Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

পবিপ্রবির গবেষণার ফল বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেব

অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৯ম উপাচার্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে তাঁর কর্মজীবনের শুরু। তিনি ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি এবং কাগাওয়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্টডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। পবিপ্রবির সার্বিক অবস্থা নিয়ে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মীর মহিবুল্লাহ

মীর মহিবুল্লাহ
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯: ৪৫

আপনি প্রায় ৪ মাস হলো নিয়োগ পেয়েছেন। কী কী পরিবর্তন আনলেন?

আমার এই ৪ মাসের মধ্যে পবিপ্রবিকে বিশ্বমানের এবং ওয়ার্ল্ড র‍্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি, যা বর্তমানে দৃশ্যমান। সেগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং শিক্ষা ও গবেষণা পাঠদানের জন্য যে ক্লাসরুমগুলো আছে, সেগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ বছর ৭ মাসে ধরে যে অনিয়ম চলছিল; শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রদের মধ্যে যে অস্থিরতা ও হীনম্মন্যতা কাজ করছিল, সেটি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিটি শাখায় ভিজিট করে অফিসের সময়টা নিশ্চিত করেছি। শিক্ষকদের শিক্ষায় ও গবেষণায় উজ্জীবিত করা এবং উন্নয়নে কাজগুলো নিয়মিত তদারকি করে চলছি। সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের আনাগোনা এবং মাদকের যে একটা আখড়া ছিল, সেটিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দমন করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাবুগঞ্জ ও মেইন ক্যাম্পাসকে র‍্যাগিংমুক্ত করেছি। মাদক ও র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা চলমান থাকবে।

দীর্ঘদিন পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য পেল পবিপ্রবি। আপনাকে কীভাবে গ্রহণ করল? সবার সহযোগিতা কতটা পাচ্ছেন?

এককথায় বলব, আমাকে খুশিমনে গ্রহণ করেছে। আমি যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, সেগুলোর প্রতি সাড়া দিয়েছেন প্রো-উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরিয়াল বডি, অ্যাডভাইজরি বডি, প্রভোস্ট কাউন্সিল, সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী—সবাই। তাঁদের সহযোগিতা শুধু অফিশিয়াল সময়েই নয়, রাত ১২টা-১টা পর্যন্তও প্রশাসনিক বডিগুলো কাজ করছে। আমিসহ আমার বর্তমান প্রশাসনের যে চাওয়া, তা হলো বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নেওয়া। তাঁরা বিষয়টি অনুধাবন করে সার্বিক সহযোগিতা করছেন, যা প্রমাণ করে, পবিপ্রবির পরিবার আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?

দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হলো পবিপ্রবি। এখানে দুই ধরনের শিক্ষার্থী ভর্তি হয়—কৃষি গুচ্ছ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গুচ্ছ থেকে। এ ছাড়া এখানে অনেক মেধাবী শিক্ষক রয়েছেন এবং গবেষণার জন্য ভালো সুযোগ রয়েছে। আমি দেশের বাইরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়কে র‍্যাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসার জন্য কাজ করব। পবিপ্রবির গবেষণার ফল সারা দেশসহ বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য। ক্লাসরুম এবং গবেষণাগারগুলোর শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ তৈরি করা খুবই জরুরি, যার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত অর্থায়ন।

কাজের অগ্রাধিকার পর্যায়ক্রমে কী কী?

প্রথম অগ্রাধিকার হলো শিক্ষা ও গবেষণা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে করোনার সময়ের কারণে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে যে সময় নষ্ট হয়েছে, সেটি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য দ্রুত ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলাফল দেওয়া। তৃতীয়ত, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গঠন করা। মাদক নিরোধের লক্ষ্যে আমরা প্রথমে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ভর্তি নিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এটি শতভাগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করব। চতুর্থত, র‍্যাগিংমুক্ত হলের পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে সমাধান করা। পঞ্চমত, শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করা এবং তাদের উপযুক্ত পুরস্কৃত করা। এ ছাড়া যারা ভালো কাজ করবে বা এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিতে অংশ নেবে, তাদেরও পুরস্কৃত করা হবে। এভাবেই আমি পবিপ্রবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

অতীতের অনেক অনিয়ম, অবৈধ নিয়োগ ও পদোন্নতি ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত হলেও প্রতিবেদন জমা হতো না। এ ব্যাপারে আপনার উদ্যোগ থাকবে কি না?

আমি আসার পরপরই তদন্ত কমিশন-২০২৪ গঠন করেছি। সেই কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো ২০০৯ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সব অনিয়মের তদন্ত করা এবং দ্রুত রিপোর্ট জমা দিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। ১৫ বছরের অনিয়মের কারণে শিক্ষার পরিবেশ ও প্রশাসনিক পরিবেশ পুনরুদ্ধারে কিছুটা সময় লাগছে, তাই প্রতিবেদনগুলোতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটিগুলো বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করছি, শিগগির এর ফল প্রকাশ পাবে। একই সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করা হবে।

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি হবে কি না?

ভর্তি পরীক্ষার যে দুর্নীতি ঘটেছে, তার তদন্ত চলছে এবং গোয়েন্দা সংস্থাও তথ্য সংগ্রহ করছে। অনেক অগ্রগতি হয়েছে, যা কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। তবে গোপনীয়তার স্বার্থে এই বিষয়ে এখন বিস্তারিত কিছু বলা ঠিক হবে না।

শিক্ষার্থী দেবাশীষ মণ্ডলের আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন?

দেবাশীষের আত্মহত্যা, কেন চাকরি পায়নি এবং তার চাকরি নিয়ে ঘুষ কেলেঙ্কারির কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এসব নিয়ে আমাদের তদন্ত কমিটির একটি উপকমিটিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইনশা আল্লাহ খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন। ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন। ছবি: সংগৃহীত

থেমে থাকা কনস্ট্রাকশনের কাজের কী অবস্থা? দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেবেন?

আমি এসেই থেমে থাকা কাজগুলো চালুর লক্ষ্যে অধ্যাপক মো. জামাল হোসেনকে তদারকির দায়িত্ব দিয়ে এবং সকল ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কনস্ট্রাকশন কনসালট্যান্সি ফার্মের বিভিন্ন পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ার এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছি। বর্তমানে কনস্ট্রাকশন কাজগুলো দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমার প্রশাসনের সব পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। এ ছাড়া আমার কাছে নতুন করে কোনো প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নেই। তবে কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আমরা দুদককে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছি। এ ছাড়া সবার ওপর আমাদের বর্তমান প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।

ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আলোচনার সময় শিক্ষকরাজনীতির প্রসঙ্গও এসে যায়। আমরা দেখেছি, শিক্ষকরাজনীতিতে দল ভারী করতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। শিক্ষকনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদ পেতে নির্লজ্জভাবে দলকানা হয়ে ওঠেন। এটা ঠেকাবেন কী করে?

এটা ঠেকানো খুবই কঠিন। তবে আমাদের শিক্ষকদের বোঝা উচিত, আমরা প্রথমে শিক্ষক। সেখানে শিক্ষকতা ছাড়িয়ে রাজনীতি আমাদের পেশা হওয়াটা সমীচীন নয়। আমার মনে হয়, যাঁরা একটি পোস্ট ও পজিশনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন, তাঁদের সে অপরাজনীতি বাদ দিয়ে বর্তমান প্রশাসনকে সহযোগিতা করা উচিত। কারণ, এর আগে যা হয়েছে তা ভুলে যান। আমার আমলে এমন কিছু হতে দেব না। আগে এসব কারণেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

ক্যাম্পাসে রাজনীতি কবে শুরু হবে? ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন কি না?

সরকার চাইলে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রদের রাজনীতি ক্যাম্পাসে উন্মুক্ত হবে, এর আগে নয়। এ ছাড়া ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় থেকে যদি নির্দেশনা আসে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকশিত করার বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটি এবং অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম চালু রয়েছে।

বহিরাগতরা বিগত দিনে পবিপ্রবির সবকিছুতেই হস্তক্ষেপের পাশাপাশি উপাচার্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেন। এই ৪ মাসে আপনার সঙ্গে এমন হয়েছে কি না?

এখন পর্যন্ত বহিরাগতদের কোনো চাপ অনুভব করছি না। নিঃসংকোচে নির্দ্বিধায় আমার মেধা, যোগ্যতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। গত ৪ মাসে শতভাগ অনিয়ম দূর করা সম্ভব না হলেও এসব দূরে ঠেলে কাজ করছি।

রেজিস্ট্রার একটি দাপ্তরিক পদ। সেখানে কর্মকর্তা না বসিয়ে সব সময় কেন শিক্ষকেরা বসছেন?

আমি কাউকেই খাটো করে দেখছি না। গত ১৫ বছরে দাপ্তরিক যে অসংগতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটা দূর করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পজিশনে শিক্ষকদের দ্বারাই সেটা দূর করা সম্ভব বলে মনে করি। আমি ভালো মানুষগুলোকে সিলেকশন দিয়েছি, তাঁদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় একটি পজিশনে এলে পরবর্তী সময়ে বিকল্প চিন্তা করব।

২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় আপনার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লিড নিউজ হয়েছিল ‘এ যেন পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়’ শিরোনামে। এই পরিবারেতন্ত্রের সিন্ডিকেট কীভাবে ভাঙবেন?

উত্তর: এই সিন্ডিকেটকে ভাঙার চেষ্টা করছি। সামনে যাতে এ রকম আর না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

৫ আগস্টের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের বলে অভিযোগ রয়েছে। আপনি আসলে কোনো দলের সঙ্গে জড়িত কি না?

আমি আগেই বলেছি প্রথমে আমি একজন শিক্ষক ও গবেষক। আমি একজন মানুষ হিসেবে আমার নিজস্ব স্বকীয়তা থাকতেই পারে।

পবিপ্রবিতে দলমত-নির্বিশেষে সব সময় দুটি গ্রুপ থাকে যেমন ভিসি গ্রুপ ও ভিসিবিরোধী গ্রুপ। বর্তমানে আপনার কোনো গ্রুপ তৈরি হয়েছে কি না?

ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে সবারই চাওয়া পাওয়া থাকে। কারও থাকে নিয়মতান্ত্রিক, কারও অনৈতিক। আপনি যখন নিয়মতান্ত্রিক সব চাওয়া পাওয়াই পূরণ করতে পারবেন না, আর অনৈতিক তো প্রশ্নই আসে না। তখনই আপনার শত্রু জন্মাবে এবং ভিসিবিরোধী দল তৈরি হবে। বিরোধিতা আমার করতেই পারে, সেটা আমি ঠেকাতে যাব না। বিরোধিতাই আমাকে সঠিক পথে পরিচালনা করবে, সব সময় আমাকে সচেতন রাখবে। তবে আমি কোনো গ্রুপ করার পক্ষপাতি নই। আমি আমার মেধা, প্রজ্ঞা, যোগ্যতা ও সততা দিয়েই সবার গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে চাই।

সর্বশেষ অবৈধ নিয়োগের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?

সে সময় আমি ছিলাম না, তবে নিয়োগটি নিয়ে আমাদের প্রশ্ন আছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আদালতের কিছু অবজারভেশন আছে। তাঁদের সুপারিশের আলোকে আশা করি ভবিষ্যতে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নিয়ে আপনি কী বলবেন?

প্রথমেই বলব আমি এবং বর্তমান প্রশাসন হলাম এই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের একটি ফল। একটি পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন। আমার বর্তমান প্রশাসন জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের রক্তের ফল। আমরা তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের স্বাধীনতা ও নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে একই সূত্রে গাঁথা এই জুলাই-আগস্ট চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের পাশে বিত্তবানদের দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।

সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কিছু বলুন।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকমুক্ত, র‍্যাগিংমুক্ত থেকে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে জ্ঞান আহরণের জন্য তোমরা এসেছো, জ্ঞান নিয়ে সারা পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পড়বে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখবে। সঙ্গে সঙ্গে তোমার এবং তোমার পরিবারের উন্নয়নের জন্য ভালো কাজে এগিয়ে যাও। অপরাজনীতি ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে থাকবে, যা বর্তমান পরিবর্তিত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

পরীক্ষা নিয়ে স্কুলে মুখোমুখি শিক্ষক-অভিভাবকেরা

  • পিরোজপুর, পাবনায় শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের সংঘর্ষ।
  • অনেক জায়গায় স্কুলের তালা ভেঙে পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
  • শিক্ষকনেতাদের বদলি। প্রতিবাদে আরও কঠোর কর্মসূচির হুমকি।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৫
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলনের জেরে সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গতকাল পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার নেছারাবাদে। ছবি: আজকের পত্রিকা
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলনের জেরে সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। গতকাল পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার নেছারাবাদে। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।

এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’

এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।

পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।

বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।

এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।

একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।

জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’

সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’

দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।

সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাবিপ্রবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, আবেদন শুরু ৮ ডিসেম্বর

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।

২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্যাংকে ব্যবহৃত ১০টি ইংরেজি বাক্য: (পর্ব-১)

শিক্ষা ডেস্ক
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা
গ্রাফিক্স: আজকের পত্রিকা

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

  • Welcome to our bank. – আমাদের ব্যাংকে স্বাগতম।
  • May I have your name, please?– দয়া করে আপনার নাম বলবেন?
  • How can I assist you? – কীভাবে সাহায্য করতে পারি?
  • Please fill out this form. – দয়া করে এই ফরমটি পূরণ করুন।
  • Do you have an account with us? – আপনার আমাদের সঙ্গে কোনো অ্যাকাউন্ট আছে কি?
  • I would like to open a new account. – আমি একটি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে চাই।
  • What type of account would you like to open? – আপনি কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে চান?
  • I’d like a savings account, please.– সেভিংস অ্যাকাউন্ট, অনুগ্রহ করে।
  • I want to deposit money. – আমি টাকা জমা দিতে চাই।
  • How much would you like to deposit? – কত টাকা জমা দিতে চান?
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীনের চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়, চীন। ছবি: সংগৃহীত
চংকিং বিশ্ববিদ্যালয়, চীন। ছবি: সংগৃহীত

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।

সুযোগ-সুবিধা

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।

আবেদনের যোগ্যতা

আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় তথ্য

প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ

বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত