শাহারিয়ার সোহাগ

২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের মো. শফিকুল ইসলাম, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ফয়সাল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের গোলাম শাওন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কামরুল হাসান কাব্যসহ আরও কয়েকজন।
যৌক্তিক সংস্কারের দাবি
প্রথম দিন তাঁদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে।’ আমি তখন কামরুল হাসান কাব্যকে বলি, ‘কোটার ৫৬ শতাংশ যেমন অযৌক্তিক, তেমনি শূন্য শতাংশও অসাংবিধানিক। আমাদের উচিত কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের দাবি তোলা।’ এরপরে আন্দোলনের সুর পাল্টায়। আন্দোলন রূপ নেয় ‘পুনর্বহাল’ নয়, ‘সংস্কার’-এর দাবিতে। ১ জুলাইয়ের আন্দোলনে আবু সাঈদ ভাইসহ অনেকে যুক্ত হলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ওই দিন আমি গণমাধ্যমকে বলেছিলাম, ‘যখন আমাদের ব্যস্ত থাকার কথা শিক্ষা, গবেষণা ও খেলাধুলায়, তখন আমাদের এই কোটা আন্দোলন একটি ভাত দে টাইপের অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে।’
ছাত্রলীগের বাধা
৭ জুলাই সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের মডার্ন মোড়ে আমরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছিলাম। তখন ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলন তুলে নিতে বলেন। কেউ কেউ তাঁর অন্যায় নির্দেশ মেনে নিতে চাইলেও আমি প্রকাশ্যে তার প্রতিবাদ করি। আমার সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও সাহস করে দাঁড়িয়ে যান। পোমেল বড়ুয়া স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
বহিষ্কার, হামলা
৭ জুলাইয়ের এই প্রতিরোধ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয় ভেঙে দেয়। ১০ জুলাই আন্দোলনের একটি অংশ আমাকে ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী’ আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রুপ থেকে বহিষ্কার করে। পরদিন
১১ জুলাই, পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ দলবদ্ধভাবে হামলা চালায়। আবু সাঈদ ভাই সামনে থেকে প্রতিরোধ করেন এবং লাঞ্ছনার শিকার হন। এরপর আবু সাঈদ ভাই আমাকে আবার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় গ্রুপে যুক্ত করেন এবং ‘সমন্বয় সারা দেশ’ গ্রুপেও যুক্ত করেন।
১২ জুলাই একটি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রকৃত আন্দোলনকারীদের দিয়ে সমন্বয় প্যানেল পুনর্গঠন করা হবে। ইংরেজি বিভাগের সাবিনা ইয়াসমিন ও ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন বিভাগের সাবিনা আক্তারকে যুক্ত করে একটি নতুন প্যানেল গঠন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
১৪ জুলাই শেখ হাসিনার ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ মন্তব্যের প্রতিবাদে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেদিন রাতেই ছাত্রীরা হলের তালা ভেঙে বিক্ষোভে নামেন। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ ওই রাতে রূপ নেয় ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’-এ। এই হামলার পর অনেকে সরে দাঁড়ান, কিন্তু নেতৃত্বে উঠে আসেন আশিকুর রহমান আশিক ও আকিব ভাই। ১৫ জুলাই রাতে আমরা আবু সাঈদ ভাইয়ের ছাত্রাবাসে গিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলি। পরদিন ১৬ জুলাই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তবে তখন পরিস্থিতি ভীষণ কঠিন। সাউন্ড সিস্টেম কেউ ভাড়া দিচ্ছিল না—ভয়ে। তখন রংপুরের গণসংহতি আন্দোলনের নেতা তৌহিদুর রহমান সহায়তার হাত বাড়ান। তাঁর সহায়তায় হ্যান্ডমাইক ও আত্মরক্ষার জন্য ৫০টি এসএস পাইপের সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেঁধে নেওয়া হয়।
প্রাথমিক ঘোষণা অনুযায়ী, আমাদের কর্মসূচি বেলা তিনটায় হওয়ার কথা থাকলেও সকাল সোয়া ১০টায় সেটি এগিয়ে আনা হয় বেলা ১১টায়। এর ফলে ছাত্রলীগ আগাম হামলা করতে পারেনি। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর কলেজ, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ—সব জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হন।
বেলা আড়াইটা। ঘটে সেই নির্মম ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে বিশাল মিছিল এগিয়ে যায়। ছাত্রলীগ সশস্ত্র হামলা চালায়। পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গুলি করতে শুরু করে। তখন আবু সাঈদ ভাই সবার সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যান। তাঁর হাতে ছিল একটি লাঠি। আমি তখন মাইক হাতে তাঁর ঠিক পেছনে ছিলাম। বারবার সাঈদ ভাইকে সরে যেতে বলি। পেছন থেকে প্রাণপণ ডাকলেও তিনি বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েই ছিলেন। ৫০ থেকে ৬০ ফুট দূর থেকে তাঁকে টার্গেট করে পুলিশ গুলি করে। একের পর এক গুলি বিঁধে তাঁর শরীরে। একপর্যায়ে তিনি শহীদ হন।
আবু সাঈদ ছিলেন এক নীরব প্রতিরোধ, যিনি নিজের প্রাণ দিয়ে প্রজন্মকে শিখিয়ে গেছেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে। তাঁর মৃত্যু ইতিহাসে এক কফিনে পেরেক ঠুকে দিয়েছে, যেখানে লুকিয়ে ছিল বছরের পর বছর জমে থাকা অন্যায় ও বৈষম্যের চেহারা।
অনুলিখন: ইবতেশাম রহমান সায়নাভ

২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের মো. শফিকুল ইসলাম, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ফয়সাল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের গোলাম শাওন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কামরুল হাসান কাব্যসহ আরও কয়েকজন।
যৌক্তিক সংস্কারের দাবি
প্রথম দিন তাঁদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে।’ আমি তখন কামরুল হাসান কাব্যকে বলি, ‘কোটার ৫৬ শতাংশ যেমন অযৌক্তিক, তেমনি শূন্য শতাংশও অসাংবিধানিক। আমাদের উচিত কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের দাবি তোলা।’ এরপরে আন্দোলনের সুর পাল্টায়। আন্দোলন রূপ নেয় ‘পুনর্বহাল’ নয়, ‘সংস্কার’-এর দাবিতে। ১ জুলাইয়ের আন্দোলনে আবু সাঈদ ভাইসহ অনেকে যুক্ত হলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ওই দিন আমি গণমাধ্যমকে বলেছিলাম, ‘যখন আমাদের ব্যস্ত থাকার কথা শিক্ষা, গবেষণা ও খেলাধুলায়, তখন আমাদের এই কোটা আন্দোলন একটি ভাত দে টাইপের অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে।’
ছাত্রলীগের বাধা
৭ জুলাই সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের মডার্ন মোড়ে আমরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছিলাম। তখন ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলন তুলে নিতে বলেন। কেউ কেউ তাঁর অন্যায় নির্দেশ মেনে নিতে চাইলেও আমি প্রকাশ্যে তার প্রতিবাদ করি। আমার সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও সাহস করে দাঁড়িয়ে যান। পোমেল বড়ুয়া স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
বহিষ্কার, হামলা
৭ জুলাইয়ের এই প্রতিরোধ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয় ভেঙে দেয়। ১০ জুলাই আন্দোলনের একটি অংশ আমাকে ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী’ আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রুপ থেকে বহিষ্কার করে। পরদিন
১১ জুলাই, পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ দলবদ্ধভাবে হামলা চালায়। আবু সাঈদ ভাই সামনে থেকে প্রতিরোধ করেন এবং লাঞ্ছনার শিকার হন। এরপর আবু সাঈদ ভাই আমাকে আবার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় গ্রুপে যুক্ত করেন এবং ‘সমন্বয় সারা দেশ’ গ্রুপেও যুক্ত করেন।
১২ জুলাই একটি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রকৃত আন্দোলনকারীদের দিয়ে সমন্বয় প্যানেল পুনর্গঠন করা হবে। ইংরেজি বিভাগের সাবিনা ইয়াসমিন ও ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন বিভাগের সাবিনা আক্তারকে যুক্ত করে একটি নতুন প্যানেল গঠন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
১৪ জুলাই শেখ হাসিনার ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ মন্তব্যের প্রতিবাদে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেদিন রাতেই ছাত্রীরা হলের তালা ভেঙে বিক্ষোভে নামেন। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ ওই রাতে রূপ নেয় ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’-এ। এই হামলার পর অনেকে সরে দাঁড়ান, কিন্তু নেতৃত্বে উঠে আসেন আশিকুর রহমান আশিক ও আকিব ভাই। ১৫ জুলাই রাতে আমরা আবু সাঈদ ভাইয়ের ছাত্রাবাসে গিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলি। পরদিন ১৬ জুলাই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তবে তখন পরিস্থিতি ভীষণ কঠিন। সাউন্ড সিস্টেম কেউ ভাড়া দিচ্ছিল না—ভয়ে। তখন রংপুরের গণসংহতি আন্দোলনের নেতা তৌহিদুর রহমান সহায়তার হাত বাড়ান। তাঁর সহায়তায় হ্যান্ডমাইক ও আত্মরক্ষার জন্য ৫০টি এসএস পাইপের সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেঁধে নেওয়া হয়।
প্রাথমিক ঘোষণা অনুযায়ী, আমাদের কর্মসূচি বেলা তিনটায় হওয়ার কথা থাকলেও সকাল সোয়া ১০টায় সেটি এগিয়ে আনা হয় বেলা ১১টায়। এর ফলে ছাত্রলীগ আগাম হামলা করতে পারেনি। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর কলেজ, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ—সব জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হন।
বেলা আড়াইটা। ঘটে সেই নির্মম ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে বিশাল মিছিল এগিয়ে যায়। ছাত্রলীগ সশস্ত্র হামলা চালায়। পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গুলি করতে শুরু করে। তখন আবু সাঈদ ভাই সবার সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যান। তাঁর হাতে ছিল একটি লাঠি। আমি তখন মাইক হাতে তাঁর ঠিক পেছনে ছিলাম। বারবার সাঈদ ভাইকে সরে যেতে বলি। পেছন থেকে প্রাণপণ ডাকলেও তিনি বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েই ছিলেন। ৫০ থেকে ৬০ ফুট দূর থেকে তাঁকে টার্গেট করে পুলিশ গুলি করে। একের পর এক গুলি বিঁধে তাঁর শরীরে। একপর্যায়ে তিনি শহীদ হন।
আবু সাঈদ ছিলেন এক নীরব প্রতিরোধ, যিনি নিজের প্রাণ দিয়ে প্রজন্মকে শিখিয়ে গেছেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে। তাঁর মৃত্যু ইতিহাসে এক কফিনে পেরেক ঠুকে দিয়েছে, যেখানে লুকিয়ে ছিল বছরের পর বছর জমে থাকা অন্যায় ও বৈষম্যের চেহারা।
অনুলিখন: ইবতেশাম রহমান সায়নাভ
শাহারিয়ার সোহাগ

২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের মো. শফিকুল ইসলাম, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ফয়সাল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের গোলাম শাওন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কামরুল হাসান কাব্যসহ আরও কয়েকজন।
যৌক্তিক সংস্কারের দাবি
প্রথম দিন তাঁদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে।’ আমি তখন কামরুল হাসান কাব্যকে বলি, ‘কোটার ৫৬ শতাংশ যেমন অযৌক্তিক, তেমনি শূন্য শতাংশও অসাংবিধানিক। আমাদের উচিত কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের দাবি তোলা।’ এরপরে আন্দোলনের সুর পাল্টায়। আন্দোলন রূপ নেয় ‘পুনর্বহাল’ নয়, ‘সংস্কার’-এর দাবিতে। ১ জুলাইয়ের আন্দোলনে আবু সাঈদ ভাইসহ অনেকে যুক্ত হলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ওই দিন আমি গণমাধ্যমকে বলেছিলাম, ‘যখন আমাদের ব্যস্ত থাকার কথা শিক্ষা, গবেষণা ও খেলাধুলায়, তখন আমাদের এই কোটা আন্দোলন একটি ভাত দে টাইপের অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে।’
ছাত্রলীগের বাধা
৭ জুলাই সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের মডার্ন মোড়ে আমরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছিলাম। তখন ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলন তুলে নিতে বলেন। কেউ কেউ তাঁর অন্যায় নির্দেশ মেনে নিতে চাইলেও আমি প্রকাশ্যে তার প্রতিবাদ করি। আমার সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও সাহস করে দাঁড়িয়ে যান। পোমেল বড়ুয়া স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
বহিষ্কার, হামলা
৭ জুলাইয়ের এই প্রতিরোধ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয় ভেঙে দেয়। ১০ জুলাই আন্দোলনের একটি অংশ আমাকে ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী’ আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রুপ থেকে বহিষ্কার করে। পরদিন
১১ জুলাই, পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ দলবদ্ধভাবে হামলা চালায়। আবু সাঈদ ভাই সামনে থেকে প্রতিরোধ করেন এবং লাঞ্ছনার শিকার হন। এরপর আবু সাঈদ ভাই আমাকে আবার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় গ্রুপে যুক্ত করেন এবং ‘সমন্বয় সারা দেশ’ গ্রুপেও যুক্ত করেন।
১২ জুলাই একটি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রকৃত আন্দোলনকারীদের দিয়ে সমন্বয় প্যানেল পুনর্গঠন করা হবে। ইংরেজি বিভাগের সাবিনা ইয়াসমিন ও ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন বিভাগের সাবিনা আক্তারকে যুক্ত করে একটি নতুন প্যানেল গঠন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
১৪ জুলাই শেখ হাসিনার ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ মন্তব্যের প্রতিবাদে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেদিন রাতেই ছাত্রীরা হলের তালা ভেঙে বিক্ষোভে নামেন। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ ওই রাতে রূপ নেয় ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’-এ। এই হামলার পর অনেকে সরে দাঁড়ান, কিন্তু নেতৃত্বে উঠে আসেন আশিকুর রহমান আশিক ও আকিব ভাই। ১৫ জুলাই রাতে আমরা আবু সাঈদ ভাইয়ের ছাত্রাবাসে গিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলি। পরদিন ১৬ জুলাই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তবে তখন পরিস্থিতি ভীষণ কঠিন। সাউন্ড সিস্টেম কেউ ভাড়া দিচ্ছিল না—ভয়ে। তখন রংপুরের গণসংহতি আন্দোলনের নেতা তৌহিদুর রহমান সহায়তার হাত বাড়ান। তাঁর সহায়তায় হ্যান্ডমাইক ও আত্মরক্ষার জন্য ৫০টি এসএস পাইপের সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেঁধে নেওয়া হয়।
প্রাথমিক ঘোষণা অনুযায়ী, আমাদের কর্মসূচি বেলা তিনটায় হওয়ার কথা থাকলেও সকাল সোয়া ১০টায় সেটি এগিয়ে আনা হয় বেলা ১১টায়। এর ফলে ছাত্রলীগ আগাম হামলা করতে পারেনি। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর কলেজ, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ—সব জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হন।
বেলা আড়াইটা। ঘটে সেই নির্মম ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে বিশাল মিছিল এগিয়ে যায়। ছাত্রলীগ সশস্ত্র হামলা চালায়। পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গুলি করতে শুরু করে। তখন আবু সাঈদ ভাই সবার সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যান। তাঁর হাতে ছিল একটি লাঠি। আমি তখন মাইক হাতে তাঁর ঠিক পেছনে ছিলাম। বারবার সাঈদ ভাইকে সরে যেতে বলি। পেছন থেকে প্রাণপণ ডাকলেও তিনি বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েই ছিলেন। ৫০ থেকে ৬০ ফুট দূর থেকে তাঁকে টার্গেট করে পুলিশ গুলি করে। একের পর এক গুলি বিঁধে তাঁর শরীরে। একপর্যায়ে তিনি শহীদ হন।
আবু সাঈদ ছিলেন এক নীরব প্রতিরোধ, যিনি নিজের প্রাণ দিয়ে প্রজন্মকে শিখিয়ে গেছেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে। তাঁর মৃত্যু ইতিহাসে এক কফিনে পেরেক ঠুকে দিয়েছে, যেখানে লুকিয়ে ছিল বছরের পর বছর জমে থাকা অন্যায় ও বৈষম্যের চেহারা।
অনুলিখন: ইবতেশাম রহমান সায়নাভ

২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের মো. শফিকুল ইসলাম, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ফয়সাল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের গোলাম শাওন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের কামরুল হাসান কাব্যসহ আরও কয়েকজন।
যৌক্তিক সংস্কারের দাবি
প্রথম দিন তাঁদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে।’ আমি তখন কামরুল হাসান কাব্যকে বলি, ‘কোটার ৫৬ শতাংশ যেমন অযৌক্তিক, তেমনি শূন্য শতাংশও অসাংবিধানিক। আমাদের উচিত কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কারের দাবি তোলা।’ এরপরে আন্দোলনের সুর পাল্টায়। আন্দোলন রূপ নেয় ‘পুনর্বহাল’ নয়, ‘সংস্কার’-এর দাবিতে। ১ জুলাইয়ের আন্দোলনে আবু সাঈদ ভাইসহ অনেকে যুক্ত হলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ওই দিন আমি গণমাধ্যমকে বলেছিলাম, ‘যখন আমাদের ব্যস্ত থাকার কথা শিক্ষা, গবেষণা ও খেলাধুলায়, তখন আমাদের এই কোটা আন্দোলন একটি ভাত দে টাইপের অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে।’
ছাত্রলীগের বাধা
৭ জুলাই সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের মডার্ন মোড়ে আমরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছিলাম। তখন ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলন তুলে নিতে বলেন। কেউ কেউ তাঁর অন্যায় নির্দেশ মেনে নিতে চাইলেও আমি প্রকাশ্যে তার প্রতিবাদ করি। আমার সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও সাহস করে দাঁড়িয়ে যান। পোমেল বড়ুয়া স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
বহিষ্কার, হামলা
৭ জুলাইয়ের এই প্রতিরোধ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভয় ভেঙে দেয়। ১০ জুলাই আন্দোলনের একটি অংশ আমাকে ‘বিভেদ সৃষ্টিকারী’ আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রুপ থেকে বহিষ্কার করে। পরদিন
১১ জুলাই, পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ দলবদ্ধভাবে হামলা চালায়। আবু সাঈদ ভাই সামনে থেকে প্রতিরোধ করেন এবং লাঞ্ছনার শিকার হন। এরপর আবু সাঈদ ভাই আমাকে আবার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় গ্রুপে যুক্ত করেন এবং ‘সমন্বয় সারা দেশ’ গ্রুপেও যুক্ত করেন।
১২ জুলাই একটি সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রকৃত আন্দোলনকারীদের দিয়ে সমন্বয় প্যানেল পুনর্গঠন করা হবে। ইংরেজি বিভাগের সাবিনা ইয়াসমিন ও ব্যবস্থাপনা অধ্যয়ন বিভাগের সাবিনা আক্তারকে যুক্ত করে একটি নতুন প্যানেল গঠন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ
১৪ জুলাই শেখ হাসিনার ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ মন্তব্যের প্রতিবাদে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেদিন রাতেই ছাত্রীরা হলের তালা ভেঙে বিক্ষোভে নামেন। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ ওই রাতে রূপ নেয় ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’-এ। এই হামলার পর অনেকে সরে দাঁড়ান, কিন্তু নেতৃত্বে উঠে আসেন আশিকুর রহমান আশিক ও আকিব ভাই। ১৫ জুলাই রাতে আমরা আবু সাঈদ ভাইয়ের ছাত্রাবাসে গিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলি। পরদিন ১৬ জুলাই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তবে তখন পরিস্থিতি ভীষণ কঠিন। সাউন্ড সিস্টেম কেউ ভাড়া দিচ্ছিল না—ভয়ে। তখন রংপুরের গণসংহতি আন্দোলনের নেতা তৌহিদুর রহমান সহায়তার হাত বাড়ান। তাঁর সহায়তায় হ্যান্ডমাইক ও আত্মরক্ষার জন্য ৫০টি এসএস পাইপের সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেঁধে নেওয়া হয়।
প্রাথমিক ঘোষণা অনুযায়ী, আমাদের কর্মসূচি বেলা তিনটায় হওয়ার কথা থাকলেও সকাল সোয়া ১০টায় সেটি এগিয়ে আনা হয় বেলা ১১টায়। এর ফলে ছাত্রলীগ আগাম হামলা করতে পারেনি। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর কলেজ, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ—সব জায়গা থেকে শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হন।
বেলা আড়াইটা। ঘটে সেই নির্মম ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে বিশাল মিছিল এগিয়ে যায়। ছাত্রলীগ সশস্ত্র হামলা চালায়। পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গুলি করতে শুরু করে। তখন আবু সাঈদ ভাই সবার সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে যান। তাঁর হাতে ছিল একটি লাঠি। আমি তখন মাইক হাতে তাঁর ঠিক পেছনে ছিলাম। বারবার সাঈদ ভাইকে সরে যেতে বলি। পেছন থেকে প্রাণপণ ডাকলেও তিনি বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েই ছিলেন। ৫০ থেকে ৬০ ফুট দূর থেকে তাঁকে টার্গেট করে পুলিশ গুলি করে। একের পর এক গুলি বিঁধে তাঁর শরীরে। একপর্যায়ে তিনি শহীদ হন।
আবু সাঈদ ছিলেন এক নীরব প্রতিরোধ, যিনি নিজের প্রাণ দিয়ে প্রজন্মকে শিখিয়ে গেছেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে। তাঁর মৃত্যু ইতিহাসে এক কফিনে পেরেক ঠুকে দিয়েছে, যেখানে লুকিয়ে ছিল বছরের পর বছর জমে থাকা অন্যায় ও বৈষম্যের চেহারা।
অনুলিখন: ইবতেশাম রহমান সায়নাভ

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
১৩ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।
বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।
জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।
সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।
বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।
জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।
সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের...
২৭ জুলাই ২০২৫
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের...
২৭ জুলাই ২০২৫
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
১৩ ঘণ্টা আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের...
২৭ জুলাই ২০২৫
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
১৩ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

২০১৮ সালে বাতিল হওয়া কোটা পদ্ধতি পূর্ণরূপে পুনর্বহাল হলে সারা দেশের মতো বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ২০২৪ সালের ৫ জুন আন্দোলনে সক্রিয় হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রতিবাদ হয় ৩০ জুন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন, ইংরেজি বিভাগের...
২৭ জুলাই ২০২৫
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
১৩ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে