Ajker Patrika

এ যেন বইয়ের জগৎ

আজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)
এ যেন বইয়ের জগৎ

একটার ওপর একটা বই থরে থরে সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে প্রবেশদ্বারের পিলার! এর নিচ দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে চোখে পড়বে একটি শহীদ মিনার। দেখলে মনে হবে, বই খুলে রাখা হয়েছে পড়ার জন্য। পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে বই আর কলম দিয়ে তৈরি হৃদয় পুস্তক চত্বর। দেয়ালেও আছে বইয়ের প্রচ্ছদ। মনে হবে—এ যেন এক বইয়ের জগৎ। 

এটি কোনো থিম পার্কের অংশ নয়। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া আদর্শ কলেজের ক্যাম্পাস। কলেজটি হাতীবান্ধা উপজেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে গোতামারী ইউনিয়নের কাকিনা বাইপাস সড়কের পাশে। 

দইখাওয়া আদর্শ কলেজের এ বইয়ের জগতে জায়গা পেয়েছে বাংলা ও ইংরেজি ভাষার সাহিত্যিকদের লেখা চিরায়ত ৫০টি বইয়ের প্রতিকৃতি। ব্যতিক্রম ও দৃষ্টিনন্দন প্রবেশদ্বারটি তৈরি করা হয়েছিল শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা এবং বই পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে। এখন সেটি হয়ে দাঁড়িয়েছে দর্শনীয় জায়গা।

হাতের মুঠোয় পৃথিবী
বই পড়লে পৃথিবী হাতের মুঠোয় ধারণ করা যায়। শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এ ধারণা ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগ নেন দইখাওয়া আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোফাজ্জল হোসেন। তিনি প্রথমে শহীদ মিনারের নকশায় জুড়ে দেন স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ। সে নকশায় যোগ করেন একটি বইয়ের খোলা দুটি পাতা। এর একটিতে ফুটিয়ে তোলা হয় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং অন্যটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হওয়ার আনন্দ প্রকাশের বিভিন্ন দৃশ্য। পরে তিনি কলেজের প্রধান ফটকের পিলার তৈরি করতে বইয়ের আদল ব্যবহারের পরিকল্পনা করেন। বিষয়টি পরিচালনা পর্ষদকে জানানো হয়। পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কলেজের ব্যতিক্রমী এ তোরণ তৈরির কাজ শুরু করা হয়। কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২ বছর চলে এর নির্মাণকাজ। ব্যয় হয় প্রায় ১০ লাখ টাকা। এ নকশা করতে মোফাজ্জল হোসেন সহযোগিতা নেন দুজন শিক্ষার্থীর। তাঁদের একজন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেভাল আর্কিটেকচার বিভাগের আসাদুজ্জামান শাকিল এবং অন্যজন কলেজটির সাবেক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী গৌরাঙ্গ রায়। 

নকশা করার জন্য বেছে নেওয়া হয় বাংলা ভাষার ২৫টি এবং ইংরেজি ভাষার ২৫টি চিরায়ত বই। মূল প্রবেশদ্বারের একটিতে এবং অন্যটিতে ইংরেজি বইগুলোর আদল তৈরি করা হয়; এগুলো তৈরি করা হয় ইট, সিমেন্ট ও অন্যান্য উপকরণ দিয়ে। শুধু তা-ই নয়। প্রবেশদ্বারে কলেজের নামের পাশে বাংলাদেশের মানচিত্র এবং সবার ওপরে হাতের মুঠোয় বিভিন্ন দেশের পতাকাসংবলিত পৃথিবীর মানচিত্র নির্মাণ করা হয়। 

যে বইগুলো আছে
ফটকটির দুই পিলার এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন দেখে মনে হবে অনেকগুলো বই এখানে থরে থরে সাজিয়ে রাখা। বাঁ পিলারের সবার ওপরে রাখা হয়েছে লেখক আনিসুল হকের ‘মা’ বইটি। ডান দিকের পিলারে সবার ওপরে আছে ম্যাক্সিম গোর্কির ‘মাদার’ বইটি। বাঁয়ে সবার নিচে মুনীর চৌধুরী রচিত ‘কবর’ আর ডান পিলারে আছে অমৃত সেনের লেখা ‘ডেভেলপমেন্ট অ্যাজ ফ্রিডম’।   

হাতীবান্ধার গোতামারী গ্রামের আমজাদ হোসেন (৪৫) বলেন, ‘কলেজটি অনেক সুনাম করেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন দেখতে আসে। আমাদেরও অনেক ভালো লাগে।’ 

দইখাওয়া আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোফাজ্জল হোসেন জানান, ১৯৯৯ সালে ৩ একর ১০ শতাংশ জমির ওপর স্থাপিত হয় কলেজটি। বই দিয়ে প্রবেশদ্বার এবং অন্যান্য স্থাপনা তৈরির খবর জেনে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা তাঁকে এবং কলেজের অন্যান্য শিক্ষককে ফোন দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অনেকে এসে সরাসরি দেখে প্রশংসা করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা জানতে চান, কীভাবে করা হয়েছে এর পরিকল্পনা। 

আছে স্থানীয় মানুষের প্রতিকৃতি
শুধু যে কলেজের মূল প্রবেশদ্বার তৈরি হয়েছে বই দিয়ে, তা নয়; পাশের দেয়ালও বইয়ের প্রচ্ছদের নকশা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। প্রবেশদ্বারের পশ্চিম পাশের দেয়ালে ১৬টি এবং পূর্ব দিকের দেয়ালে ২৬টি বইয়ের প্রচ্ছদ তৈরি করা হয়েছে সিমেন্ট দিয়ে। তৈরি করা হয়েছে হরিধানের আবিষ্কারক হরিপদ কাপালী, বইপ্রেমী পলান সরকার এবং রাস্তার পাশে প্রায় ১২ হাজার গাছের চারা রোপণ করা নওগাঁর গহের আলীর প্রতিকৃতি। এ ছাড়া হাঁড়িভাঙ্গা আম দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার পথিকৃৎ মিঠাপুকুরের মাসিমপুর গ্রামের আব্দুস সালাম সরকার এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র ৯ বছর বয়সে আনন্দ শিক্ষা নিকেতন গড়ে তোলা  ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাবর আলীর প্রতিকৃতিও আছে এখানে। স্থানীয় মহৎপ্রাণ মানুষদের এই প্রতিকৃতি মানুষকে আকৃষ্ট করছে ভীষণভাবে।

অন্যান্য সুবিধা
কলেজটিতে প্রায় ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। এখানে বাংলা বিষয়ে অনার্স পাস কোর্স চালু আছে। শিক্ষক, কর্মচারীসহ লোকবল রয়েছেন ৫৪ জন। 

কলেজটির শিক্ষার্থীরা যেন ১০ টাকায় দুপুরে খাবার খেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করেছেন অধ্যক্ষ মো. মোফাজ্জল হোসেন। কলেজের লাইব্রেরি এবং মিলনায়তনের দোতলার ছাদে করা হয়েছে ছাদবাগান। কলেজের পাশের জমিতে মৌসুমি শাকসবজির চাষাবাদ করা হয়। এখান থেকে উৎপাদিত শাকসবজি দুপুরের খাবারে রান্না করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত