউগুলো ছিল নেতিবাচক, বক্স অফিস ছিল নড়বড়ে, ৭০ মিলিমিটারের প্রিন্ট কাস্টমসে আটকে গিয়েছিল।
ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিন ছবিটি সম্পর্কে লিখেছিল ‘একটি নিভে যাওয়া অঙ্গার’। ফিল্মফেয়ার-এর বিক্রম সিং লিখেছিলেন, ছবির মূল সমস্যা ছিল ‘ব্যর্থ প্রচেষ্টা, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে একটি ওয়েস্টার্ন সিনেমা জুড়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে।’ প্রাথমিক প্রদর্শনীতে দর্শকেরা নীরব ছিলেন—কোনো হাসি, কান্না বা করতালি ছিল না। চলচ্চিত্র লেখক অনুপমা চোপড়া তাঁর ‘শোলে: দ্য মেকিং অব অ্যা ক্ল্যাসিক’ বইয়ে লিখেছেন, ‘শুধু নীরবতা।’ সপ্তাহান্তে প্রেক্ষাগৃহগুলো পূর্ণ হলেও দর্শকদের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চিত ছিল। সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
পরের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা ছবিটি গ্রহণ করতে শুরু করেন এবং মুখে মুখে সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। অনুপমা চোপড়া লিখেছেন, ‘ভিজ্যুয়ালগুলো ছিল মহাকাব্যিক এবং শব্দ ছিল জাদুকরী...তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে দর্শকেরা সংলাপগুলো আওড়াচ্ছিল। এর মানে হলো, কিছু দর্শক অন্তত দ্বিতীয়বারের মতো ছবিটি দেখতে আসছিল।’
‘শোলে’ মুক্তির এক মাস পর, পলিডর একটি ৪৮ মিনিটের সংলাপ রেকর্ড প্রকাশ করে—এবং পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ছবির চরিত্রগুলো আইকনিক হয়ে ওঠে। গব্বর সিং—এক ‘সত্যিই ভীতিকর, কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয়’ খলনায়ক—একটি সাংস্কৃতিক ফেনোমেনা হিসেবে আবির্ভূত হন। বিদেশি সমালোচকেরা এটিকে ভারতের প্রথম ‘কারি ওয়েস্টার্ন’ বলে অভিহিত করেন।
মুম্বাইয়ের মিনার্ভা থিয়েটারে ‘শোলে’ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল—তিন বছর নিয়মিত শোতে এবং দুই বছর ম্যাটিনি শোতে। এমনকি ২৪০ তম সপ্তাহেও শো ছিল হাউসফুল। ২০১৫ সালের এপ্রিলে, ৪০ বছর পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও, ‘শোলে’ পাকিস্তানের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং ২০০২ সালের ‘দেবদাস’-এর মতো এক দশকেরও বেশি পুরোনো বেশির ভাগ ভারতীয় ছবিকে ছাপিয়ে যায়।
পঞ্চাশ বছর পরেও কেন ‘শোলে’ দর্শকদের মন জয় করে চলেছে? অমিতাভ বচ্চন এক সাক্ষাৎকারে এর একটি সহজ, কিন্তু গভীর উত্তর দিয়েছেন: ‘ভালো এবং মন্দের জয়... এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তিন ঘণ্টার মধ্যে পয়েটিক জাস্টিস! যা আপনি এবং আমি সারা জীবনেও পাব না।’

ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো।
৬ ঘণ্টা আগে
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
১৭ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
১৭ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো। জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে সেই মানুষটিই নিজেকে পুরোপুরি উৎসর্গ করেছিলেন প্রাণীর অধিকার রক্ষার আন্দোলনে।
বার্দোর মৃত্যুতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন অসাধারণ নারীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, যিনি সবকিছু দিয়েছিলেন এবং প্রাণীদের প্রতি আরও সম্মানজনক একটি পৃথিবীর জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন। তাঁর আদর্শ ও সংগ্রাম ফাউন্ডেশনের কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবে।
সিএনএন জানিয়েছে, ফ্রান্সে ‘বিবি’ নামে পরিচিত ছিলেন ব্রিজিত। ১৯৫০ ও ৬০–এর দশকে তাঁর খোলামেলা, সংযমহীন অভিনয় একদিকে দর্শককে মোহিত করে, অন্যদিকে রক্ষণশীলতার ধারক-বাহকদের কাঁপিয়ে দেয়। হলিউডে যখন যৌনতা নিয়ে কঠোর সেন্সরশিপ চলছিল, তখন বার্দো বিদেশি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মার্কিন দর্শকদের কাছে নতুন এক স্বাধীনতার ছবি হাজির করেন। ১৯৬১ সালে লাইফ ম্যাগাজিন লিখেছিল, ‘মেয়েরা যখন হাঁটে, তারা বার্দোর মতো হাঁটে, পোশাক পরে, চুল বাঁধে এবং তাঁর মতো মুক্ত আত্মা হতে চায়।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বার্দোকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, তিনি স্বাধীন জীবনের প্রতীক। এক্সে দেওয়া পোস্টে মাখোঁ লেখেন, ‘তাঁর সিনেমা, কণ্ঠ, দীপ্তি, দুঃখ, প্রাণীদের প্রতি উদার ভালোবাসা—সব মিলিয়ে বার্দো এক মুক্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি।’
বার্দো ছিলেন আধুনিক সেলিব্রিটির প্রথম দিককার এক উদাহরণ। প্রাক-নারীবাদী যুগেই তিনি নিজের শর্তে প্রেম করেছেন, সম্পর্ক গড়েছেন, ভোগবাদী জীবনযাপন নিয়ে কখনো অনুতপ্ত হননি। ফরাসি দার্শনিক সিমোন দ্য বোভোয়ার ১৯৫৯ সালে লিখেছিলেন, প্রেমের খেলায় বার্দো যেমন শিকার, তেমনি শিকারি—আর সেটাই পুরুষ অহংকারে আঘাত হানে।
নিজের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে বার্দো কখনো বড়াই করেননি। তবু ‘...অ্যান্ড গড ক্রিয়েটেড উইম্যান’, ‘কঁতঁপ্ত’, ‘ভিভা মারিয়া!’সহ ৪০টির বেশি চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশক ধরে তাঁর ক্যারিশমা অপ্রতিরোধ্য ছিল। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকাও। ফ্যাশনে তাঁর প্রভাব ছিল দীর্ঘস্থায়ী—স্বর্ণকেশী এলোমেলো চুল, সহজ পোশাক ও স্বাভাবিক উপস্থিতি বহু অভিনেত্রী ও মডেলের অনুকরণীয় হয়ে ওঠে।
১৯৭৩ সালে, মাত্র ৩৯ বছর বয়সে সিনেমা থেকে অবসর নিয়ে জীবনকে অন্যদিকে নিয়ে যান বার্দো। প্রাণী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি হয়ে ওঠেন কণ্ঠস্বর। ১৯৮৭ সালে তিনি বলেন, ‘যৌবন ও সৌন্দর্য দিয়েছি পুরুষদের, এখন আমার প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা দেব প্রাণীদের জন্য।’ তবে তাঁর জীবন বিতর্কমুক্ত ছিল না—অভিবাসন ও ধর্মীয় আচার নিয়ে মন্তব্যের কারণে তিনি সমালোচিত ও দণ্ডিত হয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবে বার্ধক্যকে গ্রহণ করাও ছিল তাঁর আরেকটি বিদ্রোহ। প্লাস্টিক সার্জারি এড়িয়ে সাদা চুল ও মুখের ভাঁজ নিয়েই তিনি প্রকাশ্যে থেকেছেন।
ব্রিজিত বার্দোর জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, প্যারিসে। একসময় ব্যালে নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখা মেয়েটি শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠেন শতাব্দীর এক প্রতীক—যিনি স্বাধীনতা, বিতর্ক ও করুণ বাস্তবতার মাঝেই নিজের মতো করে বেঁচে ছিলেন।

ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো। জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে সেই মানুষটিই নিজেকে পুরোপুরি উৎসর্গ করেছিলেন প্রাণীর অধিকার রক্ষার আন্দোলনে।
বার্দোর মৃত্যুতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন অসাধারণ নারীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা, যিনি সবকিছু দিয়েছিলেন এবং প্রাণীদের প্রতি আরও সম্মানজনক একটি পৃথিবীর জন্য সবকিছু ত্যাগ করেছিলেন। তাঁর আদর্শ ও সংগ্রাম ফাউন্ডেশনের কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকবে।
সিএনএন জানিয়েছে, ফ্রান্সে ‘বিবি’ নামে পরিচিত ছিলেন ব্রিজিত। ১৯৫০ ও ৬০–এর দশকে তাঁর খোলামেলা, সংযমহীন অভিনয় একদিকে দর্শককে মোহিত করে, অন্যদিকে রক্ষণশীলতার ধারক-বাহকদের কাঁপিয়ে দেয়। হলিউডে যখন যৌনতা নিয়ে কঠোর সেন্সরশিপ চলছিল, তখন বার্দো বিদেশি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মার্কিন দর্শকদের কাছে নতুন এক স্বাধীনতার ছবি হাজির করেন। ১৯৬১ সালে লাইফ ম্যাগাজিন লিখেছিল, ‘মেয়েরা যখন হাঁটে, তারা বার্দোর মতো হাঁটে, পোশাক পরে, চুল বাঁধে এবং তাঁর মতো মুক্ত আত্মা হতে চায়।’
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বার্দোকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, তিনি স্বাধীন জীবনের প্রতীক। এক্সে দেওয়া পোস্টে মাখোঁ লেখেন, ‘তাঁর সিনেমা, কণ্ঠ, দীপ্তি, দুঃখ, প্রাণীদের প্রতি উদার ভালোবাসা—সব মিলিয়ে বার্দো এক মুক্ত জীবনের প্রতিচ্ছবি।’
বার্দো ছিলেন আধুনিক সেলিব্রিটির প্রথম দিককার এক উদাহরণ। প্রাক-নারীবাদী যুগেই তিনি নিজের শর্তে প্রেম করেছেন, সম্পর্ক গড়েছেন, ভোগবাদী জীবনযাপন নিয়ে কখনো অনুতপ্ত হননি। ফরাসি দার্শনিক সিমোন দ্য বোভোয়ার ১৯৫৯ সালে লিখেছিলেন, প্রেমের খেলায় বার্দো যেমন শিকার, তেমনি শিকারি—আর সেটাই পুরুষ অহংকারে আঘাত হানে।
নিজের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে বার্দো কখনো বড়াই করেননি। তবু ‘...অ্যান্ড গড ক্রিয়েটেড উইম্যান’, ‘কঁতঁপ্ত’, ‘ভিভা মারিয়া!’সহ ৪০টির বেশি চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশক ধরে তাঁর ক্যারিশমা অপ্রতিরোধ্য ছিল। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকাও। ফ্যাশনে তাঁর প্রভাব ছিল দীর্ঘস্থায়ী—স্বর্ণকেশী এলোমেলো চুল, সহজ পোশাক ও স্বাভাবিক উপস্থিতি বহু অভিনেত্রী ও মডেলের অনুকরণীয় হয়ে ওঠে।
১৯৭৩ সালে, মাত্র ৩৯ বছর বয়সে সিনেমা থেকে অবসর নিয়ে জীবনকে অন্যদিকে নিয়ে যান বার্দো। প্রাণী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি হয়ে ওঠেন কণ্ঠস্বর। ১৯৮৭ সালে তিনি বলেন, ‘যৌবন ও সৌন্দর্য দিয়েছি পুরুষদের, এখন আমার প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা দেব প্রাণীদের জন্য।’ তবে তাঁর জীবন বিতর্কমুক্ত ছিল না—অভিবাসন ও ধর্মীয় আচার নিয়ে মন্তব্যের কারণে তিনি সমালোচিত ও দণ্ডিত হয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবে বার্ধক্যকে গ্রহণ করাও ছিল তাঁর আরেকটি বিদ্রোহ। প্লাস্টিক সার্জারি এড়িয়ে সাদা চুল ও মুখের ভাঁজ নিয়েই তিনি প্রকাশ্যে থেকেছেন।
ব্রিজিত বার্দোর জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, প্যারিসে। একসময় ব্যালে নৃত্যশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখা মেয়েটি শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠেন শতাব্দীর এক প্রতীক—যিনি স্বাধীনতা, বিতর্ক ও করুণ বাস্তবতার মাঝেই নিজের মতো করে বেঁচে ছিলেন।

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র...
২৭ জুন ২০২৫
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
১৭ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
১৭ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস। কনসার্ট বাতিল হওয়ার ঘটনাকে আয়োজকদের ব্যর্থতা দাবি করে জেমস বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।’
জেমসের ম্যানেজার ও মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়োজকেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতর থেকে অনেক বেশি মানুষ ছিল বাইরে। এভাবে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আমরা সন্ধ্যার সময়ই ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরুর পর জানতে পারি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আমাদের জানানো হয়, বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকায় চলে আসেন জেমস।’
জানা যায়, স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজ সাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বের সময় জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলার কবলে পড়েছেন জেমস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন—এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘এমন কথা সত্যি নয়। সন্ধ্যায় ফরিদপুর পৌঁছালেও অনুষ্ঠানস্থলে যাননি জেমস। ছিলেন একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেই তিনি খবর পান বিশৃঙ্খলার। পরে শো বাতিল করলে আমরা ভেন্যুতে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত ১০ গুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্য আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস। কনসার্ট বাতিল হওয়ার ঘটনাকে আয়োজকদের ব্যর্থতা দাবি করে জেমস বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।’
জেমসের ম্যানেজার ও মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়োজকেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতর থেকে অনেক বেশি মানুষ ছিল বাইরে। এভাবে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আমরা সন্ধ্যার সময়ই ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরুর পর জানতে পারি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আমাদের জানানো হয়, বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকায় চলে আসেন জেমস।’
জানা যায়, স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজ সাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বের সময় জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলার কবলে পড়েছেন জেমস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন—এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘এমন কথা সত্যি নয়। সন্ধ্যায় ফরিদপুর পৌঁছালেও অনুষ্ঠানস্থলে যাননি জেমস। ছিলেন একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেই তিনি খবর পান বিশৃঙ্খলার। পরে শো বাতিল করলে আমরা ভেন্যুতে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত ১০ গুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্য আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র...
২৭ জুন ২০২৫
ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো।
৬ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
১৭ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি। প্রদীপ ঘোষের সিনেমাটি ২০২৩ সালে আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। নির্মাতা জানালেন নতুন বছরে আবার শুরু হচ্ছে সিনেমার শুটিং।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে রাশিদ পলাশ লেখেন, ‘এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশা আল্লাহ ২০২৬’। মন্তব্যের ঘরে পরীমণি লেখেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি’। স্পষ্টতই বোঝা গেল, জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরে আবার প্রীতিলতা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন পরীমণি।
প্রীতিলতা সিনেমা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করলে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই প্রীতিলতার বাকি অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিংয়ে যাব।’
২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রীতিলতার ফার্স্ট লুক। প্রীতিলতা বেশে চমকে দিয়েছিলেন পরী। সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। কিন্তু পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতিসহ নানা কারণে সে সময় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাঝে কয়েকবার এই সিনেমার শুটিং শুরুর কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। নতুন বছরে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান পরিচালক রাশিদ পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিং শেষ করতে চান প্রীতিলতার। এরপরেই শুরু করবেন সম্পাদনাসহ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
রাশিদ পলাশ বলেন, ‘২০২০ সালের শেষ দিকে আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা অংশের কাজ শেষ করা আছে। এখন আমরা শুটিং করব চট্টগ্রাম অংশের। আশা করছি রোজার ঈদের পর এপ্রিল মাসে আবার ক্যামেরা ওপেন করতে পারব।’

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি। প্রদীপ ঘোষের সিনেমাটি ২০২৩ সালে আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। নির্মাতা জানালেন নতুন বছরে আবার শুরু হচ্ছে সিনেমার শুটিং।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে রাশিদ পলাশ লেখেন, ‘এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশা আল্লাহ ২০২৬’। মন্তব্যের ঘরে পরীমণি লেখেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি’। স্পষ্টতই বোঝা গেল, জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরে আবার প্রীতিলতা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন পরীমণি।
প্রীতিলতা সিনেমা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করলে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই প্রীতিলতার বাকি অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিংয়ে যাব।’
২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রীতিলতার ফার্স্ট লুক। প্রীতিলতা বেশে চমকে দিয়েছিলেন পরী। সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। কিন্তু পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতিসহ নানা কারণে সে সময় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাঝে কয়েকবার এই সিনেমার শুটিং শুরুর কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। নতুন বছরে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান পরিচালক রাশিদ পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিং শেষ করতে চান প্রীতিলতার। এরপরেই শুরু করবেন সম্পাদনাসহ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
রাশিদ পলাশ বলেন, ‘২০২০ সালের শেষ দিকে আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা অংশের কাজ শেষ করা আছে। এখন আমরা শুটিং করব চট্টগ্রাম অংশের। আশা করছি রোজার ঈদের পর এপ্রিল মাসে আবার ক্যামেরা ওপেন করতে পারব।’

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র...
২৭ জুন ২০২৫
ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো।
৬ ঘণ্টা আগে
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
১৭ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প। এর প্রমাণ এ বছর আবারও পেয়েছে বলিউড।
হৃতিক রোশন-এনটিআর জুনিয়র-কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘ওয়ার ২’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। ব্যর্থ হয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’, বরুণ ধাওয়ান-জাহ্নবী কাপুরের ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’, শহিদ কাপুরের ‘দেবা’, কাজলের ‘মা’, অর্জুন কাপুরের ‘মেরে হাজবেন্ড কি বিবি’সহ একাধিক বড় তারকার সিনেমা। হিট সিনেমার সিকুয়েলও এবার খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওয়ার ২ তো আছেই, ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজয়ের ‘দে দে পেয়ার দে ২’, ‘সন অব সরদার ২’, টাইগার শ্রফের ‘বাঘি ৪’, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী-তৃপ্তি দিমরির ‘ধাড়াক ২’সহ একগুচ্ছ সিকুয়েল।
আগে থেকেই দক্ষিণের চাপে ছিল বলিউড। এ বছর সে চাপ আরও বেড়েছে। ইদানীং দক্ষিণি সিনেমাগুলো প্যান-ইন্ডিয়া নাম দিয়ে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পায়। ফলে দক্ষিণি সিনেমার সাফল্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বলিউডের বক্স অফিস। বলিউডের হতাশার এই বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বড় সাফল্য এনে দেয় ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’। দেড় শ কোটিতে নির্মিত সিনেমাটি ৮০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। তবে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও ওঠে সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতার পর ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব ফেরাটাও বলিউডের এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রেক্ষাগৃহে ২৬৬ কোটির বেশি ব্যবসা করা সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে ওটিটিতে না দিয়ে আমির সরাসরি মুক্তি দেন ইউটিউবে। সেখানেও বড় সাফল্য পেয়েছেন। এ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নতুন জুটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন নির্মাতা মোহিত সুরি। আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডাকে নিয়ে তিনি তৈরি করেন ‘সাইয়ারা’। এই গতানুগতিক প্রেমের আখ্যান দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আয় করেছে ৫৭৯ কোটি রুপি। এ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড পেয়েছে দুই নতুন মুখ, যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন আগামীর তারকা। অ্যাকশন গল্পের আধিক্যের ভিড়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ কিংবা ‘হাউসফুল ৫’-এর মতো কমেডি গল্প। এ দুই সিনেমা দিয়ে এবার বক্স অফিসে কিছুটা হলেও সাফল্য ফিরে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছেন রণবীর সিং। বছরজুড়ে তাঁর মুক্তির তালিকা ছিল শূন্য। ছিলেন আলোচনার বাইরে। ৫ ডিসেম্বর আসে তাঁর স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় হাজার কোটির মাইলফলকে পৌঁছেছে সিনেমাটি। এটিই বলিউডে এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় ফিরেছেন অক্ষয় খান্না।

তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প। এর প্রমাণ এ বছর আবারও পেয়েছে বলিউড।
হৃতিক রোশন-এনটিআর জুনিয়র-কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘ওয়ার ২’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। ব্যর্থ হয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’, বরুণ ধাওয়ান-জাহ্নবী কাপুরের ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’, শহিদ কাপুরের ‘দেবা’, কাজলের ‘মা’, অর্জুন কাপুরের ‘মেরে হাজবেন্ড কি বিবি’সহ একাধিক বড় তারকার সিনেমা। হিট সিনেমার সিকুয়েলও এবার খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওয়ার ২ তো আছেই, ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজয়ের ‘দে দে পেয়ার দে ২’, ‘সন অব সরদার ২’, টাইগার শ্রফের ‘বাঘি ৪’, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী-তৃপ্তি দিমরির ‘ধাড়াক ২’সহ একগুচ্ছ সিকুয়েল।
আগে থেকেই দক্ষিণের চাপে ছিল বলিউড। এ বছর সে চাপ আরও বেড়েছে। ইদানীং দক্ষিণি সিনেমাগুলো প্যান-ইন্ডিয়া নাম দিয়ে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পায়। ফলে দক্ষিণি সিনেমার সাফল্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বলিউডের বক্স অফিস। বলিউডের হতাশার এই বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বড় সাফল্য এনে দেয় ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’। দেড় শ কোটিতে নির্মিত সিনেমাটি ৮০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। তবে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও ওঠে সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতার পর ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব ফেরাটাও বলিউডের এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রেক্ষাগৃহে ২৬৬ কোটির বেশি ব্যবসা করা সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে ওটিটিতে না দিয়ে আমির সরাসরি মুক্তি দেন ইউটিউবে। সেখানেও বড় সাফল্য পেয়েছেন। এ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নতুন জুটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন নির্মাতা মোহিত সুরি। আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডাকে নিয়ে তিনি তৈরি করেন ‘সাইয়ারা’। এই গতানুগতিক প্রেমের আখ্যান দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আয় করেছে ৫৭৯ কোটি রুপি। এ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড পেয়েছে দুই নতুন মুখ, যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন আগামীর তারকা। অ্যাকশন গল্পের আধিক্যের ভিড়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ কিংবা ‘হাউসফুল ৫’-এর মতো কমেডি গল্প। এ দুই সিনেমা দিয়ে এবার বক্স অফিসে কিছুটা হলেও সাফল্য ফিরে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছেন রণবীর সিং। বছরজুড়ে তাঁর মুক্তির তালিকা ছিল শূন্য। ছিলেন আলোচনার বাইরে। ৫ ডিসেম্বর আসে তাঁর স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় হাজার কোটির মাইলফলকে পৌঁছেছে সিনেমাটি। এটিই বলিউডে এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় ফিরেছেন অক্ষয় খান্না।

ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে যাচ্ছে ইতালির বোলোগনা শহর। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ‘ইল সিনেমা রিট্রোভাটো’ উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে রমেশ সিপ্পি পরিচালিত ১৯৭৫ সালের জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘শোলে’র...
২৭ জুন ২০২৫
ফরাসি সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেত্রী ও প্রাণী অধিকারকর্মী ব্রিজিত বার্দো আর নেই। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) তাঁর প্রতিষ্ঠানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৯১ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন। সিনেমায় সাহসী ও স্বাধীন নারীর প্রতীক হিসেবে ষাটের দশকে যৌন বিপ্লবের ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রেখেছিলেন বার্দো।
৬ ঘণ্টা আগে
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
১৭ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
১৭ ঘণ্টা আগে