Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পেরেছি: ড. মো. মশিউর রহমান

নতুন নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পেরেছি: ড. মো. মশিউর রহমান
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৩৫

দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, অধিভুক্ত কলেজগুলোর মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালের ২১ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ২ হাজার ২৭৫টি অধিভুক্ত কলেজের মাধ্যমে এর শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানান বিষয়ে কথা বলেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন গাজীপুর প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান

প্রশ্ন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এর অর্জন কী?
মশিউর রহমান: প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নানান বাধা ও প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে একধরনের ভাবমূর্তির সংকটে পড়ে যায়। একপর্যায়ে সেখানে গতি সঞ্চার হয়েছে। ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতার দিকে এগিয়েছে। বর্তমানে আমরা বহুমুখী কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি; বিশেষ করে দুটো বিষয়—একটি হলো প্রশাসনিক দুর্বলতা বা অদক্ষতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি সেশনজটের মধ্যে পড়ে ছিল। আমার আগের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে আমরা যখন কাজ শুরু করি, তখন থেকেই সেশনজট অনেকটা কমিয়ে আনতে পেরেছি। আরেকটি হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা সেটি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি।

বর্তমান ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালনকালে এখানে আর্থিক সচ্ছলতা আনার চেষ্টা করেছেন এবং তাতে সফল হয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর একেক সময় একেকজন উপাচার্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। সেসব কাজের ধারাবাহিকতায় বর্তমানে আমরা একাডেমিক এক্সিলেন্স বা গুণগত শিক্ষা দেওয়ায় মনোনিবেশ করেছি। যদি আগে সেশনজট না কমানো হতো বা আর্থিক সচ্ছলতা প্রতিষ্ঠিত না হতো, তাহলে আজ আমাকে সেই কাজগুলো করতে হতো। আগের দুজন উপাচার্য যে কাজগুলো করে গেছেন, আমরা এখন সেগুলো ধরে রেখে শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করছি, শর্ট কোর্স প্রবর্তন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। বিআইডিএস দীর্ঘদিন গবেষণা করে আমাদের একটি পরামর্শমালা দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়গুলো আমরা জানতাম না। পরামর্শগুলো জানার পর যাচাই করে দেখেছি, ইতিমধ্যে আমরা এসব পরামর্শের বেশির ভাগের কাজ করে ফেলেছি। শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন নতুন বিভিন্ন পরিকল্পনা নিতে পেরেছি এবং মনে হচ্ছে, আমরা ভালোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। 

এসব দিক আমাকে আশাবাদী করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের উচ্চশিক্ষার যে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী আছে, তাদের নিয়ে একটি পর্যায়ে পৌঁছানোর যে যাত্রা, তাতে আমরা সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।

 প্রশ্ন: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মশিউর রহমান: আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস অবশ্য পাঠ্য করেছি। এখন আইসিটি, সফট স্কিল—এসব অবশ্য পাঠ্য করতে যাচ্ছি। আমরা অ্যালামনাই গঠনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আগে আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বৃত্তি দিতে পারিনি। বর্তমানে দরিদ্র প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের প্রায় সাত কোটি টাকার বৃত্তি দিচ্ছি। 

আমাদের একাডেমিক ও ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যান ইতিমধ্যে করা শেষ হয়েছে। আইসিটি ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ, কারিকুলাম পরিবর্তনের মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে। ভালো কিছু করার প্রস্তুতির যে বিষয়, সেগুলো শেষ করে ফেলেছি। আরেকটি বিষয় হলো প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ। ইতিমধ্যে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে আটটি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। আমরা ১০টায় উন্নীত করতে চাই। আশা করি এগুলো বাস্তবায়ন করা হলে দেশের ৭০ শতাংশ শিক্ষা একটি সন্তোষজনক মানে উঠে আসবে।

কলেজগুলোতে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং চালু করব। জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম, নতুন বই লেখা প্রকল্প, গবেষণা প্রকল্পসহ বিভিন্ন বিষয় চালু করব। আমাদের নতুন দুটি প্রকল্পের একটি হলো ভূমি অধিগ্রহণ, আরেকটি হলো এলএমএস বা লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এই দুটো করা হলে আমি মনে করি, ২০ থেকে ২৫ বছরের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা আমাদের করা হয়ে যাবে।

প্রশ্ন: শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে আপনার ভাষ্য কী? 
মশিউর রহমান: গতানুগতিক ধারা পরিবর্তন করে দক্ষতাভিত্তিক, কর্মমুখী এবং বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের সঙ্গে মিল রেখে দ্রুত কর্মসংস্থানমুখী একটি শিক্ষাক্রম তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী ৩২টি কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষকদের মতামত সংগ্রহ এবং দেশের বিশিষ্টজনদের মতামত নেওয়া হয়েছে। নতুন কারিকুলাম তৈরি হচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থী আধুনিক ও যুগোপযোগী কর্মমুখী কারিকুলাম অনুযায়ী পড়াশোনা করতে সক্ষম হবে। 

প্রশ্ন: অন ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স চালু নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে। এ বিষয়ে কী বলবেন?
মশিউর রহমান: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা দেশের ৮৫০টি কলেজে অনার্স পড়ায়। এই কাজের জন্য আমাদের প্রশ্ন প্রণয়ন, খাতা মূল্যায়ন—এসব কাজ করতে হয়। এসবের জন্য যদি নিজেদের দক্ষতা তৈরি না হয়, তাহলে এর জন্য আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়। এভাবে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভরশীল থেকে ৮৫০টি কলেজের অনার্স পড়ানোতে নেতৃত্ব দেওয়া খুব দুর্বল কাঠামোতে থাকে।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বিষয়ের ওপর অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এর শিক্ষা একটি মানের ওপর দাঁড়াবে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে ১৫০ জনের মতো শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা যদি ক্লাসে না পড়ান বা ক্লাস রিসার্চ না থাকে, তাহলে তাঁরা একসময় কর্মকর্তা হয়ে উঠবেন। আরেকটি বিষয় হলো, কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় অনেক নতুন ক্লাসরুম গাজীপুরে করতে পেরেছি। এসব কক্ষ ব্যবহার করা দরকার। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এখানে কয়েকটি বিষয়ে অন ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স চালু করেছি।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা, গবেষণা করা, সরাসরি শিক্ষাদান একটা পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার। এসব যদি না থাকে, তাহলে তো একটা বিশ্ববিদ্যালয় হয় না। ইতিমধ্যেই ইউজিসিকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে। আশা করি, ইউজিসি আমাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হবে এবং এই সমস্যার সমাধান হবে।

প্রশ্নকর্তা: আমাদের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। 
মশিউর রহমান: আজকের পত্রিকাকেও ধন্যবাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

শিক্ষা ডেস্ক
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।

[গতকালের পর]

ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)

১. Synonyms & Antonyms:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।

২. Spelling Correction:

Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।

৩. Idioms & Phrases:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।

ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)

যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।

জনপ্রিয় লেখক:

William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।

প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা

প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।

ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে
বৃত্তি

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।

ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।

বৃত্তির ধরন

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।

সুযোগ-সুবিধা

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আনিস আলমগীর, শাওনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় অভিযোগ

হাদির জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায়, সিঙ্গাপুরে যাত্রা দুপুরে

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আনিস আলমগীর এখনো ডিবি কার্যালয়ে

অস্ট্রেলিয়ার বন্ডাই বিচে হামলায় নিহত বেড়ে ১৫, আহত ৪০ জনেরও বেশি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত