
মফস্বলের কলেজ হিসেবে পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজকে এমন দৃষ্টিনন্দন করার ভাবনা মাথায় এল কীভাবে?
আমি এই কলেজে ১৯৮৯ সাল থেকে শিক্ষকতা করছি। দীর্ঘদিন শিক্ষকতার ফলে একটি বিষয় নজরে আসে, সেটি হলো, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ায় একটা অনীহা রয়েছে। কলেজে এলেও তারা ঠিকমতো ক্লাস করতে চায় না। সেখান থেকেই তাদের ক্যাম্পাসমুখী করার একটা পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানে শিক্ষার্থীরা কলেজে ক্লাস করবে, বাসায় যাবে, পরীক্ষায় পাস করে চলে যাবে; এমনটি নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে উন্মুক্ত জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। সেখানে তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও অবাধ বিচরণ থাকবে। ক্যাম্পাস হবে শিক্ষাবান্ধব। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার পাশাপাশি লাইব্রেরিতে বই পড়বে, সবুজ ঘাসে বসে গ্রুপ স্টাডি করবে, ক্যানটিনে বন্ধুদের সঙ্গে শিক্ষণীয় গল্প করে সময় পার করবে। তা ছাড়া, ক্যাম্পাসটিতে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করেছি। সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান শোনে। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন মনীষীদের উক্তি লেখা রয়েছে। এতে তাদের দেশপ্রেম ও মানসিক বিকাশ ঘটে। আমি প্রায় সাত বছর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছি। এই পুরো সময়ে ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছি। বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, পৌর মেয়র জুয়েল, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সবাই কলেজটি সুন্দর করতে সহযোগিতা করেছেন। ডা. দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে প্রতিষ্ঠানটিকে ডিজিটাল ক্যাম্পাস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
পুরো ক্যাম্পাস ফুলে ফুলে ছেয়ে রয়েছে!
আমি ছাত্রজীবন থেকেই একজন ফুলপ্রেমী মানুষ। কলেজ ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দন করা, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটানো, তাদের শিক্ষার পরিবেশ দেওয়া; এসব চিন্তাধারা থেকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের ঋতুভিত্তিক ফুলের চারা রোপণের পরিকল্পনা করি। চারাগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করি। কোথায়ও কোনো ফুল ভালো লাগলে তা সংগ্রহ করি। এ ছাড়া সারা দেশে আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন। তাঁরা উপহার হিসেবে আমাকে ফুলের চারা দিয়ে থাকেন। ক্যাম্পাসে অনেক বিরল প্রজাতির গাছ রয়েছে, যা চাঁদপুরের আর কোথাও দেখা যায় না। মাঝে মাঝে শখ থেকে আমিও পরিচর্যার কাজে নেমে যাই। আমাকে দেখে দায়িত্বে থাকা লোকজন কাজ করতে উৎসাহ পান। তা ছাড়া, বাগানে কাজ করলে মানসিক তৃপ্তি পাওয়ার পাশাপাশি শরীরও ভালো থাকে। ক্যাম্পাসে ফুলগুলো ভালো রাখতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী—সবাই সহযোগিতা করেন।
আপনার প্রতিষ্ঠানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এসেছিলেন…
এরই মধ্যে সারা দেশে এটি একটি আলোচিত কলেজ। এখানে শ্রীলঙ্কার শিক্ষা উপমন্ত্রী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) দুজন পরিচালক ড. গোলাম ফারুক ও অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান এবং ভারতীয় হাইকমিশনারের কালচারাল ডিরেক্টর কলেজটি দেখে গেছেন। কয়েক দিন আগে লন্ডনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক কলেজটি ঘুরে গেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রথিতযশা ব্যক্তি কলেজটি দেখতে এসেছেন। শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর হওয়ার কারণে গুণীজনেরা কলেজটি পরিদর্শনে আসেন। বিদেশের শিক্ষার পরিবেশের মতো এখানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ক্যাম্পাস নিয়ে কলেজের ভূমিকা কেমন?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২০৪১ ঘোষণা করেছেন। সেখানে আমাদের যেতেই হবে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি ও ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু কলেজের ১০ জনের একটি দলকে রোবোটিকসের ওপর ট্রেনিং দিয়েছেন। এই দল উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখন তারা জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান মেলায় দলটি পঞ্চম হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ক্যাম্পাস, ২০৪১ সালের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেমন হওয়া উচিত, কী রকম স্মার্ট হবে; তারই একটি মডেল তৈরি করেছে রোবোটিকস দলটি। তাদের দলে আরও কিছু শিক্ষার্থীকে যুক্ত করেছি। কারণ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষার্থীদেরও স্মার্টভাবে তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট হতে হবে। আমরা এই লক্ষ্য পূরণে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছি।
শিক্ষার মানোন্নয়নে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন?
আমি দীর্ঘদিন কলেজে শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত বলে শিক্ষার মান নিয়ে ঘাটতি বা সমস্যাগুলো খুঁজে বের করি। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সহকর্মীদের সঙ্গে বসেছি। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কিছু কৌশল অবলম্বন করেছি। পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, আমাদের কৌশলগুলো কাজে লেগেছে। ৩০ শিক্ষার্থীর দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছি একজন শিক্ষককে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নেওয়া এবং অভিভাবক সমাবেশ করার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে নিতে পেরেছি। পড়াশোনার পাশাপাশি কলেজের সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ‘যুক্তির আলোয়’ নামে বিতর্ক ক্লাব ও ‘মুক্তির আলোয়’ নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে আমাদের। এ ছাড়া রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউট, বিএনসিসি—এসব সহশিক্ষা ক্লাবগুলো সক্রিয় আছে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে আসার পর কলেজের উল্লেখযোগ্য কী কী পরিবর্তন করেছেন?
আমি প্রায় ৭ বছর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে আছি। এককভাবে নয়, টিমওয়ার্ক করি আমরা। সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু, গভর্নিং বডির সদস্য এবং শিক্ষকেরা মিলেমিশে কলেজের উন্নয়নে কাজ করি। আমার ওপর তাঁদের আস্থা আছে। এই আস্থাটা নিয়েই আমি কাজ করি। একসময় কলেজের তেমন সম্পদ ছিল না। প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে এখন। ক্যাম্পাসে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, বঙ্গমাতা ম্যুরাল ও ৭ মার্চ চত্বর তৈরি করেছি। আইডিজি প্রকল্পের কাজ এবং কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সিইডিপি) আওতায় ৪ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আমাদের ৩৬টি ক্লাসে এসি রয়েছে। স্মার্ট বোর্ড ও স্মার্ট ক্লাসরুম রয়েছে। ৩৬টি ল্যাপটপ দিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, যাতে শিক্ষকেরা স্মার্ট বোর্ডে ক্লাস নিতে পারেন। দুটি কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। ক্যাম্পাসে একটি ক্যানটিন রয়েছে। লাইব্রেরি ও সেমিনারে পর্যাপ্ত বই রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে। সেন্ট্রাল সাউন্ড সিস্টেম এবং ওয়াই-ফাই রয়েছে। কলেজে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ভবন’ নামে ১০ তলা ভবনের কাজ চলমান। বর্তমানে ৭ তলার প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আশা করি, বাকি ৪০ শতাংশ কাজ আগামী ছয় মাসে হয়ে যাবে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আপনার পরামর্শ কী?
শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অবদান রাখতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে যেতেই হবে, এর বিকল্প নেই। আমরা স্বাধীনতার পর ৫২ বছর পেরিয়ে এসেছি। আরও সামনে এগিয়ে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও দেশ দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেখানে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে চাই।
রতন কুমার মজুমদার অধ্যক্ষ, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ

মফস্বলের কলেজ হিসেবে পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজকে এমন দৃষ্টিনন্দন করার ভাবনা মাথায় এল কীভাবে?
আমি এই কলেজে ১৯৮৯ সাল থেকে শিক্ষকতা করছি। দীর্ঘদিন শিক্ষকতার ফলে একটি বিষয় নজরে আসে, সেটি হলো, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ায় একটা অনীহা রয়েছে। কলেজে এলেও তারা ঠিকমতো ক্লাস করতে চায় না। সেখান থেকেই তাদের ক্যাম্পাসমুখী করার একটা পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানে শিক্ষার্থীরা কলেজে ক্লাস করবে, বাসায় যাবে, পরীক্ষায় পাস করে চলে যাবে; এমনটি নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে উন্মুক্ত জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। সেখানে তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও অবাধ বিচরণ থাকবে। ক্যাম্পাস হবে শিক্ষাবান্ধব। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার পাশাপাশি লাইব্রেরিতে বই পড়বে, সবুজ ঘাসে বসে গ্রুপ স্টাডি করবে, ক্যানটিনে বন্ধুদের সঙ্গে শিক্ষণীয় গল্প করে সময় পার করবে। তা ছাড়া, ক্যাম্পাসটিতে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করেছি। সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান শোনে। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন মনীষীদের উক্তি লেখা রয়েছে। এতে তাদের দেশপ্রেম ও মানসিক বিকাশ ঘটে। আমি প্রায় সাত বছর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছি। এই পুরো সময়ে ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছি। বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, পৌর মেয়র জুয়েল, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সবাই কলেজটি সুন্দর করতে সহযোগিতা করেছেন। ডা. দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে প্রতিষ্ঠানটিকে ডিজিটাল ক্যাম্পাস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
পুরো ক্যাম্পাস ফুলে ফুলে ছেয়ে রয়েছে!
আমি ছাত্রজীবন থেকেই একজন ফুলপ্রেমী মানুষ। কলেজ ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দন করা, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটানো, তাদের শিক্ষার পরিবেশ দেওয়া; এসব চিন্তাধারা থেকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের ঋতুভিত্তিক ফুলের চারা রোপণের পরিকল্পনা করি। চারাগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করি। কোথায়ও কোনো ফুল ভালো লাগলে তা সংগ্রহ করি। এ ছাড়া সারা দেশে আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন। তাঁরা উপহার হিসেবে আমাকে ফুলের চারা দিয়ে থাকেন। ক্যাম্পাসে অনেক বিরল প্রজাতির গাছ রয়েছে, যা চাঁদপুরের আর কোথাও দেখা যায় না। মাঝে মাঝে শখ থেকে আমিও পরিচর্যার কাজে নেমে যাই। আমাকে দেখে দায়িত্বে থাকা লোকজন কাজ করতে উৎসাহ পান। তা ছাড়া, বাগানে কাজ করলে মানসিক তৃপ্তি পাওয়ার পাশাপাশি শরীরও ভালো থাকে। ক্যাম্পাসে ফুলগুলো ভালো রাখতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী—সবাই সহযোগিতা করেন।
আপনার প্রতিষ্ঠানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এসেছিলেন…
এরই মধ্যে সারা দেশে এটি একটি আলোচিত কলেজ। এখানে শ্রীলঙ্কার শিক্ষা উপমন্ত্রী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) দুজন পরিচালক ড. গোলাম ফারুক ও অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান এবং ভারতীয় হাইকমিশনারের কালচারাল ডিরেক্টর কলেজটি দেখে গেছেন। কয়েক দিন আগে লন্ডনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক কলেজটি ঘুরে গেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রথিতযশা ব্যক্তি কলেজটি দেখতে এসেছেন। শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর হওয়ার কারণে গুণীজনেরা কলেজটি পরিদর্শনে আসেন। বিদেশের শিক্ষার পরিবেশের মতো এখানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ক্যাম্পাস নিয়ে কলেজের ভূমিকা কেমন?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২০৪১ ঘোষণা করেছেন। সেখানে আমাদের যেতেই হবে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি ও ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু কলেজের ১০ জনের একটি দলকে রোবোটিকসের ওপর ট্রেনিং দিয়েছেন। এই দল উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখন তারা জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান মেলায় দলটি পঞ্চম হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ক্যাম্পাস, ২০৪১ সালের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেমন হওয়া উচিত, কী রকম স্মার্ট হবে; তারই একটি মডেল তৈরি করেছে রোবোটিকস দলটি। তাদের দলে আরও কিছু শিক্ষার্থীকে যুক্ত করেছি। কারণ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষার্থীদেরও স্মার্টভাবে তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট হতে হবে। আমরা এই লক্ষ্য পূরণে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছি।
শিক্ষার মানোন্নয়নে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন?
আমি দীর্ঘদিন কলেজে শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত বলে শিক্ষার মান নিয়ে ঘাটতি বা সমস্যাগুলো খুঁজে বের করি। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সহকর্মীদের সঙ্গে বসেছি। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কিছু কৌশল অবলম্বন করেছি। পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, আমাদের কৌশলগুলো কাজে লেগেছে। ৩০ শিক্ষার্থীর দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছি একজন শিক্ষককে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নেওয়া এবং অভিভাবক সমাবেশ করার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে নিতে পেরেছি। পড়াশোনার পাশাপাশি কলেজের সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ‘যুক্তির আলোয়’ নামে বিতর্ক ক্লাব ও ‘মুক্তির আলোয়’ নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে আমাদের। এ ছাড়া রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউট, বিএনসিসি—এসব সহশিক্ষা ক্লাবগুলো সক্রিয় আছে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে আসার পর কলেজের উল্লেখযোগ্য কী কী পরিবর্তন করেছেন?
আমি প্রায় ৭ বছর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে আছি। এককভাবে নয়, টিমওয়ার্ক করি আমরা। সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু, গভর্নিং বডির সদস্য এবং শিক্ষকেরা মিলেমিশে কলেজের উন্নয়নে কাজ করি। আমার ওপর তাঁদের আস্থা আছে। এই আস্থাটা নিয়েই আমি কাজ করি। একসময় কলেজের তেমন সম্পদ ছিল না। প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে এখন। ক্যাম্পাসে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, বঙ্গমাতা ম্যুরাল ও ৭ মার্চ চত্বর তৈরি করেছি। আইডিজি প্রকল্পের কাজ এবং কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সিইডিপি) আওতায় ৪ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আমাদের ৩৬টি ক্লাসে এসি রয়েছে। স্মার্ট বোর্ড ও স্মার্ট ক্লাসরুম রয়েছে। ৩৬টি ল্যাপটপ দিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, যাতে শিক্ষকেরা স্মার্ট বোর্ডে ক্লাস নিতে পারেন। দুটি কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। ক্যাম্পাসে একটি ক্যানটিন রয়েছে। লাইব্রেরি ও সেমিনারে পর্যাপ্ত বই রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে। সেন্ট্রাল সাউন্ড সিস্টেম এবং ওয়াই-ফাই রয়েছে। কলেজে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ভবন’ নামে ১০ তলা ভবনের কাজ চলমান। বর্তমানে ৭ তলার প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আশা করি, বাকি ৪০ শতাংশ কাজ আগামী ছয় মাসে হয়ে যাবে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আপনার পরামর্শ কী?
শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অবদান রাখতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে যেতেই হবে, এর বিকল্প নেই। আমরা স্বাধীনতার পর ৫২ বছর পেরিয়ে এসেছি। আরও সামনে এগিয়ে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও দেশ দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেখানে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে চাই।
রতন কুমার মজুমদার অধ্যক্ষ, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ

মফস্বলের কলেজ হিসেবে পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজকে এমন দৃষ্টিনন্দন করার ভাবনা মাথায় এল কীভাবে?
আমি এই কলেজে ১৯৮৯ সাল থেকে শিক্ষকতা করছি। দীর্ঘদিন শিক্ষকতার ফলে একটি বিষয় নজরে আসে, সেটি হলো, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ায় একটা অনীহা রয়েছে। কলেজে এলেও তারা ঠিকমতো ক্লাস করতে চায় না। সেখান থেকেই তাদের ক্যাম্পাসমুখী করার একটা পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানে শিক্ষার্থীরা কলেজে ক্লাস করবে, বাসায় যাবে, পরীক্ষায় পাস করে চলে যাবে; এমনটি নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে উন্মুক্ত জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। সেখানে তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও অবাধ বিচরণ থাকবে। ক্যাম্পাস হবে শিক্ষাবান্ধব। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার পাশাপাশি লাইব্রেরিতে বই পড়বে, সবুজ ঘাসে বসে গ্রুপ স্টাডি করবে, ক্যানটিনে বন্ধুদের সঙ্গে শিক্ষণীয় গল্প করে সময় পার করবে। তা ছাড়া, ক্যাম্পাসটিতে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করেছি। সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান শোনে। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন মনীষীদের উক্তি লেখা রয়েছে। এতে তাদের দেশপ্রেম ও মানসিক বিকাশ ঘটে। আমি প্রায় সাত বছর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছি। এই পুরো সময়ে ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছি। বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, পৌর মেয়র জুয়েল, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সবাই কলেজটি সুন্দর করতে সহযোগিতা করেছেন। ডা. দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে প্রতিষ্ঠানটিকে ডিজিটাল ক্যাম্পাস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
পুরো ক্যাম্পাস ফুলে ফুলে ছেয়ে রয়েছে!
আমি ছাত্রজীবন থেকেই একজন ফুলপ্রেমী মানুষ। কলেজ ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দন করা, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটানো, তাদের শিক্ষার পরিবেশ দেওয়া; এসব চিন্তাধারা থেকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের ঋতুভিত্তিক ফুলের চারা রোপণের পরিকল্পনা করি। চারাগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করি। কোথায়ও কোনো ফুল ভালো লাগলে তা সংগ্রহ করি। এ ছাড়া সারা দেশে আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন। তাঁরা উপহার হিসেবে আমাকে ফুলের চারা দিয়ে থাকেন। ক্যাম্পাসে অনেক বিরল প্রজাতির গাছ রয়েছে, যা চাঁদপুরের আর কোথাও দেখা যায় না। মাঝে মাঝে শখ থেকে আমিও পরিচর্যার কাজে নেমে যাই। আমাকে দেখে দায়িত্বে থাকা লোকজন কাজ করতে উৎসাহ পান। তা ছাড়া, বাগানে কাজ করলে মানসিক তৃপ্তি পাওয়ার পাশাপাশি শরীরও ভালো থাকে। ক্যাম্পাসে ফুলগুলো ভালো রাখতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী—সবাই সহযোগিতা করেন।
আপনার প্রতিষ্ঠানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এসেছিলেন…
এরই মধ্যে সারা দেশে এটি একটি আলোচিত কলেজ। এখানে শ্রীলঙ্কার শিক্ষা উপমন্ত্রী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) দুজন পরিচালক ড. গোলাম ফারুক ও অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান এবং ভারতীয় হাইকমিশনারের কালচারাল ডিরেক্টর কলেজটি দেখে গেছেন। কয়েক দিন আগে লন্ডনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক কলেজটি ঘুরে গেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রথিতযশা ব্যক্তি কলেজটি দেখতে এসেছেন। শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর হওয়ার কারণে গুণীজনেরা কলেজটি পরিদর্শনে আসেন। বিদেশের শিক্ষার পরিবেশের মতো এখানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ক্যাম্পাস নিয়ে কলেজের ভূমিকা কেমন?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২০৪১ ঘোষণা করেছেন। সেখানে আমাদের যেতেই হবে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি ও ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু কলেজের ১০ জনের একটি দলকে রোবোটিকসের ওপর ট্রেনিং দিয়েছেন। এই দল উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখন তারা জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান মেলায় দলটি পঞ্চম হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ক্যাম্পাস, ২০৪১ সালের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেমন হওয়া উচিত, কী রকম স্মার্ট হবে; তারই একটি মডেল তৈরি করেছে রোবোটিকস দলটি। তাদের দলে আরও কিছু শিক্ষার্থীকে যুক্ত করেছি। কারণ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষার্থীদেরও স্মার্টভাবে তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট হতে হবে। আমরা এই লক্ষ্য পূরণে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছি।
শিক্ষার মানোন্নয়নে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন?
আমি দীর্ঘদিন কলেজে শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত বলে শিক্ষার মান নিয়ে ঘাটতি বা সমস্যাগুলো খুঁজে বের করি। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সহকর্মীদের সঙ্গে বসেছি। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কিছু কৌশল অবলম্বন করেছি। পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, আমাদের কৌশলগুলো কাজে লেগেছে। ৩০ শিক্ষার্থীর দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছি একজন শিক্ষককে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নেওয়া এবং অভিভাবক সমাবেশ করার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে নিতে পেরেছি। পড়াশোনার পাশাপাশি কলেজের সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ‘যুক্তির আলোয়’ নামে বিতর্ক ক্লাব ও ‘মুক্তির আলোয়’ নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে আমাদের। এ ছাড়া রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউট, বিএনসিসি—এসব সহশিক্ষা ক্লাবগুলো সক্রিয় আছে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে আসার পর কলেজের উল্লেখযোগ্য কী কী পরিবর্তন করেছেন?
আমি প্রায় ৭ বছর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে আছি। এককভাবে নয়, টিমওয়ার্ক করি আমরা। সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু, গভর্নিং বডির সদস্য এবং শিক্ষকেরা মিলেমিশে কলেজের উন্নয়নে কাজ করি। আমার ওপর তাঁদের আস্থা আছে। এই আস্থাটা নিয়েই আমি কাজ করি। একসময় কলেজের তেমন সম্পদ ছিল না। প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে এখন। ক্যাম্পাসে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, বঙ্গমাতা ম্যুরাল ও ৭ মার্চ চত্বর তৈরি করেছি। আইডিজি প্রকল্পের কাজ এবং কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সিইডিপি) আওতায় ৪ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আমাদের ৩৬টি ক্লাসে এসি রয়েছে। স্মার্ট বোর্ড ও স্মার্ট ক্লাসরুম রয়েছে। ৩৬টি ল্যাপটপ দিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, যাতে শিক্ষকেরা স্মার্ট বোর্ডে ক্লাস নিতে পারেন। দুটি কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। ক্যাম্পাসে একটি ক্যানটিন রয়েছে। লাইব্রেরি ও সেমিনারে পর্যাপ্ত বই রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে। সেন্ট্রাল সাউন্ড সিস্টেম এবং ওয়াই-ফাই রয়েছে। কলেজে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ভবন’ নামে ১০ তলা ভবনের কাজ চলমান। বর্তমানে ৭ তলার প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আশা করি, বাকি ৪০ শতাংশ কাজ আগামী ছয় মাসে হয়ে যাবে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আপনার পরামর্শ কী?
শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অবদান রাখতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে যেতেই হবে, এর বিকল্প নেই। আমরা স্বাধীনতার পর ৫২ বছর পেরিয়ে এসেছি। আরও সামনে এগিয়ে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও দেশ দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেখানে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে চাই।
রতন কুমার মজুমদার অধ্যক্ষ, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ

মফস্বলের কলেজ হিসেবে পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজকে এমন দৃষ্টিনন্দন করার ভাবনা মাথায় এল কীভাবে?
আমি এই কলেজে ১৯৮৯ সাল থেকে শিক্ষকতা করছি। দীর্ঘদিন শিক্ষকতার ফলে একটি বিষয় নজরে আসে, সেটি হলো, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ায় একটা অনীহা রয়েছে। কলেজে এলেও তারা ঠিকমতো ক্লাস করতে চায় না। সেখান থেকেই তাদের ক্যাম্পাসমুখী করার একটা পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানে শিক্ষার্থীরা কলেজে ক্লাস করবে, বাসায় যাবে, পরীক্ষায় পাস করে চলে যাবে; এমনটি নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হবে উন্মুক্ত জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র। সেখানে তাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও অবাধ বিচরণ থাকবে। ক্যাম্পাস হবে শিক্ষাবান্ধব। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার পাশাপাশি লাইব্রেরিতে বই পড়বে, সবুজ ঘাসে বসে গ্রুপ স্টাডি করবে, ক্যানটিনে বন্ধুদের সঙ্গে শিক্ষণীয় গল্প করে সময় পার করবে। তা ছাড়া, ক্যাম্পাসটিতে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করেছি। সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান শোনে। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন মনীষীদের উক্তি লেখা রয়েছে। এতে তাদের দেশপ্রেম ও মানসিক বিকাশ ঘটে। আমি প্রায় সাত বছর অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছি। এই পুরো সময়ে ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানোর চেষ্টা করেছি। বর্তমান সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, পৌর মেয়র জুয়েল, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সবাই কলেজটি সুন্দর করতে সহযোগিতা করেছেন। ডা. দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে প্রতিষ্ঠানটিকে ডিজিটাল ক্যাম্পাস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।
পুরো ক্যাম্পাস ফুলে ফুলে ছেয়ে রয়েছে!
আমি ছাত্রজীবন থেকেই একজন ফুলপ্রেমী মানুষ। কলেজ ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দন করা, শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটানো, তাদের শিক্ষার পরিবেশ দেওয়া; এসব চিন্তাধারা থেকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের ঋতুভিত্তিক ফুলের চারা রোপণের পরিকল্পনা করি। চারাগুলো দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করি। কোথায়ও কোনো ফুল ভালো লাগলে তা সংগ্রহ করি। এ ছাড়া সারা দেশে আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন। তাঁরা উপহার হিসেবে আমাকে ফুলের চারা দিয়ে থাকেন। ক্যাম্পাসে অনেক বিরল প্রজাতির গাছ রয়েছে, যা চাঁদপুরের আর কোথাও দেখা যায় না। মাঝে মাঝে শখ থেকে আমিও পরিচর্যার কাজে নেমে যাই। আমাকে দেখে দায়িত্বে থাকা লোকজন কাজ করতে উৎসাহ পান। তা ছাড়া, বাগানে কাজ করলে মানসিক তৃপ্তি পাওয়ার পাশাপাশি শরীরও ভালো থাকে। ক্যাম্পাসে ফুলগুলো ভালো রাখতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী—সবাই সহযোগিতা করেন।
আপনার প্রতিষ্ঠানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এসেছিলেন…
এরই মধ্যে সারা দেশে এটি একটি আলোচিত কলেজ। এখানে শ্রীলঙ্কার শিক্ষা উপমন্ত্রী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) দুজন পরিচালক ড. গোলাম ফারুক ও অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান এবং ভারতীয় হাইকমিশনারের কালচারাল ডিরেক্টর কলেজটি দেখে গেছেন। কয়েক দিন আগে লন্ডনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক কলেজটি ঘুরে গেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রথিতযশা ব্যক্তি কলেজটি দেখতে এসেছেন। শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর হওয়ার কারণে গুণীজনেরা কলেজটি পরিদর্শনে আসেন। বিদেশের শিক্ষার পরিবেশের মতো এখানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ক্যাম্পাস নিয়ে কলেজের ভূমিকা কেমন?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২০৪১ ঘোষণা করেছেন। সেখানে আমাদের যেতেই হবে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি ও ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু কলেজের ১০ জনের একটি দলকে রোবোটিকসের ওপর ট্রেনিং দিয়েছেন। এই দল উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখন তারা জাতীয় পর্যায়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান মেলায় দলটি পঞ্চম হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট ক্যাম্পাস, ২০৪১ সালের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেমন হওয়া উচিত, কী রকম স্মার্ট হবে; তারই একটি মডেল তৈরি করেছে রোবোটিকস দলটি। তাদের দলে আরও কিছু শিক্ষার্থীকে যুক্ত করেছি। কারণ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে শিক্ষার্থীদেরও স্মার্টভাবে তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট হতে হবে। আমরা এই লক্ষ্য পূরণে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছি।
শিক্ষার মানোন্নয়নে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন?
আমি দীর্ঘদিন কলেজে শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত বলে শিক্ষার মান নিয়ে ঘাটতি বা সমস্যাগুলো খুঁজে বের করি। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সহকর্মীদের সঙ্গে বসেছি। তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কিছু কৌশল অবলম্বন করেছি। পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে, আমাদের কৌশলগুলো কাজে লেগেছে। ৩০ শিক্ষার্থীর দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছি একজন শিক্ষককে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নেওয়া এবং অভিভাবক সমাবেশ করার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে নিতে পেরেছি। পড়াশোনার পাশাপাশি কলেজের সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ‘যুক্তির আলোয়’ নামে বিতর্ক ক্লাব ও ‘মুক্তির আলোয়’ নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে আমাদের। এ ছাড়া রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউট, বিএনসিসি—এসব সহশিক্ষা ক্লাবগুলো সক্রিয় আছে।
প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে আসার পর কলেজের উল্লেখযোগ্য কী কী পরিবর্তন করেছেন?
আমি প্রায় ৭ বছর কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে আছি। এককভাবে নয়, টিমওয়ার্ক করি আমরা। সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু, গভর্নিং বডির সদস্য এবং শিক্ষকেরা মিলেমিশে কলেজের উন্নয়নে কাজ করি। আমার ওপর তাঁদের আস্থা আছে। এই আস্থাটা নিয়েই আমি কাজ করি। একসময় কলেজের তেমন সম্পদ ছিল না। প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে এখন। ক্যাম্পাসে দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, বঙ্গমাতা ম্যুরাল ও ৭ মার্চ চত্বর তৈরি করেছি। আইডিজি প্রকল্পের কাজ এবং কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (সিইডিপি) আওতায় ৪ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আমাদের ৩৬টি ক্লাসে এসি রয়েছে। স্মার্ট বোর্ড ও স্মার্ট ক্লাসরুম রয়েছে। ৩৬টি ল্যাপটপ দিয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, যাতে শিক্ষকেরা স্মার্ট বোর্ডে ক্লাস নিতে পারেন। দুটি কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। ক্যাম্পাসে একটি ক্যানটিন রয়েছে। লাইব্রেরি ও সেমিনারে পর্যাপ্ত বই রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে। সেন্ট্রাল সাউন্ড সিস্টেম এবং ওয়াই-ফাই রয়েছে। কলেজে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ভবন’ নামে ১০ তলা ভবনের কাজ চলমান। বর্তমানে ৭ তলার প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আশা করি, বাকি ৪০ শতাংশ কাজ আগামী ছয় মাসে হয়ে যাবে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আপনার পরামর্শ কী?
শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অবদান রাখতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে যেতেই হবে, এর বিকল্প নেই। আমরা স্বাধীনতার পর ৫২ বছর পেরিয়ে এসেছি। আরও সামনে এগিয়ে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও দেশ দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেখানে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে চাই।
রতন কুমার মজুমদার অধ্যক্ষ, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগে
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
১ দিন আগেজবি প্রতিনিধি

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিমের নির্দেশক্রমে পরিবহন প্রশাসক ড. তারেক বিন আতিকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায়, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল হতে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি নির্ধারণ করা হলো।
(ক) শাহবাগ থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে অর্নিবান-২, উল্কা-৪, ধূমকেতু, কালিগঙ্গা, তুরাগ, উত্তরণ-২।
(খ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে শাহবাগ, গোমতী, রজতরেখা, উত্তরণ-২, নোঙ্গর, উল্কা-৪ সহ আরো একটি বাস।
(গ) যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে, বিজয়-১, ঐতিহ্য, বিজয়-২
(ঘ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে যাত্রাবাড়ী পদ্মা, আড়িয়াল, দ্বিতল বাসসহ আরও ২টি বাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনিক চলমান সব রুটের শাটল ট্রিপ ও দুপুরের ট্রিপ যথারীতি চলাচল করবে।
এর আগে, আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে জকসুর ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য ১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে এবং ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।

আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিমের নির্দেশক্রমে পরিবহন প্রশাসক ড. তারেক বিন আতিকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ অবস্থায়, ভোটগ্রহণ ও নির্বাচনের সব কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল হতে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি নির্ধারণ করা হলো।
(ক) শাহবাগ থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে অর্নিবান-২, উল্কা-৪, ধূমকেতু, কালিগঙ্গা, তুরাগ, উত্তরণ-২।
(খ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে শাহবাগ, গোমতী, রজতরেখা, উত্তরণ-২, নোঙ্গর, উল্কা-৪ সহ আরো একটি বাস।
(গ) যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসবে জবি ক্যাম্পাসে, বিজয়-১, ঐতিহ্য, বিজয়-২
(ঘ) জবি (ক্যাম্পাস) থেকে ছেড়ে যাবে যাত্রাবাড়ী পদ্মা, আড়িয়াল, দ্বিতল বাসসহ আরও ২টি বাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনিক চলমান সব রুটের শাটল ট্রিপ ও দুপুরের ট্রিপ যথারীতি চলাচল করবে।
এর আগে, আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে জকসুর ভোটগ্রহণ। কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩৮টি এবং হল সংসদের জন্য ১টি ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে ভোটগ্রহণ বুথ থাকবে এবং ভোটগ্রহণ শেষে মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।

পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ চাঁদপুরের মডেল কলেজ হিসেবে চিহ্নিত। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণের পর কলেজটিকে ঢেলে সাজিয়েছেন রতন কুমার মজুমদার।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
১ দিন আগেশাহ বিলিয়া জুলফিকার

আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। শুদ্ধ উচ্চারণের অনুশীলন, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ সৃষ্টির মাধ্যমে আবৃত্তি শিশুদের সার্বিক ব্যক্তিত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবৃত্তির এই প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর আরিফ হাসান। গ্রন্থনা করেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
আবৃত্তির মূল ভিত্তি হলো শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণ। একটি কবিতার সঠিক ভাব ও ছন্দ বজায় রেখে পাঠ করতে হলে স্বর, বর্ণ ও শব্দের যথাযথ উচ্চারণ অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকে আবৃত্তিচর্চা করলে শিশুরা ধীরে ধীরে আঞ্চলিকতার প্রভাব কাটিয়ে প্রমিত বাচনভঙ্গির অধিকারী হয়। এটি কেবল বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও সহায়ক এবং শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও জড়তা দূরীকরণ
জনসমক্ষে নির্ভয়ে ও সুন্দরভাবে কথা বলার সক্ষমতা একজন সফল মানুষের অন্যতম প্রধান গুণ। আবৃত্তি শিশুদের মনের ভেতরের ভয় ও জড়তা কাটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মঞ্চে বা সবার সামনে আবৃত্তি পরিবেশন করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। নিজেদের ভাব প্রকাশের এই চর্চা লাজুকতা দূর করে এবং ব্যক্তিত্বকে করে তোলে আরও দৃঢ় ও সাবলীল।
শব্দভান্ডার সমৃদ্ধি
কবিতা বা ছড়া আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ, বাক্যগঠন ও সাহিত্যের বৈচিত্র্যময় দিক সম্পর্কে জানতে পারে। এর ফলে তাদের শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং ভাষার প্রতি জন্ম নেয় গভীর অনুরাগ। কবিতার ভাব, ছন্দ ও অলংকার অনুধাবনের মধ্য দিয়ে তাদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের বিকাশ
একটি কবিতা মুখস্থ করে তা যথাযথ আবেগ ও ভাবসহ উপস্থাপন করা স্মৃতিশক্তির জন্য একটি কার্যকর অনুশীলন। আবৃত্তিচর্চার জন্য কবিতার বিষয়বস্তু মনোযোগ দিয়ে বুঝতে হয়, যা শিশুদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই অনুশীলন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শেখার ক্ষমতা জোরদার করে।
মানবিক মূল্যবোধের চর্চা
সাহিত্য; বিশেষ করে কবিতা—মানবজীবন, দেশপ্রেম, মানবতা ও প্রকৃতিপ্রেমের গভীর বার্তা বহন করে। আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা এসব মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং সেগুলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ভালো কবিতার ভাবধারা শিশুদের কোমল মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং নৈতিক বিকাশে সহায়তা করে।
আবৃত্তি ও মেডিকেল সায়েন্স
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা আবৃত্তিকে একধরনের থেরাপি হিসেবেও উল্লেখ করেন। তাঁদের মতে, আবৃত্তি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ বৃদ্ধি
আবৃত্তির জন্য কবিতা বোঝা, মনে রাখা এবং সঠিক আবেগসহ উপস্থাপন করা প্রয়োজন হয়। এ প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও স্মৃতিসংশ্লিষ্ট অংশ সক্রিয় হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সামগ্রিক সংজ্ঞানাত্মক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
স্নায়বিক সংযোগ শক্তিশালীকরণ
নিয়মিত কবিতা মুখস্থ করা ও আবৃত্তি করার ফলে মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ আরও দৃঢ় হয়, যা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্সের ঝুঁকি হ্রাস
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মুখস্থ করার অনুশীলন যেমন কবিতা বা ধর্মীয় স্তোত্র আবৃত্তি মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের স্মৃতিভ্রম বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়
আবৃত্তির সময় সুর, ছন্দ ও শ্বাসপ্রশ্বাসের একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার হয়, যা ধ্যান বা মেডিটেশনের মতো প্রভাব ফেলে। এতে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয় এবং স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।
কবিতা মানুষের গভীর অনুভূতি ও আবেগকে প্রকাশ করে। আবৃত্তির মাধ্যমে সেই আবেগ প্রকাশ বা অনুভব করার সুযোগ তৈরি হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে স্থিতিশীলতা বাড়ায়। মনোরোগ চিকিৎসায় ‘পোয়েট্রি থেরাপি’ বা ‘গ্রন্থ চিকিৎসা’ একটি সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবৃত্তির সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিনের মতো ‘সুখের হরমোন’ নিঃসৃত হতে পারে, যা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।

আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। শুদ্ধ উচ্চারণের অনুশীলন, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং ভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ সৃষ্টির মাধ্যমে আবৃত্তি শিশুদের সার্বিক ব্যক্তিত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আবৃত্তির এই প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের প্রিন্সিপাল ডেমোনস্ট্রেটর আরিফ হাসান। গ্রন্থনা করেছেন শাহ বিলিয়া জুলফিকার।
আবৃত্তির মূল ভিত্তি হলো শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণ। একটি কবিতার সঠিক ভাব ও ছন্দ বজায় রেখে পাঠ করতে হলে স্বর, বর্ণ ও শব্দের যথাযথ উচ্চারণ অপরিহার্য। ছোটবেলা থেকে আবৃত্তিচর্চা করলে শিশুরা ধীরে ধীরে আঞ্চলিকতার প্রভাব কাটিয়ে প্রমিত বাচনভঙ্গির অধিকারী হয়। এটি কেবল বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও সহায়ক এবং শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবনে এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি ও জড়তা দূরীকরণ
জনসমক্ষে নির্ভয়ে ও সুন্দরভাবে কথা বলার সক্ষমতা একজন সফল মানুষের অন্যতম প্রধান গুণ। আবৃত্তি শিশুদের মনের ভেতরের ভয় ও জড়তা কাটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। মঞ্চে বা সবার সামনে আবৃত্তি পরিবেশন করার মাধ্যমে তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। নিজেদের ভাব প্রকাশের এই চর্চা লাজুকতা দূর করে এবং ব্যক্তিত্বকে করে তোলে আরও দৃঢ় ও সাবলীল।
শব্দভান্ডার সমৃদ্ধি
কবিতা বা ছড়া আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা নতুন নতুন শব্দ, বাক্যগঠন ও সাহিত্যের বৈচিত্র্যময় দিক সম্পর্কে জানতে পারে। এর ফলে তাদের শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং ভাষার প্রতি জন্ম নেয় গভীর অনুরাগ। কবিতার ভাব, ছন্দ ও অলংকার অনুধাবনের মধ্য দিয়ে তাদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের বিকাশ
একটি কবিতা মুখস্থ করে তা যথাযথ আবেগ ও ভাবসহ উপস্থাপন করা স্মৃতিশক্তির জন্য একটি কার্যকর অনুশীলন। আবৃত্তিচর্চার জন্য কবিতার বিষয়বস্তু মনোযোগ দিয়ে বুঝতে হয়, যা শিশুদের একাগ্রতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই অনুশীলন মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শেখার ক্ষমতা জোরদার করে।
মানবিক মূল্যবোধের চর্চা
সাহিত্য; বিশেষ করে কবিতা—মানবজীবন, দেশপ্রেম, মানবতা ও প্রকৃতিপ্রেমের গভীর বার্তা বহন করে। আবৃত্তির মাধ্যমে শিশুরা এসব মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে পরিচিত হয় এবং সেগুলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। ভালো কবিতার ভাবধারা শিশুদের কোমল মনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং নৈতিক বিকাশে সহায়তা করে।
আবৃত্তি ও মেডিকেল সায়েন্স
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা আবৃত্তিকে একধরনের থেরাপি হিসেবেও উল্লেখ করেন। তাঁদের মতে, আবৃত্তি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ বৃদ্ধি
আবৃত্তির জন্য কবিতা বোঝা, মনে রাখা এবং সঠিক আবেগসহ উপস্থাপন করা প্রয়োজন হয়। এ প্রক্রিয়ায় মস্তিষ্কের ভাষা প্রক্রিয়াকরণ ও স্মৃতিসংশ্লিষ্ট অংশ সক্রিয় হয়। ফলে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং সামগ্রিক সংজ্ঞানাত্মক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
স্নায়বিক সংযোগ শক্তিশালীকরণ
নিয়মিত কবিতা মুখস্থ করা ও আবৃত্তি করার ফলে মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ আরও দৃঢ় হয়, যা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্সের ঝুঁকি হ্রাস
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মুখস্থ করার অনুশীলন যেমন কবিতা বা ধর্মীয় স্তোত্র আবৃত্তি মস্তিষ্কের সক্ষমতা বাড়ায় এবং বার্ধক্যের স্মৃতিভ্রম বা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।
স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়
আবৃত্তির সময় সুর, ছন্দ ও শ্বাসপ্রশ্বাসের একটি নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার হয়, যা ধ্যান বা মেডিটেশনের মতো প্রভাব ফেলে। এতে প্যারাসিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয় এবং স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে।
কবিতা মানুষের গভীর অনুভূতি ও আবেগকে প্রকাশ করে। আবৃত্তির মাধ্যমে সেই আবেগ প্রকাশ বা অনুভব করার সুযোগ তৈরি হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে স্থিতিশীলতা বাড়ায়। মনোরোগ চিকিৎসায় ‘পোয়েট্রি থেরাপি’ বা ‘গ্রন্থ চিকিৎসা’ একটি সহায়ক পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবৃত্তির সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিনের মতো ‘সুখের হরমোন’ নিঃসৃত হতে পারে, যা মন ভালো রাখতে সহায়তা করে।

পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ চাঁদপুরের মডেল কলেজ হিসেবে চিহ্নিত। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণের পর কলেজটিকে ঢেলে সাজিয়েছেন রতন কুমার মজুমদার।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
১ দিন আগেসোহানুর রহমান, জবি

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে জগন্নাথ কলেজে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১৬ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৭০ জন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থী ১৮৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩৯ কেন্দ্রের ১৭৮ বুথে ভোট গ্রহণ হবে। ব্যালট পেপার ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণ চলাকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ টিম দায়িত্ব পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী আজ থেকে ক্যাম্পাস ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকবে। কমিশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, যেকোনো সমস্যা সমাধানে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল শেষ দিনের মতো প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। দিনভর ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের গণসংযোগ, মতবিনিময় ও ভোটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ লক্ষ করা গেছে।
ছাত্রশিবির-সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি ফেয়ার এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোট গণনায় যেন বিলম্ব না হয়, সেই দাবিও থাকবে। সব মিলিয়ে আশা করি, শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’
ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও এই ধারা অব্যাহত থাকত। এখন আমাদের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থেকে এবং কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে।’
জাতীয় ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা হতাশ। তাদের প্রতিটি কার্যক্রম বিতর্কিত, তাই কোনো আশা রাখছি না। তবে শিক্ষার্থীদের থেকে আমাদের একটাই আশা, ক্যাম্পাসের জন্য যারা কাজ করবে, সে রকম প্রতিনিধি বাছাই করতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে নিরাপদে ভোট দিতে পারুক।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট-সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘প্রচারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে আশাবাদী। তবে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কিছু সংশয় আছে। সব মিলিয়ে আমরা আশা করছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণী আক্তার কবিতা বলেন, ‘আশা করি, নির্বাচিত প্রার্থীরা দলীয় প্রভাবমুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।’
নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে প্রবেশসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, ‘কেবল অনুমোদিত ব্যক্তি, ভোটার, শিক্ষক এবং নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। এ জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক। পরিচয়পত্র সংগ্রহের বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।’

পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ চাঁদপুরের মডেল কলেজ হিসেবে চিহ্নিত। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণের পর কলেজটিকে ঢেলে সাজিয়েছেন রতন কুমার মজুমদার।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগে
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
১১ ঘণ্টা আগে
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
১ দিন আগেশেফাক মাহমুদ, বুটেক্স

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"
হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে মোট ৪,১২৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্র্যাজুয়েশন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ৬০ জন মাস্টার্স, ১৯৪ জন এমবিএ এবং বুটেক্স অধিভুক্ত কলেজসমূহ থেকে ১,২৫০ জন গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য ৪১ জন শিক্ষার্থীকে গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, "আজকের এই সমাবর্তন শুধু বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে নয়, দেশের বস্ত্রশিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও একটি যুগান্তকারী অর্জন। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পরিপক্কতার সাক্ষী হচ্ছি, যা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে। এটি কেবল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সাফল্য নয়; বরং ভবিষ্যতের আরও অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করবে।"

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, "আমাদের বৈদেশিক আয়ের বড় অংশ আসে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল পণ্য থেকে। এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই মনে রাখতে হবে—দেশ ও জাতি আজ তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। চলার পথ সহজ নয়; সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তবে মনে রেখো, তোমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ও কাজের প্রভাব শুধু নিজেই নয়, পরিবার, সমাজ এবং দেশের ওপরও পড়বে।"
হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার অধ্যাপক ড. জুংগাই ওয়াং বলেন, “প্রাচীনকাল থেকে এশীয় এই উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। ঢাকার মসলিন ছিল বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট তুলা বস্ত্র—যার কোমলতা ও মান আজও অতুলনীয়। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাত বিশ্ববাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে গড়ে ওঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। টেক্সটাইল ও অ্যাপারেলের প্রতি আগ্রহ ও নিষ্ঠা নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে এবং দেশসেবার সুযোগ তৈরি করবে। এই সমাবর্তন শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের অনুষ্ঠান নয়—এটি আরও বড় একটি উত্তরাধিকার বহনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জুলহাস উদ্দিন বলেন, "মোট ৪,১২৬ জন গ্র্যাজুয়েট আজ তাদের ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সকল গ্র্যাজুয়েট দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন। আমাদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের টেক্সটাইল শিল্পে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে অবদান রেখে আসছে। এর পাশাপাশি ২৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখেছেন। আজকের এই সমাবর্তন শুধু একটি অর্জন নয়, বরং দায়িত্ব ও অঙ্গীকারের সূচনা। সততা, অধ্যবসায় এবং শিক্ষার ধারাবাহিক চর্চাকে জীবন ও কর্মের মূলমন্ত্র হিসেবে ধারণ করে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে সমাজ, দেশ ও মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।"

পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ চাঁদপুরের মডেল কলেজ হিসেবে চিহ্নিত। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণের পর কলেজটিকে ঢেলে সাজিয়েছেন রতন কুমার মজুমদার।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতে রুট প্ল্যান ও সময়সূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৪ ঘণ্টা আগে
আবৃত্তি কেবল একটি শিল্পমাধ্যম নয়; এটি শিশুদের মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক গঠনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, যেখানে শিশুরা পাঠ্যবইয়ের গণ্ডির বাইরে নিজেদের সৃজনশীলতা ও অন্তর্নিহিত প্রতিভা বিকাশের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না, সেখানে আবৃত্তিচর্চা তাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন..
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জকসু নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি
১৮ ঘণ্টা আগে